এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • উর্দু কবিতার এক মহারথী

    রঞ্জন রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৮ জানুয়ারি ২০১০ | ৭৮৩ বার পঠিত
  • আমাদের রাষ্ট্র ভাষা ""হিন্দি'' হবে কি ""হিন্দুস্থানী'' হবে সে নিয়ে নির্ণায়ক কমিটি সমান দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। শেষেকমিটির চেয়ারম্যানড: রঘুবীরের কাস্টিং ভোটে জিতে ""হিন্দি'' অর্থাৎ ""খড়িবোলী হিন্দি'' আমাদের রাষ্ট্র ভাষা হয়ে গেল।
    ভাবতেই পারেন যে হিন্দি তো বুঝলাম, কিন্তু এই ""খড়িবোলী হিন্দি''ই কী, আর ""হিন্দুস্থানী''ই বা কী?
    আসলে যে উর্দুমিশ্রিত হিন্দি আম পাবলিক বলে বা মুম্বাইয়া সিনেমায় চলে- তা' হল হিন্দুস্থানী। আর যে ভাষায় আকাশবাণীতে বা দূরদর্শনে খবর পড়া হয়, অর্থাৎ উর্দুশব্দ বর্জিত শুদ্ধ (?) সংস্কৃতঘেঁষা হিন্দি --তাই হল আমাদের ""রাজভাষা'' বা খড়িবোলী হিন্দি।
    অর্থাৎ ধীরে ধীরে জনমানসের অবচেতনে চারিয়ে দেওয়া হল যে খড়িবোলী হিন্দিই হল সংখ্যাগুরু হিন্দুদের ভাষা, আর উর্দূ হল মুসলমানের।কিন্তু জনসাধারণ আজও কথা বলে হিন্দুস্থানীতেই, নাটক-সিনেমার ডায়লগেও তাই।
    আজকে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি এক প্রখ্যাত শায়র বা কবির সঙ্গে।সাহির লুধিয়ানভীশের, গজল, নগমা লিখেছেন উর্দুতে আর ফিল্মি লিরিকহিন্দুস্থানীতে।
    সাহির লুধিয়ানভীর নামের সঙ্গেবিভিন্ন এফ এম ব্যান্ড, যেমন ধরুন রেডিও মির্চিরফিল্মি গানের দৌলতে আমাদের ভালরকম পরিচয় আছে।মনে করুন হিন্দি গানের সেই স্বর্ণযুগ, আমি মূলত: লিরিকের কথা বলছি।বাংলায় গণনাট্য সংঘের নাট্যকর্মীরা বা প্রগতি লেখক সংঘ (পরিচয় গোষ্ঠী)যেমন বহুদিন নিজেদের প্রতিষ্ঠান বিরোধী চেহারা নিয়ে অনেকদিন মেইনস্‌ট্রীমসিনেমাথেকে অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, হিন্দি বলয়ে বা মুম্বাইয়া সিনেমায় তা হয় নি। বিশেষ করে লিরিকের দিকটা দেখুন।-- শৈলেন্দ্র, হসরত জয়পুরী, কৈফী আজমী ও সাহির লুধিয়ানভী প্রত্যেকেই গণনাট্য সংঘেরজন্যে গীত রচনা করেছেন। খাজা আহমেদ আব্বাস শম্ভু মিত্র- বিজন ভট্টাচার্য্যের""নবান্ন'' নিয়ে""ধরতী কে লাল '' সিনেমা বানিয়েছেন। এদের মধ্যে সাহির অনন্য।
    সাহিরের কলমের জোরেমুম্বাইয়া ফিল্মিগানের লিরিকতার স্বর্ণযুগের সময় আলাদা মাত্রা পেয়েছে।
    মনে করুন-- ""সাথী হাত বড়ানা, এক আকেলা থক জায়েগা মিলকর বোঝ উঠানা''।
    অথবা, ""রাত কে রাহী থক্‌ মৎ জানা, সুবহ্‌ কী মন্‌জিল দূর নহীঁ।''
    বা,"" জিন্দগী ভর নহী ভুলেগী ও বরসাত কী রাত''।
    এটা দেখুন --"' জানে ও ক্যায়সে লোগ থে জিনকে প্যার কো প্যার মিলা,
    হমনে তো জব কলিয়াঁ মাঁগী, কাঁটো কা হার মিলা।''
    আবার, "" তু হিন্দু বনেগা না মুসলমান বনেগা?
    ইন্‌সান কী ঔলাদ হ্যায় ইনসান বনেগা।''

    আর কত উদাহরণ দেব? তবুগুরুদত্তের "পিয়াসা'' ফিল্মের ঐ দুটো গানের কথা না বলে শেষ করা যায় না।
    এক,"" এ মহলোঁ, এ তখতোঁ, এ তাজোঁ কী দুনিয়া,
    এ দুনিয়াঅগর মিল ভী জায়ে তো ক্যা হ্যায়?"
    দুই, গীতা দত্তের গলায় কীর্তনাঙ্গের এই গানটি-- "" আজু সজন মোহে অঙ্গ লাগা লো, জনম সফল হো জায়ে''।

    কিন্তু আজকে আমিএই কবির যে কাব্যসংগ্রহেরকথা বলবোতার নাম "" আও কি কোঈ খোয়াববুনেঁ ''। বাংলায় "" এস, একটি স্বপ্ন বুনে যাই''। কী ছিল এই কবির স্বপ্ন?
    ক্র²মশ: প্রকাশ্য।
    "'সাহির'' মানেও শায়র বা কবি। সা¡হির লুধিয়ানভি, অর্থাৎ লুধিয়ানা নিবাসী শাহির।১৯২৯ এ লুধিয়ানায় এক লম্পট-ভোগী জমিদারের একমাত্র পুত্র। সংযুক্ত ভারতেপাঞ্জাবেরসংস্কৃতি ও রাজনীতির কেন্দ্র ছিল লাহোর। কলেজে পড়তে পড়তেই লাহোর থেকে বের হল ওনার প্রথম শায়রীসংগ্রহ-- "" তলখিয়াঁ'' অর্থাৎ তিক্ততা। এই এক কাব্যসংগ্রহেই উনি পৌঁছে গেলেন খ্যাতির শিখরে। এর মধ্যে প্রেম করেছেন। কিন্তু অর্থ ও সাহসের অভাবে ব্যর্থ হলেন। রাজনীতির কারণে কলেজ থেকে বিতাড়িত।জাগীর্দার স্বামীর ঘর ছেড়ে আসা মা ও বোনের দায়িত্ব ঘাড় পেতে স্বীকার করেছেন। লাহোরে নামকরা পত্রিকার সম্পাদকের চাকরি পেলেন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর টিকতে পারলেন না।বহুত্ববাদী সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী সাহিরের লেখা পাক সরকারের পছন্দ হল না। দিল্লি এসে আড্ডা জমালেন।
    তখন শায়রীর জগতে ইকবাল- জোশ-- ফৈয়জরা ছুটিয়ে রাজত্ব করছেন, --- সেখানে কল্কে পাওয়া? কিন্তু উনি যেন "'এলাম-দেখলাম-জয় করলাম''।"" তলখিয়া''ঁর সতেরটি সংস্করণ হল।

    মুম্বাইয়ের ফিল্মি দুনিয়া হাতছানি দিল।
    ব্যর্থ প্রেমের যন্ত্রণা ওকে রোমান্টিক ধারার ফৈজের অনুগামী করেছে, যেখানে প্রেম ও রাজনীতি মিলেমিশে যায়। সারাক্ষণ ওর চোখে লেগে থাকেপ্রেমিকার আঁখিপল্লবের ছায়া। ছায়া ঘনায়। যন্ত্রণায় ছটফট করে উনি জিগ্যেস করেন:

    ""মেরে খোয়াবোঁ কে ঝরোকোঁ কো সজানেওয়ালী,
    তেরে খোয়াবোঁ মেঁ কহীঁ মেরা গুজর হ্যায় কি নহীঁ?
    পুছ্‌কর অপনী নিগাহোঁ সে বতা দে মুঝকো
    মেরী রাতোঁ কে মুকদ্দর মেঁ সহর হ্যা কি নহীঁ?''
    -- হায় গো আমার ভাগ্যরাতের তারা, নিমেষগণন হয়নি কি মোর সারা''?
    কিন্তু সারা জীবন ধরে এই প্রশ্ন নানাভাবে ঘুরেফিরে করে গেলেন দয়িতকে। উত্তর না পাওয়ার তিক্ততা শক্তি দিল দু:খকে অতিক্রন করার। অনায়াসে লিখলেন--""তুম্‌হারে গম কে সিবা ঔর ভী গম হ্যায় মুঝে''। কী সেই দু:খ যা ছাপিয়ে যায় বিরহবেদনা কে?
    এ কারখানোঁ মেঁলোহে কা শোরো-গুল জিসমেঁ
    হ্যায় দফন লাখোঁ গরীবোঁ কী রুহ্‌ কা নগ্মা।
    গলী-গলী মেঁ এবিকতে হুয়ে জবাঁচেহরে
    হসীন আখোঁ মেঁ অফসুর্দগী-সী ছাই হুই।
    -- কারখানায় লোহার শব্দগুনের মাঝে চাপা পড়ে যায় লাখ-লাখ দরিদ্রের আত্মারসংগীত, গলির মধ্যে চলে জোয়ান শরীরের কেনাবেচা, চেয়ে থাকে উদাসী চোখ।
    এত খ্যাতি ,"" আও কি কোই খোয়াব বুনে''কাব্যসংগ্রহের জন্যে নেহরু পুরস্কার; মুম্বাইয়া ফিল্মজগতের লিরিকের একছ্‌ত্রসম্রাট, তবুশেষজীবনে চাইতেন লোকে যেন তাঁকে টিপিক্যাল শায়র না ভাবে।
    পেয়েছেন পদ্মশ্রী,কবিতার অনুবাদ হয়েছে ইংরেজি, রাশিয়ান, চেক, আরবী, ফারসী ও আরও কিছু ভাষায়। তবু অতৃপ্ত। মাঝে মাঝে কলম থেকে বেরোয় কিছু কবিত্বহীন পংক্তি।
    যেমন ""তকসুই'' বা ""অবকাশ'' কবিতার শেষ দুটি পংক্তি:
    "তুম মেঁ হিম্মত হ্যাঁয় তো দুনিয়াসে বগাবত কর দো।
    ওয়ার্না মা-ঁবাপ জহাঁ কহতে হ্যাঁয় শাদী কর লো।।'

    ইমর্জেন্সীর সময় তাঁর কবিতার ভক্ত ইন্দ্রকুমার গুজরাল ( পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী) জরুরীঅবস্থার পক্ষে প্রবুদ্ধজনের সমর্থন আদায়ের
    প্রয়াস চালাচ্ছিলেন। এমনি এক বৈঠকে শাহিরসোজাসুজি সমালোচনা করলেন জরুরী অবস্থার।
    মায়াকোভস্কি লিখেছিলেন--- লেনিনকে নিয়ে ব্যবসা কোরো না, দোহাই তোমাদের। লেনিন শতবার্ষিকীতে শাহির লিখলেন--- জানিনা তোমার শবদেহের কি হাল হবে! পান্ডা-পুরুতের ভীড় যে বেড়েই চলেছে। কালকেও যারা পাশে থাকার শপথ নিয়েছিল, তারাই যে আজ নিজের নামের ওপর থুতু ফেলছে।
    দৈনদিন জীবনে এই বোহেমিয়ান রোমান্টিক সকাল দশটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে লাল লাল চোখে ছাদ দেখতেন, দেয়াল দেখতে, কিছু ভাবতেন। মায়েরও সাহস ছিল না এইসময় ঘরে ঢোকে। তারপর একহাঁক---- "" চা''! তারপরশুরু হত রোজকার জীবন। মানে গরম ফুটন্ত চা -কাপের পর কাপ। সাথে সিগারেট।
    আর সামনে বন্ধুদের বসিয়ে সারাদিন নিজের কবিতা, অন্য নামকরা শায়রদের কবিতা।
    বন্ধুদের মনে হয়েছে লালঝান্ডার ভার যেন ওনার কবিতার গোপন মাধুরী কে কম করে দিচ্ছিল। তাতে উনি অবিচলিত।
    "" আজ সে মেরে ফন্‌ কা মকসদ্‌ জন্‌জীরে পিঘলানা হ্যায়, আজ সে শবনম কে বদলে অংগারে বরসানা হ্যায়।''
    -- আজ থেকে শুধু শেকল গলাতে হবে কবিতার সৃষ্টি,
    বিদায় শিশির! আকাশের থেকে নামুক আগুন-বৃষ্টি।
    সত্তরের দশকে উনি বুঝতে পারছিলেন যে সিনেমার জগতে নাম হল, বাড়ি-গাড়ি হল। কিন্তু কবিতা ওনাকে ছেড়ে যাচ্ছে। সিরিয়াস কবিতার পাঠকের জগতে জনপ্রিয়তা কমছে। মার ক্যান্সারে মৃত্যুর পর প্রথম হার্ট অ্যাটাক হল। ভাবলেনসব ছেড়ে দিল্লি এসে আবার খালি কবিতা লিখবেন,--শের, গজল, নগমা এইসব।""পরছাঁইয়াঁ'' ( ছায়া ঘনায়) নামে এক দীর্ঘ অসাধারণ কবিতা লিখলেন। কিন্তু জীবন এত ছোট ? সুযোগ পেলেন না।২৫ অক্টোবরের রাতে দ্বিতীয় অ্যাটাকে চলে গেলেন।
    এই হাহাকার শেষের দিকের কিছু কবিতায় ফুটে উঠেছে। ""ফনকার'' অর্থাৎ,শিল্পী শীর্ষক কবিতার প্রথম পংক্তিই হল ----
    -----""ম্যায়নেজো গীত তেরে প্যার কী খাতির লিখেঁ, আজ উন গীতোঁ কো বাজার মেঁ লে আয়া হুঁ।'' মূলত: উনি যে স্বপ্নদর্শী রোম্যান্টিক কবি। ওনারগীতিকবিতার সুন্দর উদাহরণ হল
    ইন্তজার
    চাঁদ মদ্ধম হ্যাঁয়, আসমাঁ চুপ হ্যাঁয়।
    নীঁদ কী গোদ মেঁ জহাঁ চুপহ্যাঁয়,
    ( ঘুমায়ে পড়েছে ধরা সখি, ঘুমায়ে চন্দ্রতারা--)

    কিন্তু এর পরের স্তবকেই লিখলেন-দূর পর্বত মেঁ দুধিয়া বাদল
    ঝুক কে পর্বত কো প্যার করতে হ্যাঁয়।
    দিল মেঁ নাকাম হসরতেঁ লেকর
    হম তেরা ইন্তজার করতে হ্যাঁয়।।
    পাহাড়ের বুকে দুধশাদা মেঘ
    কী গভীর প্রেমে নুয়েছে হায়,
    দৃয়ে ব্যর্থ স্বপ্নকে পুষে
    আমি আছি তোর অপেক্ষায়।।

    এইঅল্পসময়ে সাহিরের বিশাল কাব্যভান্ডারের মণিমুক্তোর কি পরিচয় দেব? খালি আমার একটি প্রিয় কবিতার একটি- দুটি প্যারার অক্ষম অনুবাদের চেষ্টা করছি।

    মাদাম
    আপ বেবজহা পরীশান-সী কিউঁ হ্যাঁ মাদাম?
    লোগ কহতে হ্যাঁয় তো ফির ঠীক হী কহতে হোঁগে।
    মেরে অহবাব নে তহজীব ন সীখী হোগী,
    মেরে মাহোল মেঁইন্সান ন রহতে হোঁগে।।
    লোগ কহতে হ্যাঁয় তো লোগোঁ পে তজ্জুব ক্যায়্‌সা?
    সচ্‌ তো কহতে হ্যাঁয় কি নাদারোঁ কী ইজ্জত ক্যায়সী?
    লোগ কহতে হ্যাঁয়--- মগর আপ অভী তক চুপ হ্যাঁয়,
    আপ ভী কহিয়ে গরীবোঁ মেঁ শরাফত ক্যায়সী?

    কেন মিছিমিছি ব্যস্তম্যাডাম
    লোকে যা বলে, তা' ঠিকই বলে।
    আদব-কায়দা আমরা শিখিনি
    মানুষ থাকে কিইঁদুরকলে?
    লোকের কথায় অবাক হলেন?
    গরীবের আর মান-অপমান!
    লোকেরা বলুক, আপনি এখনো
    চুপ্‌ করে কেন আছেন, ম্যাডাম!

    ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৮ জানুয়ারি ২০১০ | ৭৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন