এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • গোড়ায় গলদ

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ২৪ জুলাই ২০১৬ | ৭০৪৭ বার পঠিত
  • চাপাতিতন্ত্রের ভেতর


    বোধকরি মুক্তচিন্তক মাত্রই একমত হবেন যে, প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নীচে মুক্তমনার সংগ্রামটি দীর্ঘতর ও অভিজিৎ রায়দের রক্তে পিচ্ছিল। বোধকরি, পথ বন্ধুর বলেই এ সংগ্রামে আমরা যারা নিজেদের মুক্তমনা বলে দাবি করি, যারা নিজেদের অভিজিৎ রায়ের লোক বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি, তারা চাপাতিতন্ত্রের ভেতর জীবন বাজি রেখেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেতনার সংগ্রামটিকে এগিয়ে নিতে মরিয়া।



    এ হচ্ছে সেই কোপার্নিকাস-বুনোর উত্তরসূরিতার পথ ধরে চলে আসা অসির সঙ্গে মসির লড়াই। ইতিহাস বলছে, যুগে যুগে মসির কাছে অসি পরাজিত হয়েছে। এ জন্য মূল্য দিতে হয়েছে অনেকটাই, জীবন রক্ত ঘাম সময়—প্রতিক্রিয়াশীলরা এমনই সব অমূল্য সম্পদ কেড়ে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রগতি, মুক্তচিন্তা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংগ্রামটিকে স্তব্ধ করা যায়নি। যেমন, গলা কেটেই রোধ করা যায়নি অভিজিতদের কণ্ঠস্বর, এক অভিজিতের মর্মান্তিক মৃত্যু বিশ্বজোড়া বাংলা ভাষাভাষীর মধ্যে আরো দ্রুত বিস্তৃত করেছে মুক্তমনার সংগ্রাম।…এক অভিজিতের শাররীক মৃত্যু লাখো কোটি চেতনার অভিজিতের জন্ম দিয়েছে।



    মদিনা সনদে দেশ চলবে?


    আমাদের সরকারের হর্তাকর্তারা তো বটেই, এমনকি সরকারি উজির-নাজির-চাটুকার-টকশো তালেবরবৃন্দ এতোদিন ব্লগার খুন হলে খুনীর বদলে নিহতর “অপরাধ” সনাক্তে বিস্তর সময় ব্যয় করেছেন। গণমাধ্যমে, এমনকি জাতীয় সংসদে হিতাপোদেশ দিয়েছেন, ধর্মকে আঘাত না করে লেখার। কিন্তু তখন জিহাদী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তারা টু-শব্দ করতে ভুলে গেছেন। এ-ও ভুলে গেছেন, আস্তিক হোক, আর নাস্তিক হোক, প্রতিটি হত্যাই ফৌজদারী অপরাধ, এসব অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই আমলে নিতে হবে, যথার্থই কাজ করতে হবে হত্যাকারী বিচারে।



    কিন্তু ভোটের অংক কষে হেফাজত ইসলামকে নিজ হেফাজতে নিতে মশগুল সরকার বাহাদুর তখন মদিনা সনদে দেশ পরিচালনার পথে হেঁটেছিলেন। তাই শাহবাগ গণজাগরণের কাল থেকে গত চার বছরে কোনো ব্লগার-লেখক হত্যারই এখনো সুবিচার হয়নি।



    তাই তো অভিজিৎ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও তার স্ত্রী, সহব্লগার বন্যা আহমেদকে আক্ষেপ করে লিখতে হয়, এদেশের হত্যার বিচার চাইতে গেলে আকুতি জানাতে হয়।



    অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় এই লেখককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, মুক্তমনা এখন বিপন্ন। অভিজিৎ হত্যার বিচারকে সবার আগে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে খোদ প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে তাকে আশ্বাস্ত করলেও তিনি তার কথা রাখেননি।



    আর জঙ্গি হামলায় খুন হওয়া অভিজিতের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম তো আক্ষেপ করে বলেই ফেলেন সেই অকপট সত্য, তিনি 


    আদৌ পুত্র হত্যার বিচার চান না, কারণ এদেশে মুক্তমনা হত্যার বিচার চেয়ে লাভ নেই।



    তোমারে বধিবে যে


    জিহাদীদের সিরিজ খুনের চাপাতির কোপ “নাস্তিক ব্লগার” এর পরিধি ছাড়িয়ে শিগগিরই বিদেশী, ভিন্ন ধর্মালম্বী, অধ্যাপক, হোমিও চিকিৎসক, সমকামী, এমনকি মসজিদের ইমাম, শিয়া ও পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে শেষমেষ সরকার কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। ঢাকাসহ দেশের বেশ কিছু স্থানে অভিযানে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইন-শৃংখলা বাহিনী। অভিযানে ধরা পড়ে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী-জঙ্গি। অবশ্য আমরা মুক্তমনারা আগেই সরকারকে সতর্ক করে বলেছিলাম, ব্লগার খুন হচ্ছে জিহাদের সূচনা মাত্র; খেলাফত, তথা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার খোয়াবে মশগুল মুজাহিদরা শিগগিরই হত্যার পরিধি বিস্তৃত করবে। রাষ্ট্র দখল করাই যেহেতু তাদের লক্ষ্য, তাই তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর আঘাত হানবে শিগগিরই। আর সরকারি উদাসিনতায়, বলা ভালো, জিহাদীদের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের হত্যাযজ্ঞ দেশজুড়ে ছড়াতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। …



    ঠিক এমনিভাবেই বিএনপি-জামাত সরকারের প্রত্যক্ষ আশ্রয়ে সে সময় গড়ে ওঠা জঙ্গি নেতা বাংলাভাই সম্পর্কে জানতে চাইলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলা ভাই-ইংশিল ভাই কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। ১৯৭১-এর ঘাতক, বিএনপি সরকারের মন্ত্রী, জামাতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন আরো এক কাঠি এগিয়ে, সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলা ভাই বলে নাকি কেউ নেই। সবই নাকি মিডিয়ার সৃষ্টি!  



    বিশ্বাসের ভাইরাস


    গোকূলে বেড়ে ওঠা জিহাদীরা এরই মধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে গুলশানে ও শোলাকিয়ায় দুটি বড় ধরণের হামলা চালিয়ে পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। দেশ-বিদেশের চাপে সরকারও বাধ্য হয়েছেন, আগের নমনীয় অবস্থান থেকে সরে এসে “জঙ্গি বিরোধী জিরো টলারেন্স” নীতি ঘোষণা করার।



    এখানে লক্ষ্যনীয়, হলি আর্টিজানে একসঙ্গে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে জঙ্গিরা খুন না করে যদি কোনো ব্লগার সমাবেশে একই হত্যাযজ্ঞ চালাতো, তাহলে কী দেশে-বিদেশে একই প্রতিক্রিয়া হতো? সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এখন যেভাবে জঙ্গি বিরোধীতায় সোচ্চার, তখন কী তারা একইভাবে সোচ্চার হতেন?



    সবচেয়ে বিস্ময়কর হচ্ছে, জঙ্গি হামলার ঘটনায় যাদের বিচার করার কথা, তারাও এখন জঙ্গিদের বিচার চাইছে। আর ব্লগার খুনের জন্য প্রকাশ্যে ফতোয়া দেওয়ায় যে হেজাজতি শফি হুজুরকে বিচারের মুখোমুখি করা খুবই জরুরি, তিনিও দেখি সেদিন বিবৃতি দিয়ে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা অ-ইসলামিক বলে নতুন ফতোয়া দিয়েছেন!


    আরো লক্ষ্যনীয়, গুলশান থেকে শোলাকীয়ার হামলাকারীরা সকলেই ধনী ঘরের ছেলে, ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া, উচ্চ শিক্ষিত—এই তথ্য বেরিয়ে আসার পর উচ্চবিত্ত শ্রেণী নড়েচড়ে বসেছেন। এতোদিন “নাস্তিক ব্লগার খুন” মাদ্রাসার বিপথগামীতা ও দূরাগত বিষয় বলে তাদের কাছে মনে হলেও রাষ্ট্রের মূখ্য পরিচালক এই শ্রেণীটি এখন জঙ্গি সমস্যাকে স্বার্থগত কারণে নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা বলে ভাবতে শুরু করেছেন। নিজ নিজ সন্তানের পথোভ্রষ্টতা নিয়ে তারাও শংকিত।  



    এরই ধারাবাহিতায় এখন কেঁচো খুড়তে সাপ ও পরে অ্যানাকোন্ডা বেরিয়ে আসছে।



    জিহাদ আমদানী হচ্ছে


    সম্প্রতি ড়্যাব যে ২৬২ জনের নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাদের অনেকেই জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই তালিকার কয়েকজন নিহত জঙ্গির নাম তো আছেই, আছেন বৈমানিক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, শিক্ষক থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীরাও।


    খবরে প্রকাশ, আইন-শৃংখলা বাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, তালিকায় রয়েছে একটি ঢাকার একটি চিকিৎসক পরিবারের নাম, যারা কিছুদিন আগে জিহাদে যোগ দিতে স্বপরিবারে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।



    যশোরের একজন কলেজ শিক্ষিকাও একাইভাবে পরিবারসহ চলে গেছেন সিরিয়ায়।



    চট্টগ্রামের আরেক প্রকৌশলী জিহাদ করতে জাহাজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় গেছেন বলে তার পরিবারকে জানিয়েছেন।



    খবরে আরো প্রকাশ, জিহাদীদের অনেকেই মালয়শিয়া ফেরৎ ও বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। মালয়শিয়ায় দীর্ঘদিন আইএস ঘাঁটি গেড়ে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছে। আর নর্থসাউথে কয়েক বছর ধরে ছাত্র-শিক্ষকদের সহায়তায় জঙ্গিগ্রুপ হিজবুত তাহরীর খুলে বসেছে রিক্রুট সেন্টার।   



    প্রশ্ন হচ্ছে, গুলশান হামলায় না হয় “কাফের নাসারা” কতল করা হলো, কিন্তু শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে কেন জঙ্গিরা হামলা করতে গেল? কেন মুসলিম হয়ে মুসলিম ভাইদের ওপর আঘাত? কেন এই ফ্রেন্ডলি ফায়ার? এটি আর কিছুই নয়, জঙ্গিরা সহি ইসলাম কায়েম করতে চায়। আর ঈদের নামাজ সহি ইসলাম নয়। কারণ, বছর দুয়েক আগে আইএস ফতোয়া দিয়ে সিরিয়ায় ঈদের নামাজ নিষিদ্ধ করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, নবীজী ঈদের নামাজ পড়তেন না, তাই ঈদের নামাজ পড়া হারাম!


    সহি ইসলাম চেয়েছে বলেই গুলশানে জঙ্গিরা হিজাবধারী বেশকয়েকজন দেশি-বিদেশি জিম্মীকে ছেড়ে দেয়েছ, যারা ঠিকঠাক মতো আয়াত বলতে পেরেছেন, সে সব বাঙালিদের মুক্তিও মিলিছে। হলি আর্টিজানের জিম্মী দশা থেকে মুক্ত কর্মচারিরাও এরকম ভাষ্য দিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ।



    আর গুলশান হামলার পর পরই আইএস, তথা সাইট ইন্টেলিজেন্ট জিহাদী পাঁচ জঙ্গির অস্ত্রসহ ছবি ও নামধাম প্রকাশ করেছে। দুদিন পর আরো তিন বাঙালি যুবকের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে আইএস, যেখানে গুলশান হামলার প্রশংসা করে বাংলা ও ইংরেজিতে যুবকেরা জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়তে আহ্বান জানাচ্ছে।


    আগেও ব্লগারসহ ভিন্নমতের জনদের খুন করার পর আইএস এসব হত্যার দায় স্বীকার করে টুইট করেছে। সরকার পক্ষ বলেছে, দেশে নাকি কোনো আইএস নেই, দেশিয় জঙ্গিরাই আইএস-এর নামে এসব টুইট করছে।



    আর এবার গুলশান অপরেশনের পর  হাতেনাতে প্রমান হলো, আইএস-ই পরিচালিত করছে এসব হত্যাযজ্ঞ, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের পর এখন জঙ্গিরা বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে, তাদের অস্ত্র-শস্ত্র, টাকা-পয়সা, আশ্রয়, প্রশিক্ষণ শিবির তো রয়েছেই, জঙ্গিরা এখন সুইসাইডাল মিশনে বেপরোয়া।…



    কাঁটায় কাঁটা নাশ?


    খবরে প্রকাশ, দেশের ২৩ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয় না ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে। আর ৪৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে নেই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এই যখন মূলধারার শিক্ষা প্রাথমিকের প্রকৃত চিত্র, তখন মাদ্রাসা শিক্ষার বেহাল দশা সহজেই অনুমেয়।



    বলা ভালো, সরকারের কথিত জঙ্গি বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি শুরু থেকে কার্যকর হলে সহজেই হয়তো এতো প্রাণনাশ এড়ানো যেতো। জঙ্গিরাও ভেতর থেকে দুর্বল হতো অনেকাংশে। কিন্তু দৃশ্যতই তা হয়নি, বিষবৃক্ষটিকে অবাধে বেড়ে উঠতে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।



    কিন্তু ইতিহাস বলছে, শুধু অস্ত্রে জিহাদী সন্ত্রাস বন্ধ করা যায় না। বিশেষ করে জিহাদ যখন সুইসাইডাল হয়, তখন তো নয়ই। আফসোস, মগজ ধোলাই হওয়া জিহাদীরা যদি ভাবতে পারতেন, আইএস কাদের সৃষ্ট, এর অস্ত্র-অর্থের উৎস, নিরীহ মানুষ বধে ক্ষতি কার, লাভই বা কার, জিহাদীরা কাদের ক্রিড়ানক, তাহলে হয়তো পুরো কর্মযজ্ঞ কঠিন হতো, কিন্তু তা হওয়ার নয়, জঙ্গিদের ধর্মের নামে ভাবনার জগৎটিকে একপেশে করে তৈরি করা হয়েছে একেকটি মুজাহিদ কিলিং মেশিন। তাই শুধু বল প্রয়োগে ফ্যানাটিক ফারাবি থেকে শুরু করে নিবরাসদের দমন করা যাবে না। আর দু-একটি মাদ্রাসা বা পিস টিভি বন্ধই যথেষ্ট নয়।  



    আসলে প্রয়োজন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উৎসমুখ বন্ধ করা। জঙ্গিবাদের ছানাপোনা উর্বরভূমি মাদ্রাসা শিক্ষার আমূল সংস্কার চাই। দরকার ইংরেজি শিক্ষারও সংস্কার। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটিকেই অভিন্ন অসাম্প্রদায়িক-বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষানীতির ভেতরে পরিচালনা জরুরি। কাজটি কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। দেশপ্রেমিক সরকারের সদিচ্ছা, জনসচেতনা তো বটেই, পারিবারিক শিক্ষা-দীক্ষাও জরুরি।



    তবে রাস্তায় নামি চলো


    আমাদের কলেজে পড়ুয়া গিটারিস্ট ছেলে অদ্বিত অনন্ত সেদিন গুলশান হামলার পর একটি নতুন গানের খসড়া করেছে। তার শেষ কথাগুলো অনেকটা এরকমঃ



    “…যতো আলপনা সব আমরা আঁকবো


    যতো ভেজা রক্ত ধুয়ে ফেলি না হয়


    এখানে থাকবে না কোনো মগজ-ধোলাই


    পিছলে পড়বে না কোনো মেধাবী সন্তান


    চাপাতি থাকবে শুধু কসাইয়ের হাতে


    একজন নারী নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরবে রাত ১২টায়


    সবাই হয়ে উঠবো তরতাজা


    দুশ্চিন্তগ্রস্থ মানসিক রোগি নয়


    এখানে আমরা সবাই রাজা।



    এখনো নামবে না রাস্তায়?



    তবে পুরো পৃথিবী রক্তাক্ত গুলশান হতে


    আর বেশি দূর নেই


    এইতো কাছেই দেখা যাচ্ছে-


    সেদিন মৃত্যুর সাক্ষী শুধু আমি থাকবো।…”



    অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধার আহ্বান, মুক্তমনাদের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। অধ্যাপক অজয় রায় যেমন বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠীর বিপক্ষে প্রগতিশীল-মুক্তচিন্তার মানুষদের সংগঠিত হয়ে এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার। বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, ছাত্র, শিক্ষকসহ সব শ্রেণীপেশার মানুষের একত্রিত হওয়া চাই।



    বটম লাইনে- কলম চলবে।…


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২৪ জুলাই ২০১৬ | ৭০৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১১:৫৪81696
  • পাই-এর সাথে একমত - ধর্মটাই বাল বললে কাজের কাজ কিছু হয় না, শুধু বহু মানুষ-কে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়।

    আবার ধর্মটাই বাল - এমনটা কেউ ভাবতেই পারেন এবং সেই মত প্রচারের স্বাধীনতাও তার থাকা উচিত।

    ঘাঁটা ব্যাপার
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:০০81745
  • তবে NRW জার্মানীতে, আমার এলাকায় নয়। যাইহোক।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:০২81746
  • "ইথারের অস্তিত্বের মতন ঈশ্বরের অস্তিত্বের যে ভুল (প্রাকৃতিক সৃষ্টির পেছনে সচেতন স্রষ্টার সম্ভাব্য অস্তিত্বের) কল্পনা মানুষ করেছিল তার বহু প্রমাণ নানান বৈজ্ঞানিক সত্য আবিষ্কৃত হবার মধ্যে দিয়ে মানুষ ক্রমাগত পেয়েছে এবং এখনও পেয়ে চলেছে।"

    এই তো মুশকিল । মানুষ পেয়ে চলেছে । সেটা মানুষের ব্যক্তিগত ইনফারেন্স । কিন্তু আলাদা করে কোথাও বিজ্ঞান প্রমান করেছে কী যে ঈশ্বর নেই ? আমি দাবি করছিনা যে ঈশ্বর আছে :)

    শুধু এইটুকু বলছি যে ঈশ্বর আছে কী নেই এটা মরালিটি আর রাজনীতির এরিয়া । বিজ্ঞানের নয় আদপেই । বিজ্ঞানের কী খেয়েদেয়ে কাজ নেই নাকি যে ঈশ্বর নিয়ে মাথা ঘামাতে যাবে । কাল তাহলে বিজ্ঞান কে ভূত নিয়ে ভাবতে বসতে হয় !
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:০৫81747
  • কুমপটাশ নামের আড়ালে কে জানিনা । তবে চেনা কেও হলে , কোনোদিন গুরুভাটে মুখোমুখি হলে একটু মনে করাবেন :) বিশদে বলতে পারবো । খোলা পাতায় এরচে বেশি বলা সম্ভব না । সে আমাকে ঢপবাজ বললেও উত্তেজিত হয়ে ডিসক্লোজ করা সম্ভব না। এইটুকুই :)
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:০৬81748
  • নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই সবাই দুনিয়া মাপে। থিয়োরেটিক্যাল কি প্র্যাকটিক্যাল। অন্যের অভিজ্ঞতা দিয়ে দুনিয়া মাপাটা জানি না এখনো। যাইহোক, ঐ কর্পোরেট এথিকের ব্যাপারটা যেমন ঠিক, তেমনি এসব জায়গাতেও ওরকম মন্তব্যের ব্যাপারটা। এদের পই পই করে ইস্কুলে পড়িয়ে পড়িয়ে গুলিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয়েছে যে। নিজের অভিজ্ঞতা আছে বলেইতো ঢপটা ধরতে পারলাম, নইলে দিব্যি হজম করে নিতাম।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:০৭81749
  • সে নামে লিখতাম, এখন নাম পাল্টেছি কিন্তু আইপি বদলায় নি।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:০৮81750
  • না না। আমি জানতেও চাই না সে লোকটা কে বা কী করে। কোনো দরকার নেই।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:১০81751
  • আইপি দেখিনা । সিকিকেই বুঝতে পারিনা নাম পাল্টে লিখলে । জেক তাকে সিকি বলে চেপে ধরি :)
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:১২81703
  • পাই কে, আপনাদের রূপরেখা বলুন না একবার। আমারটা তো আপনি প্রাঞ্জল করে লিখেই দিয়েছেন 06:09:59 এর পোস্টে। এবার আপনার ভার্সন টাও সামনে আসুক।
  • π | 24.139.209.3 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:১৬81704
  • যাঃ, পিছলে গেলেন ?

    আমি আপনারটা লিখলে, আপনিও আমাদেরটা লিখে দিয়েছেন। আতলামি মারিয়ে হাততালি কুড়োনো, মিডিয়ায় মুখ দেখানো।

    এইসব কায়দা না করে, নিজেই নিজের রূপরেখাটা দিন। তারপরে অন্যদের কাছে চাইবেন।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:২১81752
  • না , নিজের অভিজ্ঞতার বাইরেও অনেক কিছু থাকে । সেই জানলা খুলে রাখাই বুধ্ধিমানের লক্ষণ । এইযে রঞ্জনদা টই খুলে যা লিখছেন মিশনের সন্যাসী দের নিয়ে ওটা আমার রামকৃষ্ণ মিশন সম্বন্ধে অভিজ্ঞতার বিপরীত । আমি কোনোদিন কোনো সন্যাসীকে সেক্সুয়াল একট এ জড়াতে দেখিনি । অর্ডার ছেড়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন এমন আছে । সম্পর্কে জড়িয়েছেন -বহিস্কৃত হয়েছেন এমন আছে । কিন্তু মোনাস্ট্রির মধ্যে সেক্স ?? জাস্ট ভাবা যায়না । আমি অন্তত দেখিনি । রাতের পর রাত মোনাস্ট্রির ভেতর থেকেও । পাশাপাশি ঘুমিয়ে । শুধু স্কুলে পড়ে না ।
    এখুনি যদি ওই লেখার লিংক ফেসবুকে দিই অসংখ্য লোক যাদের আমার মতো অভিজ্ঞতা তারা জাস্ট ভাবতেই পারবেনা এমন কিছু হতে পারে । রে রে করে ছুটে আসবে :):) এটা যে কত বড়ো স্যাক্রিলেজ মিশনের লোকদের চোখে আমরা জানি । মিশন স্কুলিং এর লোকেরা বা ভক্তরা একসেপ্টই করতে পারেনা এরকম কোনো ট্রুথ । তাতে কী ? মানুষ কমপ্লেক্স এনিম্যাল । তার সু -কু দুটোরই কোনো বাঁধা ব্যাকরণ হয়না । কাজেই আমি অন্তত ওই লেখাকে ঢপ বলতে যাবোনা ।
  • 0 | 213.163.241.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:২২81753
  • ঈশ্বরে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস নিয়ে বিজ্ঞান ভাবিত না হতেই পারে, কিন্তু তার অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞান ভেবেছে।

    যেমন এভোল্যুশন/অরিজিন অফ স্পিসিসের একটা সম্ভাব্য কারণ হিসেবে প্রচলিত ক্রিয়েশন (ঈশ্বরের অস্তিত্বের ওপর নির্ভর)-থিওরি বাতিল হয়ে যায় ডারউইনের তত্ব আবিষ্কারের পর। ডারউইন নিজে কিন্তু ইশ্বরে 'বিশ্বাসী' ছিলেন, কিন্তু ওনার আবিষ্কার প্রমাণ করেছিল যে জীবপ্রজাতি-সৃষ্টির পেছনে স্রষ্টার কল্পনা ভুল ছিল।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০১:৪১81754
  • এক্স্যাক্টলি ! বিজ্ঞান যেটা করেছে তা হলো জাগতিক ঘটনা গুলোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া যে এটা কোনো সুপারন্যাচারাল কেও এসে ঘটায় নি । কিন্তু তাতে ঈশ্বর নেই হয়ে যাচ্ছেনা । বরং খেয়াল করে দেখুন এটাতে , আসলে , ঈশ্বরের অস্তিত্ব আরও বেশি করে স্ট্রাকচারাল সুপার ইউসারের জায়গায় যাচ্ছে , হু মাইট হ্যাভ ইনিশিয়ালাইস্ড দ্য হোল সিস্টেম এন্ড আফটার দ্যাট থিংস ইভল্ভড ।

    তাতে কী প্রমান হচ্ছে ঈশ্বর বলে "কেও " আছে ? একশোবার হচ্ছেনা । কিন্তু যেহেতু ঈশ্বর এর লজিক টাই ভয়েরিস্ট + ইনক্লুসিভ মডেল তাই যতই স্টেপ এগোনো যাক প্রমান হচ্ছে "কল্পনা ভুল ছিল " অর্থাৎ মানুষের হিসেবের ভুল , কিন্তু ঈশ্বর নেই প্রমান হচ্ছেনা ।

    কাজেই কোনো লোক বসে বসে ক্রমাগত একটা থিওরি অফ এভরিথিং ওয়ালা ঈশ্বর খুঁজে যেতেই পারে :) সেই পণ্ডশ্রমে আমার রুচি নেই । কারণ কোনো ফায়দা নেই । কিন্তু তাকে বিজ্ঞান বোঝালে সে ঈশ্বর খোঁজা ছেড়ে দেবে এমন মনে হয়না ।

    বরং আমার যেটা মনে হয় আজকাল : কেস কনভার্জেন্স মানুষের মাথার চিন্তা করার বেসিক নেচার । সেখান থেকেই ঈশ্বর এসেছে । কাজেই এটা সবচে ন্যাচারাল এনটিটি । একে 'প্রমান " বা "অপ্রমাণ " করতে যাওয়াই সময় নষ্ট । বরং জাগতিক ঘটনার বৈজ্ঞানিক কারণ মানুষকে বোঝান । সে আস্তে আস্তে বিজ্ঞানের চিন্তাপদ্ধতি আয়ত্ব করুক । তাহলে পরে বিজ্ঞান পাল্টালে সেও আপডেট হয়ে যাবে । উদোর মতো প্রশ্ন করবেনা যে বিজ্ঞান ও তো আগে এই বলেছিলো এখন ভুল প্রমাণিত হলো ক্যানো । চিন্তাপদ্ধতি তে এটাক দরকার । ঈশ্বরে এটাক করতে গেলে সম্পূর্ণ অকারণ একটা ছায়া প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরী হয় ।
  • 0 | 213.163.241.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০২:০৮81755
  • বিজ্ঞানের চিন্তাপদ্ধতি শিখে মানুষ জাগতিক ঘটনার কারণগুলো নিজে জানবে, প্রচলিত বিশ্বাসের বেড়া ভাঙ্গবে, সেই সম্ভাবনাটাই তো ঈশ্বরবিশ্বাসী আর ধর্মজীবীদের প্রধান ভয়। সে'জন্যেই এর এতো বিরোধিতা!
    সে'জন্যেই ডারউইনকে জীববিজ্ঞানের সিলেবাসের বাইরে রাখার এতো চেষ্টা!

    বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলো নাকি আগে থাকতেই বেদ/বাইবেল/কোরানের বাণীতে দেওয়া আছে - এইটে যেন-তেন ভাবে মানুষের মনে ঢুকিয়ে দেবার এতো মরিয়া প্রচার!

    সম্মুখ সমর এড়িয়ে চলতে চাইলেই কি এড়ানো সম্ভব? :-)
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০২:২২81705
  • এখানে কাদা ছোড়াছুড়ি বাড়িয়ে লাভ নেই, টোয়িকে বিপথে পাঠাতে চাইনা। আর "দুনিয়া থেকে সব মুসলিমকে সাফা করে দিতে হবে " এটা আপনার নিজের ইন্টারপ্রিটেশন অথবা নিজের করে নেওয়া ভার্সন, সেটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। ধর্মের বিরুদ্ধে বিজ্ঞান এর লড়াই একটা চলমান প্রসেস, বহুকাল ধরে চলছে, এবং এটা চলতেই থাকবে, কেও সরাসরি লড়াই করবে কোনো পক্ষে, কেও নিজেকে সরিয়ে নেবে, কেও পালাবে, আর কেও দু পক্ষের হয়েই খেলবে, যার যেটা ভালো লাগে।

    তবে আশা করি যখন এতো ডায়লগ এর কথা বলা হয়, সেটা সকলের জন্য প্রযোজ্য। তাহলে যখন ভারতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তখন ব্লাঙ্কেট "চাড্ডি" স্টেটমেন্ট ও ব্যবহার করা হবে না। দরকার হলে নমুনা তুলে দেওয়া যাবে।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০২:২৭81756
  • সেটা ঘটনা ।

    কিন্তু ধরুন , যারা চাপাতি চালাচ্ছেনা তারা কি এই কারণে চালাচ্ছেনা যে ডারউইন বলছেন মানুষের পূর্বপুরুষ খুনে বাঁদর ?

    বহু লোক এমনিতেই নির্বিবাদী । বাকি প্রচুর লোক ডারউইন জেনেও বিবাদী শুধুমাত্র রিলিজিয়াস আইডেন্টিটি পলিটিক্স এর জায়গা থেকে ।

    এই "জানানোর " মডেলের মুশকিল হলো যে এটা একচুয়ালি এন্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে । প্রথমে কাজ করলেও লং টার্মে ইমিউনিটি গ্রো করায় । একটা লোকের ধরা যাক এমনিতেই রিলিজিয়াস আইডেন্টিটি পলিটিক্স আছে । তাকে জানানো হলো ডারউইন এর কথা । ধরা যাক সে বিশ্বাস করলো । এই বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে যেটা ঘটলো তার ঈশ্বর ধারণাও এক লেভেল বেশি ইমিউনিটি পেলো কারণ তার অলরেডি রিলিজিয়াস আইডেন্টিটি পলিটিক্স আছে ।

    "জানিয়ে " লাভ তখনি হয় যখন ওই পলিটিক্সটা নেই । ওটা থাকলে যত জানাবেন তত ইমিউনিটি । তাই ডারউইন পড়ানোর জন্যে চাপ দেওয়া দরকার । কিন্তু রিলিজিয়াস আইডেন্টিটি পলিটিক্স কে অন্য পলিটিক্স দিয়ে এটাক করা অনেক বেশি দরকার ।
  • π | 24.139.209.3 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০২:২৮81706
  • ভারতের যাবতীয় হিন্দু লোকজনকে আমি কোনোদিন চাড্ডি বলিনা। দরকার হলে তারও নমুনা তুলে দেওয়া যাবে।

    তবে, প্রশ্নটা ডজ করে গেলেন, এটাও মাথায় থাকবে। দরকার হলে এ নমুনাও তুলে দেওয়া যাবে।
  • dc | 132.174.152.217 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০২:৩৩81707
  • অমিত, আমি ডায়ালগ বলতে শুধু মিডিয়াতে আলোচনা মিন করিনি, সব জায়গায় সবার সাথে আলোচনা বলতে চেয়েছি। সমাজে সবার সাথে, সর্বস্তরে আলোচনা চালানো উচিত। আমি আমার পাশের ফ্ল্যাটে যারা থাকেন তাদের সাথে আলোচনা করি, অফিসে সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করি, আমার বাড়িতে যারা রান্না আর গৃহশ্রম করতে আসেন তাদের সাথে কথা বলি, হোয়াটস্যাপে যে মেসেজ পাই সেগুলোর উত্তর দি - সবসময়েই চেষ্টা করি র‌্যাশানালি ডিসকাস করতে, প্রোপাগান্ডাগুলোকে চিহ্নিত করতে, অপরপক্ষকে বোঝাতে। এটাই ডায়ালগ। অরন্যদা যেটা বলেছেন, খোপে না ভরে ফেলতে - আপনি যদি আগেই ধরে নেন অন্যজন "ইসলামোফোব" বা "বর্ণহিন্দু" বা "হেড টু টো" ইত্যাদি তাহলে আর আপনি এই আলোচনায় যেতে পারবেন না।

    আর বাংলাদেশ সম্বন্ধে আসল কথাটাও এই লেখাতেই আছে - "এ-ও ভুলে গেছেন, আস্তিক হোক, আর নাস্তিক হোক, প্রতিটি হত্যাই ফৌজদারী অপরাধ, এসব অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই আমলে নিতে হবে, যথার্থই কাজ করতে হবে হত্যাকারী বিচারে"

    এটা ১০০% খাঁটি কথা। অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখতে হবে, খুনকে খুন হিসেবেই দেখতে হবে, রাষ্ট্র যদি তার মধ্যে অন্য কিছু আনতে চায় তাহলেই ভুল করবে। এই নিয়ে গুরুতে আগেও লেখালেখি হয়েছে, বিশেষ করে ফারাবির ভয়েস নিয়ে যখন আলোচনা হয়েছিল। সেই সময়েও বলেছিলাম যে ব্লগার হত্যাও খুন, সেই খুনের বিচার হতে হবে, আর পাঁচটা খুনের বিচার যেমন হয়। খগড়াগড়ের বিস্ফোরনও বিশ্ফোরন, তার বিচার হতে হবে, আর পাঁচটা বিস্ফোরনের যেমন বিচার হয়। সেটা না করে যদি খাগড়াগড় নিয়ে কবিতা লেখা হয়, যদি বলা হয় আইসিস সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে, ফারাবি কেন খুন করতে উস্কাচ্ছে বুঝতে হলে আগে ফারাবিকে চিনতে হবে, তাহলে আরো ঘেঁটে যাবে।
  • 0 | 213.163.241.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০২:৪১81757
  • অনেকটাই একমত :-) ঠিক এই বিষয়টা নিয়েই আরো অনেক আলোচনা খুব দরকার। কিভাবে এগোনো যায়, কিভাবে বোঝালে মানুষের মনে এতোদিন ধরে লালিত বিশ্বাসের দরজায় ঠিক মতো আঘাত করা যাবে - এগুলো নিয়ে অনেক ভাবনা ভীষণ জরুরী।
  • π | 24.139.209.3 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০২:৪২81708
  • ঠিক তেমনিই মডারেট মুসলিম কি হিন্দু বলে কিছু হয়না, ধর্ম মানলেই বিপত্তি, ধার্মিক( যেমন, মুসলিম) হলেই দায়ী, ধর্ম( যেমন, ইসলাম) যত নষ্টের মূল, মুসলিম মানে জঙ্গী, সন্ত্রাসী, এই লাইনেও কথা হয়ান।

    যে অংশকে মৌলবাদীরা নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে, তাঁরা অনেকেই ধার্মিক, ধর্মভীরু মানুষ। ধর্ম জিনিসটাই ফালতু বালছাল বললে এই অংশকে মৌলবাদীদের আওতা থেকে যতনা বের করা যায়, তার থেকে বেশি খোঁচা মেরে মৌলবাদের দিকে প্র্যাক্টিকালি ঠেলে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে ভয় হয়।
  • dc | 181.49.209.161 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০২:৫৩81758
  • 0 আপনার সাথে অনেকখানি একমত হয়েও বলতে পারি, "ঈশ্বর নেই" এটা একটা হাইপোথিসিস, ঠিক যেমন "ঈশ্বর আছে" এটাও একটা হাইপোথিসিস। র‌্যশনালি আমরা অবশ্যই আর্গু করতে পারি যে "ঈশ্বর" নামে একটা কনসেপ্ট মানুষই সৃষ্টি করেছিল ন্যাচারাল ফেনোমেনা ব্যাখ্যা করার জন্য, তারপর আস্তে আস্তে সেই কনসেপ্ট ডালপালা মেলে আজকের "ইশ্বর" এ এসে পৌঁছেছে। কিন্তু "ইশ্বর নেই" এটা এখনো সায়েন্টিফিক মেথড দিয়ে প্রমান করা যায়নি। বাকিটা নিয়ে অনেকটা একমত।
  • 0 | 213.163.241.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০২:৫৩81759
  • শাক্যজিতের ডায়ালগ-থিওরি মনে পড়ছে :-) সেই সময় সেটাকে সাপোর্ট ক'রে প্রচুর নেগেটিভ রিয়্যাকশন পেয়েছিলাম :-)
    তবুও মনে হয়, একদিকে বিজ্ঞানের প্রচার অন্যদিকে ডায়ালগ উইথ ফান্ডামেন্টালিস্ট্‌স্‌ - দুটোকে একসাথে নিয়ে চলাটাই সঠিক রাস্তা।
  • 0 | 213.163.241.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৩:০৭81760
  • dc, কনশাস ক্রিয়েটরের অপ্রয়োজনীয়তা/অনস্তিত্ব বহুবার বহুভাবে নানান আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে ক্রমাগত প্রমাণিত হয়ে চলেছে। পার্টিক্‌ল্‌-ফিজিক্স্‌ থেকে নিউরোসায়েন্স - সবেতেই।
  • dc | 181.49.209.161 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৩:১৩81761
  • তার মানে অকাম দাদুর ক্ষুর চালানো হচ্ছে, তাই না? কিন্তু "ঈশ্বর নেই" এখনো হাইপোথিসিসই আছে।
  • 0 | 213.163.241.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৩৬81762
  • মনে হয়, না :-) যতো বেশী অ্যাসাম্পশন, যতো বেশী মতামত আসবে (রিপিটিশন হো'ক, ক্ষতি নেই) ততোই আলোচনার জায়গা বেরুবে। মিনিময়ের নতুন-নতুন গ্রাউন্ড তৈরী হবে। কারণ, বিষয়টা হিউম্যানিটিজ/বিহেভিয়রাল সায়েন্স/পলিটিক্স ইত্যাদি নিয়ে। যদিও এক্কেবারে গোড়ায় মানুষের মনের আদ্যিকালের প্রশ্নের উত্তরের বৈজ্ঞানিক খোঁজ রয়েছে, তার বহু উত্তরও মিলেছে, কিন্তু মানুষকে সেগুলো শেখাতে পারা-না'পারা, প্রচলিত ধর্ম/বিশ্বাসের সাথে সেগুলোর সরাসরি সংঘাত, সে'সবের প্রতিক্রিয়া (সহিংস-অহিংস, দু'টোই), সংস্লিষ্ট রাজনীতি, এইগুলো কোনটাই ঠিক বিজ্ঞানের সমস্যা-সমাধানের মতন পদ্ধতি মেনে হয় না।

    জানিনা কবে মানুষের মন থেকে ঈশ্বরবিশ্বাসের ভুল কল্পনা মুছে যাবে। এখন হয়তো ইউটোপিয়ান মনে হচ্ছে, কিন্তু একদিন সেটা যাতে সম্ভব হয়, সেই চেষ্টাটুকু চালিয়ে যেতেই হবে।
  • dc | 132.174.107.251 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৪৭81763
  • হ্যাঁ বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে, একমত। অন্তত খোলা মনে মত বিনিময়ের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে।

    "মানুষের মন থেকে ঈশ্বরবিশ্বাসের ভুল কল্পনা " - এটা নিয়ে অতোটা শিওর নই। মানে ভগবান না করুন, একদিন যদি দেখা যায় যে এই ইউনিভার্সটার ইনিশিয়াল কন্ডিশান জেনেবুঝেই ডিজাইন করা হয়েছে, তাহলে? :p
  • Rit | 213.110.242.5 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৪:০৭81764
  • এই ধর্ম-অধর্মের দল বিজ্ঞানের সেই থিওরী গুলোকেই অ্যাটাক করে যেগুলো এখনও পুরো কংক্রীট নয়। তারপর ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের তুলনামূলক আলোচনা করে। এই প্ররোচনায় পা দেবেন না। ধর্ম ধর্মের জায়গায় থাকুক, তার সাথে ডায়্লগ চলুক। সোশ্যাল-হিস্টোরিক্যাল-ইকোনমিক্যাল ইত্যাদি প্রভৃতি চলুক। তবে ঐ জিরাফ বাবাজীকে রেহাই দিন।
  • Rit | 213.110.242.5 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৪:০৮81765
  • ঐ আবাপ টাইপ বিজ্ঞানমনস্কতার আগে একটু ইতিহাস-ভুগোল মনস্কতা আসুক। তাহলেই আপাতত অনেক।
  • hehe | 173.172.209.46 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৪:৩১81709
  • হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, নাস্তিক - সব দলেই সাম্প্রদায়িক থাকে । মজার ব্যাপার হল ধার্মিক ও নাস্তিক দু তরফেই মৌলবাদীরা বলে ধর্ম মানে বিধর্মীকে নিকেশ করা । সাম্রদায়িকতার বিরুদ্ধে উদারতার লড়াই একটা চলমান প্রসেস ।
  • avi | 125.187.34.208 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৪:৫২81710
  • dc-র কথাটা পছন্দ হল। কিন্তু একটা জিনিস সত্যি, আপনি কখন ও কার সাথে সুস্থ ডায়ালগ চালাতে পারবেন, সেটা আপনার সদিচ্ছা ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। দাঙ্গার সময় উদ্যত অস্ত্র ঘাতকের সাথে ডায়ালগে যাওয়া যায় না। তেমনই পারস্পরিক শক্তির ভারসাম্যও ডায়ালগের একটা প্রাথমিক ভিত্তি। ম্যাকমাহন লাইন আঁকার সময় বৃটিশ চীনের সাথে ডায়ালগে যায় নি, গেলেও ফলাফল অন্যথা হত না। আরো বেশ কিছু ফ্যাক্টর আছে, ইতস্তত বোঝা যায়। ভারতের জাতীয়তাবাদীরা জেএনইউ কাণ্ডের সময় বেশ তেড়ে তর্ক করতেন অনেকে, ইদানিং অনেকেই লেখার প্রথমেই ডিসক্লেমার দেন, এটাই ওনার ধারণা, এবং এই নিয়ে তিনি কোনো তর্কে যাবেনই না। এখানেও আমার মনে হয় শক্তির ভারসাম্য কোনদিকে তা ওনারা আগের অভিজ্ঞতায় জেনে গেছেন, ফলে তর্ক উপেক্ষার আত্মবিশ্বাস বা অহঙ্কার, যাই বলুন, তাঁদের আছে। বাংলাদেশে অবস্থা কী বিপ্লব বলতে পারবেন। এখানে আমার জিজ্ঞাসা অন্য। এরকম পরিস্থিতি, যা এখন দেখছি, তা তো নতুন না। আগেও মেরুকরণ হয়েছে, উগ্র জাতীয়তাবাদ স্বাভাবিক চেতনা আচ্ছন্ন করেছে, একনায়কতন্ত্র এসেছে। সেসময় র‍্যাশনাল মানুষজন কিভাবে ডায়ালগে গেছেন, কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন, কিভাবে তাদের নিষ্পত্তি হয়েছে, তা নিয়ে জানতে চাই। 'আমার মনে হয় এটাই পন্থা' সেটাও একটা দিক, কিন্তু আগে এবং অন্যত্র অনুরূপ পরিস্থিতিতে কী হয়েছে, তাও একটু চর্চা হোক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন