এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কার্ফিউড নাইট: আগ্নেয়গিরির শিখরে পিকনিক

    শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৩ আগস্ট ২০১৫ | ৬৭৪৪ বার পঠিত
  • দক্ষিণ কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রামের এক ভীতু মানুষ, হুসেন । শান্ত চোখ, সংকুচিত ভংগীতে বসেছিল ডাক্তারখানায়। হুসেনের ধারণা সে ইমপোটেন্ট হয়ে গেছে। তার ডাক্তার ভাইয়ের ভাষায়, ‘হুসেনের আর দাঁড়ায় না’। হুসেন বিয়ে করতে চায় না, কারোর সাথে মিশতে চায় না। নিজের ছোট্ট দোকান-ঘরের মধ্যে জড়োসড়ো হয়ে কাটিয়ে দেয় সারাদিন। হুসেন এক একলা ভাঙ্গাচোরা মানুষ। 


    ১৯৯০ সালে যখন কাশ্মীরে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের ডাক ওঠে হুসেন তখন কলেজে পড়ে। তেরোজন বন্ধুর সাথে হুসেন রওনা দিয়েছিল এল ও সি পেরিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে ‘ট্রেনিং’ নিতে। কুপওয়ারা থেকে একটু দূরে বিএসএফ তাদের ট্রাক থামায় এবং অ্যারেস্ট করে কাছের আধা-সামরিক ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালবেলা ইন্টেরোগেশন রুমে নিয়ে আসা হয় তাদের। জোর করে উলংগ করিয়ে দুই হাতে তামার তার বেঁধে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হতে থাকে। হুসেনের গলা ফাটিয়ে ঠিকরে আসতে চায় বমি, কিন্তু করতে পারে না কারণ মুখে গোঁজা ছিল তুলোর বল। রক্ত লালা এবং বমিতে সেই বল ভিজে গেলে ফেলে দিয়ে নতুন বল ঢোকানো হচ্ছিল। এরপর হুসেনের পুরুষাংগের ভেতর তার ঢুকিয়ে দেওয়া হয় জোর করে। শক পেতে পেতে মনে হয় ছিঁড়ে যাবে পুরুষাংগ। হুসেন পরে বুঝেছিল, এগুলো শুধুই কথা বার করার জন্য নয়। কারণ সকলেই একটা না একটা সময় মুখ খোলে, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মুখ খুলতে বাধ্য হয়। ইন্ডিয়ান আর্মিও জানে সেটা। তারা দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে এই টর্চার চালায় নিছক স্যাডিস্ট আনন্দ পাবার জন্যেই। 


    অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে হুসেন অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল একসময়। তাকে জাগিয়ে তুলে আবার শক দেওয়া হয়। হুসেন প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে, কিন্তু হিসির বদলে রক্ত বেরিয়ে আসে। ফুলে ওঠে অন্ডকোষ। বিপদ বুঝে আর্মি হাসপাতালে ট্রান্সফার করে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পর আবার অত্যাচার। দুই বছর বাদে হুসেন যখন ছাড়া পায় তখন তার পুরুষাংগ আর শক্ত হয়না। বাড়ি ফিরে আসার পর গুটিয়ে যায় সে। বাড়ির লোক বিয়ে করার জন্য বার বার চাপ দিতে থাকে, একসময় সে জানায় যে সে বিয়ে করতে পারবে না, কারণ তার “দাঁড়ায় না”। কোনও ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না লজ্জায়। গোটা সময় কাটায় গ্রামের মসজিদে। হুসেন ধর্মপ্রাণ এক মুসলিম হয়ে যেতে শুরু করে, যাকে অনায়াসে ভারতীয় মিডিয়া দাগিয়ে দিতে পারে ধর্মান্ধ মৌলবাদী নামে।


    হুসেন কোনও কাল্পনিক চরিত্র নয়। বসারাত পীরের লেখা কার্ফিউড নাইট-এর পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে এমন অসংখ্য হুসেনের সাক্ষাতকার, যারা কাশ্মীরে ইন্ডিয়ান আর্মীর অত্যাচারে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এই বই ডকুমেন্ট করেছে মুবিনা আর রশিদের কথা। বিয়ের রাতেই বিএসএফ বাস থেকে নামিয়ে মুবিনাকে গণধর্ষণ করেছিল। অপরাধ? মুবিনাদের বাস আসার আগে জঙ্গীদের একটা জিপ গিয়েছিল সেই রাস্তা দিয়ে এবং সেখান থেকে বি এস এফ-এর উদ্দেশ্যে কয়েকটা গুলি ছোঁড়া হয়েছিল শুন্যে। কেউ হতাহত হয়নি। কিন্তু সেই জিপকে ধরা যায়নি। এই রাগে পরের বাস থামিয়ে এক নববিবাহিতা মেয়েকে নামিয়ে সারারাত ধরে গণধর্ষণ না করলে সামরিক বাহিনীর দেশপ্রেমী-দর্পিত পুরুষাংগ শান্ত হত না। এই বই ডকুমেন্ট করেছে গুলজারের কথাও। ক্লাস টু্যেল্ভের ছাত্র গুলজার নিছক মজা করার জন্য স্কুলের এক জুনিয়ারকে একটু র‍্যাগ করেছিল। জানত না যে সেই ছেলেটি এক ইন্ডিয়ান আর্মি অফিসিয়ালের পুত্র। আর্মি গুলজারের বাড়িতে এসে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এবং হাত পা বেঁধে কাছের এক গোডাউনে ঢুকিয়ে মাইন ফাটিয়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল তার শরীর। অফিসিয়াল ডকুমেন্টে লেখা হয়েছিল গুলজার এক বিপজ্জনক জংগী যার মাইন ভুল করে হাতে ফেটে গেছিল। আছে ১৭ বছরের শফির কথাও। শফি এবং তার ভাইকে ইন্ডিয়ান আর্মি একদিন রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর শফির পেটে মাইন বেঁধে পাঠিয়ে দেয় কাছের এক বাড়িতে যেখানে নাকি জংগীরা লুকিয়ে ছিল। শফির মা সেকথা শুনে ছুটতে ছুটতে সেখানে গিয়ে দেখেন শফির ছোটভাই বিলালের পেটেও মাইন বাঁধার তোড়জোড় চলছে। আর্মির সঙ্গে হাতাহাতি করে বিলালকে ছাড়িয়ে আনা গিয়েছিল। কিন্তু শফিকে ফেরানো যায়নি। তার ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহের সবকটা অংশ খুঁজেও পাওয়া যায়নি কবর দেওয়ার জন্য।


    বইটা পড়তে পড়তে গা গুলিয়ে ওঠে। অসুস্থ লাগে। কয়েক দশক ধরে দেশের ঐক্যের নাম করে ইন্ডিয়ান আর্মি যে জাস্ট সাম্রাজ্যবাদী অ্যাগ্রেসন চালাচ্ছে গোটা কাশ্মীর ভূখণ্ডে তার জীবন্ত ডকুমেন্টেশন এই বই-এর পাতায় পাতায়। লেখক নিজে জীবনের প্রথম ১৮ বছর কাটিয়েছেন কাশ্মীরে। জংগী হতে হতেও হননি। কিন্তু স্পষ্ট ভাবে দেখিয়েছেন কেন হাজার হাজার ছেলেপুলে এল ও সি ডিংগিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে ‘ট্রেনিং’ নিয়ে আসে। খুব সঠিকভাবে বসরাত দেখিয়েছেন যে কাশ্মীরের মানুষ কোনও কালেই নিজেদের ভারতের অংশ ভাবেনি। শারজার সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে যেখানে জাভেদ মিঁয়াদাদ শেষ বলে ছয় মেরে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন, রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার পর উল্লাসে ফেটে পড়েছিল প্রায় গোটা কাশ্মীর। ব্যাপারটা পাকিস্তানকে সমর্থন নয়। বরং যে ভারতের বিপক্ষে খেলবে তাকেই সমর্থন। দশকের পর দশক ধরে দেশপ্রেম এবং জাতীয় সংহতির নাম করে এই ভূখণ্ডে দাপিয়ে গিয়েছে ভারতীয় রাজনীতি। ভারতীয় সেনা এবং আধা-সামরিক বাহিনী, খুন-ধর্ষণ-নিখোঁজ-এর বীভৎস মজায় ভারতবাসীকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সারসত্যটা যে কাশ্মীর ঐতিহাসিকভাবে ভারতের অংশ কখনোই ছিল না। বরং আজাদ কাশ্মীরের দাবীর থেকে আর কোনও মহত্তম দাবী এই সময়ে দাঁড়িয়ে সম্ভব নয়। সেই জাতীয়তাবাদী আগ্রাসনের  বিপরীতে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ ছুঁড়ে দিতে পেরেছিল শুধুই নীরব অসমর্থন। আর তাই ১৯৮৭ সালে নির্বাচনের নামে যখন প্রহসন করে ভারতীয় সরকার, তার বিপরীতে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে উঠে আসে ইয়াসিন মালিকের জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট। ১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসে স্বাধীনতাকামী শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে যখন আর্মি শতাধিক মানুষ মারে, তার উত্তরে হাজার হাজার ছেলে লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে ‘জিহাদী ট্রেনিং’ নিতে চলে যায় এবং ফিরে এসে বীরের সংবর্ধনা পায় সাধারণ্যের কাছে। কাশ্মীরের বাস্তব এটাই। ভারতীয় দেশপ্রেমিকদের বুটের তলায় মাথা তুলবে বিচ্ছিন্নতাবাদের গর্জন।


    কিন্তু বসারাতের এই বই শুধুই বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের গল্প নয়। বরং গত কয়েক দশক ধরে আগ্নেয়গিরির শিখরে বসে পিকনিক করছে যে ভূখণ্ড, এই বই তার এলিজি। বাসারাত জানেন পক্ষ নিতে হয়। ফেন্স-সিটার মানবতাবাদীদের মতন তিনি মহত্বের সুঊচ্চ প্রাসাদের চূড়ায় বসে দিক-নির্দেশ করে দেন না। বলেন না যে আর্মী এবং জংগী দুই পক্ষই সমান খারাপ। বসারাত এই ঐতিহাসিক সত্যের সঙ্গে অবগত যে নিরপেক্ষ অবস্থান আসলে দিল্লীতে বসে থাকা নিও-হিন্দুত্ববাদী শাইনিংদের চামচা রাজনীতির হাত-ই শক্ত করে। ভারতীয় মিডিয়া রাজনীতি ব্যাবসায়ী গোষ্ঠির সবচেয়ে পছন্দের অবস্থান এই নিরপেক্ষতা, যার আড়ালে স্ট্যাটাসকুয়োর বৈধতা প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়ে যায়। বসারাত স্পষ্টত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষ নিয়েছেন। বারবার দেখিয়ে দিয়েছেন কেন ঐতিহাসিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে আজাদ কাশ্মীরের দাবীতে যুবক যুবতীরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। কেন সেই অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়াটা এই সময়ের একমাত্র দাবী। কেন পাপা-টু নামের ইন্ডিয়ান আর্মির টর্চার সেলে মার খেতে খেতে বুকের কলজে ফাটিয়ে ফেলার জবাব দিতে হাতে হাতে বদল হয় কালাশনিকভ। কেন ইয়াসিন মালিককে একটার পর একটা মিথ্যে কেসে জেলখানার মধ্যে বছরের পর বছর পচিয়ে মারার বদলা নিতে শ্রীনগরের রাস্তা ফেটে পড়ে জনবিক্ষোভে। এই বই-এর অসাধারণত্ব এখানেই যে বসারাত পক্ষ নেন বারবার। আর সেই পক্ষ-নির্বাচনে তাঁর কোনো ভুল হয় না।


    কিন্তু এতটা লেখার পর মনে হল কিছুই বলা হল না। এই বই-এর যে পার্সনাল টাচ, যে মানবিক কাহিনীগুলো, সেগুলো কিছুই ধরা গেল না। বসারাত যখন বর্ণণা করেন যে হাতের কালাশনিকভ একপাশে সরিয়ে জংগীরা নেমে পড়ে স্কুলের ছেলেপুলের সাথে ক্রিকেট খেলতে, দুম করে মনে হয়, আরে এ তো আমাদের নক্সাল ছেলেদের গল্প, যারা নিজেদের মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই কয়েক মিনিটের জন্য থামিয়ে দিত যখন পাড়ার বল্টুর ঠাকুমা রাস্তা পার হতেন। বসারাত গল্প করেছেন সেই সব স্থানীয় জংগী নেতাদের যারা দেখা হলে প্রথমেই জানতে চাইত যে বাচ্চাটা লেখাপড়া ঠিকমতন করছে না কি শুধুই এই ভারত-পাকিস্তান করে করে বখে যাচ্ছে। বসারাত স্কুলে পড়ার সময় এক জে কে এল এফ-এর স্থানীয় কমান্ডারের কাছে বারবার আবদার করতেন যে তাঁকে দলে নিতে হবে। সেই কমান্ডার তাঁদের গ্রামের-ই ছেলে, প্রথমে ধমক ধামক দিত “অ্যাই পড়াশোনা কর, এসব করতে হবে না” ইত্যাদি বলে। তাতেও কাজ হয়নি দেখে সটান গিয়ে বসারাতের দাদুর কাছে গিয়ে নালিশ করে আসে। সেই জংগী ছিল দাদু যে স্কুলের হেডমাস্টার, তার ছাত্র। মাস্টারমশাই-এর নাতি উচ্ছন্নে যাচ্ছে, বসে দেখা যায় নাকি?


    তাই সবকিছুর পরেও এই বই সেই মানুষদের গল্প বলে, সেই ভূখণ্ডের গল্প বলে, আধিপত্যবাদের নিষ্পেষণে গুঁড়িয়ে যেতে যেতেও যা তুমুল জীবনের উদযাপনে বাঁচতে চায়। গ্রামের স্থানীয় মসজিদে গিয়ে সৌদির ক্যাম্প থেকে ফেরা কট্টর ইসলামিস্ট ছোকরা যখন চোখ-মুখ পাকিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে ‘কবীরন কবীরা’ (শ্রেষ্ঠ কে?) তার উত্তরে কেউ ‘আল্লাহু আকবর’ চেঁচিয়ে ওঠে না, বরং একে অন্যের মুখ চাওয়া-চায়ী করে। চেঁচাবে কি করে? আরবি জানলে তো! ছেলেপুলের কাছে তুমুল প্যাঁক খেয়ে চোখমুখ লাল করে সেই ইসলামিস্ট বুঝিয়ে দেয় যা এই স্লোগানের উত্তরে আল্লাহু আকবর বলাটাই নিয়ম। তারপর আব্বার চেঁচিয়ে ওঠে ‘কবীরন কবীরা”। দুই একজন মিনমিন করে বলে ওঠে ‘আল্লাহু আকবর’। প্রোগ্রাম সুপারফ্লপ হবার পর এক বছর ধরে সেই ছোকরা আওয়াজ খেতে থাকে গ্রামের অন্য ছেলেপুলের কাছে। ততদিনে কিন্তু ধর্মের হাত ধরে রেজিস্টান্স পৌঁছে গেছে কাশ্মীরের ঘরে ঘরে। পণ্ডিতদের মাস এক্সোডাস ঘটে গেছে, শ্রীনগরের রাস্তা উজিয়ে উঠছে আজাদ কাশ্মীরের দাবীতে, হাজার হাজার ছেলেমেয়ে নিখোঁজ এবং ঘরছাড়া। কিন্তু জীবন যেখানে যেটুকু চেটেপুটে নেবার, নেবেই। আগ্নেয়গিরির চূড়ায় বসে পিকনিক করার নাম-ই কাশ্মীর, বারবার মনে করিয়ে দেয় এই বই।


    বসারাত চাইলেই ইন্ডিয়ান মিডিয়ার ব্লু-আইড বয় হতে পারতেন যদি জংগী এবং আর্মির সমান নিন্দেমন্দ করে সাধারণ মানুষের কথা বলতেন। যেটা বসারাত ভোলেননি, কিন্তু আমরা ভুলে যাই, যে কাশ্মীরে জংগী আর সাধারণ মানুষের কোনও তফাত নেই। তাই কোনও এক মায়াময় হিমেল রাতে এক সাধারণ ওষুধের দোকানদার বিছানা ছেড়ে উঠে গিয়ে জংগী ক্যাম্পে চলে যায়। সে এবং তার মতন আরো অসংখ্য মানুষ জানত যে এর অন্তে টর্চার এবং মৃত্যু নিশ্চিত। হয়ত বধু শুয়েছিল পাশে, হয়ত শিশুটিও ছিল, তবুও তাকে নন-কনফর্মিস্ট বানিয়ে ছাড়ল এক অমোঘ মরণফাঁদ। তবুও সিনেমায় যেমন হয়, শেষ দৃশ্যে হাতের কালাশনিকভ ত্যাগ করে সে সোজা হেঁটে যাবে না কিছুতেই। মরতে মরতেও আঁকড়ে ধরে থাকবে অস্ত্র। কাশ্মীর মানে এই নন-কনফর্মিস্ট ভূখণ্ডের গল্প। অসামান্য এ বই, ভোডাফোন ক্রসওয়ার্ড পুরষ্কার পাবার পরেও খুব জানা কারণেই ইন্ডিয়ান মিডিয়াতে বেশি আলোচনায় আসবে না। বুট পরা শ্রীরামচন্দ্রের পদদ্ধনিতে কেঁপে ওঠা আজকের ভারতবর্ষে দাঁড়িয়ে এই বই ফ্লপ হতে বাধ্য। তবে নন-কনফর্মিস্টরা পড়বেন। এটুকু আশা রইল। যেমন উট শুকনো কুয়ো থেকেও জলপান করে বলার পরেও গদার মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে উট জলপান করতে বাধ্য নয়, তাঁর নিজের মতন করে, খেয়াল-খুশি অনুযায়ী...


    ==============

    Curfewed Night: Basharat Peer; Random House (2010)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৩ আগস্ট ২০১৫ | ৬৭৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 192.66.63.36 (*) | ০৪ আগস্ট ২০১৫ ০১:৪৭86770
  • একদম,আমি ঠিক তাই করেছিলাম। তবে পণ্ডিতা ভীষণ পার্টিজান, বসরাত সে তুলনায়,শাক্য যাই বলুক না কেন ,অনেক বেশী নিরপেক্ষ।
  • রৌহিন | 126.202.199.96 (*) | ০৪ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৩৬86764
  • পড়ব - পড়তেই হবে। এই রিভিউটার জন্য ধন্যবাদ। অনেক ঝুঁকি নিলি ভাই। তোকে চিনি বলে গর্বিত।
  • SOUMEN DAS | 160.242.148.66 (*) | ০৪ আগস্ট ২০১৫ ০৯:৫৪86765
  • এই ব্লগে কি ভাবে লেখা পোষ্ট করবো।প্লিজ আমাকে কাউ হেল্প করুন।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ০৪ আগস্ট ২০১৫ ১০:১৬86766
  • এই তো করছেন।
  • Born Free | 113.21.127.60 (*) | ০৪ আগস্ট ২০১৫ ১০:৩৪86767
  • অসাধারণ রিভিউ। এই মাত্র বইটার অর্ডার করলাম।
    ধন্যবাদ।
  • b | 24.139.196.6 (*) | ০৪ আগস্ট ২০১৫ ১১:২২86769
  • রাহুল পন্ডিতার বইটি পাশাপাশি রেখে পড়লে হয় না? জমবে ভালো।
  • b | 24.139.196.6 (*) | ০৪ আগস্ট ২০১৫ ১১:২২86768
  • রাহুল পন্ডিতার বইটি পাশাপাশি রেখে পড়লে হয় না? জমবে ভালো।
  • bipokkho | 24.99.117.211 (*) | ০৫ আগস্ট ২০১৫ ০৫:১৫86771
  • পক্ষ নির্বাচনে অসুবিধা হলো বাকি ভারতবর্ষ উল্টো পক্ষ বেছে নেয়। যদি শিখ বাস যাত্রী দের বাস থেকে নামিয়ে জঙ্গিদের লাইন দিয়ে গুলি করার কথা চেপে যাওয়া হয়, যদি রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত সদস্য দের ( যার ৯০% মুসলিম) তুলে নিয়ে গিয়ে মারা ইগনোর করা হয় ,যদি অমরনাথে ভিনরাজ্যের নিরীহ তীর্থযাত্রী কে খুন করা জাস্টিফাই করা হয় , যদি মনাস্ট্রি তে ঢুকে বুদ্ধিস্ট মঙ্ক মার্ডার চেপে যাওয়া হয় ,যদি ৮৮-৯০ তে কত শত হিন্দু কিশোরীকে রাতে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ অনুল্লেখিত থাকে আর লাখো কাশ্মীরি পন্ডিত দের বিতাড়ন সম্পর্কে থাকে হিরন্ময় নীরবতা তাহলে "ফেন্স-সিটার মানবতাবাদীদের মতন মহত্বের সুঊচ্চ প্রাসাদের চূড়ায় বসে দিক-নির্দেশ" বিফল হয় এবং এই একমুখী পক্ষ নির্বাচনের প্রতিক্রিয়া হয় মারাত্মক - নেপথ্যে বাজে আ দেখে যারা কিস্মে কিতনা হ্যায় দম । রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় গরিব উলুখাগড়ার প্রাণ যায় ।
    আর যে লেখক ইন্ডিয়ান আর্মি কে "বুট পরা রামচন্দ্র " বলে সে আসলে শক্ত করে কট্টর হিন্দুত্ব বাদীর হাত যারা জানে না কার্গিল যুদ্ধে শহীদ হওয়া সেনার নামের লিস্টে কত কত শিখ মুসলিম বৌদ্ধ পাওয়া যাবে ।
    পক্ষ নির্বাচন নিয়ে এই লেখকের হ্যালুসিনেশন আগেও দেখা গেছে ISIS এর পক্ষ নিয়ে লেখায় যারা নাকি তার মতে নিও লিবারাল সাম্রাজ্যবাদের একমাত্র উত্তর ।
  • আমি সুশীল | 193.90.37.172 (*) | ০৬ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৪৭86773
  • সেই বটে। মাঝখান থেকে কাসব আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ঢুকে পরে আর তাদের মোকাবিলা করতে পুলিশ ও রাজ্য সিকিউরিটি বাহিনী যায় কিছু লাঠি আর গাদা বন্দুক নিয়ে। যুদ্ধটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নেই ঠিক, কিন্তু কে যে উপরে আছে মাঝে মাঝে গুলিয়ে যায় বৈকি।
  • Sakyajit Bhattacharya | 23.17.125.9 (*) | ০৬ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৫৬86772
  • রাজায় রাজায় যুদ্ধহ না। এই যুদ্ধ অসম যুদ্ধ। আর্মি আর জংগী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নেই। এই সত্যিটুকু প্রাথমিকভাবে স্বীকার না করে নিলে কোনো আলোচনাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়
  • ranjan roy | 24.97.221.235 (*) | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৪০86774
  • গল্প এইটাই।
    পাকিস্তান থেকে আসা কাসভ,কাশ্মীরে নিজের জমিতে দাঁড়িয়ে ভারত রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া যুবক, বঙ্গদেশ হতে আলাদা হতে চাওয়া দার্জিলিং এর নেপালী জনগোষ্ঠী সব এক।
    একদিকে গর্বিত মহান ভারত রাষ্ট্র--যাকে নিয়ে কোন প্রশ্ন করা চলবে না। সে কখনও ভুল করে না। সে আমাদের খাইয়ে পরিয়ে চাকরি দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমরা যখন ঘুমোই সে জেগে থাকে।
    তার দিকে আঙুল তোলা বা তার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার দুঃসাহস দেশদ্রোহিতা না হোক অকৃতজ্ঞতার নামান্তর।
    আমাদের বিচারব্যবস্থা আছে, আপীল ও ক্ষমাযাচনার ব্যবস্থা আছে। তাই ধনঞ্জয় হোক বা আফজল গুরু--প্রশ্ন করা যাবে না।
    তাই একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর নির্মম নির্বিচারে হত্যার গল্প দিয়ে জাস্টিফাই করব ভারতের আর্মির সিভিলিয়ানের উপর অত্যাচারের। শর্মিলা চানুর প্রতিবাদ বা মহিলাদের নগ্ন বিক্ষোভ--কিছুই আফস্পাকে সরাতে পারে না।
    আমরা নিশ্চিন্ত থাকতে চাই। ভাল করে ঘুমোতে চাই। রাত্রিজাগরণ অসুস্থতার লক্ষণ। এর পূর্বশর্ত হল রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য।
  • Ami Sushil | 193.90.37.127 (*) | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ০৭:১৬86775
  • সেই আরকি। আমরা রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব, কিন্তু "উগ্রপন্থী গোষ্ঠির নির্মম নির্বিচারে হত্যা" র ঘটনাকে সহানুভূতির চোখে দেখব, তাদের কে শাস্তি পেলে কেঁদে ভাসাবো। আর্মির লোক খুন হতেই পারে, তারা কি আর সহানুভূতি পাওয়ার যোগ্য, না তাদের ফ্যামিলি আছে?
  • আপনি সুশীল | 126.203.140.244 (*) | ০৯ আগস্ট ২০১৫ ০৪:০৭86776
  • 'শাস্তি পেলে' ---- হুমমম

    ভাবার মতন মিস্টেক
  • অনামী | 170.62.7.250 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৫ ০২:০৩86777
  • সুশীলবাবু, কয়লাও কালো, জুতোর কালিও কালো, দোয়াতের কালিও কালো। কয়লাকে কালো বললে কি তার সাথে বলে দিতে হবে যে আর কি কি জিনিস কালো? যেইখানে ভারতীয় জোয়ানদের জোয়ানী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেইখানে অপরপক্ষদেরও খিস্তি করতে হবে তার মাথার দিব্যি কে দিয়েছে? কার্যকারণ বিচার করতে থাকলে একসময় পিছোতে পিছোতে আলেক্জান্দেরের ভারত আক্রমনে গিয়ে পৌছবেন। কাশ্মীরে অহেতুক জবরদস্তি করা হয়েছে। ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র সেইখানে স্টিম রোলার চালিয়েছে। এইটা মানতে অসুবিধা কোথায়? এইটা মানলেই বা কাশ্মীরে যে সন্ত্রাসবাদীরা গণহত্যা করেছে, তাদের কাজগুলো জায়েজ কেমন করে হয়ে যায়? যে কোনো কারণেই হোক কাশ্মীরে একটা বড় অংশ ভারত আর পাকিস্তানের থেকে আলাদা হয়ে নিজের রাষ্ট্রগঠন করতে চায়। এই চাওয়াটা যে অন্যায় সেইটার বিচার কি বিহার, বাংলা, তামিল নাড়ুর লোকেরা ঠিক করবে? কেন একটা জনগোষ্ঠির নিজের ভাগ্যনির্ধারণের অধিকার থাকবে না? যদি নাই থাকে তাহলে আমরা তিব্বতিদের কেন আশ্রয় দিয়েছি আমাদের দেশে? আর ৭১-এ বাংলাদেশ তৈরির জন্যে কেন পূর্ব পাকিস্তানি বাঙালিদের সহায়তা করেছিলাম? আজকে যদি কাশ্মিরীদের আজাদ কাশ্মীরের দাবি অনায্য হয়, তাহলে ৭১-এ বাংলাদেশ তৈরির দাবিও অনায্য ছিল?
    পুনশ্চ, আমি মনে করি কাশ্মীর ভারতের সাথে থাকলে সেইটা উভয়ের পক্ষেই মঙ্গলজনক (এবং মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান আমাদের দেশের ইতিহাসের অন্যতম গৌরবজনক অধ্যায়!)। কিন্তু কথাটা হলো, বুট জুতোর ঠোক্কর মেরে, বন্দুকের বাঁটের আঘাতে আর যথেচ্ছ ধর্ষণ করে রাষ্ট্রনির্মিত হয়না। নিজেদের কলঙ্কজনক কাজগুলোকে ছাই চাপা দিয়ে দেশাত্মবোধ মারানোর যে মহান ঐতিঝ্য আমাদের আছে, তার উপর দিয়ে শুধু রক্তাক্ত ইতিহাস রচনা হয়।
  • ranjan roy | 24.97.167.226 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৫ ০২:৩৫86778
  • আর অব্শ্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। তাই ভারতরাষ্ট্রের প্রশাসনতন্ত্র ও মিডিয়ার মারফত বিরোধী সন্ত্রাসবাদীদের হত্যাকান্ড গুলো সবার নজরে আসে, প্রচার পায়। কিন্তু শক্তিশালী ভারতরাষ্ট্রের সৈন্যবাহিনীর কীর্তিকলাপ চাপা পড়ে যায়। এখানেই বসারত পীরের মত সাংবাদিকদের সার্থকতা।
  • I | 192.66.60.34 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১৭86779
  • একটু শয়তানের ওকালতি করি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কিন্তু সত্যি নেই। আমরা বাঁদিকের লোকেরা কাশ্মীরি মুসলিমদের ওপর রাষ্ট্রের অত্যাচার নিয়ে যত চুল ছিঁড়ি, তার আদ্ধেকও ছিঁড়ি না কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর নির্যাতন নিয়ে। কাশ্মীরে বিজেপির নাচনকোঁদন কি হাওয়ার ওপর দাঁড়িয়ে?আমরাই ওদের নাচের ময়দান ছেড়ে দিএয়েছি,আমরা বাঁয়ের লোকেরা।
  • সিকি | 132.177.128.177 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৪০86780
  • ক।
  • ranjan roy | 24.97.167.226 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৫৫86781
  • নির্মম সত্য।
  • b | 24.139.196.6 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০১:৫৬86783
  • বইটা পড়লাম। ।

    বশারত পীর আদ্যন্ত ফেন্স সিটার। মূল কাহিনী ধারার মাঝে ( শাক্যর রিভিউ দ্রষ্টব্য) মাঝেই বেরিয়ে এসেছে সাবপ্লটগুলি। এক সকালে ইস্কুলে গিয়ে দেখে পাঁচটি জায়গা শূন্য, হিন্দু পন্ডিতদের ছেলেরা সব পালিয়ে গেছে এক রাত্রের মধ্যে। কারণ তখন মিলিট্যান্টরা সবাইকে মারছে, শুধু পন্ডিত নয়, লিবেরল , বামপন্থী কাশ্মীরি মুসলিমদের-ও, ভারতের চর হিসেবে। টাকা খেয়ে বশারতের বাবাকে গাড়িশুদ্ধু উড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান করেছিলো আরেক সন্ত্রাসবাদী গ্রুপ, কারণ তিনি (কাশ্মীর সিভিল সার্ভিসের লোক), অন্যায় ভাবে এক্জনের টেন্ডার বাতিল করতে রাজি হন নি। রয়েছে আর্মির কাউন্টার টেররিজম অপারেশনের চরম অসভ্য অফিসার কিভাবে হঠাৎ করে দিলওয়ালা হরিয়ানভি হয়ে ওঠে, চা সিগ্রেট খায়, বশারতের সাথে তার কত গল্প দিল্লি ইউনিভার্সিটির জীবন নিয়ে, সেই সমস্ত কথাও। বসারত খুঁজে খুঁজে বার করেন পুরনো পন্ডিত মাস্টারমশাই আর বন্ধুদের, অনেকেই যারা দিল্লি আর জম্মুর ক্যাম্পে দিন কাটাচ্ছে, আর বশারতের দিল্লির বাড়িউলীর মত স্বপ্ন দেখে একদিন কাশ্মীরে ফিরবে।

    অসামান্য মানবিক দলিল।

    এই সব নিয়েই বইটা। তবু শাক্যকে ধন্যবাদ দেবো দুটি কারণে। এক, ওনার এই রিভিউ পড়েই বইটি কিনলাম ও পড়লাম। আর দ্বিতীয়, দুর্দান্ত ভালো বাঙলা লিখতে পারলে, জীবনানন্দের কোটেশন ইত্যাদি জানলে যে হাফ পড়েই বইয়ের রিভিউ লেখা যায়, হাতে কলমে (কিম্বা হাতে কি-বোর্ডে) তার প্রমাণ দেবার জন্যে।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০৯:৪৩86782
  • "গ্রামের স্থানীয় মসজিদে গিয়ে সৌদির ক্যাম্প থেকে ফেরা কট্টর ইসলামিস্ট ছোকরা যখন চোখ-মুখ পাকিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে ‘কবীরন কবীরা’ (শ্রেষ্ঠ কে?) তার উত্তরে কেউ ‘আল্লাহু আকবর’ চেঁচিয়ে ওঠে না, বরং একে অন্যের মুখ চাওয়া-চায়ী করে। চেঁচাবে কি করে? আরবি জানলে তো! ছেলেপুলের কাছে তুমুল প্যাঁক খেয়ে চোখমুখ লাল করে সেই ইসলামিস্ট বুঝিয়ে দেয় যা এই স্লোগানের উত্তরে আল্লাহু আকবর বলাটাই নিয়ম। তারপর আব্বার চেঁচিয়ে ওঠে ‘কবীরন কবীরা”। দুই একজন মিনমিন করে বলে ওঠে ‘আল্লাহু আকবর’। প্রোগ্রাম সুপারফ্লপ হবার পর এক বছর ধরে সেই ছোকরা আওয়াজ খেতে থাকে গ্রামের অন্য ছেলেপুলের কাছে। "

    বই থেকে টুকলাম। পৃষ্ঠা সংখ্যা ২১।
    "one day, a young man from our village who worked in Srinagar gave a speech in the mosque. He grabbed the microphone and shouted "Kabiraan Kabira"! The slogan meant. 'Who is the greatest?"
  • ranjan roy | 24.96.173.251 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০১:৩৩86793
  • দমু,
    তোমার দয়ার শরীর, আমাকেও দয়া করে পাঠিয়ে দাও।
  • a x | 83.136.18.161 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০১:৫৩86794
  • আমারেও পিলিজ।
  • সিকি | 132.177.128.177 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৩:১৭86798
  • ইবুকটা আমার কাছেও আছে। আমারও কিন্তু দয়ার শরীর।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৩:২৩86799
  • এটা পড়েও মনে হয়েছিল, ফেন্স সিটার না।
    'He also gives space to the Kashmiri Pandits (the title by which Kashmiri Hindus are addressed) who were forced to leave the valley when the fighting began. But he is not a writer who will fall back on the comfortable assertion that everyone wronged and everyone was wronged – the heart of this book is a demand for justice for the Kashmiri people, whose suffering at the hands of the Indian security forces has been beyond measure.'

    মানে, শাক্যর এই লেখার সাথে একই সুর মনে হয়েছিল 'বলেন না যে আর্মী এবং জংগী দুই পক্ষই সমান খারাপ। বসারাত এই ঐতিহাসিক সত্যের সঙ্গে অবগত যে নিরপেক্ষ অবস্থান আসলে দিল্লীতে বসে থাকা নিও-হিন্দুত্ববাদী শাইনিংদের চামচা রাজনীতির হাত-ই শক্ত করে। ভারতীয় মিডিয়া রাজনীতি ব্যাবসায়ী গোষ্ঠির সবচেয়ে পছন্দের অবস্থান এই নিরপেক্ষতা, যার আড়ালে স্ট্যাটাসকুয়োর বৈধতা প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়ে যায়। বসারাত স্পষ্টত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষ নিয়েছেন। বারবার দেখিয়ে দিয়েছেন কেন ঐতিহাসিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে আজাদ কাশ্মীরের দাবীতে যুবক যুবতীরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে।'

    যাহোক, এরকম বেশ বিপরীত ইন্টারপ্রিটেশনে বইটা পড়ার আগ্রহ বাড়লো।

    আর শাক্য, তোকে অন্য বেশ কিছু প্রশ্ন করার আছে, তোর বাড়ির লোকজন সুস্থ হলে করবো।
  • | 24.99.90.111 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৩৬86800
  • রঞ্জনদার বোধহয় মোবি দরকার, ঐটে শনিবারে পাঠাবনে।
    অক্ষকে পাঠায়ে দিলাম।
  • ranjan roy | 24.97.238.154 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৫১86801
  • সরি সিকি,
    আমি ভুলেই গেছলাম যে নয়ডা পুণের থেকে কাছেঃ)))!!
    আসলে তুমি চুপ ছিলে কাজেই আন্দাজ করতে পারিনি।
    আমার "বাঙালবাড়ির' বইটা তোমার জন্যে এক কপি নিয়ে শনিবার দিল্লি ফিরছি। কবে কোথায় দেখা করতে হবে বলে দিও।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৫২86802
  • রঞ্জনদা, কোলকাতায় ? একটু মেইল দেখবেন ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন