এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কবীর সুমনের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি

    পরিচয় পাত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ নভেম্বর ২০১৪ | ২৯৬২ বার পঠিত
  • কবীর সুমনের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি 

    মাননীয়েষু, 

    আপনি আমাকে চিনতে পারবেন না। আমি আপনার গানের শ্রোতা অনেকদিন ধরেই। আপনার গান ভাল লাগত, লাগে, কেন লাগে তা বলতে পারব না। আমার এমন কোন সাংগীতিক বোধ নেই যে এর ব্যাখ্যা দেব। যেমন বহু মানুষের সৃজিতের ছবি ভাল লাগে, কেন লাগে তা তাঁরা জানেন না, কারণ তাঁদের সিনেফাইল জীবনের অভ্যাসের মধ্যে বেড়ে ওঠা হয়ে ওঠেনি। আপনার গান নিয়ে এখানে আমি আলোচনা করতেও আসিনি, এ আমার গৌরচন্দ্রিকা মাত্র। নান্দীপাঠেই ঘণ্টা কাবার করব না, সে আশ্বাস দিচ্ছি।  

    আপনাকে সরাসরি কবীর সুমন বলে সম্বোধন করলাম। জনাব বা সাহেব বললাম না। আমি মানুষের ধর্মপরিচয়ে তাকে সম্বোধন করা সাধারণত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। একটি ঘটনা মনে পড়ল। জামাতের প্রাক্তন আমীর এবং রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা সদ্যপ্রয়াত গোলাম আজম এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ নেতা এবং মুজিবের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাজুদ্দিন আহমেদকে, যিনি ১৯৭১ এ মুজিবনগরে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সম্বোধন করেছিলেন “শ্রী তাজুদ্দিন” নামে। অর্থাৎ আওয়ামী সেকুলার রাজনীতিকে হিন্দু ঘেঁষা এবং মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় চক্রান্ত প্রমাণে মরিয়া জামাত নেতা এই ধরনের সম্বোধনের রাজনীতি ব্যবহার করেছিলেন। আমি এতে আস্থাশীল নই।

    আমি মনে করি যে হিন্দু বাঙ্গালিরা আপনার ধর্ম পরিবর্তন প্রসঙ্গ টেনে এনে আপনার রাজনৈতিক মতের বিরুদ্ধে কথা বলেন  তারা ঘোরতর অন্যায় করেন। কিন্তু আপনিও যেভাবে প্রায় প্রতি পদক্ষেপে আপনার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে বৈধতা দিতে ধর্মের প্রসঙ্গ, ধর্মান্তরের প্রসঙ্গ আর persecution প্রসঙ্গকে নিয়ে আসেন বিজ্ঞাপনের মত তাকেও আমার বিশেষ রুচিকর বলে মনে হয়না। আপনি যা লিখছেন তাহা ফেসবুক পোস্ট মাত্র, Acts of the Apostles বা উইলিয়াম কেরী মার্কা অনুবাদে প্রেরিতদের কার্যবিবরণী নয়, যে থেকে থেকে সন্ত পিতর, সন্ত যাকোব, সন্ত থোমাদের অত্যচারিত হওয়ার দৈব গালগল্প চালানোর দায় থাকবে আপনার। আমি নিজেকে পৃথক করে নিলাম এইসব থেকে। এজন্যই আমি আমার কোন বন্ধুকে পুজো-বিজয়া বা ঈদের শুভেচ্ছা জানাই না কদাচ। তাতে মানুষের প্রভেদটাই বাড়িয়ে তোলা হয় বলে আমি মনে করি। 

    সাম্প্রতিক সময়ে খাগড়াগড় কাণ্ডে আপনার বিবৃতি অনেকের কাছেই অস্বস্তির কারণ হয়েছে। আপনি দাবী করছেন এই বিস্ফোরণ কোন সন্ত্রাসবাদী কাজ কিনা তার প্রমাণ নেই, দাবী করছেন বিস্ফোরণে নিহত একজনের নাম কেন স্বপন মণ্ডল, বলছেন তেমন বিস্ফোরক হলে গোটা বাড়িটাই উড়ে যেত। বলছেন মমতা কেন ইসলামী মৌলবাদীদের মদত দেবেন, কি তাঁর স্বার্থ? 

    এ বিষয়গুলিতে যাওয়ার আগে অন্য একটি বিষয় একটু দেখে নেওয়া ভাল। তসলিমা নাসরিন অতি সম্প্রতি টুইট করেছেন এই মর্মে যে আপনি তাঁর বিরুদ্ধে থাকা নানা ফতওয়া সমর্থন করেছেন, তাঁর বই নিষিদ্ধ করাকে সমর্থন করেছেন, তাঁর নির্বাসনকেও। তিনি এমন দাবীও করেছেন যে আপনি তাঁর ফাঁসির দাবী সমর্থন করেছেন তিনি আপনার প্রফেট/নবীর বিরুদ্ধে লিখেছেন বলে। সেখানে গিয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তত দুজন সুপরিচিত হিন্দুত্ববাদী, একজন বিজেপি একজন হিন্দু সংহতি নেতা, আমি তাঁদের মন্তব্য উপেক্ষা করেছি সম্পূর্ণ। এই দাবীর একাংশ যে সত্যি আমি তা জানি, আদিত্য নিগমের এই বিষয়ে লেখা কাফিলার একটি পোস্ট আমি খুঁজে পেয়েছি। সেটা বই ব্যান করা সংক্রান্ত। কিন্তু ফাঁসির দাবী কি আপনি করেছেন সুমন? 

    আমি অন্তত তসলিমাকে অবিশ্বাস করার খুব একটা কারণ দেখছিনা। আমার মনে আছে কিছুদিন আগেই তসলিমার ভিসা বিতর্কে আপনি এই সময় কাগজে বলেছিলেন যে তসলিমার উচিত তাঁর বিতর্কিত বক্তব্য কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করা, আমাদের দেশের বাস্তবতা বোঝা, প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত লোকজনের সঙ্গে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া। আমি তারপরেই আমার ফেসবুক থেকে আপনাকে বাদ দিই, এবং স্ট্যাটাস দিই। হায়দরাবাদে যে এমআইএমের লোকেরা তসলিমাকে আক্রমণ করেছিল, যারা নিজামের রাজাকার বাহিনীর অবশেষ বলে তাঁর কাফিলার রচনায় লিখেছেন আদিত্য নিগম, তাদের সঙ্গে আপনার কোন পার্থক্য পাইনি। আমি লিখেছিলাম কার সঙ্গে কি মিটিয়ে নেবেন তসলিমা? ‘প্রথম আলো’ সম্পাদক মতিউর রহমানের মত বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবের (সকলের অবগতির জন্যে জানাই যে জুম্মাবারের বিশেষ নামাজে খুৎবা পাঠ যিনি করেন তাঁকেই বলে খতিব) হাতে পায়ে পড়বেন কাগজে প্রকাশিত ধর্মের অবমাননাকারী ছবির জন্য? মাপ করবেন সুমন, যেদিন ডনিগারের হিন্দুধর্ম বিষয়ক বই দীননাথ বাটরা সাহেবের চাপে বাজার  থেকে তুলে নিল পেঙ্গুইন সেদিনও আমি উত্তেজিতভাবে দীননাথদের বিরুদ্ধে লিখেছি, বই ডাউনলোড করার লিঙ্ক শেয়ার করেছি, আবার যেদিন বাংলাদেশের বিখ্যাত দুই নাস্তিক ব্লগার অভিজিৎ রায় ও রায়হান আবীরের বই ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ সেদেশের ফ্লিপকার্ট রকমারি ডট কম সরিয়ে নিল ফেসবুকার মৌলবাদী এবং নানা জনকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দিয়ে জেল খাটা শফিউর রহমান ফারাবীর চাপে, সেদিন তাঁদের বইও শেয়ার করেছি। অবিশ্যি আমি তো সাধারণ মানুষ। রাজনীতি করিনা, ধর্ম করিনা।  

    যারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে নানারকম কথা বলেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাদের সামলাতে বাংলাদেশের মানুষ এই মর্মে তর্ক করতেন, “ঠিক আছে, বিচার নিরপেক্ষ করার নিশ্চয়তা থাকবে, ঠিক আছে, আওয়ামী লীগ যে নানা অপরাধে অপরাধী তাও মেনে নিলাম, হ্যাঁ, সব হত্যার তদন্তই করা দরকার, এইবার বলুন যুদ্ধাপরাধীর বিচার চান না চাননা?” আমিও এইভাবে কয়েকটি কথা স্পষ্ট করে বলিঃ 

    ১। সামগ্রিকভাবে কোন সম্প্রদায়কে দোষারোপ করা ঘোরতর অন্যায়। 

    ২। এই মুহূর্তে যেভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে তাতে লাভবান হবেন বিজেপি নেতারা। 

    ৩। যে মাদ্রাসা ছাত্রটিকে হত্যা করা হল তার মৃত্যুর তদন্ত দাবী করছি। এবং করব। 

    ৪। যে দুই গরিব রাজমিস্ত্রি সন্দেহের বশেই গ্রেপ্তার হলেন কাশ্মীর পুলিশের হাতে এবং তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এমন দাবী করা হল তাঁদের জন্য আমি উদ্বিগ্ন, নকশালপন্থী এক সমাজকর্মী এব্যাপারে আমাকে জানান, আমি তাঁকে বলেছি  হেবিয়াস করপাস করতে, এবং বিষয়টা ফেবসুক মারফত সবাইকে জানিয়েছি। 

    এরপর মূল প্রসঙ্গে আসি। বাংলাদেশে কিন্তু খাগড়াগড় প্রবল আলোচনার সৃষ্টি করেছে, ঢাকা এব্যাপারে অনুরোধ করেছে দিল্লিকে বলেই শোনা যাচ্ছে, শেখ হাসিনা আনন্দবাজারে সাক্ষাৎকার দিয়ে কৌশলে অনেক কথাই বলেছেন, মমতার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের ধারণা অনেকদিন ধরেই বেশ মন্দ। তিস্তাচুক্তি এবং সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নে মমতার অনীহাকে তাঁরা আওয়ামী সরকারকে বিপদে ফেলার একটা চাল হিসেবেই দেখেছেন এবং আওয়ামী লীগ সমস্যায় পড়লে সুবিধে কাদের হবে সেটা কানার ভাই অন্ধও জানে (একটু বাংলাদেশি বাগধারা ব্যবহার করে ফেললাম)। আমি যখন ৭১ টিভিতে ইন্টার্ভিউ দিয়েছিলাম তখন আমাকে সঞ্চালক স্পষ্টই জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গে ইসলামী রাজনীতি কতোটা প্রাসঙ্গিক, মমতার এহেন আচরণের কি ব্যাখ্যা থাকতে পারে। আমি জানাই যে সাচার  কমিটির রিপোর্টে সংখ্যালঘু মানুষদের বেহাল আর্থসামাজিক অবস্থা তাঁদের প্রণোদিত করেছিল তৃণমূলের দিকে যেতে আর তার ফলশ্রুতিতেই সেই ২৭% ভোট সম্পূর্ণ কুক্ষিগত করেছে তৃণমূল। ঐতিহাসিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জনগোষ্ঠীর এক বৃহদাংশ বাংলাদেশের প্রতি এবং আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতিশীল নন, ভারতের অন্য প্রদেশেও ছবিটা মোটের ওপর এক। ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র মুসলিম মেজরিটি দেশ পাকিস্তান (ইসলামী দেশ নয় কিন্তু, যা ছিল জামাত গুরু মউদুদির আপত্তির কারণ, ইসলামী দেশ হতে হলে ইসলামী শাসনতন্ত্র থাকতে হবে, কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন থাকবে না, থাকবে শরীয়া)ভেঙ্গে ভাষা এবং এথনিসিটির ভিত্তিতে একটা দেশ তৈরি হওয়া তাঁরা মেনে নিতে পারেন নি অনেকেই। লখনউ ছেড়ে এসে কলকাতা নিবাসী এক উর্দু কবি ১৯৭১ এ বাঙালি কবিদের সমতলে নেমে এসে বাংলাদেশের জন্য কবিতা লিখেছিলেন বলে শহরের সব উর্দু কাগজ এক বছর তাঁর লেখা বয়কট করে। 

    ভারতীয় জামাত তাদের বাংলাদেশি গুরুভাইদের বাঁচাতে সবকিছুই করেছেন। জনমত সংগঠিত করেছেন ভারতে, কেরালায় নানা সেমিনার, সভা করেছেন, কলকাতায় একাধিক মিছিল করেছেন। তাঁদের রাজনৈতিক দল নবগঠিত ডাবলুপিআই মুর্শিদাবাদের এক নির্বাচনে মূলধারার দলের ভোট কেটে প্রায় ১২% ভোট পেয়েছে। গোলাম আজম একদা বলেছিলেন তাঁদের প্রধান কার্যালয় ১৯৭১ এও ছিল লাহোর, এখনও লাহোর। জামাত তাই একটি আঞ্চলিক সংগঠন মাত্র নয়। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, যুদ্ধাপরাধ বিচারের অন্যতম দাবীদার শাহরিয়ার কবীর তথ্যচিত্র করে দেখিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের সংগঠনগুলির সঙ্গে কিভাবে এদের যোগ আছে। 

    মমতা সরকার এদের প্রথম থেকেই আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন। কলকাতায় শাহবাগের সংহতিতে মিছিল আটকে দেওয়া হয়েছে, অপরপক্ষে সাঈদী-নিজামীদের মুক্তির দাবীতে মিছিল পুলিশি সাহায্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনে। ময়দানে সভা করে শেখ হাসিনাকে কলকাতায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁর ছবি পা দিয়ে মাড়ানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই জামাতি শক্তিবৃদ্ধিতে লাভবান হয়েছে বিজেপি এবং তার নানা শাখা প্রশাখা। এদের উত্থানও কলকাতায় হয়েছিল মোটামুটি ২০০৮ থেকে, তখন সিপিএম দুর্বল হতে শুরু করেছে, তৃণমূল আসব আসব করছে। ২০০৯ এ ক্ষমতায় আসে লীগ, ২০১০ এর মার্চ থেকে শুরু হয় যুদ্ধাপরাধ বিচার। সেই শুরু জামাতের এপারে পালানোর। পরবর্তীকালে তৃণমূলের একাধিক সাংসদের নাম জড়িয়েছে সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িত থাকার জন্য, কিন্তু দল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। একজনকে কেন্দ্র থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে মাত্র। শাহবাগ বিরোধী মিছিল প্রসঙ্গে আলোচনা করেছিলেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়, ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকায় পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় রাজনীতির বাড়বাড়ন্তের কথা বলেছিলেন। সেখানে উঠে এসেছিল গ্রামেগঞ্জে তারেক মানোয়ার হাসানের ওয়াজ বাজানোর প্রসঙ্গ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা জানিয়েছে ২০১৩য় এক বছরে ১০০ র বেশি সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়েছে এই রাজ্যে, যা আগে ছিল অভাবনীয়। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ বাংলাদেশের নয়া দিগন্ত নামক জামাতি পত্রিকার সংবাদদাতা ছিলেন, যে মিডিয়া হাউসের প্রধান জামাতের মজলিশে শুরা সদস্য মীর কাসেম আলি, এই রবিবার যাকে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিল। 

    আপনি তারেক মানোয়ার হাসানের ওয়াজ শুনেছেন সুমন? বা জামাতের নায়েবে আমীর, যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর ওয়াজ (নামের আগে আল্লামা লিখলাম না, কারণ আল্লামা অর্থ জ্ঞানী, ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি না থাকলে এটি নামের আগে কেউ বসাতে পারেন না)? আমি, আমার ব্যক্তিগত উৎসাহ হেতু, শুনেছি। এবং অনেকগুলি শুনেছি। সাঈদীর কণ্ঠের আমি ফ্যান হয়ে উঠেছিলাম বলা চলে। এরা ওয়াজে কি বলেন পারলে একটু শুনে দেখবেন। 

    খাগড়াগড়ে নাম উঠে এসেছে বাংলাদেশের জেএমবি বা জমিয়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ নামক জঙ্গি সংগঠনের। আপনি নিশ্চয় জানেন এদের নেতা সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই, যে আফগানিস্তান যুদ্ধে লাদেনের সহচর ছিল, সে কিভাবে রাজশাহী জেলায় সমান্তরাল প্রশাসন চালাত? কিভাবে ২০০৪ এর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনা সহ গোটা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে হত্যা করতে চেয়েছিল এরা, যার পরিকল্পক ছিলেন খালেদা জিয়া পুত্র তারেক রহমান, খালেদা সরকারের শিল্পমন্ত্রী এবং জামাতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী (যুদ্ধাপরাধে এবং আলফা জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের মামলায় আলাদা আলাদা করে ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত), সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এবং জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহম্মদ মুজাহিদ (যুদ্ধাপরাধ হেতু ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুতফুজ্জামান বাবর (অস্ত্র মামলায় ফাঁসির হুকুম হয়েছে), আব্দুর রহমান পিনটু প্রমুখ। নিশ্চয় জানেন বাংলা ভাই আর শায়খ আব্দুর রহমানের ফাঁসি হয়েছে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সামরিক সরকারের আমলে? এরা বাঙ্গালির সঙ্গীত সংস্কৃতির বিরোধী ছিল সুমন, চট্টগ্রামে ছায়ানটের রবীন্দ্রগানের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা করে অনেক সঙ্গীত শিক্ষার্থী শিশুকে এরা হত্যা করেছিল। এদেরই সঙ্গে বর্ধমান কাণ্ডের যোগের কথা এসেছে বারবার, বিশেষ করে বাংলাদেশের কাগজে। এটা তদন্তসাপেক্ষ।  কিন্তু আপনি তো একজন গানের মানুষ, ফৈয়াজ খান সাহেবের কবর যারা ধ্বংস করেছে তাদের তীব্র ঘৃণা করেন, করাই উচিত। সেইসঙ্গে নাহয় এদেরও একটু ঘৃণা করলেন সুমন? ঘৃণার ভাগে কি কম পড়ে যাবে তাতে? 

    আপনি ফেসবুকে এক মন্তব্যে দেখলাম তাবলীগি মুসলমানদের তাচ্ছিল্য ভরে ইসলামবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন, কেন সুমন? তাবলীগ জামাত শান্তিপূর্ণভাবে ধর্ম প্রচার করে, মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেয় তাদের নিজেদের মত করে, আত্মিক জিহাদের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে অস্ত্রের জিহাদের বদলে, রাজনৈতিক ইসলাম এবং ইসলামপন্থীদের এড়িয়ে চলে বলে? এই অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে করে থাকে কারা জানেন তো? জামাতে ইসলামী আর হিজবুত তাহরীরের মত দল। আপনিও কি এদের মতাদর্শে বিশ্বাস করেন? বহু জঙ্গিবাদী ইসলামী ওয়েবসাইটে তাবলীগের বিরুদ্ধে প্রচার করা হয়, সৌদি গ্র্যান্ড ইমাম তাদের আক্বীদা ঠিক নেই বলে একবার ফতওয়া দিয়েছিলেন এবং সেটা কোন যুক্তিতে কোন আয়াত উল্লেখ করে তাও আমি জানি। এদের উদ্দেশ্য বোঝা যায়। কিন্তু আপনার? আপনি কি আলেম, আল্লামা, ওলামা, মাশায়েখ? কত বছর আরবী পড়েছেন? কোন পাঠক্রম, দেওবন্দি না অন্য কিছু? কোন মাদ্রাসা? কোন ইউনিভার্সিটি, মদিনা না আল-আঝার? যাকে তাকে ইসলামবিরোধী ঘোষণা করার অধিকার কে দিয়েছে আপনাকে?   

    আলীয়া মাদ্রাসা আর খারিজি বা কওমী মাদ্রাসার পার্থক্য মানুষকে বোঝাতে হবে। কিন্তু খারিজি বা কওমী মাদ্রাসার সমস্যাগুলি তো তাতে চাপা পড়ে যাবে না। এক বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আমরা আধুনিক যুগে জীবিকানির্বাহের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত করে ছেড়ে দিচ্ছি, যাদের একমাত্র রোজগারের রাস্তা, সাঈদী সাহেবের ভাষা্‌য়, কারো বাপের জানাজা পড়িয়ে ১০ টাকা আয় করা। ধর্মের শিক্ষা সেকুলার প্রতিষ্ঠানে নিরপেক্ষ এবং স্কলারলি ভাবে ক্লাসিকাল ভাষা আর দর্শন চর্চার মাধ্যমেই হওয়া উচিত, এই ধরনের ধর্ম শিক্ষা পরধর্মবিদ্বেষী মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরগাছা শ্রেণীর মানুষ তৈরি করে, তৈরি করে হুজুরদের ক্যাননফডার। আল্লামা শফি, জুনায়েদ বাবুনগরী এই গরিবের ছেলেদের নাস্তিকদের ফাঁসির দাবীতে পথে নামান, পুলিশের গুলির মুখে ঠেলে দেন। বিনিময়ে নিজেরা রোজগার করেন প্রভূত অর্থ। আওয়ামী-বামপন্থী জোট সরকারের বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এই মাদ্রাসাগুলিকে চেয়েছিলেন সরকারের আওতায় আনতে, শফি হুজুররা হুমকি  দিয়েছিলেন যে তাহলে দেশে রক্তগঙ্গা বইবে। মাদ্রাসা ছাত্রদের ইংরেজি শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগে জল ঢেলে দেন মুফতি ফজলুল হক আমিনী। এদের দিয়ে মাদ্রাসায় গ্রেনেড তৈরি করাতে গিয়ে দুটি ছেলেকে বিস্ফোরণে মেরে ফেলেন হেফাজতের নায়েবে আমীর মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী। তবু চেষ্টা করেছিলেন নাহিদ। বাংলাদেশ পারে, আমরা পারিনা কেন? 

    আপনি গেয়েছেন  “শোন তালিবান তালিবান/আমি তোমাদের সাথে নেই/ আমি ধর্মে মুসলমান/ আছি লালনের সঙ্গেই”। লালনের হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বাইরের মূর্তি কিন্তু কওমী মাদ্রাসা ছাত্ররা গিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিল সুমন। আর তালিবানরা সকলেই মাদ্রাসা ছাত্র, তালেবা শব্দের মানেই ছাত্র, তাই থেকেই তালিবান। তাদের চেয়ে বেশি আরবী আপনি নিশ্চয় জানেন না। 

    বরং এই বিষয়টা নিয়ে কথা হয়না কেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন গ্রামের গরিব সংখ্যালঘু মানুষকে অবৈতনিক সরকারি শিক্ষা আর মিড ডে মিলের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি, কেন তাকে মাদ্রাসায় যেতে হয়? সবাই ছেলেমেয়েকে কোরআনে হাফেজ করতে চান এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। শিক্ষার অধিকারের দাবী পিছিয়ে পড়ল, উঠে এল মাদ্রাসা শিক্ষার অধিকারের দাবী? 

    আজ বাংলাদেশের ইতিহাস তার সবচেয়ে কঠিন সময় পেরচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে আর রায় কার্যকর করে দেশকে অভিশাপমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমাদের কাছে তারা বৈরীভাব আশা করেন না। সে ঐতিহ্য আমাদের নয়।  

    আপনি একদা বলতেন আপনার এক পিতৃবন্ধুর কথা, যিনি বাংলাদেশে গিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। আওয়ামী নেতারা কিভাবে তাঁর কথা তোলায় বিরক্ত হয়েছিলেন আপনার সফরকালীন তাও বলেন। কিন্তু আপনি কি জানেন না বিএনপি দলটির ইতিহাস কি? আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে বহু জমি দখলের অভিযোগ আছে, তাদের দলে অনেক বেনোজল রয়েছে, সব কথাই সত্যি। কিন্তু বিএনপির পার্টি লাইন আদর্শগত ভাবে পৃথক। ২০০১ এ ক্ষমতায় এসে তারা আর জামাত সংখ্যালঘুদের ওপর কি ভয়ানক সন্ত্রাস চালিয়েছিল মনে আছে? হুমায়ুন আজাদ যাকে বলেছেন হিন্দু তরুণীদের উপর দিয়ে ধর্ষণের ঝড় বয়ে যাওয়া? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে শাহাবুদ্দীন কমিশন গড়েন, রিপোর্ট জমা পড়ে। পূর্ণিমা শীলের বহু আলোচিত গনধর্ষণ মামলা (তার মা বলেছিলেন, বাবারা, আমার মেয়েটা ছোট, একজন একজন করে যাও, নইলে মরে যাবে) ছাড়া কোন ক্ষেত্রেই এখনো বিচার শেষ হয়নি। অন্য একটি ক্ষেত্রে বিচার চলছে, যেখানে বিএনপি অফিসে গণধর্ষণ করে যোনিতে বালি আর কাচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে।  

    যোনির মত এক রম্য, সুন্দর এবং কৌতূহলোদ্দীপক প্রদেশে পারস্পরিক সম্মতিতে জিভ এবং পুরুষাঙ্গ ব্যতীত অন্য কিছু প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার কদর্যতা একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে আমি ভাবতেই পারিনা। কিন্তু আমরা তো সাধারণ মানুষ, রাজনীতি করিনা, ধর্মীয় রাজনীতি করিনা, সুমন।   

    শামসুর রহমান দেশত্যাগী সংখ্যালঘুদের জন্য একটি আশাবাদী কবিতা লিখেছিলেন, নাম’সুধাংশু যাবে না’। তার শুরুটা এইরকমঃ  

    লুণ্ঠিত মন্দির, আর অগ্নিদগ্ধ বাস্তুভিটা থেকে

    একটি বিবাগী স্বর সুধাংশুকে ছুঁলো

    ‘আখেরে কি তুমি চলে যাবে?’ বেলা শেষে

    সুধাংশু ভস্মের মাঝে খুঁজে

    বেড়ায় দলিল, ভাঙা চুড়ি, সিঁদুরের স্তব্ধ কৌটা,

    স্মৃতির বিক্ষিপ্ত পুঁতিমালা।

    স্বর বলে, ‘লুটেরা তোমাকে জব্দ ক’রে

    ফেলে আশে পাশে

    তোমার জীবনে নিত্যদিন লেপ্টে থাকে

    পশুর চেহারা সহ ঘাতকের ছায়া,

    আতঙ্কের বাদুড় পাখার নিচে কাটাচ্ছ প্রহর,

    তবু তুমি যেও না সুধাংশু।’

    পরে বড় দুঃখে এর একটা প্যারডি করেছিলেন আলমগীর হুসেন, নাম দিয়েছিলেন ‘সুধাংশু তুই পালা’। তার একটু তুলে দিলামঃ 

    পাগলামি করিসনে বন্ধু সুধাংশু

    সময় যে পার হয়ে যাচ্ছে

    এবার যে তোর পালানোর বেলা

    জিদ করিসনে বন্ধু, এখনই তুই পালা।

    জানি তুই কী ভাবছিস বন্ধু সুধাংশু

    দাঁড়িয়ে হাহাকারের ছোঁয়ায় জড়ানো শ্মশানসম বাস্তুভিটায়

    সেই হারিয়ে যাওয়া প্রাণচঞ্চল দিনগুলো, আমাদের ছেলেবেলা

    কিন্তু এবার যে তোর পালানোর বেলা, এবার তুই পালা।... 

    আরও জানি বন্ধু সুধাংশু

    তোর ষোড়শী বোনটি ‘মিলা’ দুষ্টামির ছলে আর বলতে পারবে না: আলমদা তুমি এত কৃপণ কেন?

    চলো মেলায় নিয়ে, কিনে দিতে হবে সুন্দর একটি মালা।

    তথাপি তোকে পালাতে যে হবে, এবার তুই পালা।...

    মিলাকে যে বিশ্ব জয় করতেই হবে বন্ধু সুধাংশু

    অসাধারণ সুন্দরী মেধাবী মিলার জন্য এক ধর্ষিত, অচ্ছুৎ, অভাগী নারীর জীবন ¬

    হবে মানবতার জন্য এক অমার্জনীয় ব্যর্থতা।

    তাই আমার কাতর মিনতি বন্ধু, এখনই তুই পালা।

    বিজেপি ভাল করেই জানেন পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের ঘাঁটি গাড়ার উপায় বাংলাদেশ বিষয়ে যে sentiment এখানে কাজ করে তাকে শ্রীলঙ্কার তামিলদের নিয়ে তামিল ভাবাবেগের মত খুঁচিয়ে তোলা। এখানে বিষয়টা তামিলনাদের চেয়েও সাংঘাতিক হতে পারে, কারণ ওখানে সমস্যা এথনিক, ধর্মীয় ততটা নয়। সাম্প্রদায়িক অভিজ্ঞতা মানুষকে সাম্প্রদায়িক করে, দেশভাগের সময় যারা এদেশ থেকে পূর্ব পাকিস্তানে গিয়ে বসতি করেন সাতক্ষীরার মত সীমান্ত এলাকায় তাদের মধ্যে জামাতের বিরাট প্রভাব রয়েছে। এপারে চলে আসা হিন্দুদের ক্ষেত্রে বিজেপি ঘাঁটি গাড়তে পারেনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে বাম আন্দোলনের কারণেই (বাম মানে কেউ শুধু সিপিএম মনে করবেন না দয়া করে)। আজ বামপন্থীদের সামগ্রিক দুর্বলতার সুযোগেই শক্তিশালী হচ্ছে বিজেপি। আমরাও বহুযুগ এই ইস্যুগুলিকে কার্পেটের তলায় চাপা দিয়ে রেখেছিলাম, আজ বোতল থেকে বেরিয়ে এসেছে এই দৈত্য। সব ধরনের মৌলবাদকেই আক্রমণ করতে পারিনি আমরা, সেই সুযোগে সেই জায়গা দখল করেছে হিন্দুত্ববাদ। 

    আপনি ভাবুন তো সুমন, সাঈদীর বরিশাল (প্রথম আলো ২০০১ এ লিখেছিল সাঈদীর নির্বাচনী কেন্দ্র পিরোজপুর সংখ্যালঘুদের বধ্যভূমি হয়ে উঠেছে) বা নিজামীর পাবনা থেকে পালিয়ে আসা কেউ যখন দেখেন এদেশের রাস্তায় সাঈদী-নিজামীদের মুক্তির দাবীতে মিছিলকে সাহায্য করছে মমতার পুলিশ, কি মনোভাব হয় তাঁর? এরপরেও কি বুঝিয়ে দিতে হবে মমতা কিভাবে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি তরান্বিত করছেন? 

    আমি কিন্তু অন্য বাংলাদেশকে চিনেছি, যে বাংলাদেশের পাশে আমাদের থাকতেই হবে। তাই খাগড়াগড়ের তদন্ত জরুরী। আমার মনে পড়ে যাচ্ছে হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ এর শেষাংশ, যেখানে শিবিরকর্মী তরুণটির উত্তরণ ঘটে এক হিন্দু তরুণীর প্রেমে, তারা পরস্পরকে চুম্বন করতে করতে দেখতে পায় সবুজ ঘাসের মধ্যে দিয়ে লাল সূর্য উঠছে। এ নাহয় গল্প, নাস্তিক ব্লগার সুব্রত শুভের কথা তো মিথ্যে নয়। ঘটনাচক্রে হিন্দু পরিবারে জন্মানো নাস্তিক ব্লগার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্যের ছাত্র সুব্রত গ্রেপ্তার হন ধর্মে আঘাত করার জন্য, বিপ্লব রহমান, রাসেল পারভেজদের সঙ্গেই। তার মুসলিম প্রেমিকা ক্যামেলিয়া পাগলের মত ছোটাছুটি করত উকিলদের দরজায় দরজায়, আদালতে এসে কাঁদত হাউহাউ করে। ক্যামেলিয়া লিখেছিল, রাস্তায় যেতে যেতে কল্পনা করে সে যে দেশটা চলে গেছে কিছু হিংস্র মানুষের হাতে, পর্দা করে না বলে, ইউনিভার্সিটিতে পড়ে বলে, হিন্দু ছেলের সঙ্গে প্রেম করে বলে পিঠে দোররা মেরে তাকে রক্তাক্ত করা হচ্ছে, এ লড়াই তাই তারও লড়াই। সুব্রত আর ক্যামেলিয়া, আমি যতদূর জানি, বিয়ে করেছে। 

    শামসুর রহমানের কবিতার শেষাংশ দিয়ে শেষ করছি আমার প্রলাপঃ 

    আকাশের নীলিমা  এখনো

    হয়নি ফেরারি, শুদ্ধাচারী গাছপালা

    আজও সবুজের

    পতাকা ওড়ায়, ভরা নদী

    কোমর বাঁকায় তন্বী বেদিনীর মতো।

    এ পবিত্র মাটি ছেড়ে কখনো কোথাও

    পরাজিত সৈনিকের মতো

    সুধাংশু যাবে না। 

    ধন্যবাদান্তে, 

    জনৈক সহনাগরিক 


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৮ নভেম্বর ২০১৪ | ২৯৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Nastik | 59.200.247.66 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:৫৮88090
  • আসাধারন , তবে মনে হয়না এতে সুমনের কোন রকম শুভাবুদ্ধির উদয় হবে। তার পুরোপুরি গন কেস। খুব অবাক হবনা অদুর ভবিষ্যতে রবীন্দ্রনাথ আর নজরুল কে ইসলাম বিরোধী আখ্যা দিয়ে বয়কট করার কথা বললে।
  • ranjan roy | 132.176.168.168 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৫৪88091
  • সুমনের কিছু হোক বা না হোক, এই লেখাটির মত আরো অনেক লেখা চাই, চুপ করে থাকার সময় নয়। চুপ করে থাকলে দুদিকের মৌলবাদীদের শক্তি বৃদ্ধি হবে।
    ভবিষ্যতের নাতি-নাতনীরা জিগ্যেস করবে, চুপ করে ছিলে কেন?
    পরিচয় পাত্র ও গুরু অ্যাডমিনকে ধন্যবাদ এই লেখার জন্যে।

    অবশ্যই বন্ধু সোমনাথের সুমনবন্দিত আবেগপ্রধান লেখাটিও পড়ে ফেলেছি।
    যুক্তি-তক্কো চলুক, কিন্ত গল্প নয়।
  • Nastik | 59.249.54.80 (*) | ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৪৪88092
  • রঞ্জন আপনার বক্তব্বের সঙ্গে পুরোপুরি একমত - চুপ করে থাকর সময় নয় , চুপ করে থাকলে দুদিকেরই শক্তি বৃদ্ধি হবে।
  • aranya | 154.160.98.92 (*) | ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:১৯88093
  • সুধাংশু-রা যেন না যায়, যেতে না হয় তাদের - এই প্রার্থনা
  • ujbuk | 96.135.50.136 (*) | ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:২৩88096
  • একটি ' উত্তর ' ও তো মুখবই তে দেওয়া হয়েছে দেখলাম । যদিও কোনো বক্তব্য তাতে নেই, শুধুই আমি আমি আমি আর বিচ্ছিন্ন বাগারম্বর
  • dupoysa | 131.247.234.58 (*) | ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ১০:৩১88094
  • খুব ভালো লেখা।
    "যোনির মত এক রম্য, সুন্দর এবং কৌতূহলোদ্দীপক প্রদেশে পারস্পরিক সম্মতিতে জিভ এবং পুরুষাঙ্গ ব্যতীত অন্য কিছু প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার কদর্যতা একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে আমি ভাবতেই পারিনা। "-তবে লাইন টি অপ্রাসঙ্গিক লাগলো
  • জটাশঙ্কর ওঝা | 99.0.66.30 (*) | ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ১২:২৩88095
  • তার ঠিক আগেই পাবেন, " অন্য একটি ক্ষেত্রে বিচার চলছে, যেখানে বিএনপি অফিসে গণধর্ষণ করে যোনিতে বালি আর কাচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে। "
  • গৌতম | 125.250.136.135 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৪৪88103
  • ১৯৯০ এর সুমন চাটুজ্জে আর ২০১৪ এর কবীর সুমনের মধ্যে অনেক অনেক ফারাক। ওর গানগুলো শুনলেই পরিষ্কার বোঝা যায়।
  • aranya | 78.38.243.218 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৩০88097
  • 'সাম্প্রতিক সময়ে খাগড়াগড় কাণ্ডে আপনার বিবৃতি অনেকের কাছেই অস্বস্তির কারণ হয়েছে। আপনি দাবী করছেন এই বিস্ফোরণ কোন সন্ত্রাসবাদী কাজ কিনা তার প্রমাণ নেই, দাবী করছেন বিস্ফোরণে নিহত একজনের নাম কেন স্বপন মণ্ডল, বলছেন তেমন বিস্ফোরক হলে গোটা বাড়িটাই উড়ে যেত। বলছেন মমতা কেন ইসলামী মৌলবাদীদের মদত দেবেন, কি তাঁর স্বার্থ? '

    - সুমনের এই বিবৃতি কোথাও পড়তে পাওয়া যাচ্ছে?
  • সিকি | 132.177.127.216 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:০১88098
  • ফেসবুক প্রোফাইলে ছিল। আমি পড়েছি। এখন আছে কিনা জানি না।
  • dd | 132.167.27.109 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:১৬88104
  • টাক ও পরে গ্যাছে
  • সৈয়দ রাফাত | 129.30.42.208 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:৪৮88099
  • সহমত
  • debu | 85.80.191.128 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:৫০88100
  • অসাধারন লেখা।
    সুমনের শরীর(মাথা) টা খারাপ হয়ে গিয়েছে (দু বার ( পড়ুন দু নম্বরি) ধর্মান্তরিত হয়েছে কিনা
    (Hindu to Muchhalmaan , cpm to TMC )
  • Masud | 113.19.252.82 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:২২88101
  • পরিচয় পাত্রের লেখায় অনেক যুক্তি। অনেক সত্যি।
  • কান্তি | 113.24.191.70 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৪ ১০:২৯88102
  • নেট যোগাযোগ না থাকায় এই লেখাপত্র দেরীতে পড়লাম। এবিষয়ে আরো বিষয় ভিত্তিক যুক্তিপূর্ণ
    আলোচনা চলুক। কিন্তু মূল বিষয় ছেড়ে অবশ্যই নয়। যেটা মূল টৈতে প্রবল ভাবে ঘটতে দেখেছি।
  • ranjan roy | 132.176.166.215 (*) | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১৪88106
  • এখন তো স্পষ্ট যে খাগড়াগড়ে নিহতদের মধ্যে কোন স্বপন মন্ডল ছিল না। মৃতের ছদ্মনাম সুভান মন্ডল, আসল নাম কেরিম বা করিম। ওর বাবা সনাক্ত করেছেন।
    এবার সুমন কী বলবেন?
    অন্ধ আবেগ ও সুবিধাবাদ মানুষকে কি সব অ্যাবসার্ড পজিশনে দাঁড় করায়!
  • aranya | 154.160.130.93 (*) | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:০৩88107
  • সুবিধাবাদ কিনা ডাউট আছে, সংখ্যালঘু মৌলবাদ-কে সাপোর্ট করে বা এখন মমতাকে সাপোর্ট করে সুমনের কিই বা এমন লাভ হবে?
  • jhiki | 149.194.228.58 (*) | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:০০88108
  • স্বপন মন্ডল হলেই বা অসুবিধা কী ছিল, আমি তো লালু মল্লিক ও রাজু সরকার নামে দুই ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন ধরে চিনতাম, বিশেষ প্রয়োজনে ফর্মাল নামের দরকার হয়, তখন জানতে পারি তাদের নাম যথাক্রমে লিয়াকত মল্লিক ও রেজাউল সরকার।

    আর আধুলি যা লিখেছেন, তা আমারও অভিজ্ঞতা। বস্তুত পশিম আর দঃ পূর্ব এশিয়াতে যাঁরা থেকেছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা এই রকমই হবে (যদি না চোখে বিশেষ রং-এর চশমা পরা থাকে)
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:০৫88109
  • লেবাননে ক্রিশ্চান/মুসলিম মোটামুটি সমান না?

    কিন্তু এটাও তো ঠিক, যে, যেসব দেশে, ভালো মন্দ যাই হোক, যাদের জন্যে মৌলবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে নি, যেমন সাদ্দাম, বাশার, বা ইজিপ্টের হোসনি মুবারক, তাদের আমেরিকা এক এক করে সরিয়ে দিয়েছে/দিচ্ছে।
  • ranjan roy | 132.176.166.215 (*) | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:১৭88110
  • b,
    বস্তুতঃ এই মৌলবাদ উস্কে আগুন নিয়ে খেলা শুরু থেকেই আমেরিকা করে আসছে। তিন মহাদেশে সমস্ত মৌলবাদী একনায়ক ও সামরিক জুন্টাকে পয়সা ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে গন্ডগোল পাকাতে মদদ দিয়েছে।
    ওসামা বিন লাদেন সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
    শেষে হনুমানের ল্যাজের আগুনে লংকা পুড়লে চেঁচামেচি শুরু করেছে।
  • সিকি | 132.177.14.193 (*) | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৪৭88111
  • এইসব যুক্তিগুলো, ফ্র্যাঙ্কলি, কানা খানা গানা ঘানা কে মেরেছে কুমীরছানার মতন কথা হয়ে যাচ্ছে। আধুলি যথেষ্ট ঠিক কথা লিখেছেন।

    মৌলবাদ উস্কে দেওয়া আগুন নিয়ে খেলা করা আমেরিকা শুরু করেছে সবাই জানে, কিন্তু আমেরিকা সেটা মৌলবাদ উস্কে দেবার জন্য করে নি। করেছে নিজেদের ব্যবসা বাড়াবার স্বার্থে। আগুন নিয়ে খেলা করার উদ্দেশ্য কোথাও তেলের ভাণ্ডার, কোথাও অস্ত্রের বিক্রি বাড়ানো, কোথাও প্রভূত গাঁজার চাষ করে লাভ করা। এই সব কাজের জন্য দরকার যুদ্ধ, দরকার আনরেস্ট, আর আনরেস্ট তৈরি করার কাজ ইসলামিক মৌলবাদীদের থেকে বেটার আর কে পারে? তাই ওসামা বিন লাদেন, তাই সাদ্দাম ইত্যাদি ইত্যাদি তৈরি হয়। ইসলামিক ধর্মটাই তৈরি শুধু মানুষের ধর্মাচরণ ডকুমেন্ট করে রাখার উদ্দেশ্যে নয়, সাম্রাজ্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে।

    কে যেন সেদিন লিখল কোন এক টইতে, এই যে আইসিস বোকো হারাম এত বীভৎস কাজ করছে, সরা দুনিয়ার কোনও অন্য দেশের কোনও উলেমা কোনও মৌলবী কোনও ইমামের কাছ থেকে কিন্তু এসবের নিন্দে করে কোনও বয়ান পাওয়া যায় নি, কেউ বলেন নি য ওরা ইসলামবিরোধী কাজ করছে, কারণ কোরান হাদিস যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা খুব ভালো করেই জানেন যে এই যুক্তিতে অইসিস বোকো হারামদের ডিফেন্ড করা যাবে না।
  • adhuli | 190.148.69.210 (*) | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ১২:০৫88105
  • অসাধারণ লেখা। যারা এখনো ইসলামিক মৌলবাদ-এর বিপদ বুঝতে পারছেন না, তাদের কে বলি একবার লেবানন বা সিরিয়া-র ইতিহাস পড়ে দেখতে। কি ভাবে ধীরে ধীরে একটা গণতান্ত্রিক দেশ কে মৌলবাদীরা কব্জা করে ফেলে এবং সমস্ত নন-মুসলিম লোকজন কে বাধ্য করে হয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অথবা অত্যাচারিত হতে, একটু চোখ খুলেতে পারে, অবশ্য যদি খুলতে চান তবেই। ওখানে ভারত বা বাংলাদেশ এর মত দারিদ্র ছিল না।, সাধারণ লোক ভালো ভাবে খেয়ে পরে বেচে থাকতে পারত। কিন্তু তা হবার নয়। ভালো ভাবে লোক বেচে থাকলে সেটা মৌলবাদীদের অসুবিধা, তাদের দরকার দারিদ্র, যেটাকে exploit করা সোজা। যত লোকে অশিক্ষিত হবে, দরিদ্র হবে, তত মৌলবাদীদের লাভ।

    অনেক আঁতেল অনেক তত্ব বলবেন, কি ভাবে ভারত-এ মেজরিটি র মৌলবাদ বাধ্য করছে দরিদ্র মুসলিম দের মৌলবাদী হতে etc etc , কিন্তু পুরো দুনিয়া তে একটা দেশ দেখান শুধু যেখানে মুসলিম মেজরিটি কিন্তু, সংখালাঘুরা শান্তি তে আছে-? আর শান্তি তে থাকা মানে শুধু কোনো মতে বেচে থাকা নয়, স্বাধীন ভাবে ইকুয়াল রাইটস নিয়ে থাকতে পারছে। নিজে বহু দেশে ঘুরেছি, মিডল ইস্ট অথবা সাউথ ইস্ট এশিয়া প্রায় সমস্ত দেশ ই যেতে হয়েছে কর্ম সুত্রে। একটাও দেশ দেখতে পাইনি, যেখানে চাপা হিংসা দিয়ে নন-মুসলিম সংখালঘুদের দাবিয়ে রাখা হয় নি। মালয়েশিয়া, যে মুসলিম দেশটি অনেক সভ্য বাকিদের তুলনাতে, সেখানে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রচুর ইমিগ্রেশন এলাও করা হয়েছিল, শুধু তাদের ইস্ট আইল্যান্ড-এ ইসলামিক ডেমোগ্রাফিক মেজরিটি আনার জন্য। গত ৫০ বছর-এ বহু chinese বা ইন্ডিয়ান এথনিক লোকজন অস্ট্রেলিয়া বা নিউ-জেল্যান্ড এ migrate করে গেছে শুধু ডিসক্রিমিনেশন থেকে বাচার জন্য। মিডল ইস্ট এর দেশ গুলো নিয়ে আর নাই বা বললাম। ওগুলো কোনো টাই সভ্য দেশ পর্যায়ে পরে না। যে ভাবে ওখানে লেবার expolitation হয়, মধ্য যুগের দাস প্রথা হয়ত এর থেকে ভালো ছিল। নিজে কাতার এ থাকার সময় নিজের চোখে দেখেছি, কি ভাবে ডাক্তার রা ইমার্জেন্সি তে রোগী ফেলে রেখে নামাজ এর নাম করে ১-২ ঘন্টা চলে গেছে, কিছু বলার উপায় নেই। বললেই সেটা ইসলামকে অপমান করা & এবং তাকে পেটানো এদের পবিত্র কর্তব্য, রোগী মারা গেলে নয়। sensored মিডিয়া তে কোনো খবর ও আসে না। সৌদি বা kuwait এর কথা নাই বা বললাম।

    ব্যক্তিগত ভাবে আমি সমস্ত মৌলবাদ-এর বিরোধী, কোনো ধর্মই মানুষ এর জন্য ভালো নয়। সব ধর্মই চায় মানুষ কে ভেড়ার পাল করে রাখতে। কিন্তু আজকের দুনিয়া তে ইসলামিক মৌলবাদ এর থেকে বড় বিপদ আর নেই। যেকোনো ভাবে এটা প্রতিহত করা দরকার, সারা পৃথিবী-তে, নাহলে আবার অন্ধকার যুগ ফিরে আসবে।
  • Arif Uddin Rokon | 113.230.106.13 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩৩88112
  • লেখাটি ভাল লাগলো। তবে এরকম একজন বুদ্ধিদীপ্ত চেৌকশ পত্র লেখকের কাছ থেকে শামসুর রাহমানের নামের বানান ভুল হওয়া দুঃখজনক।
  • dc | 11.39.63.138 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:০৫88113
  • "বস্তুতঃ এই মৌলবাদ উস্কে আগুন নিয়ে খেলা শুরু থেকেই আমেরিকা করে আসছে।"

    এটাতে একমত। ইরানে তো অনেক আগে, ১৯৫০ এর দশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার ছিল। প্রধানমন্ত্রীও ছিল। কিন্তু আমেরিকা সেই সরকার হঠিয়ে শাহ কে গদীতে বসায়, যে কিনা ছিল অত্যাচারী রাজা। তরপর রাজতন্ত্রর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়, আর সেই আন্দোলনের নেতা হয় ধর্মান্ধ আয়াটোল্লা। সেই লোকটা ক্ষমতায় এসেই ইসলামিক শাসন শুরু করে দেয়, আমেরিকাকেও ভালোমতো বাঁশ দেয়।

    আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স যদি মিডল ইস্টে এতোরকম ঘোঁট না পাকাতো তাহলে আমার মনে হয় ইসলামি মৌলবাদ এই অবস্থায় পৌঁছাত না। তবে এর মানে এই না যে ইসলামি মৌলবাদ কম খারাপ। আমার মনে হয় একটা দীর্ঘ সময়ের আমেরিকান ফরেন পলিসি আর এই মৌলবাদ, এরা একে অপরের পরিপূরক।
  • dc | 11.39.63.138 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১০88114
  • আর যে সাদ্দাম কে নিয়ে বুশ এত লাফালো সেই সাদ্দাম একসময়ে আমেরিকার বন্ধু ছিল। লাদেনও ওদেরই তৈরি। এমনকি গদ্দাফিকেও তো অনেক সময়েই আমেরিকান আর ব্রিটিশরা আস্কারা দিয়েছে। প্রত্যেকবার ওদের নিজেদের হাতে তৈরি নেতা বা গোষ্টীর হাতে নিজেরাই পরে বাঁশ খেয়েছে।
  • dc | 11.39.63.138 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১৩88115
  • আমার আগের পোস্টগুলো বিশেষ করে আধুলির পোস্টটা পড়ে করলাম। আপনি যে অ্যাঙ্গল থেকে সমস্যাটা দেখছেন সেই অ্যাঙ্গলটা সম্পূর্ণ না মনে হলো।
  • ranjan roy | 132.176.209.200 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১৭88116
  • dc,
    ঠিক যে ভাবে ইন্দিরা গান্ধী আকালিদের হারাতে ভিন্দ্রনওয়ালেকে তোল্লা দিয়ে ভ্স্মাসূর তৈরি করেছিলেন।
    আমার এক ভূতপূর্ব সিপিএম , বর্তমানে বিজেপি বন্ধু বলছিলেন যে যতই আম্রিকাকে গাল দাও, আজ বিশ্বজুড়ে এই মৌলবাদী জঙ্গীদের ঠেকাতে আম্রিকার শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া গতি নেই। মোদী ওদের সঙ্গে দোস্তি করে ঠিক করছেন।
    আমি হতবাক।
  • dc | 11.39.63.138 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:২২88117
  • হ্যাঁ, ভিন্দ্রানওয়ালেও এরকম। আসলে আজ যে সারা পৃথিবী জুড়ে আগুন জ্বলছে সেই আগুনটা অনেক দিন ধরে যত্ন করে লাগিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন ইত্যাদিরা। এখন ওরা নিজেরাও ছ্যাঁকা খাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আগুনটা লাগিয়েওছিল ওরা।
  • d | 24.97.241.178 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:২৯88118
  • ছ্যাঁকাটা ওরা অনেক কমই খাচ্ছে। ব্রিটেন আমেরিকায় আরো বেশী করে এই আইসিসের উত্থান হলে ঠ্যালার নাম বাবাজী হত।

    আর একটা জাস্ট এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করে যাই, জামাত-ই-ইসলামীর বেশ ভালমত বেস তৈরী হয়েছে আমেরিকা আর ব্রিটেনে। হাসিনার তাড়া খেয়ে ঐদিকে বেশ জমিয়ে বসছে জামাত।
  • PM | 233.223.153.7 (*) | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:০০88119
  • সব কন্স্পিরেসি থিওরী। আমেরিকার এরকম অন্য দেশ বা রাজ্যের (যেমন পঃবঃ) ব্যপরে নাক গলনোর কোনো ইচ্ছা নেই, কোনো দিন ছিলো। এগুলো সব সয়ম্ভু। শাসকের অনাচারের ফল মাত্র
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন