এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • নেটফ্লিক্সের বুলবুল -- এক অনুপম অশ্বডিম্ব

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৮ জুন ২০২০ | ১২২২৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • নেটফ্লিক্সে বুলবুল বলে এক সিনেমা নাকি আলোড়ন ফেলেছে। অনুরাগ কাশ্যপ বলেছেন এই শতকের সেরা সিনেমা। উনবিংশ শতকের বাঙালির গপ্পো বলে উৎসাহিত হয়ে দেখে ফেলা গেল। কিন্তু খুলে যা দেখা গেল, তা হল প্রচন্ড পলিটিকালি কারেক্ট একটি অশ্বডিম্ব। ইদানিং কালে বিন্দুমাত্র চিন্তাভাবনা পড়াশুনো বা সৃষ্টিশীলতার চূড়ান্ত অভাবকে ঢাকতে একটা চড়া দাগের যাহোক 'সঠিক' কথাকে হাঁইমাই করে তীব্র চিৎকার সহকারে জোর গলায় বলতে পারাকেই 'শিল্প' বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এই উচ্চমার্গের 'প্রগতিশীলতা'র বেশ কিছু খদ্দেরও আছেন, ফলে চলছেও ভালই, ব্যবসাপাতিও নিশ্চয়ই ভালই হচ্ছে। সেই ঘরনার একটি নিখুঁত উদাহরণ হল এই সিনেমা।

    সেই কারণেই কলম বাগিয়ে এটা লিখতে বসা। নইলে এই সিনেমার রিভিউ করা পন্ডশ্রম। ইতিহাস, ভূগোল সবকিছুকে গোল্লায় পাঠিয়েও কীকরে 'প্রগতিশীল' এবং হিট ছবি বানানো হয় এবং হয়েছে, সেইটুকুই এখানে দেখা হয়েছে। আর অন্য কিছু এই লেখার উদ্দেশ্য নয়।

    তো, কাজের কথায় আসা যাক। সিনেমার পটভূমি ১৮৮১ সালের। গোড়াতেই জ্বলজ্বল করে লেখা আছে বলে জানা গেল। একদম গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল কোনো এক অজ জঙ্গলের জমিদারবাড়ি। সেখানে উনবিংশ শতকের বাঙালি জমিদার কলার দেওয়া পাঞ্জাবি পরে ঘুরছেন। সেই ১৮৮১ সালে। রবীন্দ্রনাথের তখন সবে দাড়ি গজিয়েছে, বছর কুড়ি বয়স, বিদ্যেসাগর তখনও বেঁচে। সেই আমলে কলার দেওয়া পাঞ্জাবি? সেসব তখনও আবিষ্কার হয়নি, বঙ্গীয় পুংদের আটপৌরে পোশাক ছিল ঊর্ধ্বাঙ্গে উড়নি (বিদ্যাসাগরের বিখ্যাত পোট্রেটটি মনে করুন), আর জমকালো পোশাক বলতে ছিল চোগা-চাপকান (এবার বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত পোট্রেটটি স্মরণ করুন), শহরে শার্ট-আর-ধুতিও চালু হয়ে গিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু কলার দেওয়া পাঞ্জাবি? ওরে বাবা। পরিচালক বা চিত্রনাট্যকার বা শিল্পনির্দেশক সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র খবর রাখার প্রয়োজন বোধ করেননি, বোঝা গেল। মেয়েদের পোশাকের খবরটা অন্তত রাখা উচিত ছিল, নারী নিয়েই যখন এত বক্তব্য। কিন্তু সিনেমায় গুষ্টিশুদ্ধ মেয়েদের দিব্যি দেখা গেল হয় ফুলফুল হাতা, কিংবা এমনি ছোটোহাতা ব্লাউজ পরে। যেন চারুলতার দৃশ্য। চারুলতা থেকে সিনেমাটি যে প্রচুর 'অনুপ্রাণিত', সে অবশ্য নায়িকার হাসি, চাউনি দেখেও বোঝা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল চারুলতা নেহাৎই শহুরে ঘটনা, সত্যজিৎ বাবু সেসময়ের পোশাক নিয়ে বিস্তর রিসার্চ করেছিলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৮৮০-১৮৯০-১৯০০ -- এই সময়কালের গাঁয়ের মেয়েদের পোশাক নিয়ে রিসার্চটা বুলবুলের হয়ে করে দেননি। খুব বেশি রিসার্চ করারও দরকার নেই, বাংলার ইতিহাস যাঁরা একটুও পড়েছেন, তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, যে, বাংলায় শাড়ি পরা হত কোনো ব্লাউজ বা সায়া ছাড়া। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী ওই দুইয়ের প্রচলন করেন, শেমিজ নামক একটি বস্তু আবিষ্কার করে। তিনি কলকাতায় ফেরেন ওই ১৮৮০ সাল নাগাদ, তারপর প্রাথমিক ভাবে স্রেফ ব্রাহ্মসমাজের মহিলাদের মধ্যে এর চল শুরু হয়। শহুরে আলোকপ্রাপ্ত মহিলারাও পরতে শুরু করেন। তারই ফল চারুলতার পোশাক। কিন্তু সুদূর গ্রামে ১৮৮০-৯০ সালে মহিলারা শাড়ি-ব্লাউজ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এ খুবই কষ্টকল্পনা। বস্তুত সেই সময়ের জমিদার মেয়েদের পোশাক নিয়ে আলাদা একটা রিসার্চেরই দরকার, সে এঁয়ারা করেননি, স্রেফ চারুলতা থেকে কপি মেরেছেন, সে বোঝাই যাচ্ছে।

    এর চেয়েও প্রলয়ঙ্কর হল গানের ব্যবহার। সহনায়িকা এখানে গুণগুণ করে গায় রবিবাবুর গান। মোটামুটি ১৮৯৫ সাল নাগাদ। কী গান? সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে। যে গান লেখা হবে এর বছর তিরিশেক পরে। বাঙালি হলেই একটু রবীন্দ্রনাথের পাঞ্চ দিতেই হবে, বাঙালি রবীন্দ্রনাথের জন্মের আগে থেকেই রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়, এ তো জানা কথা। যেকোনো দিন পলাশীর যুদ্ধের দৃশ্যায়নেও সিরাজদৌল্লাকে 'ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে' গুণগুণ করতে দেখা যেতে পারে। বলিউডি ওয়েবসিরিজ/সিনেমার কারবার বলে কথা। এর আগে একটি সিরিজে দেখা গিয়েছিল বাঙালি নায়িকা সঙ্গমকালে 'শেষের কবিতা' থেকে আবৃত্তি করে। বলিউডি প্রযোজক-পরিচালকদের নির্ঘাত ধারণা ওতেই বাঙালির অর্গ্যাজম। একে বলিউডি জিকের পরাকাষ্ঠা বলা যেতে পারে। ওঁদের জিজ্ঞাসা করলে হয়তো এও বলবেন, যে, আশা ভোঁসলেকে উদ্দেশ্য করেই রবিবাবু 'বড় আশা করে' গানটি রচনা করেছিলেন।

    তা, এ তো গেল বলিউডের রবীন্দ্রচর্চা। এছাড়াও আরেকটি দ্বিতীয় গান সিনেমায় ব্যবহৃত। সে হল 'কলঙ্কিনী রাধা'। এর উৎস নিশ্চিত করে জানা যায়না, রাধারমণ দত্তর লেখা হলে পুরোনো, কিন্তু শাহ আবদুল করিমের রচনা হলে অনেক পরে লেখা। সিনেমার সময়কালে ব্যবহার করা যায়না। কিন্তু ওসব নিয়ে কে আর কী ভাববে, একটা পপুলার গান পেয়েছি, লেঃ সালা ব্যবহার করে দি, এই তো অ্যাটিটিউড। তাও রক্ষে, কোনো চরিত্র 'বঙ্গাল কি মিট্টি বাঙ্গাল কি পানি' গেয়ে বসেনি। হ্যাঁ হিন্দিতে। কারণ এই সিনেমা দেখে নিশ্চিত ভাবে জানা গেল গ্রাম বাংলায় ১৮৮০-১৯০০ সালে সব্বাই হিন্দিতে কথা বলত তো বটেই এমনকি গপ্পো টপ্পোও লিখত দেবনাগরীতে। বড় বড় অক্ষরে এই সিনেমার অমল আর চারু দেবনাগরীতে গদ্য লিখেছে, পরিষ্কার ক্যামেরায় দেখা গেল। এরপর যেকোনো দিন জানা যাবে বঙ্কিমচন্দ্র আনন্দামাঠ লিখেছিলেন হিন্দিতে, আর জানাগাণামানার রচয়িতা দেবনাগরী ছাড়া অন্য কিছুতে লিখবেনই বা কীকরে? বাঙালি মানে হল, দু-ইঞ্চি রবীন্দ্রসঙ্গীত, শাড়ি-পাঞ্জাবি, রাসগুল্লা আর দুর্গাপুজা। ব্যস। বাকি সব ইতিহাস বলিউডের। ইতিপূর্বে আমরা সুভাষ বসুকে হরবখৎ হিন্দি বলতে দেখেছি, মাস্টারদা আর গণেশ ঘোষকে চট্টগ্রামে হিন্দিতে বাক্যালাপ করতে শুনেছি, ফলে এ আর নতুন কি। আসল কথা হল পলিটিকাল কারেক্টনেসের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় এই ফিলিম ২০০ পেয়েছে। অনুরাগ কাশ্যপ ঢেলে প্রশংসা করেছেন। বাঙালিও ঢেলে তালি মেরেছে। কে কবে পাঞ্জাবি পরেছে, রবিবাবু কবে জন্মেছেন, আর বাঙালি বাংলায় কথা বলে না হিন্দিতে, এই তুচ্ছ জিনিসে কার কী এসে যায়? বলিউডে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। এই হল নেটফ্লিক্সের কামাল। এই হল অনুষ্কা শর্মা প্রযোজনা। যেখানে একবর্ণও রিসার্চ না করে, স্রেফ ঝা চকচকে তিনটে দামী ক্যামেরা এনে শুট করে ফেললেই কম্মো খতম, বাকিটা পোস্ট প্রোডাকশন সামলে দেবে। জয় বাবা বলিউড। জয় মা পলিটিকাল কারেক্টনেস। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তান জিন্দাবাদ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৮ জুন ২০২০ | ১২২২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌম্যদীপ রায় | 223.233.55.154 | ২৮ জুন ২০২০ ১০:৫১94675
  •  গুরু। কি লিখেছেন। একেবারে সমর্থন। 

  • dc | 103.195.203.93 | ২৮ জুন ২০২০ ১০:৫৪94677
  • সিনেমার যে মূল অডিয়েন্স, অ্যাক্টররা কিন্তু অনেক সময়েই সেই ভাষাতেই কথা বলে (গল্প অনুযায়ী যদি অন্য দেশ বা ভাষার হয়)। যেমন হান্ট ফর রেড অক্টোবরে রাশিয়ানরা দিব্যি ইংরেজিতে কথা বলে গেল (শুরুর অল্প একটু সময় বাদে)।
  • Jharna Biswas | ২৮ জুন ২০২০ ১১:১২94678
  • কুটেকুটে ভরে দেওয়া হয়েছে বাঙালিয়ানা, তবুও ভালো লাগাতে পারেনি। 

    এর চাইতে "চমন বাহার" ভালো লেগেছে।  

  • র২হ | 49.37.12.111 | ২৮ জুন ২০২০ ১১:৩৩94679
  • অখাদ্য জঘন্য ভয়াবহ সিনেমা, দুবারের চেষ্টায় দেখতে পারিনি, মনে হচ্ছিল সিনেমাটা তোষকের তলায় টাকা আর আমি পরমহংস। প্রথমেই ওই পোষাকের ব্যাপারটা। মনে হয় এসব ইচ্ছে করেই করে, না হলে এতটা না জানার কথা তো না।

    কিন্তু হিন্দি নিয়ে সমস্যাটা বুঝলাম না। হিন্দি সিনেমায় তো হিন্দিই বলবে! তেলুগু হলে নিশ্চয় তেলুগু বলতো। এই যে বাংলা যাত্রাপালায় চেঙ্গিজ খান থেকে হিটলার সবাই বাংলা বলে। 

  • S | 2a00:1298:8011:212::165 | ২৮ জুন ২০২০ ১২:৫১94681
  • বুলবুল দেখিনি। প্রিমাইস শুনেই পোষায় নি। সৈকত দা ভালো রিভিউ দিয়েছে।

    বাঙলা গল্প হিন্দিতে দেখালে তো চরিত্ররা হিন্দিতেই কথা বলবে। একমাত্র নার্কোসে দেখেছিলাম পুরো স্প্যানিশে কথাবার্তা ছিল। নইলে সে তো এনেমি অ্যাট দ্য গেটসএ নিকিতা ক্রুশচেভ রাশিয়ান আর্মিকে ইংরেজিতে ধমকালো।

    কিন্তু আসল প্রশ্ন হল বাঙালি নায়িকা সঙ্গমকালে 'শেষের কবিতা' থেকে আবৃত্তি করলে অসুবিধা কোথায়? মানে ঐসময় রবিঠাকুর আবৃত্তি করা নিয়ে সমস্যা নাকি কবিতার চয়ন ভুল হয়েছে? নইলে জ্যাকি শ্রফ তো পাঁপড় খেয়ে অম্বল হওয়ার গল্প করেছিল। সেকালে জমিদাররা কি বাজে তেলে ভাজা খেত? আর পালন্কের সে কি আওয়াজ।
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ২৮ জুন ২০২০ ১৪:৩৮94682
  • শুধু বাঙালি নারী ব্লাউজ পরেছে বললে পুরোটা বলা হবে না, বাঙালি বিধবা পর্যন্ত ব্লাউজ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সিনেমা জুড়ে!  

  • এসডি | 182.65.195.204 | ২৮ জুন ২০২০ ১৬:২৬94683
  • নায়ক কে দেখলাম দেওয়াল থেকে ধুলো পড়া একটা ফ্লিন্টলক মাস্কেট নামাল তার সাথে আবার কার্ডবোর্ডের বাক্স থেকে একমুঠো ফুল মেটাল জ্যাকেট ব্রাস কার্টিজ ও নিল। আমি ভাবলাম গুলি দেখেই হয়ত শাকচুন্নি মরে যাবে। বা হয়ত মাস্ক সিনেমার মতন মুখে গুলি ভরে দুম দুম করে ফায়ার করবে। ও হরি সে তো দেখলাম মাজল লোডিং গান  এ ব্রিচ লোডিং কার্টিজ পুরে শাকচুন্নি এর কোমরের খাজে গুলি করল। মাইরি বলছি এরপর সত্যিই মনে হচ্ছে আমিও করোনা এর ওষুধ আবিষ্কার করত পারব। 

  • Indrani Chattopadhyay | 122.170.162.106 | ২৮ জুন ২০২০ ১৬:২৯94684
  • জঘন্য সিনেমা। জমিদার বাড়ির বৌ বিড়ি খায়?  তাও কারোর এঁটো! এরকম আরো অনেক বলার আছে। কোনো রিসার্চ এর বালাই নেই। কাল কে ধরার কোনো প্রচেষ্টা নেই।

  • সৌরভ চক্রবর্তী | 116.206.200.43 | ২৮ জুন ২০২০ ১৬:৪৯94685
  • একদম ঠিক বলেছেন। এদের রিসার্চের প্রয়োজন পড়েনা।  মার্কেটিংটাই আসল এদের কাছে। কে কেমন গিলবে সে সবেই এদের মাথা ব্যাথা। 

  • সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী | 223.233.62.118 | ২৮ জুন ২০২০ ১৮:২১94686
  • হিন্দি সিনেমার চরিত্ররা হিন্দিতে কথা বলবে সেটা স্বাভাবিক। বাকি যা কথা আপনি বলেছেন তা খুবই সত্যি। ভাবলে হতাশ লাগে। কিন্তু এই দায় মূলত বাঙালির। সে নিজে নিজের ক্ষমতায় নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারছেনা।

  • Abhijit Banerjee | ২৮ জুন ২০২০ ১৮:২৪94687
  • Minute 10 er por ar parlam na.. Puro movie ta dekhe ei review lekhata jothesto dhoirjer porichoy dey.. Bravo.

  • ঐশিক সেন | 42.110.163.12 | ২৮ জুন ২০২০ ২০:১১94691
  • পোশাক বা গান যুগোপযোগী নয়, এটাই কি একটা সিনেমার অশ্ব ডিম্ব তকমা পাওয়ার criteria? তাহলে তো বহু হলিউড সিনেমাও একই দোষে বাজে সিনেমা, অস্কার পাওয়া সিনেমাও।

    Great dictator হয়ে enemy at the gates, এমনকি হালের jojo rabbit এ ও জার্মান, রাশিয়ান রা স্বচ্ছন্দে ইংলিশ এ কথা বলেছেন। ওতে কি প্রমান হয়? সিনেমাগুলো বাজে?

    সিনেমাটা আমারও ভালো লাগেনি খুব একটা। কিন্তু সেটা চিত্রনাট্যের গতি এবং অতিসরলিকরন এর জন্য, আপনার উল্লেখিত বিষয়গুলি বড়জোর টেকনিক্যাল ত্রুটি হিসেবে বিবেচিত হবে, সিনেমা ভালো না মন্দ সেটা দিয়ে বিবেচিত হয় না।

  • পারমিতা | 1.23.214.152 | ২৮ জুন ২০২০ ২৩:৩৭94693
  • রিভিউ দেখে দেখতে বসে খুব হতাশ হয়েছি।
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ২৯ জুন ২০২০ ০০:৩৫94696
  • "হিন্দি" নিয়ে সমালোচনার ব্যাপারটা অনেকেই বুঝতে পারেননি বলেছেন। না বোঝাটা আমার কাছেও বেশ বিস্ময়কর। এটা টিপিকাল "হিন্দি" সিনেমা নয়। নেটফ্লিক্স কোন ভাষায় দেখতে চান, সেটা বেছে নেবার সুযোগ দেয়। আমি অনেক সময়ই নিজের ভাষা বেছে নিই। যেমন মানি হাইস্ট পুরোটা দেখলাম ইংরিজিতে। তা, এক্ষেত্রে বুলবুল এর ভাষার বাছাইয়ের লিস্টিতে দেখলাম, হিন্দি, ইংরিজি এবং সত্যি বলছি স্প্যানিশ। বাংলার কোনো গপ্পো নেই। এবং লেখালিখিও দিব্যি দেবনাগরীতে হচ্ছে দেখলাম। সেইটিই আমার প্রতিপাদ্য।

    এ অবশ্য নতুন ব্যাপার নয়। নেটফ্লিক্স উত্তর-্ভারত বলতে কেবল এবং কেবলমাত্র হিন্দি বোঝে। আজ পর্যন্ত একটিও বাংলা ছবি তারা প্রযোজনা করেনি। নিজেদের প্রযোজনার কোনো ছবিতে কোনো বাংলা সাবটাইটল বা ভাষার ব্যবহার করেনি। পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশ তাদের ম্যাপে নেই। ভাষা নেই, সংস্কৃতি নেই। আমি এই কঠিন রাজনৈতিক বাস্তবতাটিকে উপেক্ষা করতে পারলাম না। যারা পারেন, করুন, চাপ নেই।
  • r2h | 2401:4900:314d:83dd:e441:ff10:1304:b088 | ২৯ জুন ২০২০ ০০:৫৮94698
  • ও আচ্ছা, দ্বিভাষিক কেন।

    আমি মাঝেমধ্যে টুকিটাক সংস্থার অনুবাদের কাজ করে দিই। তো সেন্সাস (আমেরিকা, ২০২০) প্রচার সংক্রান্ত ক'টা ফ্লায়ার টায়ার করছিলাম, ঐ নিয়ে সপ্তাহান্তিক সান্ধ্য আড্ডায় কথা হচ্ছিল, এনারাই পশ্চিমবঙ্গীয় উদার সংস্কৃতিবান পরিবার। ভদ্রমহিলা জিজ্ঞেস করলেন, এরা বাংলা অনুবাদ করে কেন এত? ভদ্রলোক বললেন, বাংলাদেশীদের জন্যে।

    নেটফ্লিক্স আর কোন দুঃখে বাংলা সিনেমা বানাবে।
  • নামে কি আসে যায়। | 84.58.94.0 | ২৯ জুন ২০২০ ০৩:২১94699
  • অনুরাগ কাশ্যপ এই শতকের সেরা সিনেমা বলেনি। বলেছে কোন পরিচালকের প্রথম বানানো সিনেমাগুলোর মধ্যে সেরাগুলোর একটা। টেলনিক্যাল ভুল। আমি সিনেমাটা দেখিনি। দেখবো।

  • নামে কি আসে যায়? | 84.58.94.0 | ২৯ জুন ২০২০ ০৩:২২94700
  • *টেকনিক্যাল ভুল।

  • S | 69.146.151.28 | ২৯ জুন ২০২০ ০৩:৪৪94701
  • অনুবাদ? সে বাংলা ভাষা এখনও নেটফ্লিক্সের মার্কেটের জন্য ততটা গুরুত্বপূর্ণ না। এমনিতেও নেটফ্লিক্সের ইন্ডিয়ান কন্টেন্ট অতি জঘণ্য। সেক্রেড গেমসের পর একটাও ভালো প্রোডাকশান নেই। এটা বোধয় নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার অরিজিনাল কন্টেন্টের নতুন হেডের কারণে। সেইদিক থেকে অ্যামাজন প্রাইম প্রচুর এগিয়ে গেছে।

    আর ভাষা নিয়ে বলিউডে এমনিতেও খুব কম কাজ হয়। একমাত্র বালাতে প্রপার কানপুরিয়া হিন্দি ব্যবহার করা হয়েছিল। নইলে পাকিস্তানি লোক হায়দ্রাবাদি অ্যাকসেন্টে কথা বলে। তিন বোনের হিন্দি অ্যাকসেন্ট তিনরকম হয়। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়্গার অ্যাকসেন্ট যে বিভিন্ন সেটাই দেখায়না।
  • a | 59.102.20.221 | ২৯ জুন ২০২০ ০৪:৪৯94704
  • চমন বাহার ভালো করেছে।
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ২৯ জুন ২০২০ ০৪:৫৮94705
  • বাংলা ভাষা ততটা গুরুত্বপূর্ণ না, এটাই বক্তব্য।

    ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ না।
    হিন্দুস্তানি টিভি চ্যানেলের কাছে বাংলা তো নয়ই এমনকি বাংলার আমফানও তেমন গুরুত্বপূর্ণ না।
    নেটফ্লিক্সের কাছে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ না। অ্যামাজনের কাছে না।

    ইত্যাদি, প্রভৃতি। এ যদি কাঠামোগত বঞ্চনা না হয়, তো আর কী।
  • S | 2620:7:6001::141 | ২৯ জুন ২০২০ ০৫:৪৩94706
  • ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ভারতই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তায় আবার বাংলা। আমি এক ইউপির মোদিভক্তকে প্রশ্ন করেছিলাম যে এতই যদি দরদ তাহলে যোগীকে সিএম বানিয়েছে কেন? দেখি উত্তর নেই।

    তবে এবারে দেখলাম প্রচুর অবাঙালীরাও চটেছে বাঙলা নিয়ে এইধরনের স্টিরিওটিপিকাল কন্টেন্ট তৈরী করার জন্য। সবাই বুঝেছে যে এটা ঐ চেকলিস্ট ধরে তৈরী করা সিনেমা। বলিউড সিনেমা যে প্রায় সব কালচারকে নিয়েই ক্যারিকেচার বানায়, এই উপলব্ধিটা ক্রমশ বাড়ছে। সেটা খুবই ভালো খবর।

    তবে এই সিনেমার দোষ দিয়ে কি লাভ। বহু বাঙলা সিনেমাতেই তো দেখেছি প্রাক্তন নকশাল নেতা সন্ধ্যে বেলায় সুন্দর সাজানো ফ্ল্যাটে সুট বুট পড়ে ভিনাইলে রবিঠাকুরের গান শুনতে শুনতে স্কচ খায় আর জীবনানন্দ বা শক্তি চট্টোপাধ্যায় আউড়ায়।
  • Atoz | 151.141.85.8 | ২৯ জুন ২০২০ ০৫:৫৮94707
  • বাহ, বাহ। কী চমৎকার! কোন নকশাল? কোন কবিতা? কোন সিনেমা? এখনই দেখবো।
    তবে সুট বুট না, সন্ধ্যেবেলা ঘরে বুট বরদাস্ত করবো না। ভেলভেটের চটি আর খানদানি ড্রেসিং গাউন লাগবে। ঃ-)
  • rivu | 66.199.90.157 | ২৯ জুন ২০২০ ০৮:২৭94708
  • আমি সিনেমাটা দেখেছি, খুব ভালো খারাপ কিছুই লাগেনি, প্রেডিক্টেবল এন্ড। কিছু কিছু সিন এর ট্রিটমেন্ট ভালো লেগেছে। 

    সৈকতদার সমস্যা বোধ হয় দুটো: টেকনিক্যাল ভুল আর ভাষাগত। সেদুটো দুতিন লাইনেই লিখে দেওয়া যেত, এক পাতা না হ্যাজালেও চলতো মনে হয়। গানের ব্যবহার এর যুক্তিটা অত্যন্ত খাজা: রবীন্দ্রসংগীত বা কলঙ্কিনী রাধা ব্যবহার করা হয়েছে তো কি এসে গেলো? মুঘল এ আজম সিনেমায় যে গান সেই সময়ে ওই হিন্দি প্রচলিত ছিল নাকি? 

    গুরুতেই সিনেমার রিভিউ পড়েছি সব চরিত্র কাল্পনিক, সিনেমার থেকে ভালো লেগেছিল। এই রিভিউটা  খানিকটা উল্টো পথে গেলো: অনেস্টলি লেখাটায় আরেকটু ম্যাচিউরিটি আশা করেছিলাম। শট এর আলোচনা, রং এর ব্যবহার, মিউজিক (গান নয়) এর ঔচিত্য। মানে খাজা লাগলো তাই খাজা এতো যেকেউ বলতে পারে, সৈকত বন্দ্যো কে ব্লগ খুলে লিখতে হবে কেন। 

  • dc | 64.62.219.168 | ২৯ জুন ২০২০ ০৮:৩৫94709
  • নেটফ্লিক্স হিন্দি আর অ্যামাজন প্রাইম হিন্দি দেখে আপনারা সময় নষ্ট করেন কেন? দেখার মতো তো কতোই সিনেমা আছে! কাল রাতে দেখে ফেল্লাম Hart's War, চমৎকার সিনেমা।

    ডিসক্লেমার দিয়ে দি, আমি অনুরাগ কাশ্যপের কোন সিনেমা দেখিনি, কাজেই উনি কি বলেছেন সে নিয়ে কোন মন্তব্য নেই।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::58:33b4 | ২৯ জুন ২০২০ ০৯:২৬94710
  • মুঘল-ই-আজম সিনেমা কি হিন্দিতে নাকি ঊর্দুতে? যাইহোক সে নিয়েও সমস্যা। কারণ আকবর বোধয় খুবেকটা ভালো ঊর্দু জানতো না।
  • dc | 103.195.203.5 | ২৯ জুন ২০২০ ০৯:৫৪94711
  • আকবর কি ভাষায় কথা বলতো?
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::86:7dfb | ২৯ জুন ২০২০ ১০:১৮94712
  • মুঘলরা প্রথমদিকে টার্কিশ ভাষার একটা সেন্ট্রাল এশিয়ান ডায়লেক্ট ব্যবহার করত। পরের দিকে ফার্সী ব্যবহার করত। আকবরের বাবা হুমায়ুন হয়ত এই দুটো ভাষাই জানতেন। আর হুমায়ুনের মা ছিলেন ফার্সী শিক্ষকের মেয়ে। কিন্তু আকবর জন্মেছিলেন রাজপুতনায়। ফলে তিনি পুরোনো হিন্দি বা হিন্দুস্থানির কিছুটা জানতেন আন্দাজ করা যায়। মুশকিল হল আধুনিক হিন্দি বা ঊর্দু তখনও তৈরীই হয়নি ঠিক করে যেটা রিভু বললো। ফলে আকবর খুব সম্ভবত ফার্সীতে কথা বলত। কারণ ঊর্দু প্রথমে সাধারণ লোকেদের ভাষা ছিল, পরে দরবারে পৌঁছয়। জাভেদ আখতারের মতে ঊর্দু বলে যে একটা ভাষা আছে, সেটাও হয়ত আকবর জানতো না।
  • r2h | 49.37.12.111 | ২৯ জুন ২০২০ ১০:৩৭94713
  • তবে একটা জিনিস আমি বুঝি না। বাংলা যে গুরুত্বপূর্ণ না তার দায় কি নেটফ্লিক্সের, না বাঙালীদের?

    বাংলাদেশে নেটফ্লিক্সের খদ্দের কত? তাঁদের ভিউইং প্যাটার্ন কি?
    পশ্চিমবঙ্গীয় বাঙালীদের কথা বলে লাভ নেই, তাঁরা ইংরেজী স্প্যানিশ ফরাসি ঐসবে সমান পারদর্শী, বাংলা থাকুক বা না থাকুক তাতে তেমন আসে যায় না।

    ইনফ্যাক্ট ইংরেজি নিয়ে আপত্তি না করলে হিন্দি নিয়েই বা আপত্তি কেন করবো সেটাও একটা প্রশ্ন। আমি নিজে লোকজন হুট করে হিন্দি শুরু করে দিলে সেটাকে রেজিস্ট করি, কিন্তু সেই তো ইংরেজিতে যেতে হয় তখন।
  • r2h | 49.37.12.111 | ২৯ জুন ২০২০ ১০:৩৯94714
  • ডিসি অনুরাগ কাশ্যপের কোন সিনেমা দেখেননি? সিরিয়াসলি?

    এহ।
  • dc | 103.195.203.5 | ২৯ জুন ২০২০ ১০:৫৫94715
  • S, এগুলো জানতাম না, ধন্যবাদ। তবে আপনার কথায় আবার মনে হলো, যুগের পর যুগ ধরে ভাষা ক্রমাগত পাল্টাতে থাকে, এক জায়গায় আটকে থাকে না। এই যে আমরা বাংলায় এখন এতো সব তর্ক টর্ক করছি, এই বাংলা ভাষা বোধায় একশো বছর আগেও ছিলো না, একশো বছর পরেও থাকবে না ঃ-)

    r2h, আমার চট করে যা মনে পড়ছে, তাতে লাস্ট পুরো হিন্দি সিনেমা দেখেছি ঘায়েল আর দিল চাহতা হ্যায়। তার পর আর পুরোটা দেখেছি এরকম কোন হিন্দি সিনেমা বোধায় নেই, তবে য়ুটুবে এক দু মিনিটের ক্লিপিং মাঝে মাঝে দেখি। জনি লেভারের কমেডি সিন মাঝে মাঝে দেখি কয়েকটা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন