এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  NRC/CAA

  • NRC-NPR-CAA -- বিদ্রোহের সপ্তম দিন, বাংলা-হিন্দি বিতর্ক

    গুরুচন্ডা৯ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | NRC/CAA | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৮৯৬ বার পঠিত
  • আন্দোলন অব্যাহত। আন্দোলন চলছে দেশের প্রায় প্রতিটি শহরে এবং বিদেশেও। উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু বেড়ে ১৬। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, পুলিশ নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে ধরে-ধরে মারছে। মারা গেছে একটি ফুটফুটে শিশু। তার রক্তমাখা ছবিও ঘুরছে ইন্টারনেটে। গ্রিসের সমুদ্রতটে পড়ে থাকা আইলানের মতই মর্মান্তিক সে ছবি। কিন্তু ছবির সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিঃসংশয় না হতে পারায়,  ছবিটি এখানে দেওয়া হলনা। 



    এরই মধ্যে বিজেপি নেতাদের গরম বিবৃতি চলছে। দিল্লির নেতা কপিল শর্মা বলেছেন বিক্ষোভকারীদের "মারো গোলি"। সংবাদমাধ্যম সূত্রানুসারে বাংলার নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন "আসামে গুলি করে মেরেছি, পশ্চিমবঙ্গেও মারব"। অন্যদিকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর আবেগজড়িত পুরোনো একটি টুইট আজ ভেসে উঠেছে, "আমি না হয় চায়ের দোকান খুলতে চলে যাব, কিন্তু দেশ আর কষ্ট সহ্য করতে পারছেনা"। আবেগ না হুমকি অবশ্য বলা মুশকিল, কিন্তু নেট দুনিয়ায় এ নিয়ে প্রবল ঠাট্টা তামাশা। কেউ বলছেন, "দয়া করে চায়ের দোকানই খুলুন, দেশ সত্যিই এ কষ্ট আর নিতে পারছেনা"। কেউ বলেছেন, "দয়া করে চায়ের দোকান খুলবেন না, সেটাও আপনি চালাতে পারবেন না"। 






    কলকাতায় এর মধ্যেই হয়েছে ছাত্রযুবদের বিরাট মিছিল। সে খবর সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। কিন্তু উল্লেখ্য যেটা, একই দিন কলকাতায় একটি "হিন্দু" সংগঠনও মিছিলের ডাক দিয়েছিল, বিশেষ সূত্রে খবর, তাতে ঠিক গুণে ২৫ টি লোক হয়েছিল। এ নিয়ে সংগঠকরা যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন। নেট দুইনিয়ায় ঠাট্টা, যে, বাঙালি নেতাদের ডাকে বিজেপির মিছিলে লোক হবেনা। কারণ বাঙালি বিজেপি নেতারা হলেন দ্বিতীয় শ্রেণীর নেতা। আসল চাবিকাঠি হিন্দি বলয়ের হাতে। 



    বিজেপির মধ্যে এবং বাইরে বাঙালিবিদ্বেষ অবশ্য নতুন খবর নয়। এন-আর-সির বিশেষ লক্ষ্যবস্তু বাঙালিরা এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আসামে বিশেষ করে বাঙালিরাই বাদ গেছেন এন-আর-সি তালিকা থেকে। বেঙ্গালুরু থেকে বিতাড়িত হয়েছেন বাঙালিরাই। গুরগাঁওয়ে বাঙালি বস্তিই ভাঙচুর হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের পুলিশের ডিজি  'বাঙালি' ও 'বহিরাগত' প্রায় সমার্থক শব্দের মতো ব্যবহার করেছেন। এই বিরাট তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় কাল, যেখানে জনৈক হিন্দিভাষী বিজেপি কর্মী দাবী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের ৭০ শতাংশ লোকই বাংলাদেশী।  তাদের তাড়ানো উচিত। 





    এই আবহেই সামাজিক মাধ্যমে বাংলা-হিন্দি বিতর্ক জোরদার হয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরেই দেখা গেছে, জেলার প্রতিবাদগুলিতে যেখানে জয় বাংলা স্লোগান মুরুর্মুহু শোনা গেছে, সেখানে শহুরে সমাবেশগুলিতে হিন্দির আধিক্য। মিছিলের চেয়েও হিন্দি স্লোগানের আধিক্য নেটে ছড়ানো হওয়া ভিডিও ক্লিপগুলিতে। শহুরে 'দীক্ষিত' ছাত্রযুবদের স্লোগান আমজনতার ভাবকে কতটা ধরতে পারছে এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে কয়েকদিন ধরেই। মিছিলগামীরাই কেউ মৃদুস্বরে অনুযোগ করেছেন, "তানাশাহী নেহি চলেগার বাংলা কি মামদোবাজি চলবে না" হতে পারে না? কেউ আন্দোলনকে সমর্থন করেও বলেছেন, "প্রথমে ৩৮ লক্ষ তারপর ১৭ লক্ষ বাঙালি যখন সরাসরি বেনাগরিক ঘোষিত হল তখন জামিয়া মিলিয়া বা আলিগড় উত্তাল হয়নি কেন? বাঙালির উপর সরাসরি জাতিগত গণহত্যা  নেমে এলে জাতিবাদ সে আজাদি স্লোগান কোথায় থাকে? ১৯৮৩ এর নেলি হত্যাকাণ্ড জালিয়ানওয়ালার চেয়ে কম ভয়াবহ কি?" কেউ আরও তীব্রস্বরে জানিয়েছেন, টানা হিন্দি স্লোগান "হিন্দির দাসত্ব,  উর্দুর দাসত্ব, দিল্লির দাসত্ব।"




    অন্য এক সমালোচক জানিয়েছেন, এই প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক নয়। মুসলমানরা জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে বলা যায় বাধ্যই হচ্ছেন, কারণ তাঁদের উপরে প্রমাণ করার দায় চাপানো হয়েছে যে তাঁরা ভারতীয়। একই ভাবে বাঙালিদেরও প্রমাণ করতে হচ্ছে, তাঁরা মূলধারার ভারতীয়, বাংলাদেশী নন। সমষ্টিগত অবচেতনে হয়তো ব্যাপারটা কাজ করছে। কিন্তু সমস্যা হল, আলাদা করে কাউকে কিছু প্রমাণ করতে যাতে না হয়, সেজন্যই তো এ আন্দোলন। ভারতীয় হতে গেলেই যে এক ভাষায় কথা বলতে হয়না, বিভিন্ন আঞ্চলিকতা, বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন ভাষার যোগফলই  ভারতবর্ষ, এই স্পিরিটটা এই একই স্লোগানে থাকছেনা। একরকম করে অখণ্ড হিন্দুস্তানের প্রচারই চলছে যেন। ঐক্যবদ্ধ প্রমাণ করার জন্য আন্দোলনকারীরা আপ্রাণ হিন্দি বা উর্দু স্লোগান মুখস্থ করছেন। তামিল তেলুগু বাংলা নানা স্লোগান মুখস্থ করে তো দিচ্ছেন না। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য নয়, এ যেন যান্ত্রিক ঐক্য।





    আন্দোলনকারী নানা পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কেউই বিষয়টা উড়িয়ে দেননি। মহামিছিলের অন্যতম সংগঠক বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সামিরুল ইসলাম বলেন, "আসলে আজাদি স্লোগানটা যুবকরা বলতে চাইছে। আমাদের কিছু বাংলা স্লোগান বানাতে হবে"। ওই সংগঠনেরই তন্ময় ঘোষ বলেন, "মিছিলে বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষ ছিলেন। মূলত কলকাতা বা বাংলার বুকে আন্দোলনে বাংলা ভাষার মানুষজনই আন্দোলনে সামিল হতেন। কিন্তু এই আন্দোলন সমস্ত মানুষকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে। তার মধ্যে উর্দুভাষি মুসলিমরা আছেন। কিছু অবাঙালি সাধারণ মানুষও স্বতর্স্ফুর্তভাবে অংশ নেন। তবে বাঙালি স্লোগানেও মুখরিত ছিল মিছিল, যেটা বাঙালি জাতিসত্ত্বার প্রমাণ।"



    মিছিলে ছিলেন বাংলা পক্ষের সংগঠক কৌশিক মাইতি। তাঁর প্রতিক্রিয়া তীব্রতর।  "ক্যাব আসার আগে থেকেই এন আর সি তে বাঙালি নিধন চলছে। এন আর সি বাঙালিকে ধ্বংস করার জন্যই-এই সহজ সত্য অনেকে বোঝে না৷ কলকাতায় এন আর সি ও ক্যাব বিরোধী মিছিলে পরপর হিন্দি স্লোগান উঠছে৷ এটা জেএনইউ কে অন্ধ অনুকরণ, এটাও দাসত্ব, এটাও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের ফসল। কলকাতায় হিন্দিতে 'আজাদি' স্লোগান দিয়ে এন আর  সি বিরোধী মিছিল হচ্ছে, বাংলায় স্লোগান দিলে কি মিছিলের জৌলুস কমে যায়? না ঠিক বিপ্লবের অনুভূতি আসে না? যদিও সামান্য ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, বাংলাই বিপ্লবের আঁতুড়ঘর৷ বিপ্লবীরা বাংলাতে স্লোগান দিতেন বলেই জানি৷ ভারতের রাষ্ট্রগান বাঙালির লেখা, 'বন্দেমাতরম' বাংলা মায়ের গান, এমনকি ভারতমাতার ছবিটাও আসলে 'বঙ্গমাতা'র ছবি। তাহলে এখন কলকাতার স্বঘোষিত 'বিপ্লবী' সমাজের নিজের মাতৃভাষা নিয়ে এত হীনমন্যতা কেন? আশা রাখব আগামীতে শুধুমাত্র বাংলা স্লোগান শুনতে পাব। দিল্লিতে হিন্দিতে স্লোগান হয়, বাংলায় না- এটা মাথায় রাখা জরুরী।" 



    বামপন্থীদের ডাকা মিছিলে ছিলেন বামপন্থী সংগঠক সুমন সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, "হিন্দিভাষী মুসলমানদের একটি অংশ আমাকে বলছিল বাংলায় শ্লোগান দিতে। আমি তাই দিয়েছি। মহিলারাও তার সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন। কিন্তু ওই আজাদী শ্লোগান কিন্তু এখন ভাষার সীমানা অতিক্রম করেছে এটাও মনে হয়েছে আমার।"



    এই বিতর্কের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের "ক্যা ক্যা ছি ছি / ছি ছি ছি ছি" স্লোগান। অনেকেই এই স্লোগান নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেছেন, অনেকেই আবার একেই কার্যকরী সহজ স্লোগান বলেছেন। কিন্তু মমতার বাকি সমস্ত কিছুর মতই, একেও কেউ অবজ্ঞা করতে পারেননি। এবং এই স্লোগানের বাঙালিয়ানা নিয়েও কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। 


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৮৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 236712.158.780123.135 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০০79840
  • ওদিকে মোদী দিল্লিতে নির্বাচনী গোডাউনে মেতেছেন!

    --
    বিক্ষুব্ধ ভারতবাসীকে ‘বিবিধের একতায়’ বিশ্বাসের বার্তা মোদীর

    https://bangla.bdnews24.com/world/article1703548.bdnews
  • বিপ্লব রহমান | 236712.158.780123.135 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৩79841
  • *টাইপো= "শোডাউন" হবে।

    #

    পুনশ্চঃ "আজাদী" শ্লোগান হিসেবে খুবই শক্তিশালী। সব শ্লোগানের বাংলা দরকার নাই।
  • | 236712.158.676712.252 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৪79842
  • নিজ নিজ কারণে ই লোকে আসবে আন্দোলন এ, বড় আন্দোলন কখনো একটা বিষয়ে আটকে থাকে না। এটাকে ওয়েলকাম করাই ভালো। প্রতি রোধ , বিরোধীতা দুটো কেই নিজের মত এগোতে দিতে হবে।
  • | 236712.158.676712.186 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২১79843
  • উত্তরপ্রদেশ হল নেক্সট গুজরাট

  • সিএস | 237812.69.563412.93 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৩২79844
  • ইউপি আর দিল্লী, দু'জায়গাতেই, পুলিশ দিয়ে খুব বাজে ভাবে খোঁচাচ্ছে।
  • S | 237812.69.563412.147 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৭79845
  • কেরলে দেখলাম ওদের নিজস্ব ভাষায় "আজাদী" স্লোগান বানিয়েছে।

    বাংলাতেও বানানো যায়।
    হিন্দুত্ববাদ থেকে। আজাদী।
    সংঘবাদ থেকে। আজাদী।
    সাম্প্রদায়িকতা থেকে। আজাদী।
  • শক্তি | 236712.158.676712.160 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৫৮79838
  • বাংলা শ্লোগান হতেই পারে, নাইবা হোল হিন্দি শ্লোগানের হুবহু অনুবাদ ।মামদোবাজি না বলে স্বৈরাচার চলবে না বলাই যায় ।আবার হিন্দি প্রচলিত কিছু শ্লোগান সম্পর্কে আপত্তি নাই বা থাকলো ।তবে নৈকষ্য বাংলা হলেও মমতার ক্যা ক্যা ছি ছি বড্ড খেলো আর হাস্যকর লেগেছে ।সঙ্গে বিশিষ্টদের গলা মেলানো আরো হাস্যকর ।এরকম ইস্যুতে শ্লোগান গাম্ভীর্যপূর্ণ হতে হবে ।
  • a | 236712.158.891212.243 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:১৭79839
  • আজাদি স্লোগান হিসাবে খুবই ভাল।
  • রৌহিন | 236712.158.895612.8 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৬79848
  • আজাদী স্লোগান আমারও খুব ভাল লাগে। প্রানবন্ত। আর ক্যা ক্যা ছি ছি ও বেশ ভাল লেগেছে। এতে এত ছ্যাবলামোর কী দেখছেন সুশীলেরা জানিনা। স্লোগানে হিউমার থাকলে সেটা বেশী কার্যকর হয় বলে মনে করি। যেমন "ভিসি তুমি দুষ্টু লোক / তোমার মাথায় উকুন হোক" - সম্ভবতঃ হোক্কলরবের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল প্রচারিত স্লোগান।

    হিউমারাস এবং তীক্ষ্ণ বাংলা স্লোগান দরকার। এগিয়ে আসুন সব্বাই।
  • | 237812.69.453412.98 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৯79849
  • বিজেপী যে করে আর বিজেপী যে সহে
    চাড্ডিতে যেন তার পিপীলিকা রহে
    (বোধি মাইতির দেয়ালে পেলাম)
  • রঞ্জন | 236712.158.565612.163 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৩০79847
  • সবিনয়ে দুটি কথা বলতে চাই ।
    ১ নিজস্ব বাংলা শ্লোগান খুবই ভাল। 'নেহি চলেগী'র বদলে 'চলবে না 'বাংলায় চমৎকার শোনায়। আমাদের সময়ে 'পালটা আঘাত হানতে হবে ' খুব জনপ্রিয় ছিল । এবং হিন্দিতে 'শেম শেম' এর সমান্তরাল 'হায় হায়' বাংলায় যা তা লাগে, যেন বুক চাপড়ে কান্নাকাটি চলছে।
    ২ কিন্তু কিছু কিছু শব্দ ভাষার গন্ডী পেরিয়ে সার্বজনীন হয়ে গেছে। যেমন 'ইনকিলাব ' (ইনক্লাব নয় ) --এটি উর্দু শব্দ। তেমনই 'জিন্দাবাদ'।
    একইভাবে নেতাজির বিখ্যাত বক্তব্যের অনুষঙ্গে 'আজাদি'। আসলে জে এন ইউয়ের কয়েকবছর আগের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তরুণ প্রজন্মের কাছে এই 'হমে ক্যা চাহিয়ে? আজাদি'-শ্লোগান বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। বিশেষ করে এই শ্লোগান শুনলেই যখন মন্ত্রী-শান্ত্রী-টিভির লোকজনের রাগ চিড়বিড়িয়ে ওঠে। বাংলার সঙ্গে এগুলো রাখলে ক্ষতি কি ?
    ৩ আর ইংরেজি শ্লোগানগুলো? 'লং লিভ' 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' এগুলোকে কলোনিয়াল হ্যাং ওভার ভাবছি না ত ?
    অনুরোধ , আন্দোলনের মাঝে 'ক্যাব' মানসিকতা যেন না আসে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন