এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক

  • বাঙ্গালবাড়ির কিসসা - অষ্টম পর্ব

    রঞ্জন রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ | ৬৮৭ বার পঠিত
  • এলেম আমি কোথা থেকে( ৮ম পর্ব)
    ---------------------------------------------------
    নাকতলার সেকন্ড স্কীমের ফুটবল মাঠে সেদিন হেব্বি হল্লা, বাওয়াল হয়েছে বাপ-ছেলেতে, হেসে মরছে পাড়াপড়শি, ছেলেছোকরারা।
    বাসস্টপে নেমে হরিদাস পাল রঞ্জন সেদিন হনহনিয়ে হাঁটছে, আজকে শেষ রিহার্সাল। পরশু ওয়ান অ্যাক্ট কম্পিটিশনে প্লে নামাবে ওরা, আঠারো বছর বয়সের ছয়জন বন্ধু। জজের প্যানেলে আছেন থিয়েটারে আলোকসম্পাতের জগতে বিপ্লব ঘটানো তাপস সেন ,থাকেন পাশের পাড়া রামগড়ে। ব্যস্‌, এই কম্পিটিশন জিততে পারলেই কেল্লা ফতে। পাব্লিক? " বুঝবে তখন বুঝবে!' তখন নিশ্চয়ই সবাই ঝুলোঝুলি করবে -- আমাদের ওখানে একটা শো' করুন না!
    ওদের যে কেউ ডাকে না, বিনিপয়সায় করতে চাইলেও না। কোন ক্লাবের বার্ষিক অনুষ্ঠানে নাটক করার জন্যে তার সেক্রেটারিকে ধরে অনেক আমড়াগাছি করে শো করার অনুমতি পাওয়া গেল। তেড়ে একমাস রিহার্সাল দেয়া গেল। বাড়ির লোকজন, গার্লফ্রে¾ড সব্বাইকে বলা হয়ে গেছে-- অমুক তারিখ আমার শো'। তারপর ঠিক একদিন আগে জানা গেল ওদের নাম কেটে শো অন্য কোন সিনিয়র নাটকের দলকে দেয়া হয়েছে।
    কিন্তু খেলার মাঠের পাশে আজকে কিসের বাওয়াল?
    ---- ওই হাফপ্যান্ট পরা ছোঁড়াটা কে র‌্যা? হাড়বজ্জাত ছেলে!
    ----- বেলেঘাটা থেইক্যা কয়মাস হইল আইছে, খালি মাজাকি করে!
    ----- আমাদের পাড়ার দারোগাবাবু, হেই যে বাদলার বাপ! উনার একটু কম্পলেক্স আছে। রোজই আফিস থেইক্যা আইস্যা লুঙি পইর‌্যা উনি পাড়ার ছেলেদের ইংরাজির পরীক্ষা নে'ন। যেমন,-- "" তিমির, তুমি তো ভাল ছাত্র, কও দেখি ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়িতেছে, এর ইংরাজি কি অইব?
    হা:-হা:-হা:! পারলা না তো, জানতাম। আইজকাইল ইসকুলে কিস্যু শিখায় না। আচ্ছা, এইডা কও-- টিপ্‌ টিপ্‌ করিয়া বৃষ্টি পড়িতেছে। এইডাও জান না? বেশ, এইবার একটা সহজ প্রশ্ন করি-?"" মস্‌মস্‌ করা নতুন জুতা''-- এর ইংরেজি কও?
    সব চুপ! কিন্তু হেই হারাম্‌জাদাটা কয় কি?
    ----- এরা কিস্যু জানে না, মেসোমশায়। আপনেই কন--" কচ্‌কচ্‌ করা নতুন বাল'' এর ইংরাজি কী?
    - হারামজাদা পোলা! আমি তর বাপের বয়সী, আমার লগে ইয়ার্কি! আইজই তর বাপেরে কমু, কি শিক্ষা দিছেন নিজের পোলারে?

    কিন্তু আজকে খেলার মাঠে দারোগাবাবুকে তো দেখছি না,ওই ছোঁড়াটা দৌড়ুচ্ছে , পেছনে ওর বাপ। ব্যাপারটা কি?
    ------- আর বলিস না। দারোগাবাবুর নালিশ শুনে বাপ তো ছেলেকে আচ্ছা করে কড়কে দিল। কিন্তু ছেলেটা এক্কেবারে যাকে বলে রেকটাম-রাইপ। আজ খেলার মাঠে বন্ধুদের তোল্লাই খেয়ে নিজের বাপকেই জিগ্যেস করেছে-- ' বাবা, আইজ ক্লাসে মাস্টারে জিগাইসে স্বাধীনতা সংগ্রামী ত্রয়ীর নাম। আমি দুইটা কইসি,--" লাল' আর" পাল '। আরেকটা নাম কি যেন? কী ""গঙ্গাধর তিলক''?
    ------ তারপর?
    ------- তারপর আর কি! বাপের তেলেভাজার দোকান, তাড়াহুড়ো করে ছেড়ে এসেছে, স্কুলের মাঠে এবারে নতুন প্লেয়ার শ্যাম থাপার খেলা দেখবে বলে।। রেগে গিয়ে বলেছে-- বানচোইৎ! জাননা কী গঙ্গাধর? ''বাল""! তারপর কী হচ্চে দেখতেই পাচ্ছিস।

    না, রনজন কিছুই দেখছে না। ওর কানে বাজছে ওই দু-অক্ষরের শব্দটি। কালকেই ওর দলের একটি ছেলে বলেছে--- এইসব বালের নাটক করে কী হবে?
    পাড়াতেও এরকম কিছু টিপ্পনী কানে এসেছে।
    কী হবে? ও নিজেও জানেনা কী হবে। খালি জানে ওকে নাটক করতেই হবে। আজ নয়তো কাল। হবে, একদিন হবে। বনৎ বনৎ বনি জাই, বিগড়ি বনৎ বনি জাই। দরকার একটা জেদ, একটা পাগল করা জেদ। কিন্তু, ও কি পারবে? ওর কি আছে সেই জেদ? ওর বাবা সলিলকুমারের ছিল। কিন্তু ও যে এক্কেবারে অন্যরকম, ভীতুর ডিম, বাবার মত নয়। দাদুর আদরের নাড়ুগোপাল। কিন্তু ওর ভুতের ভয়, আরশোলাকে দেখে ভয়,বহুরূপীকে দেখে ভয়, সাঁতার কাটতে ভয় , ইনজেকশন নিতে ভয়-- এইসব দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে দাদু সতীশচন্দ্র বলে উঠতেন-"' এইডা সিংহের ঘরে শিয়াল জন্ম নিছে''।
    হ্যাঁ, ওর বাবা সলিলকুমার চারদিকের খটাশ, ভোঁদড়, সজারু, নেকড়ে আর হায়েনার পালের মধ্যে সিংহ ছিলেন। মরেছেন ও সিংহের মত, অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে। বলতেন-- আমি বিছানায় শুয়ে ভুগে ভুগে তোমাদের সেবা শুশ্রুষা নিয়ে কেঁদে ককিয়ে মরবো না। কাউকে বিরক্ত না করে তার আগেই চলে যাবো। যখন সময় হবে, মানে চিত্রগুপ্তের লেজারে আমার ব্যালান্স "জিরো' হবে, যমদূত নিতে আসবে, বলব-- একটু দাঁড়াও, জুতোর ফিতে বেঁধে পানামা সিগ্রেট ধরিয়ে একটা সুখটান দিয়ে নি। ব্যস্‌, এবার চল।
    ভগবান বোধহয় ওঁর মনের ইচ্ছে শুনেছিলেন। তাই ভিলাই স্টীল প্ল্যান্টের কন্‌স্‌ট্রাকশন এরিয়ায় মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে লেবারের কাজ করতে আসা ছেলেটির ওপর যখন সীমেন্স কোম্পানীর বানানো মোটর কন্টোল সেন্টারের বিশাল এম সি সি মেশিন স্লিপ হয়ে গড়িয়ে পরে পিষে ফেলছিল তখন উনি দৌড়ে এসে দুইহাতে ওই মেশিনটিকে ক্রেট শুদ্ধু ঠেলে ধরে রাখেন। ছেলেটি নীচের থেকে গড়িয়ে সরে গিয়ে বেঁচে গেল। কিন্তু সলিলকুমার আর পেছনে সরে যাওয়ার জায়গা পেলেন না। ফলে ওই মেশিন ক্রমশ: ওনাকে পিষতে লাগল, মাটিতে পেড়ে ফেললো। যখন সবাই ধরাধরি করে হাসপাতালে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ওনাকে নিয়ে গেল, তখন উনি পরিচিত ডাক্তারকে বল্লেন--- পা টা তো গেছে, মাত্র এক ইঞ্চি আটকে থেকে ঝুলছে। বুটজুতো খুলে দে। ব্যথা লাগছে। কিন্তু এসব কিছু না। আসল হল পেটের ওপর মেশিন পড়ে লিভারে চোট লেগেছে , বড্ড ব্যথা। একটা পেন কিলার ইনজেকশন দাও।

    তারপর চোখ বুজলেন, আর খুললেন না।

    পুলিশ ওয়্যারলেসে খবর পৌঁছলো কোরবা জেলার আদিবাসী এলাকায় ছুরি গাঁয়ে। রাত আটটায় খবর পেয়ে হরিদাস পাল তো বৌকে নিয়ে রাত জেগে ভীড়ের ট্রেনে চেপে পড়িমরি করে ভিলাই পৌঁছলো পরের দিন সকালে, বাবার বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে মর্গে ঘুমিয়ে থাকা শরীর থেকে বরফ জল মুছে পোস্টমর্টেম করাতে নিয়ে গেল। পাশের কামরায় ডোম যখন হাতুড়ি-বাটালি দিয়ে সলিলকুমারের মাথার খুলি খুলে দেখছিল তখন হরিদাস পালের মনে হচ্ছিল যেন গ্যারেজে ট্রাক মেরামত চলছে। কিন্তু যখন চিতায় শুইয়ে সারা শরীরে , বিশেষ করে পেটে-বুকে ডোমের সেলাইয়ের ওপর ঘি মাখাচ্ছিল তখন হাত যেন আর চলে না। পরিচিত পুরুতঠাকুর ধমকে উঠলেন--- কী হল? তাড়াতাড়ি করুন। এমন অন্যমনস্ক হলে চলে!
    কিন্তু হরিদাস পাল করবে কী? ও যে দেখতে পাচ্ছে যে এই দু 'দিনের বাসি মড়া সলিলকুমার নয়। সলিলকুমার তো এখন মেঘনা নদীতে নৌকো ভাসিয়েছেন। গলুইয়ের পাশে বসে বিড়িতে টান দিয়ে ইয়ারবন্ধুদের সঙ্গে গান ধরেছেন--- মনপাগলা রে! কই হতি কই লইয়া যাও! এরপর উনি ডুব দিয়ে পাট তুলবেন বেশকিছু। তারপর সেই পাট মহাজনের কাছে বেচে বন্ধুদের সঙ্গে রসগোল্লা কিনে খাবেন।
    বাবা মাছ আনতে আট আনা দিলে ময়মনসিংহের বাড়ির চৌকাঠে সেই পয়সা নামিয়ে রাখছেন সলিলকুমার। না, পুরো একটাকাই চাই। সেটা দিয়ে অন্তত: দুইসেরি বা আড়াইসেরি রুই মাছ কিনবেন। বাড়ির চাকর সেটা পেছন পেছন নাকের থেকে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে বাড়ি আনবে, আর মাছের লেজ সারা রাস্তা পথের ধুলো সাফ করতে করতে আসবে। এই না হলে বাঙাল!
    দেশভাগের পর পার্কসার্কাসের বাড়িতে সামনের ধাঙড় বাজারের কিছু গুন্ডা আক্রমণ করল, সময়মত গুরুসদয় দত্ত রোডের ছাউনি থেকে কিছু গোরা সৈন্য ও কড়েয়া থানার পুলিশ এসে পড়ায় কোন জানমালের ক্ষতি হয়্‌নি। সলিলের বড়দি সেই গুন্ডাদের চিনিয়ে দিলেন। ওরা হাজতে রইল। তারপর পাড়ার একজন রাজনৈতিক নেতা গুন্ডাদের মুক্তির জন্য জনগণের সইসাবুদ সংগ্রহ করতে বেরোলেন। ক্রুদ্ধ সলিল ওই পিটিশনে সাইন করতে অস্বীকার করলেন। বল্লেন-- অরা ঠিক জায়গাতেই আছে, অদের উপযুক্ত জায়গায়।
    কিন্তু ভিলাইয়ে দাঙ্গাবাঁধার উপক্রম হলে সারারাত অফিসের জীপ নিয়ে উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় তার জন্যে টহলদারি করেছেন। নিজের মুসলমান কর্মচারিদের সঙ্গে একসাথে বসে খেয়েছেন। হালাল ও ঝটকা মাংস নিয়ে কেউ কিছু বললে বলতেন -- নেতাজী সুভাষ বোস বর্মায় থাকার সময় খাবার লাইনে ঝটকা-হালাল নিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের সেপাইদের দুই আলাদা পংক্তিতে খেতে বসা দেখে অবাক হয়ে দুইবাটির আলাদা মাংস একটি বালতিতে ঢেলে নিয়ে রেগুলেশন সোর্ড দিয়ে ঘেঁটে দিয়ে বলেছিলেন, এবার কোনটা ঝটকা আর কোনটা হালাল পদ্ধতিতে রান্না মাংস কেউ চিনিয়ে দিক তো।
    আর যে ছেলেটাকে আজ বাঁচাতে গেলেন বছর আগে সেই ছেলেটারইতো মে মাসের গরমে হিটস্ট্রোক হয়ে প্রচন্ড জ্বর আর বমি হয়েছিল।
    সবাই ধরাধরি করে গাড়িতে করে বাড়ি এনে ওকে মাটিতে শোয়ালো। স্ত্রী স্মৃতিকণা ঘাড়ের নীচে কাগজ দিয়ে মাথায় জল ঢালছেন। কিন্তু ঠিকমত হচ্ছে না।সলিল ভ্রূ কুঁচকে দেখছিলেন। এবার ওকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে নিজের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বল্লেন-- এবার ভাল করে মাথা ধুইয়ে দাও।
    সেইদিন হরিদাস পালের চোখে ওর বাবার হাইট অনেক বেড়ে গিয়েছিল।
    সবার কাছে বাবা-মা রা রোল মডেল। কিন্তু হরিদাস পাল রনজনের রোল মডেল ওর বাবা নয়। ও জানে ও কোনদিন ওর বাবার মত হতে পারবে না। সলিলকুমার অন্য ধাতুতে গড়া। দেখতে কিঞ্চিৎ কাঠখোট্টা ভদ্রলোকের ভীষণ ম্যানলি পেটানো চেহারা। যখন মহিলাদের সামনে একটু ঝুঁকে বাও করে কাউকে বলেন----" ভাল আছেন? ভাল থাকুন' , তখন সেই "" অদা'' দেখে ওরা দু'ভাই বাবার শিভালরাস নাইট ইমেজের প্রতি ফিদা হয়ে যায়, কিন্তু ভীষণ জেলাস হয়।
    হরিদাস পাল মেয়েদের সামনে আজীবন দড়কচা মেরেই রইল।
    আবার সলিলকুমারের চোখে রোলমডেল তাঁর মাতৃভক্ত বাবা সতীশচন্দ্র ন'ন। যে ভদ্রলোক কোলকাতা থেকে রাজধানী দিল্লি যাবার সময় মায়ের কথায় চাকরি ছেড়ে ময়মনসিংহ ফিরে যায় সে ঠিক পুরুষকারে বিশ্বাসী সলিলকুমারের শ্রদ্ধার পাত্র হতে পারে না।

    -----বিপ্লব করবি? বিপ্লবের মানে বুঝস্‌ ? বিপ্লব করতে অইলে নিজের নিজের ডেথ ওয়ারেন্টে নিজে সাইন কইর‌্যা তবে পথে নামতে হয়। তর আছে সে সাহস!
    -------তোমরা না সেই আনন্দমঠের যুগে পড়ে আছ। তোমাদের মেটাফরগুলো না!----
    ----- আরে, তোদের যারা খেপাইতাছে সব ভীতুর ডিম। চিন ও ভীতু। দ্যাখ, বুড়া হো চি-মিন হাঁটুডুবা ধানের ক্ষেতে দাঁড়াইয়া এত মেন্নত কইর‌্যা ভিয়েতনামরে স্বাধীন করলো, এখন তাদের জমিতে চিন আর আমেরিকার প্রক্সি ওয়ার হইতাছে। যা শত্রু পরে পরে! হিম্মত থাকলে সামনাসামনি লড়াই করুক না। নেফায় লাদাখে খুঁচাখুঁচি করা এক আর নাপামবৃষ্টির সামনে দেশের লোকজনেরে আগাইয়া দেওয়া আর এক। মাও সে তুং ও ভীতু। আর তরা প্যাট ব্যাক্কল।
    ---কী ভীতু-ভীতু শুরু করেছ, গোলপোস্ট ঠিক কর।
    --- শোন, ভীতু লোকেরাই লোভী, কুচক্রী, ষড়যন্ত্রকারী হয়। ভীতু লোকদের থেকে সতর্ক থাকবি, এরা তোষামুদে হয়।
    -----তুমি ভয় পাওনা? কোন ভয় নেই এমন কেউ আছে!
    --- ধ্যাৎ,কখনো ভয় পায় নাই এমুন হয় না। সবার চেয়ে বড় হইল মৃত্যুভয়। সবারই ভয়ের জায়গা আছে, রাজারও আছে, প্রজারও আছে। ছাগা যেমুন বাঘারে ডরায়, বাঘাও ছাগারে ডরায়। কিন্তু ভয় পাওয়া এক কথা আর ভীতু হওয়া এক কথা।
    --- মানে?
    -- মানে ভয় পাইলে তারে যুক্তি দিয়া বিচার কইর‌্যা সামনা করতে হইব। বুঝতে হইব বেশিডা কী আর হইব! মরতে হইব,এই ত? তার লেইগ্যা আইজ যদি চৌখ্যের সামনে মাইয়ামানুষের প্রতি অত্যাচার দেইখ্যা চুপ কইর‌্যা থাক,তা হইলে তুমি ভীতু।
    আরে, কাইল যদি সেই মাইয়া তুমার বইন হয়, বউ হয়, বেটি হয়!
    ----- অরা যদি সংখ্যায় বেশি হয়? ------- মেয়েদের বাঁচাইতে হইব, যেমনে পার, পলাইলে ওদের সঙ্গে নিয়া পলাইবা। না পারলে --
    ---- হ, না পারলে কি করন? ------ না পারলে মরতে অইব, আর কোন বিকল্প নাই। (চলবে)

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ | ৬৮৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন