এতক্ষণ আজে বাজে না বকে,পরিষ্কার করে বলুন,লাখে লাখে লোকের জমায়েত এই প্যান্ডেমি ক এর সময় সমর্থন করেন? হ্যাঁ কি না।
আবর্জনা সাফের কথা পরে হবে। লন্ডনেই প্রায় হাজার দশেক লোকজনের জমায়েত হয়ছে।ইউ কে তে কোন অঘটন ঘটেছে? এতোদিন এরকম প্রতিবাদ ধারাবাহিক চলে নি কেন?
এর পর আর একটা প্রশ্ন করি।কালো দের থেকে কার্ল লুইস হয়,মাইকেল জ্যাকসন হয়,টাইসন হয় কিন্তু জেফ বেজস, জুকের বার্গ,বিল গেটস,ওয়ারেন বাফেট হয় না কেন?
লক্ষ্য করুন ভয়নক পণ্ডিত বা পড়াশোনায় দিগ গজের উল্লেখ করি নি কিন্তু!
এই বার ভুল ভাল যুক্তি শুরু হয়েছে।ট্রাম্প এর সমর্থক দের মিছিলকে সমর্থন করেছি? বা হয়কেউ করেছে? মাইওয়ে নয় হাইওয়ে!?
কালোদের ওপর অত্যাচার,বৈষম্য; শতাব্দী প্রাচীন।জর্জ ফ্লয়েড কে ভগবান ও ফেরাতে পারবে না। তাহলে কাতারে কাতারে লোকের মিছিল করে, কি লাভ হচ্ছে?আরো কিছু কভিড এর শিকার হোক!এটা বুদ্ধি মত্তার পরিচয়?আবেগ এখানে বুদ্ধি নাশ করেছে।
একশ বছর আগে ভারতীয় আর ব্ল্যাক দের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য ছিলো না। রেসিজম এর প্রেক্ষিতে ।গান্ধী কে ট্রেন থেকে নামিয়ে দিয়েছিল। জামশেদ জি কে হোটেলে ঢুকতে দেয় নি।
আজ ওই টাটাই হোক,বা প্রেমজি হোক বা পিচাই হোক বা এশিয়ান দের সামগ্রিক উন্নতি হোক, সাদারা ইন্ডিয়ান একটু অন্য চোখে দেখে।চিনা,জাপানিরা এতো উন্নতি করেছে যে, গড় পর তা সাদা জনতা ভাবে, ওরা আমাদের থেকে বেশি বুদ্ধিমান জাত। এটা কিন্তু নিজেরাই এচিভ করেছে।সাদারা হাত ধরে তুলে ধরে নি। এতে করে রেসিজম না কমলেও,তাচ্ছিল্য আর অবজ্ঞা কমেছে।ধীরে ধীরে এটাই রেসিজম কমিয়ে দেবে বা কমাতে বাধ্য করবে।
এই বার শুরু হলে অপযুক্তি।এর পর আসবে কু যুক্তি। সব্বাই সব কিছু জানে।জেনেই নির্বোধের মতোন আচরণ করে।জমায়েত হয়। নিয়ম্ বিধি চুলোয় যায়।
বিকল্প কিন্তু ছিলো।সোশ্যাল মিডিয়া ছিলো। কোর্ট ছিলো। সেনেটে প্রতিবাদ ছিলো।ভোট বয়কট ছিলো।
উল্টে কি হলো!কিছু লুঠ পাট হলো।ফিজিক্যাল ডিস্ত্যানস অগ্রাহ্য করা হলো।নিউজিল্যান্ড হবার স্বপ্ন পিছিয়ে গেলো।
আর আমার পার্টিসিপেশন!সেটা আপনার পরিযায়ী শ্রমিকদের দুঃখে চোখ ভেজানোর মতোই সমবেদনায় ভরপুর!
ওহ, জুকারবার্গ,বেজোস, গেটসের প্রসঙ্গ বা নাম কেন উল্লেখ করলাম,সেটার মানেই ধরতে পারেন নি,দেখছি। কাটান দেন।
এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া একটা জোরালো বিকল্প।ভোট বয়কট হলো চূড়ান্ত বিকল্প।যদি প্রশাসন বিন্দু মাত্র আভাস পায় ,বিপুল সংখ্যক লোক ভোট বয়কট করতে পারে।গণতান্ত্রিক কাঠামোই ভেঙ্গে পড়বে।প্রশাসন পায়ে লুটিয়ে পড়বে।
কিন্তু প্যান ডেমিক এর বাজারে লক্ষ লক্ষ লোকের মিছিল কাম্য নয় মোটেই।এটা কোন মতেই রাস্তায় ছিনতাই আটকানো বা খুন খুনি রোখার জন্য এগিয়ে যাবার সঙ্গে তুলনীয় নয়।অন্তত স্কেল এর মাপে।
এই জমায়েত এর দরুন হাজার হাজার লোকের কোভিড হতে পারে।তাদের ক্যাজুয়ালটির সংখ্যা বিপুল হতে পারে।এর দায়িত্ব কে নেবে? শুধুই আবেগ!!
আবার বলছি,আপনার সঙ্গে তর্ক করা আর নির্বোধ কে নিয়ম মেনে চলতে বলা একই ব্যাপার।গেটস, বেজস্,এঁদের নাম কেন করেছি বোঝেন নি।
তেমনি সোশ্যাল মিডিয়া কেন বিকল্প বলেছি,সেটাও বোঝেন নি। প্রথমত এটা গান্ধী,বা লুথার কিং এর সময় নয় ।তখন সোশ্যাল মিডিয়া ছিলো ও না।
দুই,বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মিছিল জমায়েত ভুল ডিসিশন।কারণ প্রচুর কভিড সংক্রমণ বা মৃত্যু বাড়লেই, প্রশাসন আন্দোলন কারীদের দিকে আঙ্গুল তুলে দেবে।ইহাদের জন্যই ,উহা ঘটেছে। সুতরাং, বিকল্প পথ গুলো ধরে এগোনই বুদ্ধিমানের কাজ।এই সামান্য জিনিষ বুঝতে এতো কষ্ট!
তাহলে বলছেন,এমন লাখ লাখ মানুষের জমায়েত চলুক? কোভিড বেড়ে গেলে বাড়ুক।সেই হেতু, বহু রোগী মারা গেলে যাক। কোল্যাটারাল ড্যামেজ!?
এর চেয়ে একটু ধীর পেসে এগুলে ভালো হতো না কি? যাউক গা,যে যা করে করুক।
ঘটে বুদ্ধি থাকলে,এমন প্রলাপ কেউ বকে না।দুদিন পরেই ট্রাম্প প্রশাসন আন্দোলন কারী দের অবিমৃষ্য কারিতার দিকে আঙুল তুলবে।জনআন্দোলনের অন্য মানে বার করে দেবে।এ হলো,জেনে শুনে ফাঁদে পা দেওয়া। পঁচা শামুকে পা কাটা। চোরা বালির ওপর জেনে শুনে হাঁটা। কুমীরের মুখে হাত দেওয়া।
এই যে শুনলাম,রাশিয়া কি সব ফেসবুক,ইন্টারনেট ব্যবহার করে হিলারি কে হারিয়ে দিলো!কি ভুল শুনলাম?
দুই,মেন উদ্দেশ্য কি?সরকার ফেলে দেওয়া না জাস্টিস?
সরকার ফেলে বাইডেন আসলে কালোদের সমস্যা, রেসি জম মুছে যাবে?
দুই,জাস্টিস পাওয়া? সে তো কোর্ট দেবে!এটা তো পুরো সিস্টেম ফেলিওর এর ব্যাপার। দুনিয়ায় আর কোন দেশ আছে,যে খানে কুড়ি ডলার এর ফেক নোট দিলে,গলায় পা দিয়ে মেরে ফেলে!?এটা বাইডেন এসে চেঞ্জ করে দেবে!স্ট্রেঞ্জ!
রাশিয়া কি কি কাঠি করেছিল বলুন?
আন্দোলন কারি দের কি উদ্দেশ্য বলুন?
সত্যি উপকৃত হবো।ছোট করে লিখুন। দয়া করে লিঙ্ক না দিলে বা খুব কম দিলে বাধিত হবো।
এটাই তো আগের পোস্টে বলেছি,এটা পুরো সিস্টেম ফেলিওর।প্রথমেই এমন একজন কে ফোর্স ফুলি অ্যারেস্ট করার চেষ্টা;যে কিনা একটা কুড়ি ডলার এর ফেক নোট দিতে গিয়েছিল! নাম,ধাম নিয়ে কোর্টে চার্জ আনতে পারতো।ফোর্স ফুলি রেস্ট্রেইন করার বিশেষ দরকার ছিলো না।
দুই,এমন ফোর্স দেওয়া হলো,যাতে বার বার ভিকটিম ও পার্শ্ববর্তী জনতার রিকোয়েস্ট করা র পর ও মেরে দিলো।
তিন,ঘটনার প্রত্যক্ষ দর্শী থাকা সত্বে ও,ধামা চাপা র চেষ্টা করা হলো।ভুল অটপসী রিপোর্ট তৈয়ারী হলো। ওই পুলিশ এর বোধ হয় বেল ও মিললো।
এটা রেসিজম এর চেয়েও পুরো সিস্টেম যে গেঁজে গেছে সেটাই নির্দেশ করে। এরকম হাই এটেনশন কেস এর সঙ্গে সঙ্গেই ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনকোয়ারী হওয়া উচিত।আমাদের দেশে সী বি আই যেমন।
নিশ্চয় হয়েছে।তারপর ও কি করে এমন ভুল ভাল অটপসি রিপোর্ট দিতে লোকজন সাহস পায়!!
সিস্টেম যেমন আছে।তার গলদ ও থাকবে। প্রতিবাদ ও থাকবে। এমন নয়,সরকার পাল্টালে সিস্টেম বিরাট চেঞ্জ হয়ে যাবে।
কিন্তু কাতারে কাতারে লোক জমায়েত হলে,ইনফেকশন যে বেশি ছড়াবে,এটা সু নিশ্চিত।একটি জর্জের জায়গায় অনেক জর্জের মৃত্যু হতে পারে। আমার বক্তব্য ছিলো এই মুহূর্তে জমায়েত ব্যতিরেকে প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
ভারতের লক জন ভিড় বাসে যেতে বাধ্য হচ্ছে,সেটা তুলনায় আসে না।মানুষ পেটের তাগিদে বেরিয়েছে। তাদের কেউ স্বাস্থ্য কর্মী,কেউ নিরাপত্তা রক্ষী,কেউ ব্যাংক কর্মী। এটা ভারত সরকার যতটুকু ট্রান্সপোর্ট প্রোভাইড করতে পেরেছে,সেই হিসাবে অনুসৃত হচ্ছে।কারণ স্বাস্থ্য কর্মী না গেলে,চিকিৎসা করবে কেডা?
আমেরিকার ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল ডিসটেন্স ভায়ো লেট হচ্ছে,প্রতিবাদের নামে।সেটা অন্য ভাবে করা যেতেই পার তো।