এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কুসংস্কার | 188.83.87.102 (*) | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:৪৭71835
  • পুরোনো কুসংস্কার যাবে নতুন কুসংস্কার আসবে
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:৫৮71836
  • বিধবাদের আমিষ না খাওয়া, অম্বুবাচী করা ইত্যাদি কমেছে, ওদিকে আবার কবিতা কৃষ্ণমূর্তি (নাকি অন্য কেউ?) নাকি অম্বুবাচীকে গ্লোরিফাই করছেন!?

    বল মা তারা দাঁড়াই কোথা?
  • Arpan | 116.200.54.70 (*) | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:০৮71837
  • কৃষ্ণন।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:১৪71838
  • ইইকস!
    হ্যাঁ কৃষ্ণন কৃষ্ণন।
  • কল্লোল | 125.242.172.63 (*) | ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:২৬71839
  • কুসংষ্কার কমেছে বলিনি।
    বিধবাদের সাদা থান, আমিষ না খাওয়া, একদশী করা - এসব অনেক কমেছে (অবশ্যই শহরে) কথা বলতে বলতেই।
  • san | 113.245.13.27 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৬71866
  • কই আমি তো আমার তামিলিয়ান কলিগদের বেশ উজ্জ্বল লাল-হলদে কাঞ্জিভরম পরে বিয়ে করতে দেখলুম !
  • [] | 118.171.159.41 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৮71867
  • সেটাও ট্যাবু হলে সেটাও ভাঙা দরকার - এইতো সিকির মত?
  • সিকি | 132.177.159.19 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১০71868
  • যে ট্যাবুটা নিজের বা অন্য কারুর ক্ষতি করে না সেটা ভাঙা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। ক্ষতিকর ট্যাবু হলে অবশ্যই ভাঙা দরকার।
  • san | 113.245.13.27 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১১71869
  • তাদের বয়স্কা আত্মীয়াদেরও অবশ্য উজ্জ্বল রঙের শাড়িই পরতে দেখেছিলাম। ভাল লেগেছিল।
    এখন অবশ্য মা-মাসিদের জেনারেশনে বেশ বয়েসেও উজ্জ্বল রং পরতে দেখি। দিদা-মাসিদিদাদের একেবারেই দেখিনি।
  • [] | 118.171.159.41 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১৭71870
  • ক্ষতির ডেফিনিশন ও পারস্পেকটিভ নিয়েই তো বিস্তর বাইট খরচা।
  • dc | 132.164.146.63 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:০৮71871
  • হ্যাঁ তামিল বুড়িগুলো ভয়ানক জবরজং শাড়ী আর গয়না পরতে ভালোবাসে। তবে মেয়েদের বিয়েতে সাদা শাড়ী পরতে দেখিনি, অনেকে ঘিয়ে রংএর সিল্ক পড়ে দেখেছি।
  • সিকি | 132.177.235.53 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৫১71872
  • হ্যাঁ, অফ হোয়াইট বা ঘিয়ে রঙের সিল্ক পরে বিয়েতে। কেউ একজন বলেছিল - অ্যানেকডোট বলতে পারেন, ওদের কালচার অনুযায়ী কম বয়েসে মন রঙীন থাকে, তাই কাপড়ে বেশি রঙের দরকার হয় না, বেশি বয়েসে মনের রং কমে যায়, তাই কাপড়ে রং বাড়াতে হয়।
  • dc | 132.164.146.63 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:২৩71873
  • তা হতেও পারে। তার মানে কমবয়েসে পরকিয়া হওয়ার চান্স বেশী? :p
  • সিকি | 132.177.235.53 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৫৫71874
  • উফফ ডিসি। আবার কুম্ভমেলা কানেকশন!
  • AP | 24.139.222.45 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:২১71844
  • একক শেষ পোস্টে একবারেই কাল্পনিক কথা বলেছেন। শাক-সব্জীর দাম বেড়েছে আর মাছ-মাংস-ডিমের দাম বাড়েনি এমন তো নয় ! তাই আজকের দিনেও নিরামিষ ভোজনের মূল্য আমিষের চেয়ে বেশি এটা একেবারেই ঠিক কথা নয়। বিধবারা যে এইসব কিছু কুপ্রথার হাত থেকে নিস্তার পেয়েছেন, এটা অবশ্যই শিক্ষার প্রসার, নানারকম আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসার ফল। কেউ নিজে পেরেছেন, কাউকে তার পরিবার জোর কোরে বের করে এনেছে। সেটা না হলে নিছক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বিধবারা হয়তো খাওয়দওয়া আরো কমিয়ে দিতেন কিন্তু আমিষ ভোজন করে 'পাপের ভাগী' হতেন না। তার মানে যে সব কুসংস্কার কেটে গেছে এমনও নয়। কিন্তু যেটুকু কেটেছে তা যে অজস্র মানুষের কাজের ফল (অন্দোলনের নয়) এট অস্বীকার করা যায় না।
  • AP | 24.139.222.45 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:২৯71845
  • আর হ্যাঁ 'ছাপা' শাড়ীতেও সাদা সরু পাড় শাড়ী হয়, বয়স্ক মহিলারা পরেন কিন্তু গড়পরতা বিধবা মহিলারা এখন আর পরেন না। মানে দামটা এখানেও ফ্যাক্টর নয়। আবার অব্স্থাপন্ন ঘরের মহিলারা (যারা 'থান' অ্যাফোর্ড করতে পারেন) এর কোনোটাই পরেন না, সাধারণ তাঁতের বা ছাপা শাড়ীই পরেন।
  • পাপের ভাগী | 188.83.87.102 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:৪২71846
  • বিধবারা সবাই যে পাপের ভাগী হবার ভয় পেতেন এমনও নয়। লুকিয়ে অমিষ ভোজন করতেন এমনও হতো। সমাজের ভয়ে সর্বসমক্ষে খেতেন না। এমনকি ব্রাহ্ম বিধবাদের মধ্যেও এমন ছিলো। বাড়িতে মাছ মাংস খাচ্ছেন, কিন্তু অনুষ্ঠান/নেমন্তন্ন বাড়ীতে, হিন্দু বিধবাদের সঙ্গে আলাদা পঙ্কতিতে বসে নিরামিষ খাচ্ছেন।
    রঙীন কাপড় চোপড়ের ক্ষেত্রেও অনুরূপ। থান হয়ত উঠে গিয়েছিলো, কিন্তু সাদা খোলের শাড়ীর চলন ছিলো/আছে। শুধু তাই নয়, রঙীন শাড়ী পরলেও, তাতে লাল রংটা অ্যাভয়েড করেন আজকের দিনের বেশ অনেক অল্পবয়সী বিধবা। টিপ পরলেও, লাল টিপ পরেন না। সালোয়ার কামিজ পরলেও প্রচুর বিধবা লাল প্রিন্টের বা খুব জবরজং ডিজাইনের পোশাক অ্যাভয়েড করেন। সবাই হয়ত নয়, তবে অনেকে। তবে প্রকাশ্যে মাছ মাংস খাওয়া নতুন জেনারেশনের বিধবাদের মধ্যে এখন খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। দামের জন্যে নয়, সামাজিক পরিবর্তনের জন্যেই এমনটি হয়েছে। সাধারন নিরামিষ খাবার এখনও আমিষ (ডিমের ঝোল হলে অবশ্য আলাদা ব্যাপার) খাবারের থেকে যথেষ্ট সস্তা। তবে একাদশী করবার ব্যাপারটা প্রায় নেই বললেই হয়।
    অম্বুবাচী শুধু বিধবারা নয়, বহু ব্রাহ্মণ পুরুষও করতেন, বিশেষ করে পুরোহিতেরা। অম্বুবাচী কোনো ভালো জিনিস বলছি না, কিন্তু ঐ অজুহাতে আম কাঁঠালের দিনে তিনটে দিন ফল খেতে পারতেন নিয়ম করে। অন্যথায় সেকালে বিধবাদের কপালে তো ভালো খাবার দাবার ফল পাকুড় বিশেষ জুটত না। যেমনি জয়মঙ্গলবারের অজুহাতে সধবা মেয়েরা পেট ভরে ফলার করতে পারত লুচি দই মিষ্টি আম জাম দিয়ে। চারটে কি পাঁচটা মঙ্গলবার জষ্টি মাসে। নইলে পরিবারের সকলকে দিয়ে থুয়ে ওদের ভাগ্যে তো তলানিটুকুই পড়ে থাকত। কখনও তাও থাকত না।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:১২71847
  • শুধু বিধবা কেন? সধবাদের কপালেই জুটত না।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:২২71848
  • তা এই প্রসঙ্গে একটা গপ্প মনে পড়ে গ্যাল। মদীয় মেজদাদু ছিলেন বিখ্যাত কেপ্পন, মানে বাড়িতে তিনজন লোক থাকলে নিয়ম করে দুটো ডিম আনতেন, সবাই হাপ খাবে আর একস্ট্রা হাফ-টা খাওয়ার জন্যে পাড়ার কাউকে নেমন্তন্ন করে আসতেন।
    তা মেজঠাকুমা কি একটা ব্রত করেছেন, তার ফলে মেজদাদুকে অনেক ফল কিনে আনতে হয়েছে, স্বভাবতই মেজাজ একেবারে টঙ, কিন্তু ঠাকুর দেবতার ব্যাপার, কিছু বলতেও পারছেন না। বিকেলবেলায় সেই সব ফল খাওয়ার জন্যে কাটতে কাটতে

    মেজঠাকুমা (সহাস্যে)ঃ
    "শসা আর কলা খাও
    খাও পাকা আম
    আনারস জাম আতা
    আর কালোজাম"
    (যোগীন সরকার, আ-কার)

    মেজদাদু (দাঁতে দাঁত পিষে)ঃ
    "কচি কচি গাল ভরা খিল খিল হাসি
    আমি বড়ই ভালোবাসি"
    ( ঐ, ই কার)
  • Ekak | 24.96.17.127 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৩৭71849
  • নিরামিষ ফুল মিলের খরচ মাছের ঝোল ,একটা ডাল+ভাত এর চে বেশি নয় ? কিস্যু বলার নেই আর :D :D
    থীয়রিটিকাল হিসেব করছেন একেবারেই । শাকের দাম মাছের চে কম এইভাবে ভাবছেন । ওভাবে বাজার চলেনা । এক শাক দিয়ে ভাত খায়না কেও ।নিরামিষে গেলেই মাল্টিপল পদ করতে হয় । যেখানে আমিষে একটা ঝোল +একটা ডাল দিয়ে পুরো মিল নাবে । কোনো স্ট্যান্ডার্ড রেস্তরান্ট এ গিয়ে জিগ্যেস করুন আমিষ ফুল মিল আর নিরামিষ ফুল মিলে কোনটায় মার্জিন বেশি থাকে ।বাড়িতে বাজার করেন নিশ্চই । আমিষে আর নিরামিষ রান্নায় অয়েল কনসাম্পশন কোনটায় বেশি ? সারা মাস উচ্চেভাজা,বেগুনভাজা-আলুপোস্ত-চচ্চড়ি খেলে কত লিটার তেল লাগে আর ডাল+মাছের ঝোল ভাত খেলে কত ? টোটাল হিসেব করলেই বুঝবেন । ইকনমি যেভাবে পাল্টায় মানুষ সেইভাবেই লাইফস্টাইল পাল্টাতে বাধ্য হয়।এটা কোনো নতুন কথা নয় ।শুধু বিধবা বলে নয় ,গ্রীন ভেজিটেবল এর দাম বেড়ে যাওয়ায় ইন জেনেরাল নিউত্রিষণ গ্যাপ পর্যন্ত তৈরী হয়েছে । উদ্ভিজ্জ ভিটামিনের মারাত্মক ঘাটতি নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসে লোকজন । এটার উত্তর কী ? চিকেন-কাটাপনা র দাম অবস্যই বেড়েছে কিন্তু অপশন হিসেবে ভেজ ফুড হ্যাবিট এর চে ননভেজ ফুড হ্যাবিট সস্তা । তাই মধ্যবিত্ত মানুষ প্রথমে মিক্সড ফুড হ্যাবিট এ গেছে ।পয়সা কম থাকলে টোটাল ননভেজ ।
    বিধবাদের ধরে ধরে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তাই তাঁরা মাছ খান ......নাহ আমার চারপাশে এরকম জ্ঞান দিতে বা জ্ঞান গ্রহণ করতে কাওকে দেখিনি । কাজেই "কাজের ফল" ব্যাপারটা বুঝলুম না । ওগুলো তথাকথিত 'সমাজসংস্কারক' দের আত্মতুষ্টি বলেই মনে হয়।
    আর যাঁরা নিরামিষ খাওয়ার তাঁরা এখনো খান । যাঁরা সাদা থান পরার পরেন । সমাজের খুব নীচু আর খুব উঁচুর ব্যক্তিগত সংস্কার এর ওপর ইকনমির প্রভাব সবচে কম পরে । একদম গরিব যে বিধবা তিনি কালকেও পোড়া হাঁড়ির ভাত নুন দিয়ে খেতেন ,বড়জোর এক তরকারী ।আজ ও তাই খান । একদম ওপরতলায় যিনি তিনিআগেও "ময়দা" খেতেন বা ফুল কোর্স নিরমিষ ।এখনো তাই । মাঝের লোকেরা সংস্কার কাটিয়ে উঠতে বাধ্য হয় বাজারের চাপে । এত সাদারণ জিনিসে এত ভেঙ্গে বলতে হচ্ছে এটাই আশ্চর্য্য ।
  • পাপের ভাগী | 188.83.87.102 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৩৯71850
  • কাপড় চোপড়ের ব্যাপারে, বিধবাদের শুধু সাদা থানই নয়, একবস্ত্রা থাকবারও নিদান ছিলো। সেটা ভয়ঙ্কর। লজ্জা নিবারণ করা দুরূহ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ঋতুমতী অবস্থায়। সবাই তো আর বুড়ি বিধবা নয়। রিপ্রোডাক্টিভ এজগ্রুপের বিধবাদের ঘরের চৌহদ্দীর মধ্যে আটকে রাখার এ এক চরম উপায়। দশহাতি থান কাপড় দিয়ে লজ্জা নিবারণ সবসায় সম্ভব হতো না। কিছু কিছু পরিবারে আইন শিথিল হতো শেমিজ পরিয়ে। সায়া ব্লাউজ হলে থ্রি পিস্‌ হয়ে যায় থান মিলিয়ে। তাই শেমিজ।
    এ সমস্ত অপ্রেশনই সময়ের সাথে সাথে মিলিয়ে গেছে। মাথা মুড়োনো, দিনে একবার খাওয়া, সমস্ত অলংকার ত্যাগ করা। এসব প্রথা/কুসংস্কারের সঙ্গে নব্য কুসংস্কারের যেমন ফেং শুই, গ্রহরত্নের আংটি, এসবের ইন্‌টেন্সিটি মেলে না।
  • বিধবা | 188.83.87.102 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৪২71851
  • না একক। বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার ফুল কোর্স নিরামিষ ব্যাপারটা বুঝিনি। দীর্ঘকাল অনেক বিধবাদের খাদ্য তালিকা দেখেছি। মাফ করবেন। একমত হতে পারলাম না। সেই বিধবাদের ভয়েসটা থাকুক। চাপা যেন না পড়ে।
  • একক | 24.96.17.127 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৪৭71852
  • কুসংস্কার বলায় মনে পড়ল । কাল এক মরাঠী ভদ্রলোকের সঙ্গে গল্প হচ্ছিল । একথা সেকথার পর কিশোরী তাই -এর কথা উঠতে জিগালুম .....আচ্ছা লতাজি তো তাই বা বাই লেখেন না ? তখন জানলুম মেন্স্ত্রুয়াল সাইকল যদ্দিন চলে ততদিন একজন মহিলা তাই ।তারপর বাই । লতা যে কিছুই ইউস করেননা এন্ড শি ইনসিস্ট টু কল হার লতা-জী অর লতা-দিদি এই নিয়ে নাকী মরাঠী দের মধ্যে উষ্মা আছে ।

    উষ্মা থাকলো বোয়ে গ্যালো । লতা জী এরকম একটা স্টেপ নিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো । নিজের পার্সোনাল ব্যাপার নামের মধ্যে জুড়ে রাখতে হবে একী জ্বালা !
  • বিধবা | 188.83.87.102 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৪৭71853
  • "বিধবাদের ধরে ধরে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে" কে বলেছে? এতো মুখে কথা বসাচ্ছেন ভাই। এমন তো বলিনি। কোথায় বলেছি একটু দেখিয়ে দিন।
    বলেছি, অনেক বিধবাই লুকিয়ে আমিষ খেতেন। সমাজে কুসংস্কার কমে যাওয়ায় এখন প্রকাশ্যে খাচ্ছেন। এর সঙ্গে মাছ মাংসের দামের সঙ্গে আপনি যে নিরামিষ ফুলকোর্সের তুলনা টেনেছেন, সেটা খুবই হাস্যকর লেগেছে। অবশ্য স্মাইলি দিলাম না। ওটার আপনার পার্সপেক্টিভ, আপনি লিখতেই পারেন, তবে আমিও আমার পার্সপেক্টিভটা লিখব। আপনার ভয়েসও থাকবে, আমার ভয়েসও থাকবে , এইরকমই চিন্তাভাবনা।
  • একক | 24.96.17.127 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৫০71854
  • নানা আমি কারো ভয়েস চাপা দি নি :) তবে মামাবাড়িতে বিধবা দের ফলাহার আমিও দেখেছি ।ওটা জাস্ট এফর্দেবল নয় আরবান লাইফে ।মানে যেখানে কুমড়োর শাগ ও কিনে খেতে হয় আর কী ।
  • বিধবা | 188.83.87.102 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৫৭71855
  • আমার কোনো মামা নেই, তাই মামাবাড়ীও কোনো এক্সপিরিয়েন্স নেই, কিন্তু নিজের বাড়ী মায়ের বাড়ী ও অসংখ্য আত্মীয় বন্ধুর বাড়ী রান্নাঘর অবধি এন্ট্রি ছিলো। সেইজন্যেই জয়মঙ্গলবারে সধবাদের ফলার ও অম্বুবাচীতে বিধবাদের ফল পাকুড় খাবার গল্পটা খুব ভালো করে দেখেছি। নিত্য জীবনেও বিধবাদের দুধজাত খাদ্য ছাড়া অন্য অ্যানিম্যাল প্রোটিন থেকে বঞ্চিত রাখার ঘটনা জানি। ঐ একই পোশাক আশাকের ক্ষেত্রেও। যে বাড়ীতে বিধবারা হুলিয়ে নিরামিষ ভক্ষণ করেন, সেসব বাড়ীতে আমিষ যারা খান, তাঁদের পাতে ঐসমস্ত নিরামিষ খাবার এর সঙ্গে আমিষও থাকে। কুমড়োর শাগ কিনে খেতে হয়না যেথায়, সেথায় পুকুরে মাছও থাকতে পারে, কিনতে হয় না। সমস্তই অ্যাজাম্পশান।
  • কুসংস্কার | 188.83.87.102 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১১:১৫71856
  • ননভেজ ডায়েটে অভ্যস্থ মানুষকে রাতারাতি ভেজ ডায়েটে অভ্যস্থ করানো, দৈনিক একবার খাওয়া, নিরম্বু উপবাস, শুভ অনুষ্ঠানে প্রবেশের অধিকার না থাকা, তার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই অনেক সময়ে, তার সাজগোজের ওপরে সামাজিক বিধিনিষেধ আরোপ, এসমস্তই কুসংস্কার। এই কুসংস্কার সেই মেয়েটি দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী নয়। সে তুলনায় সধবার শাঁখা নোয়া পলা সিঁদুরের কুসংস্কার - যাকে এয়োতির চিহ্ন বলা হয়ে থাকে সেটা আর যাই করুক মেয়েটির স্বাস্থ্যের খুব বেশি হানি করে না। সিঁদুর কিছুটা ক্ষতি করে মেনে নিয়েও। তাই বিধবাদের সেইসমস্ত কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসাটা ভালো বলেই মনে হয়েছে। তারা বেরিয়ে আসতে পেরেছে/পারছে এটাই শুভবুদ্ধির/সাহসের পরিচয়।
  • ranjan roy | 24.96.61.158 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১১:২১71857
  • আমি এখন সপ্তাহে তিনদিন হোম ডেলিভারি নিচ্ছি।
    ওরা তো এককের র‌্যাশনাল ম্যান। প্রফিট মোটিভে রান করে।
    বাঘা যতীন, রামগড়, গড়িয়া, নাকতলা, নরেন্দ্রপুরের রেট বলছিঃ

    নিরামিষ-- ৬০/৭০ টাকা।
    ডিম-- ঐ।
    মাছভাত-- ৯০/১০০।
    চিকেন ভাত-- ১১০-১৩০।
    ডিঃ এর মধ্যে ভাত-ডাল-ভাজা-তরকারি ধরা আছে। নিরামিষ হলে মাছ-ডিম-মাংসের বদলে একটা তরকারি বেশি পাবে।

    আমি সধবা হয়েও বিধবাকে সমর্থন করলাম।
    ক্লোজ কোয়ার্টারে বিধবাদের লুকিয়ে মাছ খাওয়াও দেখেছি। আর বর্তমানে আমার বাড়ির বিধবাদের প্রকাশ্যে স্বাভাবিক ভাবে আমিষ খেতে দেখছি।
    কারণ আদৌ বিধবাদের বোঝানো নয়, ওরা আগে থেকেই বুঝত।
    আসলে বাড়ির অন্য সদস্যদের বিধবাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী বদলে গেছে। আগের দিনে বিধবারা লুকিয়ে খেতেন অন্য দের থেকে কড়া সমালোচনার ভয়ে।

    একইভাবে ধর্ষণ কমানো যাবে মেয়েদের জুডো-কারাটে শিখিয়ে নয়, চারপাশের পুরুষ সদস্যদের মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী বদলিয়ে।
    নইলে ছেলেবন্ধু/প্রেমিক কী করে গ্যাংরেপ করায়!
    ( যদিও মেয়েদের শারীরিক সক্ষমতা ও পুলিশি সুরক্ষা ব্যবস্থার বৃদ্ধির আব্শ্যকতাকে ছোট করে দেখছি না।)
  • একক | 24.96.17.127 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ১১:২৪71858
  • বেড়িয়ে আসাটা একশোবার ভালো ।সে যে পরিস্থিতিতেই হোক । "সাজগোজের সামাজিক বিধিনিষেধ" টা বেশ বিকট ব্যাপার ।এটা শুধু বিধবা নয় ,যে কোনো বয়স্ক মানুষের ওপরেই একটা চাপ । বয়েস হলেই সবাই ধূসর বা সাদা পোশাক পরবেন এটা সমাজের অলিখিত নিয়ম হয়ে গ্যাছে । মজার হচ্ছে সকলেই বলেন "লোকে কী ভাববে" ........এই লোকটা যে কে কেও জানেনা :(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন