এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার পূজো

    Nishan Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৪ | ২৮৫০৮ বার পঠিত
  • যেকোন দ্রব্যের আগে বিলিতি জুড়ে দিলে তার গুণ রীতিমত লোপ পায়, এ জিনিস বহুকাল যাবৎ চলে আসছে ! যেমন ধরা যাক বিলিতি বেগুন, আপনি পড়ছেন আর ভাবছেন এ বোধহয় আমেরিকার ফলন্ত ঝুলন্ত বেগুন, কিন্তু না! বিলিতি বেগুন হোলো টমেটো, পুরুলিয়ার দিকে আবার অনেকে টমেটোকে বলেন বিলিতি আমড়া। তাহলেই দেখুন, কেবল মাত্র বিলিতির গুণে বেগুনের বেগুনত্ব আর আমড়ার আমড়াগাছি লোপ পেয়ে কেমন একই রকম লালচে টমেটোয় পরিণত হোলো।
    তেমনই বিলিতি পূজোও একটি দুর্ঘট বস্তু বিশেষ, যা না বিলিতি না পূজো!
    বিলিতি বাঙালীও তাই, না বাঙালী না বিলিতি। এঁদের মূলতঃ দু একটি বিলিতি বন্ধু থাকে, আন্তর্জাতিকতার জন্য, বাকি এঁরা নিজেদের বৃত্তেই ঘুরঘুরে পোকার মত ঘুরঘুর করেন। তার মধ্যে কিছু আবার সুনীল গাঙ্গুলীর অনুপ্রেরণা, অতএব হাফ বিলিতি ধারায় স্ত্রী শয়ান দেন পরপুরুষের সাথে আর সেই অজুহাতে সোয়ামী কচি মেয়ে পেলেই কচলে হাতের সুখ করে নেন। কিন্তু রসুনের মতই মাথা আলাদা হলেও পশ্চাদ্দেশ আবিষ্ট যুগযুগান্তব্যাপী সংস্কারে, বাজারে কেচ্ছার ভয়ও আছে, অতএব বিবাহটি বজায় থাকে, আর ঐখানেই বিলিতিয়ানার শেষ। বদহজম আর কাকে বলে!
    এঁরা প্রতি সন্ধেয় প্রায় হুইস্কি বা ওয়াইন সহযোগে দেশের জন্য মড়াকান্না কেঁদে থাকেন, ফিরতে যদিও কেউ আটকাচ্ছে না, তবু নানা কাঁদুনি। অধিকাংশের এটা স্বীকার করার সৎসাহস পর্যন্ত নেই যে তাঁদের এখানে দিব্যি লাগে। দোষটাই বা কি তাতে? কিন্তু না, তাঁরা না কাঁদলে গঙ্গার জল কমে যাবে না, তাই বিদেশে বসে এঁরা নিরন্তর গঙ্গায় অশ্রু সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। আর দেশীয় রাজনীতির দুর্দশা নিয়ে টেবিলে তুফান তোলেন।
    মাঝে মাঝে দেশে গিয়ে এঁরা চাদ্দিক আলো করেন, এবং অভাগা আত্মীয়স্বজনকে বুঝিয়েই ছাড়েন বিলেতে কি হারে সুবিধা আমের মত গাছে ঝোলে আর "ইণ্ডিয়া কি ডার্টি বাবারেএএএ বাবারে, আর পারিনে!"
    গেলবার দিল্লী এয়ারপোর্টে বাঙালী বরের বিলিতি বউ দেখেছিলাম, বউ আমার সাথে বাংলায় কথা বললো দিব্যি, দাদা কিন্তু কলকাতা ছাড়ার পর বাংলায় আর শব্দক্ষয় করেননি, পাঞ্জাবী পাজামা ছেড়ে প্লেনের বাথরুম থেকে যখন বেরুলেন জিম করবেট মার্কা হাফপ্যাণ্ট পরে, কোন শালায় বলে বাঙালী সাহেব হতে শেকেনি!
    এঁরা শিখলেন না কাজের লোকের সাথে সমান ব্যবহার করতে, আমার মত ছাত্তরকে দেখলেই যাঁদের নাক হাফ কুঁচকে আসে কাজের লোকের প্রতি তাঁদের মহিমাময় ব্যবহার কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
    যাইহোক কতিপয় বন্ধুবর্গের নিরতিশয় অনুরোধে আমার দ্বিতীয়বার বিলিতি পূজোর আমড়াগাছি দেখার সুযোগ হোলো, আগেই বলেছিলাম তাঁদের, যে এ অতি দুষ্পাচ্য দ্রব্য, কিন্তু গরীবের কথা বাসি হলে ফলে, তাই তাঁরা গেলেন, ঢুকলেন, তিতিবিরক্ত হয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে এলেন।
    এখন শরৎকাল, ইংরাজমতে আটাম, যদিও মার্কিন দেশে 'ফল' কথাটা চলে, এবং গাছের পাতা সব ফাঁকা হয়ে যায় বলে ঐটেই আমার লাগসই লাগে, তবু বাটামের সাথে মিলের জন্য আটামটাই আমার পছন্দ। প্রকৃতি, শীতের কামড়টুকু বাদ দিলে সেজেছেন পরমা রূপে, প্রদীপ নেভার আগে দপ করে জ্বলার মত গাছের পাতায় উঁকি দিচ্ছে হলুদ-লাল আগুন। নাঃ বঙ্গপ্রকৃতির মাধুর্য নেই বটে, কিন্তু এ অনন্য সৌন্দর্য অস্বীকার করি কি করে? কি অসামান্যা তিনি, তাঁর রূপে দশদিশ আলোকিত হোক।
    এমন শরৎ দিনে, গাড়ি চড়ে বেরোলাম পূজা সন্দর্শনে, ভালো কথা। পথের চাদ্দিক দেখি আর কেমন যেন নেশা লাগে, নেশার মত আশ্লেষে জড়িয়ে ধরতে চায় গাছের সবকটি পাতা, সবকটি ডাল, সবকয়টি গুল্ম যেন শরীরে আগুন জ্বালিয়ে ডাকছে হাতছানি দিয়ে।
    সে যা হোক, সেসব পার করে অবশেষে উপনীত হলাম পথের উপান্তে, একটি হাইস্কুলের সামনে। (নামটা নাই বা বললাম, হরে দরে সবই এক)।
    ভিতরে ঢুকতেই দেখি, একটি টেবিলে হত্তা কত্তা বিধাতা তিনজন বসে আছেন, তাঁদের একজন আমরা কেবল প্রতিমা দর্শন করবো জেনে বললেন "১০ টাকা করে দিয়ে দিন তাহলে"। এখন মনে হচ্ছে ঐ টাকায় দু প্যাকেট রফিকির চিকেন ওভার রাইস হয়ে যেতো, অতি উপাদেয়। যা হোক দিয়ে তো ঢুকলুম, কিন্তু ঠিক ঢোকার সময়েই, যিনি আমাদের চাঁদা সংগ্রহ করছিলেন তাঁর সামনে এসে এক কাকিমা গোছের ভদ্রমহিলা এসে ইংরাজীতে কিসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করলেন, আমার মন আনন্দে চনমন করে উঠলো, ভাবলাম বাঙালী প্রাদেশিকতা ছেড়ে বোধহয় আধুনিক হচ্ছে। কিন্তু সে মোলাসেস এ স্যাণ্ড! কতিপয় মুহূর্ত পরে তাঁর বিলিতি উচ্চারণের সুশীল বাংলা শুনে আমার উৎসাহ নেমে গেলো ফুস করে!
    তার প্রভাবেই বোধকরি, আমাদের চাঁদাকত্তা কাকু ফস করে মোড সুইচ করে চলে গেছেন ইঞ্জিরিতে, আমার দুবার বাংলা গলাখাঁকারিতেও কাজ হোলো না, অতএব সাধু সাবধান। চলো প্রতিমা সন্দর্শনে, আনন্দবাজারে পড়েছো, কুমোরটুলির হেববি উপকার হয় এসবে, তাও তুমি জানো, অতএব ভজ মন দুর্গানাম।
    ভিতরে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ, উৎসবের দিন সাজগোজ না করলেই নয়, অতএব পাটভাঙা শাড়ি আর পাঞ্জাবীর ধাঁধায় চোখে তালা লেগে গেলো, ভাবতুম বিলিতিরা বোধহয় ভালোভাবে বুড়োতে জানে না, কিন্তু ঠাকুমাদের গালে লালচে আভা দেখে সে ভ্রম আমার দূরীভুত হোলো। স্থান কাল পাত্র নির্বিশেষে যে উটকো লোক থেকেই থাকে এই বিশ্বাসে স্থির হলাম অবশেষে।যে সমস্ত ফ্যাসান বঙ্গভূমে পাঁচ বছর আগে উপে গেছে তাদের নব আবির্ভাব। কিছু ব্লাউজ দেখে ভাবলুম বোধকরি প্রাচীন আদিবাসী সংস্কৃতি ফিরে আসছে, ওষ্ঠরঞ্জনী, গণ্ডরঞ্জনীতে সে ভুল গেলো ভেঙে।
    সাথে পাঞ্জাবী বন্ধু, সে পাছে ভাবে দুর্গাপূজার উৎস ও উদ্দেশ্য বাণিজ্যমেলা, তাই প্রাণপণে বোঝাতে শুরু করলাম কি কেন এবং কিভাবে দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসব থেকে বঙ্গীয় আবেগে পরিণত হয়েছে।
    ভুল পথে চলে পৌঁছে গেছিলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘরে, সেখানে ২৫ টাকা লাগতো, যাহোক যে কাকু সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি জানালেন তিনি বঙ্গভাষণে অপারগ, কি দুঃখের কথা! তিনি জানালেন হস্তবন্ধনী (যার দাম ২৫টাকা) ব্যতিরেকে প্রবেশ নিষেধ, উল্টোপথে হাঁটা দিলুম ফের।
    করিডোরের ভিতরে হট্টগোল, একদিকে ললনারা শাড়ি জামা গয়না কিনছেন আর অন্যদিকে সুনীল গাঙ্গুলীর কিছু মধ্যমানের বই, বাঙালনামা ইত্যাদি বিক্কিরি হচ্ছে. শুনতে পেলুম "বাঙালনামাটা পড়েছিস? ব্যপক বই" (ভাগ্যিস ভারতবর্ষে রাত, নইলে তপনবাবু নিশ্চিৎ হেঁচকি তুলতেন)
    সেসব কাটিয়ে ঢুকলাম প্রতিমা দর্শনে, ভিড়ে ভিড়াক্কার, আর কত রকমেরই চোখ দেখলুম, লাল নীল সবুজ বেগুনী রামধনু, সাথে টিসু পেপার থাকলে সৌন্দর্যের ভারী বিপদ, রঙের চলটা উঠে গেলেই কেলোর কীর্তি, সাড়ে সর্বনাশ। যাকগে সে আমার বিচার্য বিষয় নয়।
    তদুপরি ফেসবুক জমানায় পূজোয় গেলেই হয়না, একদিনের যে বাঙালীয়ানা উদযাপন, তা লোককে না জানালে হবে কেমন করে? কাজেই ফটো তোলার ঘনঘটায় গগন অন্ধকার, জনতার ফাঁকে ফাঁকে দুর্গামাতার রূপের ঝলক দেখাগেলো।
    তবে কিনা অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চড়চড় করবেই, বাঙালীয়ানার তালেগোলেও সেই চড়চড়ে অবস্থা!
    অতএব প্রবল ভিড়, পূজো না মেলা না মোচ্ছব বুঝতে বুঝতেই বন্ধুদের হাঁফ ধরে এলো, আমরাও বেরিয়ে এলাম।
    বাইরে আদিগন্ত সবুজ, বিকেলের রাঙা রোদ পড়েছে তেরচা হয়ে মাঠের কোণায়। হঠাৎ মনে হোলো এর আনন্দই বা কম কি?
    মৃত্যুধূপে আগুন জ্বালিয়ে ফুসফুসের শ্রাদ্ধ করলাম কিছুক্ষণ তারপর বাঙালী সুখাদ্যের আশায় পাড়ি দিলাম ক্যালকাটা অ্যাফেয়ার বলে এক রেস্তোরাঁর উদ্দেশ্যে!
    পথ বেশি না, মাইল পাঁচেক। রাস্তা ওয়ালপেপারের মত, ফোয়ারা, আর লাল হলুদ পাতা, তাই যাবার পথে শুঁড়িপথ নিলাম অষ্টাদশ শতকের এক চার্চের দিকে। চার্চের সামনে পৌঁছে দেখি, ওমা একি, সামনের মাঠে হরিণ চরে বেড়াচ্ছে। হরিণী চোখ তুলে চাইলে আমার দিকে, গাড়ি থেকে নামলাম, নিশ্চল মুর্তির মত, নিরন্তর মৃত্যুর মত হরিণী তখনো তাকিয়ে আমার দিকে, তার ঘাস খাওয়া শেষ, আর ঠিক যে মুহূর্তে আমি ভাবতে শুরু করেছি জ্যান্ত তো, একলাফে বাদামী বিদ্যুতের মত সে হারিয়ে গেলো হলুদ বনে, বোধহয় তার নাকচাবি গেছে হারিয়ে। চাদ্দিক শুনশান, কেউ কোথাও নেই, আর বাতাসে হিমেল পরশ, তাই বিশেষ কালক্ষেপ না করেই আবার উঠলাম গাড়িতে।
    মাইল তিনেক দূরেই রেস্তোরাঁ, সামনে ইলেক্ট্রিকের তারে আটকে দ্বাদশীর চাঁদ, এদেশে চাঁদ কেমন হলদে রঙের হয়। আর যখন ওঠে তাকিয়ে থাকলে কেমন ঘোর লেগে যায়। মনে হয় হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোন কথা। মনে হয় এই সব মেকী, সব রঙের চলটা, সাদা বাদামী হলদে মানুষের ভিড় এসব কিচ্ছু নয়, এই চাঁদে লাল মানুষের বর্শা হাতে ছুটে যাবার কয়া বাদামী ঘোড়ায় চড়ে, তার বর্শা চকচক করুক হলদে চাঁদের আলোয়, আর তার বর্শা দেখুক রক্ত, হলদে আলোয় বাদামী রক্ত ঝরে যাক পাথুরে মাটিতে, আর তৃপ্ত হোক এই বন্য মৃত্তিকা।
    যাহোক, ২০১৪য় দিবাস্বপ্নের আয়ু মিনিট কয়েক, বুফে খেতে ঢুকলুম রেস্তোঁরায়। তখনও ফাঁকা ছিলো, দুটি মার্কিন পরিবার, একটি ভারতীয় গ্রুপ যার দুজন অবাঙালী। ওয়েটার পূর্ব ইউরোপীয়, ভারী অমায়িক লোক। বোধহয় পূজোর কদিন ভিড়ভাট্টা বেশি হচ্ছে, অনভ্যেসের দরূণ তিনি হাঁসফাঁস করছেন তখনো।
    কিন্তু সাধু সাবধান, কিছুক্ষণের মধ্যেই জনা দশেকের একটি বাঙালী গ্রুপ এবং জনা চারেকের আরেক বাঙালী পরিবার এসে বসলেন আমাদের সামনে। সেই একই মেকী- আনা, কিছু ওয়াইন আল্ট্রা আঁতলামি এবং চামচে দিয়ে ডালভাত খাওয়া। সামনের দশজনের দলের কথায় বুঝলুম এঁদের রাত হয় না, night হয়, আর "kids দের ওদিকে পাঠিয়ে দিলে Adults রা এদিকে বসতে পারে, degeneracy কমে" অহো বাহ্য, পাশের টেবিলে দেখি আরেক কেলোর কীর্তি। এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা এসেছেন, তিনিই আমার সেদিনের বাঙলা। পায়ে তাঁর চটি, পরণে সবুজ শাড়ি, বোধহয় পাশের টেবিলের বঙ্গসাহেবের মা। প্রসঙ্গতঃ শহুরে ভারতীয় বিদেশে গেলে মা এর মূলতঃ আমদানি ঘটে সন্তানলাভ হলে, এদেশে আয়া রাখা অতীব খরচসাপেক্ষ। ইউরোপীয় সভ্যতা এদেশে পৌঁছতে এখনো বছর পঞ্চাশেক দেরী আছে।
    মহিলা বড়ই উসখুস করছেন, করারই কথা, আমরাই করছি। কিন্তু আমাদের বয়েস কম, হজমশক্তি বেশী।
    চামচে দিয়ে খেতে গিয়ে তাঁর নাজেহাল দশা, হাত দিয়ে শুরু করার মুহূর্তেই ছেলের কটমট দৃষ্টিপাতে আবার চামচে। হে ধরণী দ্বিধা হও!
    অখাদ্য কিছু পাঁটার মাংস, আর গোয়ানীজ চিঙড়ির ঝোল খেয়ে এমনিতেই মেজাজ খিঁচড়ে দোদমা, তায় এসব নাটক দেখে ভারী বিষাদ নেমে এলো হলদে বাল্বের আলোয়। আমরা বেরোলাম বাড়ির পথে। মাঝে হায়দার দেখার কথা নিউপোর্ট মলে।
    এবারেই চমক, ভারতীয় সভ্যতার চমক। বাঙালী সদা হীনমন্যতায় ভোগে, প্রাণপণে মুছে ফেলতে চায় আত্মপরিচয়! যে সাহেবরা মলত্যাগের পর কাগজ দিয়ে পশ্চাদ্দেশ মোছে, কিন্তু প্রস্রাবের পর হাতধোয়ার ঘনঘটায় পৃথিবীর জলসঙ্কট ঘটিয়ে ফেলে তাদের নকলে বাঙালীও নানা জিনিস রপ্ত করতে থাকে, আরো একটু বাড়ালে, একা বাঙালী কেন, ভারতীয় মাত্রেরই এই ঔপনিবেশিক দাস মনোবৃত্তি আছে। কিন্তু পার্মানেণ্ট মার্কারের কালি তোলা কি অতই সহজ? তাই যেখানেই ভারতীয় সেখানেই ক্যাঁচাল। এঁরা বাঙলা হিন্দী বলেন বিলিতি টানে, ইংরিজিটা ঠিক কিসের টান তা বোঝার সাধ্য আমার কেন? ঈশ্বরের বাবারও নেই। বাঙলা বলার ফাঁকে ফাঁকে প্রতিশব্দ হাতড়াতে হয়। অবশ্য খোদ পশ্চিমবঙ্গেই আজকাল ইংরিজি জানার চেয়ে বাঙলা না জানার গরিমা বেশি। মা মেয়েকে বলেন "দেখো দেখো night এ কত star আকাশে" "ঐ দেখো বাবু, tiger" "আজ ঐ green জামাটা পরে যেও কিন্তু"। বাড়িতে অতিথি এলে বাঙালী বাচ্চা আজকাল ছড়ার বদলে rhyme বলে। দেশোদ্ধার হচ্ছে সন্দেহ কি?
    নিউপোর্ট মলের সিনেমায় ঈদ ও দুগগোপূজোর ডবল ধামাকায় তখন ত্রাহি মধুসূদন দশা। অতএব বাথরুমেও তার ব্যতিক্রম না। অন্য সব দিন যে মলের বাথরুম ঝকঝক করে, তার ক্লোজেটে ক্লোজেটে গু ভেসে বেড়াচ্ছে, এবং জায়গাটা চেন্নাইয়ের সিএমবিটি বাসস্ট্যাণ্ডের বাথরুমের চেয়েও নারকীয় আকার ধারণ করেছে! জাতের গুণ যাবে কোথায়!
    যাইহোক হায়দার আর দেখা হোলো না, হাউসফুল, রাত ১১টা অব্দি ভয়ানক বাজে ভূতের সিনেমা দেখে নিউ ইয়র্কের রাস্তা ধরলাম।
    আর সেই রাতেই আমার পূজো, রাত দেড়টার "এল" ট্রেনে আমার সম্মুখবর্তিনী, সাদা টি শার্ট আর মেক আপ ছাড়া কবিতার মত বসে রইলো। হাই তুলতে যখন মুখ হাঁ করে আলতো সরালো, দেখি পেছনের পোস্টারে লেখা "poetry in motion", সে কোথায় নামলো, কি করে, কি খায় কোথায় থাকে আমার কিচ্ছু জানার নেই, শুধু রেখে দিলাম গতিময় কবিতার স্থবির স্মৃতিটিকে, এবারের পূজোর ছবি বলে।
    যাইহোক এই আমার পূজো, শেষে একটাই কথা, দুধের সাধ ঘোলে মেটাবেন সেও ভি আচ্ছা, কিন্তু না ঘরকা না ঘাটকা চুল্লু দিয়ে মেটালে চোঁয়াঢেকুর ও বদহজমের, এবং শেষে বমণের প্রবল আশঙ্কা!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৪ | ২৮৫০৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ২১৮ - Nishan Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৪74955
  • এ জিনিস দেখেছি, জাপানী টয়লেট গুলো এর'ম, হেববি দাম।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৪74954
  • দেশের কর্পো আপিসে ঢোকা হয়নাই।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৪74953
  • এত কিছু হয়ে গেলো, লোকজনের মূল আগ্রহ কিন্তু হাগা এবং ছোঁচানো নিয়ে :P
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৪74952
  • বাহ! ছবি এল তো!

    তো কথা হচ্ছে ঐ বোতামগুলোর একটা টিপলে জল বেরিয়ে এসে কার্যসিদ্ধি করিয়ে দেবে।
  • Arpan | 125.118.24.17 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৬74956
  • অ। এইটা তো উচ্চকোটির ব্যপার। সে তো শুনেছিলাম আমাদের ক্লায়েন্টের জুরিখ আপিসে নিচ থেকে হাগজ এসে পাছু পরিষ্কার করে দেবার যন্ত্র আছে, বোতাম টিপলেই হল। এই নিয়ে বিয়ারের মগ হাতে বিলেতের সাহেবদের কী টিপ্পনি।

    (টিপ্পনি করার কারণ অন্য, মালিকানা পাল্টে যাবার পরে ইউকে থেকে আইটির দোকান গুটিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল)
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৭74958
  • জলের টেম্পারেচর কন্ট্রোলেরও ব্যবস্থা আছে। যেমনটি আপনার পছন্দ বানিয়ে নিন ঃ-)
    অবশ্য অ্যামেক্সের অফিসে মনে হয় টেম্পারেচর কন্ট্রোল ছিল না। আর এতটা স্লিকও নয়। তবে এ সবই অনেকদিনের কথা।
  • Arpan | 125.118.24.17 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৯74959
  • তবে যন্ত্র কি আর বুঝবে কোনখানে কতটা জল লাগবে? সেদিক থেকে হ্যান্ড শাওয়ার বেস্ট। স্পিড, ডিরেকশন, ইন্টেন্সিটি সবই প্রয়োজনমত ম্যানিপুলেট করা যায়।
  • Du | 230.225.0.38 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০২74962
  • নিশান লিখেছেন - যদি ফিরে যাই , যদি না ফিরতে পারি - 'যদি' ?

    ভেবে দেখুন রায় দেবার আগে।

    আমাদের ছোটবেলার একটা গানের কলি মনে পড়ে গেল - আইনা মুঝসে মেরি পহেলি সি সুরৎ মাঙ্গে
  • দারুন | 233.29.204.178 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০২74961
  • Comment from Nishan on 08 October 2014 22:26:46 IST 156.96.24.205 (*) #
    আর তেমন জরুরি বৌদির দরকার হলে ফোন করুন, এখানে লেখা যাবে না :-প

    'জরুরি বৌদি' - হেব্বি হয়েছে
  • jaladhar no. 1 | 172.233.205.42 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০২74960
  • দেশের জেটগুলোর সব ভাল, খালি অত্যন্ত পুওর ম্যানুফ্যাক্চারিং। কদিন অন্তর অন্তর বদলাতে হত। তবে আমি ছেলেবয়েস থেকেই সাহেব। বাপকা বেটা। দেশেই হাগজকা ইস্তেমাল করতাম। তার ফলে এদেশে এসে একটা জিনিস অনুকরণ করার হাত থেকে জলধর বাঁচিল।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০৪74963
  • ঐটা দামী ভার্সান। ওর সস্তা ভার্সান হল জেটস্প্রে। মেঝেত একফোঁট্টাও জল পড়ে না।
  • adhuli | 190.148.69.210 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১১74964
  • কি নিয়ে এই থ্রেড টা সুরু হয়েছিল, সেটা ভুলে গেছি মাইরি। তবে হাগজ আর কমোড নিয়ে যে জ্ঞান লাভ করলাম, জবাব নেই। কোনো কথা হবে না। এটা নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ লেখা চাই, please না করবেন না। যা expertise লেভেল দেখলুম, একটা দু-মনি বই হয়ে যাবে, গুরু র থ্রেড তো কোন ছার। আর একাক-দা, ভুলবেন না, আমরা এখনো পেছনে আছি। নিশান শান্তি তে থাক, আমাদের পেছন টাও শান্তি পাক। ওম শান্তি ওম।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১২74965
  • যদি তুলে দিলুম, আমার গুষ্টির কেউ এদেশে টেকেনি, আমিও টিকবো না, আমার জ্বালাবার মত আর কিছু নেই, সব ফাঁকা! ফিরবোই! না ফিরলে কুকুর কিনে দেবো, আমার নাম দিয়ে পুষবেন 'খন!
  • sosen | 24.139.199.11 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১৩74966
  • মা, মাগো। তুলে নে মা!
    আমি শুধু হুচিকে বলবো, নির্ভয়ে ঘোরো। বেসিক সাবধানতা নিয়ে। আমি বহুদিন থেকে একলা টই টই পার্টি, তবে আগে বরম কম ভয় করতো, এখন একটু ভয় ভয় করে বটে। লাখনৌ এর অচেনা রাস্তায় রাত্তিরের ট্রেনের আগে চিকন খুঁজতে চলে গেছি, হিম ঠান্ডা, লোক্জন নাই--রাত্তিরের খোয়াইতে বসে থেকেছি একা, গুরগাঁও-এর রাস্তা দিয়ে একলা রাত তিন্টেয় ক্যাবে ফ্লাইট ধরতে দিল্লি এসেছি-ভয় টয় করেনি। আজকাল নিরাপত্তা খুঁজি।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১৪74967
  • মাইরি, এসব কম্পাইল করে গু বিশ্বকোষ বানিয়ে ফেলুন, আমি এলুম, কাল গাইডের সাথে দেখা করার আছে, হেবি ফাটছে, টাটা, সবাই ভালো থাকুন, শুভ বিজয়া, আরো একটা লেখা দিয়েছি, দু পিস কবিতাও দিলাম, অনেক দিন আগে কেউ আমার উন্মাদের পাঠক্রম সিরিজটা চেয়েছিলেন, তুলে দুটো দিলাম, পরে পরে আরো দেওয়া যাবে। টাটা আবার
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১৬74968
  • কোলোস্তমি ব্যাগের কোথায় মনে পরল। আমার এক আত্মীয়া বম্বের টাটা মেমোরিয়াল-এ ভর্তি ছিলেন, তার সঙ্গে রুম শেয়ার করছিলেন এক বয়স্কা বিহারী মহিলা, স্বামীর সঙ্গে এসেছেন। রেকটাল ক্যান্সার। সার্জারী হবে টবে সব ঠিক। নার্স কাগজ সই করাতে নিয়ে এলো, সঙ্গে কনসেন্ট ফর্ম যে এই সার্জারির একটা রিস্ক এনাল স্পিন্ক্তার-এর নার্ভ কেটে যেতে পারে, সেটা হলে সারাজীবন ফিকাল ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হবে। মহিলা বললেন, ছট পুজো করব কি করে? দরকার নেই আমার! পরের দিনই ডিসচার্জ হয়ে বাড়ি চলে গেলেন।

    যার যা প্রায়োরিটি!
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২২74969
  • হাগজ নিয়ে এত কিছু নাই। দুদিকেই আছে।

    একদিকে -
    হাইগ্যা কাগজ দিয়া পাছা মোছা! ছ্যা! রামো! ঐ বিষ্ঠার টুকরা শক্ত হইয়া পাছায় ঝুলতাছে সারাদিন, তাই নিয়া ঘর বাড়ি বাস ট্রাম আপিস কাছারি - ছ্যা ছ্যা ছ্যা!

    অন্যপক্ষ -
    হাইগ্যা হাত দিয়ে পাছা ধোয়া! হাত দিয়া? নিজের হাত দিয়া? যে হাতে তুমি খাবা, সন্তানের গালে হাত দিয়া আদর করবা, অন্য সুধীগণের লগে হ্যান্ডশেক করবা, সেই হাতে ক্যাতক্যাতে বিষ্ঠা - ওরে আমার ভ্গবান রে (ও মাই গড) !!
  • sm | 233.223.158.99 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২৫74970
  • খাইসে! আমি তাইলে সাহেব হইলাম। কারণ আমি দেশে গেলেও হাগজ ব্যবহার করি। পাকাপাকি ফিরলেও তাই করব। কারণ বাথরুমে জল ফেলা/ ভিজে বাথরুম আমার বিলকুল না পসন্দ। এবং এটা আমেরিকা আসার আগে থেকেই।
    ---
    ভাগী, মনে হয় একটা টেনে গুল মারলো। ভিজে বাথরুম না পসন্দ হলে, ভাগী কি দেশে থাকা কালীন চান করে না?
    এক দিকে হাগজ ব্যবহার অন্য দিকে কয়েকদিন আচান করা শরীর।আমার শরীল টা তো ভেবেই চান করার জন্য আনচান করছে।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২৬74971
  • করি তো! কিন্তু হয়ে গেলেই "জল-ঠেলা" দিয়ে জল ভাগিয়ে দি। বাথরুম ফাস্তকেলাস শুকিয়ে যায়।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২৭74972
  • ও সোসেন, এখন ভয় করে বলছ কেন? ভয়ের কারন কি বেড়েছে? আমি তো ছোটবেলায় ঘুরেছি কিছু একা একা। বছর দশ-বারো আগে। সে ঘোরার অভিজ্ঞতা খুব স্বস্তিদায়ক বলতে পারিনা। দমদি আর দে-দির কথায় ভরসা পেলাম। ভাবলাম বয়েস বেড়েছে। এখন বুঝি পারবো। তুমি বাগড়া দাও কেন?
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২৯74973
  • চান করলে তো যেকোন দেশেই চানের জায়গাটুকু ভেজে। সেটুকু না ভিজিয়ে চান করা কি সম্ভব? কোন জাপানি টেকনোলজি কি আছে এ বিষয়ে?
  • Arpan | 125.118.24.17 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩২74975
  • শাওয়ার কিউবিকল বসান। অথবা বাথটাব আর শাওয়ার কার্টেন। (পয়সা ও জায়গা থাকলে)
  • sm | 233.223.158.99 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩২74974
  • জল ঠেলা দিয়ে জল ভাগিয়ে, ভাগী যদি বাত্থুম শুকোতে পারে; তবে টয়লেট নয় কেন?
    আর অনেকের তো টয়লেট আর বাত্থুম এক সঙ্গে থাকে।
  • Ekak | 24.99.187.118 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩৩74976
  • বেড়িয়ে পড়ুন । আমার দুই বন্ধু দিব্য ঘুরে বেড়ান সারা ভারত । একসঙ্গে গ্রুপেও যাই আবার ওরা একা একাও ঘোরে । বিপদ বা বিপদের সম্ভাবনা থাকেই । নিজেকে শুধু সাহসী ভাববেন না । দেখবেন আর বিপদ নাই । এটা মেয়ে বলে না ছেলেদের ক্ষেত্রেও সত্যি । কেও সুপারহিউম্যান নই তো ।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩৪74977
  • সেটা অনেক চেষ্টা করেও করাতে পারিনি।

    আর এসেম-এর শেষ পোস্ট টা কিছুই বুঝলামনা।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩৮74978
  • চানের পর জল ঠেলা দিয়ে জল শুকোনো বড় বিরক্তির কাজ। শাওয়ার কিউবিকলই ভালো।

    একককে, দুজন না, একা একা বেড়ানোর কথা জিগ্যেস করছিলাম তো! দুজন থাকলে অনেক কিছুই বেশ সোজা হয়ে যায়। একা একা বেড়ালে বাথরুম যাওয়া বড্ড চাপ। আমেরিকাতে সুটকেস সহ বাথরুমে ঢুকে যাই।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৪১74979
  • দেশে এখনো মেয়েদের জন্যে পাবলিক টয়লেট অপ্রতুল। খুবই সমস্যা, ডায়াবেটিস থাকলে আরোই।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৪২74980
  • হুইলচেয়ার টয়লেটও প্রায় নেই বললেই হয়।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৪৬74981
  • মেয়েদের টয়লেট তবু আছে। হুইলচেয়ার টয়লেট আমি একটিও দেখি নি, এক আধটা হাইফাই শপিং মল ছাড়া।

    হুচি, আমি সাধারণতঃ পুলিশ বা হোমগার্ড পেলে তাদের জিম্মায় মালপত্র রেখে বাত্থুমে যাই। না পেলে চায়ের দোকান, বাদামওলা যাঁকে পাই তাঁর কাছেই জিম্মা রেখে যাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন