এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  নববর্ষ ২০১৩

  • শ্যামাপোকা

    রূপঙ্কর সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ইস্পেশাল | নববর্ষ ২০১৩ | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৮০৬৮ বার পঠিত
  • - এক থাপ্পড় লাগাব অসভ্য মেয়ে, সিনিয়ারদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয় জাননা ?

    - যাব্বাবা, আমি কোথায় ভাল মনে বলতে গেলাম, তোমার জীন্‌সটা ফ্যান্টা, আর তুমি চমকে দিলে ? দেখ, সিনিয়ার বলে অত এয়ার নিওনা, মোটে তো দুবছরের বড় –

    - চমকে দিলাম আবার কী ভাষা, ঠিক করে কথা বল। আমাকে কী বলে ডাকলে তুমি ? আমার নাম শুচিস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছোট করে, স্মিতা। বুঝলে ?

    - কী করে জানব দিদিভাই, দুনিয়ার লোক তোমায় শ্যামা বলে ডাকে শুনি, তাই আমিও বললাম, শ্যামাদি। খুব অন্যায় করেছি না? পায়ে ফায়ে ধরতে হবে নাকি?

    নাম জিনিষটা খুব ডেঞ্জারাস। একবার রটে গেলে কোথা থেকে কোথায় চলে যায় কেউ বলতে পারেনা। এই যে সমাদ্দার সাহেব, কোথায় হ্যামিলটনগঞ্জ বলে নর্থ বেঙ্গলের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বদলি হয়ে এলেন। ওঁর বাড়িও ঐদিকেই। কিন্তু এতদূর এসেও নিস্তার নেই। নতুন জায়গায় জয়েন করার পর এক হপ্তাও কাটেনি, কেবিন থেকে হলে বেরোলেই চার দিকে আওয়াজ, ভুতো - ভুতো – প্রথম প্রথম একটু সন্দেহ ছিল, এরা কি আমায় বলছে? যাঃ, সে নাম এতদূরে বারাসতে লোকজন জানবে কী করে – কোথায় উত্তরবঙ্গের হাসিমারা আর কোথায় চব্বিশ পরগনার বারাসত। কিন্তু সন্দেহ নিরসন হল অচিরেই। অবশ্য সমাদ্দার সাহেবের সঙ্গে শুচিস্মিতার কোনও পরিচয় নেই, কোনও সম্পর্কও নেই। একটাই কমন ফ্যাকটর – বারাসত।

    ক্ষুদিরাম পল্লী থেকে বারাসত কলেজ কতই বা দূর, যাতায়াতেরও সুবিধে। কিন্তু সহ্যেরও একটা সীমা আছে। সেদিন ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েটার ওপর রেগে গিয়ে দুকথা বলায়, হ’ল আরো বিপদ। চতুর্দিকে এত ‘শ্যামাচরণ’ গজিয়ে গেল, যে কলেজ যাওয়াই এখন মুশকিল। ঐ যে, সেকেন্ড ইয়ারের হিস্ট্রির দেড়েলটা, হৃদয়পুর না কোত্থেকে যেন আসে। সেদিন হেঁড়ে গলায় শুরু করল, নেচে নেচে আয় মা স্যামাআআ – আমি মা তোর সঙ্গে যাব।  স্মিতার কান ফান লাল হয়ে গেল। কিন্তু যেদিন ব্যাটাচ্ছেলে আরও এক ধাপ আওয়াজ তুলে শুরু করল, স্যামা মা কি আমার কালোরে, স্যামা মা কি আমার কালো – কালো রূঊঊপে দিগম্‌বোরি হিদিপদ্‌দো করে মোর আলো – স্মিতা ছুটে কলেজ থেকে বেরিয়ে এল।

    স্মিতা বলল, বাপি, আমায় কোলকাতার কলেজে ভর্তি করে দাও, ইয়ার লস হলে হবে।  বাপি বললেন, সেকিরে, তুই কোলকাতায় যাবি পড়তে ? মরে যাবি মা, ট্রেনে এখন কুম্ভমেলার ভিড়। জনসংখ্যা কী হারে বেড়েছে তুই জানিস ? আবার ট্রেন থেকে নেমে বাস। সরাসরি বাসেও অবিশ্যি যাওয়া যায়, কিন্তু তুই পারবিনা মা। মা বললেন, সব নষ্টের গোড়া তুমি। ‘শ্যামাপোকা’ নামটা কে দিয়েছিল শুনি? এখন সাধু সাজছ ? বাপি বললেন, আহা সে তো আমার আদরের নাম, সেটা সবাই জানবে কেন। কিরে মা, তোকে সবাই শ্যামাপোকা বলে নাকি? স্মিতা বলল, চুপ কর বাপি, পোকা ফোকা বলেনা এখন। কিন্তু বাকিটাই বা বলবে কেন। আমি বারাসত কলেজে পড়বনা ব্যাস।

    মা বললেন, তোমার জন্য মেয়েটার কী সব্বোনাশ হ’ল বল দেখি। ওই রকম বিদ্ঘুটে নাম কেউ দেয় ? বাপি বললেন, কী আশ্চর্য, সে তো কোন ছোটবেলায় ও আলো দেখলেই ছুটে আসত বলে আমি আদর করে ডাকতাম। তোমার মনে নেই, সেবার ভাগলপুর থেকে বড়দি এল। বাংলার তেল মশলা সহ্য হয়নি, রাত্তিরে বারো চোদ্দবার বাথরুম গেছে। তা যতবার ওঘরের আলো জ্বলে আমার শ্যামাপোকা ততবার জেগে উঠে বারান্দায় বেরিয়ে যায়। মা বললেন, থামবে তুমি? আবার সেই অলুক্ষুণে নাম। মেয়েটা এক্ষুণি কেঁদে ভাসাবে। দরকার নেই ওর এখানে পড়ে। ও কোলকাতাতেই পড়বে।

    কোলকাতার কলেজে এসেও কি শান্তি আছে ? সেদিন জিসেক অর্চনাদি বলল, অ্যাই শুচিস্মিতা, তুমি নাচতে পার? এবার আমাদের সোশালে কবিগুরুর ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্য হচ্ছে, তুমি নাচবে তো ? প্রশ্নটা মোটেই ইনোসেন্ট নয়। অর্চনাদির মুখটা যে ফিচেল ফিচেল ছিল, তা ঠিক চোখে পড়েছে। স্মিতা সেদিন বাড়ি ফিরে বলল, বাপি, আমি আর পড়বনা। আমার বিয়ে দিয়ে দাও।

    ব্যানার্জিবাবু বললেন, বিয়ে? সে তো খুব ভাল কথা মা, কিন্তু একটাও পাশ দিবিনা ? না না, তোকে চাকরি করতে হবে তা বলছিনা, তবে ইয়ে, মানে পাত্রপক্ষও তো আজকাল একটু লেখাপড়া চায়। তুই না হয় আবার কলেজ বদল করে – স্মিতা বলল, তুমি আমার বিয়ে দেবে কিনা। হ্যাঁ আর দেখো, পাত্র যেন প্রবাসী হয়। আমি ওয়েস্ট বেঙ্গলে থাকব না।

    সাত সকালে দরজায় টিংটং। ব্যানার্জীবাবু হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুলেই দেখেন হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা একটা মোটাসোটা হাসিহাসি মুখ। কে, কী বৃত্তান্ত, এসব জিজ্ঞেস করার আগেই বলে কিনা, ও মশাই, আপনার মেয়েটাকে আমার চাই। ব্যানার্জীবাবু একটু ঘাবড়েই গেলেন, বারাসত আজকাল জায়গা ভাল নয়। প্রায় রোজই কাগজে চোখ কপালে তোলা খবর। ভাগ্যি ভাল মেয়েটা কলেজ যাওয়া বন্ধ করেছে। না ফেরা ইস্তক যা চিন্তা – কিন্তু এরকম মোটাসোটা হাসিমুখ হাফবুড়ো কিডন্যাপার ? লোকটাকে কোনওদিন বারাসতে দেখেছি বলেও তো মনে হচ্ছেনা।

    ব্যানার্জীবাবু ছ’খানা মাদুলি বাঁধা সিড়িঙ্গে হাতে বাইসেপ্‌স খুঁজে পেলেননা। স্যান্ডো গেঞ্জির ফাঁক দিয়ে তেত্তিরিশ ইঞ্চি বুকটাকে ফুলিয়ে ছত্তিরিশ করতে গেলেন, তাও হ’লনা। তবে কথা হ’ল, নিজের বাড়ি, এটা নিজের পাড়া, তার ওপর দিনের বেলা, মামদোবাজি নাকি? – কি ক্কি ক্কি ব্যাপার কী, মেয়েটাকে চাই মানে ? কী ভেবেছেন কী, দেশে আইন কানুন সব উঠে গেছে নাকি? যদিও এ ব্যাপারে খানিক সন্দেহ নিজেরও ছিল, তবু বললেন, সাহস তো কম নয় – মোটা লোকটা বলল, সে আপনি যাই বলেন, মামনিকে আমি নিয়ে যাবই। আজ প্রিলিমিনারি কথাবার্তা বলে গেলাম। আর একদিন আসব চা খেতে।

    আবার চা খেতে আসবে বলছে। শ্যামাকে, থুড়ি স্মিতাকেই বোধহয় মামনি বলল, কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছেনা। ব্যানার্জীবাবু বললেন, তা সে চা নাহয় আজই খেয়ে যান, কিন্তু ব্যাপারটা – লোকটা বলল, আমি সমাদ্দার, ব্লক অফিসে সবে চার্জ নিয়েছি। আজ চাপাডালির মোড়ে বাস থেকে নামতে গিয়ে কাদা ভর্তি গত্তে পা পড়ে কি আছাড়টাই না খেলাম। চশমাটা কোথায় চলে গেল, কিচ্ছু দেখতেও পাচ্ছিনা, হঠাৎ দেখি একটা মেয়ে এসে আমায় তুলে ধরল, ওড়না দিয়ে কাদা মুছিয়ে দিল, আবার ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়ে ব্যান্ডেজ – না মশাই এ মেয়ে আমার চাই। তাবলে ছেলে আমার ফ্যালনা নয়, রীতিমত আর্কিটেক্ট, বরোদায় পোস্টেড। এই বৈশাখেই –

    বাড়ি বয়ে সম্বন্ধ ? আবার এই মেয়েই চাই ? ওদিকে মেয়ে যেমনটি বলেছিল, ছেলে ওয়েস্ট বেঙ্গলের বাইরে – কার মুখ দেখে উঠলাম আজ, কিন্তু – কিন্ত, আমতা আমতা করে ব্যানার্জীবাবু বললেন, ইয়ে, মানে আজকাল এগুলো অনেকে মানেনা, তবে আমাদের আত্মীয়স্বজন একটু গোঁড়া বুঝলেন, মানে সমাদ্দার ফমাদ্দার – মোটা লোক রেগে গেল। ফমাদ্দার মানে? এইযে, এটা কী ? বলে জামার তলা থেকে খামচে একটা তেলচিটে পৈতে বের করল। নির্ভেজাল বামুন মশাই, রীতিমত ভরদ্বাজ। আপনি তো শান্ডিল্য, ওহ্‌একেবারে রাজযোটক মশাই। ব্যানার্জীবাবু তবু বললেন, ইয়ে মানে, এদেশি রাঢ়ী ফাঢ়ী নয় তো? সমাদ্দার বললেন, আরে মশাই ঢাকা অর্জিনাল। এই বৈশাখেই কিন্তু –

    সমাদ্দার জুনিয়রের ভাল নাম অলকেন্দু, ডাক নাম আলো। জামাই দেখে তো ব্যানার্জী পরিবার থ। এতো সত্যি আলো করে আছে গো, আমাদের মেয়ের চেয়েও তো জামাই দেখতে ভাল। জামাইয়ের ছুটি শেষ, বরোদায় উড়ে গেল তারা। সেখানে আলোর সারাদিন কাজ আর কাজ, স্মিতার সময় আর কাটতে চায়না। বেশ রাত করেই ফেরে আলো। স্মিতা দৌড়ে গিয়ে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আদর খায়। দুষ্টুমি করে জামাই বলে, ও, আলো দেখলেই দৌড়ে আসো, তুমি আমার শ্যামাপোকা।

    - খি ? খি ভললে থুমিঃ ? খি ভললেঃ ? নাকের পাটা ফুলে আছে, স্মিতা ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে – ছিটকে সরে যায়। আমি কালই বারাসত চলে যাব। এক সপ্তাহের মধ্যে উকিলের চিঠি পাবে তুমি – পেছন পেছন আলো দৌড়য়, আরে আরে হ’লটা কী, কী এমন বললাম – দড়াম করে মুখের ওপর দরজা বন্ধ হয়ে গেল। নাও এবার সোফায় ঘুমোও।

    ব্যানার্জীবাবু বললেন, কিন্তু মা, সেই নামটা তো আলোর  জানার কথা নয়, বরোদার লোক বারাসতের নাম জানবে কেমন করে, ওটা ও কিছু না ভেবেই – স্মিতা বলে, তুমি চুপ কর। আমার শ্বশুরের নাম ভুতো তুমি জান ? হ্যামিল্টনগঞ্জের নাম বারাসতের লোক জানল কী করে ? তুমি একটা ভাল উকিল দেখ। ব্যানার্জী বাবু বললেন, কী বিপদ, একটা বিয়ে দিতেই তো প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্ধেক বেরিয়ে গেল। যদি আবার দিতে হয় – আচ্ছা তুই না হয় ক’দিন একটু ভেবে নে। স্মিতা বলল, ভাবার কিছু নেই। তুমি উকিল ডাক, ডিভোর্সের কারণ দেখানো হবে, মেন্টাল টর্চার। ব্যানার্জীবাবু বললেন, কাউকে শ্যামাপোকা বললে মেন্টাল ইয়ের কেস দাঁড়াবে? মানে, আমিও ও তোকে আদর করে শ্যামাপো – স্মিতা দৌড়ে বেরিয়ে গেল।

    আট দিনের দিন একটা ফোন এল স্মিতার মোবাইলে –

    - স্মিতা ফোন অন করল। ওদিক থেকে -

    - হ্যালো – হ্যালো –

    - এদিকে চুপ।

    - হ্যালো, আমি আলো বলছি –

    - হ্যাঁ দেখা যাচ্ছে, নামেই সেভ করা আছে।

    - সাত দিন তো কেটে গেছে, উকিলের চিঠি পাইনি।

    - এদিকে চুপ।

    - ভাল উকিল কি পাওয়া গেছে? আমার চেনা একজন ছিলেন –

    - ইয়ার্কি হচ্ছে? ফোন কেটে দেব কিন্তু –

    - বলছি কি, চলে এলে হ’তনা? এখানে এসেও তো সেপারেশন চাওয়া যায়।

    - আমার ভাল লাগছেনা –

    - ভাল কি আমারই লাগছে –

    - যদি ফিরে যাই, কী নামে ডাকবে আমায় ?

    - ওই যে, আলোর সঙ্গে যে নাম ওতপ্রোত না কি যেন বলে, -শ্যামাপোকা -

    স্মিতা গিয়ে বলল, বাপি আমায় প্লেনের টিকিট কেটে দাও প্লীজ, একটু খরচা হবে তোমার। তা দুবার বিয়ে দেয়ার চেয়ে তো অনেক কম।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৮০৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:০৯76130
  • পাই, উদা নিন, বাবা রামদেব ধরনের এক ব্যক্তিকে নায়ক করে গপ্পো লিখলেন কেউ আর দেখালেন ঐ ভাবে ধ্যান করিয়ে তিনি হোমোসেক্সুয়ালিটি সারিয়ে দিচ্ছেন। তখন যদি কোনো পাঠক আপত্তি করে মানবেন তো?
    আবার ধরুন, একজন ব্যক্তি মন্ত্রপূত মাটি চেয়ে এনে চোর ধরে দিলেন, মানে চুরির দ্রব্য পাওয়া গেল, সেই মন্ত্রপূত মাটি ওয়ালা লোককে নায়ক করে এক গল্প লিখলেন একজন, তখন যদি কোনো পাঠক আপত্তি করেন, মানবেন তো?
    এগুলো উদাহরণ মাত্র।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:১৩76131
  • আর লক্ষ্য করে দেখুন পাই, কেন জিংকের প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করলেন, তাই নিয়ে ব্যখ্যা করতে বলা হয়েছে।
    তাই ভাবি, এই যে হাজার হাজার ক পড়ে, কই কাউকে তো ব্যখ্যা করতে বলা হয় না কেন ক দিলেন!!!!
  • bb | 127.195.181.122 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:১৩76118
  • গল্পটা বিধান রায়ের নামে আছে যে উনি নাকি পথের পাঁচালি শুনে এটাকে PWD এর থেকে অর্থ সাহায্য করার কথা বলেছিলেন।
  • | 190.215.6.109 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:১৮76132
  • ভগবান এদের তুমি ক্ষমা করো ঃ(((
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:২০76133
  • ব, উনি কাদের ক্ষমা করবেন????
  • Tim | 12.133.41.112 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:২২76134
  • শ্যামাপোকাদের বোধয়
  • pi | 172.129.44.120 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:২৪76136
  • এতো এক্সট্রীমে চলে যাওয়া হল। যাইহোক, আমিও এক্সট্রীমে গিয়েই বলি,চোর, ডাকাত, ঠগ, দুর্নীতিগ্রস্ত,এমন কেউ সাহিত্যের কি সিনিমার নায়ক, এমনও হয়নি নাকি ? ঃ)

    আর আবারো বল্লাম, আমার মনে হয়নি , ওটা জিন্ককে কেন সমর্থন করা হল বলে জবাবদিহি চাওয়া হচ্ছে, বরং কী মনে হয়েছে, আগেই লিখেছি।

    এবং, আর না।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:২৪76135
  • সেতো ক্ষমা করেই রেখেছেন, প্রতি কালিপূজায় ওদের বহুজনকে নিজের কাছে নিয়ে নেন তো! ঃ-)
  • শ্যামাপোকা | 172.129.44.120 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:২৭76138
  • ক্ষমা, প্রভু, ক্ষমা।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:২৭76137
  • আমার স্পষ্টই মনে হয়েছে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে।

    সে যাক।

    এবারে জিংকের বিদায়।

    কিন্তু আলোচনা থামাবেন না।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.200.55 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:৩৫76119
  • দুখে, লসাগু, ধন্যযোগ। লিখে তো যাচ্ছিই। ধানাই পানাই শুরু করেছি ২০০৩ সালে। তখন কি গুরুচন্ডালির নাম শুনেছি? আমার মেয়ের সঙ্গে গুচের সম্পর্ক বহু কালের, সে বিদেশে থাকা কালীন। সে-ই ভারতে ফিরে এসে একদিন আমায় দেখাল, এই দেখ আমাদের ম্যাগাজিন। এতে তুমিও লিখতে পার। তাও লিখিনি। ধুর আমার লেখা কে পড়বে। আমি নিজেই লিখি, নিজেই পড়ি। নাটকগুলো অবিশ্যি অভিনয় হয় হেথায় হোথায়। শেষ সুমেরু আর পাইয়ের তাড়ায় কিছু কিছু লেখা দিতে শুরু করি। তবে সমস্যায় পড়েছি আগেও। আসলে ঐযে বললাম। কালচারাল ডিফারেন্স। এইযে এই কাহিনীতে একটা নামই মূখ্য, সেটা অনেকে না বুঝে বিয়ে ইত্যাদিকে ফাল্ক্রাম ধরেছেন। তাঁদের ত্রুটি নেই, এই যে নাম ধরে ক্ষেপানো, তাতে রেগে গিয়ে সাংঘাতিক সাংঘাতিক কান্ড ঘটানো বা পালিয়ে যাওয়া, এটা তাঁরা কোনওদিন দেখেননি বলেই গল্পের বাকি ব্যাপারগুলো প্রকট হয়েছে। কিন্তু আমি দেখেছি। অনেক দেখেছি। তাই আমার গল্পের একটা পুরো সিরিজ আছে এই ব্যাপারে। কী করা যাবে, সবই অদৃষ্ট।
  • lcm | 34.4.162.218 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:৩৯76120
  • এটা তো আছে, সত্যজিৎ রায়-এর লেখাতেই আছে। সত্যজিত পথের পাঁচালী-র অসমাপ্ত প্রিন্ট বিধান রায়-কে দেখিয়েছিলেন। কোন খাত থেকে অনুদান বের করা যায় ভেবে বিধান রায় বলেছিলেন "পথ" যখন রয়েছে তখন pwd-র উন্নয়ন খাত থেকে পথের ওপর ডকু টাইপের কিছু একটা দেখিয়ে অনুদান বের করা যাবে।

    বিভূতিভূষণ-কে দেশ-এর সম্পাদক বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন - কারণ উনি অনেক লেখা এনেছিলেন - লার্জ ভল্যুম - সম্পাদক বলেছিলেন, এত লেখেন কেন, কে পড়বে এত, প্রুফই বা করবে কে, একটু সাইজ ছোটো করুন... এসেট্রা.... - দেশে-ই কখনও বেরিয়েছিল।
  • পাবদা | 166.45.254.69 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৯:০১76139
  • সোসেন'এর কথাতেই বলি - এরকম নিরামিষ মিত্তি মিত্তি একটা গপ্পে এত কূটকচালি হল কি করে মাথায় ঢুকল না ।
    সিনেমার মতন এবার থেকে কি গল্প লেখাতেও আগে একটা করে disclaimer দিয়ে দিতে হবে - "নিম্নোক্ত লেখাটি কোনো জীবিত বা মৃত - বিশেষ জাতি বা পশু-পাখি কিম্বা টেবিল চেয়ার'দের আঘাত করিলে তা নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত এবং কেবলমাত্র গল্পের খাতিরে ব্যবহৃত"?
  • Ishan | 60.82.180.165 (*) | ০১ মে ২০১৩ ১২:৩৭76094
  • লেখার মান ইত্যাদি নিয়ে নয়। এমনিই দুটো কথা বলার ছিল। প্রথম কথাটা zinkএর তথাকথিত পাঠপ্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে। পড়ে আমার মনে হয়েছে, কোনো গল্পের লেখকের "ন্যাকাষষ্ঠীপনা" বোধহয় কোনো মাপকাঠিতেই শীলিত পাঠপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে পড়েনা। অনেকেই জিঙ্কের পাঠপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে অনেকাংশে একমত হয়েছেন। তাঁরা লেখক সম্পর্কে এই মতামত বিষয়ে নিজের অবস্থান প্রকাশ করবেন আশা করি।

    দ্বিতীয়তঃ zink এর প্রথম পোস্টের সঙ্গে অনেকেই দেখলাম একমত হয়েছেন। তা, সেই পোস্টটি আমি এখানে পেস্ট করলামঃ
    "এই গল্প কোন সময়ের? ষাট কি সত্তরের দশকের হলে কথা নেই, কিন্তু এই ২০১৩ সালে হলে কেমন কেমন লাগে! মেয়েরা কি এখনো এরকম "বাবা আর পড়বো না, বিয়ে দিয়ে দাও" ধরনের মানসিকতা লালন করে? আর বাবা আর হবু শ্বশুরে মিলে এখনো এরকন জাতগোত্র রাঢ়ী বারেন্দ্র ঠিকুজী কুলুজী মিলিয়ে বিয়ে দেয়?"

    এটা পড়ে আমি স্তম্ভিত বললেও কম বলা হয়। zink ও তাঁর পাঠপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা একমত হচ্ছেন, তাঁরা কি সত্যিই জানেন না, যে, এই ২০১৩ সালেও এই মানসিকতা বিদ্যমান? এবং এটা ঘোর বাস্তব? এই গুচর পাতায় এতগুলো মানুষ এরকম স্বকপোলকল্পিত একটি ধারণার শিকার ভাবতে আমার বেশ অবাকই লাগল। আমি কি ভুল ভাবছি? একটু ব্যাখ্যা চাইছি।
  • jhumjhumi | 127.194.244.128 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০১:০৭76165
  • আমিও দুএক কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না। গুরুতে যাঁরা লেখেন বা মিনিময় করেন, তাঁরা প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষিত, উচ্চমেধার মানুষ। আমার মতো 'ঘরে পোষা বরে পোষা' ক'জন আর আসেন ? কিন্তু এর বাইরেও একটা জগৎ আছে, সেখানে উচ্চমেধাসম্পন্ন মানুষের সংখ্যাটা কিন্তু বেশ কম। সেখানে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ মেয়েদের কাছে বিয়েটা লজ্জারও নয়,দুঃখেরও নয়। কারণ ছোটোবেলা থেকেই তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জেনে এসেছে বিয়েকরে সংসার তাকে একদিন না একদিন করতেই হবে। গল্পের মেয়েটিকে আমার বাপের আদুরে, সাধারণ মানের মেয়ে বলেই মনে হয়েছে।সে যখন ওরকম একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির থেকে পালাতে চাইছে, তখন বিয়ের কথা আসাটাই স্বাভাবিক। এখন একজন উচ্চশিক্ষিত , মেধাবী মহিলার সঙ্গে একটি সাধারণ মেধার মেয়ের দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য তো থাকবেই। আর এরকম ন্যাকা, অকর্মার ঢেঁকি, ঘরেপোষা বরে পোষা মেয়েদের একটু চোখ তুলে তাকালে চারপাশে দেখা যায়। কারণ সমাজের বেশীরভাগটা জুড়েই এরা রয়েছে। আর কোলকাতার কথা জানিনা, কিন্তু গ্রামে বা মফঃস্বলে এরকম শ'য়ে শ'য়ে মেয়ে দেখা যায়,যাদের কুষ্ঠী ঠিকুজি,কুলুজি, গোত্র, গণ লগ্ন সব কিছু মিলিয়েই বিয়ে হয়, এমনকি পণ দিয়েও, এই ২০১৩ তেও।
  • san | 131.242.177.19 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০১:২৩76166
  • দুখেদা, মার্কা আমার দিক থেকে কেন লাগল বলতে পারি। গল্পের লাস্ট লাইনটা দেখুন। মেয়ে যে বাপের লায়াবিলিটি সেটা কি আহ্লাদীর সঙ্গে ঘোষণা করা হচ্ছে। আত্মসম্মান টম্মান থাকলে হাজার সেন্স অফ হিউমারের পরেও এরম বলা যায় বলে আমার মনে হয় না। বলা বাহুল্য, এটা ব্যক্তিগত মতামত ।
    বাকি মিনিময় কাল।
  • @#$%^ | 69.160.210.2 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০১:৩৩76167
  • হ্যাঁ, সেই মেয়েরা একটু আধটু লেসার মর্টাল তথা বিরক্তিকর বলেই মতামতপ্রদাণকারী নারীবাদীরা মনে করেছেন, তাতে কি আর করা যাবে?
  • কৃশানু | 177.124.70.1 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০১:৩৬76168
  • 'মতামতপ্রদাণকারী নারীবাদীরা'-র বদলে 'কিছু মতামতপ্রদাণকারী' বললে কি ভাব প্রকাশ পেত না?
  • S | 175.112.121.245 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০১:৩৮76169
  • ঝুমঝুমি,
    এরপর ক্খনো 'ঘরে পোষা, বরে পোষা' টাইপের মন্তব্য শুনলে ব্যাখ্যামূলক উত্তরে যাবেন না (আপনি যেমন লিখেছেন)। কথাটা যে বলছে তাকে বলবেন যে তার মাথার চারপাশে বাবলটা এতই বড় যে তার জলে ডুবে যাবার কোনো চান্স নেই। মেসেজটা ঠিক যায়্গায় পৌঁছাবে।
  • Ishan | 202.43.65.245 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০১:৪৯76170
  • এর কি একটা টই হয়েছে? নাকি এখানেই লিখতে হবে?
  • dukhe | 127.194.244.128 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০১:৫০76171
  • ধু-উ-র, স্যানও যেমন! আরে বাবাকে বলবে না তো কি সুদীপ্ত সেনকে টিকিট কেটে দিতে বলবে? বাবা মা হল বাবা মা - সেখানেও যদি ইগো, থুড়ি, আত্মসম্মন মেপেজুপে চলতে হয় তাহলে আর বিধানবাবুর অফিসার কী দোষ করলেন?
  • শঙ্খ | 118.35.9.186 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০২:০৩76172
  • বোঝো! আর আমি কলকাতায় ফিরলে এখনো বাবার কাছেই হাত পেতে টাকা নি।

    আমি কি ছেলে হয়েও বাপের লায়াবিলিটি? ইসস এই সব কূট প্রশ্ন, কিন্তু আপাতগ্রাহ্য ব্যাপারগুলো আগে মাথায় খেলে নি।
  • pi | 78.48.231.217 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০২:১০76173
  • এটাই তো টই হয়ে গেছে।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০২:১১76174
  • দে-দি, দুর্বলকে আঘাত ইত্যাদি (de on 02 May 2013 13:00:33 IST 69.185.236.52 (*) #) কাল ভাটে পড়ে থাকলে নির্ঘাৎ আমার পোস্টই পড়েছো। তো, ইন্সিকিউরিটি ইত্যাদি আমার নানা রকম আছে ঠিকই, কিন্তু পরনির্ভরশীল দুর্বল মেয়ের ওপর আঘাত/প্রশংসা যাই হোক, সেটা আমি নিজের দিকে কি করে টেনে আনবো ঠিক বুঝলাম না।

    আর তা থেকে ইন্সিকিরিটির সমীকরনও পছন্দ হলো না, তবে সে তো ব্যক্তিগত ব্যাপার।

    মিনিময় করবোই, এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০২:১৮76175
  • কি মুশকিল আবার লিখতে হবে? টই খুঁজবো না ঝগড়া করবো?
  • kiki | 69.93.253.141 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০২:৩৫76140
  • বাবারে!

    তবে ঘর পোষা, বর পোষা(?), ন্যাকা, অকর্মার ঢেকি , আহ্লাদে হিসেবে আমারো খুব খারাপ লাগে যখন লোকে এদের এই দোষ গুলো নিয়ে চরম অবজ্ঞা ফোটায় তাদের কথাবার্তা, হাবভাবে। সবাই তাই করে। অনেকেই ছোট থেকে আমার যা চাই, তাই চাই বলে কেড়ে নিতে জানে, অনেকে জানেনা। এখন কিভাবে নিক্তি মেপে বিচার হয় যে কে গ্রেট?

    আর বিয়ে না হয় আগে জাত গোত্র মেনে হত, খুব ভালো বা হওয়া উচিত এমন তর্কে যাচ্ছি না, কিন্তু এখন কিছু না মেনেই হয়? কেরিয়ার, স্বভাব এসব দেখা হয় না? সময়ের সাথে সাথে মাপকাঠিগুলো পাল্টায় না? তাহলে কিভাবে প্রমান হয় যে আধুনিকতা খুব ভালো বাকি সব খারাপ? এও তো কোন গ্রেট কিছু নয়। আগে হয়তো সিকিউরিটি ঐভাবে দেখা হত,ভালো ঘর মনে ভালো শিক্ষা, এক জাত মানে একই ভাবনার ধরন।

    আর সব সময় সবাই যদি যুদ্ধু করে, এটা ঠিক বলে নিক্তি নিয়ে বসেই থাকে , ন্যাকারা , অকর্মার ঢেঁকিরা না থাকে তবে সমাজে সুন্দর, মিষ্টি, নরম অনুভব গুলো টিঁকবে তো?
  • a x | 138.249.1.202 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০২:৩৮76176
  • দুখে, আমি ঈশানের প্রতিক্রিয়ার কথা বলেছি, অন্য কারো না।
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০৩:৩৯76177
  • 'ঘরে পোষা, বরে পোষা' - এই ধরণের বিশেষণে আমার জেনুইন আপত্তি আছে। 'পোষা' শব্দ-টা জন্তু-জানোয়ার, পাখী ইঃ-র উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, যেমন কুকুর, বেড়াল পোষা, বা টিয়া, ময়না পোষা।
    মানুষ-কে এই আখ্যা দেওয়াটা ঠিক না।
  • | 24.97.169.51 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০৩:৫৭76178
  • 'ছাপোষা' সম্পর্কে অরণ্যের কী বক্তব্য? (নিতান্তই কৌতুহলী, মিনিময়ে আগ্রহী নই)
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ০২ মে ২০১৩ ০৪:০২76179
  • ছাপোষা মানে সাধারণ, এই জানি। ব্যুৎপত্তি-গত অন্য কোন অর্থ থাকলে জানি না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন