এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • লকডাউন, হিন্দুত্ববাদীদের ভূমিকা, পুলিশের লাঠি, কাশ্মীরের সুখবর

    শুভাশিস মৈত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২২ মে ২০২০ | ২৯৪৮ বার পঠিত
  • কারও পৌষমাস কারও করোনাভাইরাস। এলোমেলো করে দে মা লুটে-পুটে খাই-ও বলতে পারেন আবার মাৎস্যন্যায়য়-ও বলতে পারেন। ভাইরাস হানার সুযোগ নিয়ে একজন যদি অর্ডিন্যান্স জারি করে কাজের সময় বাড়িয়ে ৮ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা করছে, তো আরেকজন তখন সব রাষ্ট্রায়ত্তসংস্থা সাজিয়ে নিয়ে লে লে বাবু ছ’আনার জৈষ্ঠ্য সেলের বাজার বসিয়ে দিয়েছে। সংসদ বন্ধ। বিরোধীরা টিম-টিম। রাজনৈতিক সভার অনুমতি নেই। এরচেয়ে ভালো সুসময় আর কী হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী টিভিতে বললেন, জিডিপি-র ‘করিব করিব’ ১০ শতাংশ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এখন দেখা যাচ্ছে, বিরোধীরা হিসেব কষে দেখাচ্ছেন, সেটা প্রকৃতপক্ষে জিডিপির ০.৯১ শতাংশ। অভিযোগ উঠেছে, মাইগ্র্যান্ট শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ ১০০ টাকায় সাড়ে ১২ পয়সা। যদিও এখনও বেশ জোর গলায়ই স্লোগান শোনা যাচ্ছে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’।

    ভিয়েতনাম, লাওস, কিউবা এবং আমাদের কেরল; কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দক্ষতা এবং মানবিকাতার নজির সৃষ্টি করে অনেকদিন পরে বামপন্থীরা ফের আলোচনায়। লকডাউনের গত ৬০-৬৫ দিনে এটা একটা বলার মতো ঘটনা অবশ্যই। এবং লকডাউনের প্রায় ষাট দিন পর, আমরা জানতে পারলাম বাংলার প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ ভিন রাজ্যে আটকে আছেন, যারা ফিরতে চান। তাদের জন্য নাকি ১০০টা মতো ট্রেন রেডি করতে রাজ্য সরকার তৎপর। ১০০টা ট্রেনে ১৭ লক্ষ মানুষকে আনতে হলে একেকটা ট্রেনে ১৭ হাজার মানুষকে আনতে হয়ে। রাজ্য সরকার অবশ্য বলেছে একেকটা ট্রেনে নাকি আসবেন ১২০০ জন করে। এই যে অঙ্কটা মিলল না, তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।

    মাথাব্যথা অবশ্য কার-ই বা আছে! থাকলে চার ঘণ্টার নোটিসে প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করতেন না। অনেকে এখন তাঁকে মজা করে বলছেন ‘টিটোয়েন্টিপিএম’। খেলার ব্যাকরণ মানার দরকার নেই। বল, পিচ যেমনই হোক, তাড়ুয়ার মতো ব্যাট চালাও। লাগলে চার-ছয়। লোকে বলবে চাণক্য। লোকে বলবে ৫৬ ইঞ্চি। লোকে বলবে ফির একবার মোদি সরকার। না লাগলে? আরে ৩০০-এর বেশি আসন আছে তো হাতে! রাজ্যসভায় একটু খিচ খিচ আছে। কিন্তু সিবিআই-ইডি আছে না! ওইসব খিচ-খিচকে কী করে মুচকি হাসিতে পরিণত করতে হয়, সে আমাদের জানা আছে। ৩০০-এর বেশি সিটও পাব আবার ওসব অসংগঠিত-ফংগঠিত-ও দেখব, অত হয় না। আর উল্টো দিকে আছেই বা কে কথা বলার!

    ভোটে হেরে গিয়ে, মধ্যেপ্রদেশে পিছনের দরজা দিয়ে সরকার গড়ার জন্যই লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হয়েছিল। সময় থাকতেও, দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে সেই সময় নষ্ট করে তারপর তাড়াহুড়ো করে আচমকা ঘোষণা, যাতে বিপাকে পড়তে হল কয়েক কোটি ভারতবাসীকে। এই কাজ ক্ষমাহীন অপরাধ হিসেবেই ইতিহাসে লেখা থাকবে। লেখা থাকবে নোটবন্দির পাশেই, ‘তুঘলকি-দুই’ হিসেবে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে কোভিড-১৯ বিষয়ে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছিলেন বিরোধীনেতা রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী রাহুলের চিঠিকে যথারীতি কোনওই গুরুত্ব দেননি। বিজেপি এখন আর রাহুলকে কোনও গুরুত্ব দেয়ও না। এই পরিস্থিতি অবশ্য রাহুল নিজে অনেক পরিশ্রম করে এবং কংগ্রেসের নেতারা নিজেরাই হাতে ধরে যত্ন করে তৈরি করেছেন।

    বিজেপির প্যাঁচ-পয়জারে এবং কয়েক কোটি টাকার রিসর্ট পলিটিক্সের অন্ধকারে মধ্যপ্রদেশে ১৫ মাসের কংগ্রেস সরকার যখন পতনের মুখে, সেই সময়, ১৬ মার্চ মধ্যপ্রদেশে করোনার কথা বলে স্পিকার বিধানসভা বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিল ফ্লোর টেস্টের, যে পরীক্ষায় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের জেতার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, মধ্যপ্রদেশের কুর্সি হিন্দুত্ববাদীদের মুঠোয়, সেই ১৯ মার্চ রাতেই নরেন্দ্র মোদি টেলিভিসনে এসে বললেন ২২ মার্চ জনতা কার্ফিউ। বললেন থালা বাজাও।

    এর পর ২৩ মার্চ, চতুর্থবারের জন্য মধ্যপ্রদেশের সিংহাসনে বসলেন শিবরাজ সিং চৌহান। দিল্লির গোহারা হারের জ্বালায় কিছুটা গরুমার্কা মলম পড়ল। কী আশ্চর্য, ঠিক তার পরের দিন প্রধানমন্ত্রী টেলিভিসনের সামনে এসে বললেন, ২১ দিনের জন্য লকডাউন ‘লক কিয়া যায়ে’।

    সেই থেকে চলছে। এখন আমরা লকডাউনের চতুর্থ পর্বে। এই চারদফার লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকরা মল-মিডিয়া-মেকইনইন্ডিয়ার ফাঁপা জৌলুসের কার্পেটের নীচে লুকিয়ে রাখা এক অন্য ভারতকে দেশের মানুষের চোখের সামনের এনে দাঁড় করিয়েছেন। রাস্তায় নেমে নিঃশব্দে, নীরবে যে ন্যায়, নীতি, মানবিকতার প্রশ্ন তাঁরা আমাদের সামনে রেখেছেন, তার জবাব আমাদের জানা নেই।

    আমাদের দেশে রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বিরোধীপক্ষের ভূমিকায় সোস্যাল মিডিয়া। যার ভালো প্রভাবটাও একাংশ মধ্যবিত্তের বাইরে তেমন নেই। বামপন্থীরা নির্মম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে তাদের ভূমিকা পালনে। কেরলের যে সাফল্য, সেটা খুব বড়ো কথা। কিন্তু সেটা সরকারি সাফল্য। সরকারের বাইরে থাকা বামপন্থীরা কিন্তু তাদের কাজটা, যতটা দরকার ছিল তার বেশিরভাগটাই করতে পারেননি।

    এই লকডাউনপর্বে রাষ্ট্রের একটা নির্দয়, ভয়ঙ্কর, কুতসিৎ ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছে সোস্যালমিডিয়া। সেটা হল, গরিব মানুষের উপর পুলিশের অত্যাচার ঘটনা। কয়েকশো পুলিশি অত্যাচারের ভিডিও আপলোড হয়েছে এই সময়ে। গরিব মানুষকে লাঠিপেটা করা, রাস্তায় ফেলে পেটানো, তাদের জিনিস ফেলে দেওয়া, গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো, এমন অসংখ্য ঘটনা উঠে এসেছে সোস্যাল মিডিয়ায়। দেখে মনে হচ্ছিল ইংরেজ আমলের সেপাইরা কালা আদমি পেটাচ্ছে। ঠিকই, প্রকাশ্যে জাতীয় সড়কের উপর ঘটে যাওয়া এত বড়ো অপরাধের জন্য শাস্তি হল না কারও। কিন্তু খবর চেপে রাখা যায়নি। তাৎক্ষণিক কোনও সমাধান পাওয়া গেল না, কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকবে। আশা করব, কেউ কেউ নিশ্চয়ই ওই সব ভিডিও সংরক্ষণও করছেন।

    লকডাউনের মধ্যেই, বিশ্ব সাংবাদিকতার মানচিত্রে উজ্জ্বল হল জম্মু-কাশ্মীরের তিন চিত্রসাংবাদিকের নাম। সংঘর্ষ বিধ্বস্ত কাশ্মীরের না দেখা চেহারা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছিলেন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সংবাদমাধ্যমের তিন কাশ্মীরি ফটোগ্রাফার ‘দার ইয়াসিন’, ‘মুখতার খান’ এবং ‘ছান্নি আনন্দ’। এই সাহসী কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের হাতে উঠে এল ২০২০ সালের পুলিৎজার পুরস্কার, ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগে।

    সাংবাদিক হিসেবে আমরা এই চিত্রসাংবাদিকদের জন্য গর্বিত। দিনের পর দিন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের কাজ করে যেতে হয়। রাষ্ট্রবন্ধু-সাংবাদিকতা নিয়ে যখন দেশ জুড়ে নাগরিক সমাজের প্রশ্নের মুখে সাংবাদিকরা, তখন জম্মু-কাশ্মীরের দার ইয়াসিন, মুখতার খান ছান্নি আনন্দদের সাংবাদিকসুলভ সততার সঙ্গে পেশাগত দক্ষতার এই প্রদর্শন আমাদের সামনে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। দার ইয়াসিনের ছবি ছিল এক কাশ্মীরী নাগরিক লাথি মারছেন ‘জে-অ্যান্ড-কে পুলিস’ লেখা একটা ভ্যানের উপর। ছান্নি আনন্দের পুরস্কার পাওয়া ছবি, এক বিএসেফ জওয়ান আধা আত্মগোপন করে বাইনোকুলার দিয়ে দূরের কিছু দেখছেন। আর মুখতার খানের ছবি, আধাসেনার ছররা বন্দুকে চোখে আঘাত পাওয়া বছর ছ’য়েকের এক নিষ্পাপ শিশুর মুখ।

    এই লকডাউন পর্বেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আরও খবর আছে। জম্মু-কাশ্মীরে ফোর-জি এবং ইন্টারনেট ফিরিয়ে দেওয়া দাবিতে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য ইন্টারনেটের অধিকার ফান্ডামেন্টাল রাইটস বলতে সংবিধানে যা বোঝায় তার মধ্যে পড়ে না। ২০২০-এর জানুয়ারিতে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মত ছিল, অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখার অনুমতি দেওয়া যায় না। ক্রমাগত ইন্টারনেট শাটডাউন করা এক ধরনের ক্ষমতার

    অপব্যবহার, বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এতটুকুই নয়, সুপ্রিমকোর্ট আরও বলেছিল, বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, পেশার স্বাধীনতা, ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোনও ব্যবসা, ট্রেডিং বা রোজগারের জন্য অন্য কোনও কাজ করার স্বাধীনতা সংবিধানের ১৯(১)(এ) এবং ১৯(১) ধারায় সুরক্ষিত। এতো গেল সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষণ। এর আগে কেরল হাইকোর্ট ইন্টারনেট নিয়ে একটি একটি মামলায়, যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। ফাহিমা শিরিন বনাম কেরল সরকারের ওই মামলায় কেরল হাইকোর্টর বক্তব্য ছিল, গোপনীয়তার অধিকার এবং শিক্ষার অধিকারের নিশ্চয়তার প্রয়োজনে, ইন্টারনেটের সুযোগের অধিকার ফান্ডামেন্টাল রাইটসের মধ্যে পড়ে। গত ১১ মে, এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কেন্দ্র শাসিত জম্মু-কাশীরের সব ক’টি জেলায় ফোর-জি ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করে যে সরকারি নির্দেশিকা তার পিছনে কোনও স্পষ্ট যুক্তি নেই। তবে রাজ্যে সন্ত্রাসবাদী কাজ-কর্মের বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সুপ্রিমকোর্টে এই মামলা করেছে সাংবাদিক, বিভিন্ন স্কুলের প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাঁদের বক্তব্য হাইস্পিড ইন্টারনেট না থাকায় করোনা মোকাবিলায় অসুবিধে হচ্ছে। সাংবাদিকদের কাজের অসুবিধে তো হচ্ছেই। সুপ্রিমকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে মাথায় রেখে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ে দিয়েছে, যে কমিটি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে জম্মু-কাশ্মীরে ফোর-জি ইন্টারনেট বাতিলের সিদ্ধান্ত জারি থাকবে কি থাকবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে বেশ কঠোর ভাষায় সমালোচনা করা হয়েছে দ্য হিন্দু পত্রিকার সম্পাদকীয়তে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিমকোর্টকে যে বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়েছিল, তারা তা করেননি। জম্মু-কাশ্মীরে ফোর-জি ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করার নির্দেশ রিভিউ করার দায়িত্ব উল্টে তাদেরই দেওয়া হল যারা এটা চালু করছিলেন। এটা স্পষ্ট, দায়িত্ব পালনের জন্য যে আসনে বিচারপতিরা বসেন, সেই আসনটি ছেড়ে দেওয়া হল এক্জিকিউটিভদের জন্য। ফান্ডামেন্টাল রাইটস রক্ষা করা এবং সুরক্ষিত রাখার জন্য সংবিধানের ৩২ ধারা অনুসার যে কতৃত্ব তাঁদের হাতে দেওয়া হয়েছে, তা তাঁরা কখন এক্জিকিউটিভদের হাতে সঁপে দিতে পারেন না’।

    এদিকে গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর প্রায় ন’মাস কেটে গেল। কাশ্মীর কিন্তু স্বাভাবিক হল না। বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নরেন্দ্র মোদি সরকার উন্নয়নের যেসব প্রতুশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা এখনও অদৃশ্য। পাকিস্তান নিজেকে শুধরে নিয়ে গুডবয় হয়ে যাবে এমন আশা কেউই করেনি। কিন্তু ন’মাস পরেও যে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতিকে মুক্তি দিতে দিল্লি ভয় পাচ্ছে, তাতেই বোঝা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার যে হিসেব কষে এগিয়েছিল সে অঙ্ক এখনও মেলেনি। গুলির লড়াই চলছে। বিভিন্ন অপারেশনে যেসব সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যু হবেছে সরকারি তথ্য অনুযায়ী তারা প্রায় প্রত্যেকে স্থানীয় যুবক, পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসবাদী নয়। সরকারের নীতি যদি সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি করে তবে সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। নোদি সরকারের কাশ্মীর নীতি এই মুহূর্তে বড়ো প্রশ্নের মুখে। পাকিস্তানে গণতন্ত্র নেই। অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তানে গণতন্ত্র ফিরে আসবে এমন সম্ভাবনাও নেই। অর্থাৎ পাকিস্তান বদলাবে না। সীমান্তে পাকিস্তান নিয়েই আমাদের চলতে হবে। কূটনৈতিক দক্ষতাই এই সমস্যা থেকে আমাদের কিছুটা মুক্তি দিতে পারে। যদিও সে পথে মোদি সরকার হাঁটার চেষ্টা করলেও, তার ফল শূন্য। কিন্তু এই সব কিছুর পরেও, একটা রাজ্যকে কখনও বছরের পর বছর সেনা-আধা সেনার হাতে ছেড়ে রাখা যায় না। এত বড়ো মাপের না হলেও, প্রায় এই ধরনেরই একাধিক সমস্যা অতীতে আমাদের দেশের দক্ষ রাজনৈতিক নেতারা সমাধান করেছেন। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের মধ্যে এখনও সেই দক্ষতার ছিটে-ফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে এই হল আমাদের লকডাউনীয়-করোনাকালের কয়েকটি খণ্ডচিত্র। যা আমরা ভুলে যেতে চাই না।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২২ মে ২০২০ | ২৯৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন