এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  অন্য যৌনতা

  • ছক্কা ঋতুপর্ণ

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অন্য যৌনতা | ৩১ মে ২০১৩ | ৭২৩১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ১।

    এ সবই নেহাৎ ব্যক্তিগত কথা। ঋতুপর্ণ, হ্যাঁ, ঋতুপর্ণ  ঘোষের কথা বললেই আমার পুরোনো পাড়ার একটা ছেলের কথা মনে পড়ে। যার নামও আমি আজ ভুলে গেছি। শুধু এইটুকু মনে আছে, যে, কতকাল আগে, ছেলেটাকে লেডিস বলে ডাকা হত। ছেলেটা ছোটোখাটো, শান্ত, মুখচোরা। সাতচড়ে রা কাড়েনা। কিন্তু কী অপমানজনক ছিল সেই সম্ভাষণ, বোঝা যেত, যখন পাড়ার ছেলেরা দূর থেকে "এই লেডিজ এদিকে আয়" বলে হুঙ্কার পাড়ত, মেয়েরা মুখ টিপে হাসত, আর শুনলেই ওই গরুর মতো শান্ত চোখেও ক্রোধের ঝিলিক খেলে যেত। বেশিরভাগ সময়েই পাশ কাটিয়ে চলে যেত। শুধু একবার ইট ছুঁড়ে মেরেছিল, মনে আছে। তাতে অবশ্য লেডিজ বলা থামেনি। বরং প্রবল ইংরিজি শিক্ষার তোড়ে, এবং তুমুল উৎসাহে লেডিজের বদলে আবিষ্কার করা হয়েছিল আরেকটা ইংরিজি শব্দ। লেডিজ ফিংগার। যেমত নাকের বদলে নরুণ। আজ ভাবলে বুঝতে পারি, অপমানের জন্য কী যথাযথ ছিল সেই ডাকনাম। মেটাফর হিসেবে তো অব্যর্থ। একদিকে মেয়েলি, অন্যদিকে ঢ্যাঁড়োশ, অর্থাৎ অকর্মার ঢেঁকি। পুরুষের মেয়েলিত্বের এত যথার্থ বর্ণনা এর আগে বা পরে আর কখনও শুনিনি।

    আরও পরে অবশ্য ছক্কা শব্দটা শুনেছি। নপুংসক এর একটু নরম সংস্করণ হিসেবে ব্যবহার করা হত সেটা। মানেটাও একই, অবয়বে পুরুষের মতই, কিন্তু আসল কাজে ছক্কা। পুরুষের "আসল" কাজটা যে কি সে নিশ্চয়ই বলে দেবার দরকার নেই। এফিমিনেট পুরুষের অপরাধের বর্ণনা হিসেবে এটাও ভালো, কিন্তু লেডিজ ফিংগার এর কাছাকাছি আসেনা। তুলনায় অবশ্য অনেক মোটা দাগের ছিল কলেজের সেই ছেলেটির ডাকনাম। কোনো লুকোছাপা মেটাফরের বালাই নেই। তাকে ডাকা হত মাগী নামে। সেটা অবশ্য একদিক থেকে ভালই। আক্রমণটা সরাসরি। হারামজাদা তুই ছেলে নোস তুই একটা মাগী। ব্যস। দ্ব্যর্থবোধকতার কোনো জায়গাই নেই।

    ফিল্ম টিল্ম গোল্লায় যাক, আজকে এই মরে যাবার দিনে, ভাব-গদগদতার দিনে, এ সবই মনে পড়ছে। এসব ছিল কেবল আমাদের নিষ্পাপ আমোদ-আহ্লাদ ও সারল্য। শৈশব কৈশোর ও যৌবনের। পুরুষের এফিমিনেট হওয়া অপরাধ। এ অতি সরল কথা। যা আমরা জ্ঞান হবার আগে থেকেই জেনে নিই।

    ২।

    এসবের অনেক দিন পরে, মনে আছে, যুবক বয়সে দার্জিলিং শহরে বেড়াতে গিয়ে আমি এক ফরেস্ট রেঞ্জারের পাল্লায় পড়ি। পাল্লায় পড়ি কথাটা বলা ভুল, ভদ্রলোক ভারি অতিথি পরায়ণ ছিলেন। বাড়িতে ডেকে রীতিমতো ভুরিভোজ করিয়ে সাহিত্য আলোচনা করেছিলেন, মনে আছে। আমার ভালো লেগেছিল। তিনি ছিলেন প্রজাপতি সংগ্রাহক। জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে প্রজাপতি জমাতেন। নৈশাহারের পরে গর্ব করে দেখিয়েছিলেন, তাঁর প্রজাপতির সংগ্রহশালা। একটা কার্ডবোর্ডের উপর থরে থরে পিন দিয়ে এঁটে রাখা মৃত প্রজাপতি। কী অপূর্ব তাদের ডানা। রঙের বিন্যাস। ভালো করে দেখার জন্য একপা এগোতেই দেখি পিনে আটকানো একটা প্রজাপতির ডানা থিরথির করে নড়ে ওঠে। ওড়ার চেষ্টায়। অবাক হয়ে ভদ্রলোকের দিকে তাকাতেই, তিনি স্মিত হেসে বলেন, ওটা এখনও মরেনি।

    ঋতুপর্ণকে আমরা মারিনি। এমনকি লেডিজ ফিংগারও বলিনি। ছক্কা বলতে পারিনি। মাগী তো নয়ই। কারণ আমরা পরিশীলিত। আমরা ভদ্রলোক। কিন্তু আজকে এই মরে যাবার দিনে, ভাব-গদগদতার দিনে, এটুকু স্মরণ না করলে খুবই অকৃতজ্ঞ ব্যাপার হবে, যে, এই বঙ্গসমাজ, যারা আজ আহা কি ভালো ফিল্মমেকার ছিলেন গো, কী অপূর্ব ছিল তাঁর ঐন্দ্রজালিক ডানার প্যাটার্ন, রঙের বাহার, বলে চোখের জলে ও নাকের জলের বন্যায় গঙ্গা ও যমুনা ভাসিয়ে দিচ্ছে, তারা ভদ্রলোকের জীবদ্দশায় ডানার ছটফটানি দেখে কি আনন্দই না পেয়েছে। "রিনাদি তুই" শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছে। হাঁটার ভঙ্গী দেখে মুখে রুমাল চাপা দিয়েছে। কানের দুলের প্যাটার্ন দেখে গা-টেপাটেপি করেছে। "মেয়েদের মতো ঢং করবে তো হাসব না তো কি?" এই ছিল যুক্তি। সারল্য ও কমনসেন্সে ভরপুর।

    ফিল্ম মেকাররা তো একটু গম্ভীর ও আঁতেল প্রকৃতির হন। ঋত্বিকের কথা ছাড়ুন, তিনি তো ভগবান, মৃণাল সেন কি সত্যজিত রায়কে নিয়ে ক্যারিকেচারের কথা আমরা ভাবিইনি। অপর্ণা সেনের পরিশীলিত ন্যাকামিও কখনও টিভি শো'এর বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়নি। কিন্তু ঋতুপর্ণ? ফিল্ম তো নয়, বেস্টসেলার ছিল তাঁর আইডেন্টিটি। যৌন অভিজ্ঞান, যা, আমরা প্রাপ্তবয়স্করা জানি, যে, নেহৎই ব্যক্তিগত। কিন্তু সেখানে হাত দিতে আমাদের কখনও কোনো কুন্ঠাবোধ হয়নি। ওসব তো অসভ্যতা নয়, জাস্ট আমাদের প্রাপ্তবয়স্কতার আমোদ-আহ্লাদ। টিভি শো'র জনৈক অ্যাঙ্কর তো বিখ্যাতই হয়ে গেলেন স্রেফ ঋতুপর্ণকে নকল করে। অন্য কোনো কারণে নয়, ঋতু এফিমিনেট ছিলেন বলেই না। ভেবে দেখুন, অন্যদের নকলনবিশীর কথা সেরকম মনেই নেই আমাদের, তারা আদতে টিআরপি বেশি পায়ইনি। তাই অ্যাঙ্করের বিশেষ দোষ নেই। ওগুলো আমরা, দর্শকরা খাই। আমরা প্রোটোটাইপে বিশ্বাস করি। কুয়োর মধ্যেই আমাদের বসবাস। সেই আমাদের পৃথিবী। আমাদের প্রগতিশীলতার প্রোটোটাইপ আছে, বিপ্লবের প্রোটোটাইপ আছে, স্বাভাবিকতার প্রোটোটাইপ আছে, পরিশীলনের প্রোটোটাইপ আছে। তার বাইরের কিছু দেখলেই আমরা ছিছি করি। চরিত্রদোষ দেখি। অসামাজিক বলি। লেডিজ ফিংগার বলে ডাকতে চাই। দাবী একটাই, মালটা আমার মতো নয় কেন। ঠিক আমারই মতো নয় কেন। সেটা তার অপরাধ। অতএব প্রকাশ্যে তার প্যান্টুল খোলো। সারল্যের সঙ্গে নেড়েচেড়ে দেখো কেমন করে সে রিঅ্যাক্ট করে। ইঁট-টিট তুলে মারে কিনা।

    তা, এই আবেগ ভ্যাদভ্যাদে বেদনার দিনে, ফিল্ম-টিল্ম গোল্লায় যাক, শুধু প্রজাপতিটির ডানা-কাঁপানো মনে পড়ে। আহা কি ছিল তার রঙের বাহার। কী অপূর্ব সেই ডানার কাঁপন। কি ন্যাচারাল। যেন পাতার উপরে নিজের পালকশরীর বিছিয়ে সে বসে ছিল। শরীরে গেঁথে থাকা পিনটা এতই ছোটো, সেটা চোখেই পড়েনি।

    ৩।

    শিল্প আর শিল্পী নাকি আলাদা। এই আবেগ ভ্যাদভ্যাদে মৃত্যুদিনে সেসব কথা ভাবতে ভালো লাগেনা। এ সব ব্যক্তিগত অনুভূতি বড়ই ব্যক্তিগত। ফিল্ম টিল্ম গোল্লায় যাক, গোল্লায় যাক শিল্পের শবসাধনা, কবিতার বদলে ট্রামে ছেঁচড়ে যাওয়া জীবনানন্দের ডেডবডি মনে পড়ে। সেই দশকে নাকি ওটাই ছিল একমাত্র ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যু। তাকে আপতিক ভাবতে অসুবিধে হয়, যেমন অসুবিধে হয়  ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে একজন সফল ফিল্ম মেকারের মৃত্যু। আসলে তো তাঁকে নেই করে দেওয়া হল। টিভিতে, খবরের কাগজে, সোশাল মিডিয়ায় যত কলকাকলি আর হাহুতাশ দেখি, সব শুধু সিনেমা। সিনেমা সিনেমা আর সিনেমা। লোকটা কোথাও নেই। কিন্তু আজ তো সিনেমার দিন না। একটা লোক মারা গেছে। একজন ব্যক্তি মারা গেছেন। সে শুধু সিনেমা নয়। নিজের আইডেন্টিটিকে সে কখনও সিনেমা দিয়ে ঢাকেনি। মেয়েলি দোপাট্টা পরে কানে দুল ঝুলিয়ে টিভি শোতে এসেছে। যত বয়স হয়েছে তত নরম হয়েছে তার গলার আওয়াজ, আর তীব্রতর হয়েছে তার আইডেন্টিটি। নমনীয়তাকে, নরম স্বরে কথা বলাকে আমরা পুরুষের দুর্বলতা বলে ধরে নিই। কিন্তু ঋতুপর্ণ জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন, ব্যাপারটা অতো সোজা নয়। যতগুলো নতুন পুরস্কার ঝুলিতে ঢুকেছে, ততই মেয়েলি হয়েছেন তিনি। ততই নরম হয়েছে তাঁর কণ্ঠস্বর। মেয়েলিপনাকে শক্তি দিয়ে আগলে রেখেছেন। ছুঁড়ে দেওয়া ইঁটগুলোকে, "লেডিস ফিংগার" তাচ্ছিল্য আসবে জেনেও, আঁকড়ে ধরেছেন ওই মেয়েলি আলখাল্লাকে। সেই নরম সাহস, সেই এফিমিনেট দৃঢ়তা ছাড়া ঋতুপর্ণ নেই। হয়না।

    আজ তার মৃত্যুর দিনই ব্যক্তিটি উধাও। আমাদের শ্রদ্ধার ঠেলায়। তার যে আইডেন্টিটি এতদিন জনতার উপহাসের বিষয় ছিল, সংখ্যালঘু একটি অংশের কাছে হয়তো হিরোইজমও ছিল, যে আইডেন্টিটিকে লোকটি কখনও ভয়ে ভক্তিতে বা ধান্দাবাজিতে গোপন করেনি, শত অপমানেও হ্যান্ডব্যাগে চেপে রাখেনি, যে আইডেন্টিটি ছাড়া সে অকল্পনীয় ছিল, আজ সেই আইডেন্টিটিটিই উধাও। তার অপমানের ইতিহাস হাওয়া, তার ডানার ছটফটানি নেই, পড়ে আছে শুধু অন্তরমহল আর শুভ মহরৎ। এই আধা ব্রাহ্ম, আধা নরখাদক একটা সমাজে বুক চিতিয়ে লোকটা দাঁড়িয়েছিল তার জেন্ডার আইডেন্টিটি নিয়ে। ইঁট-পাটকেল খাবে, ক্ষতবিক্ষত হবে জেনেও। এই ভ্যাদভ্যাদে শোকের দিনে শুধু এইটুকুই মনে করানোর, যে, মনে রাখবেন বন্ধুগণ, যে, ছোঁড়া ইঁটগুলির একটি আপনারও ছিল। সেই বাংলা সত্যটিকে ফুলমালায় ঢেকে গায়েব করে দেওয়া যাবেনা। ফিল্ম টিল্ম গোল্লায় যাক, তাকিয়ে দেখুন, টিভিতে দেখে যাকে নিয়ে অবিরত যূথবদ্ধ খিল্লি করেছেন, সেই লেডিজ ফিংগারটিই আসলে ঋতুপর্ণ ঘোষ। সৃষ্টি ও স্রষ্টার যন্ত্রণা এক ও অচ্ছেদ্য। যে কারণে মৃত্যর পরেও আপনার ড্রয়িংরুমে মূর্তিমান অস্বস্তি হয়েই তিনি থেকে যাবেন।  তিনি, ঋতুপর্ণ, মেয়েলি, এফিমিনেট, দুর্বল, রক্তাক্ত ঋতুপর্ণ।

    পুরুষের এফিমিনেট হওয়া অপরাধ। এ অতি সরল কথা। যা আমরা জ্ঞান হবার আগে থেকেই জেনে নিই। এফিমিনেট অর্থে আমরা দুর্বল ও মিনমিনে ভাবি। যা পুরুষের মুকুটে শোভা পায়না। নারী নমনীয় ও শক্তিমতী হতে পারে, কিন্তু পুরুষ নরম ও শক্তিমান? উঁহু। আমাদের প্রোটোটাইপে আটকায়।

    ৪।

    এ সবই ব্যক্তিগত কথা। কিন্তু সবই যখন হচ্ছে এটাও থাক। এ বোধহয় বছর চারেক আগের কথা। আমাদের অফিসে একটি ছেলের নাম ছিল ঋতুপর্ণ। তারও ফিল্মের সঙ্গে কেমন যেন যোগাযোগ। কোন এক প্রযোজকের ছেলে তার ক্লাসমেট ছিল। আমাকে ফিল্ম বানানোর লোভ দেখায় প্রায়ই। সিরিয়াসলি নিশ্চয়ই না। কিন্তু ঠেকে এসব আবোলতাবোল কথা বলব না তো কখন বলব। বড়ো ব্যানারে ফিল্ম বানাব, ঋতুপর্ণকে পাঁচ পার্সেন্ট লভ্যাংশ দেব ইত্যাদি নেহাৎই হাবিজাবি বকি প্রায়ই। কিন্তু সেদিন তেমন মুড ছিলনা। সেদিন আমি বাড়ি থেকে কাজ করছি। ঋতুপর্ণ আগের দিন কাজ না করেই কেটে গিয়েছিল। পরের দিন সাত সকালে, তখন সকাল নটা-টটা হবে, ভারতীয় সফটওয়্যারের হিসেবে সেটা তো ভোরবেলাই, যখন ফোন এল, আমি অবাক হইনি মোটেই। ব্যাপারটা প্রত্যাশিতই ছিল। আমরা যতই হ্যাহ্যা করি, একসঙ্গে চা-বিড়ি খাই, একটা হায়ারার্কির প্রশ্ন থেকেই যায়। সেটা আরও বোঝা যায় তার গলায়। মিনমিনে, প্রায় এফিমিনেট কন্ঠে সে বলে, আমি ঋতুপর্ণ বলছি। আমি গম্ভীর গলায় বলি, বল। আগেই ফোন করব ভেবেছিলাম, সে বলে। আমি বলি, সে তো জানি, করনি কেন? আসলে, সে আরও মিনমিনে স্বরে বলে, ভেবেছিলাম, আগেই করব, কিন্তু করা হয়নি। বেশ তো, বলি আমি, এখন কী বলছ বল। আসলে, সে বলে আরও আগেই করব ভেবেছিলাম, কিন্তু মাঝখানে দিল্লী যেতে হল। দিল্লী? আমি বেজায় অবাক হই। ছোকরা দিল্লী চলে গেল নাকি? কাজের কী হবে? আসলে, দিল্লীতে ন্যাশানাল (না কি একটা যেন) অ্যাওয়ার্ড ছিল।

    আমি শুনে বেজায় বিরক্ত হই। কাজের কথা হচ্ছে। এর মধ্যে ইয়ার্কি টেনে আনার কি দরকার? একটা তেতো মন্তব্য করতে গিয়ে কে জানে কেন থেমে যাই। কোথাও কি কিছু ভুল হচ্ছে? ঋতুপর্ণ তো এরকম আলপটকা কথা বলেনা। তুমি ঋতুপর্ণই বলছ তো? হ্যাঁ, সে কেমন যেন অবাক হয়ে বলে। আমি ঋতুপর্ণ। ঋতুপর্ণ ঘোষ।

    এমনিতে নেহাৎই মজার গল্প। এ নিয়ে পরে আমরা হাসিঠাট্টাও করব। যা লিখতে আজ আর কোনো বাধা নেই। ঋতুপর্ণ বলবেন, এ ধরণের কড়া সম্ভাষণ তিনি ফোন করে বহু বহুদিন কারো কাছে শোনেননি। আমি বলব, মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়, কারণ। কারণ? আমার পেট ডায়ালগ, ম্যান ইজ মর্টাল, অর্থাৎ মানুষমাত্রেরই ভুল হয়।

    এই অদ্ভুতুড়ে দিনে আমার এই মজার গপ্পোটা বারবার মনে পড়ে। কারণ আজ এটা অব্যর্থভাবেই জানি, যে, এ ভুল আমি করতাম না যদি না ফোনের গলার শব্দটি মিনমিনে ও এফিমিনেট হত। পুরুষের নমনীয়তার সঙ্গে শক্তির অভাবের কোথাও একটা যোগ করি আমরা। এ ভূত প্রোটোটাইপিং এর ভূত। সে ভূত খুব সহজে যাবার নয়। আর আজ আমি অব্যর্থভাবে এটাও জানি, যে, এই ম্যান ইজ মর্টাল মানেই মানুষ মরণশীল নয়। অন্তত কেউ কেউ অস্বস্তি হয়েও টিঁকে থাকবেন। কোথাও না কোথাও।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩১ মে ২০১৩ | ৭২৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.215.38 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৫:৩৩76604
  • সৈকত - খুব ভাল লাগল বলতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এমন বিষয় নিয়ে লেখা, যে প্রশংসা পরের লেখাটার হলেও চলবে, এটা থাক। রেঞ্জার সাহেবের প্রজাপতির গল্প শুনে গা শিরশির করে উঠল। উপমাটার যথার্থ প্রয়োগ হয়েছে। একটা ব্যাপারে ডিসক্লেমার গেঁথে রাখতে পারি। আমাদের নিজস্ব একটা সার্কল আছে। সেখানে আমরা কেউ সেই নব্বইয়ের দশক থেকেই ঋতুর 'নারীত্ব' নিয়ে কোনও হাসিমশকরা বা অবজ্ঞা সূচক কথাবার্তা বলিনি। শুধু তার একটা ব্যাপারে খুব সমালোচনা করতাম। সেটা সে তথাকথিত 'স্ট্রেট' মানুষ হলেও হ'ত। সে চলে যাবার পর তা আর জিইয়ে রাখার কোনও অর্থ নেই।

    এই ফোনটা নিয়ে ক'দিন আগে খুব উত্তপ্ত বাদানুবাদ হ'লনা? কিরকম আয়রনি অফ ফেট দেখ।

    আর একটা কথা পড়ে খুব হাসি পেল মন খারাপের মধ্যেও। ঐ 'মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়, ম্যান ইজ মর্টাল'-টা আমরা যৌবনে বলতাম। সেটা আবার ফিরে এসেছে দেখে।
  • Su | 96.161.33.200 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৫:৪৯76605
  • খুব ভালো লাগলো লেখাটা। সৈকতের লেখা সব সময়েই ভালো লাগে অবশ্য।

    সংখ্যালঘু আইডেন্টিটি নিয়ে এতো সগর্ব সবল উপস্থিতি সত্যিই সারা পৃথিবীতেই বিরল।

    ঋতুপর্ন বেঁচে থাকবেন শুধু তাঁর এই বিরল অস্তিত্ত্বের জন্যেই
  • I | 24.99.47.26 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৫:৫৫76606
  • এর পর ঋতুপর্ণকে নিয়ে আর কোনো লেখা লিখতে যাওয়া নিছকই বাতুলতা। কিন্তু আমি ভুল করে সেই বাতুলতা গতকাল করেই ফেলেছি, আর তাকে ফেরানো-ও যাবে না, যদ্দুর জানি।

    কেন করলাম এই ভুল? কেননা, কেননা ম্যান ইজ মর্টাল।
  • সিদ্ধার্থ | 233.239.150.15 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৫:৫৮76607
  • ঋতুপর্ণ সম্ভবত সিনেমার জন্যেই বেঁচে থাকবে। এফিমিনেট আইডেন্টিটির দরকার পড়বে না। পড়লে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। তাহলে বলতে হবে এতকাল সিনেমার নামে যা বানিয়েছে একটাও মনে রাখার যোগ্য নয়।

    কে কার সাথে শুল, ছেলে না মেয়ে, সেটা দিয়ে আইডেন্টিটি নির্মাণ হয় নাকি? হয় তো কাজ দিয়ে। ওটা তো জন্মগত ট্রেইট। যেমন ধর্ম, বা গায়ের রঙ, যার ওপর মানুষের কোনও হাত নেই।

    মানুষ বেঁচে থাকবে তার কাজের মধ্যে দিয়ে। যদি বাঁচার হয়।
  • তাতিন | 127.197.64.49 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:০০76608
  • ভেবে দেখুন, অন্যদের নকলনবিশীর কথা সেরকম মনেই নেই আমাদের, তারা আদতে টিআরপি বেশি পায়ইনি। তাই অ্যাঙ্করের বিশেষ দোষ নেই।

    -- পিসি সরকারের মিমিক্রি মনে নেই জনতার?
  • সেন স্যর | 111.63.185.12 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:০১76609
  • কৈশোরের অপরাধগুলো কে কি মার্জনা করে দেওয়া যায়?

    ক্ষমা চাইছি 'তাদের' কাছে।
  • | 24.96.164.228 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:০৪76610
  • লেখাটা ভাল্লেগেছে।

    এই মরে যাবার দিনে, ভাব গদগদ দিনেও জনৈক টিভি শোয়ের অ্যাঙ্করের প্রতি মন্তব্যটা ঠিক লাগল না। শুধু ঋতুপর্ণকে নকল করেই বিখ্যাত হন নি, বিখ্যাত তার আগেই তিনি ছিলেন যথেষ্টই ছিলেন। একটা গোতা প্রজন্মকে ঐ টিভি শোয়ের অ্যাঙ্করই আবার রেডিও শুনতে অভ্যেস করিয়েছিলেন। ঐ টিভি শোয়ের অ্যাঙ্কর নকল কর্তেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুস্কর, এমনকি গজল গায়ককে নকল করে দিব্বি আড়াই তিন মিনিট গজল গেয়েও দেন।

    এই মরে যাবার দিনে, ভাব গদগদ দিনেও এগুলোও একটু মনে থাকুক নাহয়। :-)
  • প্পন | 190.215.37.249 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:০৯76611
  • মীর একটা সময় বিখ্যাততর লোকেদের মিমিক্রি করেই বিখ্যাত হয়েছে। পিসি সরকার, মিঠুন চক্কোত্তি, রঞ্জিত মল্লিক এমনকী বুদ্ধবাউ এদের সবার মিমিক্রিই বেশ বিখ্যাত হয়েছিল। তাতিন ভুল কিছু কয় নাই।
  • সেন স্যর | 111.63.185.12 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:১১76612
  • উক্ত অ্যাংকরের ওপর বিষোদ্গার অনেকেই করছেন। খুবই দৃষ্টকটূ লাগছে।ঐ অ্যাংকর বিখ্যাত আগেই ছিলেন আর মিমিক্রি আরও অনেকের ই করেছেন। ঋতুপর্ণ 'র টা পাব্লিকে বেশী 'খেয়েছে' তাই চোখে বেশী লেগেছে নাকি ঋতুপর্ণ কে আমরা অন্যদের চেয়ে 'আলাদা' বলে মনে করি বলে তাকে মিমিক্রি করাটাতেই আপত্তি বেশী?

    আর ঋতুপর্ণ ' র সাথে উক্ত অ্যাংকরের একটি টক শো তে এই নিয়ে কথাও হয়েছিল।স্বয়ং ঋতুপর্ণ ' র 'তাকে মিমিক্রি করা নিয়ে কোনো আপত্তি ছিল না'।

    পরবর্তী কালে সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল,অন্তত প্রকাশ্যে যতটুকু এসেছে
  • SC | 160.212.78.55 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:১২76613
  • সৈকত দা কে লেখাটার জন্য টুপি খুললাম। এক্কেবারে আমার মনের কথা।
  • a x | 138.249.1.198 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:২১76614
  • ভালো লাগল।

    আমিও নিশ্চিত শুধু সিনেমার জন্যই ঋতুপর্ণ প্রাসঙ্গিক থাকবেন না।
  • Born Free | 24.96.45.94 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:২৩76615
  • সৈকত দা,
    আমি কিছু লিখব ভাবছিলাম। ভেতর থেকে খুব লিখতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু তুমি সমস্ত মনের কথা-ই বলে দিয়েছ।
    যারা বলছেন যে মীর সবাইকে নকল করত, তারা ঠিক-ই বলেছেন। কিন্তু কোন মস্করা বুকে লাগে আর কোনটা লাগেনা সেটা বুঝতে পারা-ই তো শিল্পীর কাজ, তাই না?
    কেন লাগে সেই নিয়ে গুরু-তেই আগে অনেক আলোচনা হয়ে গেছে। তাই আর তার ভেতরে ঢুকলাম না।
    -বর্ণ ফ্রি।
  • প্পন | 190.215.37.249 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:২৬76616
  • এবং মিমিক্রিশিল্পীকে সেকন্ড গ্রেডের পারফর্মার বলাটা ধরে নিচ্ছি সেইটা তাৎক্ষণিক ক্ষোভের বহিপ্রকাশই ছিল, কিন্তু শুনতে ভালো লাগেনি।

    মীর একজন বিখ্যাত লোকের মিমিক্রি করেছে, যিনি নিজের এফিমিনেট সত্তাকে প্রকাশ্যে আনতে কুন্ঠিত হননি। মানে বলতে চাইছি এফিমিনেট হোন আর নাই হোন, সেলিব্রিটির ম্যানারিজম মিমিক্রিশিল্পীর টার্গেট হতেনই।

    লোকজন সেইটা চেটেপুটে খেয়েছে - সেইটা অবশ্যই ন্যায্য কথা।
  • Indrani Talukdar | 127.194.76.79 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:৩৭76617
  • Osadharon laglo...
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৬:৫৬76618
  • ভালো লাগলো।
  • kk | 78.47.250.76 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ০৭:০৫76619
  • এই লেখাটা খুবই ভালো লাগলো।
  • pinaki | 56.17.190.22 (*) | ৩১ মে ২০১৩ ১০:০৭76620
  • খুবই ভালো হয়েছে লেখাটা। মীরেরও একেবারেই কোনো সমালোচনা প্রাপ্য নয় এমন মনে করি না। তবে খিস্তির পরিমাণটা হয়তো প্রাপ্যের চেয়ে একটু বেশী হয়েছে। সে যাগ্গে। মূল টিউনের সঙ্গে আছি।
  • i | 220.84.14.134 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০২:০৮76621
  • লেবেল সাঁটতে খুব ভালোবাসি আমরা। ও ন্যাকা, ও লেডিজ, ও ল্যাবেন্ডিশ, ও ছক্কা ।।আরও কত লেবেল আছে আমাদের পকটে। নিজের সঙ্গে একবার মিলিয়ে নি অর লেবেলটা সেঁটে দি। আর একজনকে ডেকে বলি দেখুন লেবেলটা। ভালো হয় নি? সে তার পকেট থেকে আরও দুটো লেবেল বের করে, সেঁটে দেয়। পকেটের লেবেল ফুরিয়ে গেলে আরও নতুন নতুন লেবেল তইরি হয়-পিঙ্কু, ঋতুপর্ণ।যতক্ষণ সামনে দেখছি, পাড়ায়, রাস্তায়, দোকানে, পর্দায়, লেবেলটা বেশ করে মিলিয়ে নিচ্ছি আমরা। চাক্ষুষ। তার কাজ, তার লেখা, তার ছবি আমাদের এ সুযোগ তো দেয় না। নিজের সঙ্গে মেলাবো কি করে? তখন একটু ভেবলে গিয়ে এ লেবেল ও লেবেলটাই সাঁটতে থাকি বা চোখ বুজে ঝিম মারি। তারপর মরে গেলে খুব ভয় মত হয়। লেবেলটা চট করে ছিঁড়ে নিয়ে পকেটে ঢোকাই। দেখতে যাই তাকে। খুব খুব ভয় করে। কেমন হয়ে গেল মুখটা,? আমার মতই কি চোখে তুলসী, কপালে চন্দন, আমার মতই থুতনিতে , গালে বাসি দাড়ি? পকেটে ছেঁড়া লেবেল। আঁকড়ে ধরি। পরে কাজে দেবে আবার।
  • surojit sen | 127.194.0.247 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০২:২৩76622
  • Saikat you have raised the point. The gender identity. Ritu made it. Itwas her political statement. She fought her whole life for it.

    Thanks.
  • Abhyu | 107.89.18.8 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৩:২১76623
  • লেখাটা বেশ ভালো হয়েছে।
  • aranya | 78.38.243.161 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৩:২৭76624
  • ভাল লাগল
  • bHASKAR mAZUMDER | 118.33.52.230 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৩:৩৯76646
  • মীর এর মিমিক্রীর বিষয় মতামত এর সাথে একমত হতে পারলাম না। এত একটা শিল্প।অন্যান্য শিল্পর মতো এটার ও একটা স্থান আছে শিল্প জগতে।মীর এমন একজন শিল্পী যিনি গান, অভিনয় ও সমান ভাবে পারদর্শীতার সাথে করতে পারেন। এটা তার শিল্প সৃষ্টি হিসবে দেখা উচিত। সে শিল্প কারোর পছন্দ নাও হতে পারে তা বলে শিল্পীকে অপমান করে তিনি কি নিজের সুন্দর লেখা টার প্রতি, নিজের মতামতের নিজেই অমর্যাদা করলেন না।
    প্রতেকের জীবনবোধ আলাদা। জীবনযাপন ও আলাদা। শিল্পীর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, কোনো শিল্পীর শিল্পকর্মকে স্রধাকারের অর্থ এই নয় তার জীবনযাপন এর সাথে সহমত হওয়া। হতে পারে তিনি তারমতো করেই সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ।
    একজন শিল্পীকে সম্মান জানাতে অন্য একজনকে অসম্মান অভিপ্রেত নয়।
  • ওপু | 24.99.124.226 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৩:৪৬76625
  • দারুন লাগলো। ঋতুপর্ণকে নিয়ে এই সময়ে যত লেখা পড়লাম, এইটা সবচে পছন্দের।
  • Born Free | 24.99.242.40 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৪:০১76626
  • "যে আইডেন্টিটি ছাড়া সে অকল্পনীয় ছিল, আজ সেই আইডেন্টিটিটিই উধাও"

    খুব সত্যি কথা। পরশু সারাদিন টিভি দেখতে দেখতে এই কথাটাই বার বার মনে হয়েছে। যে কাজটা আমরা ঋতু বেঁচে থাকতে করতে পারি নি, বা ঋতু আমাদের করতে দেয় নি, সেটা ও মারা যাবার সঙ্গে সঙ্গে আমরা করে দিয়েছি। ওর অস্বস্তিকর সেক্সুয়ালিটি-কে তারাতারি স্লেট থেকে মুছে ওকে আসেক্সুয়াল বানিয়ে দিয়েছি।
  • san | 24.98.30.107 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৪:৫৬76627
  • খুব ভালো লাগল।
  • অনির্বাণ | 113.21.125.54 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৫:৫০76628
  • ভাগ্যিস লেখাটা বাংলায়। না হলে লিঙ্গ নির্ধারণে হেবি প্রব্লেম হত! খাসা লেখা।
  • lcm | 34.4.162.218 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৬:০৯76629
  • ধুস্‌, ঋতুপর্ণ একজন ট্যালেন্টেড, সাহিত্য-সংগীত বোধসমৃদ্ধ ফিল্ম ডিরেক্টর। ছক্কা, সেক্সুয়ালিটি ইত্যাদির জন্য কে ঋতুপর্ণ-কে চেনে, এসব তো হালের ঘটনা। চার-পাঁচটা বিয়ে করার জন্যে কে আর কিশোরকুমারকে মনে রাখে।
  • Bhagidaar | 218.107.178.181 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৬:১৩76630
  • চার পাঁচটা বিয়ে করা কি কোনো সামাজিক স্টেটমেন্ট? পুরুষ মানুষ, বিখ্যাত, পয়সা আছে, তার অতগুলো বিয়ে করতে বাধা কোথায়? ছিছিক্কার এ বা কে করেছে?
  • Blank | 69.93.244.101 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৬:২২76647
  • প্রজাপতির গল্প টা সত্যি নয় মনে হয়, তাই না?
  • lcm | 34.4.162.218 (*) | ০১ জুন ২০১৩ ০৬:২২76631
  • সামাজিক স্টেটমেন্ট! সে আবার কোত্থেকে এলো!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন