এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • নেটফ্লিক্সের বুলবুল -- এক অনুপম অশ্বডিম্ব

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৮ জুন ২০২০ | ১২২১৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • নেটফ্লিক্সে বুলবুল বলে এক সিনেমা নাকি আলোড়ন ফেলেছে। অনুরাগ কাশ্যপ বলেছেন এই শতকের সেরা সিনেমা। উনবিংশ শতকের বাঙালির গপ্পো বলে উৎসাহিত হয়ে দেখে ফেলা গেল। কিন্তু খুলে যা দেখা গেল, তা হল প্রচন্ড পলিটিকালি কারেক্ট একটি অশ্বডিম্ব। ইদানিং কালে বিন্দুমাত্র চিন্তাভাবনা পড়াশুনো বা সৃষ্টিশীলতার চূড়ান্ত অভাবকে ঢাকতে একটা চড়া দাগের যাহোক 'সঠিক' কথাকে হাঁইমাই করে তীব্র চিৎকার সহকারে জোর গলায় বলতে পারাকেই 'শিল্প' বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এই উচ্চমার্গের 'প্রগতিশীলতা'র বেশ কিছু খদ্দেরও আছেন, ফলে চলছেও ভালই, ব্যবসাপাতিও নিশ্চয়ই ভালই হচ্ছে। সেই ঘরনার একটি নিখুঁত উদাহরণ হল এই সিনেমা।

    সেই কারণেই কলম বাগিয়ে এটা লিখতে বসা। নইলে এই সিনেমার রিভিউ করা পন্ডশ্রম। ইতিহাস, ভূগোল সবকিছুকে গোল্লায় পাঠিয়েও কীকরে 'প্রগতিশীল' এবং হিট ছবি বানানো হয় এবং হয়েছে, সেইটুকুই এখানে দেখা হয়েছে। আর অন্য কিছু এই লেখার উদ্দেশ্য নয়।

    তো, কাজের কথায় আসা যাক। সিনেমার পটভূমি ১৮৮১ সালের। গোড়াতেই জ্বলজ্বল করে লেখা আছে বলে জানা গেল। একদম গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল কোনো এক অজ জঙ্গলের জমিদারবাড়ি। সেখানে উনবিংশ শতকের বাঙালি জমিদার কলার দেওয়া পাঞ্জাবি পরে ঘুরছেন। সেই ১৮৮১ সালে। রবীন্দ্রনাথের তখন সবে দাড়ি গজিয়েছে, বছর কুড়ি বয়স, বিদ্যেসাগর তখনও বেঁচে। সেই আমলে কলার দেওয়া পাঞ্জাবি? সেসব তখনও আবিষ্কার হয়নি, বঙ্গীয় পুংদের আটপৌরে পোশাক ছিল ঊর্ধ্বাঙ্গে উড়নি (বিদ্যাসাগরের বিখ্যাত পোট্রেটটি মনে করুন), আর জমকালো পোশাক বলতে ছিল চোগা-চাপকান (এবার বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত পোট্রেটটি স্মরণ করুন), শহরে শার্ট-আর-ধুতিও চালু হয়ে গিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু কলার দেওয়া পাঞ্জাবি? ওরে বাবা। পরিচালক বা চিত্রনাট্যকার বা শিল্পনির্দেশক সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র খবর রাখার প্রয়োজন বোধ করেননি, বোঝা গেল। মেয়েদের পোশাকের খবরটা অন্তত রাখা উচিত ছিল, নারী নিয়েই যখন এত বক্তব্য। কিন্তু সিনেমায় গুষ্টিশুদ্ধ মেয়েদের দিব্যি দেখা গেল হয় ফুলফুল হাতা, কিংবা এমনি ছোটোহাতা ব্লাউজ পরে। যেন চারুলতার দৃশ্য। চারুলতা থেকে সিনেমাটি যে প্রচুর 'অনুপ্রাণিত', সে অবশ্য নায়িকার হাসি, চাউনি দেখেও বোঝা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল চারুলতা নেহাৎই শহুরে ঘটনা, সত্যজিৎ বাবু সেসময়ের পোশাক নিয়ে বিস্তর রিসার্চ করেছিলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৮৮০-১৮৯০-১৯০০ -- এই সময়কালের গাঁয়ের মেয়েদের পোশাক নিয়ে রিসার্চটা বুলবুলের হয়ে করে দেননি। খুব বেশি রিসার্চ করারও দরকার নেই, বাংলার ইতিহাস যাঁরা একটুও পড়েছেন, তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, যে, বাংলায় শাড়ি পরা হত কোনো ব্লাউজ বা সায়া ছাড়া। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী ওই দুইয়ের প্রচলন করেন, শেমিজ নামক একটি বস্তু আবিষ্কার করে। তিনি কলকাতায় ফেরেন ওই ১৮৮০ সাল নাগাদ, তারপর প্রাথমিক ভাবে স্রেফ ব্রাহ্মসমাজের মহিলাদের মধ্যে এর চল শুরু হয়। শহুরে আলোকপ্রাপ্ত মহিলারাও পরতে শুরু করেন। তারই ফল চারুলতার পোশাক। কিন্তু সুদূর গ্রামে ১৮৮০-৯০ সালে মহিলারা শাড়ি-ব্লাউজ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এ খুবই কষ্টকল্পনা। বস্তুত সেই সময়ের জমিদার মেয়েদের পোশাক নিয়ে আলাদা একটা রিসার্চেরই দরকার, সে এঁয়ারা করেননি, স্রেফ চারুলতা থেকে কপি মেরেছেন, সে বোঝাই যাচ্ছে।

    এর চেয়েও প্রলয়ঙ্কর হল গানের ব্যবহার। সহনায়িকা এখানে গুণগুণ করে গায় রবিবাবুর গান। মোটামুটি ১৮৯৫ সাল নাগাদ। কী গান? সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে। যে গান লেখা হবে এর বছর তিরিশেক পরে। বাঙালি হলেই একটু রবীন্দ্রনাথের পাঞ্চ দিতেই হবে, বাঙালি রবীন্দ্রনাথের জন্মের আগে থেকেই রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়, এ তো জানা কথা। যেকোনো দিন পলাশীর যুদ্ধের দৃশ্যায়নেও সিরাজদৌল্লাকে 'ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে' গুণগুণ করতে দেখা যেতে পারে। বলিউডি ওয়েবসিরিজ/সিনেমার কারবার বলে কথা। এর আগে একটি সিরিজে দেখা গিয়েছিল বাঙালি নায়িকা সঙ্গমকালে 'শেষের কবিতা' থেকে আবৃত্তি করে। বলিউডি প্রযোজক-পরিচালকদের নির্ঘাত ধারণা ওতেই বাঙালির অর্গ্যাজম। একে বলিউডি জিকের পরাকাষ্ঠা বলা যেতে পারে। ওঁদের জিজ্ঞাসা করলে হয়তো এও বলবেন, যে, আশা ভোঁসলেকে উদ্দেশ্য করেই রবিবাবু 'বড় আশা করে' গানটি রচনা করেছিলেন।

    তা, এ তো গেল বলিউডের রবীন্দ্রচর্চা। এছাড়াও আরেকটি দ্বিতীয় গান সিনেমায় ব্যবহৃত। সে হল 'কলঙ্কিনী রাধা'। এর উৎস নিশ্চিত করে জানা যায়না, রাধারমণ দত্তর লেখা হলে পুরোনো, কিন্তু শাহ আবদুল করিমের রচনা হলে অনেক পরে লেখা। সিনেমার সময়কালে ব্যবহার করা যায়না। কিন্তু ওসব নিয়ে কে আর কী ভাববে, একটা পপুলার গান পেয়েছি, লেঃ সালা ব্যবহার করে দি, এই তো অ্যাটিটিউড। তাও রক্ষে, কোনো চরিত্র 'বঙ্গাল কি মিট্টি বাঙ্গাল কি পানি' গেয়ে বসেনি। হ্যাঁ হিন্দিতে। কারণ এই সিনেমা দেখে নিশ্চিত ভাবে জানা গেল গ্রাম বাংলায় ১৮৮০-১৯০০ সালে সব্বাই হিন্দিতে কথা বলত তো বটেই এমনকি গপ্পো টপ্পোও লিখত দেবনাগরীতে। বড় বড় অক্ষরে এই সিনেমার অমল আর চারু দেবনাগরীতে গদ্য লিখেছে, পরিষ্কার ক্যামেরায় দেখা গেল। এরপর যেকোনো দিন জানা যাবে বঙ্কিমচন্দ্র আনন্দামাঠ লিখেছিলেন হিন্দিতে, আর জানাগাণামানার রচয়িতা দেবনাগরী ছাড়া অন্য কিছুতে লিখবেনই বা কীকরে? বাঙালি মানে হল, দু-ইঞ্চি রবীন্দ্রসঙ্গীত, শাড়ি-পাঞ্জাবি, রাসগুল্লা আর দুর্গাপুজা। ব্যস। বাকি সব ইতিহাস বলিউডের। ইতিপূর্বে আমরা সুভাষ বসুকে হরবখৎ হিন্দি বলতে দেখেছি, মাস্টারদা আর গণেশ ঘোষকে চট্টগ্রামে হিন্দিতে বাক্যালাপ করতে শুনেছি, ফলে এ আর নতুন কি। আসল কথা হল পলিটিকাল কারেক্টনেসের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় এই ফিলিম ২০০ পেয়েছে। অনুরাগ কাশ্যপ ঢেলে প্রশংসা করেছেন। বাঙালিও ঢেলে তালি মেরেছে। কে কবে পাঞ্জাবি পরেছে, রবিবাবু কবে জন্মেছেন, আর বাঙালি বাংলায় কথা বলে না হিন্দিতে, এই তুচ্ছ জিনিসে কার কী এসে যায়? বলিউডে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। এই হল নেটফ্লিক্সের কামাল। এই হল অনুষ্কা শর্মা প্রযোজনা। যেখানে একবর্ণও রিসার্চ না করে, স্রেফ ঝা চকচকে তিনটে দামী ক্যামেরা এনে শুট করে ফেললেই কম্মো খতম, বাকিটা পোস্ট প্রোডাকশন সামলে দেবে। জয় বাবা বলিউড। জয় মা পলিটিকাল কারেক্টনেস। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তান জিন্দাবাদ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৮ জুন ২০২০ | ১২২১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Urmi Mala | ২৯ জুন ২০২০ ১১:১৬94716
  • জেণ্ডার পলিটিক্স না বুঝেই পপুলার লাইন নামানো। 'পলিটিকাল কারেক্টনেস' টুকুও নেই।    আর শুধুমাত্র  অত্যাচারের গল্প, যা তখনও ছিল এখনও আছে ,, শোনানোর মধ্যে পলিটিকাল কারেক্টনেস আসার   জায়গায় বা কই!

  • Suman Manna | 2402:3a80:a8f:cea3:0:2d:6920:f601 | ২৯ জুন ২০২০ ১১:৩১94718
  • মাস্টার ডিন্কর চরিত্রটি আমার নিজের দাদা করেছে  

  • Mohua | 73.158.204.127 | ২৯ জুন ২০২০ ১১:৩২94719
  • Hothat Bangali der Hindi niye eto matha betha ta bes sondeho jonok.

    Cinema ta dekhini, Hindi cinema dekhte temon bhalo lage na bole-tobe apnar review pore mone hocche- ekbar analysis korar jonye dekha jete pare :-)

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:718b:8335:288:2d75 | ২৯ জুন ২০২০ ১১:৩৫94720
  • হঠাৎ কেন হবে? হিন্দি আগ্রাসন অনেক পুরনো ইস্যু, দিনে দিনে প্রাসঙ্গিকতা বাড়ছে। 

  • কামরুজ্জামান | 103.240.98.253 | ২৯ জুন ২০২০ ১৪:০৮94722
  •  পুরো রিভিউ এ লেখক একটাই কথা বারবার লিখেছে যে 1900 সালে বাঙালি ,বাঙালি নারীর পোশাক কেমন ছিল। উনি বোধহয় সিনেমার শুরুটা fiction বলে যে লেখাটি থাকে সেটা না দেখতে পেয়েই এইসব করেছে। অভিনয়  নিয়ে একটাও শব্দ নেই !!!
    এটাতেই বুঝে নেয়া দরকার এটা কোন ধরনের রিভিউ

  • r2h | 49.37.12.111 | ২৯ জুন ২০২০ ১৪:২০94723
  • যতই ফিকশন হোক, পিরিয়ড ড্রামা, সাল দেখিয়ে দিচ্ছে, সেখানে ঐসব ভুল চোখে না পড়লে, মানে, কী আর বলা।

    তাছাড়া এটা ঠিক ফিলম রিভিউও না।
  • Pinaki | 188.148.43.169 | ২৯ জুন ২০২০ ১৫:১১94724
  • হ্যাঁ, পিরিয়ড ড্রামায় ফিকশন হলেও আরবিট জিনিসপত্র দেখানো হয় না। ভাল পিরিয়ড ড্রামা তার রিসার্চ, টেকনিকাল ডিটেলের জন্যই 'ভাল'র তকমা পায়। আর এটা সত্যিই হজম করা মুশকিল যে বাংলার পটভূমিতে একটা পিরিয়ড ড্রামা হচ্ছে, সেটার ভাষা হিন্দি, আর তাতে বাঙালি দর্শকের জন্য এমনকি বাংলা ডাবিংটুকুও নেই। এগুলো নিয়ে কথা ওঠে না বলেই এগুলো লেজিটিমেসি পায়। কদিন বাদে এইটাকেই যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করে বলা হবে যে বাংলা ভাষায় সিনেমা বানাব কেন, বাঙলিরাই হিন্দিতে সিনেমা দেখতে বেশি পছন্দ করে।
  • কুশান গুপ্ত | ২৯ জুন ২০২০ ১৫:১৩94725
  • এই আলোচনা পড়লাম ভাগ্যিস। ছবিটার নাম জানতে পারলাম তাই। আমি অবশ্য পিছিয়ে পড়া মানুষ।

    সৈকত এটা ঠিক ফিল্মের রিভিউ করে নি। ওর রিজার্ভেশনের জায়গাগুলো দেখিয়েছে। দ্বিমত হওয়ার খুব জায়গা নেই। কিন্তু, বাংলা ভাষার অপশন থাকলেও ছবিটি যেমন খাজা ছিলো, ততোটাই বা অধিক খাজা থাকে। উদাহরণ: অমানুষ, আনন্দ আশ্রম বা অন্যায় অবিচার। ছবিগুলো বম্বের, হিন্দিতে বানানো, তারপরে বাংলায় ডাবিং, নাকি উল্টোটা, কে জানে?
    ওহ মনে পড়ে গেলো, মিঠুন জাল ফেলে রুই কাতলা ইলিশের বদলে সেই পৃথুলা জলপরী ধরছে। ভয়াবহ সেই দৃশ্য। ততোধিক ভয়াবহ সেই গান।

    কিংবা মনে করুন দ্বিভাষিক ছবির অসামান্য বাংলা লিরিক্স:

    মধু: যদি হই চোরকাঁটা ওই শাড়ির ভাঁজে?
    লেখা: দুষ্টু যে হয় এমন কাজ তো তারই সাজে।

    শেষ বাংলা বাক্যটির সিনট্যাক্স লক্ষ্যণীয়।
  • কুশান | 103.218.171.207 | ২৯ জুন ২০২০ ১৫:২৫94726
  • এহে। অনুসন্ধান-- তো বলতেই ভুলে গেছি। এমন সিরিয়াস নাম শুনলেই যেন মনে হয় ব্যোমকেশ বক্সী আছেন।

    কিন্তু, মনে পড়বে সেই আর্তনাদ:

    আকাশের রঙ ওই নীলাভ
    এত খুশি কাকে আর বিলাব
    আজ তুমি আমি একই সুরে মিলাব---

    ইত্যদিপ্রভৃতি।
  • dc | 103.195.203.5 | ২৯ জুন ২০২০ ১৫:৩৪94727
  • এবাবা অমানুষ, আনন্দ আশ্রম এগুলো আমার ব্যপক লেগেছিল। এসব ছবি ছোটবেলায় হলে গিয়ে দেখেছি, এগুলোর কোন কথা হবে না। তারপর সুখেন দার ছবি, সে সব অন্য ব্যপার।
  • sm | 2402:3a80:a37:3c23:0:3e:ff7f:6001 | ২৯ জুন ২০২০ ১৬:০৩94728
  • আকাশের রঙ ওই নীলাভ --
    এই গানটার কোথায় আপত্তি?সুর,লিরিক্স না গায়কী?তিনটিই যথেষ্ট ভালো।অনুসন্ধান সুপার হিট মুভি।কেন? সেটা নিয়ে বরং আলোচনা চলতে পারে।
    শক্তি সামন্ত তিনটে সুপার হিট মুভি উপহার দিয়েছেন।অমানুষ,অনুসন্ধান,আনন্দ আশ্রম। তিনটিই বোম্বে ঘরানার বাঙালি ছবি।টিপিক্যাল শক্তি সমন্তর সিনেমা। তিনটিই হিন্দি ভারসন হোয়েছে। ওতোটা চলেনি।
    কিন্তু ওই একই ঘরানার একই ব্যক্তির আরাধনা, অমর প্রেম হিন্দিতে সুপার ডুপার হিট। হিন্দি সিনেমার টপ টেন এর মধ্যে কটি পতঙ্গ বা অমর প্রেম চলে আসবে।
    যাই হোক অনুসন্ধান এর সেই গান
  • sm | 2402:3a80:a37:3c23:0:3e:ff7f:6001 | ২৯ জুন ২০২০ ১৬:০৬94729
  • এই সিনেমার আর একটা গান।আমার সেরা দশটা বাংলা সিনেমার গানের লিস্টে আসবে।
  • কুশান | 103.218.171.207 | ২৯ জুন ২০২০ ১৬:৩২94730
  • dc হলে আমিও দেখেছি।
    Sm, এই গানগুলি ছোটবেলায় আমিও শুনেছি। কখনো গেয়েওছি হয়ত। আপনার সেরা দশটি গানে আসতেই পারে, কিন্তু, লিরিক্স খুব উৎকৃষ্ট কি?
    শক্তি সামন্তের এই ছবিগুলোর মূল বাংলা এবং হিন্দি ভার্সন―এটা মানতে দ্বিধা হয়। এগুলির ফাইটিং সিকোয়েন্স, দৃশ্যায়ন ও অন্যান্য অনুষঙ্গ আদতে তৎকালীন বম্বের হিন্দি ছবি, তার বাংলা সংস্করণ মাত্র।
    বাংলার ছবিতে ফাইটিং সিকোয়েন্স এবং অসংলগ্ন নাচ ইত্যাদি শক্তি সামন্তের আমদানি। এর পূর্বে বাংলা বাণিজ্যিক ছবির নিজের ঘরানা ছিল।

    যেমন, আরাধনা, এই ছবির রাজেশ খান্নার কাস্ট বা 'রূপ তেরা মস্তানা' টাই মূল। 'এত কাছে দুজনে' বরং তার দুর্বল অনুবাদ।
    অনুসন্ধান ও তাই, অমিতাভ বচ্চনের কাস্ট-এ বিন্দুমাত্র বাঙালিয়ানা নেই। মূল হিন্দি। যেখানে ভিলেন আমজাদ খান।

    হ্যাঁ, ছবি সুপারহিট হয়েছিল। কিন্তু, সেটাই নিশ্চয় গুনমানের পরাকাষ্ঠা হতে পারে না। আপনি অনুসন্ধানের পক্ষে ভালো রিভিউ দাঁড় করাতে পারবেন সত্যিই?

    ডিসি ও এসেম, আপনাদের মত আমারও বাল্যের এই রকম অনেক স্মৃতিচিহ্ন আছে। সে কারণে আমাদের দুর্বলতা। কিন্তু আপনি পুরো লিরিক্স গুলো দেখুন। উৎকর্ষতা নেই। দুর্বল ও অসংলগ্ন লিরিক্স।
  • মুস্তাফিজুর রহমান | 203.96.189.172 | ২৯ জুন ২০২০ ১৬:৪২94733
  • রাম জন্মানোর আগেই ‘রামায়ণ’ রচিত হয়ে থাকলে রবীন্দ্রনাথের জন্মের আগেই বাঙ্গালী রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলে ক্ষতি কি? ‘আন্না কারেনিনা’-য় এক ভারতীয় স্পিরিচ্যুয়াল গ্রুপ রাশিয়ায় এসেছে এটা দেখাতে গিয়ে নিয়ে বাংলায় গান গাওয়া হয়েছে...দেখা হয়নি অবশ্য। ‘বুলবুল’-ও দেখা হয়নি। চারপাশের তোলপাড়ে মনে হচ্ছে দেখতে হবে। তবে, বাংলাদেশীদের নিয়ে একটি মন্তব্য ভাল লাগল না। আমাদের সামগ্রিক শিক্ষার মান এখনো অব্দি খুব খারাপ সেটা আমরা নিজেরাই স্বীকার করি। হতদরিদ্রদের জন্য মাদ্রাসা, মধ্যবিত্ত ছেলে-মেয়েদের জন্য বাংলা শিক্ষা মাধ্যম আর উচ্চবিত্তদের ইংরেজি মাধ্যম...বাংলা মাধ্যমে ছেলে-মেয়েরা এম,এ, পাস করেও এক পংক্তি ইংরেজি শুদ্ধ ভাবে লিখতে-বলতে পারছে এটা বেশ কম। প্রমিত বাংলা বলতে পারেন না অনেক মন্ত্রী-সচিব বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। আবার এত কিছুর ভেতরও স্প্যানিশ-ফরাসী-ইতালীয় এবং অবশ্যই ইংরেজিও একদমই কেউ শিখছে না বা পারছে না সেটাও ঠিক নয়। ইউরোপীয় অনেক দেশেরই রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা ইংরেজি ভাল জানেন না। আবার সেসব দেশে অনেক শিশুই ‘পলিগ্লট’ বা বহুভাষীও হয়। যাহোক, শিক্ষায় ভারতীয়দের গড় মান আজো উন্নততর ধরে নিচ্ছি। আবার পশ্চিম বাংলায় আমাদের প্রজন্মের কেউ কেউ আদৌ কম্পিউটার বা ইংরেজি পারেন না এমনো দু/একজনকে দেখেছি।

  • গৌতম চক্রবর্তী | 117.194.42.5 | ২৯ জুন ২০২০ ১৬:৪২94734
  • যদি ধরে নিই ছবিটা হিন্দি না বাংলা না স্প্যানিশ তাতে কিছু এসে যায় না তাহ'লে শুরুতে স্থান কাল জানিয়ে কি ধাঁধা দেওয়া হ'ল? বুঝতে পারিনি নিশ্চয়। আরও বুঝলাম না ভাষাটা যখন গৌণ তখন ছবিটা বাংলা ছবি হ'লেও তো কিছু পার্থক্য হ'ত না। একটু সুবিধে হ'ত যে দেবর বৌদি বাংলায় লিখতে পারত। যাকগে এসব নিতান্ত টেকনিক্যাল ব্যাপার। যা যা দেখানোর তাই সব দেখানো হয়েছে, নানা অনুষঙ্গ - চারুলতা, রবি ও নতুন বৌঠান, চড়া গোলাপী রং- এর ছড়াছড়ি (কোথায় যেন খুব লাল রং-এর ব্যবহার ছিল) - মনে পড়িয়ে দিয়েছে । অনেক কিছু পাওয়া গেছে , চিত্রনাট্য অতিসরলীকৃত হলেই বা কি। পল্লবগ্রাহীতা বলে তুচ্ছ করলে সেটা নিতান্ত ঈর্ষার পরিচয়। আর পলিটিক্যালি কারেক্ট হ'লে খারাপ কি, ভালই তো। 

       

  • r2h | 49.37.12.111 | ২৯ জুন ২০২০ ১৬:৫৯94735
  • @মুস্তাফিজুর রহমান ১৬:৪২, বাংলাদেশীদের নিয়ে মন্তব্য একমাত্র আমিই করেছি তাই মনে হয় আমার মন্তব্য নিয়েই বললেন।

    এবং দুঃখিত, আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হয় আপনি বুঝতে পারেননি নয় আমি বোঝাতে পারিনি। পশ্চিমবঙ্গের সব লোক ফরাসীতে পন্ডিত এমন কোন দাবী করা খুবই গোলমেলে ব্যাপার। আমার বক্তব্য ছিল বাংলা ভাষাকে নিয়ে কোন জনগোষ্ঠীর যত্ন থাকলে সেটা বাংলাদেশের বাঙালীরা। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীদের খুব বড় অংশ বাংলা ব্যাপারটাকে খুব স্মার্ট ভাবেন না, দরকারীও ভাবেন না, এবং সেটা আমার কাছে লজ্জাজনক বলে মনে হয়।
  • S | 2001:bc8:1840:1519::1 | ২৯ জুন ২০২০ ১৭:০৪94737
  • কাঙাল মালসাট।
  • মুস্তাফিজুর রহমান। | 203.96.189.172 | ২৯ জুন ২০২০ ১৭:০৫94738
  • না- না- সেটা কিছু মনে করিনি। সামগ্রিক ভাবে আমাদের শিক্ষার মান খুব গর্ব করার মত না। তাই ভারতীয় ত’ বটেই, এখন নেপালী-ভুটানীরাও আমাদের কাজের বাজারে ঢুকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকছে। এক বাংলাদেশী শুদ্ধ ব্যকরণে দুই লাইন ইংরেজি পারলে ত্রিশ জন বাংলাদেশী তার বিরুদ্ধে এক জোট হয়ে অফিস থেকে তাড়ায়। যত ভুল বা অপ্রমিত বাংলা বলবেন, তত বিদেশে ট্রেনিং থেকে প্রমোশন সব পাবেন। এসব আছে। তবে, উর্দূ নিয়ে আর একটু বলা যায়। আমাদের অফিসে এক বিহারী চাচী ছিলেন। অফিসে রান্নার কাজ করতেন। ঢাকায় পাক আমলে তাদের ভাল দালান-কোঠা ছিল। একাত্তরের যুদ্ধে অধিকাংশ বিহারীই পাক বাহিনীর বাঙ্গালী গণহত্যার পক্ষে ছিল বলে স্বাভাবিক ভাবেই যুদ্ধের পর বাঙ্গালীরা প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ওদের অনেক দালান-কোঠা, ব্যবসা বা দোকান-পাট দখল করে। এই চাচীদেরও তাই হয়। এখন রিফিউজি ক্যাম্পে বস্তির মত ঘরে থাকে আর অফিসে রান্না করে। বয়স হয়ে গেলেও খুব ফর্সা আর সবুজ চোখের এই মহিলা এসেছেন উত্তর ভারত থেকে। একদিন দু:খ করে বলছিলেন, ‘আমার আম্মা লাখনৌ শহরের মেয়ে আর সে বলতো ফার্সি উর্দূ যেইটা আমরা আর বলতে পারি না। দেশভাগের পর ঢাকায় চলে আসছি আর আমরা বলি সাধারণ উর্দূ। আমার ছেলে-মেয়েদের উর্দূতে বাংলা মিশানো।”  

  • sm | 2402:3a80:a37:3c23:0:3e:ff7f:6001 | ২৯ জুন ২০২০ ১৭:০৮94739
  • এগুলো উৎকৃষ্ট সিনেমা কেউ বলছে না।জনপ্রিয় সিনেমা। হলিউড এর ব্লক বাস্টার লায়ন কিং, মাকানাস গোল্ড,অভাতার,আয়রন ম্যান,স্পাইডার ম্যান,ব্যাট মান,কিং কং, র্যাম্বো, ইন্ডিপেন্ডেনস ডে, ইটি - এগুলোর মধ্যেই বা কি এমন উৎকর্ষ খুঁজে পেয়েছেন? সিনেমা দেখতে হলে আসে, পয়সা উসুল করতে ।খুব জ্ঞান এর বোঝা নিয়ে কি করবে জন গণ?

    হিন্দি ছবির হলে নাচ , গান, ঢিসুম ঢাসুম।বাংলা হলে একটা সুন্দর গপ্পো, গান আর কিছু মেলোড্রামা।

    আমার তো যেকোনো দিন ঋত্বিক ঘটকের চেয়ে তপন সিনহা বা সত্যজিৎ ভালো লাগে।কারণ তপন সিনহার ছবিতে গপ্পো থাকে ,কি বলতে চাইছে সেটা বোঝা যায়।

    শোলে ভালো লাগে। শক্তি বাবুর,গ্রেট গ্যম্বলার ভালো  লাগে।খাইকে পান এর নাচ ভালো লাগে। দো লবজো কি হ্যায় এক কাহানী শুনতে দারুন লাগে।

    আর্ট ফিল্ম বলে,যেগুলো হতো কিছু কাল আগে।সেগুলো বিশ্রী লাগে।বরঞ্চ এখন নতুন কম বাজেট এর অন্য ঘরানার হিন্দি ছবি ,যেমন ভিকি ডোনার, অন্ধা ধুন,থ্রি ইডিয়েটস,মুন্না ভাই, বজরঙ্গী ভাইজান,অপহরণ,এগুলো ভালো লাগে।

  • কুশান | 103.218.171.207 | ২৯ জুন ২০২০ ১৮:০৬94740
  • Sm, আপনার কথা বুঝলাম। খাইকে পান এর কোনো এক বাস্তবতা কিন্তু ছিল। কেননা চরিত্রটি উত্তর ভারতীয় এক সাধারণ মানুষ।

    কিন্তু সমস্যা হলো এই যে, হৃষিকেশ মুখার্জির হিন্দি ছবির ডাক্তার ভাস্কর ব্যানার্জিকে আচার, আচরণে দিব্য বাঙালি লাগে। আর, শক্তি সামন্তের বাংলা 'অনুসন্ধানে' অমিতাভ বচ্চনের হাবভাব, কথাবার্তা কোনোকিছুই বাঙালি মনে করা এক কষ্টকল্পনা বই কিছু নয়।সমস্যাটা হয়ে যাচ্ছে এই জায়গাটায় এসে।

    ষাটের দশকের বাংলা জনপ্রিয় ছবির নিজস্ব বাঙালিয়ানা ছিলো। এমনকি সত্তরের দশকেও বজায় ছিলো। বসন্ত বিলাপ, মৌচাক এগুলি আদ্যন্ত বাণিজ্যিক ছবি।

    কিন্তু অবাস্তব মার দাঙ্গার অনর্থক প্লট, এবং বোম্বাইয়ের অনুকরণে বাংলার হাতে খড়ি শক্তি সামন্তই ঘটান। যার জের ধরে কোনো এক সময় জিৎ ও বাঙালি নায়িকাদের ইউরোপের স্থাপত্যের সামনে ধেই ধেই করে নাচতে দেখা যাবে। এগুলিও তো হিট হয়। তাতে কী এসে যায়।
  • sm | 2402:3a80:a37:3c23:0:3e:ff7f:6001 | ২৯ জুন ২০২০ ১৮:২৬94741
  • শক্তি সামন্ত, সেই হিসাবে কলকাতার বাঙালি নন। ইউ পি তে বড় হয়েছেন।ইউ পি র কালচার মজ্জায় ঢুকে ছিলো।

    ভালো হিন্দি জানেন বলে,বিমল রায় কাজ দেন।এই বিমল বাবু যে কতজন কে উঠিয়েছেন,তার হিসাব নেই।

    এনি ওয়েজ,শক্তি বাবু হিন্দি সিনেমায় বাঙালি কালচার প্রমোট করেছেন।রাজেশ খান্না কে ধুতি পরিয়ে একটিং করিয়েছেন।আবার কলকাতার টলিউড এর সিনেমায় টিপিক্যাল হিন্দি ছবির মালমশলা ঢুকিয়েছেন।বিচক্ষণ ডিরেক্টর হিসাবে জানতেন,বাংলা সিনেমা শিল্প ক্ষয়িষ্ণু।টিকে থাকতে গেলে, বোম্বাই আইটেম ঢোকাতে হবে। এখন যেমন সাউথ এর ছবি,রিমেক হচ্ছে। কি করা যাবে?

    বাংলা সিনেমায় এখন না থাকে কোন গপ্পো।না থাকে ভালো কমেডি।না আছে,সিনেমা দেখে যাবার মজা।

    কলা কুশলী দের স্ট্যান্ডার্ড কিন্তু খারাপ নয়।অডিয়েন্স ও ছোট নয়।

  • dc | 103.195.203.5 | ২৯ জুন ২০২০ ১৮:২৮94742
  • কুশানবাবু, আমি ছোটবেলায় অমিতাভের ভক্ত ছিলাম মোটামুটি একটাই কারনে, মারপিট থাকতো বলে। বাস্তব জিনিষ দেখার জন্য আমি কখনো হিন্দি আর বাংলা সিনেমা দেখিনি, এখনো দেখিনা ঃ-) হিন্দি আর বাংলার অধিকাংশ সিনেমাই খাজা হয় বলে এখন প্রায় দেখিইনা। এই টই খোলা না হলে বোধায় বুলবুল এর নামও শুনতাম কিনা সন্দেহ আছে।
  • dc | 103.195.203.5 | ২৯ জুন ২০২০ ১৮:৩৪94744
  • মুস্তাফিজুর রহমান সাহেব, বাংলাদেশের HDI র‌্যাংক ১৩৬ আর ভারতের ১৩০, মানে একেবারে কাছাকাছি। সেদিক দিয়ে আমার মনে হয়না এই দুই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কোন পার্থক্য আছে বলে। তবে বাংলাদেশ এই র‌্যাংকিং এ দ্রুত উন্নতি করছে, কাজেই মনে হয় শিক্ষা আর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কয়েক বছরেই ভারতের থেকে ভালো অবস্থায় চলে যাবে।
  • কুশান | 103.218.171.207 | ২৯ জুন ২০২০ ১৮:৩৬94745
  • dc ও sm

    আমিও কতকটা আপনাদের মতোই। দু একটা পয়েন্ট তুলেছি মাত্র।
  • মুস্তাফিজুর রহমান | 203.96.189.172 | ২৯ জুন ২০২০ ২১:৩৮94747
  • ওহ, শুনে খুব খুশি লাগছে, দাদা! আশা করি আপনার বক্তব্য সত্য হয়ে উঠবে। অন্যথায় আমাদের কাজের বাজারটি কেবল ভারতীয়, শ্রীলঙ্কান বা পাকিস্তানীরা নয়, নেপালি ও ভুটানীয়রাও জিতেছে। ধন্যবাদ.@ dc

  • Subhankar Mukherjee | ৩০ জুন ২০২০ ২২:১৪94778
  • খুব গভীর একটি লেখা, সকল নির্দেশক ও তার টিমের এইজন্যই কিছু pre production ও research work করা দরকার

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:b0d8:1fa3:5489:31c4 | ০২ জুলাই ২০২০ ১৮:২৩94816
  • দেশে দেখলাম খুব গদগদ রিভিউ বেরিয়েছে। উনবিংশ শতকের সমাজ ধর্ম প্রশাসন নাকি খুব যথাযথ দেখিয়েছে সিনেমায়। 'পুরুষতন্ত্র' নিয়ে অনেক কিছু আছে।

    দেবমাল্য চক্রবর্তী নামে একজন লিখেছেন দেখলাম।
    দেশে কোন সম্পাদকীয় রিভিউ হয় না কিনা কে জানে।
  • Guru | 2401:4900:3145:dd44:42ea:9fba:9661:91fb | ০২ জুলাই ২০২০ ২০:৫৩94818
  • নেটফ্লিক্সের এখন যে হিন্দি ভাষার সিনেমা গুলো আসছে আমি খুব বেশি দেখিনি মাত্র দুটি সিনেমা দেখেছি বার্ড অফ ব্লাড এম্রান হাশমি শাহরুখ খানের এবং বেতাল । এর আগে একটি সিনেমা দেখেছিলাম সেটা অবশ্য সরাসরি torrentডাউনলোড করে লায়লা । লায়লা আমার কিন্তু গল্প হিসেবে খুব ভালো লেগেছে। বার্ড অফ ব্লাড কনটেন্ট একেবারে খারাপ লেগেছে আমার মনে হয় এটি আমার দেখা সবচেয়ে নিচু স্তরের সিনেমা সবকিছুই খারাপ হয়েছিল এবং মনে হয়েছে যে পরিচালক যেসব যেসব দর্শকের কথা ভেবে সিনেমাটি তৈরি করেছিলেন তারা একেবারেই পরিণত মনের নয় । তুলনামূলকভাবে  বেতাল এবং লায়লা অনেকটাই বাস্তবোচিত বলে আমার মনে হয়েছে । দুঃখের বিষয় নেটফ্লিক্সের বেশিরভাগ সিনেমায় এখন ওই বার্ড অফ ব্লাড জাতীয় নিম্নস্তরের সিনেমাগুলির যেসব দর্শকদের কথা ভেবে বানানো হয় তারা পরিনত মনের মত নয় এই কারণেই নেটফ্লিক্সের হয়তো এতটা খারাপ আপনারা কি বলেন? 

  • জয়প্রকাশ সারস্বত | 89.163.152.190 | ০৩ জুলাই ২০২০ ১৬:৪২94831
  • বিভ্রান্তিকরভাবে বাউলগান ‘কলঙ্কিনী রাধা’কে ব্যবহার করা হয়েছে অনুষ্কা শর্মা প্রযোজিত ‘বুলবুল’ সিনেমায়। অপমান করা হয়েছে হিন্দুধর্মকে। তাই বয়কট করা হোক নেটফ্লিক্সকে”, এমন রবই তুলেছেন ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা।দেশের হিন্দুত্ববাদীদের নিশানায় অনুষ্কা শর্মার (Anushka Sharma) একের পর এক কাজ! উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ‘পাতাললোক’ নিয়ে প্রযোজক অনুষ্কার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, এমনকী কলকাতা উচ্চ আদালতেও। এবার, ‘বুলবুল’ (Bulbul) সিনেমায় একটি জনপ্রিয় বাংলা লোকগীতি ‘কলঙ্কিনী রাধা’ ব্যবহারের জন্য ফের হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে পড়লেন অনুষ্কা শর্মা।

  • hu | 174.102.66.127 | ০৬ জুলাই ২০২০ ০৩:২৭94901
  • সিনেমাটা দেখলাম। ৮০-৯০ দশকে বলিউডে রিভেঞ্জ ড্রামা যেমন হত সেরকম। যাঁদের সিনেমাটা স্পর্শ করেছে তাঁরা মনে হয় আর্ট-ডিরেকশন এবং স্ক্রিপ্টের অসঙ্গতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। ফেসবুকের একটি গ্রুপে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন যা এই সিনেমার নায়িকাটির মার খাওয়ার দৃশ্যের সাথে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়। মনে রাখতে হবে, সিনেমায় দেখানো সময়কাল এবং আজকের দিনের ব্যবধান একশো বছরেরও বেশি।

    এটা হতেই পারে এই উচ্চকিত আর্ট ডিরেকশন হয়ত বেশি মানুষকে দিয়ে সিনেমাটা দেখিয়ে নেওয়ার একটা চেষ্টা। কো-প্রোডিউসারের জায়গায় মনোজ মিত্রের নাম দেখলাম। উনিশ শতকের শেষের দিকে বাঙালী নারী-পুরুষের সাজপোষাক নিয়ে তাঁর ধারণা নেই এ অসম্ভব। তাই মনে হয় এই জোর করে মেইনস্ট্রিম হতে চাওয়া ইচ্ছাকৃত। যে গল্পটা বলা হয়েছে তার সাথে বহু মেয়েই হয়ত আইডেন্টিফাই করে। তারা সবাই সুচারু আর্ট ডিরেকশনের পরোয়া করে এমন না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন