এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার পূজো

    Nishan Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৪ | ২৮৫৩৫ বার পঠিত
  • যেকোন দ্রব্যের আগে বিলিতি জুড়ে দিলে তার গুণ রীতিমত লোপ পায়, এ জিনিস বহুকাল যাবৎ চলে আসছে ! যেমন ধরা যাক বিলিতি বেগুন, আপনি পড়ছেন আর ভাবছেন এ বোধহয় আমেরিকার ফলন্ত ঝুলন্ত বেগুন, কিন্তু না! বিলিতি বেগুন হোলো টমেটো, পুরুলিয়ার দিকে আবার অনেকে টমেটোকে বলেন বিলিতি আমড়া। তাহলেই দেখুন, কেবল মাত্র বিলিতির গুণে বেগুনের বেগুনত্ব আর আমড়ার আমড়াগাছি লোপ পেয়ে কেমন একই রকম লালচে টমেটোয় পরিণত হোলো।
    তেমনই বিলিতি পূজোও একটি দুর্ঘট বস্তু বিশেষ, যা না বিলিতি না পূজো!
    বিলিতি বাঙালীও তাই, না বাঙালী না বিলিতি। এঁদের মূলতঃ দু একটি বিলিতি বন্ধু থাকে, আন্তর্জাতিকতার জন্য, বাকি এঁরা নিজেদের বৃত্তেই ঘুরঘুরে পোকার মত ঘুরঘুর করেন। তার মধ্যে কিছু আবার সুনীল গাঙ্গুলীর অনুপ্রেরণা, অতএব হাফ বিলিতি ধারায় স্ত্রী শয়ান দেন পরপুরুষের সাথে আর সেই অজুহাতে সোয়ামী কচি মেয়ে পেলেই কচলে হাতের সুখ করে নেন। কিন্তু রসুনের মতই মাথা আলাদা হলেও পশ্চাদ্দেশ আবিষ্ট যুগযুগান্তব্যাপী সংস্কারে, বাজারে কেচ্ছার ভয়ও আছে, অতএব বিবাহটি বজায় থাকে, আর ঐখানেই বিলিতিয়ানার শেষ। বদহজম আর কাকে বলে!
    এঁরা প্রতি সন্ধেয় প্রায় হুইস্কি বা ওয়াইন সহযোগে দেশের জন্য মড়াকান্না কেঁদে থাকেন, ফিরতে যদিও কেউ আটকাচ্ছে না, তবু নানা কাঁদুনি। অধিকাংশের এটা স্বীকার করার সৎসাহস পর্যন্ত নেই যে তাঁদের এখানে দিব্যি লাগে। দোষটাই বা কি তাতে? কিন্তু না, তাঁরা না কাঁদলে গঙ্গার জল কমে যাবে না, তাই বিদেশে বসে এঁরা নিরন্তর গঙ্গায় অশ্রু সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। আর দেশীয় রাজনীতির দুর্দশা নিয়ে টেবিলে তুফান তোলেন।
    মাঝে মাঝে দেশে গিয়ে এঁরা চাদ্দিক আলো করেন, এবং অভাগা আত্মীয়স্বজনকে বুঝিয়েই ছাড়েন বিলেতে কি হারে সুবিধা আমের মত গাছে ঝোলে আর "ইণ্ডিয়া কি ডার্টি বাবারেএএএ বাবারে, আর পারিনে!"
    গেলবার দিল্লী এয়ারপোর্টে বাঙালী বরের বিলিতি বউ দেখেছিলাম, বউ আমার সাথে বাংলায় কথা বললো দিব্যি, দাদা কিন্তু কলকাতা ছাড়ার পর বাংলায় আর শব্দক্ষয় করেননি, পাঞ্জাবী পাজামা ছেড়ে প্লেনের বাথরুম থেকে যখন বেরুলেন জিম করবেট মার্কা হাফপ্যাণ্ট পরে, কোন শালায় বলে বাঙালী সাহেব হতে শেকেনি!
    এঁরা শিখলেন না কাজের লোকের সাথে সমান ব্যবহার করতে, আমার মত ছাত্তরকে দেখলেই যাঁদের নাক হাফ কুঁচকে আসে কাজের লোকের প্রতি তাঁদের মহিমাময় ব্যবহার কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
    যাইহোক কতিপয় বন্ধুবর্গের নিরতিশয় অনুরোধে আমার দ্বিতীয়বার বিলিতি পূজোর আমড়াগাছি দেখার সুযোগ হোলো, আগেই বলেছিলাম তাঁদের, যে এ অতি দুষ্পাচ্য দ্রব্য, কিন্তু গরীবের কথা বাসি হলে ফলে, তাই তাঁরা গেলেন, ঢুকলেন, তিতিবিরক্ত হয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে এলেন।
    এখন শরৎকাল, ইংরাজমতে আটাম, যদিও মার্কিন দেশে 'ফল' কথাটা চলে, এবং গাছের পাতা সব ফাঁকা হয়ে যায় বলে ঐটেই আমার লাগসই লাগে, তবু বাটামের সাথে মিলের জন্য আটামটাই আমার পছন্দ। প্রকৃতি, শীতের কামড়টুকু বাদ দিলে সেজেছেন পরমা রূপে, প্রদীপ নেভার আগে দপ করে জ্বলার মত গাছের পাতায় উঁকি দিচ্ছে হলুদ-লাল আগুন। নাঃ বঙ্গপ্রকৃতির মাধুর্য নেই বটে, কিন্তু এ অনন্য সৌন্দর্য অস্বীকার করি কি করে? কি অসামান্যা তিনি, তাঁর রূপে দশদিশ আলোকিত হোক।
    এমন শরৎ দিনে, গাড়ি চড়ে বেরোলাম পূজা সন্দর্শনে, ভালো কথা। পথের চাদ্দিক দেখি আর কেমন যেন নেশা লাগে, নেশার মত আশ্লেষে জড়িয়ে ধরতে চায় গাছের সবকটি পাতা, সবকটি ডাল, সবকয়টি গুল্ম যেন শরীরে আগুন জ্বালিয়ে ডাকছে হাতছানি দিয়ে।
    সে যা হোক, সেসব পার করে অবশেষে উপনীত হলাম পথের উপান্তে, একটি হাইস্কুলের সামনে। (নামটা নাই বা বললাম, হরে দরে সবই এক)।
    ভিতরে ঢুকতেই দেখি, একটি টেবিলে হত্তা কত্তা বিধাতা তিনজন বসে আছেন, তাঁদের একজন আমরা কেবল প্রতিমা দর্শন করবো জেনে বললেন "১০ টাকা করে দিয়ে দিন তাহলে"। এখন মনে হচ্ছে ঐ টাকায় দু প্যাকেট রফিকির চিকেন ওভার রাইস হয়ে যেতো, অতি উপাদেয়। যা হোক দিয়ে তো ঢুকলুম, কিন্তু ঠিক ঢোকার সময়েই, যিনি আমাদের চাঁদা সংগ্রহ করছিলেন তাঁর সামনে এসে এক কাকিমা গোছের ভদ্রমহিলা এসে ইংরাজীতে কিসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করলেন, আমার মন আনন্দে চনমন করে উঠলো, ভাবলাম বাঙালী প্রাদেশিকতা ছেড়ে বোধহয় আধুনিক হচ্ছে। কিন্তু সে মোলাসেস এ স্যাণ্ড! কতিপয় মুহূর্ত পরে তাঁর বিলিতি উচ্চারণের সুশীল বাংলা শুনে আমার উৎসাহ নেমে গেলো ফুস করে!
    তার প্রভাবেই বোধকরি, আমাদের চাঁদাকত্তা কাকু ফস করে মোড সুইচ করে চলে গেছেন ইঞ্জিরিতে, আমার দুবার বাংলা গলাখাঁকারিতেও কাজ হোলো না, অতএব সাধু সাবধান। চলো প্রতিমা সন্দর্শনে, আনন্দবাজারে পড়েছো, কুমোরটুলির হেববি উপকার হয় এসবে, তাও তুমি জানো, অতএব ভজ মন দুর্গানাম।
    ভিতরে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ, উৎসবের দিন সাজগোজ না করলেই নয়, অতএব পাটভাঙা শাড়ি আর পাঞ্জাবীর ধাঁধায় চোখে তালা লেগে গেলো, ভাবতুম বিলিতিরা বোধহয় ভালোভাবে বুড়োতে জানে না, কিন্তু ঠাকুমাদের গালে লালচে আভা দেখে সে ভ্রম আমার দূরীভুত হোলো। স্থান কাল পাত্র নির্বিশেষে যে উটকো লোক থেকেই থাকে এই বিশ্বাসে স্থির হলাম অবশেষে।যে সমস্ত ফ্যাসান বঙ্গভূমে পাঁচ বছর আগে উপে গেছে তাদের নব আবির্ভাব। কিছু ব্লাউজ দেখে ভাবলুম বোধকরি প্রাচীন আদিবাসী সংস্কৃতি ফিরে আসছে, ওষ্ঠরঞ্জনী, গণ্ডরঞ্জনীতে সে ভুল গেলো ভেঙে।
    সাথে পাঞ্জাবী বন্ধু, সে পাছে ভাবে দুর্গাপূজার উৎস ও উদ্দেশ্য বাণিজ্যমেলা, তাই প্রাণপণে বোঝাতে শুরু করলাম কি কেন এবং কিভাবে দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসব থেকে বঙ্গীয় আবেগে পরিণত হয়েছে।
    ভুল পথে চলে পৌঁছে গেছিলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘরে, সেখানে ২৫ টাকা লাগতো, যাহোক যে কাকু সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি জানালেন তিনি বঙ্গভাষণে অপারগ, কি দুঃখের কথা! তিনি জানালেন হস্তবন্ধনী (যার দাম ২৫টাকা) ব্যতিরেকে প্রবেশ নিষেধ, উল্টোপথে হাঁটা দিলুম ফের।
    করিডোরের ভিতরে হট্টগোল, একদিকে ললনারা শাড়ি জামা গয়না কিনছেন আর অন্যদিকে সুনীল গাঙ্গুলীর কিছু মধ্যমানের বই, বাঙালনামা ইত্যাদি বিক্কিরি হচ্ছে. শুনতে পেলুম "বাঙালনামাটা পড়েছিস? ব্যপক বই" (ভাগ্যিস ভারতবর্ষে রাত, নইলে তপনবাবু নিশ্চিৎ হেঁচকি তুলতেন)
    সেসব কাটিয়ে ঢুকলাম প্রতিমা দর্শনে, ভিড়ে ভিড়াক্কার, আর কত রকমেরই চোখ দেখলুম, লাল নীল সবুজ বেগুনী রামধনু, সাথে টিসু পেপার থাকলে সৌন্দর্যের ভারী বিপদ, রঙের চলটা উঠে গেলেই কেলোর কীর্তি, সাড়ে সর্বনাশ। যাকগে সে আমার বিচার্য বিষয় নয়।
    তদুপরি ফেসবুক জমানায় পূজোয় গেলেই হয়না, একদিনের যে বাঙালীয়ানা উদযাপন, তা লোককে না জানালে হবে কেমন করে? কাজেই ফটো তোলার ঘনঘটায় গগন অন্ধকার, জনতার ফাঁকে ফাঁকে দুর্গামাতার রূপের ঝলক দেখাগেলো।
    তবে কিনা অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চড়চড় করবেই, বাঙালীয়ানার তালেগোলেও সেই চড়চড়ে অবস্থা!
    অতএব প্রবল ভিড়, পূজো না মেলা না মোচ্ছব বুঝতে বুঝতেই বন্ধুদের হাঁফ ধরে এলো, আমরাও বেরিয়ে এলাম।
    বাইরে আদিগন্ত সবুজ, বিকেলের রাঙা রোদ পড়েছে তেরচা হয়ে মাঠের কোণায়। হঠাৎ মনে হোলো এর আনন্দই বা কম কি?
    মৃত্যুধূপে আগুন জ্বালিয়ে ফুসফুসের শ্রাদ্ধ করলাম কিছুক্ষণ তারপর বাঙালী সুখাদ্যের আশায় পাড়ি দিলাম ক্যালকাটা অ্যাফেয়ার বলে এক রেস্তোরাঁর উদ্দেশ্যে!
    পথ বেশি না, মাইল পাঁচেক। রাস্তা ওয়ালপেপারের মত, ফোয়ারা, আর লাল হলুদ পাতা, তাই যাবার পথে শুঁড়িপথ নিলাম অষ্টাদশ শতকের এক চার্চের দিকে। চার্চের সামনে পৌঁছে দেখি, ওমা একি, সামনের মাঠে হরিণ চরে বেড়াচ্ছে। হরিণী চোখ তুলে চাইলে আমার দিকে, গাড়ি থেকে নামলাম, নিশ্চল মুর্তির মত, নিরন্তর মৃত্যুর মত হরিণী তখনো তাকিয়ে আমার দিকে, তার ঘাস খাওয়া শেষ, আর ঠিক যে মুহূর্তে আমি ভাবতে শুরু করেছি জ্যান্ত তো, একলাফে বাদামী বিদ্যুতের মত সে হারিয়ে গেলো হলুদ বনে, বোধহয় তার নাকচাবি গেছে হারিয়ে। চাদ্দিক শুনশান, কেউ কোথাও নেই, আর বাতাসে হিমেল পরশ, তাই বিশেষ কালক্ষেপ না করেই আবার উঠলাম গাড়িতে।
    মাইল তিনেক দূরেই রেস্তোরাঁ, সামনে ইলেক্ট্রিকের তারে আটকে দ্বাদশীর চাঁদ, এদেশে চাঁদ কেমন হলদে রঙের হয়। আর যখন ওঠে তাকিয়ে থাকলে কেমন ঘোর লেগে যায়। মনে হয় হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোন কথা। মনে হয় এই সব মেকী, সব রঙের চলটা, সাদা বাদামী হলদে মানুষের ভিড় এসব কিচ্ছু নয়, এই চাঁদে লাল মানুষের বর্শা হাতে ছুটে যাবার কয়া বাদামী ঘোড়ায় চড়ে, তার বর্শা চকচক করুক হলদে চাঁদের আলোয়, আর তার বর্শা দেখুক রক্ত, হলদে আলোয় বাদামী রক্ত ঝরে যাক পাথুরে মাটিতে, আর তৃপ্ত হোক এই বন্য মৃত্তিকা।
    যাহোক, ২০১৪য় দিবাস্বপ্নের আয়ু মিনিট কয়েক, বুফে খেতে ঢুকলুম রেস্তোঁরায়। তখনও ফাঁকা ছিলো, দুটি মার্কিন পরিবার, একটি ভারতীয় গ্রুপ যার দুজন অবাঙালী। ওয়েটার পূর্ব ইউরোপীয়, ভারী অমায়িক লোক। বোধহয় পূজোর কদিন ভিড়ভাট্টা বেশি হচ্ছে, অনভ্যেসের দরূণ তিনি হাঁসফাঁস করছেন তখনো।
    কিন্তু সাধু সাবধান, কিছুক্ষণের মধ্যেই জনা দশেকের একটি বাঙালী গ্রুপ এবং জনা চারেকের আরেক বাঙালী পরিবার এসে বসলেন আমাদের সামনে। সেই একই মেকী- আনা, কিছু ওয়াইন আল্ট্রা আঁতলামি এবং চামচে দিয়ে ডালভাত খাওয়া। সামনের দশজনের দলের কথায় বুঝলুম এঁদের রাত হয় না, night হয়, আর "kids দের ওদিকে পাঠিয়ে দিলে Adults রা এদিকে বসতে পারে, degeneracy কমে" অহো বাহ্য, পাশের টেবিলে দেখি আরেক কেলোর কীর্তি। এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা এসেছেন, তিনিই আমার সেদিনের বাঙলা। পায়ে তাঁর চটি, পরণে সবুজ শাড়ি, বোধহয় পাশের টেবিলের বঙ্গসাহেবের মা। প্রসঙ্গতঃ শহুরে ভারতীয় বিদেশে গেলে মা এর মূলতঃ আমদানি ঘটে সন্তানলাভ হলে, এদেশে আয়া রাখা অতীব খরচসাপেক্ষ। ইউরোপীয় সভ্যতা এদেশে পৌঁছতে এখনো বছর পঞ্চাশেক দেরী আছে।
    মহিলা বড়ই উসখুস করছেন, করারই কথা, আমরাই করছি। কিন্তু আমাদের বয়েস কম, হজমশক্তি বেশী।
    চামচে দিয়ে খেতে গিয়ে তাঁর নাজেহাল দশা, হাত দিয়ে শুরু করার মুহূর্তেই ছেলের কটমট দৃষ্টিপাতে আবার চামচে। হে ধরণী দ্বিধা হও!
    অখাদ্য কিছু পাঁটার মাংস, আর গোয়ানীজ চিঙড়ির ঝোল খেয়ে এমনিতেই মেজাজ খিঁচড়ে দোদমা, তায় এসব নাটক দেখে ভারী বিষাদ নেমে এলো হলদে বাল্বের আলোয়। আমরা বেরোলাম বাড়ির পথে। মাঝে হায়দার দেখার কথা নিউপোর্ট মলে।
    এবারেই চমক, ভারতীয় সভ্যতার চমক। বাঙালী সদা হীনমন্যতায় ভোগে, প্রাণপণে মুছে ফেলতে চায় আত্মপরিচয়! যে সাহেবরা মলত্যাগের পর কাগজ দিয়ে পশ্চাদ্দেশ মোছে, কিন্তু প্রস্রাবের পর হাতধোয়ার ঘনঘটায় পৃথিবীর জলসঙ্কট ঘটিয়ে ফেলে তাদের নকলে বাঙালীও নানা জিনিস রপ্ত করতে থাকে, আরো একটু বাড়ালে, একা বাঙালী কেন, ভারতীয় মাত্রেরই এই ঔপনিবেশিক দাস মনোবৃত্তি আছে। কিন্তু পার্মানেণ্ট মার্কারের কালি তোলা কি অতই সহজ? তাই যেখানেই ভারতীয় সেখানেই ক্যাঁচাল। এঁরা বাঙলা হিন্দী বলেন বিলিতি টানে, ইংরিজিটা ঠিক কিসের টান তা বোঝার সাধ্য আমার কেন? ঈশ্বরের বাবারও নেই। বাঙলা বলার ফাঁকে ফাঁকে প্রতিশব্দ হাতড়াতে হয়। অবশ্য খোদ পশ্চিমবঙ্গেই আজকাল ইংরিজি জানার চেয়ে বাঙলা না জানার গরিমা বেশি। মা মেয়েকে বলেন "দেখো দেখো night এ কত star আকাশে" "ঐ দেখো বাবু, tiger" "আজ ঐ green জামাটা পরে যেও কিন্তু"। বাড়িতে অতিথি এলে বাঙালী বাচ্চা আজকাল ছড়ার বদলে rhyme বলে। দেশোদ্ধার হচ্ছে সন্দেহ কি?
    নিউপোর্ট মলের সিনেমায় ঈদ ও দুগগোপূজোর ডবল ধামাকায় তখন ত্রাহি মধুসূদন দশা। অতএব বাথরুমেও তার ব্যতিক্রম না। অন্য সব দিন যে মলের বাথরুম ঝকঝক করে, তার ক্লোজেটে ক্লোজেটে গু ভেসে বেড়াচ্ছে, এবং জায়গাটা চেন্নাইয়ের সিএমবিটি বাসস্ট্যাণ্ডের বাথরুমের চেয়েও নারকীয় আকার ধারণ করেছে! জাতের গুণ যাবে কোথায়!
    যাইহোক হায়দার আর দেখা হোলো না, হাউসফুল, রাত ১১টা অব্দি ভয়ানক বাজে ভূতের সিনেমা দেখে নিউ ইয়র্কের রাস্তা ধরলাম।
    আর সেই রাতেই আমার পূজো, রাত দেড়টার "এল" ট্রেনে আমার সম্মুখবর্তিনী, সাদা টি শার্ট আর মেক আপ ছাড়া কবিতার মত বসে রইলো। হাই তুলতে যখন মুখ হাঁ করে আলতো সরালো, দেখি পেছনের পোস্টারে লেখা "poetry in motion", সে কোথায় নামলো, কি করে, কি খায় কোথায় থাকে আমার কিচ্ছু জানার নেই, শুধু রেখে দিলাম গতিময় কবিতার স্থবির স্মৃতিটিকে, এবারের পূজোর ছবি বলে।
    যাইহোক এই আমার পূজো, শেষে একটাই কথা, দুধের সাধ ঘোলে মেটাবেন সেও ভি আচ্ছা, কিন্তু না ঘরকা না ঘাটকা চুল্লু দিয়ে মেটালে চোঁয়াঢেকুর ও বদহজমের, এবং শেষে বমণের প্রবল আশঙ্কা!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৪ | ২৮৫৩৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ২১৮ - Nishan Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৫২74921
  • না, আমি এটা খেয়াল করিনি। দিল্লীতে তো মাস কয়েকের জন্য তোমার-আমার ওভারল্যাপ ছিল। বলো নি ক্যানে? ঃ-)
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:০৫74923
  • ভারতে সব রিপোর্ট হয়না বটে, মার্কিন দেশে হয় কি? কেউ precious সিনেমাটা দেখেছেন? সত্যি ঘটনা নিয়ে, পারলে ফ্লিণ্ট বা ফার্গুসনের মত জায়গা থেকেও একটু খবর নিয়ে আসুন কতটা কি হয়!

    কয়েক দিন আগে uptown manhattan এ ৮৪ বছরের এক ভদ্রমহিলাকে দিয়ে একটি লোক জোর করে blowjob দেওয়ায় (ব্লোজবের বাংলা জানি না) এবং সে এখনও ধরা পড়েনি।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:০৯74924
  • বিক্ষিপ্ত ঘটনা তুলে আমিও উদাহরণ দিতে পারি।
    মার্কিন দেশে সব রিপোর্ট হয়ে এটাও আমি বলিনি.।শুধু বলেছে আমেরিকার থেকে দেশে রিপোর্টিং এর হার কম।
  • sm | 233.223.158.99 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:১০74925
  • ভাগী ও ম এর উত্তর দেবার চেষ্টা করছি। আমি অন্ধ অনুকরণ ও নিজের সাতন্ত্রতায় হস্তক্ষেপ এর বিষয় গুলো তুলে ধরতে চেয়েছি। বলেছি যে বাঙালি, হস্ত প্রক্ষালন করে জীবন কাটিয়ে দিল, সে কেন বাড়িতে একটু নিজের মত পরিবেশ তৈরী করার চেষ্টা করবে না। উত্তরে কেউ বল লেন, আমি হাগজ পছন্দ করি, কেউ বললেন বাথরুম পোস্কার রাখা যায় না, কেউ বললেন রি মডেলিং এ প্রচুর খরচা ইত্যাদি। প্রতি টি পয়েন্ট সত্যি; আবার কাউন্টার পয়েন্ট ও অনেকে দিয়েছেন সেগুলো ও যথাযত।
    প্রশ্ন হচ্ছে দেশে ফিরে গিয়ে তারা হাগজ ব্যবহার করেন কিনা? আমি কিছু সাহেব লোক জানি তারা ভারতে গিয়ে হাগজ ই ব্যবহার করত, গারু , জল ব্যবহার করে নি।

    দ্বিতীয়ত, ভারতে ২-৩ বছরের সিশুয়া মায়ের কাছে শুয়ে মানুষ হয়। আলাদা ঘরে শো আনো টা আমার কাছে মানসিক টর্চার মনে হয়। আপনি যদি প্রথম সিস্টেম টির বিরোধী হন, তাহলে বাচ্চাকে অন্য ঘরে শুই যে রাখুন, কুনো আপত্তি নাই, কিন্তু যদি ভারতীয় সিস্টেম টি ভালো মনে হয় তাহলে কেবল মাত্র অনুকরণের তাগিদে বাচ্চা কে অন্যত্র শুইয়ে রাখার পিছনে যুক্তি কি?

    ঘরের চটি পরে ঘরে ঘোরাতে আপত্তি কেউ ই করবে বলে মনে হয় না। সাহেব রা জুতোর ব্যাপারে খুব আন্তরিক। বাইরের জুতো পরে ঘরের বেড রুমে চলে যায়,বিছানায় ওঠে, এমন কি হাসপাতালের সি সি ইউ তে ঢুকে পড়ে ( ভারী আশ্চর্যের ব্যাপার !)
    প্রশ্ন আপনি কি অন্ধ অনুকরণের তাগিদে এই কালচার টিকেও রপ্ত করবেন? খালি ফার্স্ট জেনেরেশন কেই প্রশ্ন টা রাখছি।
    আর ম আপনি কি জিগিয়ে ছিলেন মনে করতে পারছি না।আর এক বার লিখবেন।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:১৩74926
  • খাইসে! আমি তাইলে সাহেব হইলাম। কারণ আমি দেশে গেলেও হাগজ ব্যবহার করি। পাকাপাকি ফিরলেও তাই করব। কারণ বাথরুমে জল ফেলা/ ভিজে বাথরুম আমার বিলকুল না পসন্দ। এবং এটা আমেরিকা আসার আগে থেকেই।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:২১74927
  • দিন না কে বারণ করেছে? আপনি দিল্লী রেপ বললে আমিও বলতে পারি বিক্ষিপ্ত, তাতে ঘটনাটা nullified হয়না।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:২৩74929
  • দেবার যুক্তিটা কি? ওখানেও ঘটে এখানেও ঘটে? সেটা তো কেউ অস্বীকার করেনি!
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:২৩74928
  • আর হাগজ ব্যবহার নিজস্ব ব্যপার, আপনি যে যুক্তি দিলেন তাও যথাযথ, আমার মার্কিন এবং ম্যাসিডোনিয়ান বন্ধু আছে যারা জল ব্যবহার করে কারণ তাদের ধারণা সেটা স্বাস্য়কর, কিন্তু সায়েবরা করে বলে এটা বেশি ভালো, আর জল তো ডার্টি নেটিব রা ব্যবহার করে, কিম্না জল শুনে চোখ কপালে তোলা, এটাই সমস্যা!
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:২৪74930
  • হুঁ। আমিও তাই। ভিজে বাথরুম ভালো লাগেনা। তবে দেশে হাগজ ব্যবহার না করেও মেঝে শুকনো রাখার উপায় আছে। জিনিসটি প্রথম আবিষ্কার করি অ্যামেক্সের দিল্লীর অফিসে। তারপর তো অনেক জায়গাতেই দেখেছি। হাগজের চেয়ে এই ব্যবস্থাটি আমার বেশি পছন্দের।
  • Tim | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:২৬74931
  • এককের আইডিয়াটা বেশ পছন্দ হলো। ক দিলাম।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:২৯74933
  • উপায়টা কি? Amex কার্ড দিয়ে চেঁছে তুলে ফেলা? :P
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:২৯74932
  • ভাগীদারের মন ভাগে ভাগে আছে বলে নজর দিচ্ছেন না, উপরে দেখুন লেখা আছে এদেশে মেয়ে বেরোলেই রেপ হয়ে যায় না। আমাদের দেশেও বেরোলেই রেপ হওয়া যায় না। এদেশেও যে রেপ হয় তার উদাহরণ দিলাম মাত্র!
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৩২74934
  • আইডিয়াটা মন্দ নয় ;-)
  • jaladhar no. 1 | 172.233.205.42 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৩৫74936
  • কাগজ জলের থেকে হাইজিনিক বেশি। এ ব্যাপারে আমার একটি মনোগ্রাহী মনোগ্রাফ আছে, "The study on relative hygine of using paper and water for removing fecal excretion from human body and mind." উৎসাহীরা পড়ে দেখতে পারেন।
  • de | 69.185.236.52 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৩৫74935
  • আমি কিন্তু দেশে টয়লেট টিস্যু আর হ্যান্ড শাওয়ার দুটোই ব্যবহার করি। সিট মুছে শুকিয়ে না রাখলে বিচ্ছিরি লাগে। অবিশ্যি টিস্যুর ইউজ বিদেশেই শিখেছি - তার পর নিজের মতো করে বেস্ট অব বোথ কান্ট্রিজ নিয়েচি।

    স্পেন বা পর্তুগালের বাথরুমে কিন্তু কমোডের পাশে দিব্বি পরিষ্কার হওয়ার জন্য হ্যান্ড শাওয়ার সহ আলাদা কমোড ইঃ থাকে। আমি প্রথমে দুটো কমোড ভেবে ঘাবড়ে গেছিলাম।

    আর হুচি, একা নই - তবে আমরা মা-মেয়েতে দেশে দিব্বি ঘুরে বেড়াই যেখানে খুশী। লোকে একটু চোখ ছানাবড়া করে বটে, তবে কোন অসুবিধেয় পড়িনি আজ অব্দি।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪০74937
  • আবার নাম নিয়ে টানাটানি কেন?

    তাছাড়া কোনো দেশে মেয়েরা বেরোলেই রেপ হয়ে যায় আর কোনো দেশে কক্ষনো হয়না সেটাও তো কেউ বলেনি। আপনার দেওয়া গ্রাফটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল।

    দে দি ওটাকে Bidetবলে।
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪১74939
  • টেলিফোন শাওয়ার। এখন আইটিগাইদের সমস্ত আপিসের কমোডের পাশে পাশে এই জিনিসটি রাখা থাকে। অন্যত্র কাগজ থাকে। ভালো করে ধুয়ে কাগজ দিয়ে মুছে নিন।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪১74938
  • মনোগ্রাফ! শার্লক হোমস নাকি!
  • Ekak | 24.99.187.118 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪২74940
  • আমার মনে হয়না সরাসরি অনুকরণ করার এজেন্ডা নিয়ে কেও এগুলো করেন । দেশে যাঁরা মধ্যবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত লীড করেন তাঁরা বাইরে গিয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত বা বড়জোর মধ্যবিত্ত হয়ে যান । ন্যাচেরালি সস্তায় পুষ্টিকর অপশন নিতে হয় । নইলে ওদেশে উচ্চবিত্ত রা কেও বাথরুমের মেঝেতে জল ফেলেনা বা বাথটাব থেকে জল চলকে ভাসিয়ে দেয়না এমন তো নয় । এটা হবেই । যাদের পয়সা বেশি তারা আলিশান টাবে জল ছেটাবে আর আমরা যারা যাবো তারা হয়ত স্পেস কমতে কমতে শেষ অবধি শাওয়ার কিউবিকলে ঢুকে দাঁড়িয়ে স্নান সেরে নেব । তিন দিন দিকে জল এসে গায়ে পর্বে । দেশে ফিরে সেটাই গল্প করব । ইউএসে-র যেটা ভালো দিক যে মোটামুটি মধ্যবিত্ত রেঞ্জ অবধি নিজের মত করে হাইজিনিক লাইফ কাটাবার একটা সুযোগ আছে (এক্ষুনি ওবামা কেয়ার নিয়ে গাল দেবেন না পীলিজ ) । হয়ত স্পেস স্যক্রিফাইস করতে হয় । সেটা মন্দ না আখেরে । তবে সেগুলো এদপ্ত করতে গিয়ে কেওকেও নিজেকে এতটাই মরালী বুস্ট করে ফ্যালেন যে অকারণে দেশ এর যেটা সুবিধে সস্তা হওয়ার কারণে সেটার ও বিরোধিতা করেন । যেমন কাজের লোক রাখা নিয়ে দেশের মাসি পিসি দের হ্যাটা দেওয়া । আরে বাবা লোক রাখতে গেলে মাইনে পুরো বেরিয়ে যাবে । নো প্রবলেম । যস্মিন দেশে যদাচার নিজে যন্ত্র চালিয়ে করে নাও । বাট সেটা নিয়ে কমপ্লিটলি অন্য সমাজ-অর্থিনীতি তে থাকা লোকদের টিস করা বোকামি । এইসব দেখি আর কি ।
  • jaladhar no. 1 | 172.233.205.42 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪৩74941
  • পেয়ে যাবেন। লন্ডনের ইন্ডিয়া অফিসের আর্কাইভে পেয়ে যাবেন।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪৪74942
  • না না, টেলিফোন শাওয়ারের থেকেও জল ছিটতে পারে মেঝেতে। কমোড সিটে তো বটেই। এই জিনিসটির লক্ষ্য অব্যর্থ। ঠিক যতটুকু দরকার ততটুকু ভিজিয়ে দেবে।
  • de | 69.185.236.52 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪৬74944
  • হ্যাঁ হ্যাঁ, ঠিক ভাগী - bidet বলে। ভুলে গেসলাম।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪৬74943
  • সেতো মিডল ইস্টের যেকোন এয়ারপোর্ট-এই দেখতে পাওয়া যায় পাছু ধোবার হ্যান্ড শাওয়ার।
  • Arpan | 125.118.24.17 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪৮74946
  • এই জিনিস। আমাদের বাড়িতেও আছে।

  • সে | 203.108.233.65 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪৮74945
  • "আর যে দেশে বাচ্চা জন্ম থেকেই শেখে গোলাপী মানে মেয়েদের রঙ আর নীল মানে ছেলেদের, সেখানে havoc gender equality ভাবতে আমার একটু অসুবিধা আছে!"

    ক্ক। পূর্ণ সমর্থন জানালাম। এই গোলাপী ও নীলের ব্যাপারটা গ্লোবালাইজেশনের সুনামীতে বাকি দেশগুলোতেও ঢুকে গেছে।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪৯74948
  • না অর্পণ, এই জিনিসের কথা বলছি না।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪৯74947
  • হ্যান্ড শাওয়ার বলে ওকে? হ্যান্ডের ব্যবহার কোথায়? অবশ্য বোতাম টিপতে হচ্ছে। সেদিক দিয়ে দেখলে ব্যবহার আছে বটে। আর মিডল ইস্টে কেন, দেশের কর্পোরেটেও ঐ জিনিস ছিল আজ থেকে এক দশকের বেশি আগেই।
  • Arpan | 125.118.24.17 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫১74949
  • আর হাত স্টেডি থাকলে বাথরুম ভেজার কোন চান্সই নেই। ভেজা বাথরুম আমার কাছে ওই ম্যাগোর লিস্টিতে যাবে।
  • Arpan | 125.118.24.17 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫২74950
  • হু, কোনটার কথা বলছ? ছবি দাও।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫২74951
  • কিকরে ছবি দিতে হয় ভুলে গেছি। এই লিঙ্কে আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন