এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার পূজো

    Nishan Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৪ | ২৮৬৬৫ বার পঠিত
  • যেকোন দ্রব্যের আগে বিলিতি জুড়ে দিলে তার গুণ রীতিমত লোপ পায়, এ জিনিস বহুকাল যাবৎ চলে আসছে ! যেমন ধরা যাক বিলিতি বেগুন, আপনি পড়ছেন আর ভাবছেন এ বোধহয় আমেরিকার ফলন্ত ঝুলন্ত বেগুন, কিন্তু না! বিলিতি বেগুন হোলো টমেটো, পুরুলিয়ার দিকে আবার অনেকে টমেটোকে বলেন বিলিতি আমড়া। তাহলেই দেখুন, কেবল মাত্র বিলিতির গুণে বেগুনের বেগুনত্ব আর আমড়ার আমড়াগাছি লোপ পেয়ে কেমন একই রকম লালচে টমেটোয় পরিণত হোলো।
    তেমনই বিলিতি পূজোও একটি দুর্ঘট বস্তু বিশেষ, যা না বিলিতি না পূজো!
    বিলিতি বাঙালীও তাই, না বাঙালী না বিলিতি। এঁদের মূলতঃ দু একটি বিলিতি বন্ধু থাকে, আন্তর্জাতিকতার জন্য, বাকি এঁরা নিজেদের বৃত্তেই ঘুরঘুরে পোকার মত ঘুরঘুর করেন। তার মধ্যে কিছু আবার সুনীল গাঙ্গুলীর অনুপ্রেরণা, অতএব হাফ বিলিতি ধারায় স্ত্রী শয়ান দেন পরপুরুষের সাথে আর সেই অজুহাতে সোয়ামী কচি মেয়ে পেলেই কচলে হাতের সুখ করে নেন। কিন্তু রসুনের মতই মাথা আলাদা হলেও পশ্চাদ্দেশ আবিষ্ট যুগযুগান্তব্যাপী সংস্কারে, বাজারে কেচ্ছার ভয়ও আছে, অতএব বিবাহটি বজায় থাকে, আর ঐখানেই বিলিতিয়ানার শেষ। বদহজম আর কাকে বলে!
    এঁরা প্রতি সন্ধেয় প্রায় হুইস্কি বা ওয়াইন সহযোগে দেশের জন্য মড়াকান্না কেঁদে থাকেন, ফিরতে যদিও কেউ আটকাচ্ছে না, তবু নানা কাঁদুনি। অধিকাংশের এটা স্বীকার করার সৎসাহস পর্যন্ত নেই যে তাঁদের এখানে দিব্যি লাগে। দোষটাই বা কি তাতে? কিন্তু না, তাঁরা না কাঁদলে গঙ্গার জল কমে যাবে না, তাই বিদেশে বসে এঁরা নিরন্তর গঙ্গায় অশ্রু সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। আর দেশীয় রাজনীতির দুর্দশা নিয়ে টেবিলে তুফান তোলেন।
    মাঝে মাঝে দেশে গিয়ে এঁরা চাদ্দিক আলো করেন, এবং অভাগা আত্মীয়স্বজনকে বুঝিয়েই ছাড়েন বিলেতে কি হারে সুবিধা আমের মত গাছে ঝোলে আর "ইণ্ডিয়া কি ডার্টি বাবারেএএএ বাবারে, আর পারিনে!"
    গেলবার দিল্লী এয়ারপোর্টে বাঙালী বরের বিলিতি বউ দেখেছিলাম, বউ আমার সাথে বাংলায় কথা বললো দিব্যি, দাদা কিন্তু কলকাতা ছাড়ার পর বাংলায় আর শব্দক্ষয় করেননি, পাঞ্জাবী পাজামা ছেড়ে প্লেনের বাথরুম থেকে যখন বেরুলেন জিম করবেট মার্কা হাফপ্যাণ্ট পরে, কোন শালায় বলে বাঙালী সাহেব হতে শেকেনি!
    এঁরা শিখলেন না কাজের লোকের সাথে সমান ব্যবহার করতে, আমার মত ছাত্তরকে দেখলেই যাঁদের নাক হাফ কুঁচকে আসে কাজের লোকের প্রতি তাঁদের মহিমাময় ব্যবহার কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
    যাইহোক কতিপয় বন্ধুবর্গের নিরতিশয় অনুরোধে আমার দ্বিতীয়বার বিলিতি পূজোর আমড়াগাছি দেখার সুযোগ হোলো, আগেই বলেছিলাম তাঁদের, যে এ অতি দুষ্পাচ্য দ্রব্য, কিন্তু গরীবের কথা বাসি হলে ফলে, তাই তাঁরা গেলেন, ঢুকলেন, তিতিবিরক্ত হয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে এলেন।
    এখন শরৎকাল, ইংরাজমতে আটাম, যদিও মার্কিন দেশে 'ফল' কথাটা চলে, এবং গাছের পাতা সব ফাঁকা হয়ে যায় বলে ঐটেই আমার লাগসই লাগে, তবু বাটামের সাথে মিলের জন্য আটামটাই আমার পছন্দ। প্রকৃতি, শীতের কামড়টুকু বাদ দিলে সেজেছেন পরমা রূপে, প্রদীপ নেভার আগে দপ করে জ্বলার মত গাছের পাতায় উঁকি দিচ্ছে হলুদ-লাল আগুন। নাঃ বঙ্গপ্রকৃতির মাধুর্য নেই বটে, কিন্তু এ অনন্য সৌন্দর্য অস্বীকার করি কি করে? কি অসামান্যা তিনি, তাঁর রূপে দশদিশ আলোকিত হোক।
    এমন শরৎ দিনে, গাড়ি চড়ে বেরোলাম পূজা সন্দর্শনে, ভালো কথা। পথের চাদ্দিক দেখি আর কেমন যেন নেশা লাগে, নেশার মত আশ্লেষে জড়িয়ে ধরতে চায় গাছের সবকটি পাতা, সবকটি ডাল, সবকয়টি গুল্ম যেন শরীরে আগুন জ্বালিয়ে ডাকছে হাতছানি দিয়ে।
    সে যা হোক, সেসব পার করে অবশেষে উপনীত হলাম পথের উপান্তে, একটি হাইস্কুলের সামনে। (নামটা নাই বা বললাম, হরে দরে সবই এক)।
    ভিতরে ঢুকতেই দেখি, একটি টেবিলে হত্তা কত্তা বিধাতা তিনজন বসে আছেন, তাঁদের একজন আমরা কেবল প্রতিমা দর্শন করবো জেনে বললেন "১০ টাকা করে দিয়ে দিন তাহলে"। এখন মনে হচ্ছে ঐ টাকায় দু প্যাকেট রফিকির চিকেন ওভার রাইস হয়ে যেতো, অতি উপাদেয়। যা হোক দিয়ে তো ঢুকলুম, কিন্তু ঠিক ঢোকার সময়েই, যিনি আমাদের চাঁদা সংগ্রহ করছিলেন তাঁর সামনে এসে এক কাকিমা গোছের ভদ্রমহিলা এসে ইংরাজীতে কিসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করলেন, আমার মন আনন্দে চনমন করে উঠলো, ভাবলাম বাঙালী প্রাদেশিকতা ছেড়ে বোধহয় আধুনিক হচ্ছে। কিন্তু সে মোলাসেস এ স্যাণ্ড! কতিপয় মুহূর্ত পরে তাঁর বিলিতি উচ্চারণের সুশীল বাংলা শুনে আমার উৎসাহ নেমে গেলো ফুস করে!
    তার প্রভাবেই বোধকরি, আমাদের চাঁদাকত্তা কাকু ফস করে মোড সুইচ করে চলে গেছেন ইঞ্জিরিতে, আমার দুবার বাংলা গলাখাঁকারিতেও কাজ হোলো না, অতএব সাধু সাবধান। চলো প্রতিমা সন্দর্শনে, আনন্দবাজারে পড়েছো, কুমোরটুলির হেববি উপকার হয় এসবে, তাও তুমি জানো, অতএব ভজ মন দুর্গানাম।
    ভিতরে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ, উৎসবের দিন সাজগোজ না করলেই নয়, অতএব পাটভাঙা শাড়ি আর পাঞ্জাবীর ধাঁধায় চোখে তালা লেগে গেলো, ভাবতুম বিলিতিরা বোধহয় ভালোভাবে বুড়োতে জানে না, কিন্তু ঠাকুমাদের গালে লালচে আভা দেখে সে ভ্রম আমার দূরীভুত হোলো। স্থান কাল পাত্র নির্বিশেষে যে উটকো লোক থেকেই থাকে এই বিশ্বাসে স্থির হলাম অবশেষে।যে সমস্ত ফ্যাসান বঙ্গভূমে পাঁচ বছর আগে উপে গেছে তাদের নব আবির্ভাব। কিছু ব্লাউজ দেখে ভাবলুম বোধকরি প্রাচীন আদিবাসী সংস্কৃতি ফিরে আসছে, ওষ্ঠরঞ্জনী, গণ্ডরঞ্জনীতে সে ভুল গেলো ভেঙে।
    সাথে পাঞ্জাবী বন্ধু, সে পাছে ভাবে দুর্গাপূজার উৎস ও উদ্দেশ্য বাণিজ্যমেলা, তাই প্রাণপণে বোঝাতে শুরু করলাম কি কেন এবং কিভাবে দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসব থেকে বঙ্গীয় আবেগে পরিণত হয়েছে।
    ভুল পথে চলে পৌঁছে গেছিলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘরে, সেখানে ২৫ টাকা লাগতো, যাহোক যে কাকু সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি জানালেন তিনি বঙ্গভাষণে অপারগ, কি দুঃখের কথা! তিনি জানালেন হস্তবন্ধনী (যার দাম ২৫টাকা) ব্যতিরেকে প্রবেশ নিষেধ, উল্টোপথে হাঁটা দিলুম ফের।
    করিডোরের ভিতরে হট্টগোল, একদিকে ললনারা শাড়ি জামা গয়না কিনছেন আর অন্যদিকে সুনীল গাঙ্গুলীর কিছু মধ্যমানের বই, বাঙালনামা ইত্যাদি বিক্কিরি হচ্ছে. শুনতে পেলুম "বাঙালনামাটা পড়েছিস? ব্যপক বই" (ভাগ্যিস ভারতবর্ষে রাত, নইলে তপনবাবু নিশ্চিৎ হেঁচকি তুলতেন)
    সেসব কাটিয়ে ঢুকলাম প্রতিমা দর্শনে, ভিড়ে ভিড়াক্কার, আর কত রকমেরই চোখ দেখলুম, লাল নীল সবুজ বেগুনী রামধনু, সাথে টিসু পেপার থাকলে সৌন্দর্যের ভারী বিপদ, রঙের চলটা উঠে গেলেই কেলোর কীর্তি, সাড়ে সর্বনাশ। যাকগে সে আমার বিচার্য বিষয় নয়।
    তদুপরি ফেসবুক জমানায় পূজোয় গেলেই হয়না, একদিনের যে বাঙালীয়ানা উদযাপন, তা লোককে না জানালে হবে কেমন করে? কাজেই ফটো তোলার ঘনঘটায় গগন অন্ধকার, জনতার ফাঁকে ফাঁকে দুর্গামাতার রূপের ঝলক দেখাগেলো।
    তবে কিনা অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চড়চড় করবেই, বাঙালীয়ানার তালেগোলেও সেই চড়চড়ে অবস্থা!
    অতএব প্রবল ভিড়, পূজো না মেলা না মোচ্ছব বুঝতে বুঝতেই বন্ধুদের হাঁফ ধরে এলো, আমরাও বেরিয়ে এলাম।
    বাইরে আদিগন্ত সবুজ, বিকেলের রাঙা রোদ পড়েছে তেরচা হয়ে মাঠের কোণায়। হঠাৎ মনে হোলো এর আনন্দই বা কম কি?
    মৃত্যুধূপে আগুন জ্বালিয়ে ফুসফুসের শ্রাদ্ধ করলাম কিছুক্ষণ তারপর বাঙালী সুখাদ্যের আশায় পাড়ি দিলাম ক্যালকাটা অ্যাফেয়ার বলে এক রেস্তোরাঁর উদ্দেশ্যে!
    পথ বেশি না, মাইল পাঁচেক। রাস্তা ওয়ালপেপারের মত, ফোয়ারা, আর লাল হলুদ পাতা, তাই যাবার পথে শুঁড়িপথ নিলাম অষ্টাদশ শতকের এক চার্চের দিকে। চার্চের সামনে পৌঁছে দেখি, ওমা একি, সামনের মাঠে হরিণ চরে বেড়াচ্ছে। হরিণী চোখ তুলে চাইলে আমার দিকে, গাড়ি থেকে নামলাম, নিশ্চল মুর্তির মত, নিরন্তর মৃত্যুর মত হরিণী তখনো তাকিয়ে আমার দিকে, তার ঘাস খাওয়া শেষ, আর ঠিক যে মুহূর্তে আমি ভাবতে শুরু করেছি জ্যান্ত তো, একলাফে বাদামী বিদ্যুতের মত সে হারিয়ে গেলো হলুদ বনে, বোধহয় তার নাকচাবি গেছে হারিয়ে। চাদ্দিক শুনশান, কেউ কোথাও নেই, আর বাতাসে হিমেল পরশ, তাই বিশেষ কালক্ষেপ না করেই আবার উঠলাম গাড়িতে।
    মাইল তিনেক দূরেই রেস্তোরাঁ, সামনে ইলেক্ট্রিকের তারে আটকে দ্বাদশীর চাঁদ, এদেশে চাঁদ কেমন হলদে রঙের হয়। আর যখন ওঠে তাকিয়ে থাকলে কেমন ঘোর লেগে যায়। মনে হয় হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোন কথা। মনে হয় এই সব মেকী, সব রঙের চলটা, সাদা বাদামী হলদে মানুষের ভিড় এসব কিচ্ছু নয়, এই চাঁদে লাল মানুষের বর্শা হাতে ছুটে যাবার কয়া বাদামী ঘোড়ায় চড়ে, তার বর্শা চকচক করুক হলদে চাঁদের আলোয়, আর তার বর্শা দেখুক রক্ত, হলদে আলোয় বাদামী রক্ত ঝরে যাক পাথুরে মাটিতে, আর তৃপ্ত হোক এই বন্য মৃত্তিকা।
    যাহোক, ২০১৪য় দিবাস্বপ্নের আয়ু মিনিট কয়েক, বুফে খেতে ঢুকলুম রেস্তোঁরায়। তখনও ফাঁকা ছিলো, দুটি মার্কিন পরিবার, একটি ভারতীয় গ্রুপ যার দুজন অবাঙালী। ওয়েটার পূর্ব ইউরোপীয়, ভারী অমায়িক লোক। বোধহয় পূজোর কদিন ভিড়ভাট্টা বেশি হচ্ছে, অনভ্যেসের দরূণ তিনি হাঁসফাঁস করছেন তখনো।
    কিন্তু সাধু সাবধান, কিছুক্ষণের মধ্যেই জনা দশেকের একটি বাঙালী গ্রুপ এবং জনা চারেকের আরেক বাঙালী পরিবার এসে বসলেন আমাদের সামনে। সেই একই মেকী- আনা, কিছু ওয়াইন আল্ট্রা আঁতলামি এবং চামচে দিয়ে ডালভাত খাওয়া। সামনের দশজনের দলের কথায় বুঝলুম এঁদের রাত হয় না, night হয়, আর "kids দের ওদিকে পাঠিয়ে দিলে Adults রা এদিকে বসতে পারে, degeneracy কমে" অহো বাহ্য, পাশের টেবিলে দেখি আরেক কেলোর কীর্তি। এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা এসেছেন, তিনিই আমার সেদিনের বাঙলা। পায়ে তাঁর চটি, পরণে সবুজ শাড়ি, বোধহয় পাশের টেবিলের বঙ্গসাহেবের মা। প্রসঙ্গতঃ শহুরে ভারতীয় বিদেশে গেলে মা এর মূলতঃ আমদানি ঘটে সন্তানলাভ হলে, এদেশে আয়া রাখা অতীব খরচসাপেক্ষ। ইউরোপীয় সভ্যতা এদেশে পৌঁছতে এখনো বছর পঞ্চাশেক দেরী আছে।
    মহিলা বড়ই উসখুস করছেন, করারই কথা, আমরাই করছি। কিন্তু আমাদের বয়েস কম, হজমশক্তি বেশী।
    চামচে দিয়ে খেতে গিয়ে তাঁর নাজেহাল দশা, হাত দিয়ে শুরু করার মুহূর্তেই ছেলের কটমট দৃষ্টিপাতে আবার চামচে। হে ধরণী দ্বিধা হও!
    অখাদ্য কিছু পাঁটার মাংস, আর গোয়ানীজ চিঙড়ির ঝোল খেয়ে এমনিতেই মেজাজ খিঁচড়ে দোদমা, তায় এসব নাটক দেখে ভারী বিষাদ নেমে এলো হলদে বাল্বের আলোয়। আমরা বেরোলাম বাড়ির পথে। মাঝে হায়দার দেখার কথা নিউপোর্ট মলে।
    এবারেই চমক, ভারতীয় সভ্যতার চমক। বাঙালী সদা হীনমন্যতায় ভোগে, প্রাণপণে মুছে ফেলতে চায় আত্মপরিচয়! যে সাহেবরা মলত্যাগের পর কাগজ দিয়ে পশ্চাদ্দেশ মোছে, কিন্তু প্রস্রাবের পর হাতধোয়ার ঘনঘটায় পৃথিবীর জলসঙ্কট ঘটিয়ে ফেলে তাদের নকলে বাঙালীও নানা জিনিস রপ্ত করতে থাকে, আরো একটু বাড়ালে, একা বাঙালী কেন, ভারতীয় মাত্রেরই এই ঔপনিবেশিক দাস মনোবৃত্তি আছে। কিন্তু পার্মানেণ্ট মার্কারের কালি তোলা কি অতই সহজ? তাই যেখানেই ভারতীয় সেখানেই ক্যাঁচাল। এঁরা বাঙলা হিন্দী বলেন বিলিতি টানে, ইংরিজিটা ঠিক কিসের টান তা বোঝার সাধ্য আমার কেন? ঈশ্বরের বাবারও নেই। বাঙলা বলার ফাঁকে ফাঁকে প্রতিশব্দ হাতড়াতে হয়। অবশ্য খোদ পশ্চিমবঙ্গেই আজকাল ইংরিজি জানার চেয়ে বাঙলা না জানার গরিমা বেশি। মা মেয়েকে বলেন "দেখো দেখো night এ কত star আকাশে" "ঐ দেখো বাবু, tiger" "আজ ঐ green জামাটা পরে যেও কিন্তু"। বাড়িতে অতিথি এলে বাঙালী বাচ্চা আজকাল ছড়ার বদলে rhyme বলে। দেশোদ্ধার হচ্ছে সন্দেহ কি?
    নিউপোর্ট মলের সিনেমায় ঈদ ও দুগগোপূজোর ডবল ধামাকায় তখন ত্রাহি মধুসূদন দশা। অতএব বাথরুমেও তার ব্যতিক্রম না। অন্য সব দিন যে মলের বাথরুম ঝকঝক করে, তার ক্লোজেটে ক্লোজেটে গু ভেসে বেড়াচ্ছে, এবং জায়গাটা চেন্নাইয়ের সিএমবিটি বাসস্ট্যাণ্ডের বাথরুমের চেয়েও নারকীয় আকার ধারণ করেছে! জাতের গুণ যাবে কোথায়!
    যাইহোক হায়দার আর দেখা হোলো না, হাউসফুল, রাত ১১টা অব্দি ভয়ানক বাজে ভূতের সিনেমা দেখে নিউ ইয়র্কের রাস্তা ধরলাম।
    আর সেই রাতেই আমার পূজো, রাত দেড়টার "এল" ট্রেনে আমার সম্মুখবর্তিনী, সাদা টি শার্ট আর মেক আপ ছাড়া কবিতার মত বসে রইলো। হাই তুলতে যখন মুখ হাঁ করে আলতো সরালো, দেখি পেছনের পোস্টারে লেখা "poetry in motion", সে কোথায় নামলো, কি করে, কি খায় কোথায় থাকে আমার কিচ্ছু জানার নেই, শুধু রেখে দিলাম গতিময় কবিতার স্থবির স্মৃতিটিকে, এবারের পূজোর ছবি বলে।
    যাইহোক এই আমার পূজো, শেষে একটাই কথা, দুধের সাধ ঘোলে মেটাবেন সেও ভি আচ্ছা, কিন্তু না ঘরকা না ঘাটকা চুল্লু দিয়ে মেটালে চোঁয়াঢেকুর ও বদহজমের, এবং শেষে বমণের প্রবল আশঙ্কা!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৪ | ২৮৬৬৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ২১৮ - Nishan Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০১74854
  • অরন্য,আমার কাছেও এগুলো কোনো সমিস্যে নয়।লেখার তাগিদে লিখলাম। কিন্তু সেকেন্ড জেনেরেশন এর সমস্যা টা কিন্তু বেশ গভীর। তাদের অনেকের কাছেই, নতুন দেশ থেকে আসা মানুষজন একটু অবহেলার পাত্র। দেশ থেকে আসা কোনো জনতা,খুব তাড়াতাড়ি কোনো উচু পোস্টে (যেমন লেকচারার, প্রফেসর বা কন্সাল্তান্ট) বসে পড়লে, ভয়ংকর রেগে যায়। কিন্তু একই যোগ্যতার কোনো সাদা ব্যক্তি, একই পোস্টে বসলে, খাপ্পা হয়ে যায় না।
    কোনো মানুষ ই পারফেক্ট নয়। কিন্তু এই ঘৃণার রেশ টুকু অনুধাবন করা যায়।
    এটাই পরবর্তী কালে, দেশের প্রতি তাদের টান কমিয়ে দেয়। একজন ব্রিটিশ ফার্স্ট হোক বা সেকেন্ড জেনেরেশন হোক, দেশের প্রতি টান প্রায় একই থাকে। আমাদের দেশে সেকেন্ড জেনেরেশনের অবদান বেশ কম।বরঞ্চ ফার্স্ট জেনেরেশন, যারা দেশে ফিরে এসেছেন, তাদের কাছে দেশের প্রাপ্তির ঝুলি টা অপেক্ষা কৃত বেশি ভারী।
    এটা কি থেকে আসে বলে মনে হয়?
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০১74853
  • এনারাইদের বেড়ালগুলো শুনছি নাকি বেজায় হুলো।
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১১74855
  • পেপার ন্যাপকিনে নাক ঝাড়া কিন্তু রুমালে নাক ঝাড়ার থেকে স্বাস্থ্যকর
    ----
    সে, আমি কিন্তু টিসু তে নাক ঝাড়া তা মোটা মুটি ভালো অভ্যেস নকল করার লিস্টি তেই ফেলেছি।
    বাচ্চা দের শোআর ব্যাপারে একমত নই। যারা দুগ্ধ পোষ্য শিশু তারা একই ঘরে (প্রায় এক বছর অবধি) মায়ের পাশেই কোনো কটে শোআনো থাকে। সে কমফোর্ট ফিল করে, কারণ মা তাকে মাঝে মধ্যেই দুধ খাইয়ে যায়। সমিস্যে হলো একটু বড় বাচ্চার। যাকে মা বাবার থেকে আলাদা করে অন্য ঘরে রাখা হয়। সে যে এটাতে কমফোর্ট ফিল করে না এটা তে আমি নিশ্চিত।
  • Adhuli | 190.148.69.210 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১১74821
  • নতুন লোকেদের প্রতি অবজ্ঞা শুধু বিদেশেই হয় না, নিজের দেশেও কিছু কম নেই। কলকাতা র এক জায়গা থেকে আর এক জায়গা তে বাড়ি কিনে যারা গেছেন, তারা ভালই বুঝতে পারবেন। এক সহর থেকে আর এক শহর ছেড়েই দিলুম। Univ র হোস্টেল এ গ্রামের ছেলেদের কি ভাবে harass করা হয়, সেটা অনেক দেখা আছে। NRI রা যদি নিজেদের মত করে পুজো উপভোগ করেন, তবে দোষটা কোথায়-? ভালো না লাগলে না গেলেই হলো। তাতে কারোর কিছু এসে যায় না। এটা তো অনেকটা "আঙ্গুর ফল টক" এর মত লাগছে।

    নিজের কথায় বলতে পারি, দেশে ফিরতে চাই না. কারণ বিদেশে যত কষ্টই থাক, একটা ভালো সিস্টেম এ এখানে কাজ হয়, আমাদের দেশের মত ঘুষের ওপর ভরসা করতে হয় না। এখানে মেয়েরা নিজের মত ঘুরে বেড়াতে পারে, দেশের মত ধর্ষকের দল এখানে ঘুরে বেড়ায় না। কিছু সমস্যা হলে পুলিশ অন্তত ভালো ভাবে কথা বলে, দেশের পুলিশ র মত কুকুরের মত behav করে না। পলিটিকাল লিডার রা এখানেও useless , কিন্তু বং লিডার দের মত একটা সম্প্রদায় কে নগ্ন ভাবে তোষণ করে না। তাই সব খারাপ মেনে নিয়েও মনে হয় যে এখানে শান্তি তে জীবন কাটানো যাবে। যাদের সেটা মনে হয় না, তারা ফিরে গেলেই পারেন, অথবা না এলেই হলো। আক্ষেপ করে জীবন টা নাই বা কাটালেন।
  • লম্বুদ্বীপ নিবাসী | 214.194.141.29 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১৯74856
  • sm,

    আপনাকে একদম ঝুড়ি কোদাল নিয়ে বোঝাই কেমন ?

    ১। হেগে পোঁদ লোকে কাগজে পুঁছবে না জলে ধোবে সেটা কমোড বা প্যান এর উপরে ডিপেন্ড করে না এটা তার ব্যাক্তিগত পছন্দ

    ২। আমি অনেককে জানি যারা দেশ থেকে আসার সময় মগ নিয়ে আসে , কারণ ওটি চট করে এদেশে পাওয়া যায় না, আবার অনেকে কাগজেই রীতিমতন স্বচ্ছন্দ। আবার সেই ব্যাক্তিগত পছন্দ

    ৩। এদেশে সিংহভাগ বাঙালী যারা বাড়ি কেনে তারা ৯৯% ক্ষেত্রে 2nd Hand বা used বাড়ি কেনে, সেই বাড়ির টয়লেটকে রিমডেল করা শুধু মাত্র হাগজ ব্যবহার বন্ধ করার জন্য বাস্তবচিত নয়। কারন, সেক্ষেত্রে , ফ্লোরিং ওয়াটার প্রুফ করতে হবে, রাবার ফিলিং সহ, প্লাম্বিং লাইন চেন্ঞ্জ করতে হবে, হট কোল্ড সহ , যা কিনা কন্সিল , এবং দেওয়াল ও চেন্ঞ্জ করতে হবে প্লাম্বিং রিপেয়ারের জন্য। এছাড়াও মাটিতে পড়া জল বার করার জন্যে ড্রেনেজ সিস্টেম বানাতে হবে নতুন করে। এছাড়াও মনে রাখবেন প্রতি বাড়িতে একাধিক বাথরুম থাকে কাজেই এটি সব বাথরুমের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

    ৪। যারা আপ্যার্টমেন্টে থাকেন বলা বাহুল্য তাদের এই ওপশন ই নেই।

    ৫। এইরকম শীতপ্রধান দেশে বাথরুমের মেঝে সারাক্ষন ভিজে থাকলে সেটা প্রচণ্ড অসুবিধাজনক বিশেষ করে সাথে ওয়াক ইন ক্লোসেট অ্যাটাচ থাকলে যা কিনা প্রায়শই কার্পেট ফ্লোরিং হয়।

    ৬। সামাজিকতার কারনে বাড়িতে অতিথি (দেশী বা বিদেশী) এলে তাদের সুবিধার্থে হাগজের ব্যব্স্থা রাখা প্রয়োজনীয়।

    ৭। কমোড স্প্রে এদেশে একটি বেশ দুর্লভ বস্তু, হোম ডিপো থেকে সিয়ার্স বা Lowes কোথাও এই বস্তুটি অ্যাভেলেবল নয়। যদি বা তা বহু কষ্টে জোগাড় হয় তা খারাপ হলে সেই একই ঝামেলা।

    ৮। বেশীর ভাগ বাড়ি সেন্ট্রালি এয়ার কন্ডিশন্ড হওয়ায়, ভিজে বাথরুম শুকোতে টাইম নেয় , এবং দুর্গন্ধ এবং পোকামাক্ড় হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুন বেড়ে যায়।

    আর সবশেষে পঃবঃ তেও সবকটি সফো কোং তে হাগজের প্রচলন আছে বলেই জানি। এবং হাগজ ব্যবহার করলে বাঙালীয়ানা খর্ব হবে এটাই বা ভাবার কারণ কি ? খাদ্যাভ্যাস, ব্যবহারিক অভ্যাস বা রুচি পুরোটাই স্থান কাল পাত্র ভেদে হয়, তার সাথে বাঙালী , অবাঙালী হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। যে লজিকে লোকে ধুতি ছেড়ে আজ জিন্স পরে অফিস করে , সেই লজিকেই লোকে এখানে হাগজ ব্যবহার করে কারন তা সহজলভ্য ও সুবিধাজনক এদেশের পরিবেশ অনুযায়ী।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২১74857
  • যারা একদেশ থেকে অন্যদেশে মাইগ্রেট করে তাদের কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে তো যেতে হয় ই। দুনিয়ায় সর্বত্র। এমনকি যেখানে দুটো পাশাপাশি দেশের মধ্যে মাইগ্রেশন হচ্ছে, সেখানে কালচারাল ডিফারেন্স খুব কম হলেও মাইগ্রেশনের কিছু কিছু এফেক্ট প্রথম ও দ্বিতীয় জেনারেশনে থাকবেই। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে অ্যামেরিকা তো বিরাট দূরত্ব। কালচারের দূরত্বও আছে। সমাজব্যবস্থার দূরত্ব আছে। এবং ভাষা।
    অন্যদেশে মাইগ্রেট করে যারা, তাদের নানান কারণ থাকতে পারে এই মাইগ্রেশনের পেছনে। সবার কারণ এক না। কেউ বিবাহসূত্রে, কেউ আর্থিক কারণে, কেউ সামাজিক কারণে, কেউ রাজনৈতিক কারণে, কেউ উদ্বাস্তু, এইরকম অসংখ্য কারণ আছে। সবার কারণ একটাই অর্থাৎ টাকার লোভ, তা ভাবলে ভুল হবে।
    যে দেশে মাইগ্রেট করা হোলো, তাদের থেকে শুধুই নেবো, কিন্তু তফাৎ থাকবো, বেণী ভেজাবো না - এটাই বা কেমন কথা? একটা দায়বদ্ধতা তো থাকেই। ইন্টিগ্রেটেড হওয়া আছে নতুন সেই দেশের সঙ্গে, তার সমাজব্যবস্থার সঙ্গে, আবহাওয়া, আইন কানুন, কতকটা খাদ্যাভ্যাস, আদবকয়দা, সমস্তই। তা বলে পুরোপুরি নিজের পূর্বসত্বা হারিয়ে গুলে গিয়ে অ্যাসিমিলেটেড হতে হবে কেন? অ্যামেরিকা তো ইমিগ্র্যান্টদের নিয়েই তৈরী। কিন্তু সেদেশের যেমন সমাজ নিয়ম আইন আদব কায়দা স্বাস্থ্যব্যবস্থা- সেগুলো তো মেনে নিতেই হবে। আমি দেশে সকালে বাড়ীর সামনের রোয়াকে দাঁড়িয়ে দাঁত মাজি ও সামনের বাড়ীর ভদ্রলোকের সঙ্গে জোরে জোরে খবরের কাগজের খবর নিয়ে আলোচনা করি - এটা বিদেশে গিয়ে করতে পারবো না। ছেলেমেয়েদেরো চোস্ত বাংলা শেখাতে পারবো না। বলতে তবু যদি শেখেও কিছুটা, পড়তে ও লিখতে শেখানো আরো শক্ত। সবাই পারে না। তবু মনে একটা দুঃখ তো থেকেই যায়। বিনে স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা? তাই যতটা পারা যায়। ঐ সেকেন্ড জেনারেশন অবধিই। তারপরে আর হবে না। মানে হবার চান্স খুব কম। বাচ্চাগুলো ইংরিজি অ্যাকসেন্টে বাংলা বলছে। যেটুকু বলছে, সেটুকুই তো প্রশংসনীয়। হয়ত বাপ মায়ের চাপে পড়েই এসেছে পুজো দেখতে, তবু এসেছে তো। পরে হয়তো আর আসবে না, শৈশবের আবছায়া স্মৃতি থাকবে এনারাই পুজো প্যান্ডেলের। মেয়ের বিয়ে বলতে গিয়ে মায়ের বিয়ে বলেছে। তারপরে সো ওয়াট বলেছে। বেশ করেছে। ও অন্য সমাজের বাচ্চা, মেয়ের বিয়ে কি মায়ের বিয়ে তাতে ওর ফারাক পড়ে না। অত শৈশবেই সেই কুটলেমি শিখে উঠতে পারেনি। সুকুমার রায়ের সৎপাত্র কোনো উৎকৃষ্ট মানের কবিতা নয়, তবুও সেটা মুখস্ত করতে গিয়ে যদি গুলিয়ে ফেলেই থাকে - শুধু ঐ সো ওয়াটের জন্যে শিশুটিকে অনেক অনেক আদর দিলাম।
    ওর মনটা পরিষ্কার থাকুক অন্ততঃ আরো কিছুদিন।
  • jaladhar no. 1 | 172.233.205.42 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২৮74822
  • sm-এর অ্যানালিসিস আমার পছন্দ হয়েছে।

    তিনদল লোক আছে। একদল পোড়খাওয়া এনারাই। হাড়বজ্জাত। পুজোর পান্ডা। এই দলের নাম দেওয়া যাক "বজ্জাত"।

    দ্বিতীয়দল হচ্ছে, সেকেন্ড জেনারেশন। এমনিতে ভাল, কিন্তু "বজ্জাত"-রা এদের মনে "আহারে"-দের (নীচে দেখুন) সম্বন্ধে ঘেন্না ঢুকিয়ে দেন। এরা ওঁচা অ্যাক্সেন্টে ইংরিজি বলে আর নিজেদের হনু ভাবে। এদের নাম দেওয়া যাক "হনু"।

    তৃতীয় দলে আছে যারা দেশে থেকে সবে পা রেখেছেন। এদের নাম দেওয়া যাক "আহারে"।

    ইনসাইটফুল অবজার্ভেশন। খালি অংকে মিলছে না।

    বজ্জাত, হনু ও আহারে, কোন দলেই সটাসট ফিট না করায় আত্মধিক্কার দিয়ে বলতে হয় -

    "নই জুতা নই ছাতা,আমি তবে কেউ নই!"
  • Blank | 69.93.242.30 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩০74858
  • ছুঁচু করেন ই বা কেন। হাই স্পীড ফ্যানে নীচে পাছু ধরুন। হাওয়ায়ে পেছনে লেগে থাকা গু শুকিয়ে যাবে। তখন পেছন দুলিয়ে ঝেড়ে ফেলে দিন।
  • jaladhar no. 1 | 172.233.205.42 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩৪74859
  • হরি হে দীনবন্ধু
    তুমি আমার বাবার বন্ধু।
    হয় তুমি দেখা দাও
    নয় রিমডেলের টাকা দাও।।
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৪৫74860
  • লম্বুদীপ নিবাসী , আপনার আন্তরিক প্রচেষ্টা কে ধন্যবাদ। দেখুন কিছু আগের পোস্টে লিখেছিলাম , বিদেশে কিছু জিনিস আমরা নকল করি।তার মধ্যে অনেক জিনিস ভালো ও নকলকরাই বাঞ্চনীয়। উদাহরণ দিয়েছিলাম "আমরা সকলে সাহেব দেশে গিয়ে তাদের শিষ্ঠাচার , সময়ানুবর্তিতা,রাস্তায় থুতু না ফেলা, রুমালের বদলে টিসু তে সর্দি মোছা ইত্যাদি নকল করি।" এগুলো কে ভালো ও অনুকরণীয় বলেই ভাবি।

    কিন্তু কিছু জিনিস আছে আমার একান্ত ব্যক্তিগত। যেমন আমার বাড়িতে আমি জুতো না পরে ঘুরতে পারি,লুঙ্গি পড়তে পারি, গামছায় মুখ মুছতে পারি।এগুলোতেও আমাকে ওদেশের রীতিনীতি ফলো করতে হবে কেন?
    আমি যদি জীবনের বেশির ভাগ সময় হাগজ না ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আমার নিজের বাড়িতে কতিপয় টয়লেট এর একটি তে অন্য ব্যবস্থা রাখবোনা কেন?
    বাকি রইলো টেকনিকাল সমিস্যে; সেটা অনেকেই সমাধান করে দিয়েছে। পয়সা খরচ? সারা জীবন যে হাগজ ব্যবহার করেন তার থেকে কম হবে, আর চারটে বড় গাছ কম ধংশ হবে।
    আর দেশে থাকলে, আম্মো বাড়িতে হস্ত প্রক্ষালন করি আর প্লেনে ভ্রমন করলে, বা বড় হোটেলে গেলে হাগজ ব্যবহার করি। কোনো দ্বিচারিতা নেই তো।
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৪৮74861
  • ব্ল্যাক এটা কি ভেবে চিন্তে লিখল? পাতলা হলে কি সামলাতে পারবি রে ক্ষ্যাপা?
  • Blank | 69.93.242.30 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৫৪74862
  • বেশী পাতলা হলে তো সমস্যা নেই। পেছনের পাতলা হাগুর ফোর্সে সামনের পাতলা হাগু ধুয়ে যাবে।
  • লম্বুদীপ নিবাসী | 214.194.141.29 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:০৪74863
  • sm একটা প্রশ্ন করছি, আপনি কি এদেশে কোন বাড়িতে হাগজের পরিবর্তে অন্য ব্যব্স্থা করেছেন বা দেখেছেন ? নিজের ধারণা নয় ব্যবহারিক এক্সপেরিয়েন্স জানতে চাইছি। অবশ্যই বাথটবে কাজ চালানো টাইপ ব্যব্স্থা নয়। প্রপার বন্দ্যোবস্ত একদম দেশের মত।

    এর পরে কিছু টেকনিক্যাল প্রশ্ন আছে তবে তা আপনার জবাবের পরে।
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:১৩74864
  • হ্যা,দেখেছি,লন্ডনে। তবে টেকনিকাল জিনিস পত্তরের উত্তর দিতে পারবোনা, কারণ পেশা তে প্লাম্বার বা সিভিল এঞ্জিনিয়ার নই। সে, হ্যান্ড শাওয়ারেরকথা লিখেছিলেন। সেটি সম্মন্ধে কি মত? অনলাইন এর যুগে অলভ্য কিছু আছে কি?
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:১৪74823
  • দুর্গাপ্রতিমা কেমন হয়? ছোটো প্রতিমা না বড়োসড়ো? ভাসান হয় না নিশ্চয়। বিজয়ার সামাজিকতা? সিঁদুর খেলা? পুজো করেন কেমন পুরোহিত? পুষ্পাঞ্জলি দেয়া হয় না? মহাষ্টমী মহানবমীর সন্ধ্যারতি? ধুনুচি নাচ? ফোটো তোলেন্নি? তুললে সেগুলোর লিঙ্ক দিন্না, দেখি।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:১৬74824
  • আচ্ছা বোধন হয়? কলাবৌ?
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:১৮74865
  • আর একটা কথা, জাপানিরা শুনেছি, কমোড ব্যবহার করতে চায়না। বলে হাইজিনিক নয়। যদি আমেরিকা তে ইন্ডিয়ান স্টাইল এ পায়খানা করতে দেয়, তাহলে আপনার কি মনে হয়, অধিকাংশ এন আর আই বাঙালি পুরনো ব্যবস্থা তে ফিরে যাবে?
  • a x | 138.249.1.206 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:২৮74866
  • হুতো ঃ-))

    এই থ্রেডটা পড়ছি আর হাহা করে হেসে যাচ্ছি!
  • - | 109.133.152.163 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:৩০74867
  • ভাবা যায় না!!
  • a x | 138.249.1.198 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:৩১74868
  • ব্ল্যাঁকি ঐ হাওয়াও শুকনো পাছুতে লেগে থাকা হাগুর একটা সাহেবী নাম আছে - ডিংগলবেরি ঃ-))
  • ujbuk | 96.135.51.45 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:৩৫74869
  • বিদেশী পুজোয় লাইন মারা যায়না একেবারেই । সুতরাং ওই পুজো ভালো না
  • লম্বুদীপ নিবাসী | 214.194.141.29 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:৩৮74870
  • হ্যান্ড শাওয়ার তো অনেক পরে , গ্রাউন্ড ফ্লোরে বাথরুমের মেঝেতে জল লিক করলে বেসমেন্টের কি অব্স্থা হবে সেটা ভাবছি।

    আপনাকে জানিয়ে রাখি , প্রপার ভাবে একটি বাথরুমে জল ফেলে ছুঁচু করতে (মিনিমাম )রিমডেলিং এর খরচে আপনি মোটামুটি ১৫৩ বছর সারা পরিবারের টিস্যুর খরচা চালাতে পারেন। এবার পসন্দ আপনা আপনা।

    কমোডের থেকে উবু হয়ে বসা সাস্থ্যকর, কারণ পেটে চাপ পড়ে যা কোষ্ঠ পরিস্কারে সাহায্য করে।

    এবারে বাকি এন আর আই বাঙালি , তাদের পৃথুল ভুঁড়ি এবং দুর্বল হাঁটু সামলে উবু হয়ে বসবে না কমোডে বসবে সেটা তাদের পসন্দ আপনা আপনা।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:১৭74871
  • পুরো ব্যপারটা গু কেন্দ্রিক হয়ে গেলো, অতএব আমিও কিছু বলি, আমি এখনও অব্দি কুইন্সে দুটি বাড়িতে থেকেছি। কোনটাই সেণ্ট্রান এসি নয়, এবং দুটোতেই মগের বন্দোবস্ত ছিলো। (নিউইয়র্কে মগ আদৌ দুষ্প্রাপ্য নয়) যাই হোক জনৈক বন্ধু আমার বাড়িতে একবার এলেন। তিনি বাথরুম যাবেন বলাতে, আমি বললাম, "দেখবি বেসিনের পাশেই একটা মগ রাখা আছে"

    তিনি ভয়ানক অবাক হয়ে আমার দিকে ফিরে বললেন "তুই এখনও জল ব্যবহার করিস"

    তারপর জানালেন জল ব্যবহারে কি কি অসুবিধা, এবং আমি কিভাবে ইউনি এবং এয়ারপোর্টে সমস্যায় পড়তে পারি। বাইরে আমিও হাগজ ব্যবহার করি। সমস্যা হয় না। ঘরে কি করবো না করবো তাতেও লোকে অবাক হবে? আবার এমন একজন যে সারাজীবন পঃবঃ তে কাটিয়ে এসেছে এক বছর হোলো?

    যে যা পারছে করুক আমার কোন বক্তব্যই নেই, কিন্তু আমার মনে হয় প্রাণপণে সাহেব হবার চেষ্টার মধ্যে নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতা বোধ কাজ করে। যে ধরণের হীনমন্যতার এফেক্ট সর্বত্র যেমন বিয়ের সময় ফসসা মেয়ে খোঁজা। তার extension হোলো আমার জাতিবিদ্বেষ!

    যেমন যদি আমি কাল একটি সাদা মেয়ে বিয়ে করে ঘরে তুলতে পারি আমি বন্ধু ও প্রতিবেশী মহলে হিরো হয়ে যাবো (চোখে দেখা ঘটনা)

    অপরপক্ষে আমি যদি কালো মেয়ে বিয়ে করি, মন্তব্য আসবে "উঁঃ কেলে মাগী" গোছের (চোখে দেখা নয়, তবে ভুলক্রমে কিছু বান্ধবকে আমার কালো মেয়ে ভালো লাগে জানানোয় এই এফেক্ট পেয়েছিলাম)

    কাজেই আমার মনে হয় কে কি রকম মানুষ তার সাথেও এটার প্রবল যোগাযোগ আছে।

    আত্মসম্মান একটা অত্যন্ত জরুরী জিনিস, বাইরে অনেক কিছু শেখার আছে বৈকি, কিন্তু তার মানে এই নয় আমার যা আছে সব ফ্যালনা!

    এই শহরে আমি পাঞ্জাবী পরে ঘুরে বেড়াই গরমকালে, অনেকসময় লোকে মন্তব্য করে বৈকি যেমন "Wow, what a nice shirt, where did you get that?"

    বদলে ঘরে ফিরে আমার বাঙালী বন্ধুর মুকে শুনতে হবে "বাব্বাঃ নিউ ইয়র্কে পাঞ্জাবী পরে ঘুরে চলে এলি!" সাথে আমি তো অবাক মুখভঙ্গী! সত্য সেলুকস!
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:১৯74872
  • পরকীয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর জিনিস যতক্ষণ না সেটা অন্য কারো জন্য পেছনে বাঁশ হয়ে দাঁড়াচ্ছে! আর যেসব শুয়োরের বাচ্চা মুখে একরকম, প্রথমদিন ডায়লগ দেবে তুমি আমার মেয়ের মত, পরের দিন কচলাবে, সেই সব শুয়োরের বাচ্চাকে যাদের ভালো লাগছে লাগুক আমি ভালো বলতে নারাজ, তাদের পশ্চাদ্দেশে আমি মুত্রত্যাগ করি!
  • adhuli | 190.148.69.210 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ১০:১৫74873
  • sm , আমি racism নেই এ কথাটা বলি নি। সব দেশেই আছে। নানা ভাবে। নিজে ইন্ডিয়া তে অন্য প্রদেশ এ চাকরি করতে গিয়ে দেখেছি, সেখানেও ডিসক্রিমিনেশন কিছু কম নেই, সেটা racism হোক, regionalism , castism হোক আর যাই হোক। আর এখানে মেয়েরা সবাই সেফ, সব কিছু অত্যন্ত ভালো, তাও নয়। আমি আমার মত একটা রিলেটিভ এসেসমেন্ট করেছি, এবং সেটা তে আমার এবং আমার পুরো পরিবার একমত হয়েছি। সেটাই ইম্পর্টান্ট। কোনো দেশ ই স্বর্গ নয়। আমার কথাটা শুধু হলো যে যেখানে আছেন, তারা নিজের ইচ্ছেতে আছেন, নিজেদের যা ভালো লাগে তাই করছেন। তাতে এত complain এর কি আছে-? আপনার ভালো লাগলে থেকে যাবেন, না ভালো লাগলে ফিরে যাবেন, সব এ আপনার নিজের ইচ্ছে। NRI দের নিয়ে এত প্রবলেম কেন-? তারা তো আপনার পেছন এ বাঁশ দিতে আসেন নি, বরং ওদের পেছন নিয়ে আপনার বেশি চিন্তা দেখছি। কে কার পেছন কি ভাবে ধুচ্ছে, এটা নিয়ে এত মাথা না ঘামিয়ে বরং নিজের পেছন নিয়ে চিন্তা করুন, অনেক স্বাস্থকর হবে সেটা।

    এখানে পুজোতে কালচারাল উত্পাত নিশ্চয় হয়, তবে জায়গা টা অনেক বড় বলে সেগুলো শোনার কোনো বাধকতা নেই। ইন ফ্যাক্ট, কেও এখানে নিজেকে বড় শিল্পী ভাবে না, নাচ গান এর থেকেও যে আমাদের নিজেদের মাঝে দেখা হয়, আড্ডা হয় , সেটা বেশি ইম্পর্টান্ট, কালচারাল দিক টা শুধুই একটা সাইড কিক। যেহেতু এখানে অনেক রিলেটিভ কারোর এ থাকে না, এখানে বন্ধু রাই আপন হয়ে যায়। শুধু এখানে কেন, সব জায়গা তেই। যেখানে একটা বড় দল থাকে, তাদের মাঝে একটু ঝগড়া, মতান্তর হবে না তাও কি হয়-? আপনার কলকাতায় কি হয়-? সেটা বোধ করি যত কম বলা যায়, তত ভালো।

    সুনীল গাঙ্গুলী কে quote না করলেও হত। আমাদের দেশে পরকিয়া কিছু কম নেই। সেটা থাকুক বা না থাকুক, যাই হোক না, এটা তাদের নিজেদের ব্যাপার, তারা নিজেরাই ভালো বুঝে নেবে, আপনাকে তালিবানি জেঠুগিরি না করলেও চলবে। তাদের বাচ্ছাকে তারা কোন ঘরে শোয়াছে, সেটাও তাদের ব্যাপার। আপনারা নিজেরা কি করবেন বা করছেন, তা নিয়ে আর কারোর মাথা ঘামানোর সময় নেই। ওই জিনিস টার বড় অভাব এই দেশে।

    শেষে বলি, ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন, যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন, আর যেখানে ভালো লাগে সেখানেই থাকুন। একটাই তো জীবন। সেটা কেন শুধু কমপ্লেইন করে, তুলনা করে কাটাবেন-? আরো তো কাজ আছে।
  • ranjan roy | 24.97.128.129 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ১০:২৩74874
  • আরে নিশান,
    হটাৎ ক্ষেপে গেলেন কেন? বেশ চলছিল। হাগজ-ডিংগলবেরি ( অক্ষদাকে থ্যাংকস, হা-হা -প-গে) এবং পরকীয়া।
    কিন্তু এতক্ষণ কেউ এমন কিছু বলেনি তো যে এহেন লাভা উদ্গীরণ হবে!
    মিশনের ছেলেপুলেরা তো অনেক "জিতেন্দ্রিয়", "স্থিতধী" এইসব হয়। যেমন অভ্যু, যেমন দুখে, যেমন ওমনাথ, যেমন আমিঃ))))।
  • aranya | 154.160.226.93 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ১০:২৯74875
  • ধরেই নিয়েছিলাম এনারাই বং-রা সব তিলে খচ্চর, হাড়-হারামি আর আই বং-রা সুশীল, সুবোধ..
    আধুলি-র লেখাটা পড়ে ধড়ে প্রাণ এল। এখন মনে হচ্চে কে কোথায় থাকে সেটা অত ইম্পর্ট্যান্ট নয়
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ১১:২৯74876
  • আমি তো এখন দেশে গেলেও হাগজ ব্যবহার করি।

    এসেম কোথায় থাকেন? নিজের বাথরুম রিমডেল করিয়ে নিয়েছেন?
  • ujbuk | 96.135.51.45 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ১১:৩৫74877
  • এই ওয়েবসাইট টা মাইরি একেবারে প্রবাসী পুজোর মতো । যে যার মতো পাঞ্জাবি পরে কেতা মারে :D
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৪ ১১:৩৯74878
  • রেগে যাবার জন্য দুঃখিত। আসলে আমি কয়েকদিনের মধ্যেই এমন কিছু হারামি লোকের সাক্ষাৎ পেয়েছি যেটার দরকার ছিলো না, তার মধ্যে একপিস আবার মিশনেরই ছাত্র, যার জন্য গায়ে লেগেছিলো বেশি। এই ধরণের বেশ কিছু লোককে দেখেছি দিল্লীর রেপ নিয়েও গলা ফাটাতে, এবং আমি যে ঘটনাটা ভেবে উত্তেজিত হলাম বেশি (যাতে এখানে কারো কোন দায় নেই) তাতে পরকীয়ার চেয়ে ধর্ষণ এফেক্টটাই বেশি ছিলো :( তাও দুঃখিত।

    আমি এযাবৎকালে কারো পেছনে কাঠি দিইওনি এবং লোকের বিষয়ে মাথাও ঘামাইনি, কিন্তু দুঃখের বিষয় লোকে যেচে কাঠি দিযে চলে গেছে।

    সুনীল গাঙ্গুলীকে কোট করার মধ্যে কোন অপরাধ দেখছি না। আর একবারও বলিনি দেশে পরকীয়া নেই। বিদেশে আছে বলা মানেই দেশে নেই বলা নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন