এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • করোনা নিয়ে প্যানিক কোরোনা

    অমৃতা পান্ডা লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৪ মে ২০২০ | ৩৬৯৪৬ বার পঠিত
  • বাড়ির ছোট মেয়ে আমি। আমি ছাড়া বাড়িতে আছেন মা, বাবা (৬৫ বছর), দাদু(৮২ বছর, হাই প্রেশার), দিদা(৭৬ বছর, Alzheimer's patient), দিদি, জামাইবাবু আর তাদের দুই বছরের ছোট ছেলে।

    লকডাউনের বেশ কিছুদিন আগেই আমার দাদু দিদা আমাদের বাড়িতে এসে আটকে পড়েন। এসেছিলেন ডাক্তার দেখাতে। লকডাউনের কারণে ফেরা হয়নি। দিদি জামাইবাবুও তাই।

    লকডাউনে আমরা সেভাবে কেউ বাড়ি থেকে বেরোতাম না। আমি কেবল ওষুধ কিনতে যেতাম। কখনো দিদি, কখনো আমি বাড়ির আবর্জনা ফেলতে যেতাম। তাও মাস্ক পরে বেরোতাম। বাড়ি ফিরে স্নান করে নিতাম। সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যেত। সেগুলো আলাদা একটা ঘরে রাখা হত এবং পরে তা তুলে এনে ব্যবহার করা হত। এমনকি খবরের কাগজও নিইনি। মাঝে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেছিলাম বাবা মাকে। তাও বাড়িতে ঢোকার সময় ওই একইভাবে সতর্কতা বজায় রেখে ঢুকেছি। আমরা নিজেরাও বুঝিনি এত সতর্কতার পরেও আমাদের বাড়িতে কীভাবে করোনা আসতে পারে! জানিনা কোন গাফিলতির জেরে এমন ঘটনা ঘটল। আজও আমি এর উৎস খুঁজে পাইনি।

    এদিকে দাদুর জ্বর আসে ৩০ শে এপ্রিল। বাবা, মা, দিদি, জামাইবাবুর জ্বর আসে পয়লা মে। তখনও অবধি আমার জ্বর আসেনি। জ্বর আসেনি আমার ছোট্ট বোনপোর আর আমার দিদার। সকলে ভেবেছিলাম সাধারণ জ্বর। তবে সে জ্বর যখন আর কমছিল না, মনে সন্দেহ জাগে। ডাক্তার দাদা, বন্ধু সকলের সঙ্গে কথা বলতে থাকি। আমাদের কি করণীয় সেসব জানতে থাকি। তারপর আমরা স্বেচ্ছায় প্রাইভেটে দাদুর টেস্ট করাই। রিপোর্ট আসে দাদুর কোভিড পজিটিভ।

    ১০ তারিখ রাত্রে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে আমাদের ওই রিপোর্ট জানানোর কয়েক মুহূর্ত পরেই দাদুর হঠাৎ শ্বাস নিতে অসুবিধে শুরু হয়। তখনও সুস্থ বলতে আমি একাই। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মাঝরাতে দাদুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। অ্যাপোলোতে বেড পাইনি। ওরা রেফার করে এম আর বাঙুরে। ওখানে দাদুকে ভর্তি করানো হয়।




    এরপর শুরু হয় যুদ্ধটা। সকাল হতে না হতেই আমরা প্রায় সকল প্রতিবেশীকে ফোন করে জানাই যে আমাদের বাড়িতে কোভিড কনফার্মড। কাউকে না জানাতে পারলেও খবর পৌঁছে দিই। আতঙ্কিত হয়ে চারপাশের বাড়ির সবাই দরজা জানালা বন্ধ করে দেন এবং কেউ কেউ আমাদেরও জানালা বন্ধ করতে নির্দেশ দিতে থাকেন। ভেবেই রেখেছিলাম, যদি বাড়াবাড়ি হয়, তাহলে পুলিশে খবর দেব। যদিও অতদূর যেতে হয়নি। আমরা ভালোভাবে বোঝাই এবং জানালা খুলে রাখি।
    আমি ফেসবুক স্টেটাসে জানিয়ে দিই আমাদের বাড়িতে কোভিড পজিটিভ এবং আমি মনে করি আমি সচেতন নাগরিক এবং সকলকে আমাদের থেকে দূরে রাখা ও কিছু ভ্রান্ত ধারণা দূর করা আমার কর্তব্য। তবু দাদুর কথা জানাতেই অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আমার বাবা আমাদের বাড়ির কাছেই একটি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক। তাঁর জ্বর আসছে শুনে তাঁর ছাত্রছাত্রীরা ভয়ে ফোন করতে থাকে। অনেক পরিবার পরিজন অপরিচিত হায় হায় করতে থাকেন। বোধ হয় ভাবতে থাকেন, এই বুঝি সব গেল আর কি।

    বিশ্বাস করুন, হারব না জিতব ভাবিনি। বারবার ভেবেছি, লড়তে হবে। ভেবেছি মন দিয়ে লড়লে ৮২ বছরের দাদুকে ( হাই প্রেশার) ফিরিয়ে আনা যাবে, ৬৫ বছরের বাবাও সুস্থ হয়ে উঠবেন।

    ফেসবুকে স্টেটাস দেওয়ার পর কেউ কেউ হা হা রিয়্যাক্ট দেন। কমেন্টে উত্তেজিত করতে থাকেন। আমি ধরে ধরে হয় কমেন্ট ডিলিট করি, নয়তো ব্লক করতে থাকি। কারণ মনে হয়েছিল কান আর চোখ দুটো বন্ধ রেখে আমাদের লড়াইটা মন দিয়ে লড়তে হবে। নইলে এইসব কমেন্ট পড়ে গালমন্দ খেয়ে অপরাধ না করেও অপরাধবোধে ভোগার কোনো মানেই হয়না। বন্ধ করলাম চোখ।

    ছাদে জামাকাপড় মিলতে ওঠার পর দূর থেকে চিৎকার শুনেছি। আমার দিকে আঙুল দেখিয়ে চিৎকার করে ব্যঙ্গের সুরে বলে গেছেন কেউ কেউ, ' দেখ, আরে যে জামাকাপড় মিলছে, ওদের বাড়িতেই করোনা।' তাঁরা চিহ্নিত করতেই পারেন। তবে মানুষের এতটাই রুচিবোধের অভাব যে, তাঁদের সেই কথাগুলো যে আমার কান অবধি আসছে, সেটা তাঁরা বুঝতেই পারেননি। আমি ছাদ থেকে নেমে আসি।
    আতঙ্কে ফোন আসতে থাকে, খবর রটে যায় আমার দাদু এক্সপায়ার করে গেছেন। বাবাও নাকি এক্সপায়ার করে গেছেন। দাদু নাকি বাঙুর হাসপাতালের মেঝেতে গড়াগড়ি দিচ্ছে। যাই হোক, এবার কান বন্ধ করলাম।

    তারপর সরকারিভাবে বাড়ির সকলের টেস্ট হল যেহেতু আমরা সকলেই দাদুর সঙ্গে ছিলাম। রিপোর্টে জানা গেল আমাদের কারও কোভিড পজিটিভ (asymptomatic) , কারও নেগেটিভ, কারও 'inconclusive'..হেলথ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা হল। আমরা CMOH এর পারমিশন নিয়ে সকলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর থেকে যে কোনো প্রয়োজনে পাশে ছিলেন ডাক্তার বন্ধু, দাদা আরও অনেকে। এদিকে আমি ফেসবুকে প্রতিদিন সকলের সেরে ওঠার আপডেট দিতে থাকি। অনেকে তাতে আশ্বস্ত হন। ফেসবুক মারফৎ অনেক পরিচিত - অপরিচিতদের সন্ধান পাই যাঁরা আমাকে সাহায্য করতে থাকেন।

    খুব কঠিন ছিল দু বছরের বোনপোকে ঘরে আটকে রাখা বা দূরে সরিয়ে রাখা। ওকে আটকানোর জন্য ওর দিকে মোবাইল বাড়িয়ে দিতে হয়েছে। কঠিন ছিল দিদাকে সামলানো। Alzheimer's patient - তাঁকে শুতে বললে সেটা তিনি বুঝতে সময় নেন কমপক্ষে ১৫ মিনিট। কিছুই আর বুঝতে পারেন না। কাউকে চেনেন না। খাইয়ে দিতে হয়। নিজের ঠাকুমার কাছে যেতে চান। এর ওর ঘরে ঢুকে পড়েন। এসবের মাঝে দিদাকে সামলানো সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।

    ইতিমধ্যে ভালো কিছু ঘটে গেছে। যাঁদের সঙ্গে বিবাদের কারণে কথা হত না, তাঁরা খোঁজ নিতে থাকেন। অনেকে শুভ কামনা করতে থাকেন। প্রতিবেশীদের মধ্যে একটি পরিবার ছাড়া সক্কলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। কেউ খাবার পৌঁছে দেন। কেউ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, ওষুধ এনে দেন। কেউ তা না পারলেও খোঁজ নিতে থাকেন কেমন আছি, কিছু দরকার কিনা.... ইত্যাদি। আমাদের প্রাক্তন কাউন্সিলর থেকে শুরু করে এখানকার নোডাল অফিসার, বাবার কিছু ছাত্রছাত্রী, দিদির বন্ধু, আমাদের আত্মীয়, অনেকে মিলে যথেষ্ট সহযোগিতা করতে থাকেন।

    ওদিকে দাদুরও ধীরে ধীরে শারীরিক উন্নতির খবর পাই। বাঙুর থেকে প্রতিদিন ভিডিও কল করানো হত। দাদু কানে কম শোনার কারণে খুব বেশি কথা বলা হয়ে উঠত না। তবু দাদুর হাসিমুখ দেখলেই মনে বল পেতাম। ওখানে সকলের সঙ্গে নাকি গল্প করতেন। যে নার্স দিদি কথা বলিয়ে দিতেন, তিনি বলতেন, 'আপনার দাদু তো খুব মজা করেন!'
    দাদুও তাঁকে চিনিয়ে দিতে থাকেন,'এই দেখ, এটা আমার নাতনি, ওটা আমার গিন্নি, আমার মেয়েকে দেখ! '
    দুপুরের ফোনে এভাবেই যেন একটা ছোট পরিবারের সঙ্গে দেখা হত। নার্স দিদিকে আমরা ধন্যবাদ জানিয়ে বলতাম, ' আপনিও ভালো থাকবেন, সাবধানে কাজ করবেন, সুস্থ থাকবেন। ' আসলে এক তরফা মানবিকতা দেখালেই সবাই মিলে বাঁচা যায়না। এই যুদ্ধটা সব্বার। আমরা নাগরিক বলে শুধু নিজের পাওনাটুকু বুঝে নেব বললেই হয়না। যাঁরা জীবনকে বাজি রেখে, পরিবারকে ছেড়ে দিনের পর দিন বাইরে থেকে আমার আপনার মত হাজার হাজার মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন, তাঁরাও তো মানুষ! তাঁদেরও নিশ্চয়ই মন খারাপ হয় বাড়ির ছোট মেয়ের জন্য, বুড়ো বাপ মার জন্য.. তাঁরাও নিশ্চয়ই ক্লান্ত হন।

    বাঙুর নিয়ে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, তা দেখে আমিও ভয় পেয়েছিলাম। তবু এই মধ্যবিত্ত চাহিদায় যেটুকু পেয়েছি, সেটুকুতে আমরা ধন্য। ফেসবুক মারফৎ অনেকে জেনে যাওয়ার ফলে কেউ মাঝে মাঝে দাদুকে শুকনো খাবার, ফল পৌঁছে দিতেন। কেউ কিন্তু একটা পয়সাও নেননি। দাদু সেগুলো খেয়েছেন। ভালো থেকেছেন। যাঁরা সেসব খাবার পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের মন ভরে আশীর্বাদ করেছেন। বাঙুরে পরিচিত নার্স গিয়ে দেখেও এসেছেন দাদুকে - দাদু সুস্থ, সবল, হাসিখুশি, স্বাভাবিক।
    আমরাও এদিকে সেরে উঠতে থাকি। আর কারও জ্বর আসেনা। দিদি, জামাইবাবু সবাই মিলে হাতে হাতে কাজ করতে থাকি। বাড়িতে গান শোনা থেকে শুরু করে দূরত্ব বজায় রেখে মজা করা, সব করি। কেউ কেউ আমাদের সুস্থ হয়ে উঠতে দেখে, এতটা আনন্দে থাকতে দেখে প্রশ্ন করে বসেন, 'তোদের আদৌ করোনা হয়েছিল তো?!'

    আসলে করোনার ভয় এমনভাবে সকলকে গ্রাস করেছে যে অনেকে ধরেই নিয়েছেন করোনা মানেই মৃত্যু। একেবারে তা নয় কিন্তু। এসব ভেবে নিজের ঘুম বিসর্জন দেওয়ার চেয়ে ইমিউনিটি বাড়ানো ভালো। প্রয়োজন প্যানিক না করে সতর্ক থাকা। ভালো থাকুন, সতর্ক থাকুন, জল খান, ভালো ভালো খাবার খান, ছাদে যান, আনন্দে বাঁচুন। এটা যেভাবে asymptomatic হয়ে উঠেছে, হয়তো বুঝতেই পারবেন না আপনার করোনা হয়েছে বা আপনি হয়তো কবেই তাকে জয় করে ফেলেছেন! আর একটা কথা, প্রতিবেশীর মধ্যে কারোর করোনা হলে সহানুভূতিশীল হন। সতর্কতা বজায় রেখে এগিয়ে যান, পাশে দাঁড়ান।

    যাই হোক, তারপর একদিন হঠাৎ কলিং বেল- দরজা খুলে দেখি আমার ৮২ বছরের দাদু মাস্ক পরে হাসছে। চোখদুটো উজ্জ্বল। হাসপাতাল থেকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। সত্যি বলতে কি, সরকারি হাসপাতাল থেকে এভাবে পরিষেবা পাব, আমরাও ভাবিনি। দাদু বিশ্রাম নেওয়ার পর সব কথা বলতে শুরু করেন, কেমন ছিলেন, কীভাবে কেটেছে।
    বলেন,' অত খাবার পাঠিয়েছিলি, অত সব খাওয়া যায়! পারিনি রে। ওখানে যারা আমার মত কিছু বয়স্ক লোক ছিল, তাদের দিয়ে এসেছি। আমি কিন্তু বেশ ভালোই ছিলাম! প্রথম কয়েকদিন জ্বর এসেছিল। তারপর আসেনি। কিছুই তো হয়নি আমার! কি করোনা! কিচ্ছু না। গল্প করে দিব্যি কদিন কাটালাম। সকলকে হাসাতাম। আরে অত ভয় পেলে হয়!? যাই বলিস, ওরা কিন্তু দিনে তিন চারবার করে জায়গাটা মুছত। খাবার দিত ভালোই। আসার সময় আবার নার্সরা আমাকে বলল, দাদু , টাটা - বাই বাই, ভালো থাকবে। আসলে এই কদিনে ভালোবেসে ফেলেছিল তো.... '




    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৪ মে ২০২০ | ৩৬৯৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঝর্না বিশ্বাস | ২৪ মে ২০২০ ১৭:১৯93592
  • ভালো আছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। সবাই ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আর যারা গুজব রটাচ্ছে বা হাহা হিহি তাদের শুধু ফেসবুক কেন জীবন থেকেও ডিলিট করে দিলে ভালো। 

  • শক্তি | 49.37.12.247 | ২৪ মে ২০২০ ১৭:২৭93593
  • লেখাটি পড়ে আশ্বস্ত হলাম ।এই পরিস্থিতিতে ইতিবাচক লেখাটিকে স্বাগত 

  • শ্রীমতী সাহা | 2401:4900:1048:a82a:0:25:4ce4:a001 | ২৪ মে ২০২০ ১৭:৪২93594
  • লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগল। আপনারা সকলে ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন। 

  • ডাঃ শর্মিষ্ঠা দাস | 103.102.121.253 | ২৪ মে ২০২০ ১৭:৪৩93595
  • এই ধরনের পজিটিভ পোস্ট এখন অত্যন্ত জরুরী । অনেক ধন্যবাদ । শেয়ার করছি । 

  • Tinichakraborty | 2409:4060:199:b635::2424:e0a0 | ২৪ মে ২০২০ ১৮:২৭93597
  • Mon a jor pachi re..toke akta katha bolai hoyni..jokhon sunlam toder family r aai abostha sottie khub kharap lagto..aro kharap lagto faltu gujob gulo sunay..Hotat maa amake ekdin bolche je mon kharap koris na dekhbi ora thik sustho hoye jabe..Maa etao bollo je choto bela te jokhon school a maa r aste deri hoto tokhon tui o bari na giya kaku k dar koria amar sathe kheltis jotokhon na amake kau nitay asay....Maa sudhu bolto dekhbi oder kharap konodin hobe na r ami jeno gujob a kan na di..ami sobbai k bojhatam je Coronavirus mean mara jaoya noy..Amra jodi sob kichu jinis sunay choli tahole thik amra sustho savabik life a aste parbo..Tora sobbai khub valo thakis re...

  • প্রিয়ঙ্কর | 2402:3a80:a95:efb8:f7e1:27d:f7d6:ca1c | ২৪ মে ২০২০ ১৮:৪২93598
  • ভীষণ জরুরি একটা লেখা। ধন্যবাদ আপনাকে।

  • জয়তি বোস | 122.161.187.126 | ২৪ মে ২০২০ ১৮:৫২93599
  • জীবন মানেই চ্যালেন্জ,আর তাকে কীভাবে মোকাবেলা করব, সদর্থক অর্থে, সেটাই শেখা। আপনি সেটি শিখেছেন ও আপনার লেখা পড়ে আমরাও। এই মনোভাব যেন বজায় থাকে আপনার, আজীবন, এই শুভেচ্ছা য়।

  • দেবলীনা হাজরা | 104.255.13.130 | ২৪ মে ২০২০ ১৯:২৫93601
  • খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। তোরা সবাই ভালো আছিস, সুস্থ্য আছিস সর্বপরি দাদু সুস্থ্য হয়ে গেছেন শুনে মনটা খুব ভালো হয়ে গেলো রে। বাঙ্গুর এর শুশ্রূষা নিয়েও অনেক রকম গুজব ছড়াচ্ছে, তুই খুব ইতিবাচক লিখেছিস।

  • মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় | 223.176.46.5 | ২৪ মে ২০২০ ১৯:২৭93602
  • মন শান্ত হল। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন।

  • দেবরাজ গোস্বামী | 2402:3a80:1304:62e:13e9:7148:4657:5e3a | ২৪ মে ২০২০ ১৯:২৭93603
  • অসাধারণ !  আমার বাবার বয়স ৮২ বছর। তাই দাদু না কাকু কে বলছি .... অভিনন্দন , খুব ভালো থাকুন আর সবাইয়ের সঙ্গে জমিয়ে মজা করুন। 

  • aka | 216.186.177.14 | ২৪ মে ২০২০ ১৯:৩১93604
  • খুব ভালো লাগল, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় লেখা এই সময়ে, এত গুজব, এত কনফিউশন তারমধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অত্যন্ত জরুরীও বটে। আপনাদের পুরো পরিবারের জন্য শুভকামনা।
  • জারিফা | 182.66.180.244 | ২৪ মে ২০২০ ১৯:৫৬93605
  • এই ধরণের পজিটিভিটির খুব দরকার এখন। খুুুব ভাল লাগল আপনারা সবাই সুস্থ আছেন  জেনে। ভাল থাকুন।

  • নিনা গাঙ্গুলি | 2601:83:8003:2e00:6412:9e21:2bb0:bd2e | ২৪ মে ২০২০ ১৯:৫৯93606
  • খুব ভাল লাগল এই আশায় ভরা, মানুষের ভালো দিকের কথাগুলো -- সবার পড়া দরকার এই পোস্ট । শুভকামনা জানাই 

  • Rajleena | 2409:4060:210e:85af:d830:1825:9c05:7ab7 | ২৪ মে ২০২০ ২০:০৭93607
  • Agami din gulo evabei valo katuk sokol k niye. Sotti inspirational post. Khub valo lglo.

  • মিলে গেল | 2402:3a80:a62:157d:0:64:33df:3301 | ২৪ মে ২০২০ ২০:১৩93608
  • অভিজিত মজুমদারের অভিজ্ঞতার সংগে প্রায় মিলে গেল।
    https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=17569
  • Apu Bandyopadhyay | 117.194.194.166 | ২৪ মে ২০২০ ২১:১৬93613
  • ভীষণ ভরসা জাগানো লেখা। ভালো থাকবেন সবাই।

  • | ২৪ মে ২০২০ ২২:৪২93615
  • খুব ভাল লাগল। এই সময়ে খুব জরুরী।
    সবাই সুস্থ হয়ে উঠিন। জমিয়ে বাঁচুন।
  • সৌরভ ভদ্র | 2409:4072:792:a929:352c:9114:39f3:64e7 | ২৪ মে ২০২০ ২৩:৩৮93618
  • আপনার দাদু 82 বছর মনেই হয় না । ভালো থাকুন সবাই । লেখাটি পড়ে ভালো লাগল ।

  • রেশমা রায় চৌধুরী | 2409:4060:117:74e4:e5ea:d723:a14a:efaa | ২৪ মে ২০২০ ২৩:৪৭93619
  • আমি তোর স্কুলের প্রাক্তনী। তোরা সবাই ভাল থাকিস।

  • সোমা ৱায় কৱমকাৱ | 2409:4060:308:f5a6:dc11:59d8:773f:c084 | ২৫ মে ২০২০ ০০:৩১93620
  • তোমৱা এমনি হাসতে হাসতে আগামী দিন গুলো কাটিও.. এই শুভকামনা।

  • Dr. Nabanita Chakraborty | 2409:4060:304:3710:8960:44a4:842f:afea | ২৫ মে ২০২০ ০০:৩৮93621
  • খুব ই জরুরী লেখা । একজন সচেতন নাগরিকের কাছে তো এটাই কাম্য এ সময়ে। সকলের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা কামনা করছি ।

  • নাতি | 13.233.154.97 | ২৫ মে ২০২০ ০২:৫৮93622
  • দাদু নাম্বার 1 

  • সৌভিক চক্রবর্তী | 2409:4060:301:ced2:a033:33b6:167b:db89 | ২৫ মে ২০২০ ০৮:১০93626
  • সকাল টা সত্যি ভালো হয়ে গেল আমার। কোথায় যেন মনে হলো এটা জীবনের গল্প, জীবন তো সব সময়েই জীবন্ত। আপনারা সত্যি সুস্থ, সজীব এবং আনন্দে থাকুন

  • Dr. রামকৃষ্ণ সরকার | 2409:4060:412:b361:80a3:1d6d:fb43:dd74 | ২৫ মে ২০২০ ০৮:৫৮93632
  • দাদু আপনি ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো। লেখাটি পড়ে আশ্বস্ত হলাম। মনোবল বাড়লো। ধন্যবাদ লেখিকা mohasaya কে। 

  • Soma Sengupta | 111.125.205.226 | ২৫ মে ২০২০ ০৯:৫৯93635
  • Feeling proud of you Mampi. 

  • প্রসেনজিৎ বিশ্বাস | 2409:4060:219f:dba2::ea4:10b1 | ২৫ মে ২০২০ ১০:১৭93636
  • |
    ঈড১৯
    |
    , |
    |
    |
  • প্রসেনজিৎ বিশ্বাস | 2409:4060:219f:dba2::ea4:10b1 | ২৫ মে ২০২০ ১০:২১93637
  • একজন সচেতন এবং উন্নত চিন্তাভাবনার নাগরিকের যা কর্তব্য তুমি সেটাই করেছো এই জন্য প্রথমেই তোমাকে সাধুবাদ জানাই|
    তুমি এবং তোমার পরিবারের সকলের বিশেষ করে তোমার দাদু যিনি হসপিটালে ছিলেন এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরেছেন তোমাদের থেকে এই COVID19 সম্বন্ধে বিশেষ তথ্য পাওয়া এবং হলে কি কি করনীয় তার সম্বন্ধে অবগত হলাম কারণ
    আজ পর্যন্ত যে ধারণা ছিল তার টেলিভিশন মারফত আর আজ যা পেলাম তা প্রত্যক্ষের কাছ থেকে|
    সবথেকে বড় বিষয় যে বা যারা বিরূপ মন্তব্য করেছে বা করছে তারাও আজ তোমার থেকে কোননা কোন ভাবে উপকৃত,হয়তো তারা সেটা প্রকাশ্যে বলবেনা|
    আর হসপিটালের উন্নত পরিষেবার কথা শুনে বেশ আশ্বস্ত হলাম|
    আরেকটিবার ধন্যবাদ তোমাকে এবং তোমার পরিবারের সকলকে এই যুদ্ধে জয়ী হবার জন্য
  • পরমেশ | 2401:4900:188a:a566:db75:d375:e9e2:d259 | ২৫ মে ২০২০ ১০:৩৬93640
  • করোনার সম্বন্ধে বেশিরভাগ খবরই আসলে গুজব। আর এর জন্য সবথেকে বেশি দায় মিডিয়ার। এদের প্রচার মানুষের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করেছে, করোনা রোগী আর তার বাড়ীর লোকজন কে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে শিখিয়েছে। তবু সমাজে কিছু মানুষ আছেন যাদের নিজেদের চিন্তা ভাবনা আছে। যারা অন্যের কথায় চালিত হননা। মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের জন্য রইলো ভালোবাসা আর অভিনন্দন। 

  • বৈশাখী দাস মুখোপাধ্যায় | 2402:3a80:a93:feb0:aa9e:e5b2:b51d:1527 | ২৫ মে ২০২০ ১১:১৮93642
  • খুব ভালো লাগলো সবাই সুস্থ আছেন জেনে। এরকম ইতিবাচক মনোভাব ই পারে সব বাধা বিপদ জয় করতে।সত্যি কভিড তো একটা রোগ, তার জন্য রোগী বা তার বাড়ির লক অপরাধী কেনো হবে? 

  • পিয়ালী নাগ। | 2409:4060:189:5b19:30c7:1bb9:64a5:dfa3 | ২৫ মে ২০২০ ১৩:০৩93644
  • সুস্থ থাকুন ও ভালো থাকুন।।জীবনে চলার পথে এমন অনেক মানুষ নামক অমানুষ কে দেখবেন।।তাদের চিনে রাখুন আর বর্জন করুন আনন্দের সাথে।।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন