এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • করোনার বর্তমান আর জ্যোতিষের ভবিষ্যৎ

    সমীর ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৫ জুন ২০২০ | ৩৭৯৯ বার পঠিত
  • জ্যোতিষবিদ্যা বা অ্যাস্ট্রোলজি যে বিশাল ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয় তা নতুন করে প্রমাণ করে ছাড়ল পৃথিবী জুড়ে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ২০২০ সাল শুরু হওয়ার আগে থেকেই পৃথিবী জুড়ে শুরু হয়েছিল নানা ভবিষ্যৎ বিচার। এমনিতে সংখ্যার হিসাবে সালটায় পাশাপাশি ২ টো ২০ বসে রয়েছে, তার উপর লিপইয়ার। পাওয়া গেছে ০২.০২.২০২০-র মতো তারিখ—ব্যাস আর যায় কোথায়। বছর শুরুর আগে থেকেই সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্নার নানা ভবিষ্যৎ গল্পগাছা ফেঁদে বসেছিলেন জ্যোতিষীরা। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কলকাতার বউবাজার স্ট্রিট—সর্বত্রই ছিল একই চিত্র। কেউ বললেন ২০২০ সালে দারুণ দারুণ ব্যাপার ঘটবে। কেউ কেউ সুর তুলে বললেন বিশে বিশে বিষক্ষয় হবে। ২০২০ সাল কেমন যাবে তা নিয়ে ইউটিউবে লক্ষ লক্ষ ভিডিও পোস্ট হল, ভার্চুয়াল ওয়েবে কোটি কোটি কনটেন্ট লেখা হল, খবরের কাগজে ছাপা হল নানা জ্যোতিষ বার্তা, কলেজ স্ট্রিট থেকে বিক্রি হয়ে গেল সস্তা কাগজে ছাপা হাজার হাজার চটি চটি বই। কিন্তু কেউ কোথাও একবারও বললেন না যে কঠিন সময় আসতে চলেছে পৃথিবীর। কেউ শোনালেন না মানবজাতির ভয়ংকর সংকটের কথা। আসলে জানাবে কী করে? পুরোটাই যে ধাপ্পা। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোনো ভবিষ্যদ্‌বাণী নিশ্চিতভাবে করতে পারেননি জ্যোতিষ শাস্ত্রের পণ্ডিতেরা। সবটাই হয়েছে ‘হতে পারে’ বা ‘সম্ভাবনা’র গল্প। কখনো-কখনো কোনো ঘটনা ঘটে গেলে তা আগে থেকেই ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছিল বলে কোনো কোনো জ্যোতিষী দাবি করেন। তবে করোনার ক্ষেত্রে একেবারে ফেল মেরে গেছেন স্বঘোষিত ভবিষ্যদ্‌বক্তারা।



    সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে শিরোনাম লেখা হয়েছে ‘উইল করোনা ভাইরাস কিল অ্যাস্ট্রোলজি?’ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মার্কিন দুনিয়ার বিখ্যাত অ্যাস্ট্রোলজার সুজান মিলারের নাম। মজার ব্যাপার হল গত জানুয়ারি মাসে সুজান মিলার সিবিএস নিউজে এক সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার জানিয়েছিলেন যে ২০২০ সালটা দারুন যাবে। অন্য মিডিয়াকেও একই তথ্য দিয়েছেন সুজান মিলার। ইউটিউবে গিয়ে সেসব তথ্য দেখে নিতে পারেন যে কেউ। তাহলে জ্যোতিষী হিসেবে এত যাঁর নামডাক তিনি কেন ব্যর্থ হলেন এমন মহা বিপর্যয়ের তথ্য দিতে? একই প্রশ্ন উঠেছে ভারতেও। এ দেশের নামি ভবিষ্যদ্‌বক্তা বেজান দারুওয়ালা (করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ মে ২০২০ বেজান দারুওয়ালার মৃত্যু হয়েছে) কেন করোনা ভাইরাস নিয়ে আগাম কিছু জানাতে পারলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ‘দি ফ্রি প্রেস জার্নাল’। গনেশ ভক্ত দারুওয়ালা অটল বিহারী বাজপেয়ী, মোরারজি দেশাই থেকে নরেন্দ্র মোদীর জয় অথবা সঞ্জয় গান্ধি, রাজীব গান্ধির মৃত্যু থেকে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা—সব কিছু আগাম বলে দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়। সেই দারুওয়ালা কেন নভেল করোনার মতো অতিমারি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারলেন না তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এমনকি দেশ-কাল-সময়ের উপর প্রভাব নিয়ে চর্চা করা ‘মান্ডেন অ্যাস্ট্রোলজি’র মাথারা গেলেন কোথায়? তাঁরা কেন দিতে পারলেন না এই বিপর্যয়ের আগাম সংবাদ?

    বিশ্বজুড়ে বড়ো কোনো ঘটনা ঘটলে প্রতিবারই যা হয়, ফিরে ফিরে আসে সেই মহা মহা ভবিষ্যদ্‌বক্তা নস্ত্রাদামুসের নাম। তিনি নাকি সব বলে গিয়েছেন। সবই ব্যাদে আছে গোছের ব্যাপার। কে এই নস্ত্রাদামুস? সহজ করে বললে এখন অনলাইনে বা ট্রেন লাইনে, অলিগলি, পাকস্থলী জুড়ে যেসব দিব্যচক্ষুযুক্ত(!) জ্যোতিষীদের দেখেন তাঁদের প্রাচীন সংস্করণ। জানা যায় নস্ত্রাদামুসের জন্ম ১৫০৩ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে। বিভিন্ন জাদুবিদ্যার বই পড়ে-টড়ে তিনি জ্যোতিষবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন। কবিতার মাধ্যমে তিনি নাকি পৃথিবীর সব ভবিষ্যদ্‌বাণী লিখে গেছেন। তা সে বিশ্বযুদ্ধই হোক বা নরেন্দ্র মোদীর উত্থান, সুনামি হোক বা প্রবল দাবানল—সবেরই ইঙ্গিত আছে তার কবিতার ছত্রে ছত্রে। এহেন তিনি যে বিশ্বজুড়ে এমন ভয়ংকর ভাইরাস হানার কথা বলে যাবেন তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে? কিন্তু কোথায় কী! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী জুড়ে এমন একটা ঘটনা ঘটল—তার হিসাব তিনি দেবেন না, ইয়ার্কি নাকি? সম্ভবত যাঁরা নস্ত্রাদামুসের প্রচারক তাদেরকেও বড়ো ধাক্কা দিয়ে দিল করোনা।

    তথ্য বলছে অধিকাংশ সাধারণ মানুষই বিজ্ঞান-অপবিজ্ঞানে বিশ্বাসী। ভূতপ্রেতের পাশাপাশি জ্যোতিষ-কবচ-তাবিজে মহা বিশ্বাস তাদের। অথচ করোনার মতো সংকট দেখিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞানমুখী হওয়া ছাড়া গতি নেই। ভাইরাস থেকে বাঁচতে বিজ্ঞানসম্মত (শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার, সাবান-স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা) পদ্ধতি মানার পাশাপাশি গোটা পৃথিবীটাই এখন তাকিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার দিকে। জ্যোতিষের কারবারিরাও জানেন কবচ-তাবিজ-পাথর পরে আর যাই হোক রোগ থেকে মুক্তি মিলবে না। জ্যোতিষ বিরোধী প্রচার যে মোক্ষম জায়গায় ঘা দিয়েছে তা বিলক্ষণ বুঝছেন তাঁরা। তাই ভবিষ্যদ্‌বাণীর ক্ষেত্রে ‘বিগ জিরো’ মেলার পর নড়েচড়ে বসেছেন অনেকেই। রাহু-কেতুর আঁক কষছেন করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের অগ্রগতির দিকে তাকিয়ে। গ্লোবাল হোক বা লোকাল—সব মহা মহা জ্যোতিষীই এখন হাজির করছেন সময় কেনার তত্ত্ব। দেশীয় জ্যোতিষিদের কেউ কেউ বলছেন বৃহস্পতি ৩০ জুন থেকে ২০ নভেম্বর মকর রাশিতে অবস্থান করবে—তখন করোনা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। পাশ্চাত্য জ্যোতিষীরা অবশ্য সবচেয়ে বড়ো গ্রহ বৃহস্পতির সঙ্গে খুদে গ্রহ প্লুটোকে টেনে এনেছেন। অর্থাৎ হাতে চলে আসছে অনেকটা সময়। কায়দাটা এমন যে, এর মধ্যে বিজ্ঞানীরা নিশ্চয়ই কিছু একটা ব্যবস্থা করে ফেলবেন—আর তখনই ‘আগেই বলেছিলুম কি না’ গোছের প্রচার হাজির করা যাবে।

    পরিস্থিতি বুঝে করোনার ঠিকুজিকুষ্ঠি তৈরি করে ফেলেছেন জ্যোতিষীরা। তাঁদের দাবি গত ডিসেম্বর মাসের ২৯ তারিখ প্রথমবার উহানে যে করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছিল তার পিছনে আসলে গ্রহনক্ষত্রের অবস্থান বদলের যোগ রয়েছে৷ দাবি করা হচ্ছে, গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একসঙ্গে ছটি গ্রহ ধনু রাশিতে প্রবেশ করেছিল৷ ২৬ ডিসেম্বর সূর্যগ্রহণও ছিল৷ এই সূর্যগ্রহণের পিছনে ছিল কেতুর প্রভাব৷ দৈব ক্ষমতায় ভরপুর বৃহস্পতিরও সেই সময় শক্তি হ্রাস হয়েছিল৷ ফলে কেতুর দাপট বাড়ে আর রোগজীবাণুর সংক্রমণ হয়। কি দারুণ ব্যাখ্যা! সূর্য-গ্রহ-রাশি কে, কখন, কোথায় থাকবে তা তো জ্যোতিষীদের জানা। তাহলে এমনটা যে ঘটতে পারে তা মহা মহা পদকপ্রাপ্ত জ্যোতিষীরা বা স্বঘোষিত প্রতিষ্ঠানগুলো এই নিয়ে আগে থেকে উচ্চবাচ্য করল না কেন তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।



    তবে করোনার এই বাজারে শুধু গ্রহনক্ষত্র কপচে যে চিঁড়ে ভিজবে না তা বিলক্ষণ বুঝেছেন জ্যোতিষের কারবারিরা। বাংলায় বিপুল প্রচারিত এক সংবাদপত্রের সাংবাদিককে বিখ্যাত জ্যোতিষী বিনোদকুমার এ গ্রহ, সে গ্রহের তত্ত্ব পেশের পর জানিয়েছেন মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলেই এই অসুখ। পরিচ্ছন্ন জীবনে ফিরলে এই অসুখ হবে না। জ্যোতিষের ধাপ্পাবাজির খোঁজে নেমে একটা বাংলা ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে শিবশংকর ভারতী জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় সতর্কতাই একমাত্র পথ। সতর্কতাই মানুষের একমাত্র সাধনা। সাধনার অপর নাম সতর্কতা। যে সাধনায় সকলেরই আত্মমগ্নতা প্রয়োজন। তাহলে হাতে কী রইল পাঠক নিশ্চই নিজ গুণে বুঝে নেবেন।

    তবে শুধু করোনা কেন ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে দেখলে পশ্চিমবঙ্গে আমফান বিপর্যয়, বিভিন্ন রাজ্যে পঙ্গপাল হানা, উত্তরাখণ্ডে দাবানল—কিছুরই হদিস দিতে পারেনি জ্যোতিষের কারবারিরা। তবে তাতে এই ধাপ্পাবাজির কারবারিদের খুব একটা কিছু যায় আসবে বলে মনে হয় না। কারণ করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে গভীর অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ডুবতে চলেছে মানুষ। রোজগারহীন, নিরাপত্তাহীন হাজার হাজার মানুষ খেটে খাওয়া হাত দুটো নিয়ে ছুটবেন তো তাঁদের কাছেই—কপালে কী ভবিষ্যৎ লেখা আছে তা জানতে।

    ছবি: বিশ্বরূপ মিস্ত্রি
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৫ জুন ২০২০ | ৩৭৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ০৭ জুন ২০২০ ০৭:৩৮94070
  • এও এক বিশ্বাসের ভাইরাস।  আর শিক্ষিত জনেরাও এতে স্বেচ্ছায় সংক্রমিত        

  • একলহমা | ০৭ জুন ২০২০ ১০:০৯94073
  • কটা দিন ঝিমিয়ে নিয়ে আবার সব চাঙ্গা হয়ে উঠবে। নূতন নুতন আগেই-বলেছিলাম-কেউ-কথায়-কান-দেয়নিরা এল বলে।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন