এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • মধ্যবিত্ত সত্যজিৎ প্রসঙ্গে ধরতাই

    Simool Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ মে ২০২০ | ৬৯৮৫ বার পঠিত
  • সে ছিল এক রংদার কফি হাউসের দুনিয়া– এক টেবলে ভাগাভাগি করে পাশাপাশি বসে সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, কমলকুমার মজুমদার, মৃণাল সেন, সমর সেন, ও পাশের টেবলে গর্জন করছে সদ্য-ছাপা কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর প্রথাচ্যুত জোয়ান কবিদের দঙ্গল! এই ধরতাইটুকু, এই দীপ্ত আধুনিকতা এবং পঞ্চাশের দশকের কলকাতার প্রেক্ষাপট বুঝে না-থাকলে আজকের কবরখানা কলকাতায় দাঁড়িয়ে সত্যজিতের শতবর্ষ-সেলিব্রেশন অর্থহীন হয়ে যায়। যা থেকে থেকে মনে করিয়ে দেয়, ফাঁপা বুকনি কিংবা আড়ম্বরের মধ্যেও আমরা ঠিক কতখানি দীন হয়ে রয়েছি!

    সিনেমা দেখতে ভাল লাগে না একেবারেই, এক এক সময় অসহ্য ক্লান্তি! আমার সঙ্গে সত্যজিতের সেতুবন্ধ তাই নিহিত বছর বছর গোগ্রাসে উল্টোনো এক ডজন, আরও এক ডজন, আরও বারো-র ফিরিস্তিতে৷ কিংবা, শঙ্কু? তারিণীখুড়ো? বাদশাহী আংটি পড়ে প্রথম জানা সেই ভয়ঙ্কর ঝুমঝুমি-বাজানো সাপটার কথা, যাকে ইংরিজিতে র‌্যাটল স্নেক বলে! ওয়াজেদ আলি শা-র সুরে যব ছোড় চলে লখনউ নগরী, আর একদম এক উত্তরাধিকারে সত্যেন ঠাকুরের ‘কত কাল রবে বলো ভারত হে’? দার্জিলিঙে প্রথম গোয়েন্দাগিরিতে হাত পাকাচ্ছে ফেলুদা, কে এসে অবিকল ট্যাঁশ উচ্চারণে বলে গেল, তার নাম না-কি ‘মিস্টার ছ্যাঠাজি’! কিংবা, লাঠির ওপর গানের তালে তালে বুড়োর আঙুল নড়ছে– ফেলুদা জরিপ করল। ‘আপনি তো সুর বোঝেন মশাই। গান শিখতেন?’: ফেলুদার পরের উক্তি।

    যখন ছোট ছিলাম তো আরও এক মাইলস্টোন। ভিক্টোরীয় যুগ থেকে বিলেতে শুরু হল অবিশ্রাম বিনোদনঘূর্ণি– প্রমোদের নিত্যনতুন ফিকির! সেই ইমেজারি কি কখনও ভুলতে পারব, বাঙালি প্রথম এরোপ্লেন চালাচ্ছে, গড়পারের ছাদে বিমান থেকে উড়ে এল কয়েকটি বাটার বিজ্ঞাপনের হ্যান্ডবিল! বিশ শতকের আধুনিকতার চেহারাও বোধ হয় এমনটিই ছিল। বাঙালির আধুনিক হয়ে ওঠার ধরতাই– বাড়ির বউরা আইসক্রিম বানাচ্ছেন, ম্যাজিক বলে একটা আর্ট ফর্ম উঠে আসছে, চোঙায় মুখ ঢুকিয়ে রবীন্দ্রসংগীতের রেকর্ড বের করছেন কনক বিশ্বাস! বিচিত্র জিনিসের পসরা বুভুক্ষু খদ্দেরদের জন্য বাজারে ছয়লাপ, সে দিনই আবার আবিষ্কার করলাম, গ্রামোফোনের তুতো ভাই পিগমিফোন আর কিডসফোন, রেডিওর যমজ ছোড়দা ক্রিস্টালসেট! কী একটা যন্ত্র, তার দুটো খোপ, চোখে চেয়ে দেখলে একটা আস্ত সিনেমা-ই দেখা যায় না কি! মধ্যবিত্তের রসনা গজিয়ে উঠছে, আর পরিপাকের জন্য বিলোতফেরত আশ্চর্য সব পণ্যের সওদায় বাঙালির বাজার থইথই। বিশ শতকের কলকাতায় এ’ এক অন্যতর আধুনিকতার আখ্যান।

    এই আধুনিকতা মধ্যবিত্ত নির্মাণ করে। সেই মধ্যবিত্ত যতটা কনজিউমার, ততটাই নাগরিক– তার নিজস্ব রুচির পরিসর গড়ে ওঠে। সে হাঁ করে চেয়ে দ্যাখে ক্যালাইডোস্কোপ, মজে ম্যাজিক লণ্ঠনে। সত্যজিতের মত মিডল ক্লাস বাঙালির নাড়ি কে-ই বা বুঝতেন আর! সত্যজিৎ নিজে সারা জীবন ছোটদের জন্য সিনেমা বানিয়ে গেলেন, শঙ্কুর জান হল গিরিডি, তার থেকে বেরোনো অসম্ভব। স্টেটসম্যান, সকালে উঠে যোগ, ভাল সিগারেট ইত্যাকার নানা কেতাদুরস্ত সাহেবি চলনে প্রদোষ মিত্র থইথই– কিন্তু তার মানে তো পণ্য-প্রগলভতায় গা ভাসানো নয়! সামান্য শৌখিন স্টেটাস মেন্টেন মাত্র। বিশ্বায়নের পর বিস্ময়বোধরহিত যে বাঙালি পিগমির জেনেটিক প্রসব হল, সে জীবনের ছোট ছোট মেঘরোদ্দুর থেকে বঞ্চিত। কেন, স্বয়ং লালমোহন গাঙ্গুলি! সে’ দিন সোনার কেল্লা দেখতে গিয়ে মালুম হল, সোনার কেল্লা আসলে একটা উটের গল্প! জয়সলমীর যাওয়ার আগে ফেলুদা বার বার লালমোহনবাবুকে বলে, আপনার ভয় হচ্ছে? লালমোহনবাবু: না। ফেলুদা: আমাদের সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে। ভেবে দেখুন। লালমোহনবাবুর জবাবটা ছিল এই রকম– হলে হোক, আমি গড়পারের লোক, বিপদের ভয়ে পিছিয়ে আসব বুঝি! ওহ্, কুদোস সত্যজিৎ– ঠিক এইখানে মধ্যবিত্ত বাঙালির আত্মাটা। এখানেই সোনার কেল্লা সুদূর রাজস্থানের প্রেক্ষাপটে লালমোহনের গল্প হয়ে ওঠে। অথচ সেই একই সিনেমায় উট নিয়ে লালমোহনবাবুর আকুলতা মনে করুন। প্রথম রাজস্থান এসছেন, কত রকম আগ্রহ। কত কৌতূহল! ভয় পাচ্ছেন কাকে? মন্দার বোসকে? না, উটকে। আরাবল্লির দুর্ধর্ষ দুশমনকে লালমোহনবাবু (এই ‘বাবু’ উপাধি যার নির্বিকল্প লেজুড়বিশেষ) ডরান না, কিন্তু উটে আরোহণ করতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে নাস্তানাবুদ হন! ক্লাইম্যাক্সেও লালমোহন বিশেষ ভয়টয় পান না, একটু আনস্মার্ট হয়ে পড়েন মাত্র। মধ্যবিত্তের নাড়ি বোঝায় ওখানেই সত্যজিতের জিনিয়াস।

    সত্যজিতের গল্পের চরিত্ররাও তো যাপনে সার্থক মধ্যবিত্ত। কিছুতেই ভুলতে পারব না টেরোড্যাকটিলের ডিম– যেখানে ‘অর্থ নয় কীর্তি নয় সচ্ছলতা নয়’– কেরানি জীবনের এক মাত্র সার্থকতা প্রতিবন্ধী ছেলেকে গল্প শোনানোয়। ট্রামের ঘটাংঘট, নিস্তরঙ্গ গঙ্গার ঘাট, খেই ধরিয়ে যায় সন্ধের কলকাতা৷ ঠিক যেমন, পটলবাবু, কী নিবিড় বিশ্বাসে বলে ওঠেন, ‘আঃ!’ অথচ মধ্যবিত্তর চশমাচোখে আলাস্কা ও অরোরা বোরিয়ালিস, বাঁশবাগানে বঙ্কুবিহারী দত্তেরও কি ঠিক এমন হয় নি? এঁদের প্রত্যেকের পা মাটিতে, অথচ অভিজ্ঞতা এমন, যা আন্তর্জাতিক! বিষফুল, মাংসাশী গাছ থেকে অদ্ভুত ঐতিহাসিক-অনৈতিহাসিক সব প্রত্নবস্তুর ঠিকেদার বাতিকবাবু– মধ্যবিত্ত খোপে রং বুলিয়ে গেল বিশ্বচরাচর– যেন গড়পারের ছাদে এরোপ্লেন থেকে আছড়ে পড়ছে বাটা কোম্পানির হ্যান্ডবিল! আবার যেখানে স্খলন, মধ্যবিত্ততার পরাজয়– সেখানে তো ক্রূর শাস্তিও জুটেছে, ‘মিস্টার শাসমলের শেষ রাত্রি’ তো কেয়ামত ঢঙেই এন্তেকালের ব্যাকড্রপে ছিল, না? সোনার কেল্লায় একটি ময়ূর ওঠে সেই চাবি যেখানে লেখক বুঝিয়ে দেবেন কে দুষ্টু লোক আর কে নয়– মূল্যবোধের নিক্তিতে।

    মিডল ক্লাসের টুকরো রূপকথা সত্যজিৎ রায়ের জাদুকৌটোয় রক্ষিত। সত্যজিতের গল্পের মধ্যবিত্ত চরিত্ররা নিঃসঙ্গ। আর, অনাদৃত ও নিরালা ঝাড়খণ্ড যেন সত্যজিতের গল্পের রেকারিং ট্রোপ! শঙ্কুর বসত গিরিডিতে, রতনবাবু যান সিনি। হবরখত উঠে আসে মধুপুর, রাঁচি, হুড্রু ফলস। একলা-দের জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে যায়। তারই মধ্যে বিদ্যুচ্চমকের মত বেদনার খতিয়ান। সেই মোলাকাত মনে আছে, কমলকুমার আর সত্যজিতে? সত্যজিৎ রোজ রাতে হাঁটতে বেরোন, রোজ রাতে দ্যাখেন কমলকুমার জানলার শিক ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। হাঁপানির রুগী। ‘বললাম, চিকিৎসে (এক্কেরে এই ঘটি উচ্চারণটাই ছিল) করান না?’ কমলবাবুর উত্তর, ‘না। সাফারিং-এর মধ্যে একটা গ্র্যাঞ্জার আছে।’

    সত্যজিৎ নিয়ে এতাবৎ লেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ তাত্ত্বিক লেখাটিতে শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছিলেন, স্মরণমনে কী ভাবে বিশৃঙ্খলা ঘনিয়ে আসে, পদের অনুক্রম উল্টেপাল্টে যায়, পদ ও অর্থের সাযুজ্য ধাক্কা খায়– গড়ে ওঠে বড় ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের দলিল। সত্যজিতের সিনেমায় চরিত্রগুলির কাঁধে ঐতিহাসিক কর্জে চাপানো বিপুল মধ্যবিত্তির বোঝা– তার এসকেপ রুটের খোঁজ চলে, যে অভিযানের শেষে সে-ও বলতে পারে রাজকুমারের মত– তলায় গেছে তার ভগ্নতরী, নতুন কূলে সে উপনীত।

    আজ সত্যজিতের একশো। আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অন্যতম রেনেসাঁপুরুষেরও একশো। বোকাবাক্স আসারও আগে সত্যজিৎ জানতেন, কী ভাবে আটপৌরে গেরস্থালিতে ধরা দেয় বিশ্বচরাচরের চলনছবি! মনে পড়ে অন্য কলকাতা, মনে পড়ে, স্বয়ং সুভাষ মুখোপাধ্যায়! রাসবিহারীতে প্রিয়া সিনেমার সামনে পাঞ্জাবির পকেটে আলগোছে হাত ঢুকিয়ে দাঁড়ানো সুভাষ মুখোপাধ্যায়– ভদ্রলোক মস্কো যাওয়ার তোড়জোড় করছেন! মধ্যবিত্তকে নিয়ে তো অনেক অতিকথাও জন্মায়। বাহাত্তর নম্বর বনমালি নস্কর লেনে আত্মগোপনকারী ঘনশ্যামবাবু যে বালি থেকে বোর্নিও চষে বেড়ানো এক কিংবদন্তি ঐতিহাসিক চরিত্র, তা-ই বা কে জানত?

    দিনকয়েক আগে এক শিক্ষকের মুখে কিসসা শুনছিলাম৷ নব্বইয়ে দশকে আদিগঙ্গার তীর ঘেষে, সম্ভবত চেতলার পাড়ে, একটি সিনেমা হল৷ নামটা ভুলে গেছি। প্রদীপ? বিদেশি সিনেমার আড়ত। সে হলের পাশে দুপুর বেলা নিয়ম করে আদিগঙ্গায় বান ডাকে৷ আর ভরা কোটালের জল ফুঁসে উঠলেই তো কেলেঙ্কারি– সিনেমা হলে ঢুকে আদিগঙ্গার ঘোলা জল একেবারে থইথই– সিটে পা মুড়ে উঠে বসতে হয়! এ দিকে পর্দায় তখন চলছে কোনও দুর্দান্ত লাতিন আমেরিকান ছবি।

    হ্যাঁ– কসমোপলিটান এই কলকাত্তাইয়া আন্তর্জাতিকতারও ডাকনাম ছিল সত্যজিৎ রায়!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০২ মে ২০২০ | ৬৯৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • সম্বিৎ | ০৩ মে ২০২০ ০৭:৫৫92936
  • "এক টেবলে ভাগাভাগি করে পাশাপাশি বসে সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, কমলকুমার মজুমদার, মৃণাল সেন, সমর সেন, ও পাশের টেবলে গর্জন করছে সদ্য-ছাপা কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর প্রথাচ্যুত জোয়ান কবিদের দঙ্গল!"

    - তাই?

  • Somnath Roy | ০৪ মে ২০২০ ০০:২০92977
  • মধ্যবিত্তর সত্যজিৎ বলতে গেলে প্রফেসর শঙ্কুর বিজ্ঞানচেতনার কথা আসবে।  এটাসেটামিক্স করে কিছু একটা ভেলকির নাম বিজ্ঞান, এই বোধটা মধ্যবিত্তর খুব আরামের জায়গা।
    ফেলুদার ঘ্যাম নেওয়া, লালমোহনকে হ্যাটা করাও আরেকটা আরাম। তেমনি কী হইতে কী হইয়া গেল টাইপের ডিটেকশনও।

  • Somnath Roy | ০৪ মে ২০২০ ০০:৩২92979
  • বাই দা ওয়ে, প্রদীপে তো পানু দেখতে যেত লোকে, সেগুলো বিদেশি সিনেমার কাটিং ছিল বটে, লাতিন আমেরিকান ্কি?

  • S | 162.158.107.212 | ০৪ মে ২০২০ ০০:৩৭92980
  • প্রদীপের বানের কিসসা এই সেদিন শুনতে হল? এই গল্প তো ২৫ বছর আগে স্কুলের বন্ধুরাই বলেছিল যারা ওখানে যেত পানু দেখতে। সেজিনিস যে সত্যজিত রায়ের প্রবন্ধে জায়্গা পাবে জানলে ফালতু কথা বলে উড়িয়ে দিতাম না তখন। প্রদীপ, নবীনা, খান্না ছিল তখন এইসব "অ্যাডাল্ট" সিনেমার দেখার জায়্গা। পরে তো ইন্টারনেট আবিষ্কার হল।
  • কমলবাবুরা তো | 141.101.98.133 | ০৪ মে ২০২০ ০০:৫৮92981
  • লর্ডসে বসতেন , আর তরুন তুর্কীরা কালেজ স্ট্রীটের কমন্স -এ | কেও এট্টু কনফার্ম করুন তো !
  • #$%^&*( | 162.158.23.88 | ০৪ মে ২০২০ ০১:১১92983
  • প্রদীপে এইসব হতো নাকি? আমাদের সময় তো পানু আসতো শুধু, তাও ফিলম ফেস্টের আঁতেল পানু নয়, একেবারে খোড়ো পানু।
    আর প্রদীপের গৌরবের দিনে আসতো বাণিজ্যসফল হিন্দি সিনেমা (দক্ষিন কলকাতার কুলীন হলগুলিতে যখন বাংলা সিনেমার বেশি আধিপত্য - এইটা কল্লোলদা খুব ভলো বলতে পারবে)। আমাদের সময় আঁতেলরা ওর পাশে বাংলুর ঠেক পেরিয়ে ওদিকে তাকাতো না পর্যন্ত।

    ঐ শিক্ষক ভদ্রলোক সত্যটাকে একটু বিনির্মাণ করেছেন মনে হয়।
  • atranya | 162.158.63.143 | ০৪ মে ২০২০ ০৬:৫৪92992
  • সত্যজিতের গল্প-উপন্যাসের স্মৃতিচারণ ভাল লাগল, এককালে গোগ্রাসে গিলতাম ফেলুদা, শংকু, আরও সব ছোট গল্প। 'খগম' গল্পটা বিশেষ প্রিয় ছিল।

    সিনেমা হল প্রসঙ্গে, ১৯৮০-র গ্রীষ্মে টালিগঞ্জে ছিলাম মাস খানিক, তখন নবীনা হলে বেশ কটা হলিউডি ইংরেজি সিনেমা দেখেছিলাম। একটার নাম মনে আছে - ব্ল্যাক বেল্ট জোনস। এয়ারকন্ডিশনড হল ছিল সেই যুগে
  • aranya | 108.162.219.239 | ০৪ মে ২০২০ ০৭:৪৪92993
  • সন্দীপন-এর একটা উক্তি মনে পড়ল - ৫০-৬০ -এর দশকে, বাংলায় মিনি রেনেসাঁ নিয়ে - 'বাঙালী ভাবল, আর একবার দেখিয়ে দি, এবং দেখিয়ে দিল'।
  • b | 162.158.50.241 | ০৪ মে ২০২০ ০৮:২৯92995
  • আমার এক মাস্টারমশাই বলতেন, সেও এক অদ্ভুত পানু। এমনি একটা অত্যন্ত খাজা হিন্দি সিনেমা চলছে, চলছে, কোথাও পানুর নাম ও নিশান কিছু নেই, সবাই ভাবছে ধুর শালা বাড়ি যাই, হঠাৎ মাঝখানে একটা এলিয়েন বিদেশি সিনেমা, ভাষা পুস্তু থেকে লাটভিয়ান যা খুশি হতে পারে, তার একটা রগরগে বেড সিন। আবার দশ মিনিট পরে ব্যাক টু হিন্দি সিনেমা।
    আরেকটা অদ্ভুত ব্যাপার হত। কোথা থেকে পিলপিল করে লোক ঢুকে পড়ত ঐ দশ মিনিটের জন্যে। আবার ঐ দশ মিনিট শেষ হলে তারা মিলিয়ে যেতো।
  • dc | 162.158.50.219 | ০৪ মে ২০২০ ০৮:৩৩92996
  • প্রদীপ আর খান্নায় হিন্দি সিনেমা দেখাতো, মাঝে মাঝে এক দু মিনিট পানু গুঁজে দিতো (পানটা খেয়াল করবেন)। আর এলিট আর সোসাইটিতে ইংরিজি সিনেমার ফাঁকে ফাঁকে। গড়িয়াহাটেও কি একটা যেন হল ছিলো, নাম ভুলে গেলাম।
  • Atoz | 162.158.187.160 | ০৪ মে ২০২০ ০৮:৪৩92997
  • আপনারা দুজনে যখন বললেন, তখন মোটামুটি প্রমাণিত যে সত্যি সত্যি এরকম কান্ড হত!!!!! ঃ-) ঐ লোকগুলো কি সত্যি? ভুতের মতন আসতো, আবার মিলিয়ে যেত? ঃ-)
  • dc | 162.158.50.241 | ০৪ মে ২০২০ ০৯:০২93000
  • আরে এগুলো একদম সত্যি, একেবারে নিজের চোখে দেখা! :p

    আর বি যেটা বললেন সেটা আমিও অনেক সময়ে খেয়াল করতাম, বন্ধুরাও বলতো। ঠিক ঐ সিনগুলোর সময়ে অনেকে আসতো, আর ওগুলো হয়ে গেলেই আবার বেরিয়ে যেতো। যদ্দুর মনে পড়ে, ওনারা বেশীর ভাগ লোকাল লোকজন হতেন, বোধায় অনেকবার দেখে দেখে জেনে গেছিলেন ঠিক কখন দেখাবে।
  • S | 162.158.106.173 | ০৪ মে ২০২০ ০৯:০৬93003
  • সে এক দিন ছিল বটে। পানু দেখার জন্য পয়সা দিতে হত। ভাবা যায়। কে বলে মানুষের উন্নতি হয়নি।

    ক্যালকাটা ফিলিম ফেস্টিভালে অনেকে ঐসব সীন দেখতে যেত। আমার এক বন্ধু পানু সীন দেখবে বলে ফেস্টিভালে গিয়ে কেঁদে টেঁদে বাড়ি ফিরেছিল। সে নাকি এমন ভালো সিনেমার আর খুব ইমোশানাল প্লট।
  • | ০৪ মে ২০২০ ০৯:১৬93006
  • ইসে আবাপয় পড়েছিলাম মনে হচ্ছে রায়বাবু ক-কু-ম এঁয়ারা সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউএর কফি হাউসে আড্ডা মারতেন আর সুনীল শক্তিরা।, 

    তা এদের পাশাপাশি টেবিলে বসালেন কী করে? 

  • | ০৪ মে ২০২০ ০৯:১৭93007
  • ইসে আবাপয় পড়েছিলাম মনে হচ্ছে রায়বাবু ক-কু-ম এঁয়ারা সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউএর কফি হাউসে আড্ডা মারতেন আর সুনীল শক্তিরা কলেজ স্ট্রীট কফি হাউসে।

    তা এদের পাশাপাশি টেবিলে বসালেন কী করে? 

  • সম্বিৎ | ০৪ মে ২০২০ ১০:০২93008
  • অবভিয়াসলি মানিকবাবু, শাঁটুলবাবু, কমলবাবু, ফর্সামতন ভদ্রলোক প্রমুখরা বসতেন সেন্ট্রাল আ্যভিনিউয়ের লর্ডসে। তাও লাঞ্চে, কারণ কমলবাবু ছাড়া সবাই প্রায় সদাগরি আপিসের চাকুরে। তবে পাশের কখনও কখনও সেখানে অন্য টেবিলে উৎপল দত্তকে দেখা যেত, হয়ত সঙ্গে রবি ঘোষ প্রমুখ নাটুকেরা। মৃণাল সেন, ঋত্বিক, সলিল চৌধুরী, হৃষিকেশ মুখার্জিদের ঠেক ছিল কোন একটা চায়ের দোকান, ভুলে গেছ।

    সুনীল, শক্তিরা কলেজ স্ট্রিট কফি হাউজ, ও সন্ধ্যেয় অনেক সময়েই খালাসিটোলা বা বারদুয়ারি। কমন বলতে কমল মজুমদা।  

  • সম্বিৎ | ০৪ মে ২০২০ ১০:০৩93009
  • ... ভুলে গেছি।

  • o | 108.162.219.209 | ০৪ মে ২০২০ ১০:২৭93010
  • ঋত্বিকগণ প্যারাডাইস কাফেতে।

  • avi | 172.69.135.241 | ০৪ মে ২০২০ ১৩:২৩93012
  • দশ মিনিটের জন্য হুড়মুড় করে ঢোকা প্রসঙ্গে শুনেছি সিনেমার পোস্টারে হাতে লেখা আরো ছোট ছোট সময় লেখা থাকত। বারোটার সিনেমা হলে ১২:৩৫, ১:১৭ এইসব লেখা থাকত। লোকজন বাইরে দাঁড়িয়ে বিড়ি খেতে খেতে ঘনঘন ঘড়ি দেখতেন। সময় হলেই সবাই মিলে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়তেন।

  • ভাস্বতী | 122.163.84.108 | ১৫ আগস্ট ২০২০ ১৬:৩৫96284
  • হঠাৎ পর্দায় ফুটে উঠতো " গঙ্গায় বান আসিয়াছে, পা তুলিয়া বসুন " । সবাই পা তুলে বসলো , সিট এর তলায় কুলকুল জল ।

  • এলেবেলে | 202.142.96.234 | ১৫ আগস্ট ২০২০ ১৮:৩৪96289
  • শিমূল বন্ধু মানুষ, বয়সে অনেক ছোট, চমৎকার ঝরঝরে গদ্য লেখেন। কিন্তু এই লেখাটায় যাকে বলে আদিখ্যেতার হদ্দমুদ্দ করেছেন। একে তো সত্যজিৎকে মৃণালের সঙ্গে এক টেবিলে বসিয়েছেন, তায় উল্টোদিকে আবার কৃত্তিবাসীরা। মানে সব মিলিয়ে প্রথমেই ঘেঁটে ঘ!

    দ্বিতীয় ঘেঁটে যাওয়া জিনিসটা হচ্ছে বাঙালির রেনেসাঁস প্রেম। শিমূল এখানে শিবাজী বন্দ্যো-র প্রসঙ্গ এনেছেন বলে তাঁকেই অনুসরণ করে বলি, উনিশ ও বিশ শতকে বাঙালির শব্দভাণ্ডারে যে গুচ্ছ রি-প্রিফিক্সওয়ালা (যেমন রিফর্মেশন, রিকন্সট্রাকশন, রিসার্চ) শব্দ ঢুকে যায়; সেই শব্দগুলো অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে সুশোভন সরকারের বাংলার রেনেসাঁস-এ এসে। এই বস্তুটি নিয়ে মধ্যবিত্ত বাঙালির যুগপৎ উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনার পরিমাণ এতটাই বেশি যে, তার সীমানা নির্ধারণে বাঙালির বারে বারেই ভুল হয়ে যায়।

    কেউ শুরু করেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠাকাল থেকে (ডেভিড কফ); কেউ বা রামমোহনের কলকাতা আগমন থেকে আর বাকিরা হিন্দু কলেজ স্থাপন করা থেকে। এঁর প্রতিভূরা পাইকিরি হারে রামমোহন-বিদ্যাসাগর হয়ে বঙ্কিম-বিবেকানন্দতে এসে পড়েন; অনেকে শেষ করেন রবি ঠাকুরে এসে। এখন সে ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ সময়কালীন নাকি তাঁর মৃত্যু অবধি - সে নিয়ে ধোঁয়াশা মোটে যখন যেতে চাইছে না, তখন বাঙালি মধ্যবিত্তের রুচি ও সংস্কৃতি নির্মাণের স্বঘোষিত ঠিকাদার আনন্দবাজার পত্রিকাগোষ্ঠী এই আচাভুয়া বস্তুটিকে সম্প্রসারিত করে দেয় সত্যজিৎ অবধি। বলা বাহুল্য, শিমূল এই আনন্দবাজারি ব্যবসার পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন এবং প্রত্যাশামাফিক ফেঁসেছেন!

    আমি শুধু ফেলুদাকে সোনার কেল্লাতে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছি কারণ নমুনা হিসবে এটি এতই উৎকৃষ্ট যে এই এক ছবি দিয়েই গোটা জঁর-টাকে নির্ধারণ করা যায়। ফেলুদা আসলে ঠিক সেই নিক্তি মাপা সাহেব বাঙালি, যা বাঙালি মধ্যবিত্তের বিশেষত রেনেসাঁস নিয়ে ল্যালাপনা দেখানো বাঙালির পরম আদরের ধন। বাঙালিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয় এই ফেলুদাই তোমার আদর্শ, মুকুলের বাবার মতো ছাপোষা বাঙালির যাপন তোমার কাঙ্ক্ষিত বা বাঞ্ছিত হতে পারে না।

    ফেলুদা সময়নিষ্ঠ। অ্যাালার্ম বাজলে তার ব্যায়াম শেষ হয় (মানে শরীর সচেতন); তারপরে ডালমুট দিয়ে মকাইবাড়ির চা পেঁদিয়ে আয়েস করে একটি চারমিনার ধরায়। পেছনে শোভিত হন যামিনী রায়, বৈঠকখানাটিও বিলিতি কায়দায় সজ্জিত। গোটা গল্পে (এবং সিনেমায়) প্রবলভাবে উপস্থিত থাকে রেনেসাঁসের অন্যতম চরিত্র লক্ষণ 'অজেয় পৌরুষ' (ঋণ: রবীন্দ্রনাথ)। ছবিতে মহিলা চরিত্র থাকে না, থাকলেও তাঁদের জন্য কোনও সংলাপ বরাদ্দ হয় না।

    ছাপোষা বাঙালির ছেলে মুকুল নতুন কোট-প্যান্টালুনে আদৌ অস্বস্তি বোধ করে না এবং এই কোট-প্যান্টালুন ছবিটির প্রায় প্রতিটি বাঙালি চরিত্রের আবশ্যিক পোশাক হয়ে ওঠে। মন্দার বোসকে জ্যাকেট গায়ে চাপাতে হয় কেবলমাত্র ফেলুদাকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য। এমনকি যে লালমোহনবাবু কানপুর স্টেশনে মাফলার-মাঙ্কিক্যাপে সজ্জিত থাকেন (এ জিনিস আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘাতেও দেখব), তিনিও ফেলু-তোপসের সঙ্গগুণে (নাকি দোষে?) পুরোদস্তুর সাহেব বনে যান!

    ফেলুদা হোটেলে নয়, সার্কিট হাউসে ওঠে (মানে ওপরমহলে যোগাযোগ যথেষ্ট)। তৈরি হতে মিনিট তিনেক সময় নেয়। তোপসে ট্রেনে ব্রেকফাস্ট খায় বিলকুল বিলিতি কায়দায়। মাঝে ভাঁড়ে করে চা যতটা বাঙালিত্ব না বোঝাতে, তার চেয়ে অনেক বেশি লালমোহনবাবুকে জ্ঞান দিতে যে চা-টা আসলে উটের দুধে তৈরি! এবং ফেলু-তোপসের লাগেজও হয় সাহেবদের মতোই, লালমোহনবাবুর মতো কুলি-ফুলি তাঁদের লাগে না।

    লালমোহনবাবু ক্রমেই একটি ক্যারিকেচারে পরিণত হন। বাঙালি কিশোরকিশোরীরা যে আদতে গোয়েন্দা গপ্পের আড়ালে পিটুলিগোলা খাচ্ছে, সেটা বোঝাতে প্রথমে উল্লিখিত হন উইলিয়াম হার্শেল (রেনেসাঁ-পুরুষ বিদ্যাসাগরের প্রিয় চরিত্র কি না!) এবং ট্রেনে বসে ইংরেজি বইয়ের পাতা উল্টাতে উল্টাতে উটের পাকস্থলী নিয়ে আরেক প্রস্থ জ্ঞান বিতরণ হয়! আমাদের ছোটবেলায় আনন্দমেলায় মার্কামারা ভালো ছেলেদের (মেয়েদের নয়!) প্রিয় লেখক ছিলেন শংকর ও সত্যজিৎ (কে হায় হৃদয় খুঁড়ে...) কারণ তাতে নাকি 'অনেক কিছু জানা যায়'। তো সত্যজিৎ লালমোহনবাবুর মাধ্যমে এন্তার জিকে সাপ্লাই দিতে থাকেন (মনে করুন বোর, ক্যালিবার)।

    কিন্তু গোটা গল্পই আবর্তিত হয় এক অবিশ্বাস্য গাঁজাখুরি (জাতিস্মর) নিয়ে। রাজস্থানের নয়নলোভন পটভূমিতে সত্যজিৎ এই গল্পকে ফেলেন বোধহয় এই দুর্বলতাটাকে ঢাকতেই। যেমন রেনেসাঁর প্রাথমিক ঢক্কানিনাদ অবশেষে হিন্দু পুনরুত্থানবাদে শেষ হয়; অবিকল একই ভাবে দেবীর সত্যজিৎ সোনার কেল্লায় থিতু হন! পারিশ্রমিকের ধার এক্ষেত্রে ধারে না ফেলু মিত্তির যদিও তাঁর মক্কেলরা বেশিরভাগই শাঁসালো এবং বসে খাওয়া পার্টি হয়। তাঁরাই তাঁর মূল খদ্দের, রেনেসাঁ সমর্থকদের মতোই।

    তো এহেন রেনেসাঁ পুরুষের (ক্যামেরার সামনে ফেলু পেছনে সত্যজিৎ) কেবল শাঁসটাই বাঙালির থাকে কিন্তু সেটা অন্তঃসারশূন্য। কারণ ফেলু মিত্তির চলনে-বলনে-মননে পাক্কা সাহেব। তাতে চাড্ডি ভাত খেলে কিংবা বাংলায় কথা বললে এমন কিছু ফারাক হয় না। এবং অতি অবশ্যই কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো এ ছবি রঙীন। বোঝা আয় সাদা-কালোর যুগ বাতিল হয়ে গেছে, এখন রঙিন যুগের জমানা।

    এবং এবং এবং। কী আশ্চর্য শরদিন্দুর গোয়েন্দার মতোই ফেলু কায়েতের ব্যাটা হন!

    জয় ফেলুদা। জয় সত্যজিৎ। জয় বাবা রেনেসাঁস।

  • এলেবেলে | 202.142.96.234 | ১৫ আগস্ট ২০২০ ১৮:৫৩96292
  • * 'কেবল শাঁসটাই বাঙালির থাকে'-র বদলে  'কেবল খোলটাই বাঙালির থাকে' পড়বেন দয়া করে।

  • ... | 182.66.61.3 | ১৫ আগস্ট ২০২০ ২০:১০96296
  • বাঙ্গালী বক্সী পদবী সাধারনত ব্রাহ্মন দের হয়ে থাকে।
  • এলেবেলে | 202.142.96.210 | ১৫ আগস্ট ২০২০ ২০:২২96298
  • তিনটে ডট, আপনি 'সম্ভবত' এ বিষয়ে খোদ শরদিন্দুর বক্তব্যটা জানেন না।

  • sm | 2402:3a80:a51:8d56:0:4d:8103:ea01 | ১৫ আগস্ট ২০২০ ২১:৫৫96305
  • শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজেই বলেছেন  কায়েত দের বুদ্ধি বেশি হয়।এদিকে ব্যোমকেশ বক্সি হলো তাঁর আত্মপ্রতিকৃতি। সেই অর্থে বামুন হতেই পারতো। কিন্তু এলেবেলে বাবুর আপত্তি টা কোথায়?ব্যোমকেশ কায়েত বলে না ধুতি পাঞ্জাবী পরে বলে?

    ফেলুদার টাইটেল মিত্তির। তো,কি করা যাবে?কি হলে ভালো হতো?

  • sm | 2402:3a80:a51:8d56:0:4d:8103:ea01 | ১৫ আগস্ট ২০২০ ২১:৫৮96306
  • মন্দার বোস,জ্যাকেট পরে কি দোষ করলো?ওঁকে বিদ্যাসাগর এর মতো ধুতি চাদর পরালে,বেটার হতো,বলছেন?

  • ঘোঁতন | 185.66.70.93 | ১৫ আগস্ট ২০২০ ২২:২৩96308
  • তর্কচূড়ামণি শ্রী এলেবেলে আবার ছড়ালেন। মশাই সোনার কেল্লায় জাতিস্মর ব্যাপারটা আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওটা একধরনের ঠকানো। কায়দাটার কি একটা খটমট নাম আচে। ফিলিমের নোকেরা এসে আপনাকে বুজিয়ে দেবে।

    রাজস্থানও কিছু ঢাকতে বা চাপতে বাছা হয়নি। কাহিনীতেই বলা ছিল কেল্লা, উট আর বালি বলতে রাজস্থানের কথাই সবচেয়ে আগে মনে পড়ে।

    নেন, ফোর্ট উইলিয়াম তাক করে গুদুম গুদুম কামান দাগতে থাকুন।

  • এলেবেলে | 202.142.96.4 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০০:৩০96313
  • এসেম, এর আগে অনেকবার বলেছি আপনাদের মতো দিগগজ পণ্ডিতদের আমার মতো একটা ফালতু লোককে 'বাবু' বলার মানে হয় না। তবুও যে কেন বলেন! এমনিতেই শিমূলের হাজার শব্দের পোবোন্দের প্রেক্ষিতে ৬৫০ শব্দের মন্তব্য করে মরমে মরে আছি। তো এতকিছু লেখার পরেও যদি আপনি ফেলুর 'টাইটেল' (ছিঃ আপনি না সায়েব!) আর মন্দার বোসের জ্যাকেটে আটকে থাকেন, তবে তা আমার বাংলা লেখারই অক্ষমতা। এমনিতেও আমি আপনাকে ঠিক কোনও জিনিসই এ জীবনে বুঝিয়ে উঠতে পেরেছি বলে মনে করি না, এদান্তি আপনার কথার উত্তর দিতে গেলে দেখছি আমার কী-বোর্ড আটকে যায় অজানা আতঙ্কে। এমনিতেই মরমে মরে আছি, তার পরে খাঁড়ার ঘা কি না দিলেই নয়?

    তবু ভালো আপনি অন্তত নিজের নিকে লিখেছেন। কিন্তু কোনও এক দাঁতক্যালানে বাঞ্ছারাম তক্কে তক্কে থাকেন বোধায় কোন মওকায় এলেবেলেকে হ্যাটা করা যায়! এর আগে একজন 'সৌরিন' লিখে ব্যাপক আবাজ খাওয়ার পরে চেপে গিয়েছিলেন। তো তিনিই আবার ঘোতনা নামে হাজির হলেন, নাকি ইনি কোনও নয়া অবতার - কে জানে!

    তবে ছড়িয়ে ছত্তিরিশ করার আগে যোধপুর সার্কিট হাউসে মন্দার বোসের জাতিস্মর নিয়ে সংলাপটার কেন প্রয়োজন হয়েছিল তা যদি ঘোতনা-গনশা জানাতেন তবে বড্ড উবগার হত আর কি! 

    সোনার কেল্লার কাহিনীর সঙ্গে চলচ্চিত্রটির আকাশপাতাল ফারাক। অবিশ্যি গুরুর পাড়ার ঘোতনা-গনশারা এখনও ছবি বলতে 'বই' বোঝেন সেটা জানা ছিল না মাইরি! গপ্পোটা পড়েছেন নাকি ফের 'সৌরিন' মার্কা চালাকি করে কেস খাওয়ার ইচ্ছে? কোন পক্ষে লড়ছেন? সত্যজিৎ না সৌরিন!!  

  • একক | 103.124.165.216 | ১৬ আগস্ট ২০২০ ০০:৩৩96314
  • না,  সোনার কেল্লায় সোনার কেল্লা থুড়ি জাতিস্মর কে আদর্শ ম্যাকগাফিন বলা যায় কী না সে নিয়ে সন্দেহ আচে।  তথাকথিত  রেনেসাঁ পর্বে  প্লাঁশে এবং থিওসফি চর্চা নিয়ে শিক্ষিত এলিট দের মধ্যে সচেতন আদিখ্যেতা ছিলো। সত্যজিৎ সেই ট্রাডিশন কে সোকা তে বজায় রেকেচেন।              

    এ বাদে, এই লেখাটি গ্যাদগেদে বাংলা রচনা হয়েচে, তাই কথা বাড়ানোর প্রয়াস পাচ্চি না।  

  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন