এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কার্ফিউড নাইট: আগ্নেয়গিরির শিখরে পিকনিক

    শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৩ আগস্ট ২০১৫ | ৬৭৩৯ বার পঠিত
  • দক্ষিণ কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রামের এক ভীতু মানুষ, হুসেন । শান্ত চোখ, সংকুচিত ভংগীতে বসেছিল ডাক্তারখানায়। হুসেনের ধারণা সে ইমপোটেন্ট হয়ে গেছে। তার ডাক্তার ভাইয়ের ভাষায়, ‘হুসেনের আর দাঁড়ায় না’। হুসেন বিয়ে করতে চায় না, কারোর সাথে মিশতে চায় না। নিজের ছোট্ট দোকান-ঘরের মধ্যে জড়োসড়ো হয়ে কাটিয়ে দেয় সারাদিন। হুসেন এক একলা ভাঙ্গাচোরা মানুষ। 


    ১৯৯০ সালে যখন কাশ্মীরে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের ডাক ওঠে হুসেন তখন কলেজে পড়ে। তেরোজন বন্ধুর সাথে হুসেন রওনা দিয়েছিল এল ও সি পেরিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে ‘ট্রেনিং’ নিতে। কুপওয়ারা থেকে একটু দূরে বিএসএফ তাদের ট্রাক থামায় এবং অ্যারেস্ট করে কাছের আধা-সামরিক ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালবেলা ইন্টেরোগেশন রুমে নিয়ে আসা হয় তাদের। জোর করে উলংগ করিয়ে দুই হাতে তামার তার বেঁধে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হতে থাকে। হুসেনের গলা ফাটিয়ে ঠিকরে আসতে চায় বমি, কিন্তু করতে পারে না কারণ মুখে গোঁজা ছিল তুলোর বল। রক্ত লালা এবং বমিতে সেই বল ভিজে গেলে ফেলে দিয়ে নতুন বল ঢোকানো হচ্ছিল। এরপর হুসেনের পুরুষাংগের ভেতর তার ঢুকিয়ে দেওয়া হয় জোর করে। শক পেতে পেতে মনে হয় ছিঁড়ে যাবে পুরুষাংগ। হুসেন পরে বুঝেছিল, এগুলো শুধুই কথা বার করার জন্য নয়। কারণ সকলেই একটা না একটা সময় মুখ খোলে, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মুখ খুলতে বাধ্য হয়। ইন্ডিয়ান আর্মিও জানে সেটা। তারা দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে এই টর্চার চালায় নিছক স্যাডিস্ট আনন্দ পাবার জন্যেই। 


    অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে হুসেন অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল একসময়। তাকে জাগিয়ে তুলে আবার শক দেওয়া হয়। হুসেন প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে, কিন্তু হিসির বদলে রক্ত বেরিয়ে আসে। ফুলে ওঠে অন্ডকোষ। বিপদ বুঝে আর্মি হাসপাতালে ট্রান্সফার করে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পর আবার অত্যাচার। দুই বছর বাদে হুসেন যখন ছাড়া পায় তখন তার পুরুষাংগ আর শক্ত হয়না। বাড়ি ফিরে আসার পর গুটিয়ে যায় সে। বাড়ির লোক বিয়ে করার জন্য বার বার চাপ দিতে থাকে, একসময় সে জানায় যে সে বিয়ে করতে পারবে না, কারণ তার “দাঁড়ায় না”। কোনও ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না লজ্জায়। গোটা সময় কাটায় গ্রামের মসজিদে। হুসেন ধর্মপ্রাণ এক মুসলিম হয়ে যেতে শুরু করে, যাকে অনায়াসে ভারতীয় মিডিয়া দাগিয়ে দিতে পারে ধর্মান্ধ মৌলবাদী নামে।


    হুসেন কোনও কাল্পনিক চরিত্র নয়। বসারাত পীরের লেখা কার্ফিউড নাইট-এর পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে এমন অসংখ্য হুসেনের সাক্ষাতকার, যারা কাশ্মীরে ইন্ডিয়ান আর্মীর অত্যাচারে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এই বই ডকুমেন্ট করেছে মুবিনা আর রশিদের কথা। বিয়ের রাতেই বিএসএফ বাস থেকে নামিয়ে মুবিনাকে গণধর্ষণ করেছিল। অপরাধ? মুবিনাদের বাস আসার আগে জঙ্গীদের একটা জিপ গিয়েছিল সেই রাস্তা দিয়ে এবং সেখান থেকে বি এস এফ-এর উদ্দেশ্যে কয়েকটা গুলি ছোঁড়া হয়েছিল শুন্যে। কেউ হতাহত হয়নি। কিন্তু সেই জিপকে ধরা যায়নি। এই রাগে পরের বাস থামিয়ে এক নববিবাহিতা মেয়েকে নামিয়ে সারারাত ধরে গণধর্ষণ না করলে সামরিক বাহিনীর দেশপ্রেমী-দর্পিত পুরুষাংগ শান্ত হত না। এই বই ডকুমেন্ট করেছে গুলজারের কথাও। ক্লাস টু্যেল্ভের ছাত্র গুলজার নিছক মজা করার জন্য স্কুলের এক জুনিয়ারকে একটু র‍্যাগ করেছিল। জানত না যে সেই ছেলেটি এক ইন্ডিয়ান আর্মি অফিসিয়ালের পুত্র। আর্মি গুলজারের বাড়িতে এসে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এবং হাত পা বেঁধে কাছের এক গোডাউনে ঢুকিয়ে মাইন ফাটিয়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল তার শরীর। অফিসিয়াল ডকুমেন্টে লেখা হয়েছিল গুলজার এক বিপজ্জনক জংগী যার মাইন ভুল করে হাতে ফেটে গেছিল। আছে ১৭ বছরের শফির কথাও। শফি এবং তার ভাইকে ইন্ডিয়ান আর্মি একদিন রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর শফির পেটে মাইন বেঁধে পাঠিয়ে দেয় কাছের এক বাড়িতে যেখানে নাকি জংগীরা লুকিয়ে ছিল। শফির মা সেকথা শুনে ছুটতে ছুটতে সেখানে গিয়ে দেখেন শফির ছোটভাই বিলালের পেটেও মাইন বাঁধার তোড়জোড় চলছে। আর্মির সঙ্গে হাতাহাতি করে বিলালকে ছাড়িয়ে আনা গিয়েছিল। কিন্তু শফিকে ফেরানো যায়নি। তার ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহের সবকটা অংশ খুঁজেও পাওয়া যায়নি কবর দেওয়ার জন্য।


    বইটা পড়তে পড়তে গা গুলিয়ে ওঠে। অসুস্থ লাগে। কয়েক দশক ধরে দেশের ঐক্যের নাম করে ইন্ডিয়ান আর্মি যে জাস্ট সাম্রাজ্যবাদী অ্যাগ্রেসন চালাচ্ছে গোটা কাশ্মীর ভূখণ্ডে তার জীবন্ত ডকুমেন্টেশন এই বই-এর পাতায় পাতায়। লেখক নিজে জীবনের প্রথম ১৮ বছর কাটিয়েছেন কাশ্মীরে। জংগী হতে হতেও হননি। কিন্তু স্পষ্ট ভাবে দেখিয়েছেন কেন হাজার হাজার ছেলেপুলে এল ও সি ডিংগিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে ‘ট্রেনিং’ নিয়ে আসে। খুব সঠিকভাবে বসরাত দেখিয়েছেন যে কাশ্মীরের মানুষ কোনও কালেই নিজেদের ভারতের অংশ ভাবেনি। শারজার সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে যেখানে জাভেদ মিঁয়াদাদ শেষ বলে ছয় মেরে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন, রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার পর উল্লাসে ফেটে পড়েছিল প্রায় গোটা কাশ্মীর। ব্যাপারটা পাকিস্তানকে সমর্থন নয়। বরং যে ভারতের বিপক্ষে খেলবে তাকেই সমর্থন। দশকের পর দশক ধরে দেশপ্রেম এবং জাতীয় সংহতির নাম করে এই ভূখণ্ডে দাপিয়ে গিয়েছে ভারতীয় রাজনীতি। ভারতীয় সেনা এবং আধা-সামরিক বাহিনী, খুন-ধর্ষণ-নিখোঁজ-এর বীভৎস মজায় ভারতবাসীকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সারসত্যটা যে কাশ্মীর ঐতিহাসিকভাবে ভারতের অংশ কখনোই ছিল না। বরং আজাদ কাশ্মীরের দাবীর থেকে আর কোনও মহত্তম দাবী এই সময়ে দাঁড়িয়ে সম্ভব নয়। সেই জাতীয়তাবাদী আগ্রাসনের  বিপরীতে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ ছুঁড়ে দিতে পেরেছিল শুধুই নীরব অসমর্থন। আর তাই ১৯৮৭ সালে নির্বাচনের নামে যখন প্রহসন করে ভারতীয় সরকার, তার বিপরীতে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে উঠে আসে ইয়াসিন মালিকের জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট। ১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসে স্বাধীনতাকামী শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে যখন আর্মি শতাধিক মানুষ মারে, তার উত্তরে হাজার হাজার ছেলে লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে ‘জিহাদী ট্রেনিং’ নিতে চলে যায় এবং ফিরে এসে বীরের সংবর্ধনা পায় সাধারণ্যের কাছে। কাশ্মীরের বাস্তব এটাই। ভারতীয় দেশপ্রেমিকদের বুটের তলায় মাথা তুলবে বিচ্ছিন্নতাবাদের গর্জন।


    কিন্তু বসারাতের এই বই শুধুই বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের গল্প নয়। বরং গত কয়েক দশক ধরে আগ্নেয়গিরির শিখরে বসে পিকনিক করছে যে ভূখণ্ড, এই বই তার এলিজি। বাসারাত জানেন পক্ষ নিতে হয়। ফেন্স-সিটার মানবতাবাদীদের মতন তিনি মহত্বের সুঊচ্চ প্রাসাদের চূড়ায় বসে দিক-নির্দেশ করে দেন না। বলেন না যে আর্মী এবং জংগী দুই পক্ষই সমান খারাপ। বসারাত এই ঐতিহাসিক সত্যের সঙ্গে অবগত যে নিরপেক্ষ অবস্থান আসলে দিল্লীতে বসে থাকা নিও-হিন্দুত্ববাদী শাইনিংদের চামচা রাজনীতির হাত-ই শক্ত করে। ভারতীয় মিডিয়া রাজনীতি ব্যাবসায়ী গোষ্ঠির সবচেয়ে পছন্দের অবস্থান এই নিরপেক্ষতা, যার আড়ালে স্ট্যাটাসকুয়োর বৈধতা প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়ে যায়। বসারাত স্পষ্টত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষ নিয়েছেন। বারবার দেখিয়ে দিয়েছেন কেন ঐতিহাসিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে আজাদ কাশ্মীরের দাবীতে যুবক যুবতীরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। কেন সেই অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়াটা এই সময়ের একমাত্র দাবী। কেন পাপা-টু নামের ইন্ডিয়ান আর্মির টর্চার সেলে মার খেতে খেতে বুকের কলজে ফাটিয়ে ফেলার জবাব দিতে হাতে হাতে বদল হয় কালাশনিকভ। কেন ইয়াসিন মালিককে একটার পর একটা মিথ্যে কেসে জেলখানার মধ্যে বছরের পর বছর পচিয়ে মারার বদলা নিতে শ্রীনগরের রাস্তা ফেটে পড়ে জনবিক্ষোভে। এই বই-এর অসাধারণত্ব এখানেই যে বসারাত পক্ষ নেন বারবার। আর সেই পক্ষ-নির্বাচনে তাঁর কোনো ভুল হয় না।


    কিন্তু এতটা লেখার পর মনে হল কিছুই বলা হল না। এই বই-এর যে পার্সনাল টাচ, যে মানবিক কাহিনীগুলো, সেগুলো কিছুই ধরা গেল না। বসারাত যখন বর্ণণা করেন যে হাতের কালাশনিকভ একপাশে সরিয়ে জংগীরা নেমে পড়ে স্কুলের ছেলেপুলের সাথে ক্রিকেট খেলতে, দুম করে মনে হয়, আরে এ তো আমাদের নক্সাল ছেলেদের গল্প, যারা নিজেদের মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই কয়েক মিনিটের জন্য থামিয়ে দিত যখন পাড়ার বল্টুর ঠাকুমা রাস্তা পার হতেন। বসারাত গল্প করেছেন সেই সব স্থানীয় জংগী নেতাদের যারা দেখা হলে প্রথমেই জানতে চাইত যে বাচ্চাটা লেখাপড়া ঠিকমতন করছে না কি শুধুই এই ভারত-পাকিস্তান করে করে বখে যাচ্ছে। বসারাত স্কুলে পড়ার সময় এক জে কে এল এফ-এর স্থানীয় কমান্ডারের কাছে বারবার আবদার করতেন যে তাঁকে দলে নিতে হবে। সেই কমান্ডার তাঁদের গ্রামের-ই ছেলে, প্রথমে ধমক ধামক দিত “অ্যাই পড়াশোনা কর, এসব করতে হবে না” ইত্যাদি বলে। তাতেও কাজ হয়নি দেখে সটান গিয়ে বসারাতের দাদুর কাছে গিয়ে নালিশ করে আসে। সেই জংগী ছিল দাদু যে স্কুলের হেডমাস্টার, তার ছাত্র। মাস্টারমশাই-এর নাতি উচ্ছন্নে যাচ্ছে, বসে দেখা যায় নাকি?


    তাই সবকিছুর পরেও এই বই সেই মানুষদের গল্প বলে, সেই ভূখণ্ডের গল্প বলে, আধিপত্যবাদের নিষ্পেষণে গুঁড়িয়ে যেতে যেতেও যা তুমুল জীবনের উদযাপনে বাঁচতে চায়। গ্রামের স্থানীয় মসজিদে গিয়ে সৌদির ক্যাম্প থেকে ফেরা কট্টর ইসলামিস্ট ছোকরা যখন চোখ-মুখ পাকিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে ‘কবীরন কবীরা’ (শ্রেষ্ঠ কে?) তার উত্তরে কেউ ‘আল্লাহু আকবর’ চেঁচিয়ে ওঠে না, বরং একে অন্যের মুখ চাওয়া-চায়ী করে। চেঁচাবে কি করে? আরবি জানলে তো! ছেলেপুলের কাছে তুমুল প্যাঁক খেয়ে চোখমুখ লাল করে সেই ইসলামিস্ট বুঝিয়ে দেয় যা এই স্লোগানের উত্তরে আল্লাহু আকবর বলাটাই নিয়ম। তারপর আব্বার চেঁচিয়ে ওঠে ‘কবীরন কবীরা”। দুই একজন মিনমিন করে বলে ওঠে ‘আল্লাহু আকবর’। প্রোগ্রাম সুপারফ্লপ হবার পর এক বছর ধরে সেই ছোকরা আওয়াজ খেতে থাকে গ্রামের অন্য ছেলেপুলের কাছে। ততদিনে কিন্তু ধর্মের হাত ধরে রেজিস্টান্স পৌঁছে গেছে কাশ্মীরের ঘরে ঘরে। পণ্ডিতদের মাস এক্সোডাস ঘটে গেছে, শ্রীনগরের রাস্তা উজিয়ে উঠছে আজাদ কাশ্মীরের দাবীতে, হাজার হাজার ছেলেমেয়ে নিখোঁজ এবং ঘরছাড়া। কিন্তু জীবন যেখানে যেটুকু চেটেপুটে নেবার, নেবেই। আগ্নেয়গিরির চূড়ায় বসে পিকনিক করার নাম-ই কাশ্মীর, বারবার মনে করিয়ে দেয় এই বই।


    বসারাত চাইলেই ইন্ডিয়ান মিডিয়ার ব্লু-আইড বয় হতে পারতেন যদি জংগী এবং আর্মির সমান নিন্দেমন্দ করে সাধারণ মানুষের কথা বলতেন। যেটা বসারাত ভোলেননি, কিন্তু আমরা ভুলে যাই, যে কাশ্মীরে জংগী আর সাধারণ মানুষের কোনও তফাত নেই। তাই কোনও এক মায়াময় হিমেল রাতে এক সাধারণ ওষুধের দোকানদার বিছানা ছেড়ে উঠে গিয়ে জংগী ক্যাম্পে চলে যায়। সে এবং তার মতন আরো অসংখ্য মানুষ জানত যে এর অন্তে টর্চার এবং মৃত্যু নিশ্চিত। হয়ত বধু শুয়েছিল পাশে, হয়ত শিশুটিও ছিল, তবুও তাকে নন-কনফর্মিস্ট বানিয়ে ছাড়ল এক অমোঘ মরণফাঁদ। তবুও সিনেমায় যেমন হয়, শেষ দৃশ্যে হাতের কালাশনিকভ ত্যাগ করে সে সোজা হেঁটে যাবে না কিছুতেই। মরতে মরতেও আঁকড়ে ধরে থাকবে অস্ত্র। কাশ্মীর মানে এই নন-কনফর্মিস্ট ভূখণ্ডের গল্প। অসামান্য এ বই, ভোডাফোন ক্রসওয়ার্ড পুরষ্কার পাবার পরেও খুব জানা কারণেই ইন্ডিয়ান মিডিয়াতে বেশি আলোচনায় আসবে না। বুট পরা শ্রীরামচন্দ্রের পদদ্ধনিতে কেঁপে ওঠা আজকের ভারতবর্ষে দাঁড়িয়ে এই বই ফ্লপ হতে বাধ্য। তবে নন-কনফর্মিস্টরা পড়বেন। এটুকু আশা রইল। যেমন উট শুকনো কুয়ো থেকেও জলপান করে বলার পরেও গদার মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে উট জলপান করতে বাধ্য নয়, তাঁর নিজের মতন করে, খেয়াল-খুশি অনুযায়ী...


    ==============

    Curfewed Night: Basharat Peer; Random House (2010)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৩ আগস্ট ২০১৫ | ৬৭৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • নির | 122.79.35.89 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৪০86840
  • অাজকের বাঙালীদের সাধারণ মানসিকতা দেখে তখনকার মুসলিমদের মনোভাব কিছুটা অনুভব করা যায়। রাজ্য-রাজধানী গেলেও অতীত গৌরবের মোহে অাছন্ন থাকা ও বর্তমানকে সন্দেহ করা, তাকে খারাপ বলে দাগিয়ে দিয়ে থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করা-এটাই দেখা যায়।
  • phobia | 190.148.69.210 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১০86818
  • অন্যদের ইসলামফবিক বলে, ডেনিয়াল মোদ ইত্যাদি থেকে বেরিয়ে আসার এত জ্ঞান দিয়ে শেষে যখন লেখকের নিজের হিন্দুফোবিয়া নোংরা ভাবে বেরিয়ে আসে (রেফ: 14 August 2015 10:50:51 IST ), তখন মনে হয় এনার নিজের আগে আয়না দেখা বেশি জরুরি বাকিদের জ্ঞান দেওয়ার আগে। ছি !
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১৪86819
  • "যে ছেলেটি চেঁচিয়েছিল কবীরন কবীরা সে সৌদী থেকে ফিরেছিল। প্রথম চ্যাপ্টারের শেষ প্যারাগ্রাফ দেখুন।"

    আপনি দেখুন। ওখান থেকেই কোট করেছি।

    ১। পৃষ্ঠা সংখ্যা ২০-২১,
    ২।পেঙ্গুইন র‌্যান্ডম হাউস,
    ৩। আই এস বি এন 978818400 090 0 ,
    ৪। ফিফ্টীন্থ ইন্ডিয়ান রিপ্রিন্ট, ২০১৫।
    ৫। (আমাজন থেকে কেনা)
  • a x | 83.136.18.161 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৩৯86820
  • b, আমার কাছে তো তখন বইটা ছিলনা। আর রিভিউ পড়ে এবং ইন্টার্ভিউ শুনে আমার ঠিক ফেন্স-সিটার লাগল না। একদমই না। ইনফ্যাক্ট ইন্টারভিউ শুনলে মনে হয়না বাশারতের পক্ষে ফেন্স-সিটার হওয়া সম্ভব। তবে আমি হয়ত ফেন্স-সিটার বলতে যা বুঝি আপনারা অন্য কিছু বোঝেন।
    দয়ার শরীর বইটি পাঠিয়েছেন। পড়ে কী লাগল জানাব।
  • শিবাংশু | 127.201.159.249 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৫৭86841
  • '0',

    ""...বদমাশ ফিরিঙ্গি বনিয়াদের জালিয়াতির ফলে মুসলিমরা এদেশে রাজত্ব হারিয়েছে। অতএব তাদের কোনও কিছু গ্রহণযোগ্য নয়।..."।

    এটা আপাতভাবে একটা প্রত্যক্ষ কারণ বলা যেতে পারে। কিন্তু মুসলিমদের ফিরিঙ্গিদের প্রতি ঘৃণা'র একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। প্রাক ইসলামিক কাল থেকেই ইরান বা আরব সভ্যতার গরিমা যখন প্রায় আকাশ ছোঁয়া, পশ্চিম য়ুরোপে তখনও কোনও সভ্যতার জন্মই হয়নি। যতোটুকু রোমানদের হাত ধরে এসেছিলো, ততোটুকুই তাদের সম্বল। পরবর্তীকালে সেমিটিক ধর্মগুলির মধ্যে ইসলাম আধুনিকতম এবং তার অনুগামিরা অন্য সম্প্রদায়গুলির থেকে সর্বক্ষেত্রে অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ ছিলেন। ইসলামি সভ্যতার প্রতি য়ুরোপের সদ্যোজাত আত্মপরিচয়ের সন্ধানী লোকজনের ঈর্ষা বেশ প্রকট ছিলো। য়ুরোপের খ্রিস্টিয়রা ইসলামি সভ্যতার থেকে যতো গ্রহণ করেছে, মুসলিমরা তার ভগ্নাংশও কখনও য়ুরোপ থেকে ধার করার প্রয়োজন বোধ করেননি। সঙ্গত কারণেই ইসলামি সভ্যতার প্রেক্ষাপটে পশ্চিম য়ুরোপীয় সভ্যতাকে মুসলিমরা ভুঁইফোড় মনে করতেন। তার পর ক্রুসেডের সময় ধর্মধ্বজার রাজনৈতিক লড়াইয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কটি স্থায়ীভাবে বিনষ্ট হয়ে যায়। মুসলিম সভ্যতার এই সুদিন য়ুরোপে শিল্পবিপ্লব হওয়া পর্যন্ত টিকে ছিলো। কিন্তু অষ্টাদশ শতক থেকে ইতিহাসের চাকা ঘুরে যায় এবং ইসলামি সভ্যতার ক্ষমতার পতন হতে শুরু করে। হিন্দুস্তান ছিলো মুসলিম ক্ষমতার আলোকস্তম্ভ। সেখানেও যখন পটপরিবর্তন হয়ে গেলো, সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য তা ছিলো চূড়ান্ত আঘাত। প্রায় এক হাজার বছর ধরে পৃথিবীর ইতিহাসের নিয়ন্তা ইসলামি শাসন যখন শেষ হয়ে গেলো, তখন ইসলামি দুনিয়ার বৃহদংশ এক ধরণের ডিনায়ল মোডে চলে যায়। এই অবনমন তাঁরা বরদাস্ত করতে পারছিলেন না। তার পর তৈমুর, চেঙ্গিজের শেষ উত্তরাধিকারীর নিজের ভূমিতে খাক-এ-সুপুর্দ হবার জন্য সাড়ে তিনহাত জমিও যখন ইংরেজ কেড়ে নিলো, তখন ফিরিঙ্গিদের সঙ্গে কোনও রকম বোঝাপড়ার শেষ সেতুটিও ধ্বসে পড়লো। এই সময় সংখ্যাগুরু হিন্দুরা ইংরেজ সভ্যতার পুণ্যফলটি আত্মসাৎ করার জন্য অতি মাত্রায় ব্যাকুল, মুসলিমরা ফিরিঙ্গিদের থেকে সম্পর্কচ্ছেদ করার প্ররোচনায় প্রতিবাদ হিসেবে সময়ের অনিবার্য স্রোতকে অস্বীকার করার ভুলটি করে ফেললেন। নিজস্ব উম্মার যে সব মানুষকে তাঁরা সেই সময় পরিত্রাতা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের দূরদৃষ্টি ছিলোনা। আরবসভ্যতা যে সমন্বয়ের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সারা বিশ্বে রাজত্ব করেছিলো, সেই শক্তির ছিটেফোঁটাও তখন আর বেঁচে নেই তাঁদের মধ্যে। কেবলই আরো বিচ্ছিন্নতার মধ্যে স্বস্তি খুঁজে যাওয়া তাঁদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ালো। এতে কারুরই লাভ হলোনা। অলক্ষ্যে ভবিষ্যতের বিনাশের বীজ রোপিত হয়ে গেলো।
  • Sakyajit Bhattacharya | 233.176.135.101 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৭:১৪86821
  • বি, ওকে দেখব। আমিও ভুল হতেই পারি। আপাতত কলকাতায় আছি। বাড়ি ফিরে দেখে নেব।

    কেসি, নেম-ড্রপিংটা অ্যাটেনশন গেইন করার জন্য। আমি অনেক জানি অনেক পড়েছি সেগুলো যদি লোককে না দেখাই তো ইনসেকিওরিটিতে ভুগব, রাতে ঘুম হবে না, পেটের গণ্ডগোল হবে। ওসব ঝামেলাইয় আর জড়াতে চাই না ৩৩ বছর বয়েসে এসে।

    সিকি, আসলে ডিনায়াল মোডের কথাটা বললাম আপনাকে মনে রেখেই। আমার মনে আছে একবার আপনাকে প্রিভিলেজড হিন্দু মেল বলেছিলাম বলে রেগে-মেগে চলে গেছিলেন। আমার মনে হয়েছিল আপনি ডিনায়াল মোডে আছেন, যদিও প্রিভিলেজড আমরা এখানকার সকলেই। আপনি একা নন
  • punjibadi | 24.99.64.89 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৭:১৫86822
  • ফোবিয়া , শাক্যজিত তো ঘোষিত ভাবে জামাতি পন্থী - তারা নাকি পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এর একমাত্র উপায় ,আইসিস খাগরাগর নিয়ে অনেক ফ্যান্টাসি । নিজে একপেশে লিখেও যে অন্যদের জ্ঞান দেবেন সেটাই তো স্বাভাবিক।
    শুধু ভাবি বিপ পাল যে বলেছিল জামাতি দেখলেই "স্পট দেম রিপোর্ট দেম" সেটার কতদূর :-)
  • সিকি | 116.215.153.104 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৭:৫২86823
  • অফিসে আছি। রাতে কথা বলছি। তবে শাক্য, তুমি-তে ফিরে এসো। আপনিতেও আমার সমান অস্বস্তি হয়।
  • bishwa | 230.245.40.15 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৮:১০86824
  • এই টই যিনি শুরু করেছেন, তার মত অপদার্থদের যত ইগনোর করা যায়, ততই মঙ্গল। যত রেসপন্স করা হয় এদের , তত এদের ননসেন্স সীমা ছাড়ায়। আগেও তার যথেষ্ঠ নমুনা পাওয়া গেছে।
  • শিবাংশু | 127.248.165.127 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৮:১৪86825
  • তাপস, সিকি,

    ইসলামোফোবিয়া ব্যাপারটা কিন্তু এদেশে সাহেবরা আনেনি। বহুদিন ধরেই তিতিবিরক্ত হচ্ছিলুম সাম্প্রতিক কালে হঠাৎ এর বেড়ে যাওয়া অন্ধকার নিয়ে। লক্ষ লোক লক্ষভাবে নিজেদের কথা বলেছেন, বলে আসছেন গত একশো বছরের উপর। বস্তুতঃ ১৯০৫ সাল থেকেই। কিন্তু কোনও রকম অ্যাজেন্ডাহীন বক্তব্য খুব কমই বলা হয়েছে। শতকরা নিরানব্বইটি মন্তব্যই উচিতার্থে বলা। তা মানবতার শর্তে, প্রতিক্রিয়াশীলতার শর্তে বা দ্বান্দ্বিকতার শর্তে, যেভাবেই হোকনা কেন, তা পড়তে বা লিখতে যতোটা ইতিবাচী, কার্যক্ষেত্রে তা নয়।
    ------------------------------------
    সম্প্রতি পিছোতে পিছোতে শিকড় খুঁজতে গিয়ে প্রায় প্রাকমধ্যযুগ থেকে এদেশের ইতিহাস পড়ছি বিশদে, নানা লোকের জবানিতে। এতো জটিল প্রকরণ নিয়ে সংক্ষিপ্ত, সাধারণীকৃত মন্তব্য দেওয়া খুব বিপজ্জনক। তবে এখনও পর্যন্ত যা পড়ছি বা বুঝছি তা'তে এটা স্পষ্ট যে বিচ্ছিন্নতার বীজ প্রথম থেকেই এতো গভীরভাবে পোঁতা হয়েছিলো যে তার প্রতিক্রিয়া থেকে গত এক হাজার বছরেও আমরা নিস্তার পাইনি। মানবতাবাদিরা শুরু করেন ইরানের সুফিবাদী উদার ইসলামের ভাবনা দিয়ে। আরব বণিকদের হাত ধরে যা এদেশে আসা ইসলামের প্রথম পদচিহ্ন, কেরলে ও কাশ্মীরে। যেখানে দেখি কেরলের রাজা নিজে উদ্যোগ নিয়ে তাঁর সভাসদদের বলছেন খ্রিস্টিয় ও ইসলামি দর্শন এবং লোকাচার অভ্যাস করতে। কাশ্মীরেও জয়নাল আবেদিনের কিম্বদন্তী অতি বিশ্রুত। কিন্তু খাইবার পেরিয়ে তুর্কিস্তান বা মঙ্গোলিয়া থেকে আসা লুটেরা, ঘাতক ও ধর্ষকদের রাজধর্মকে এদেশের পুরোনো লোকজন অত্যন্ত সন্দেহের চোখে দেখেছে। তার উপর এই সব শাসকও চিরকাল তুর্কি ও 'হিন্দু'দের মধ্যে ব্যবধানটি যাতে অলঙ্ঘ্য থাকে তার প্রতি সচেতন ছিলেন। মূর্তিপূজকদের গায়ের জোরে মূর্তিবিনাশক বানানোর জন্য যে বিপুল উদ্যম নেওয়া হয়েছিলো তার একটা গভীর নেতিবাচক প্রভাব সংখ্যাগুরু জনতার সাইকিতে চিরস্থায়ী হয়ে বসে গেছে। যে উদ্যমটি মিশরে বা ইরানে সফল হয়েছিলো, ভারতবর্ষে তা হয়নি। কারণ ভারতবর্ষ একটি মহাদেশ, সর্ব অর্থে। এদেশের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি, উভয় ধর্মসম্প্রদায়েরই, এই ইতিহাসটিকেই প্ররোচনার মূল হিসেবে প্রতিষ্টা করতে চায়।
    -----------------------------------
    তবে যে ঘটনাক্রমটি সব চেয়ে অধিক তাৎপর্য বহন করে তা হলো বর্ণাশ্রমরীতির উপর নির্ভরশীল এদেশের অর্থনীতিতে যখন জোর আঘাত আসে নিম্নবর্গীয় জনগণের ইসলামের শরণ নেবার প্রশ্নে। বহিরাগত মুসলিম শাসকদের ধর্মীয়ভিত্তিতে অধিকার বৈষম্যের অবিচারটি হয়তো সয়ে গিয়েছিলো অনেকদূর। কিন্তু নিম্নবর্গের স্বদেশীয়দের মোটামুটি স্বেচ্ছায় ইসলামিকরণের প্রক্রিয়াটি সংখ্যাগুরু সনাতনধর্মীয়দের কাছে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে এসেছে।
    ------------------------------------
    আমরা, ওরা'র সম্প্রদায়কেন্দ্রিক বিভাজন অতি দীর্ঘকাল ধরে রয়েছে আমাদের অবচেতনে। গভীরভাবেই রয়েছে। শহুরে, শিক্ষিত, তথাকথিত উদার মানুষজন ( যাদের মধ্যে আমরা পড়ি) সচেতন যুক্তির বর্মের আড়াল নিয়ে যুদ্ধ করতে চাইছি। কিন্তু বিপুলভাবে সংখ্যাগুরু জনতার অবচেতন সাইকি'র সঙ্গে কার্যকরী ভাবে লড়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব মনে হয় কখনও কখ্নও। তার উপর যদি রাজশক্তি যদি এই পাওয়ার অফ ডার্কনেসকে মহিমান্বিত করে, তবে তো কথাই নেই।
  • de | 24.139.119.174 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৮:২৩86826
  • হিন্দুফোবিয়া কি একেবারেই নেই? মুসলিমদের তরফে?

    বর্ণাশ্রম নিয়ে শিবাংশুদা লিখলেন বলে এই লিংকটা এখানেও দিলাম -

    http://www.anandabazar.com/supplementary/sahisomachar/which-15th-august-will-bring-independence-for-tortured-hariyana-dalit-families-who-fled-to-delhi-1.191152#

    আজকের যুগে দাঁড়িয়েও এতো জন দলিতকে এইভাবে শুধু বেঁচে থাকার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করতে হচ্ছে - কতো বড় লজ্জার বিষয় এটা!
  • খ্যা খ্যা খ্যা খ্যা | 188.162.193.233 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৮:২৩86827
  • যে নিজে হিন্দুত্ববাদীদের কাঠি করাটাকে কাজ বলে মনে করে সে আবার অন্যদের জ্ঞান দেয় ইসলামোফোবিয়া নিয়ে। পুরো চমচম কেস।
  • শিবাংশু | 127.248.165.127 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৩৪86828
  • de,

    'হিন্দুফোবিয়া' আছে তো। বহুদিন ধরেই আছে। বহাদুর শাহ জাফরের রঙ্গুনযাত্রা থেকেই তার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে। আপাতভাবে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টিই তো হয়েছে 'হিন্দুফোবিয়া'র জন্য। অন্ততঃ সে দেশের জাতির পিতাদের বক্তব্য তো সেরকমই ছিলো। ইংরেজ শুধু হাওয়া দিয়েছে সেই আগুনে।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৯:১১86829
  • যাক, শিবাংশু সব বলে দিয়েছে - "...এটা স্পষ্ট যে বিচ্ছিন্নতার বীজ প্রথম থেকেই এতো গভীরভাবে পোঁতা হয়েছিলো যে তার প্রতিক্রিয়া থেকে গত এক হাজার বছরেও আমরা নিস্তার পাইনি..."
    অর্থাৎ, হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা চারাগাছ নয়...
  • শিবাংশু | 127.201.160.31 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১০:৪৮86830
  • lcm,

    ভারতবর্ষ সম্পর্কে 'সব' বলে দেওয়া তো কৃষ্ণদ্বৈপায়নের দ্বারাও হয়নি। আমি তো কোন ছার। আর ভারতবর্ষের ইতিহাসে কিছুই হঠাৎ গজিয়ে উঠতে দেখিনি। অতি স্লো মোশন ইতিহাস আমাদের। :-)
  • Arpan | 233.238.253.197 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১১:০৬86831
  • শিবাংশুদা, বাহাদুর শাহ জাফরের রেঙ্গুনে নির্বাসন কীভাবে হিন্দুফোবিয়ার অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল জানতে আগ্রহী।

    আমি ভাবতাম ঔপনিবেশিক শিক্ষায় শিক্ষিত হিন্দু (উঃ ও উঃমঃ) জনগোষ্ঠীর প্রিভিলেজড ক্লাস হিসেবে প্রতিষ্ঠা থেকে হিন্দুফোবিয়া জন্ম নেয় ও ধীরে ধীরে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে তার বিকাশ হয়।
  • 0 | 132.163.77.140 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১১:১৯86832
  • deর দেওয়া (14 August 2015 13:53:24 IST) লিং থেকে হরিয়ানা আর দিল্লীর ঘটনাগুলো জানলাম।

    দলিত পরিবারগুলো এই বিপদের অবস্থায় একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আন্তরিক সমর্থন।
  • তাপস | 122.79.37.121 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১২:২৭86833
  • আমি তো এরকম মনে করি না, যে ইংরেজ ইস্লামোফোবিয়া ছড়িয়েছে বা এনেছে।
  • শিবাংশু | 127.248.140.242 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ০৫:০০86847
  • অর্পণ,

    ওটোমান সভ্যতা প্রমাণ করে ইসলাম মানে যুক্তিরহিত, অসহিষ্ণু থিওলজি বা পশ্চাৎপর মধ্যযুগীয় মূল্যবোধে ওতোপ্রোত কোনও অচলায়তন নয়। তুমি ঠিকই ধরেছো ভৌগলিকভাবে য়ুরোপের কাছাকাছি হবার জন্যই হয়তো আমরা ইসলামের এই মডেলটি পেয়েছি। লক্ষ্য করার বিষয় ওটোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গৌরবের কাল ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে মহান সুলেমানের রাজত্বপর্ব। এই সময়ই বাড়ির পাশে মূলত ইতালি ও একটু দূরে ইংল্যান্ড, জর্মনি, ফরাসিদেশে য়ুরোপীয় রেনেশাঁসের পরম্পরা শুরু হয়ে গেছে। রেনেশাঁসের মূল প্রতিপাদ্য ছিলো আবেগের উপর যুক্তিকে প্রতিষ্ঠা করা। মানুষের চিন্তার জগতের এই আমূল পরিবর্তিত পরিপ্রেক্ষিতটি ওটোমান সংস্কৃতিকেও বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। এরই চূড়ান্ত স্ফূরন ঘটে কমাল আতাতুর্কের আমলে প্রস্তাবিত সাবেক, পশ্চাৎমুখী, তথাকথিত 'শুদ্ধ' উপজাতিক ইসলামিক কুসংস্কারগুলিকে আপাদমস্তক পরিবর্তনের কার্যবিধিকে সফল করে তোলায়। এটা প্রমাণ করেছে ইসলামের দায়রার মধ্যে থেকেও বাকি পৃথিবীর সঙ্গে সমানতালে যুক্তিবুদ্ধির আবহে বিকশিত হওয়া যায়।
    ------------------------------------
    এই যে গত প্রায় একশো বছর ধরে আমরা দেখছি সারা বিশ্বে, মূলতঃ মধ্য এসিয়া, দক্ষিণপূর্ব এসিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার ইসলামি যাপন মানেই হয় অভিযোগকারী বা অভিযুক্ত। সারা পৃথিবীর অপর সভ্যতাগুলি যখন নিজেদের ভালোমন্দ সবকিছু নিয়ে অন্যদের সঙ্গে বিনিময়, ব্যপ্তির উদ্যমে সতত ক্রিয়াশীল, তথাকথিত ইসলামি মনন নিজেকে আরো বেশি গুটিয়ে নিচ্ছে। চতুর্দিকে ষড়যন্ত্র, সন্দেহের বাতাবরণ অনুভব করছে, পারসিকিউশন কমপ্লেক্স আকাশছোঁয়া। অন্ধ মোল্লাতন্ত্রের বোলবালা। যাবতীয় 'জিহাদ' মুক্তবুদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াই করেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ওটোমান ইসলামি মডেলে এটা নেহাৎ ব্যতিক্রম।
    ------------------------------
    আমাকে সব চেয়ে বেশি ভাবায় আজকের বৃহত্তম ইসলামি দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। তাঁরা সরকারিভাবে এবং মননবিশ্বে সেক্যুলার। তাঁদের ইসলামি মূল্যবোধ কোনও অচলায়তন নয়। বরং তা স্থানিকতা ও আন্তর্জাতিকতাকে আত্মসাৎ করে ক্রমশঃ বিবর্তিত হতে থাকে। সমাজে নারীর স্থান, যা যেকোনও সমাজের সামগ্রিকভাবে যুক্তি ও মূল্যবোধের সূচক, রীতিমতো উপরে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষ বনাম নারীর অনুপাত ভারতবর্ষে যেখানে ৩৪, পাকিস্তানে ৩০, সেখানে ৬১( সংগঠিত ক্ষেত্রে অবশ্য অনেকটাই কম)। হ্যাঁ, আমি ইন্দোনেসিয়ার কথা বলছি। যেখানে মানুষের যাপনে আজকের এই অস্থির সময়েও মহম্মদ ও রাম সহাবস্থান করেন হাজার প্ররোচনা সত্ত্বেও। শতকরা ৮৭ ভাগ মুসলিম প্রধান দেশেও ( যাঁদের মধ্যে আবার ৯৯ ভাগ তথাকথিত 'গোঁড়া' সুন্নি সম্প্রদায়), ছয়টি সরকার স্বীকৃত ধর্মবিশ্বাস রয়েছে। কোনও 'ইসলামি' আইনব্যবস্থা নেই। সবার জন্য একই সিভিল কোড কার্যকরী করা হয়। যখন খোদ তুরস্কে মৌলবাদী প্রবণতা ঊর্ধমুখী, ইন্দোনেসিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সচেতনভাবে এই প্রবণতাটিকে প্রতিরোধ করার প্রয়াস পাচ্ছেন। যদিও আগের চেয়ে এই মূহুর্তে আপাতভাবে মোল্লাতন্ত্রের উপস্থিতি বেড়েছে, কিন্তু তবু ইসলামের উজ্জ্বল দিকগুলি তাঁরা এখনও ধরে রেখেছেন। সারা পৃথিবীর কাছে এটা একটা শিক্ষার সূত্র হতে পারে।
  • | 11.39.13.106 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ০৫:১৬86848
  • শিবাংশুর কাছে একটা পূর্ণ প্রবন্ধের দাবী জানালাম। দরকার হলে কয়েক পর্বে রেফারেন্সসহ লিখুন।
  • I | 192.66.53.215 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ০৫:১৭86842
  • শিবাংশুদা,এনকোর!
  • Abhyu | 85.137.13.237 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ০৬:০৩86849
  • খুবই ভালো লেখা, শিবাংশুদা। আমিও বলছি এগুলোকে গুছিয়ে নিয়ে আলাদা করে একটা প্রবন্ধ লিখুন।
  • sswarnndu | 198.154.74.31 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৫৫86850
  • শিবাংশুদা,
    "তুমি ঠিকই ধরেছো ভৌগলিকভাবে য়ুরোপের কাছাকাছি হবার জন্যই হয়তো আমরা ইসলামের এই মডেলটি পেয়েছি।" --- এইটা কি একটু ইউরোসেন্ট্রিক দেখা হয়ে গেল না? এটা ঠিকই যে " লক্ষ্য করার বিষয় ওটোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গৌরবের কাল ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে মহান সুলেমানের রাজত্বপর্ব। এই সময়ই বাড়ির পাশে মূলত ইতালি ও একটু দূরে ইংল্যান্ড, জর্মনি, ফরাসিদেশে য়ুরোপীয় রেনেশাঁসের পরম্পরা শুরু হয়ে গেছে।"----- কিন্তু প্রভাবটা কি শুধুই ইউরোপ থেকে ইসলামিক দুনিয়ায়? তার আগের ইউরোপের ইতিহাস কি ঠিক উল্টো জিনিসটা দেখাচ্ছে না?

    অষ্টম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী , এই পুরো সময়কালে ইউরোপের ক্রিশ্চিয়ান দুনিয়ার থেকে ইসলামিক দুনিয়া বহুগুণ বেশী লিবারাল, সভ্য ও ...
    রেনেসাঁ র আগের ইউরোপখন্ডেই সবচেয়ে উজ্জ্বল সভ্যতা একাদশ শতাব্দীর আইবেরিয়ান পেনিনসুলার
    আল-আন্দালুস... আরব সভ্যতার সংস্পর্শে না এলে রেনেসাঁ ইউরোপে আদৌ আসার পরিস্থিতি তৈরি হত কিনা সেটা একেবারে বাতিল করার মত প্রশ্ন কি?
  • sswarnndu | 198.154.74.31 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৫৭86851
  • ইসলামের এই মডেল কিন্তু ওটোমান সাম্রাজ্যেই প্রথম এমন নয় বলেই তো মনে হয়।
  • Arpan | 125.118.59.28 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১০:৫১86843
  • শিবাংশুদা, অনেক ধন্যযোগ। ইস্লামিক দুনিয়ার আরেক তাজ, অটোমান সাম্রাজ্যও ঐ একই সময়ে হীনবল হতে শুরু করে। এমন সময়ে যখন ব্রিটেন, রাশিয়া, জার্মানি এবং ফ্রান্সের মত নব্য ইওরোপিয়ান শক্তিগুলি দুনিয়া জুড়ে নতুন ইতিহাস রচনা করতে চলেছে। অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পরে ভারতে এর বিরোধিতা করে খিলাফৎ আন্দোলনও শুরু হয়েছিল যদ্দূর মনে পড়ে, যার প্রভাব ভারতেও পড়েছিল।

    আয়রনির ব্যপার মুঘল সাম্রাজ্যের তুলনায় অটোমান শাসকেরা অনেক প্রোগ্রেসিভ ছিলেন। ইওরোপের কাছাকাছি ভৌগোলিক অবস্থান হওয়ার জন্যই হয়ত। যে কারণে কামাল আতার্তুকের অটোমান পরবর্তী তুরস্কে সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠা করার সাহস দেখিয়েছিলেন।
  • Arpan | 125.118.59.28 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১০:৫৮86844
  • * আতার্তুকের মত জননেতা
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১১:২৯86845
  • শিবাংশুদার মন্তব্যগুলো ভীষণ ভাল লাগল ...
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.215.177.206 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১২:১৪86846
  • শিবাংশুদা, অসাধারণ !
  • dd | 116.51.137.3 (*) | ১৬ আগস্ট ২০১৫ ০২:২৫86853
  • শিবাংশুর এই পোস্টগুলো একত্তর করে একটা আলাদা টই খুললে ভালো হোতো।
  • কল্লোল | 111.63.80.51 (*) | ১৬ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৫০86854
  • অ্যারেই কয় পেলেদোনা। শিবাংশু তোমারে সেলাম।
    এটা আলাদা টই হোক। শিবাংশু লিখুক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন