এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বর্ণবৈষম্য এবং আমেরিকার পলিটিক্স

    S
    অন্যান্য | ০৭ জুন ২০২০ | ১৭৭৮৩ বার পঠিত
  • পিনাকিদার নির্দেশে এই লেখা লিখছি। ইতিমধ্যেই মামুর পোস্ট পড়ে গেছে। আমিও সেই পোস্টে দুয়েকটা কথা লিখেছি। তাই ভেবে দেখলাম যে একটু অন্যরকম লেখা প্রয়োজন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dipanjan | ১৪ জুন ২০২০ ০৫:১৭732139
  • রেসিয়াল আইডেন্টিটি পলিটিক্স আর আন্টি-ইমিগ্রান্ট হার্ড লাইন ট্রাম্পকে ভোট জিততে কতটা সাহায্য করেছে আর করবে তা নিয়ে এনালিসিস হয়েছে অনেক | নীচে একটা লিংক দিলাম | রেস্ /ইমিগ্রেশন এজেন্ডা না থাকলে ট্রাম্প 2016 রিপাবলিকান প্রাইমারি জিততে পারতো না, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই | কিন্তু 2016 প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশনে, বা 2018 মিডটার্মে ওই প্লাটফর্ম ডিসাইসিভ ফ্যাক্টর ছিল কিনা বা 2020 তে ডিসাইসিভ ফ্যাক্টর হবে কিনা সেই এনালিসিস বেশ কমপ্লেক্স মনে হয় | দুটো কারণে |

    1) আমেরিকান ভোটার দের একটা বড় অংশ (85-90%) খুব স্ট্রংলি পার্টিসান হয়ে গেছে মিড্ নাইন্টিজ এর পর থেকে | ইঁট কাঠ গাধা হাতি যেই ক্যান্ডিডেট হোক ভোট সেই এক পার্টিতেই পড়বে - ইস্যু , পলিসি, ক্যান্ডিডেট নিরপেক্ষভাবে | প্রকৃত ইন্ডিপেন্ডেন্ট / সুইং ভোটার এর সংখ্যা খুব কম |

    এখানে ব্যক্তিগত উদাহরণ দেওয়া যায় হয়তো | করোনা আর রেসিয়াল ইনজাস্টিসকে লেফট লিবারেল মেনস্ট্রিম মিডিয়া আর ডেমোক্র্যাটিক এস্টাব্লিশমেন্ট পলিটিক্স যেভাবে পলিটিসাইস করছে, ডাটা, লজিক আর সায়েন্স এর পিন্ডি চটকে, "এন্ড্স (ট্রাম্প হটাও) জাস্টিফাই মিনস", ভেবে, তাতে আমি চূড়ান্ত বীতশ্রদ্ধ, প্রায় 2003 এ WMD এর লেভেলে | কিন্তু তাও চোখ নাক ভুরু কুঁচকে বাইডেনকেই ভোট দেব, বেঁচে থাকলে | ভোটিং রেকর্ড ওবামা, বার্নি, ক্লিনটন, বার্নি, বাইডেন হবে, যদিও একজনকেও পছন্দ করিনা, কিন্তু লেসার ইভিল |

    এবার এই পার্টিসানশিপটা রেস্, এজ, জেন্ডার, এডুকেশন এর সাথে বেশ স্ট্রংলি এলাইনড | যার ইন্টারসেকশন টা দেখা যাবে সাদা কলেজ ডিগ্রি নেই দের মধ্যে যেখানে ট্রাম্পের এজ ওভার ক্লিনটন 70-30 ছিল , বা আরও ড্রিলডাউন করে যদি বয়েস আর পৌরুষ জোড়া যায়, হয়তো 85-15 হবে |

    এই পার্টিসান এলাইনমেন্টের ফলে যে রেসিস্ট হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্ট 8-10% ট্রাম্পের রেস্ / ইমিগ্রেশন প্লাটফর্ম এ সবথেকে বেশি সাড়া দেবে, তাদের প্রায় সবাই সে প্লাটফর্ম ছাড়াও রিপাব্লিকান ভোট দিত বা ভোট দিতো না | ফলে ইনক্রিমেন্টাল ভোট আসছে কিনা দেখতে গেলে turnout দেখতে হবে | এটা সম্ভব যে রেস্ প্লাটফর্ম না থাকলে রেসিস্টদের অনেকে ভোট দিতো না, ট্রাম্পের জন্য দিয়েছে | কিন্তু উলটোদিকে ওই প্লাটফর্ম এর জন্য এমন ব্ল্যাক বা ল্যাটিনো ভোটার আছে যারা ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছে, ট্রাম্প না থাকলে ভোট দিতে যেত না |

    যার ফলে রেস্ ফ্যাক্টরটা হয়তো নেট ওয়াশ, বা পুরো নেট শূন্য না হলেও 2020 নভেম্বর এ হিলারির পোলারাইজেশন, জেন্ডার, বা ট্রাম্পের পপুলিস্ট (মেগা, আন্টি-গ্লোবালাইজেশন ইত্যাদি ) আউটসাইডার ক্যান্ডিডেসি (ড্রেন দা সোয়াম্প ইত্যাদি) এর তুলনায় একটা রিলেটিভলি মাইনর ফ্যাক্টর ছিল |

    2) এই কমপ্লেক্স এনালিসিস ন্যাশনাল লেভেলে করে তো কোনো লাভ নেই | ইলেকটোরাল কলেজ এর সমীকরণে শুধু 8-10 টা সুইং স্টেট্ ম্যাটার্স | আমি বাইডেনকে ভোট দেব না অনুপস্থিত থাকব, তাতে ক্যালিফোর্নিয়ার কিছু যায় আসে না | রেসিয়াল পোলারিজেশনের নেট ইনক্রিমেন্টাল এফেক্ট ট্রাম্পের জন্য নেট পসিটিভ কিনা তা ওহাইও, পেন, ফ্লোরিডা, মিশিগান, উইসকনসিন, ভার্জিনিয়া, নেভাডা, মিনেসোটা, নর্থ ক্যারোলিনা আর এরিজোনা ধরে ধরে বিচার করতে হবে | সহজ না |

    https://fivethirtyeight.com/features/is-trumps-use-of-white-identity-politics-strategic/
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::88d:ad76 | ১৪ জুন ২০২০ ০৫:৫৩732140
  • তাহলে আপনার মতেঃ
    ১) আমেরিকাতে রেসিজম নেই, সব লিবারল মিডিয়ার কারসাজি।
    ২) রেসিজমের পক্ষে ভোট দেওয়া আর রেসিজমের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া একই ব্যাপার।

    ঐ ৭৫ পয়সার টইটা আর চলছে না?
  • Dipanjan | ১৪ জুন ২০২০ ০৬:২৯732141
  • আমেরিকাতে রেসিজম ছিল, আছে, থাকবে | কিন্তু ট্রাম্পের -- রিপাবলিকান প্রাইমারি বাদ দিলে -- ইলেকটোরাল সাফল্যের পেছনে রেসিজমের ভূমিকা অস্পষ্ট | যারা রেসিস্ট, তারা রিপাব্লিকান ভোটার, বুশ, রমনি, ম্যাককেইন ও তাদের ভোট পেয়েছিলো | ট্রাম্প 2016 এ না দাঁড়ালে, বা আন্টি-ইমিগ্রেশন রেসিস্ট প্লাটফর্ম না করলেও ওই ভোট রিপাবলিকান রাই পেতো |
    "Trump’s racial rhetoric turned off some voters, brought in some new ones, and was basically an electoral wash. He won because most American elections are close because of partisanship and he also had a few specific advantages. Clinton was running for a third term for her party, and some voters might have wanted a change; some Americans who hated both candidates were willing to take a chance on the person who wasn’t already part of the political establishment (or a woman)"
  • S | 2a0b:f4c0:16c:4::1 | ১৪ জুন ২০২০ ০৬:৪২732142
  • মিড-্টার্মের দিন ফক্স ৩৩ ঘন্টা ধরে ক্যারাভান নিয়ে আলোচনা করেছিল, পরের দিন একমিনিটও সময় ব্যায় করেনি। ক্যারাভান তখন বর্ডার থেকে ১৭০০ মাইল দূরে। ট্রাম্প মিড-্টার্মের আগে ইমিগ্রেশানকেই কোর ইস্যু বানিয়েছিল (জিওপি চেয়েছিল ইকনমি আর ট্যাক্স কাট)।

    এই টইতে একটু ভদ্রস্থ আলোচনা হবে আশা করেছিলাম। সেটা বোধয় গুরুতে আর সম্ভব নয়।
  • sm | 42.110.166.142 | ১৪ জুন ২০২০ ০৭:১১732143
  • দীপাঞ্জন এর এনালিসিস তো যুক্তিযুক্ত ও তথ্যপূর্ণ মনে হলো। এর চেয়ে ভদ্রস্থ আলোচনার দরকার পড়লে, ইউ নি র ভিতরে গুজ গুজ চালানো যেতে পারে।

    বহু আগেই প্রেডিক্ট করেছিলাম।ইনিয়ে বিনিয়ে প্রবন্ধ লেখা হলেও আলটিমেটলি সেই ইলেকশন ক্যাম্পেইন মোডে সুইচ হয়ে গেছে।

  • S | 54.38.81.231 | ১৪ জুন ২০২০ ১৪:১১732147
  • এবারে একটু আলোচনা করা হোক পুলিশ আর পুলিশ ইউনিয়ন নিয়ে।

    ইউএস ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিক্স থেকে দেখা যাচ্ছে আমেরিকার ওয়েজ ও স্যালারি ওয়ার্কারদের ১০.৩% কোনও ইউনিয়নের মেম্বার। প্রায় দেড় কোটি। সরকারি চাকুরেদের মধ্যে ইউনিয়ন মেম্বারশীপ অনেক বেশি ৩৩.৬%। তাদের মধ্যেও সবথেকে বেশি ইউনিয়ন মেম্বারশীপ প্রোটেক্টিভ সার্ভিস অকুপেশানের (পুলিশ, ডিটেকটিভ, প্রিজন গার্ড, সিকিউরিটি গার্ড, ফায়ারফাইটার)। একটু পিছিয়ে এডুকেশান আর লাইব্রেরিতে কর্মরত চাকুরেরা।

    আমেরিকার বাকী সব অকুপেশানের থেকে পুলিশ যে আলাদা সেটা আশা করি বলে দিতে হবেনা। কারণ একমাত্র পুলিশের কাছেই মানুষ মারার অধিকার রয়েছে, এবং সেইজন্য রয়েছে বিভিন্ন রকমের টুলস এবং ইনস্ট্রুমেন্টস। এছাড়াও আমেরিকাতে পুলিশের আছে কোয়ালিফায়েড ইমিউনিটি। ১৯৬৭ সালে আমেরিকার সুপ্রীম কোর্ট এই আইনটি নিয়ে আসে প্রধানত ল-এনফোর্সমেন্ট অফিসারদের যুক্তিহীন কেস এবং সরকারকে লায়বলিটি থেকে বাঁচানোর জন্য। এই আইন অনুযায়ী পুলিশ সহ সব সরকারি অফিসিয়াল তাদের বিবেচনামূলক কাজের জন্য দায়ী থাকবেনা। কিন্তু ২০২০র রয়টারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী এই আইনটি আমেরিকার পুলিশদের রক্ষাকবচে পরিণত হয়েছে। এখানেও দোষী পুলিশকে বাঁচাতে পুলিশ ইউনিয়ন বড্ড ততপর হয়ে পড়ে।

    আমেরিকাতে পুলিশ এবং জেলের পিছনে বাৎসরিক খরচ প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার। এটা ভারতের মিলিটারি খরচের প্রায় তিনগুন। যে মিনেসোটা রাজ্যে জর্জ ফ্লয়েড কান্ড্টা ঘটেছে সেখান রাজ্যে নাগরিক পিছু বছরে ৩৫০ ড্লার খরচ করা হয় পুলিশিতে। এই এতবড় বাজেটের উপর দাঁড়িয়ে পুলিশ ক্রমাগত নিজেকে মিলিটারাইজ করেছে। নিত্যনতুন অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি, মারাত্মক সব প্রোটেকটিভ গিয়ার এসেছে পুলিশের ঝুলিতে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন জায়্গার পুলিশ ইউনিয়নের ব্যবস্থায় "ওয়ারিয়র স্টাইল ট্রেনিং" দেওয়া হচ্ছে।

    এর সমস্যা হল পুলিশ যদি মিলিটারিতে পরিণত হয়, তাহলে পুলিশও মিলিটারির মত ব্যবহার করবে (করছে)। আর পুলিশের শত্রু কে? দেশের নাগরিক। মিলিটারির সঙ্গে একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল মিলিটারির শত্রু আরেকটা মিলিটারি। কিন্তু পুলিশের শত্রু হচ্ছে দেশের আনার্মড নাগরিক। পুলিশ যে কমিউনিটির অঙ্গ সেটাই বহু জায়্গায় ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    এই এত বেশি খরচের যুক্তি হিসাবে দেখানো হয়েছে রাইজিং ক্রাইম রেট ইন দ্য কান্ট্রি। অদ্ভুত ব্যাপার হল বিভিন্ন কারণে আমেরিকাতে বিগত কয়েক দশক ধরে ক্রাইম ক্রমশ কমে আসছে। তাহলে এত বড় পুলিশ ফোর্স, বাজেট, আগ্নেয়াস্ত্র, প্রোটেকটিভ গিয়ার, ওয়াকি টকি, সব ইনফর্মেশান একদম হাতে থাকার কি প্রয়োজন? যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে ক্রাইম বাড়ছে, তাই পুলিশের মিলিটারাইজেশান প্রয়োজন। আমার মতে এটা মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের এক্সটেনশান ইনসাইড আমেরিকা। এতদিন বিদেশি শত্রু দেখিয়ে মিলিটারিতে এত খরচ করা হয়েছে। এবারে দেশের ভিতরে শত্রু দেখিয়ে খরচ বাড়ানো হচ্ছে। যার লাভটা খাচ্ছে মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি।

    এবং এই সবকিছুর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে পুলিশ ইউনিয়ন। যে মিলিয়াপোলিস শহরে এই কান্ডটা ঘটেছিল, সেই শহরের ইউনিয়ন লীডাররা প্রথমে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকারী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কোনওরকমের চার্জ আনার বিরোধীতা করেছিল স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও। সেই অফিসারের বিরুদ্ধে এর আগে ১৮টি কমপ্লেইন করা হলেও কোনওরকমের ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশান নেওয়া হয়নি। এই পুলিশ ইউনিয়নের অন্যতম ট্রাম্পভক্ত নেতার নামে তার পুলিশ জীবনে ৫০টি কমপ্লেইন ছিল, যার ১০টি প্রমাণও হয়েছিল। কিন্তু তেমন কোনওরকমের শাস্তি হয়নি। এমনকি সেই নেতা খোলাখুলি হোয়াইট সুপ্রিমেসিকে সমর্থন জানানো সত্ত্বেও কোনও কিছুই হয়নি। পুলিশ ব্রুটালিটির সঙ্গে যে হোয়াইট সুপ্রিমেসি এবং রেসিজম মিশে রয়েছে সেসব এদের ইতিহাস একটু খুঁজলেই পাওয়া যাবে।

    আমেরিকার বহু টিভি শো আর সিনেমাতেই আমরা নো-ননসেন্স পুলিশ অফিসার, ব্যাড কপ, নিয়ম মেনে না চলা পুলিশ অফিসারকে হিরো বানানো হয়। আমাদের দেশেও আজকাল এই জঘণ্য ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। পাকিস্তান বা চীনকে শায়েস্তা করতে না পেরে পুলিশ যে জে এন ইউর ছাত্রদের আর মাইনরিটি কমিউনিটিকে পেটাচ্ছে সেতো দেখতেই পাচ্ছি।
  • Dipanjan | ১৪ জুন ২০২০ ১৪:৩৭732148
  • "ট্রাম্প মিড-্টার্মের আগে ইমিগ্রেশানকেই কোর ইস্যু বানিয়েছিল" -

    তার ফল তো ভালো হয় নি | হাউসে 40 টা সিট্ গেলো | মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া আর উইসকনসিন এ গভর্নর আর সেনেট সিটে হার | যদি রেসিস্ট আন্টি-ইমিগ্রেশন প্লাটফর্ম এর কারণেই 2016 এর জয়, তাহলে 2018 এ ফল খারাপ হলো কেন? আমেরিকা 2 বছরে আন্টি-রেসিস্ট হয়ে গেলো?

    "Another reason to be skeptical that how Trump talked about identity issues helped him win the election in 2016 is that Trump pursued a similar strategy in 2017-18 and it flopped. The GOP, with Trump not on the ballot but still as the party leader, lost a net of 40 U.S. House seats and control of the chamber. Republicans also lost gubernatorial and Senate races in Michigan, Pennsylvania and Wisconsin, three states Trump had flipped to the GOP in 2016."

    https://fivethirtyeight.com/features/is-trumps-use-of-white-identity-politics-strategic/
  • S | 69.146.151.28 | ১৫ জুন ২০২০ ০৭:৩০732155
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৫ জুন ২০২০ ১২:০৮732156
  • কোনো ইলেক্শনই সিঙ্গেল ইসু বেসড হয়না বোধহয়. অলওয়েজ there are স্পেকট্রাম অফ ইস্যুস. কিন্তু রাইট উইং পার্টিগুলোর যে হিডেন এজেন্ডা গুলো থাকে, সেগুলো নেকডলি এমবোল্ডেন হয় এরা পাওয়ারে ভালো করে সেট হয়ে গেলে. দের কট্টর সাপোর্ট যারা করে, তারা অনেক বেশি এগ্রেসিভ হওয়া শুরু করে কারণ জানে মাথার ওপর সেফটি নেট টা অনেক বেশি, পিটিয়ে খুন করলেও মন্ত্রী এসে জেলে মালা পড়াবে. অন্য সময় একটু হলেও ভয়ে থাকে . তাই ট্রাম্প গেলেই রেসিজম ওভারনাইট উড়ে যাবে, এটা একদমই নয়, কিন্তু ও থাকলে যে রেস রিলেসন ইমপ্রোভ করবেনা, সেটা প্রায় বলাই যায়. এবার ইকোনোমিতে ওর কীকী পার্টিকুলার কান্ট্রিবিশন, আর কতটা ওবামার আগের আট বছরের পলিসি কন্ট্রিবিউশন সেটা নিয়ে আলোচনা করাই যায় আলাদা করে.

    যেমন ট্রাম্প 2016, তেমনই মোদী 2014- ব্যাকড্রপ বা কনসেকোয়েন্স দুটো দেশেই অনেকটাই এক. এমন বহু লোক যারা আদৌ হিন্দুত্ববাদী নয় বা রাম মন্দির নিয়ে মাথাও ঘামায়না, তারাও অনেকে 2014 এ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে বা সাপোর্ট করেছে. অনেকেই বিজেপিকে পছন্দ করুক না করুক, জাস্ট মোদিকে দেখে ভোট দিয়েছে. (আমি নিজেই সাপোর্ট করেছি কারণ ভেবেছি গুজরাট দাঙ্গার পরে হয়তো ওই ধরণের রিস্ক এরা আর নেবেনা, আর UPA-II র লাস্ট কয়েক বছরের পলিসি স্ট্যাগনেশন হয়তো বদলাবে নতুন সরকার এলে. আমার প্রচুর বন্ধুবান্ধব ও ওই সময় একই ভেবেছে. এবার ছ বছর পরে দেখা যাচ্ছে এরা দেশের ইকোনমি কিচ্ছু বদলাতে পারবেনা, কিন্তু গুজরাট-২.০ ঘটাতেই পারে. উল্টোদিকে ইকোনোমিতেও নোটবন্দি , GST করে হাড়ির হাল করে দিচ্ছে. 2019 আবার আলাদা কেস, ঠিক সময় বুঝে 40-টা জওয়ান কে না মারলে আর বালাকোট এর ড্রামা তৈরী না করলে রেজাল্ট কি হতো, কেওই জানেনা.

    তখন 2014 এ যারা সাপোর্ট করেছিল আমার মতো, তাদের মধ্যে হয়তো অনেকে উল্টো ভাবছে যে মোদী এন্ড কোম্পানি বিদায় হলেই মঙ্গল, আবার একটা বড়ো অংশ আরো এগ্রেসিভলি মোদিকে সাপোর্ট করে যাচ্ছে, শোয়িং দেয়ার ট্রু কালারস্. এবার নেক্সট কোনো ইলেকশন এ যদি মিরাকল হয়ে গিয়ে মোদী হারে, তাহলে কি ওভারনাইট জাতপাতের নোংরামি উড়ে যাবে ? এতো সবার রক্তে মিশে আছে এতো যুগ ধরে, রিজওয়ানুর কেস হয়েছে বাম আমলেই, ঠেকানো যায়নি, এডমিনিস্ট্রেশন বা পুলিশ কোভার্টলি বা ওভারটলি পাওয়ারফুল মানি লবিকে সাপোর্ট দিয়েছে তাতে সরকারের ডাইরেক্ট সাপোর্ট থাক বা না থাক . কিন্তু এরা হারলে UP-বিহার র গোরক্ষকরা হয়তো আগে 20 জনকে পিটিয়ে মারছিলো, সেটা হয়তো কমে দশ হতে পারে. স্কেল অফ এগ্রেশন বা ভায়োলেন্স একটু কম হতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় হেট্ স্পিচ একটু কম হতে পারে , এটুকুই যা প্রোবাবিলিটি.

    আবার কে জানে, উল্টে আরো বেড়ে গেলো হয়তো কোনো কোনো জায়গায় হেরে যাওয়ার ঝাল মেটাতে. নাথিং ইস সার্টেন, ডেমোক্রেসি এন্ড ইকুয়ালিটি আর এভার ইভলভিং learning এক্সারসাইজ, নট অবসোলুট সাইন্স. নাথিং কনস্ট্যান্ট অর রেপিটেবল here.
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::2ca:5d55 | ১৫ জুন ২০২০ ১২:৫৫732157
  • আমেরিকা আর ইউকেতে বহু স্লেভ ঔনার আর কনফেডারেট লীডারদের মূর্তি ফেলে দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও আগামী তিন বছরের মধ্যে আমেরিকার সমস্ত মিলিটারি এস্টাব্লিশমেন্ট থেকে কনফেডারেট জেনারেলদের নাম মুছে ফেলা হবে। পেন্টাগন প্রথমে এই সিদ্ধান্ত নেয় এবং পরে জিওপি কন্ট্রোল্ড সেনেট কমিটি তাতে শিলমোহর বসিয়েছে। আমেরিকা বোধয় পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে দেশের শত্রু-বিশ্বাসঘাতকদের মূর্তি আছে, তাদের নামে সরকারি বিল্ডিং, রাস্তা, এমনকি মিলিটারি বেস রয়েছে।

    এখন কথা উঠছে ক্রিস্টোফার কলোম্বাসকে নিয়ে। অলরেডি কিছু স্ট্যাচু ভেঙে ফেলা হয়েছে বা সড়ানো হয়েছে। ইউকেতে কথা শুরু হয়েছে চার্চিলকে নিয়ে। ইতিহাস বড্ড মজার বিষয়।

    দেখা যাক।
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:d1ba:78c0:c795:aeb7 | ১৫ জুন ২০২০ ১৩:৫৩732160
  • আপনার দেওয়া লিংকটা পড়েও তো তাই জানা গেল, যে এমন একটা কথা শুরু হয়েছে।

    সরকার মানবে না অবশ্য হয়তো, এখনো অন্তত।
  • sm | 42.110.166.145 | ১৫ জুন ২০২০ ১৩:৫৮732161
  • বুঝতে পারলাম না।সরকারী লেভেলে কোন কথা হয়েছে না পার্লামেন্টে বিতর্ক শুরু হয়েছে?

  • S | 2a0b:f4c0:16c:4::1 | ১৫ জুন ২০২০ ১৪:০৩732162
  • @হুতো, এই লিন্কটা পড়ে দেখুন।
    Churchill statue 'may have to be put in museum', says granddaughter. She said she was "shocked" to see the monument in London's Parliament Square boarded up, although she said she understood why this was necessary. It came after protesters daubed "was a racist" on the statue last weekend.

    https://www.bbc.com/news/uk-53033550

    এমনকি ইউকেতে গান্ধীজির স্ট্যাচু সড়ানোর দাবীও উঠেছে। অলরেডি ঘানাতে দুবছর আগেই সড়ানো হয়েছে। গান্ধীজির প্রথমদিকের লেখাপত্তর নাকি খুবই রেসিস্ট। বিবিসি লিখছেঃ
    In his early writings he referred to black South Africans as "kaffirs" - a highly offensive racist slur. He also said that Indians were "infinitely superior" to black people.

    https://www.bbc.com/news/world-africa-46552614

    ইতিহাসের হিরোদের অবস্থা বেশ সঙ্গীন হয়ে উঠেছে।
  • sm | 42.110.166.145 | ১৫ জুন ২০২০ ১৪:১৫732163
  • শুরু হলো ভুলভাল যুক্তি।আমেরিকার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলা হলো পেন্টাগন ও জি ও পি কন্ট্রোলড সেনেট।

    ইউ কে তে কি চার্চিলের মূর্তি রিমুভ করার জন্য পার্লামেন্টে বিতর্ক গ্রহণ করা হযেছে?পাশ হওয়া তো পরের কথা!এটা তো প্রটেস্টর দের দাবী!

    আবার  গান্ধীজি কেও টেনে আনা হচ্ছে!বিদেশে থাকা একজন ভারতীয় হয়ে,এর তো প্রতিবাদ করা উচিত। এই যে বারাক ওবামা শপথ নিয়েই গান্ধীজির নাম উল্লেখ করে ওনার আদর্শে চলবো বলেছিল, তা ওবামা কি গণ্ড মূর্খ!

  • lcm | 99.0.80.158 | ১৫ জুন ২০২০ ১৪:২৫732165
  • ব্রিস্টলে


    The Edward Colston statue has been pulled down by Black Lives Matter protesters in Bristol. Colston was a 17th century slave trader who has numerous landmarks named after him in Bristol.

    লন্ডনে, পার্লামেন্ট স্কোয়ারে, চার্চিলের মূর্তি বাক্সের মধ্যে ভরে দিয়েছে, ভাঙ্গার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য, বাকী মূর্তি ঠিক আছে

    বাঁ দিকে বাক্সে ভর্তি চার্চিল এখন, ডানদিকে আগে যখন খোলা ছিল


    চার্চিলের নাতনি বলেছেন মূর্তি সরিয়ে মিউজিয়ামে রাখতে
  • Amit | 61.68.67.203 | ১৫ জুন ২০২০ ১৪:২৬732166
  • ও আচ্ছা. গান্ধী মুর্তি সরালে প্রতিবাদ শুধু বিদেশে থাকা ভারতীয় দের করা উচিত. দেশে যারা আছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন গুরুর পাতায় মুফতে জ্ঞান দিয়ে বেড়ালেই যথেষ্ট. যদিও এদের কে আদৌ দু পহা দেয় সেটা এখনো রহস্য .
  • lcm | 99.0.80.158 | ১৫ জুন ২০২০ ১৪:৩১732167
  • চার্চিলের মূর্তি ঘিরে প্রটেস্ট, এর দামড়া সাইজের স্ট্যাচু, ভাঙা ঝামেলা -


    পার্লামেন্ট স্কোয়ারে প্রটেস্ট -
  • lcm | 99.0.80.158 | ১৫ জুন ২০২০ ১৪:৪১732168
  • গান্ধীর সাউথ আফ্রিকার জীবন, বিশ বছরের ওপর, বিতর্কিত কিছু ব্যাপার ছিল। গান্ধীর নাতি রাজমোহন গান্ধী বলেছেন -
    ... Gandhi's biographer and grandson, Rajmohan Gandhi, says the younger Gandhi - he arrived in South Africa as a 24-year-old briefless lawyer - was undoubtedly "at times ignorant and prejudiced about South Africa's blacks".... He argues that "Gandhi too was an imperfect human being" ...
    ২০১৫ তে বিবিসি-তে বেরোনো আর্টিকল থেকে -
    Was Mahatma Gandhi a racist?
    https://www.bbc.com/news/world-asia-india-34265882

    গুরুতে কেউ একজন এটা নিয়ে লিখেছিলন।
  • sm | 42.110.166.145 | ১৫ জুন ২০২০ ১৪:৪৫732169
  • প্ৰটেস্ট তো হতেই পারে।এন্টি  প্রটেস্ট এর লোকজন ও ব্রিটেন এ কিছু কম নেই। সরকারী ভাবে কিছু করা হলে জানাবেন। গান্ধীর মূর্তির ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার প্রযোজ্য।

    প্রশ্ন ছিল,ওবামা হলো গিয়ে আমেরিকার প্রথম ব্ল্যাক প্রেসিডেন্ট।যিনি তার বক্তৃতায় বলেছেন আমেরিকার একটা লং হিস্ট্রি আছে রেসিজিম নিয়ে।এহেন ওবামা কি জানতেন না, গান্ধীজি রেসিস্ট।তাহলে শপথ নেওয়ার পর বলেন কি করে গান্ধীর আদর্শ মেনে চলবো বা উনি আমাদের ইনস্পিরেশন। --))

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:d1ba:78c0:c795:aeb7 | ১৫ জুন ২০২০ ১৫:০২732171
  • ওবামার মূল্যায়নে কি গান্ধীজির নিজের লেখা মিথ্যে হয়ে যায় নাকি? গান্ধীজি কালোদের ইনফিরিয়র মনে করতেন সেটা ইতিহাস।

    ইতিহাসে পুণর্মূল্যায়ন তো হামেশাই হচ্ছে। ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাই, বিদ্রোহের হিরো, কিন্তু তারপর এলো উনি বৃটিশদের চিঠি লিখেছিলেন সিপাইরা ওঁকে ওস্কাচ্ছে বলে। এবার তাতে যে ভালো রানী খারাপ হয়ে গেলেন তাও নয়, কারন পরবর্তী সাহস ইত্যাদি আছে, আবার দখলদারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আইকনিক মূল্যও কম না।
    গান্ধী এইসব বলেছিলেন, লিখেছিলেন, সেগুলো খারাপ কথা, আবার তাঁর অহিংসা, অসহযোগ - এইসবের দর্শনেরও বিরাট বড় স্থায়ী ছাপ আছে। গান্ধীকে গ্লোরিফাই করতে ওবামা কেন লাগবে, ডক্টর কিং জুনিয়র, ম্যান্ডেলা - এইসব প্রবাদেরাই আছেন। কিন্তু তাতে তাঁর অসমদর্শন মুছে যায় না।
    খুবই সম্ভব যে প্রতিবাদী গান্ধীর পুণর্মূল্যান চাইছেন, তিনি সেই আন্দোলনেও গান্ধীকে কোট করবেন; এবং এর কোনটাই ভুল না।

    হিরো শুধুই হিরো, এসব তো রূপকথায় হয়।
  • sm | 42.110.166.145 | ১৫ জুন ২০২০ ১৫:২২732172
  • আরে কি মুশকিল ওবামা নিজেই বক্তৃতায় বলেছে,গান্ধীজি তার আদর্শ।ইনেকুয়ালিটির বিরুদ্ধে তিন ব্যক্তি দুনিয়া ব্যাপী লড়াই করেছে।গান্ধী,কিং ও ম্যান্ডেলা। ওবামা কি না প্রথম ব্ল্যাক প্রেসিডেন্ট ও নোবেল পাওয়া ব্যক্তিত্ব,তাই তার উদাহরণ টানলাম। এমন নয় গান্ধীজি নিয়ে তিনি একবার কিছু বলেছেন।বার বার বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন এবং নোবেল পুরষ্কার পাবার স্পীচ এও বলেছেন।

    দুই,গান্ধীজির যে রেসিস্ট ব্যাপার স্যাপার আছে,সেটা নিশ্চিত করে কে বললো?দুদিন পরে এই ভিউ টাও পাল্টে যেতে পারে। শুধুমধু মূর্তি সরানো বা ভাঙ্গা কেন? 

    রবীন্দ্রনাথ বিশ্ব কবি।মাঝে প্রচার হলো লালনের খাতা ফেরত দেন নি।লালনের সুর কপি করেছেন।কিছুদিন পর জানা গেলো,লালনের সঙ্গে কবির মোলাকাত ই হয় নি কখনো।

    সুতরাং গান্ধীর মূর্তি ভাঙ্গা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:9c65:d24a:79f1:f276 | ১৫ জুন ২০২০ ১৫:৪৩732173
  • লালনের খাতা ব্যাপারটার প্রমাণ নেই, গান্ধীজির নিজের লেখা আছে এই বিষয়ে, প্রকাশিত।

    মূর্তি ভাঙা হবে কিনা তা নিয়ে কোন বক্তব্য নেই। কিন্তু পুণর্মূল্যায়নের দাবী উঠতেই পারে।

    চার্চিল যদি আদারওয়াইজ রেসিস্ট আচরন না করতেন তবে বাংলায় তার কলকাঠিয়্তে কত লক্ষ লোক দুর্ভিক্ষে মরলো তা নিয়ে ইওরোপ খুব বেশি বিচলিত হয়তো হতো না, কিন্তু ইতিহাস জানলে, বাঙালী বা ভারতবাসী হিসেবে চার্চিল আমাদের কাছে পিশাচবিশেষ।

    ঐরকমই, গান্ধী কালো লোকেদের ইন্ফিরিয়র মনে করেছেন তাতে আমাদের হয়তো মনে হয় আহা ঐ সময়ের প্রেক্ষিতে উনি সামান্য একটা চিন্তা লিখেছেন, দাসব্যাবসা তো আর করেননি। কিন্তু ভারতীয়রা ইন্দো এরিয়ান হিসেবে ইংরেজদের আত্মীয় এবং আফ্রিকান কাফিরদের থেকে ইনফাইনাইটলি সুপিরিয়র - এসব কথা কালো লোকেদের কাছে কেমন লাগে, তার মাত্রা আলাদা।
    এবং ওবামা গান্ধীর সম্পর্কে যাই বলুন, এইসব সত্যি পাল্টায় না।

    যদিও ঐ হিসেব করলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।
  • sm | 42.110.165.23 | ১৫ জুন ২০২০ ১৫:৫৮732174
  • বেশ কিছু পয়েনটস এ যুক্তি খুব লুজ।আমি বিচলিত বিদেশে গান্ধীর মূর্তি ভাঙ্গা নিয়ে।ভারতীয় হিসাবে তার প্রতিবাদ করা উচিত।
    চার্চিল যে একজন ভারত বিদ্বেষী রুলার জানা আছে। চার্চিলের মূর্তি যদি ব্রিটেনে কেউ ভেঙে ফেলে আমার কি যায় আসে? প্রশ্ন ছিল ব্রিটেন এ সরকারী ভাবে চার্চিল এর মূর্তি রিমুভ করা নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না।বা,পার্লামেন্টে এমন কোন বিতর্ক গ্রহণ করা হয়েছে কি না।ডিসিশন নেওয়া তো দূরের কথা।এমন ভাবে বিষয় টি উত্থাপন করা হয়েছে।
    আর এক কিংবদন্তির কালো নোবেল প্রাপক কি বলেছেন শুনি।ইউনি সাউথ আফ্রিকান।দা,গ্রেট ম্যান্ডেলা।

    His philosophy contributed in no small measure to bringing about a peaceful transformation in South Africa and in healing the destructive human divisions that had been spawned by the abhorrent practice of apartheid,"
    ব্রিটেন এ কোন দাস ব্যবসায়ীর মূর্তি ভাঙ্গা, আর গান্ধীর মূর্তি ভাঙ্গা বা সরানোর মধ্যে আমার কাছে বিস্তর তফাৎ।
    https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://mobile.reuters.com/article/amp/idUSDEL34219720070129&ved=2ahUKEwizk_eVxIPqAhWM7XMBHY2tCZ04ChAWMAJ6BAgIEAE&usg=AOvVaw2LTm5uM26ihIuegRF-YWdN
  • K | 27.131.212.62 | ১৫ জুন ২০২০ ১৬:০৪732175
  • ৭৫ পয়্সার টই তে যে কেউ গো মুত্র ছড়িয়ে আসতে পারবে আর ১৭ পয়্সার টইতে শুধুই গঙ্গাজল ছিটনো হবে ?
  • sm | 42.110.165.23 | ১৫ জুন ২০২০ ১৬:০৭732176
  • এমনকি ইউকেতে গান্ধীজির স্ট্যাচু সড়ানোর দাবীও উঠেছে। অলরেডি ঘানাতে দুবছর আগেই সড়ানো হয়েছে। গান্ধীজির প্রথমদিকের লেখাপত্তর নাকি খুবই রেসিস্ট। বিবিসি লিখছেঃ
    In his early writings he referred to black South Africans as "kaffirs" - a highly offensive racist slur. He also said that Indians were "infinitely superior" to black people.

    https://www.bbc.com/news/world-africa-46552614

    ইতিহাসের হিরোদের অবস্থা বেশ সঙ্গীন হয়ে উঠেছে

    --
    এই বক্তব্য টি দেখুন। পাশাপাশি সাউথ আফ্রিকা নিবাসী ম্যান্ডেলার বক্তব্য দেখুন। বিদ্বেষ কোথায় পৌঁছলে এমন বক্তব্য পেশ করা যায়! মায়ের না মাসী কর দরদ বেশি দেখুন।
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:9c65:d24a:79f1:f276 | ১৫ জুন ২০২০ ১৬:১২732177
  • তফাত তো আছেই।

    এবার কোন দেশে কার মূর্তি বসাবে বা উপড়ে ফেলবে সে তাদের ব্যাপার। ইংরেজরা যদি এসে বলে আমাদের ভালো ভালো লোকেদের মূর্তি তোমরা ব্যারকপুরে জঙ্গলে ফেলে রেখেছো কেন, তাতে কি আর আমরা পাত্তা দেবো। গান্ধী মূর্তি সরানোর প্রতিবাদ কেউ করতে চাইলে করবে, করতেই পারে। তবে ঐ কাফির, ইনফিরিয়র - ঐসব কথার কাউন্টার কী হতে পারে সেটা নিয়ে আমি কৌতুহলী।
    অবশ্য এমনিতে আজকাল ভারতে চাড্ডিযুগ, গান্ধীকে বাঁচাতে খুব বেশি লোক আসবে কিনা সন্দেহ আছে। হয়তো বলবে গান্ধীকে ফেলে সাভারকরের মূর্তি বসিয়ে দাও, উনি কালোদের নিয়ে কিছু বলেননি।

    ম্যান্ডেলা যে গান্ধীর অনুসারী সেটা তো আমিই বললাম। গান্ধীর দর্শন যে অপ্রেসড ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে অমূল্য সেটাও বললাম একটু আগেই।

    চার্চিলের মূর্তি নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেরকমও কেউ বলেনি। বলা হয়েছিল কথা শুরু হয়েছে। এবার একটা টপিক নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে হলে, সপক্ষে বা বিপক্ষে, সেটাকে কথা 'শুরু হয়েছে' অবশ্যই বলা যায়।
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৫ জুন ২০২০ ১৬:৫৬732178
  • হিমানীশ গোস্বামী র একটা গল্প মনে পড়ে গেলো : "ভর সন্ধেবেলা চিৎকার উঠলো, পাড়ায় নাকি বাঘ ঢুকেছে. শুনেই গোসাই খুঁড়ো তাড়াতাড়ি ওনার লাঠিটা শ্যামা দা কে ধরিয়ে বললেন, আমার বয়সটা একটু বেড়ে গেছে , যদি ছমাস ও কম হতো, তাহলে নিজেই এই লাঠিটা নিয়ে বাঘকে নিকেশ করে আসতাম. কিন্তু তোমরা জোয়ান ছেলে, ভয় পেয়োনা, এই পাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে দু ঘা দিলেই বাঘের দফারফা. তো তোমরা এগিয়ে পড়ো, কাল সকালে বোলো কি হলো. "

    আচ্ছা, কারোর যদি এতো করে মনে হয় গান্ধী মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদ করা উচিত, তো করুক না যত ইচ্ছে. তাকে বা তাদের আটকাচ্ছে টা কে ?
  • dc | 103.195.203.122 | ১৫ জুন ২০২০ ১৭:০১732179
  • গান্ধীর অহিংসা বিষয়ে ফিলজফি ঠিকঠাক হলেও অন্য অনেক কিছু নিয়েই বক্তব্য একেবারে উদ্ভট আর ছিটেল মার্কা ছিল। হুইচ ইজ ওকে, বিকজ হিউম্যান বিয়িংস আর লাইক দ্যাট ওনলি। কিছু ভালো, কিছু মন্দ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন