এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  অন্য যৌনতা

  • ছক্কা ঋতুপর্ণ

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অন্য যৌনতা | ৩১ মে ২০১৩ | ৭২০১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ১।

    এ সবই নেহাৎ ব্যক্তিগত কথা। ঋতুপর্ণ, হ্যাঁ, ঋতুপর্ণ  ঘোষের কথা বললেই আমার পুরোনো পাড়ার একটা ছেলের কথা মনে পড়ে। যার নামও আমি আজ ভুলে গেছি। শুধু এইটুকু মনে আছে, যে, কতকাল আগে, ছেলেটাকে লেডিস বলে ডাকা হত। ছেলেটা ছোটোখাটো, শান্ত, মুখচোরা। সাতচড়ে রা কাড়েনা। কিন্তু কী অপমানজনক ছিল সেই সম্ভাষণ, বোঝা যেত, যখন পাড়ার ছেলেরা দূর থেকে "এই লেডিজ এদিকে আয়" বলে হুঙ্কার পাড়ত, মেয়েরা মুখ টিপে হাসত, আর শুনলেই ওই গরুর মতো শান্ত চোখেও ক্রোধের ঝিলিক খেলে যেত। বেশিরভাগ সময়েই পাশ কাটিয়ে চলে যেত। শুধু একবার ইট ছুঁড়ে মেরেছিল, মনে আছে। তাতে অবশ্য লেডিজ বলা থামেনি। বরং প্রবল ইংরিজি শিক্ষার তোড়ে, এবং তুমুল উৎসাহে লেডিজের বদলে আবিষ্কার করা হয়েছিল আরেকটা ইংরিজি শব্দ। লেডিজ ফিংগার। যেমত নাকের বদলে নরুণ। আজ ভাবলে বুঝতে পারি, অপমানের জন্য কী যথাযথ ছিল সেই ডাকনাম। মেটাফর হিসেবে তো অব্যর্থ। একদিকে মেয়েলি, অন্যদিকে ঢ্যাঁড়োশ, অর্থাৎ অকর্মার ঢেঁকি। পুরুষের মেয়েলিত্বের এত যথার্থ বর্ণনা এর আগে বা পরে আর কখনও শুনিনি।

    আরও পরে অবশ্য ছক্কা শব্দটা শুনেছি। নপুংসক এর একটু নরম সংস্করণ হিসেবে ব্যবহার করা হত সেটা। মানেটাও একই, অবয়বে পুরুষের মতই, কিন্তু আসল কাজে ছক্কা। পুরুষের "আসল" কাজটা যে কি সে নিশ্চয়ই বলে দেবার দরকার নেই। এফিমিনেট পুরুষের অপরাধের বর্ণনা হিসেবে এটাও ভালো, কিন্তু লেডিজ ফিংগার এর কাছাকাছি আসেনা। তুলনায় অবশ্য অনেক মোটা দাগের ছিল কলেজের সেই ছেলেটির ডাকনাম। কোনো লুকোছাপা মেটাফরের বালাই নেই। তাকে ডাকা হত মাগী নামে। সেটা অবশ্য একদিক থেকে ভালই। আক্রমণটা সরাসরি। হারামজাদা তুই ছেলে নোস তুই একটা মাগী। ব্যস। দ্ব্যর্থবোধকতার কোনো জায়গাই নেই।

    ফিল্ম টিল্ম গোল্লায় যাক, আজকে এই মরে যাবার দিনে, ভাব-গদগদতার দিনে, এ সবই মনে পড়ছে। এসব ছিল কেবল আমাদের নিষ্পাপ আমোদ-আহ্লাদ ও সারল্য। শৈশব কৈশোর ও যৌবনের। পুরুষের এফিমিনেট হওয়া অপরাধ। এ অতি সরল কথা। যা আমরা জ্ঞান হবার আগে থেকেই জেনে নিই।

    ২।

    এসবের অনেক দিন পরে, মনে আছে, যুবক বয়সে দার্জিলিং শহরে বেড়াতে গিয়ে আমি এক ফরেস্ট রেঞ্জারের পাল্লায় পড়ি। পাল্লায় পড়ি কথাটা বলা ভুল, ভদ্রলোক ভারি অতিথি পরায়ণ ছিলেন। বাড়িতে ডেকে রীতিমতো ভুরিভোজ করিয়ে সাহিত্য আলোচনা করেছিলেন, মনে আছে। আমার ভালো লেগেছিল। তিনি ছিলেন প্রজাপতি সংগ্রাহক। জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে প্রজাপতি জমাতেন। নৈশাহারের পরে গর্ব করে দেখিয়েছিলেন, তাঁর প্রজাপতির সংগ্রহশালা। একটা কার্ডবোর্ডের উপর থরে থরে পিন দিয়ে এঁটে রাখা মৃত প্রজাপতি। কী অপূর্ব তাদের ডানা। রঙের বিন্যাস। ভালো করে দেখার জন্য একপা এগোতেই দেখি পিনে আটকানো একটা প্রজাপতির ডানা থিরথির করে নড়ে ওঠে। ওড়ার চেষ্টায়। অবাক হয়ে ভদ্রলোকের দিকে তাকাতেই, তিনি স্মিত হেসে বলেন, ওটা এখনও মরেনি।

    ঋতুপর্ণকে আমরা মারিনি। এমনকি লেডিজ ফিংগারও বলিনি। ছক্কা বলতে পারিনি। মাগী তো নয়ই। কারণ আমরা পরিশীলিত। আমরা ভদ্রলোক। কিন্তু আজকে এই মরে যাবার দিনে, ভাব-গদগদতার দিনে, এটুকু স্মরণ না করলে খুবই অকৃতজ্ঞ ব্যাপার হবে, যে, এই বঙ্গসমাজ, যারা আজ আহা কি ভালো ফিল্মমেকার ছিলেন গো, কী অপূর্ব ছিল তাঁর ঐন্দ্রজালিক ডানার প্যাটার্ন, রঙের বাহার, বলে চোখের জলে ও নাকের জলের বন্যায় গঙ্গা ও যমুনা ভাসিয়ে দিচ্ছে, তারা ভদ্রলোকের জীবদ্দশায় ডানার ছটফটানি দেখে কি আনন্দই না পেয়েছে। "রিনাদি তুই" শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছে। হাঁটার ভঙ্গী দেখে মুখে রুমাল চাপা দিয়েছে। কানের দুলের প্যাটার্ন দেখে গা-টেপাটেপি করেছে। "মেয়েদের মতো ঢং করবে তো হাসব না তো কি?" এই ছিল যুক্তি। সারল্য ও কমনসেন্সে ভরপুর।

    ফিল্ম মেকাররা তো একটু গম্ভীর ও আঁতেল প্রকৃতির হন। ঋত্বিকের কথা ছাড়ুন, তিনি তো ভগবান, মৃণাল সেন কি সত্যজিত রায়কে নিয়ে ক্যারিকেচারের কথা আমরা ভাবিইনি। অপর্ণা সেনের পরিশীলিত ন্যাকামিও কখনও টিভি শো'এর বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়নি। কিন্তু ঋতুপর্ণ? ফিল্ম তো নয়, বেস্টসেলার ছিল তাঁর আইডেন্টিটি। যৌন অভিজ্ঞান, যা, আমরা প্রাপ্তবয়স্করা জানি, যে, নেহৎই ব্যক্তিগত। কিন্তু সেখানে হাত দিতে আমাদের কখনও কোনো কুন্ঠাবোধ হয়নি। ওসব তো অসভ্যতা নয়, জাস্ট আমাদের প্রাপ্তবয়স্কতার আমোদ-আহ্লাদ। টিভি শো'র জনৈক অ্যাঙ্কর তো বিখ্যাতই হয়ে গেলেন স্রেফ ঋতুপর্ণকে নকল করে। অন্য কোনো কারণে নয়, ঋতু এফিমিনেট ছিলেন বলেই না। ভেবে দেখুন, অন্যদের নকলনবিশীর কথা সেরকম মনেই নেই আমাদের, তারা আদতে টিআরপি বেশি পায়ইনি। তাই অ্যাঙ্করের বিশেষ দোষ নেই। ওগুলো আমরা, দর্শকরা খাই। আমরা প্রোটোটাইপে বিশ্বাস করি। কুয়োর মধ্যেই আমাদের বসবাস। সেই আমাদের পৃথিবী। আমাদের প্রগতিশীলতার প্রোটোটাইপ আছে, বিপ্লবের প্রোটোটাইপ আছে, স্বাভাবিকতার প্রোটোটাইপ আছে, পরিশীলনের প্রোটোটাইপ আছে। তার বাইরের কিছু দেখলেই আমরা ছিছি করি। চরিত্রদোষ দেখি। অসামাজিক বলি। লেডিজ ফিংগার বলে ডাকতে চাই। দাবী একটাই, মালটা আমার মতো নয় কেন। ঠিক আমারই মতো নয় কেন। সেটা তার অপরাধ। অতএব প্রকাশ্যে তার প্যান্টুল খোলো। সারল্যের সঙ্গে নেড়েচেড়ে দেখো কেমন করে সে রিঅ্যাক্ট করে। ইঁট-টিট তুলে মারে কিনা।

    তা, এই আবেগ ভ্যাদভ্যাদে বেদনার দিনে, ফিল্ম-টিল্ম গোল্লায় যাক, শুধু প্রজাপতিটির ডানা-কাঁপানো মনে পড়ে। আহা কি ছিল তার রঙের বাহার। কী অপূর্ব সেই ডানার কাঁপন। কি ন্যাচারাল। যেন পাতার উপরে নিজের পালকশরীর বিছিয়ে সে বসে ছিল। শরীরে গেঁথে থাকা পিনটা এতই ছোটো, সেটা চোখেই পড়েনি।

    ৩।

    শিল্প আর শিল্পী নাকি আলাদা। এই আবেগ ভ্যাদভ্যাদে মৃত্যুদিনে সেসব কথা ভাবতে ভালো লাগেনা। এ সব ব্যক্তিগত অনুভূতি বড়ই ব্যক্তিগত। ফিল্ম টিল্ম গোল্লায় যাক, গোল্লায় যাক শিল্পের শবসাধনা, কবিতার বদলে ট্রামে ছেঁচড়ে যাওয়া জীবনানন্দের ডেডবডি মনে পড়ে। সেই দশকে নাকি ওটাই ছিল একমাত্র ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যু। তাকে আপতিক ভাবতে অসুবিধে হয়, যেমন অসুবিধে হয়  ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে একজন সফল ফিল্ম মেকারের মৃত্যু। আসলে তো তাঁকে নেই করে দেওয়া হল। টিভিতে, খবরের কাগজে, সোশাল মিডিয়ায় যত কলকাকলি আর হাহুতাশ দেখি, সব শুধু সিনেমা। সিনেমা সিনেমা আর সিনেমা। লোকটা কোথাও নেই। কিন্তু আজ তো সিনেমার দিন না। একটা লোক মারা গেছে। একজন ব্যক্তি মারা গেছেন। সে শুধু সিনেমা নয়। নিজের আইডেন্টিটিকে সে কখনও সিনেমা দিয়ে ঢাকেনি। মেয়েলি দোপাট্টা পরে কানে দুল ঝুলিয়ে টিভি শোতে এসেছে। যত বয়স হয়েছে তত নরম হয়েছে তার গলার আওয়াজ, আর তীব্রতর হয়েছে তার আইডেন্টিটি। নমনীয়তাকে, নরম স্বরে কথা বলাকে আমরা পুরুষের দুর্বলতা বলে ধরে নিই। কিন্তু ঋতুপর্ণ জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন, ব্যাপারটা অতো সোজা নয়। যতগুলো নতুন পুরস্কার ঝুলিতে ঢুকেছে, ততই মেয়েলি হয়েছেন তিনি। ততই নরম হয়েছে তাঁর কণ্ঠস্বর। মেয়েলিপনাকে শক্তি দিয়ে আগলে রেখেছেন। ছুঁড়ে দেওয়া ইঁটগুলোকে, "লেডিস ফিংগার" তাচ্ছিল্য আসবে জেনেও, আঁকড়ে ধরেছেন ওই মেয়েলি আলখাল্লাকে। সেই নরম সাহস, সেই এফিমিনেট দৃঢ়তা ছাড়া ঋতুপর্ণ নেই। হয়না।

    আজ তার মৃত্যুর দিনই ব্যক্তিটি উধাও। আমাদের শ্রদ্ধার ঠেলায়। তার যে আইডেন্টিটি এতদিন জনতার উপহাসের বিষয় ছিল, সংখ্যালঘু একটি অংশের কাছে হয়তো হিরোইজমও ছিল, যে আইডেন্টিটিকে লোকটি কখনও ভয়ে ভক্তিতে বা ধান্দাবাজিতে গোপন করেনি, শত অপমানেও হ্যান্ডব্যাগে চেপে রাখেনি, যে আইডেন্টিটি ছাড়া সে অকল্পনীয় ছিল, আজ সেই আইডেন্টিটিটিই উধাও। তার অপমানের ইতিহাস হাওয়া, তার ডানার ছটফটানি নেই, পড়ে আছে শুধু অন্তরমহল আর শুভ মহরৎ। এই আধা ব্রাহ্ম, আধা নরখাদক একটা সমাজে বুক চিতিয়ে লোকটা দাঁড়িয়েছিল তার জেন্ডার আইডেন্টিটি নিয়ে। ইঁট-পাটকেল খাবে, ক্ষতবিক্ষত হবে জেনেও। এই ভ্যাদভ্যাদে শোকের দিনে শুধু এইটুকুই মনে করানোর, যে, মনে রাখবেন বন্ধুগণ, যে, ছোঁড়া ইঁটগুলির একটি আপনারও ছিল। সেই বাংলা সত্যটিকে ফুলমালায় ঢেকে গায়েব করে দেওয়া যাবেনা। ফিল্ম টিল্ম গোল্লায় যাক, তাকিয়ে দেখুন, টিভিতে দেখে যাকে নিয়ে অবিরত যূথবদ্ধ খিল্লি করেছেন, সেই লেডিজ ফিংগারটিই আসলে ঋতুপর্ণ ঘোষ। সৃষ্টি ও স্রষ্টার যন্ত্রণা এক ও অচ্ছেদ্য। যে কারণে মৃত্যর পরেও আপনার ড্রয়িংরুমে মূর্তিমান অস্বস্তি হয়েই তিনি থেকে যাবেন।  তিনি, ঋতুপর্ণ, মেয়েলি, এফিমিনেট, দুর্বল, রক্তাক্ত ঋতুপর্ণ।

    পুরুষের এফিমিনেট হওয়া অপরাধ। এ অতি সরল কথা। যা আমরা জ্ঞান হবার আগে থেকেই জেনে নিই। এফিমিনেট অর্থে আমরা দুর্বল ও মিনমিনে ভাবি। যা পুরুষের মুকুটে শোভা পায়না। নারী নমনীয় ও শক্তিমতী হতে পারে, কিন্তু পুরুষ নরম ও শক্তিমান? উঁহু। আমাদের প্রোটোটাইপে আটকায়।

    ৪।

    এ সবই ব্যক্তিগত কথা। কিন্তু সবই যখন হচ্ছে এটাও থাক। এ বোধহয় বছর চারেক আগের কথা। আমাদের অফিসে একটি ছেলের নাম ছিল ঋতুপর্ণ। তারও ফিল্মের সঙ্গে কেমন যেন যোগাযোগ। কোন এক প্রযোজকের ছেলে তার ক্লাসমেট ছিল। আমাকে ফিল্ম বানানোর লোভ দেখায় প্রায়ই। সিরিয়াসলি নিশ্চয়ই না। কিন্তু ঠেকে এসব আবোলতাবোল কথা বলব না তো কখন বলব। বড়ো ব্যানারে ফিল্ম বানাব, ঋতুপর্ণকে পাঁচ পার্সেন্ট লভ্যাংশ দেব ইত্যাদি নেহাৎই হাবিজাবি বকি প্রায়ই। কিন্তু সেদিন তেমন মুড ছিলনা। সেদিন আমি বাড়ি থেকে কাজ করছি। ঋতুপর্ণ আগের দিন কাজ না করেই কেটে গিয়েছিল। পরের দিন সাত সকালে, তখন সকাল নটা-টটা হবে, ভারতীয় সফটওয়্যারের হিসেবে সেটা তো ভোরবেলাই, যখন ফোন এল, আমি অবাক হইনি মোটেই। ব্যাপারটা প্রত্যাশিতই ছিল। আমরা যতই হ্যাহ্যা করি, একসঙ্গে চা-বিড়ি খাই, একটা হায়ারার্কির প্রশ্ন থেকেই যায়। সেটা আরও বোঝা যায় তার গলায়। মিনমিনে, প্রায় এফিমিনেট কন্ঠে সে বলে, আমি ঋতুপর্ণ বলছি। আমি গম্ভীর গলায় বলি, বল। আগেই ফোন করব ভেবেছিলাম, সে বলে। আমি বলি, সে তো জানি, করনি কেন? আসলে, সে আরও মিনমিনে স্বরে বলে, ভেবেছিলাম, আগেই করব, কিন্তু করা হয়নি। বেশ তো, বলি আমি, এখন কী বলছ বল। আসলে, সে বলে আরও আগেই করব ভেবেছিলাম, কিন্তু মাঝখানে দিল্লী যেতে হল। দিল্লী? আমি বেজায় অবাক হই। ছোকরা দিল্লী চলে গেল নাকি? কাজের কী হবে? আসলে, দিল্লীতে ন্যাশানাল (না কি একটা যেন) অ্যাওয়ার্ড ছিল।

    আমি শুনে বেজায় বিরক্ত হই। কাজের কথা হচ্ছে। এর মধ্যে ইয়ার্কি টেনে আনার কি দরকার? একটা তেতো মন্তব্য করতে গিয়ে কে জানে কেন থেমে যাই। কোথাও কি কিছু ভুল হচ্ছে? ঋতুপর্ণ তো এরকম আলপটকা কথা বলেনা। তুমি ঋতুপর্ণই বলছ তো? হ্যাঁ, সে কেমন যেন অবাক হয়ে বলে। আমি ঋতুপর্ণ। ঋতুপর্ণ ঘোষ।

    এমনিতে নেহাৎই মজার গল্প। এ নিয়ে পরে আমরা হাসিঠাট্টাও করব। যা লিখতে আজ আর কোনো বাধা নেই। ঋতুপর্ণ বলবেন, এ ধরণের কড়া সম্ভাষণ তিনি ফোন করে বহু বহুদিন কারো কাছে শোনেননি। আমি বলব, মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়, কারণ। কারণ? আমার পেট ডায়ালগ, ম্যান ইজ মর্টাল, অর্থাৎ মানুষমাত্রেরই ভুল হয়।

    এই অদ্ভুতুড়ে দিনে আমার এই মজার গপ্পোটা বারবার মনে পড়ে। কারণ আজ এটা অব্যর্থভাবেই জানি, যে, এ ভুল আমি করতাম না যদি না ফোনের গলার শব্দটি মিনমিনে ও এফিমিনেট হত। পুরুষের নমনীয়তার সঙ্গে শক্তির অভাবের কোথাও একটা যোগ করি আমরা। এ ভূত প্রোটোটাইপিং এর ভূত। সে ভূত খুব সহজে যাবার নয়। আর আজ আমি অব্যর্থভাবে এটাও জানি, যে, এই ম্যান ইজ মর্টাল মানেই মানুষ মরণশীল নয়। অন্তত কেউ কেউ অস্বস্তি হয়েও টিঁকে থাকবেন। কোথাও না কোথাও।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩১ মে ২০১৩ | ৭২০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sosen | 125.241.16.178 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৬:২৭76632
  • সেক্সুয়ালিটি কি ঋতুপর্ণর ক্ষেত্রে কোনো সামাজিক স্টেটমেন্ট ছিল না?
  • lcm | 34.4.162.218 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৬:৪৭76633
  • ঋতুপর্ণ কি কোনো সামাজিক স্টেটমেন্ট রেখেছে নাকি? তাতো জানি না। আমি তো জানতাম, একটা-দুটো সিনেমায় সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেছে। যেমন, সন পেন (মিল্ক), হিলারি শোয়াংক (বয়েস ডোন্ট ক্রাই), জেক জিলেনহ্যাল (ব্রোকব্যাক মাউন্টেইন) - এরা অভিনয় করেছে। এরা নিজেরা সমকামী নন। আবার, অনেক সমকামী অভিনেতা আছেন, যেমন, অ্যান্থনি পারকিন্স (সাইকো), জ্যাকারি কুইন্টো (স্টার ট্রেক) - এরা অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যার সাথে সেক্সুয়ালিটির কিছু নেই।
    আবার, অনেক সমকামী অভিনেতা সিনেমায় সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেছে। অনেক সমকামী সেলিব্রিটি (এলেন ডিজেনারেস, কুপার অ্যান্ডারসন) এরা নিজেদের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন পাবলিকের সাথে শেয়ার করেছেন।

    কিন্তু, এরা কেউ সামাজিক স্টেটমেন্ট রেখেছে বলে তো শুনি নি।

    বরং, হার্ভে মিল্ক (যার চরিত্র নিয়ে সন্‌ পেন-এর মিল্ক সিনেমাটি) - সেই সমকামী যুবক কিছু ইমপ্যাক্ট তৈরী করেছিলেন বলে শোনা যায়।
  • sosen | 125.241.16.178 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৬:৫৩76634
  • এটা জানতে গেলে প্রাক-ঋতু ও ঋতু -পরবর্তী বাংলাকে আরেকটু কাছ থেকে দেখতে হবে। আমার দেখায়, ঋতুর জীবন একটা স্টেটমেন্ট। অন্য কারোর কাছে না-ই হতে পারে।
  • lcm | 34.4.162.218 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৭:১২76635
  • ঠিক, অনেকদিন কাছ থেকে বাংলাকে দেখা হয় নি, বিশেষ করে গত দুই দশক।

    কিন্তু এই ব্যাপারগুলোতে, মানে সৈকতের এই লেখায় সমকামীদের প্রতি খিল্লির যে সামাজিক প্রবণতা... তার কি কোনো পরিবর্তন হয়েছে। হয়ত হয়েছে, জানি না।

    ঋতুপর্ণ সিনেমায় সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুনেছি ভালো করেছেন। অন্য চরিত্রেও ভালো অভিনয় করতেই পারতেন। বা, সমকামী নন এমন অভিনেতাও ঐ চরিত্রে ভালো অভিনয় করতেই পারত। আফটার অল্‌ - ইট ইজ অ রোল ইন অ্যা ফিল্ম। তাতে কি সামাজিক স্টেটমেন্ট হয় জানি না।
    আর, ঋতুপর্ণ নিজের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনকে পাবলিকলি শেয়ার করেছেন।
    কিন্তু, এসব করার ফলে সামাজিক ইমপ্যাক্ট তৈরী হয়েছে কি? বা, দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন। হয়ত হয়েছে, জানি না নেই।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৭:১৭76636
  • হয়েছে। আমি তো আর খিল্লি করি না। সাত-আট বছর আগেও করতাম। বন্ধ করলাম কেন? ব্যাপারটা নিয়ে পড়া-শুনো করে পুং-স্ত্রী দুই লিঙ্গের বাইরে যে আরো কিছু এক্সিস্ট করে, তা জানতে পারলাম। পড়া-শুনো করলাম কেন? ঋতুপর্ণ।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৭:১৮76637
  • হয়ত শতকরা হিসেবে বিশাল নয়, কিন্তু আমার মত আরো অনেককে আমি চিনি।
  • sosen | 125.241.16.178 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৭:৫৩76638
  • আমার বাবা। ৬৭ ছুঁয়েছে । ওই দিন যখন বাড়ি ফিরলাম, দেখলাম টিভিতে শেষযাত্রার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আমি একটু দাঁড়ালাম। বাবা আলগা আলগা দু:খী গলায় বলল, " এই বাঙালী সমাজটা। শুধু বিদ্রূপ করে, কষ্ট দিয়ে একটা গুণী লোককে শেষ করে দিল। সমমনস্ক একটা মানুষ পেল না লোকটা সারাজীবন"।
    আমার বাবা আদৌ সমকামী, বিষমকামী এসব নিয়ে মতামত দেবার মানুষ-ই নয়। ছাপোষা , সকালে বাজার করা, দুপুরে কাগজ পড়া, বেড়াল ছানা নিয়ে সময় কাটানো একজন মানুষ। যার জীবন থেকে এসব সমস্যা অনেক, অনেক দূরে, ভাত-কাপড়ের সমস্যাই প্রবল। তার মনের কোনায় এই মায়া , এই সমবেদনা গড়ে তোলা এক প্রবল স্বীকৃতি। এরকম অনেককে দেখেছি। অনেক মেয়েলি পুরুষকে দেখেছি বিদ্রূপের ভয় ঝেড়ে ফেলে ইচ্ছামত পোশাক পরতে, সবচেয়ে বড় কথা, যৌনতা যে ড্রয়িংরুমে আলোচ্য হতে পারে, যৌনতা যে আইডেনটিটির একটা অঙ্গ হতে পারে, টিভি শো, সিনেমা, কলাম সব কিছু দিয়ে এটা বলার চেষ্টা করা। একটা ভয়েস দেওয়া, যা বাংলায় ছিল না। কি দরকার ছিল, সারাজীবন ক্লোসেট থেকেও জীবন কাটাতে পারতেন তো। এতে ফিরে কি পাওয়া গেছে? স্ট্রেস? আর তো কিছুই না! নিজের এক্সপেন্সে এতটা করার কি দরকার ছিল ওনার? দিব্বি গল্প বলার সিনেমা করেই দিন কাটাতে পারতেন তো?
    একে আমি স্টেটমেন্ট বলি। আর কেরিয়ারের তুঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারাকে আমি সাহস বলি। অনেকে বিদ্রূপ করলেও জেনেছে। একটা অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। এই তো শুরু।
  • lcm | 34.4.162.218 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৭:৫৮76639
  • ব্যাপারটা না জানলেও, সম্যক ধারনা না থাকলেও, পড়াশোনা না থাকলেও - খিল্লি কেন হবে। কারণ, খিল্লি হল একটি সামাজিক প্রবণতা। সোশ্যাল মবিং। এ নিয়ে এখানেই লেখা হয়েছে, সৈকত-ও লিখেছিল বোধহয়।
    দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত স্কুলের শিক্ষককের কথা শুনেছি, যিনি জয়েন্টের অংক কোচিং ক্লাসে কেউ অংক না পারলে বলতেন - মাথামোটা! তাইলে বিকম পড়, এম-কম পড়, বিকম হল বুদ্ধি কম, আর এম-কম হল মাথা কম।
    ইনি পড়াশোনা জানা মানুষ, ইনি বিশ্বাস করেন অংক যারা ভাল পারে তাদের বুদ্ধি বেশী। বাকীদের বুদ্ধি কম - এবং তারা খিল্লিযোগ্য।

    আমার মনে হয় না, ঋতুপর্ণ কোনো সামাজিক প্রভাব ফেলতে পারবেন। যেটা হয়েছে, সেটা হল, বাংলার সেলিব্রিটি কালচারে সমকামিতার একটা আপাত গ্রহণযোগ্যতা হয়ত তৈরী হয়েছে। তবে, তার জন্যে ঋতুপর্ণ হতে হবে। এক্স্ট্রা রোলের অভিনেতা হলে হবে না।
  • lcm | 34.4.162.218 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৮:০১76640
  • বাঙালীর ড্রয়িংরুমে যৌনতা আলোচ্য বিষয় হয়েছে! রিয়েলি!
    আমি এটা জানতাম না। এবং এটা ঋতুপর্ণ-র জন্যে হয়েছে, তাও জানতাম না।
  • suvendu das | 130.144.167.103 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৮:০৫76641
  • just remembered a novel by abul bashar...on the topic...just could remember the name right now...raised a valid question
  • sosen | 125.241.16.178 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৮:০৬76642
  • কিন্তু ঋতুপর্ণ গত সাত -আট বছরে সামাজিক প্রভাব অলরেডি ফেলেছেন , লসাগুদা। আর সেটা সেলিব্রিটিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, উদাহরণ , আমার বাবা, কৃশানু, সিকি আরো অনেকেই যারা বলে গেছেন এখানে। আর সেটা আমি আমার অবজারভেশন থেকেই বলছি, দেখেই বলছি, কোনো স্পেকুলেশন দিয়ে নয়।

    তবে মনে হওয়ার উপর কারোরই হাত নেই।
  • lcm | 34.4.162.218 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৮:০৮76643
  • তোমরা 0.5% এর বেশী নও।
    আমার ধারনা ভুল হলে খুশী হব ঃ-)
  • sosen | 125.241.16.178 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৮:১৪76644
  • শূন্য থেকে 0.৫ % -ই যদি হয়, তাকে আপনি সামাজিক প্রভাব বলেন না? আর 0.৫ % কি আরো ৫% কে প্রভাবিত করতে পারে না ?
  • sosen | 125.241.16.178 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৮:২৩76645
  • যাই হোক। বেসিক্যালি এবারের বুলবুলভাজায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ত প্রান্তিকার লেখাটি। সেটার মত স্বর আরো আসুক। এইটুকুই।
    আর এই লেখাটা-ও তো একধরনের পরিবর্তনের স্বর। কিম্বা এই-টি -
    "
    Comment from সেন স্যর on 31 May 2013 23:31:50 IST 111.63.185.12 (*) #
    কৈশোরের অপরাধগুলো কে কি মার্জনা করে দেওয়া যায়?

    ক্ষমা চাইছি 'তাদের' কাছে। "

    এবং না, আমি নিশ্চিত ডিরেক্টর হিসাবে ঋতুপর্ণর প্রাসঙ্গিকতা-ও জটপাকানো সম্পর্কের গল্প-বলা দমচাপা, চার দেওয়ালের ছটফটানির সিনেমায় শেষ হয়ে যাবেনা। তার শেষের দিকের সিনেমার ডানা মেলার চেষ্টা-ও বিফলে যাবেনা আশা করি।
  • nina | 78.34.162.175 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৯:০৩76648
  • সৈকত
    দুরন্ত লিখেছ!
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.198.230 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৯:০৫76649
  • অনুচ্ছেদ ৪ এ যে ঘটনার কথা লিখেছেন, তাতে লেখকের অথবা গুরুচন্ডালির গৌরব বাড়ল না।
  • maximin | 69.93.198.230 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৯:১৮76650
  • দুর্বল ও মিনমিনে হওয়াটা কাউকেই শোভা পায়না। এর মধ্যে পুরুষ নারী নেই। আর ঋতুপর্ণ ঘোষ মিনমিনে ছিলেন না।
  • maximin | 69.93.198.230 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ১০:১৫76651
  • সৈকত নাহয় ভুল করেছে, কিন্তু ঋতুপর্ণ ঘোষ? সে একজন অচেনা লোককে ফোন করেছে, অচেনা লোক তাকে তুমি করে বলছে, তা সত্বেও সে বলবে 'আসলে, ভেবেছিলাম, আগেই করব, কিন্তু করা হয়নি, .. আসলে, আরও আগেই করব ভেবেছিলাম, কিন্তু মাঝখানে দিল্লী যেতে হল!' -- মেলাতে পারলাম না, মানতেও পারলাম না
  • Ishan | 60.82.180.165 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০১:৫৫76652
  • লেখার বিষয় ও ভঙ্গী নিয়ে কোনো আপত্তি বা সমালোচনা সম্পর্কে একটি কথাও বলার নেই। সে বিষয়ে যিনি যা ভাবছেন, ভালো বা মন্দ, সে তাঁর সিদ্ধান্ত। কিন্তু ম্যাক্সিদির শেষ পোস্টটি পড়ে স্লাইট অবাক হলাম। কে-কার কতটা চেনা বা অচেনা, কে কাকে কেন কি বলে, এসব গূঢ় তথ্য নেহাৎই ব্যক্তিগত, আমি ব্যতীত আর কারো জানার কথা নয়, এই লেখা ও প্রসঙ্গে অপ্রয়োজনীয়ও। ফলে ইঙ্গিতটি অপছন্দ করলাম, সেটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলাম।
  • I | 24.99.193.186 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০২:৩১76653
  • ম্যাক্সিমিনদি'র এই পোস্টগুলি খুবই অদ্ভুতুড়ে। ঘটনাটি কি মিথ্যে বলে আপনি মনে করেন? পড়ে অন্ততঃ তাই আন্দাজ হল আমার। এই মিথ্যেটুকু লিখে কি সৈকতের গৌরব হু হু করে বেড়ে যাবে? কিম্বা গুরুচণ্ডালীর? এই লাইনটা খুব ক্লিশে শোনাবে, তাও লিখতে হল-সৈকতকে যতটুকু চিনি, তাতে এইজাতীয় বোকা ও সস্তা ঢাক ও পেটাবে বলে বিশ্বাস হয় না। পেটানোর মত ঢাক ওর আরো আছে, চাইলে অনেক সময় ধরে ইনিয়ে বিনিয়ে পেটাতেই পারত।

    আর গোটা লেখাটার বিষয়, তার রাগ, যুক্তি, প্যাশন সব কিছু ছেড়ে দিয়ে বেড়ে ব্যাটাকে ধরবার মত করে এই রকম একটা বিষয় নিয়ে তক্কো শুরু করা-ইহা, ম্যাক্সিদি- আবারো নাচার, কেননা ক্লিশে কিন্তু সত্যি- কেবল বাঙালীতেই সম্ভবে। কেমন বোতলের কাঁকড়ার সুসমাচার মনে আসতে থাকে। আপনার সঙ্গে ম্যাক্সিমিনদি, মেলাতে পারলাম না, মানতেও পারলাম না।
  • pi | 78.48.231.217 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০২:৪৯76654
  • সত্যিই অদ্ভুতুড়ে মন্তব্য, ম্যাক্সিমিন্দি। এবং ইন্দোদার মতই মানতে এবং মেলাতে পারলাম মা।
  • sosen | 125.241.56.190 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০২:৫৭76656
  • আমার যদিও পুরো লেখার মধ্যে ৪ নম্বর অনুচ্ছেদটিই সবচেয়ে দুর্বল মনে হয়েছে, সে তার কন্টেন্টের জন্য। কিন্তু ম্যাক্সিমিন দি-র বক্তব্য পড়ে খুব-ই অবাক হলাম। আশা করি উনি ব্যাখ্যা করবেন ঠিক কি বলতে চেয়েছেন।
  • kumu | 52.109.107.77 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০৩:১০76657
  • মেয়েলিপনাকে শক্তি দিয়ে ধারণ করা -সৈকতের লেখায় এই বিষয়টি যথোচিত প্যাশনের সাথে আঁকা হয়েছে।ঋতুপর্ণর জীবিতকালে ওঁর এই আইডেন্টিটি নিয়ে এইধরনের কোন লেখা হয়েছিল?
    আরেকটি কথা কুড়ি বা পঁচিশ বছর পর হয়তো এই ব্যাপারটা এত প্রাসঙ্গিক থাকবে না।এই লড়াইটা ভাল করে ডকুম্র্ন্টেড থাকা তাই জরুরী।
  • PM | 181.7.185.149 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০৪:৪২76658
  • পুরো লেখাটা বেশ ভালো, অনুচ্ছেদ ৪ কে কেনো জানি একটু প্রক্ষিপ্ত বলে মনে হলো।
  • sukanta halder | 122.79.36.109 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০৫:২৬76685
  • kichu mne krben na but saikat sir apnr kthar sathea ami sb jaigai akmot noi.
    apni mir dar je bapar ta blechan setar sathea ami akbera akmot noi karon mir da ritu da ke dhore famous hoachen ata akbera bhul kotha tini famous hoachen ter nijoso talent r jonno tr jonno tr karo drkr nei ble ami mne kri. Mir da laughter challenge r pori famous hoachilen then mirakkel 1 theka tini aro famous hoa jan ar tini mirakkel a sudhu ritu dar i copy krten na aro onek r i krten ter mane tader opoman krten ata apni blte chan ami mne kri kokhono na. Akta example di kichu bochor age akta gan banglai asechilo jer sathea amra young generation tmn porichito chilam na gan ti holo "challenge" cinemar akri gan bt oi gan tar jonno amra gan ta jante pari na hle hoi to oi gan ta obolupto hoajeto temni mir da ritu dar copy krer fole ami mne kri banglar onek lok ritu da ke chinte pare ktha ta thik nao mne hote pare apnadr bt ata stti mir r jonno kintu onekai ritu da ke chinte parecha take jante chaichea aro kach theka ata ki baje. Ar ami mne kri mir da kono dino kauke aghat krte chaini kron sei reality show tar por ritu da jokhon mirakkel a alo tokhon kintu ritu da ke kono rokom opoman kora hoi ni asa kri episode ta dekhachen ar ritu da ar mir r oi episode ter jonno oneka ritu da ke chinte parechilo ter karon mir da karon tokhon mir da sadharon lok r kachea akjon famous bakti tai.
    ami 2 jon kei khub srodha kri ar ami 2 jonr ai khub boro vokto ami upor r kothai kauke opoman krte chai ni ar amr sei jogotao nei mir da ar ritu da 2 jonei osadharon baktitto. jodi amr kothai karo baje lage tbe khoma krben bt ami mne krechilan je ai lekha tai mir da ke ektu besi opoman kra hoachea tai likhte baddho holam.
  • sukanta halder | 122.79.36.109 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০৫:২৬76684
  • kichu mne krben na but saikat sir apnr kthar sathea ami sb jaigai akmot noi.
    apni mir dar je bapar ta blechan setar sathea ami akbera akmot noi karon mir da ritu da ke dhore famous hoachen ata akbera bhul kotha tini famous hoachen ter nijoso talent r jonno tr jonno tr karo drkr nei ble ami mne kri. Mir da laughter challenge r pori famous hoachilen then mirakkel 1 theka tini aro famous hoa jan ar tini mirakkel a sudhu ritu dar i copy krten na aro onek r i krten ter mane tader opoman krten ata apni blte chan ami mne kri kokhono na. Akta example di kichu bochor age akta gan banglai asechilo jer sathea amra young generation tmn porichito chilam na gan ti holo "challenge" cinemar akri gan bt oi gan tar jonno amra gan ta jante pari na hle hoi to oi gan ta obolupto hoajeto temni mir da ritu dar copy krer fole ami mne kri banglar onek lok ritu da ke chinte pare ktha ta thik nao mne hote pare apnadr bt ata stti mir r jonno kintu onekai ritu da ke chinte parecha take jante chaichea aro kach theka ata ki baje. Ar ami mne kri mir da kono dino kauke aghat krte chaini kron sei reality show tar por ritu da jokhon mirakkel a alo tokhon kintu ritu da ke kono rokom opoman kora hoi ni asa kri episode ta dekhachen ar ritu da ar mir r oi episode ter jonno oneka ritu da ke chinte parechilo ter karon mir da karon tokhon mir da sadharon lok r kachea akjon famous bakti tai.
    ami 2 jon kei khub srodha kri ar ami 2 jonr ai khub boro vokto ami upor r kothai kauke opoman krte chai ni ar amr sei jogotao nei mir da ar ritu da 2 jonei osadharon baktitto. jodi amr kothai karo baje lage tbe khoma krben bt ami mne krechilan je ai lekha tai mir da ke ektu besi opoman kra hoachea tai likhte baddho holam.
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.202.61 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০৮:২০76659
  • সোসেন -- ব্যাখ্যা করছি।

    এটা একটা লেখা, ছাপানো লেখা বলেই ধরব। published article। পুরো context লেখার মধ্যেই থাকার কথা। গল্পটা বলে নেওয়ার পর টেক্সট-এ অথবা টীকায়। যেটুকু লেখা হয়েছে, সেটুকু থেকে যা বোঝা যায়, ঋতুপর্ণ ঘোষ কারো কাছে নাম ও ফোন নম্বর পেয়েছিলেন। হয় নিজে থেকে চেয়েছিলেন নয়তো কেউ তাঁকে বলেছিল সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করবেন। এবারে পিয়োর লজিক থেকে দুটো সম্ভাব্য কেস ভাবা যায়

    ১) যিনি ঋতুপর্ণ ঘোষকে বলেছেন তিনি সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলে রাখেন নি। যদি বলে না রেখে থাকেন তাহলে সেটা ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রতি discourteous।

    ২) বলে রেখেছিলেন। সেক্ষেত্রে ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রথমেই রেফারেন্স দিয়ে শুরু করবেন। কার কাছে নম্বর পেয়েছেন, কাজটা কী ইত্যাদি কথা ঋতুপর্ণ ঘোষ নিজে প্রথমে বলে নেবেন।

    মানছি যে সেরকম হলে আর গল্গটা হত না। তা সত্বেও আজকের দিনে লিখতে বসে এভাবে ক্যাজুয়ালি লিখে দেওয়াটা ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রতি সুবিচার নয়। ঋতুপর্ণ ঘোষ কথোপকথন এভাবে শুরু করেন নি। তার কিছু কারণ ছিল নিশ্চয়ই। সেগুলো টীকাতে লিখে দেওয়া দরকার ছিল। নেহাতই প্রয়োজন ছিল বলে মনে করি। কারণ, আই রিপীট, এটা একটা published article। পুরো context লেখার মধ্যেই থাকার কথা।
  • pinaki | 56.17.190.22 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০৮:৫০76660
  • ঋতুপর্ণ কেন ওভাবে কথোপকথন শুরু করেছিলেন সেটা এই লেখার মূল প্রতিপাদ্যের সাথে কিভাবে সম্পর্কিত এক্কেবারেই বোঝা গেল না। ধরা যাক প্রথম ঘটানাটাই ঘটেছে। যিনি ঋতুপর্ণ ঘোষকে বলেছেন তিনি সৈকত বন্দ্যোকে বলে রাখেন নি। মেনে নেওয়া গেল যে সেটা ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রতি যথাযথ সৌজন্য নয়। কিন্তু তার সাথে এই লেখার বিন্দুমাত্র সম্পর্কও খুঁজে পেলাম না।

    তবে আমার কাছেও চার নং সেকশনটা একটু দুর্বল। সেটা এই অর্থে যে "এ ভুল আমি করতাম না যদি না ফোনের গলার শব্দটি মিনমিনে ও এফিমিনেট হত" - এটা এই বিবৃত ঘটনা থেকে অতটা নিশ্চিতভাবে হয়তো কনক্লুড করা যায় না। যেহেতু এখানে অন্য এক ঋতুপর্ণ পিকচারে ছিল, তাই এই ভুলটা পুরুষলি গলা হলেও হতে পারত বলে আমার মনে হয়েছে।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.202.61 (*) | ০২ জুন ২০১৩ ০৮:৫০76661
  • 'দুর্বল ও মিনমিনে হওয়াটা কাউকেই শোভা পায়না। এর মধ্যে পুরুষ নারী নেই। আর ঋতুপর্ণ ঘোষ মিনমিনে ছিলেন না।

    প্রসংগ ছিল এই লাইনটি -- 'পুরুষের এফিমিনেট হওয়া অপরাধ।' (section 3 last para first line)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন