এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • হরিদাস পালের ডায়েরি -- যারে তুমি নীচে ফেল

    রঞ্জন রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ২৫ এপ্রিল ২০১০ | ৭৮৬ বার পঠিত
  • ১) পোরাবাঈ একটি মেয়ের নাম

    না, পোড়া নয় পোরা, পোরাবাঈ। একটি মেয়ে। বয়েস ছাব্বিশ, অবিবাহিত। জাতি সতনামী, অর্থাৎ তফ:সিলী সম্প্রদায়ভুক্ত। সাকিন বিররা, মহকুমা বমনীডিহ্‌, জেলা জাঁজগীর, ছত্তিসগড়। জেলে আছে প্রায় বছর দুই। অপরাধ গুরুতর। জালসাজি, চিটিং। এগ্‌জ্যাকট্‌লি ওর অপরাধটি কী? কী করেছে?
    -- ২০০৭ সালে হায়ার সেকন্ডারি পরীক্ষায় সম্পূর্ণ ছত্তিশগড়ের মধ্যে প্রথম হয়েছে।
    --বলেন কী? নিশ্চয়ই কোন বড় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়েছে, ভাল দামী কোচিং সেন্টারে গেছে?
    --- ভূমিহীন কৃষক পরিবারে জন্ম, দুবেলা পেটপুরে খাওয়া জোটে না,পরীক্ষা মামার বাড়িতে থেকে মামার গাঁয়ের স্কুল থেকে দিয়েছে।
    --- তাহলে তো অত্যন্ত মেধাবী বলতে হবে! নিজের জোরেই সব করেছে। সহায়-সম্বলহীন এক পরিবারের মেয়ে, দিলো সব পয়সাওলা পারিবারিক পৃষ্ঠভূমি আর নামীদামী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর মুখে ঝামা ঘষে। দেখলেন তো? প্রতিভা কারো একচেটিয়া নয়। খবরের কাগজগুলো ওর ছবি ছাপেনি? ইন্টারভিউ এর জন্যে হামলে পড়েনি?
    ----হ্যাঁ, তা পড়েছে। জিজ্ঞেস করেছে--- বড় হয়ে কী হতে চাও? ও বলেছে--ডাক্তার হতে, হয়ে গাঁয়ের গরীবগুর্বোর সেবা করতে, যেমন সবাই বলে আর কী!
    ------ তারপর? তারপর? জেলে গেল কেন?
    ---- আরে সেই তো কথা, শুনুন না! হল কী ও যে ইশ্‌কুল থেকে পাশ করেছে সেটা নকলের জন্যে একেবারে মার্কামারা। নামে সরকারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কিন্তু বোর্ড এগজামিনেশনএর সময় গিয়ে দেখবেন।
    ----- দেখেছি বই কী! ব্যাংকের কাজে একটা জিপ নিয়ে বিররা গাঁয়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। ওরে বাবা! অন্তত: শঞ্চপাঁচেক লোক স্কুল ঘিরে রেখেছে। কালেক্টর পুলিশ নিয়ে এসেছিল, নকল আটকাতে। জনতার প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে। প্রতি বছর জেলার দূর দূর গাঁয়ের থেকে লোকে এসে পেরাইভেটে ফর্ম ভরে পরীক্ষা দেয়। সামুহিক নকলের গ্যারান্টি! একেবারে নির্ধন পরিবারের সামুহিক বিয়ের মতন। পয়সাকড়ি ভালই হাত বদল হয়। তাতে পোরাবাঈ রহস্যের কী?
    ---- দূর মশাই! বলতে দিচ্ছেন কোথায়! ডিস্টার্ব না করে ধৈর্য্য ধরে শুনুন তো!
    সেবার মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সেক্রেটারি হয়েছেন বি কে এস রে মশায়। ইচ্ছে ছিল ছত্তিশগড়ের চিফ সেক্রেটারি হবেন, কিন্তু রাজনীতির সাপ-লুডোর খেলায় ৯৮ এ সাপের মুখে পড়ে এলেন লুপ লাইনে। তা ভদ্রলোকের চুলকোনি থামে না। কোথায় দাদের অব্যর্থ মলম কিনবেন, না বোর্ড পরীক্ষার মেরিট লিস্ট চালুনি দিয়ে চালতে লাগলেন। অমন নামীদামী স্কুল থেকে টপার! ওনার নাকে গন্ধ লাগলো। নাড়াচাড়া করতে করতে ইংরেজির উত্তরপত্র দেখে চমকে উঠলেন। কী ভাষা! কী হাতের লেখা! বিলাসপুরের গুরু ঘাসীদাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজিতে এম এ পাশও এমন লিখতে পারবে না।
    ইনভেস্টিগেশন কমিটি বসলো। পুলিশের হাতে কেস গেল। বোঝা গেল উত্তরপত্র অন্য কারো লেখা। খোঁজ, খোঁজ। দেখা গেল শুধু ইংরেজি নয়, সব বিষয়েই এক অবস্থা। এবার ভাল করে তদন্ত হল। দেখা গেল ওর বয়েস পরীক্ষার সময় পঁচিশ, কাজেই রেগুলার হিসেবে বসতে পারে না। প্রাইভেটে বসতে পারে। তাহলে ওর পরীক্ষার ফর্ম কী করে ক্লিয়ার হল? দেখা গেল শেষ সময়ে ওর হল ইনচার্জ, সেন্টার ইনচার্জ সব বদলে দেওয়া হয়েছে। আর লজ্জার কথাটা হল ঐ সব কজনই একই সম্প্রদায় ভুক্ত।
    ব্যস্‌, কথাচালাচালি শুরু।
    হল তো? ঝুলির থেকে বেড়াল নয় সাপ বেরিয়েছে। ছোটজাতের আস্পদ্দা দেখ। হ্যাঁ, ভগবানের রাজত্বে ""দের হ্যায়, পর অন্ধের নহী হ্যায়।ঞ্চঞ্চ সোজা কথায় ধম্মের কল, বাতাসে নড়ে।
    সবকটা অফিসার সাসপেন্ড হল। এনকোয়ারি শুরু হল। আর মেয়েটি জেলে গেল। বেইল হয় নি।
    হরিদাস পাল তখন ঐ জেলায় ছিল। সেই সুবাদে কলকাঠি নেড়ে যা জানতে পারল তাহল সমস্ত ব্যাপারটায় কেউ যদি নির্দোষ থাকে তাহল সেই মেয়েটি, যে জেলে আছে। কেমন করে?
    মেয়েটি নিজের মত করে সব পরীক্ষায় উত্তরপত্র লিখেছে। কিন্তু ওর গাঁয়ে ওর জাতের কেউ রায়পুরে রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষামণ্ডলে উচ্চপদস্থ অফিসার। উনি পরীক্ষার আগে হোলির সময় গাঁয়ে ফিরলে মেয়েটির মা দেখা করে অনুরোধ করেছিল -- দেখবেন, মেয়েটা যদি এঞ্চযাত্রায় পাশ করে যায়।
    উনি সেই হিসেবে অধ:স্তনদের বলেছিলেন একটু দেখে নিতে। কিন্তু বাবু যত বলে পারিষদদলে বলে তার শতগুণ। কাজেই নীচের স্তরে যখন মেসেজ পৌঁছুলো তখন সবাই মিলে ওর উত্তরপত্র বদলে দিয়ে ভাল জায়গা থেকে উত্তর লিখিয়ে ওকে টপার বানিয়ে দিল। ঠিক যেন ""কভী হাঁ, কভী না'' সিনেমায় ডনের কৃপায় শাহরুখ খানের অবস্থা। মেয়েটি এসব নাম-খ্যাতি কিছুই চায়নি। চেয়েছিল শুধু পাশ করতে। আজ তার Ùহান হয়েছে জেলে।
    এদিকে বি কে এস রেঞ্চর মনে হল উচ্চ মাধ্যমিক তো হল, এবার মাধ্যমিকের ফলাফল একটু নেড়ে চেড়ে দেখি। তদন্তে বেরুলো ৬ষ্ঠ হয়েছে যে তিওয়ারি মেয়েটি তারও একই কেস। উচ্চবর্ণের সম্পন্ন ঘরের মেয়েটি কিন্তু জেলে যায় নি। প্রভাব, কৌলীন্য, ওপরমহলে চেনাজানা কাজ করেছে।

    ২) ""খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে''

    সেদিন ভাটাপাড়ায় ব্যাংকের থেকে বেরিয়ে স্টেশন যাওয়ার পথে বাজারের কোণায় একজন মুচির কাছে জুতো পালিশ করাতে গেছি, দেখি রোজ যে ছেলেটা বসে সে নেই। তার জায়গায় পাকাচুলের কেউ বসে। আমি জুতো খুলে তাকে দিয়ে বলি- ভাই, তাড়াতাড়ি করে দাও। আমাকে ট্রেন ধরতে হবে। ক্রিম লাগাবে, রং লাগাবে না, ইত্যাদি।
    সে কোন কথা না বলে মাথা নীচু করে একমনে কাজ করতে থাকে। আমি অন্যমনস্ক হয়ে গানের সুর ভাঁজতে থাকি, একটু পরে বলি-- কি? হল?
    সে উত্তর না দিয়ে দ্রুত হাত চালাতে থাকে। হঠাৎ কেমন মনে হল একে কোথাও আগে দেখেছি। কোথায়? মন দিয়ে দেখতে দেখতে মাথায় হাজার ভোল্টের শক্‌ লাগল। আরে, এযে পি কে কামরী! পনের বছর আগে আমাদের ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার ছিল। আমার কাছে ট্রেনি ছিল। পরে ম্যানেজার হয়ে পয়সা খেয়ে ফলস্‌ লোন দেয়ার অপরাধে চাকরি যায়। এখন বাপ-ঠাকুর্দার জাতব্যবসায় ফিরে এসে করে খাচ্ছে। বাজারের কোণে নালার পাশে চটের ওপর বসে জুতো সেলাই করছে। আমার সর্বাঙ্গ কেঁপে ওঠে। -- কামরি স্যার, অপরাধ নেবেন না। আপনাকে চিনতে পারিনি। আসলে একটি কমবয়েসি ছেলের কছে এই জায়গাটায় পালিশ করাতাম তো!
    কামরি মুখ তুলে আমার দিকে তাকিয়ে হাসে।-- ও আমার ছেলে। আজ ওর জ্বর হয়েছে, তাই আমি এখানে বসেছি। নইলে অন্য জায়গায় বসি।
    আমি ওকে ব্যাংকে চা খেতে ডাকি। তারপর দেখলাম ওর ছেলে ও ছেলে-বৌয়ের আমাদের শাখায় রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট আছে। ওর ছেলেবৌ এবার কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হবার জন্যে ইলেকশানে দাঁড়িয়ে হেরে গেছে।
    গুরুর পাঠকেরা আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি আদৌ পরীক্ষায় নকল করার পক্ষপাতী নই। বা ব্যাংকে ঘুষ খেয়ে ফাঁক করে দেবে অথচ বহাল তবিয়তে থাকবে এটা মানতে রাজি নই। কিন্তু ওর থেকে দশগুণ করাপ্ট অফিসার উচ্চবর্ণের এবং প্রভাবশালী হওয়ার ফলে ক্ষমতাসীন লবির তদ্বিরে শুধু মাইনর পানিশমেন্ট পেয়ে বেঁচে গেছে তাই নয়, পরে প্রমোশন পেয়েছে, বাড়িগাড়ি করেছে। ছেলেমেয়েকে ভাল জায়গায় পড়িয়েছে।
    আমার আপত্তি শুধু ডিসক্রিমিনিশনের প্রশ্নে। অর্থাৎ বিচারের দেবী অন্ধ নন, চোখের ওপর বাঁধা কাপড়ের পট্টির ফাঁক দিয়ে বেশ দেখতে পান। ওনার চোখে সবাই সমান। কিন্তু কেউ কেউ বেশি সমান।

    ৩) ""সোমত্ত মেয়ের বুকে হাত, কী ভয়ংকর কথা''

    ওপরের বাক্যবন্ধটি নীরদ চৌধুরি মশায়ের ""বাঙালী জীবনে রমণী'' নামের অতীব সুখপাঠ্য একটি বইয়ের ওনার নিজের চোখে দেখা একটি ঘটনায় সমবেত মহিলাদের মন্তব্য।
    তাতে দোষীকে কিঞ্চিৎ উত্তমমধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেওয়াই যথেষ্ট মনে করা হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণের দেশে ছেলেটি নীচুজাতের হলে কি হয় দেখুন।
    সেবার পুণের রিজার্ভ ব্যাংকের ""কলেজ অফ এগ্রিকালচারাল ব্যাংকিং''য়ে ট্রেনিং করতে গিয়ে আলাপ হল অন্ধ্রের এক ছেলের সঙ্গে। শ্রীমান রাও সম্পন্ন পরিবারের এবং বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ওদের এলাকায় পিপলস্‌ ওয়ার গ্রুপের কার্যকলাপ, কোণ্ডাপল্লী সীতারামাইয়া এসব নিয়ে ও বেশ ওয়াকিবহাল। আমাদের মধ্যে বেশ জমে গেল। ও আমাকে খালিসময় টেবল টেনিসের কায়দাকানুন শেখাতে লাগল। কিন্তু একদিন লাগল বিবাদী স্বর।
    আমি যখন কাগজে পড়া খবরের সুবাদে জিজ্ঞেস করলুম যে অমুক গ্রামে একটি ছেলেকে মেয়েদের বুকে হাত দেওয়ার অপরাধে হত্যা করে তার মাকে নগ্ন করে সারা গাঁ ঘোরানো হল,-- এটা কী করে সম্ভব হয়?
    সে ভীষণ উত্তেজিত হয়ে বলল--- তুমি কিস্যু জান না! ও বখা ছেলে। শহরে পড়তে গিয়ে ইয়ার দোস্ত নিয়ে সিনেমা হলে ঢুকে আমাদের মেয়েটির জোর করে বুকে হাত দিয়েছে। ওর হয়ে একটা কথাও বলবে না।
    আমি বল্লাম--- আমি কোন মেয়েরই ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার শরীরের কোন জায়গাতেই হাত দেবার বিরোধী। কিন্তু তার শাস্তি কি প্রাণ নেয়া? তার মাকে নগ্ন করে ঘোরানো?
    রাগে ওর মুখ দিয়ে কথা ফুটলো না।
    বল্লাম-- বেশ, তোমার কথা মেনে নেব। আগে একটা কথা বল। যদি ছেলেটি উচ্চবর্ণের হত আর মেয়েটি নীচুজাতের, তাহলেও কি তুমি ছেলেটির প্রাণদণ্ড চাইতে? মাকে নগ্ন করে ঘোরাতে? নিজের বুকে হাত দিয়ে বল।
    ব্যস্‌, আমাদের বন্ধুত্ব শেষ হয়ে গেল।

    দক্ষিণের দলিতদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা বলেছে-- কম্যুনিস্টরা ভাল। গরীবের পক্ষে কথা বলে। কিন্তু ওরাও আমাদের ব্যথার জায়গাটা ঠিক বুঝতে পারে না, ছুঁতে পারে না। আমরা যে ডাবলি অপ্রেসড্‌। এক, গরীব বলে, দুই, নীচুজাতের বলে।
    এই ভাবে গড়ে উঠেছে দুই ভারত। এক ভারত মনে করে এই সংবিধান, এই আইন কানুন নীচুজাতের জন্যে নয়। কাঁসিরামরা বলেন ওসব মনুবাদীদের জন্যে। মায়াবতীরা ঝোপ বুঝে কোপ মারেন। অসন্তোষের আগুনে নিজেদের রুটি সেঁকেন।
    কিন্তু আমি ভাবি -- এই অন্য ভারত যেদিন নিজেদের অধিকারের জন্যে উঠে দাঁড়াবে, নিজেদের মত করে আইন-কানুন বানাতে চাইবে সেদিন আমাদের কী হাল হবে?
    ওরা যে সেদিন অল্পে সন্তুষ্ট হবে না। ফৈজ আহমেদ ফৈজের ভাষায় ""এক বাগ নহীঁ, এক ফুল নহেঁ, সারে দুনিয়া মাঙ্গেঙ্গে।''
    -- -------------------***************------------------------

    ২৫শে এপ্রিল, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ২৫ এপ্রিল ২০১০ | ৭৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন