এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  নববর্ষ ২০১৩

  • শ্যামাপোকা

    রূপঙ্কর সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ইস্পেশাল | নববর্ষ ২০১৩ | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৮০৫৮ বার পঠিত
  • - এক থাপ্পড় লাগাব অসভ্য মেয়ে, সিনিয়ারদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয় জাননা ?

    - যাব্বাবা, আমি কোথায় ভাল মনে বলতে গেলাম, তোমার জীন্‌সটা ফ্যান্টা, আর তুমি চমকে দিলে ? দেখ, সিনিয়ার বলে অত এয়ার নিওনা, মোটে তো দুবছরের বড় –

    - চমকে দিলাম আবার কী ভাষা, ঠিক করে কথা বল। আমাকে কী বলে ডাকলে তুমি ? আমার নাম শুচিস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছোট করে, স্মিতা। বুঝলে ?

    - কী করে জানব দিদিভাই, দুনিয়ার লোক তোমায় শ্যামা বলে ডাকে শুনি, তাই আমিও বললাম, শ্যামাদি। খুব অন্যায় করেছি না? পায়ে ফায়ে ধরতে হবে নাকি?

    নাম জিনিষটা খুব ডেঞ্জারাস। একবার রটে গেলে কোথা থেকে কোথায় চলে যায় কেউ বলতে পারেনা। এই যে সমাদ্দার সাহেব, কোথায় হ্যামিলটনগঞ্জ বলে নর্থ বেঙ্গলের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বদলি হয়ে এলেন। ওঁর বাড়িও ঐদিকেই। কিন্তু এতদূর এসেও নিস্তার নেই। নতুন জায়গায় জয়েন করার পর এক হপ্তাও কাটেনি, কেবিন থেকে হলে বেরোলেই চার দিকে আওয়াজ, ভুতো - ভুতো – প্রথম প্রথম একটু সন্দেহ ছিল, এরা কি আমায় বলছে? যাঃ, সে নাম এতদূরে বারাসতে লোকজন জানবে কী করে – কোথায় উত্তরবঙ্গের হাসিমারা আর কোথায় চব্বিশ পরগনার বারাসত। কিন্তু সন্দেহ নিরসন হল অচিরেই। অবশ্য সমাদ্দার সাহেবের সঙ্গে শুচিস্মিতার কোনও পরিচয় নেই, কোনও সম্পর্কও নেই। একটাই কমন ফ্যাকটর – বারাসত।

    ক্ষুদিরাম পল্লী থেকে বারাসত কলেজ কতই বা দূর, যাতায়াতেরও সুবিধে। কিন্তু সহ্যেরও একটা সীমা আছে। সেদিন ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েটার ওপর রেগে গিয়ে দুকথা বলায়, হ’ল আরো বিপদ। চতুর্দিকে এত ‘শ্যামাচরণ’ গজিয়ে গেল, যে কলেজ যাওয়াই এখন মুশকিল। ঐ যে, সেকেন্ড ইয়ারের হিস্ট্রির দেড়েলটা, হৃদয়পুর না কোত্থেকে যেন আসে। সেদিন হেঁড়ে গলায় শুরু করল, নেচে নেচে আয় মা স্যামাআআ – আমি মা তোর সঙ্গে যাব।  স্মিতার কান ফান লাল হয়ে গেল। কিন্তু যেদিন ব্যাটাচ্ছেলে আরও এক ধাপ আওয়াজ তুলে শুরু করল, স্যামা মা কি আমার কালোরে, স্যামা মা কি আমার কালো – কালো রূঊঊপে দিগম্‌বোরি হিদিপদ্‌দো করে মোর আলো – স্মিতা ছুটে কলেজ থেকে বেরিয়ে এল।

    স্মিতা বলল, বাপি, আমায় কোলকাতার কলেজে ভর্তি করে দাও, ইয়ার লস হলে হবে।  বাপি বললেন, সেকিরে, তুই কোলকাতায় যাবি পড়তে ? মরে যাবি মা, ট্রেনে এখন কুম্ভমেলার ভিড়। জনসংখ্যা কী হারে বেড়েছে তুই জানিস ? আবার ট্রেন থেকে নেমে বাস। সরাসরি বাসেও অবিশ্যি যাওয়া যায়, কিন্তু তুই পারবিনা মা। মা বললেন, সব নষ্টের গোড়া তুমি। ‘শ্যামাপোকা’ নামটা কে দিয়েছিল শুনি? এখন সাধু সাজছ ? বাপি বললেন, আহা সে তো আমার আদরের নাম, সেটা সবাই জানবে কেন। কিরে মা, তোকে সবাই শ্যামাপোকা বলে নাকি? স্মিতা বলল, চুপ কর বাপি, পোকা ফোকা বলেনা এখন। কিন্তু বাকিটাই বা বলবে কেন। আমি বারাসত কলেজে পড়বনা ব্যাস।

    মা বললেন, তোমার জন্য মেয়েটার কী সব্বোনাশ হ’ল বল দেখি। ওই রকম বিদ্ঘুটে নাম কেউ দেয় ? বাপি বললেন, কী আশ্চর্য, সে তো কোন ছোটবেলায় ও আলো দেখলেই ছুটে আসত বলে আমি আদর করে ডাকতাম। তোমার মনে নেই, সেবার ভাগলপুর থেকে বড়দি এল। বাংলার তেল মশলা সহ্য হয়নি, রাত্তিরে বারো চোদ্দবার বাথরুম গেছে। তা যতবার ওঘরের আলো জ্বলে আমার শ্যামাপোকা ততবার জেগে উঠে বারান্দায় বেরিয়ে যায়। মা বললেন, থামবে তুমি? আবার সেই অলুক্ষুণে নাম। মেয়েটা এক্ষুণি কেঁদে ভাসাবে। দরকার নেই ওর এখানে পড়ে। ও কোলকাতাতেই পড়বে।

    কোলকাতার কলেজে এসেও কি শান্তি আছে ? সেদিন জিসেক অর্চনাদি বলল, অ্যাই শুচিস্মিতা, তুমি নাচতে পার? এবার আমাদের সোশালে কবিগুরুর ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্য হচ্ছে, তুমি নাচবে তো ? প্রশ্নটা মোটেই ইনোসেন্ট নয়। অর্চনাদির মুখটা যে ফিচেল ফিচেল ছিল, তা ঠিক চোখে পড়েছে। স্মিতা সেদিন বাড়ি ফিরে বলল, বাপি, আমি আর পড়বনা। আমার বিয়ে দিয়ে দাও।

    ব্যানার্জিবাবু বললেন, বিয়ে? সে তো খুব ভাল কথা মা, কিন্তু একটাও পাশ দিবিনা ? না না, তোকে চাকরি করতে হবে তা বলছিনা, তবে ইয়ে, মানে পাত্রপক্ষও তো আজকাল একটু লেখাপড়া চায়। তুই না হয় আবার কলেজ বদল করে – স্মিতা বলল, তুমি আমার বিয়ে দেবে কিনা। হ্যাঁ আর দেখো, পাত্র যেন প্রবাসী হয়। আমি ওয়েস্ট বেঙ্গলে থাকব না।

    সাত সকালে দরজায় টিংটং। ব্যানার্জীবাবু হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুলেই দেখেন হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা একটা মোটাসোটা হাসিহাসি মুখ। কে, কী বৃত্তান্ত, এসব জিজ্ঞেস করার আগেই বলে কিনা, ও মশাই, আপনার মেয়েটাকে আমার চাই। ব্যানার্জীবাবু একটু ঘাবড়েই গেলেন, বারাসত আজকাল জায়গা ভাল নয়। প্রায় রোজই কাগজে চোখ কপালে তোলা খবর। ভাগ্যি ভাল মেয়েটা কলেজ যাওয়া বন্ধ করেছে। না ফেরা ইস্তক যা চিন্তা – কিন্তু এরকম মোটাসোটা হাসিমুখ হাফবুড়ো কিডন্যাপার ? লোকটাকে কোনওদিন বারাসতে দেখেছি বলেও তো মনে হচ্ছেনা।

    ব্যানার্জীবাবু ছ’খানা মাদুলি বাঁধা সিড়িঙ্গে হাতে বাইসেপ্‌স খুঁজে পেলেননা। স্যান্ডো গেঞ্জির ফাঁক দিয়ে তেত্তিরিশ ইঞ্চি বুকটাকে ফুলিয়ে ছত্তিরিশ করতে গেলেন, তাও হ’লনা। তবে কথা হ’ল, নিজের বাড়ি, এটা নিজের পাড়া, তার ওপর দিনের বেলা, মামদোবাজি নাকি? – কি ক্কি ক্কি ব্যাপার কী, মেয়েটাকে চাই মানে ? কী ভেবেছেন কী, দেশে আইন কানুন সব উঠে গেছে নাকি? যদিও এ ব্যাপারে খানিক সন্দেহ নিজেরও ছিল, তবু বললেন, সাহস তো কম নয় – মোটা লোকটা বলল, সে আপনি যাই বলেন, মামনিকে আমি নিয়ে যাবই। আজ প্রিলিমিনারি কথাবার্তা বলে গেলাম। আর একদিন আসব চা খেতে।

    আবার চা খেতে আসবে বলছে। শ্যামাকে, থুড়ি স্মিতাকেই বোধহয় মামনি বলল, কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছেনা। ব্যানার্জীবাবু বললেন, তা সে চা নাহয় আজই খেয়ে যান, কিন্তু ব্যাপারটা – লোকটা বলল, আমি সমাদ্দার, ব্লক অফিসে সবে চার্জ নিয়েছি। আজ চাপাডালির মোড়ে বাস থেকে নামতে গিয়ে কাদা ভর্তি গত্তে পা পড়ে কি আছাড়টাই না খেলাম। চশমাটা কোথায় চলে গেল, কিচ্ছু দেখতেও পাচ্ছিনা, হঠাৎ দেখি একটা মেয়ে এসে আমায় তুলে ধরল, ওড়না দিয়ে কাদা মুছিয়ে দিল, আবার ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়ে ব্যান্ডেজ – না মশাই এ মেয়ে আমার চাই। তাবলে ছেলে আমার ফ্যালনা নয়, রীতিমত আর্কিটেক্ট, বরোদায় পোস্টেড। এই বৈশাখেই –

    বাড়ি বয়ে সম্বন্ধ ? আবার এই মেয়েই চাই ? ওদিকে মেয়ে যেমনটি বলেছিল, ছেলে ওয়েস্ট বেঙ্গলের বাইরে – কার মুখ দেখে উঠলাম আজ, কিন্তু – কিন্ত, আমতা আমতা করে ব্যানার্জীবাবু বললেন, ইয়ে, মানে আজকাল এগুলো অনেকে মানেনা, তবে আমাদের আত্মীয়স্বজন একটু গোঁড়া বুঝলেন, মানে সমাদ্দার ফমাদ্দার – মোটা লোক রেগে গেল। ফমাদ্দার মানে? এইযে, এটা কী ? বলে জামার তলা থেকে খামচে একটা তেলচিটে পৈতে বের করল। নির্ভেজাল বামুন মশাই, রীতিমত ভরদ্বাজ। আপনি তো শান্ডিল্য, ওহ্‌একেবারে রাজযোটক মশাই। ব্যানার্জীবাবু তবু বললেন, ইয়ে মানে, এদেশি রাঢ়ী ফাঢ়ী নয় তো? সমাদ্দার বললেন, আরে মশাই ঢাকা অর্জিনাল। এই বৈশাখেই কিন্তু –

    সমাদ্দার জুনিয়রের ভাল নাম অলকেন্দু, ডাক নাম আলো। জামাই দেখে তো ব্যানার্জী পরিবার থ। এতো সত্যি আলো করে আছে গো, আমাদের মেয়ের চেয়েও তো জামাই দেখতে ভাল। জামাইয়ের ছুটি শেষ, বরোদায় উড়ে গেল তারা। সেখানে আলোর সারাদিন কাজ আর কাজ, স্মিতার সময় আর কাটতে চায়না। বেশ রাত করেই ফেরে আলো। স্মিতা দৌড়ে গিয়ে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আদর খায়। দুষ্টুমি করে জামাই বলে, ও, আলো দেখলেই দৌড়ে আসো, তুমি আমার শ্যামাপোকা।

    - খি ? খি ভললে থুমিঃ ? খি ভললেঃ ? নাকের পাটা ফুলে আছে, স্মিতা ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে – ছিটকে সরে যায়। আমি কালই বারাসত চলে যাব। এক সপ্তাহের মধ্যে উকিলের চিঠি পাবে তুমি – পেছন পেছন আলো দৌড়য়, আরে আরে হ’লটা কী, কী এমন বললাম – দড়াম করে মুখের ওপর দরজা বন্ধ হয়ে গেল। নাও এবার সোফায় ঘুমোও।

    ব্যানার্জীবাবু বললেন, কিন্তু মা, সেই নামটা তো আলোর  জানার কথা নয়, বরোদার লোক বারাসতের নাম জানবে কেমন করে, ওটা ও কিছু না ভেবেই – স্মিতা বলে, তুমি চুপ কর। আমার শ্বশুরের নাম ভুতো তুমি জান ? হ্যামিল্টনগঞ্জের নাম বারাসতের লোক জানল কী করে ? তুমি একটা ভাল উকিল দেখ। ব্যানার্জী বাবু বললেন, কী বিপদ, একটা বিয়ে দিতেই তো প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্ধেক বেরিয়ে গেল। যদি আবার দিতে হয় – আচ্ছা তুই না হয় ক’দিন একটু ভেবে নে। স্মিতা বলল, ভাবার কিছু নেই। তুমি উকিল ডাক, ডিভোর্সের কারণ দেখানো হবে, মেন্টাল টর্চার। ব্যানার্জীবাবু বললেন, কাউকে শ্যামাপোকা বললে মেন্টাল ইয়ের কেস দাঁড়াবে? মানে, আমিও ও তোকে আদর করে শ্যামাপো – স্মিতা দৌড়ে বেরিয়ে গেল।

    আট দিনের দিন একটা ফোন এল স্মিতার মোবাইলে –

    - স্মিতা ফোন অন করল। ওদিক থেকে -

    - হ্যালো – হ্যালো –

    - এদিকে চুপ।

    - হ্যালো, আমি আলো বলছি –

    - হ্যাঁ দেখা যাচ্ছে, নামেই সেভ করা আছে।

    - সাত দিন তো কেটে গেছে, উকিলের চিঠি পাইনি।

    - এদিকে চুপ।

    - ভাল উকিল কি পাওয়া গেছে? আমার চেনা একজন ছিলেন –

    - ইয়ার্কি হচ্ছে? ফোন কেটে দেব কিন্তু –

    - বলছি কি, চলে এলে হ’তনা? এখানে এসেও তো সেপারেশন চাওয়া যায়।

    - আমার ভাল লাগছেনা –

    - ভাল কি আমারই লাগছে –

    - যদি ফিরে যাই, কী নামে ডাকবে আমায় ?

    - ওই যে, আলোর সঙ্গে যে নাম ওতপ্রোত না কি যেন বলে, -শ্যামাপোকা -

    স্মিতা গিয়ে বলল, বাপি আমায় প্লেনের টিকিট কেটে দাও প্লীজ, একটু খরচা হবে তোমার। তা দুবার বিয়ে দেয়ার চেয়ে তো অনেক কম।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৮০৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.96.155.209 (*) | ০২ মে ২০১৩ ১২:৪৯76164
  • ;পাঠ-প্রতিক্রিয়ায় দু'চার কথা বলতে ইচ্ছে করছে, অভ্যুর টিপ্পনি মাথায় রেখেই। যাঁরা লেখাটায় বিরক্ত/আহত হয়েছেন তাঁদের অনেককে ভার্চুয়ালি জানি। দু-এক জনের সাথে আলাপ পরিচয়ও আছে। তাঁদের সাহিত্যবোধ-রসবোধ সম্পর্কে আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে বলেই কিছু বলতে যাচ্ছি।
    প্রথম, গল্পে মেয়েটিকে নিয়ে কি সত্যিই খিল্লি (উপহাস/করুণা অর্থে? মজা অর্থে বলছি না।) করা হয়েছে?
    আমি আবার পড়লাম। তেমন তো মনে হল না। বরং মেয়েটির প্রতি ওর শ্বশুর/ স্বামীর ভালোবাসা দেখুন। তাহলে শ্যামাপোকাকে কে করুণা বা তাচ্ছিল্য করছে? বাবার স্নেহ বাদই দিলাম।
    নিজের নাম নিয়ে ব্যতিব্যস্ত মেয়েটির জন্যে আমার মত বুড়ো বাপের গাট-ফিলিং হল-- ওরে পাগলি! আয়, কাছে এসে বোস্‌।
    দ্বিতীয়,
    আজও অনেক মেয়ে লেখাপড়া/চাকরি করেও বিয়ে না হলে নিজেকে অন্যদের তুলনায় পরাজিত/তুচ্ছ মনে করে।
    আর জাত/রাশি/নক্ষত্র? রোববারের আবাপ'তে বিয়ের বিজ্ঞাপন দেখুন।
    এভাবে ভাবলে কুমুর হাঁচির গল্পে কেবলি মেয়েটিকে নিয়ে কি খিল্লি করা হয় নি?
  • nina | 79.141.168.137 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০১:২০76187
  • কুমু হে, ঠিক ঠিক --ভলবাসার কাছে রাগ হেরে গেলে ব্যাপারটা বেশ মিষ্টি হয়ে যায়---আর উল্টোটা হলে ---রাগের কাছে ভালবাসা হেরে গেলে ------তেতো!
  • riddhi | 118.218.136.234 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০১:৪২76188
  • নিজে পয়্সা না কামানোর ইচ্ছে(যখন বয়্ফ্রেন্ড বা বার আনন্দ সহকারে দুজনের জন্য পয়্সা কামাতে রাজী) দুর্বলতা কোন এঙ্গেল থেকে?
  • a x | 138.249.1.202 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০২:০১76189
  • ঋদ্ধি কাকে প্রশ্ন করল?
  • riddhi | 118.218.136.234 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০২:১৪76190
  • অক্ষদা আপনাকে। এখানে মেয়েটার দুর্বলতা কি?
  • a x | 138.249.1.194 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০২:২২76191
  • এই গল্পে মেয়েটির দুর্বলতা তো বহু জায়গায়, নিজের অপছন্দের জায়্গা থেকে পালানোর জন্য অন্যের অবলম্বন (বিয়ের পাত্র) ধরতে হচ্ছে - অন্যতম।
  • aka | 81.14.37.202 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০২:৪১76192
  • একটা কথা রূপঙ্কর বাবুকে বলার ছিল। লিখেছেন বেশ করেছেন। কারুর কারুর ভালো লেগেছে, কারুর ভালো লাগে নি। মুশকিল হয়েছে কল হয়ে কেমন লেখকের একটা বাধ্যতামূলক মতামত দেবার জায়গা তৈরি হয়েছে। কেউ ভালো বললে থ্যাংকু বলতেই হবে, কেউ খারাপ বললে ডিফেণ্ড করতেই হবে। আমার মনে হয় একটু ইগনোর করতে হবে। বাকি আপনার ওপর।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.214.59 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৩:২০76193
  • aka - প্রথমে ধন্যবাদ বা থ্যাংকু প্রসঙ্গে বলি। ভেবেছিলাম ধা- পা তে যেমন তিন চারটে প্রশংসা বাচক কমেন্ট আসত, তেমনি আসবে, তাই অভ্যাস বশতঃ ধন্যবাদ দিই। এত কমেন্ট আসবে বুঝিনি। যখন এল, তখন বাকিদের না দিলে বৈষম্য হত। আর ডিফেন্ড ও ঠিক করিনি। পেছনে গিয়ে দেখুন, প্রথম অ্যাডভার্স কমেন্ট টা এসেছিল প্রশ্ন রূপে। আমি তখনও ব্যাপারটার গভীরতা বুঝিনি, তাই এক্সপ্লেন করতে গেছিলাম। তারপর যেটাকে ব্যঙ্গ বলা হচ্ছে, সেটাও আমার তরফ থেকে ব্যঙ্গ ছিলনা, কেউ ধরলে আমার কিছু করার নেই। আসলে siki এবং brc -slg দুজনেই আমাকে সাপোর্ট করে কিছু কড়া মন্তব্য করে ফেলে। আমি শুধু আবহটা ডিফিউস করতে চেয়েছিলাম। পরে বুঝতে পারি ব্যাপারটা কোন দিকে যাচ্ছে। তবু দু একবার বোঝাবার চেষ্টা করি, গল্পের উদ্দেশ্য কী। আমার মনে হয়না বোঝাবার প্রয়োজন ছিল। আমার ভাষাও খুব একটা জটিল না বলে আমার ধারনা। রঞ্জন তো সুন্দর ব্যাখ্যা করল। আমাকে চেনে বলেই হয়ত বুঝতে সুবিধে হয়েছে। আর কল্লোল দাশগুপ্ত তো একেবারে প্রাঞ্জল করে দিলেন। এত সুন্দর ব্যাখ্যা বোধহয় আমিও করতে পারতামনা। - তবে শিক্ষা হ'ল এর পর আমার কোনও লেখা গুচে বেরোলে সব থেমে টেমে যাওয়ার পর হপ্তাখানেক পর একটা সামারি থ্যাঙ্কু দেব।
  • riddhi | 118.218.136.234 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৩:২২76194
  • যদি নাম নিয়ে খচে যাওয়া/ইন্সিকিওরিটি কে দুর্বলতা ধরি, (যেটা একচুয়ালি গল্পের মেন থিম), আর যার জন্য কলেজ ছাড়া, বিয়ে এট্সেট্রা, সেটা গ্লোরিফাই করা হল কোথায়?? কিভাবে?
  • dd | 132.167.42.234 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৩:২২76214
  • "যেকোনো "বাদ" এর তকমা অস্বস্তিকর । মানুষ তো মনোলিথিক বাল নয় ,একটা এভার চেঞ্জিং এন্ড থিঙ্কিং এনটিটি । ভক্তি হোক মার্কস হোক বা ডাডা বা নারী ,বাদ শুনলেই থান ইঁট মারতে ইচ্ছে করে ।" এককের বানী।

    কি মিষ্টি, কি মিষ্টি। অ্যাতো ভাল্লগলো যে কি বোলবো। এটা আমার কোনো সিরিয়াস প্রবন্ধে ঠিক গুঁজে দেবো। স্মরণযোগ্য কোটেশন। কালকে শ্রদ্ধার সাথে এই নিয়ে দু গেলাস বীয়র বেশী খে' নেবো।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৪:০৬76215
  • দেদি, বুঝতে পেরেছি, আর আমার প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থাকার কোন কারনও তো দেখতে পাইনা, তাই সেরকম কিছু ভাবিনি।

    মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে বিরূপ মন্তব্যে তুমি এবং আর অনেকে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলে। তো ভাট/টইয়ের লঘু মন্তব্যকে নিজের দিকে টেনে আনাটা জাস্টিফায়েড, আর দুর্বলতা বিষয়ে নিজের সঙ্গে আইডেন্টিফাই করলে সেটা ইন্সিকিউরিটি বা গুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা বা ফোঁচ ফোঁচ করে চোখের জল ফেলা, এই অবসারভেশনের যাথার্থ্যে একটু আপত্তি আছে, আর সেটাকেও এক ধরনের দাগিয়ে দেওয়া মনে করি- এই আরকি।

    হানি সিংএর গানই ধরোনা। গল্প উপন্যাসের মতই, গানইতো। সমগ্র নারীজাতিকে নিয়ে তো বলে নি, কোন একজন মেয়েকে বলেছে। তো আমরা (ছেলে মেয়ে নির্বিষেষে, ফেলো হিউম্যান বিইং হিসেবে) এত বিচলিত হচ্ছি কেন?
    গন্ডীগুলো ছোট হতে থাকলেই কি এই এমপ্যাথি গুলো ন্যাকামো হয়ে যায়?

    মানছি, এত ভেবে মন্তব্য আমরা কেউ করিনা, এতো কারেক্টনেসে - পলিটিক্যাল বা অন্যকিছু- মাথায় রাখতে গেলে মুখে কুলুপ দিয়ে বসে থাকতে হবে। কেশব সেন বোধয়, সত্যের খাতিরে আমি খাবো আমি যাবও বলতেন না, আমি বোধয় খাইতে পারি বা আমি বোধয় যাইতে পারি ইত্যাদি বলতেন। কিন্তু, কারো গায়ে লাগলে, সেটা শুধু নাকী কান্না নাও হতে পারে, সেই ভাবনার স্পেসটা বোধয় থাকা দরকার।
  • @#$%^ | 69.160.210.2 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৪:৩৭76195
  • কৃশানু : 2 May 19:06 "'মতামতপ্রদাণকারী নারীবাদীরা'-র বদলে 'কিছু মতামতপ্রদাণকারী' বললে কি ভাব প্রকাশ পেত না? "

    ঈশানের খোলা টই-র পরে এই নিয়ে আশা করি আর কিছু বলার দরকার নাই। ঃ-)
    তাছাড়া কড়া মিনিময় কে দ্রবীভূত করে ঘাড়ে পাউডার নেকু মনোরম মিনিময়ে রূপান্তরের দরকার আছে কি? ভাবপ্রকাশের মনোরমকরণ বিষয়েই বল্লাম।
  • san | 69.144.58.2 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৫:১৮76196
  • কিন্তু , ন্যাকা, আহ্লাদী, অকর্মার ঢেঁকি তো একটি স্পেসিফিক চরিত্রকে বলা হয়েছে। কিকি বা ঝুমঝুমি এগুলো দুনিয়ার তাবৎ গৃহবধূ সম্পর্কে বলা ধরে নিয়ে দুঃখ পাচ্ছেন কেন?

    আর, একটা চরিত্রকে নিন্দে করার সঙ্গে নারীবাদ বা নারীস্বাধীনতার সম্পর্কই বা কি?
  • dukhe | 212.54.74.119 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৫:৩৬76197
  • আহা - আত্মনিয়ন্ত্রণ, পরনির্ভরশীল, লয়াবিলিটি, বরেপোষাঘরেপোষা - এসব শব্দকল্পদ্রুম বেমক্কা ছুঁড়লে সোরগোল তো এট্টু হবেই।
  • de | 190.149.51.67 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৫:৩৮76198
  • আর যখনই কোন গৃহবধূর সম্পর্কে এরকম কোন কমেন্ট বা তা না হলে কমেন্টের ধোঁয়াটুকুও দেখা যায় তখনই অবলের বল, অনাথের নাথ, অগতির গতি হয়ে কেউ কেউ এসে নানা কমেন্ট করে পুরো ব্যাপারটাকে গুলিয়ে গুষ্টির ষষ্টীপুজো করে ছাড়ে -- সামহাউ কমেন্ট করার আগেই আজকাল দেখতে পাই -- কারা রে রে করে তেড়ে আসবে, কে কে ব্যঙ্গ করবে আর কে কে অকারণে ফোঁচ-ফোঁচ করে চোখের জল ফেলবে -- গুরু আমায় জ্যোতিষি বানিয়ে ছাড়লো!!

    মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সম্বন্ধে সওয়াল করলেই নারীবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়া -- এটা ওভার-জেনারালাইজেশন নয়? ইন ফ্যাক্ট, বেশ কিছু আলোচনায় দেখেছি 'নারীবাদী' শব্দটা স্ট্যাম্পের মতো ব্যবহৃত -- দাগিয়ে দিতে পারলেই আর তার মতামতের কোন দাম নেই!

    বাকী রইলো হুতো -- ইন্সিকিওরিটি নিয়ে যা লিখেছি তা তোমায় বলা নয়, কোন ব্যক্তিবিদ্বেষপ্রসূত বলাও নয়। ওটা একটা অবজার্ভেশন।
  • san | 69.144.58.2 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৫:৪৫76199
  • ওগুলো নিয়ে প্রশ্ন নেই দুখেদা। যে তিনটে শব্দ বলেছি সেগুলো নিয়েই প্রশ্ন। সেগুলো জেনারালাইজ্ড কমেন্ট ছিলনা। সুতরাং তাবৎ গৃহবধূকে আমি বা দে-দি ন্যাকা বা আহ্লাদী বলেছি ধরে নিলে একটু মুখে কথা বসানো হয়ে যায় । এবং আমার আপত্তি করার জায়গা থাকে।
  • dukhe | 212.54.74.119 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৫:৪৭76200
  • নারীবাদী তকমা নিয়ে এত ইন্সিকিওরিটির কিসু নাই।
  • san | 69.144.58.2 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৫:৪৯76201
  • নারীবাদী তকমা আমি জীবনে প্রথমবার শুনছিনা ঃ-)
  • san | 69.144.58.2 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৫:৫০76202
  • কিন্তু জীবনে ইন্সিকিওরিটি বিহীন ভাবেও কিছু প্রশ্ন থেকে যায় , এটাই ট্র্যাজেডি।
  • Ekak | 125.115.139.226 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৫:৫৩76204
  • যেকোনো "বাদ" এর তকমা অস্বস্তিকর । মানুষ তো মনোলিথিক বাল নয় ,একটা এভার চেঞ্জিং এন্ড থিঙ্কিং এনটিটি । ভক্তি হোক মার্কস হোক বা ডাডা বা নারী ,বাদ শুনলেই থান ইঁট মারতে ইচ্ছে করে ।
  • jhumjhumi | 127.194.229.150 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৫:৫৩76203
  • আমি মোটেও দুঃখ পাচ্ছি না। সমাজে এরকম মেয়ে অনেক দেখা যায়, সেটাই বলতে চাইছিলাম। আর বিশেষণগুলো শুধুমাত্র চরিত্রে আটকে থাকেনি।
  • dukhe | 212.54.74.119 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৫:৫৭76205
  • কোন কোন তকমা স্বস্তিকর?
  • Ekak | 125.115.139.226 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৬:০৪76206
  • ট্রুলি স্পীকিং কোনটাই নয় :( মানবতাবাদ শুনেও গা জ্বলে । কেন বাপু আমি একটু খেন্কশেয়াল এর মত ন্যাজ নাড়লে কার কী ? তবে থেকে যায় এইসব বিষ ভেতরে ।তাই থান ইঁট । ক্রমাগত ভেঙ্গে যাওয়া ।
  • dukhe | 212.54.74.119 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৬:০৯76207
  • স্যান, দশটা কথার মধ্যে সাতটা জেনারাল আর তিনটে স্পেসিফিক বোঝা কি সহজ? তাছাড়া সে নিয়ে বলতে গেলে যখন de-বাবুর মনে "ঠাকুরঘরে কে"-র উপমা আসছে?
  • dukhe | 212.54.74.119 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৬:২৪76208
  • একককে ক।
    কাউকে নারীবাদী বলে দাগিয়ে দিলেই তার বক্তব্য ইনভ্যালিড হয়ে যায় না। কাউকে 'অনাথের নাথ, অগতির গতি' তকমা দিলেও তার যুক্তির মোকাবিলা করা হয় না।
  • san | 69.144.58.2 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৬:২৭76209
  • তকমা প্রসঙ্গে।
    আমি নারীবাদ বা নারীস্বাধীনতা কথাদুটো কোথাও ব্যবহারও করিনি , আর নিজেকে নারীবাদী বলে মনেও করিনা বা দাবিও করিনা। বিভিন্ন প্রসঙ্গে সকলেরই যেমন নানা মতামত থাকে, আমারও থাকে, আমি দিই। সেসব আমার ব্যক্তিগত মতামত। কোনো প্রকার নারীবাদের সঙ্গে আমি তাদের অ্যালাইন করিনি। কাজেই কেউ নিজ দায়িত্বে সেই অ্যালাইনমেন্ট করে নিয়ে বাক্যালাপ করলে আমি সেই মতামতের সঙ্গে নিজেকে অ্যাসোসিয়েটই করবনা।

    দুখেদা, এই জন্যেই প্রশ্ন করেছিলাম। ইন্সিকিওরিটির জন্য না। এখানেই নামহীন কেউ নারীবাদীদের উল্লেখ করে গাল দিলেন কিনা, তাই বলে রাখা ভালো মনে হল।
  • আশ্চর্য | 127.194.210.50 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৬:২৭76216
  • ""যারা ঘরে পোষা বরে পোষা টাইপ মেয়েদের খুব পছন্দ করেন বা স্মিতাদের বাস্তব প্রতিমূর্তিগণ সেসব গল্প পড়ে খুব খুশী হবেন, .... এদের দেখে বাস্তবে আমি যেমন বিরক্ত হই, তেমনি গল্পে পড়েও অনেকে অপছন্দ করবে....""

    এইটে পড়ে কি de-র বুঝতে খুব অসুবিধে হচ্ছে গল্প সমালোচনার আড়ে খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছেঃ
    ** ঘরে পোষা বরে পোষা টাইপ মেয়েদের দেখে বাস্তবে আমি বিরক্ত হই **

    এবং, আরো একধাপ এগিয়ে,

    ** গল্প পড়ে খুব খুশী যারা হয়েছেন তাদের একটা সেট এই ঘরে পোষা বরে পোষা টাইপ মেয়েদের বাস্তব প্রতিমূর্তিগণ, যাদের দেখে বাস্তবে আমি বিরক্ত হই**

    এই হোলিয়ার দ্যান দাউ অ্যাটিচুড ও "বিরক্তি"-র উল্লেখ নন-ওয়ার্কিং গৃহবধূদের এবং আরো বেশি করে সেই প্রোফাইলের যাঁরা এর আগে এসে গল্পটিকে পছন্দ করে গেছেন, তাদের কাছে যে কতখানি অপমানজনক সেটা কি de কে আলাদাভাবে বুঝিয়ে বলার দরকার আছে? আশ্চর্য !!
  • Ekak | 125.115.139.226 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৬:৩১76210
  • সেটাই । বাদ টেনে আনলে সব আলোচনা ওখানেই মায়ের ভোগে :(

    মানিক বন্দ্যৰ একটা প্রবন্ধে ছিল "মানুষের আকাশে যা কিছু তাই মানবিক নয় " (স্মৃতি থেকে,ভুল থাকলে শুধরে দেবেন ) ।
    শুযপকার পুষ্টি ও সুরক্ষার জন্যে গুটি পাকাবার দরকার হয় । বাদ হলো ওই গুটি । তারপর যখন ভেতরের পোকা টা ম্যাচিওর করে সে গুটি কেটে উড়ে যায় । সভ্যতার প্রথম দিকে মানুষের বাদ দরকার ছিল । কিন্তু মুশকিল যে মানুষ প্রাণীটা ম্যাচিওর হলো না । নানারঙের রেশমি গুটি পাকিয়েই যাচ্ছে আর নিজের আকাশ ছোট হতে হতে বন্ধ ।
  • dukhe | 212.54.74.119 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৬:৩৬76211
  • স্যান, আমিও কোথাও নারীবাদী-টাদী বলিনি। কারণ আমি নারীবাদ কাকে বলে তাই বুঝিনা। ইন্সিকিওরিটির কথাটাও আপনাকে নয়, de-র "বেশ কিছু আলোচনায় দেখেছি 'নারীবাদী' শব্দটা স্ট্যাম্পের মতো ব্যবহৃত -- দাগিয়ে দিতে পারলেই আর তার মতামতের কোন দাম নেই!" - এই লাইনটা নিয়ে বলা।
  • san | 69.144.58.2 (*) | ০৩ মে ২০১৩ ০৭:০৯76212
  • ওহো। বুঝতে পারিনি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন