এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কাব্য

  • রং না দিলেও

    ফরিদা লেখকের গ্রাহক হোন
    কাব্য | ১৮ মার্চ ২০১১ | ১৭৯৩ বার পঠিত
  • নেহাৎ কিছুর ধার ধারিনি, নয়ত কিছু বলার ছিল। পাতা ঝরার সময় এলেও অন্য কোথাও মুকুল ছিল। ছিল যেমন চলতে থাকা অন্ধকারে হয়ত কোনোও আলোর দিকে। ছিল যেমন একফালি রোদ ঘুরতে ঘুরতে ঠিক এ সময়ে চেয়ারাটুকুর পা মুছিয়ে দিচ্ছে দেখে, ফিরতে হল। নেহাৎ কিছু কথার কথা এলোপাথাড় ঘুরতে এসে কিছুক্ষণের জন্য হলেও আটকে দিল।

    ধারবাকি সব তোমার কাছে - সব তামাদি বলতে গিয়েও বলছি ফেলে, বলার ছিল।

    তোমায় যখন দেখি সে এক অন্য মানুষ। রাস্তা চলতে পিঁপড়ে এলেও পাশ কাটাবে এমনধারা। সমস্ত রাত দেয় পাহারা সারাদিনের তন্ন তন্ন খুঁটে পাওয়া খোলামকুচি। যেসব কেবল খেলার ছলে ছড়াও তুমি রাস্তা জুড়ে। কিম্বা সেদিন বারান্দাতে দাঁড়িয়েছিলে একটু ঝুঁকে। রাস্তা তুমি দেখছিলে না। আকাশটাতেও চোখ ছিল না। কেমন একটা শূন্য কিছু ধরতে চেয়ে আপন মনে ভাবছ কিছু। আমি তখন হাঁটছি দেখ ওড়াই ঘুড়ি পেতে নাগাল তোমার ওসব ভাবনাটুকুর। তাতেই দেখি টাপুর-টুপুর শুরু হলে আমার ঘুড়ি বিপর্যস্ত দেখছি আমি সেই বারান্দা মেঘ হয়ে যায়, বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে।

    এমনিতে তার তেমনিতে সে দিন যা ছিল দাউ দাউ সব জ্বলতে থাকা জ্বালতে থাকা। স্কুল বা কলেজ কোথাও একটা যেতাম তখন এদ্দিনে সব ভুলেও গেছি। ছুটি ছাটা থাকত লেগে গায়ের সাঙ্গে ঘামের মতো। সমস্ত দিন গয়ংগচ্ছ, পুচ্ছ তুলে এদিক ওদিক, বাড়লে বেলা চান খাওয়া শেষ। ভন্যি দুপুর খেলতে থাকা রাবার বলের ফুটবলে সব পোক্ত হলাম। নখের পাশে চামড়া কেটে রক্ত পড়ে, না পড়লে তাই নীলচে রঙের কালশিটে সব সাজতে থাকে।

    এরই মধ্যে ছিল একটা রাস্তা যেটা বাজার যেত। আমার পাড়ার গলিখুঁজি পার করে সেই হঠাৎ করে চওড়া রাস্তা প্রসারতার জন্ম দিত। সেই রাস্তা জানতো শুধু সাজতে কেবল, আর তাছাড়া আর কোনো তার কাজ ছিল না। মাঝে মধ্যে একটা দুটো হলদে কালো ট্যাক্সি যেত ঝকাম ঝকাম। দুপুর হলে লাইন করে খান চার পাঁচ হাতে টানা রিক্সা আসত খাবার খেতে। সেই রাস্তার ফুটপাথে সব চাঙরাগুলো এবড়োখেবড়ো করেছে সব কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া। ফেব্র¦য়ারীর শেষের থেকেই সবার সামনে পোষাক তাদের ছাড়তে হবে। একে একে হলদে পাতার চাদর টেনে শীতের শেষের ওমটুকু সে রাস্তা পুরো চুমুক মারে।

    কাদিন পরেই সেই রাস্তার ভোল পুরোটা বদলে যাবে। দামড়া দামড়া গাছগুলো সব কী নির্লজ্জ্ব। পাতার পোষাক প্রায় পুরোটা ঝরিয়ে ফেলে আদুল গায়ে যত্ন করে ফুল ফোটাচ্ছে। এই কদিনের মধ্যে পুরো রাস্তা যেন দখল করে হলদে লালে ভরিয়ে দেওয়া পাপড়িগুলো।

    রেশন বাজার ফেরৎ এসব আমি দেখছি তবু ভ্রুক্ষেপ নেই এই রাস্তার। রেশন বোঝাই ব্যাগের ভারে ডানদিকটা একটু যেন নুইয়ে গেছে। লাইন ছিল দোকানে আজ হঠাৎ করে পড়লো গরম। খবরটবর থাকত তখন কোনদিন সেই রেশন দোকান দরাজ হয়ে সেদ্ধ চালের বস্তা খোলে। কিম্বা ভালো গম এসেছে তেমন কিছু। সেদিন এমন চালের ব্যাগ আর গমের ব্যাগে নুইয়ে আমি ফিরছি তখন রাস্তা জুড়ে হলদে লালে মারপিট খুব। তারই মধ্যে সাড়ে দশটার মিচকে পোড়া রোদ্দুর সে গাছের আনাচ-কানাচ থেকে তুলছে ছবি। এ প্রেক্ষিতে চোখ না তুলেও বুঝতে পারি ঝুলবারান্দা আলো করে দাঁড়াও তুমি। রাস্তা তুমি দেখছ না সে জানি আমি। আকাশেও যে তাকাও নি তার খবর রাখি। আরো একটু নাগাল পেতে ওড়াই ঘুড়ি তাতেই সেই ঝুলবারান্দা মেঘে ঢাকা। টাপুর টুপুর বৃষ্টিতে সেই ঘুড়ি কোথাও যায় হারিয়ে।

    সেই সেদিনের বেয়াক্কেলে রোদ্দুরে যা ভাসার ছিল ভেসেই গেল। এর কদিনের মধ্যে আবার দোল পড়েছে ক্যালেন্ডারে। আমাওরা কজন বাউন্ডুলে ভুত সেজেছি সকাল থেকেই। নিজের থেকে লুকোই নিজে জামা কাপড় তেমন ভিজে। এই এপাড়া থেকে আবার সেই ওপাড়ায় ঘুরতে থাকি দঙ্গলে সব। গুঁড়ো রঙের ছোট্ট একটা টিনের কৌটো ডানপকেটে। সঙ্গে আছে লাল আবীরের প্লাস্টিকও এক। বন্ধুদের বাড়ি গেলে বড়দের পায়ে দিতে হয়। এদিক ওদিক সেদিন প্রচুর হই হল্লা। বাড়ছে বেলা। আস্তে আস্তে দোলের সব খেলুড়েদের বাড়ছে বয়স। রাস্তা জুড়ে ছুটতে শুরু করছে কিছু বেয়াক্কেলে বাইকওলা দু-তিনজনকে পিছনসীটে বসিয়ে নিয়ে। হুডখোলা বেশ চার-পাঁচটা জীপের লাইন ছুটে গেল তারস্বরে হর্ণ বাজিয়ে। ফেরার পথে দেখি আমার দঙ্গল সেই বাজার যাওয়া রাস্তাটি নেয় হঠাৎ করে।

    তখনো সেই রাস্তা নিজের পাপড়ি নিয়ে খেলেই যাচ্ছে। তার মধ্যেই সাত্যিকারের দু-একটা পোঁচ রঙ ছড়ানো আশেপাশের বাড়ি থেকে উড়ে আসা রঙের বেলুন। কোথাও যেন এমনকরে রঙ পড়েছে কেউ বুঝি তার খুব পুরোনো বন্ধুকে আজ প্রাণ ভরে আজ রঙ মাখালো।

    ঝুলবারান্দা খালি ছিল। দেখার জন্য সেই সেদিনেও চোখ তুলিনি, বুঝতে পারি। কিন্তু তাদের গেটে এমন জটলা ছিল। কয়েকজনে মিলে বেশ ঢোল বাজিয়ে গান জুড়েছে। উড়ছে আবীর ইতস্তত:, রঙমাখা সব মানুষজনের ভিড়েও আমি দেখছি তোমায়। তাতেও আরও রঙীন হয়ে টুকরো টুকরো সুর সমূহ বিঁধছে আমায় বুঝতে পারছি। মাথার ওপর গাছের ঝালর থেকে কিছু চুঁইয়ে আসা আলোয় তুমি মেলাও গলা হে ঈশ্বরী তাতেও আমি দিশেহারা। আশেপাশের বন্ধুরা সব কোথায় যেন। সম্মোহিত আমি আরো যাই এগিয়ে ঢেউ যেখানে নিজেই ভাঙে আকাশছোঁওয়া। আমার সাঁতার না জানাটা কাজের এমন হতে পারে আর ভাবিনি। ডুবতে হবে সেই যেখানে সেখান থেকে ফেরার হিসেব ধার ধারিনি।

    সেই কজনের ভিড়ে আমি ছিলাম খানিক আবিন্যস্ত। ভিড়ের মধ্যে একজন তো, তাতেই হবে। ঐকতানের মাধ্যে হলেও ঠিক আলাদা আওয়াজটি তার চিনছি তাতেই ফিনকি দিয়ে রঙ ছড়ালো শব্দগুলো। আবীর প্যাকেট হাতেই ছিল। নিজের কাছে অচেনা তাও তোমার কাছাকাছি ছিল। রোদ্দুরে সব ঝলসে ওঠা অভ্রকুঁচি চোখ ধাঁধিয়ে, সেই সুরে এক ডুবতে থাকা খুব অচেনা আবেশ ছিল। ইচ্ছে বলে কিছু একটা অল্প আবীর দিতে চাওয়া অনেকাদিনের স্বপ্ন ছিল। সেই আবেশে ভেসে গিয়ে ভুল ঠিকানায় ঠিক কথাটা স্রেফ একটিবার বলার ছিল। হাজার হাজার রঙের ফোঁটার সেই একটাই জীবন ছিল।

    তোমার কাছে অন্য মানুষ সাদা কালোয় ফিরে এসেও - সেই কথা যা বলার ছিল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কাব্য | ১৮ মার্চ ২০১১ | ১৭৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • জ্যোতিষ্ক | 82.204.42.99 (*) | ০১ মার্চ ২০১৮ ০৩:২০89147
  • উফ ! কি ভালো লেখা ! এসব লেখা পড়লে আর কাজকর্ম হয় না বাকি দিন, চুপচাপ কফি নিয়ে জানলার ধারে বসে দিনটা কাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করে !
  • Kakali Sinha Roy. | 126.75.218.245 (*) | ০১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৫৭89148
  • বাহ্ ! ভারী ভালো লাগল।
  • ফরিদা | 11.38.4.14 (*) | ০১ মার্চ ২০১৮ ০৭:১৬89143
  • কোনকালে একদা কাব্যি করেছিলাম.......
  • ফরিদা | 11.38.4.14 (*) | ০১ মার্চ ২০১৮ ০৭:২০89145
  • কোনকালে একদা কাব্যি করেছিলাম.......
  • ফরিদা | 11.38.4.14 (*) | ০১ মার্চ ২০১৮ ০৭:২০89144
  • কোনকালে একদা কাব্যি করেছিলাম.......
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ০১ মার্চ ২০১৮ ০৮:১২89146
  • 'তোমার কাছে অন্য মানুষ সাদা কালোয় ফিরে এসেও - সেই কথা যা বলার ছিল।'

    শুধু এই লাইনটার জন্যেও বলা যায়, ভাগ্যে করেছিলে।
  • Shn | 193.83.213.80 (*) | ০২ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩৯89149
  • 'হাজার হাজার রঙের ফোঁটার সেই একটাই জীবন ছিল।'

    চুপ করেই থাকি বরং।
  • ঝর্না | 24.97.78.26 (*) | ০২ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৪89150
  • খুব ভালোলাগল পড়ে...
  • Prativa Sarker | ২৯ মার্চ ২০২১ ২১:৪০104259
  • একেবারে অন্য স্বাদের লেখা একটা। ভাগ্যিস এটা আবার তোলা হল। নাহলে তো পড়াই হতো না।

  • manimoy sengupta | ৩০ মার্চ ২০২১ ১৮:৫৪104309
  • চুপ হয়ে থাকা অনেকক্ষণ ! এ'ছাড়া আর কি করা যায়। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন