আপনার কথাই মানলাম।ধরুন আপনি ইউ এস এর রেসিডেন্ট কিন্তু সিটিজেন নন,আপনার পুত্র কন্যাও নন।আপনার পুত্র বা কন্যা যদি ইউ এস মেডিকেল স্কুল থেকে পাস করে,তো তিনি ফরেন বর্ন ডক্টর তো হবেন না কি! এমন সংখ্যাও তো কম নয়।
অন্যদিকে ইউ এস এর সিটিজেন,কিন্তু তাদের পুত্র কন্যা অন্য দেশে জন্মে,ইউ এস এ ফিরে এলো।আদতে ইউ এস এর লোক কিন্তু ফরেন বর্ন হিসাবে গণ্য হবে। এদের সংখ্যা আপনার মতে গিজ গিজে।
ঠিক আছে।দুই ধরনের গ্রুপ কাটা কুটি করে নিন।
কিন্তু এই পরিসংখ্যান তো ঠিক; ত্রিশ শতাংশ ফিজিশিয়ান ফরেন বর্ন।আপাতত এটুকু মানলেই চলবে।
lcm,আমার মনে হচ্ছে অনেক দূর সরে গেছে তর্ক।আপনার ও আমার এই পোস্ট চালা চালি চলতেই থাকবে।তর্ক হচ্ছিলো ননহোয়াইট ডাক্তার দের বা অন্যান্য হাই স্কিলড কর্মীদের দৃশ্যমানতা নিয়ে।
আমার মনে হচ্ছে,আপনার আপত্তি হচ্ছে খালি ডাক্তার এর সংখ্যা নিয়ে। অন্যান্য প্রফেশন নিয়ে যুক্তি অনেক টা মেনে নিয়েছেন। ঠিক আছে। খালি ডাক্তার দের নিয়ে আপত্তি,তাই তো?
যদি উত্তর হ্যাঁ হয় বলুন।
ওপরের লিঙ্কটা ভালো করে পড়লে দেখা যাবে,ইউ এস মেডিকেল ওয়ার্ক ফোর্স ডাক্তার দের মধ্যে ৫৬ শতাংশ হোয়াইট,১৯শতাংশ এশিয়ান,৫-৬শতাংশ যথাক্রমে,কালো ও হিসপ্যানিক এবং ১৩-১৪শতাংশ অজানা।
অর্থাৎ কোন হাসপাতালে গেলে ৪০শতাংশের ওপর নন হোয়াইট ডাক্তার চোখে পড়বে।
এবার ইউ এস এর ডেমোগ্রাফি দেখা যাক।৭২ শতাংশ হোয়াইট,১৮শতাংশ হিসপ্যানিক,১৪ শতাংশ ব্ল্যাক,৫শতাংশ এশিয়ান আর বাদ বাকি।
একটাই জিনিষ খুব লক্ষ্যনীয় এই যে,৫শতাংশ এশিয়ান পপুলেশন প্রায় ১৮ শতাংশ ডাক্তার প্রোভাইড করছে। লসাগুর মতে বাইরে থেকে ইউ এস এ তে এসে নাকি ডাক্তারি করা যায় না বা খুব টাফ।
তাহলে কি দাঁড়ালো,এশিয়ানরা,বিভিন্ন হাই স্কিলড প্রফেশন খুব এগ্রেসিভলি দখল করছে।এটা কিন্তু ব্ল্যাক দের মধ্যে লক্ষ্যনীয় ভাবে কম।
আমার মতে তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা এড়াতে প্রথমে এই পথে কালো দের এগুতে হবে।তারপর রেসি জম ঘুছতে অনেক টাইম লাগবে।
lcm বি,ডাক্তার বলতে কি বুঝলেন, বুঝলাম না।
পরিষ্কার দুটো মানে দাঁড়াচ্ছে।যদি ধরেন বিদেশী ডিগ্রি প্রাপ্ত,তাহলে সংখ্যা টা প্রায় ত্রিশ শতাংশ মতন।
যদি ধরেন,বিদেশ বর্ন,তাহলে ও ত্রিশ শতাংশ মতন।
যদি এসব না ধরে,ধরেন, হোয়াইট আমেরিকান দের মতন দেখতে ন য়,তাহলেও ওই ত্রিশ শতাংশের একটু বেশি।
হা,হা,হা।কোন দিকে যাবেন? --)))
#বিদেশী
কিভাবে লড়বে??
প্রতিবাদ তো ভালো জিনিষ।কিন্তু সংখ্যা,অর্থ,প্রতিপত্তিতে তো সাদারা এগিয়ে। প্রবলেম তো সেখানেই।। আর প্রতিবাদ তো রাস্তায় না নেমেও হয়। অনেক ধরনের প্রতিবাদ ই তো আছে।এটুকুই।
ঠিক ই তো।এই লড়াই জারি রাখা জরুরী।কিছুদিন বাদে যেন লড়াই থিতিয়ে না যায়। যারা বৈষম্য কারী ,তারা যেন বলতে না পারে,ওই দেখো,রীতি নীতি না মানার জন্য,করোনা ছড়িয়েছিল। আমার মতে অন্যান্য উপায় গুলো অবলম্বন করে,আন্দোলন ও প্রতিবাদ চালিয়ে,করোনা এপিসোড কেটে গেলে জোরালো আন্দোলন ;রাস্তা জুড়ে করা উচিত।
এটা একান্তই আমার মত।এ জন্য এত হু হা র কি আছে!!
সে তো আমেরিকা গেলেই ভারতীয়রা টের পায়।সাদারা না কি বলাবলি করে,ওই দেখো বিদেশী ইন্ডিয়ান গুলো ,এখানে কেমন আরামে আছে!
যতোই চিৎকার করে ,ফিস ফিস করে, হেঁসে,ককিয়ে বলি ,না আমি আমেরিকান,আমার সিটিজেনশিপ কাগজ আছে।
কিন্তু কে শোনে কার কথা।বলে কাগজ পকেটে রাখো।এটা ইউ এস এ,ইন্ডিয়া নয়।---)))
একবার এক আমেরিকান এক ইন্ডিয়ান কে বললো,আমাদের এখানে তো, ই -মেলে বিয়ে হয়।
ইন্ডিয়ান আশ্চর্য্য।থমকে থ। তাই নাকি!আমাদের ইন্ডিয়ায় তো, ফিমেল এর সঙ্গে বিয়ে হয়!!
দূর,r 2h ;পকেটে কাগজ রেখে কেউ ঘোরে,!!আমি তো জোক করছিলাম।ওপরের টাও একটা জোক!--))
আমেরিকা আর ভারতীয় ডাক্তার নিয়ে যুদ্ধটা বেশ ভালো লাগলো। একটা মজার ব্যাপার। আমাদের কলেজের ব্যাচে দেড়শো স্টুডেন্ট ছিল, এমবিবিএস। পাস করার পর পাঁচ জন সিরিয়াসলি ইউএসএমএলই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়। প্রত্যেকেই কিন্তু দিব্যি মার্কিন মুলুকে চলে যায়। এবং নিজেদের পছন্দের বিষয়েই ম্যাচ করে মোটামুটি। হ্যাঁ, পরীক্ষা যথেষ্ট কঠিন, তারাই বলে।