এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অভিজিৎকে কি আমি চিনতাম?

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ৮৮৯৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আমি একটু নড়েচড়ে গেছি। অভিজিৎ রায়ের প্রোফাইল এখনও জ্বলজ্বল করছে ফেসবুকে। পাঁচ ঘন্টা আগে শেষ আপডেট। বিডি নিউজের একটা লেখার লিংক। অভিজিতেরই লেখা। সাত্র নাথিংনেস বিজ্ঞান এসব নিয়ে লেখা একটা ছোট্টো প্রবন্ধ।তার প্রথম লাইন "কেন কোনো কিছু না থাকার বদলে কিছু আছে?" আর সেই আপডেটের ঘন্টা পাঁচেক পরে পড়ছি বিডি নিউজেরই আরেকটা লিংক। এটা খবর। "একুশের বইমেলার থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা লেখক অভিজিৎ রায় ও ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যাকে। তাদের দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিজিতের মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে, আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তার স্ত্রী রাফিদার।" শুনছি, আহত নয়, মারাই গেছেন অভিজিত। শেষ লেখার লাইনটা শুধু উল্টে গেছে। কিছু থাকার বদলে কোনো কিছুই আর নেই। প্রশ্নটাও থেকেই গেছে। কেন কোনো কিছু থাকার বদলে নেই হয়ে গেছে? কেন?

    সোজাসুজি জানার কোনো উপায় নেই। কিন্তু তাও আমি একটু নড়েচড়ে গেছি। কেন? অভিজৎকে কি আমি চিনতাম? বলা কঠিন। খুব অনুসরণ করেছি তো নয়, মুক্তমনার লেখক হিসেবে একরকম করে চিনতাম। গুরুতে একটা লেখা ছাপা হয়েছিল, তার কিঞ্চিৎ সম্পাদনা করেছি। দু-চারটি বাক্য বাদ দিয়েছি, নাড়াচাড়া করেছি। মেল চালাচালি হয়েছিল কি? নিশ্চয়ই হয়েছিল, কিন্তু মনে পড়েনা। খুঁজে বার করা যেতে পারে, কিন্তু এখন, ঠিক এই মুহূর্তে খুঁজে বার করতে চাইছিনা। পারবও না, ইচ্ছেও নেই। কখনও সাক্ষাৎ, ফোনে কথাবার্তা? হয়নি। তাহলে কেন লিখছি? কারণ, আমি নড়েচড়ে গেছি। কেন? একটা লোক, যে এতদিন পাশেই ছিল, নেট দুনিয়ায় গা ঘেঁষে ছিল, ইচ্ছে হলেই টুক করে ফেসবুকে একটা মেসেজ কিংবা মেল করে দিলেই ধরে ফেলা যেত, সে তো আমার পড়শীই ছিল এতদিন। আমার পড়শী, আমার পাশের বাড়ির লোক, স্রেফ বাংলা লেখার জন্য, বাংলা ভাষায় লেখার জন্য, বাংলা ভাষায় নিজের চিন্তা প্রকাশ করার জন্য লাশ হয়ে যাবে, এটা অচিন্তনীয় না? সন্ত্রাস-টন্ত্রাস তো পৃথিবীর অন্যপ্রান্তের বিষয় ছিল। যা নিয়ে তত্ত্ব করতে হয়, মূল্যবান মতামত দিতে হয়। কিন্তু ঠিক পাশের বাড়ির লোকের মুন্ডু কেটে নিয়ে গেলে কেঁপে যাবনা?

    আমি নড়েচড়ে গেছি, কারণ, আমি এসবকে এতদিন দূরের জিনিস ভেবেছি। দূরবীন দিয়ে দেখা বৃহস্পতির উপগ্রহের মতো। এই তো কদিন আগে নেটে চেনা এক মহিলার উপরে ফতোয়ার কথা পড়লাম নেটে। মহিলা নিজের অসম্ভব উদ্বেগের কথা লিখছিলেন। চিৎকার করে জানাচ্ছিলেন মৌলবাদীদের কথা। লোকে নানা মতামত দিচ্ছিল। পক্ষে বিপক্ষে। কোন মতামতটা হিন্দু মৌলবাদীদের পক্ষে যাবে, কোনটা বিপক্ষে, এইসব। আমি দূর থেকে বসে দেখেছি, নিস্পৃহতায়। কেন? দূরের জিনিস ভেবেছি বলেই তো। তত্ত্বকথা ভেবেছি বলেই তো। আজ দুম করে সব কাছে চলে এসেছে, আজ আমি মহিলার নাম আর লিখছিনা। ভয়ে লিখছি না। কারণ এসব আর শখের তত্ত্বচর্চা নয়, লেখার জন্য এখন আমার পাশের বাড়ির লোককে কুপিয়ে মারা হয়। মহিলার নাম নিলে, কি জানি, তাঁরও মুন্ডু উড়ে যেতে পারে। বৃহস্পতির উপগ্রহ দূবরীনে দেখার পর গ্যালিলিওর ও এরকমই হয়েছিল নিশ্চয়ই। এটা তো ঠিক মহাজাগতিক ব্যাপার নয়, বৃহস্পতির উপগ্রহই হোক আর বিশ্বজগৎ, সে তো দূরের কিছু নয়, স্রেফ ওইটুকু দেখার জন্যই মানুষকে যেতে হতে পারে ইনকুইজিশনে।

    আমি নড়েচড়ে গেছি, কারণ, লেখার জন্য জীবন দেওয়া আর দূরের জিনিস নয়। এ যেন ব্রেখটের নাট্যতত্ত্ব, নিদারুণ বিচ্ছিন্নতায় অন্য একটা নাটকের দৃশ্যাবলী দেখার পর, দুম করে অনুভব করা, আরে এ তো আমারই কথা বলছে। আমার বা আমার পাশের বাড়ির। কিন্তু শুধু সেটুকুই নয়। এখানে রয়ে গেছে আরেক পরত ম্যাজিক রিয়েলিজম। কাঁটাতারের বেড়া। একই ভাষায় কথা বলি, আমি আর অভিজিৎ। বলি নয়, বলতাম। একই বিষয় নিয়ে তক্কো করতাম। করিনি, কিন্তু করতেই পারতাম। ভালোবাসতে পারতাম, ঝগড়া করতে পারতাম। নেট জগতে, গুরুর গ্রুপে, গুরুর পাতায়, যেখানে খুশি। সেজন্যই তো পাশের বাড়ির লোক মনে হয়, হচ্ছে, বা হবে। কিন্তু তারপরেও অভিজিৎ মারা গেলে আমার কিচ্ছু করার নেই। আমি নন্দীগ্রামের মিছিল দেখেছি, কলরবের মিছিল দেখেছি, থাকি বা না থাকি, উত্তাপ নিয়েছি, মতামত দিয়েছি। কাউকে কোথাও একটা জবাব দিয়েছি বলে মনে হয়েছে। আমার জবাব দেবার একটা জায়গা আছে বলে মনে হয়েছে। কিন্তু এখানে? আমার পড়শী খুন হয়ে গেলে আমার কিচ্ছু করার নেই। কারণ ওটা অন্য দেশের ব্যাপার। ওটা বাংলাদেশ। ওরা ওদের ব্যাপার নিজেরা বুঝে নেবে। কারণ মধ্যে আছে কাঁটাতার। আমার পড়শী খুন হবে, খুন হয়ে যাবে, মাথায় বাড়ি খেয়ে ছটফট করবে, আমারই মাতৃভাষায় চিৎকার করবে, আর আমি কাঁটাতারের এপাশ থেকে জুলজুল করে দেখব। এতেও যদি নড়ে না যাই তো কিসে যাব?

    ছোটোবেলায় গণসংগীত শুনতাম। সাথীদের খুনে রাঙা পথে দেখো, হায়নার আনাগোনা। কাঁটাতারের এপার থেকে এখন আমি হায়নার আনাগোনা দেখছি। আমি বহু হাজার মাইল দূর থেকে অফিস ফাঁকি দিয়ে শুধু লিখছি। নিরাপদে বসে। কারণ আমি এটুকুই পারি। মিছিলে আমার অধিকার নেই। ওদের ঝুঁকি ওদের, আমার নয়। ওদের ভূখন্ড ওদের, আমার নয়। আমার হাত-পা বাঁধা। আমার তেমন দুখ নেই, নড়ে-চড়ে যাওয়া আছে। আর আছে একটু ক্রোধ। আর মাঝে-মাঝে ঝিলিক মারছে একটা সুখস্বপ্ন। কোনো ভাবে এই কাঁটাতারটা ওপড়ানো যায়না? মৌলবাদকে রোখা যায়না একসঙ্গে?

    এ হয়তো ঠিক লেখা হলনা। কতো কিছু জরুরি কথা বাদ গেল। এবং এ সবই ইনস্ট্যান্ট কফির মতো চটজলদি আবেগের কথা। অফিসের ডেস্কে বসে ১০ মিনিটে লেখা। তবে নড়ে গেছি কথাটা মিথ্যে নয়। আর ক্রোধটাও আশা করি জাস্ট এই কি-বোর্ড পিষেই উবে যাবেনা। বাংলাদেশের বন্ধুরা হাত বাড়ান। সঙ্গেই আছি।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ৮৮৯৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৭:৪৪68979
  • রামকৃষ্ণ -বিবেকানন্দ নিয়েও মনে পড়ে, নরেনের ঐ সব জাতের তামাক টেনে বেড়ানোর গল্প, যত মত তত পথ এগুলো ছিল বড়সড় করে হাইলাইট করার মত বিষয়।
  • Ekak | 24.99.222.214 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৮:০২68980
  • এইসব আটভাট জিনিস আমরা কোনকালেই সিরিয়াসলি নিতুম না কাজেই এরকম প্রোপাগান্ডা ইতিহাসের আদৌ কী প্রভাব যথেষ্ট সন্দেহ আছে । ইভেন নরেন দত্তর ওই হিন্দু মস্তিস্ক-ইসলামিক দেহ নিয়ে ইয়ার্কি দেওয়া হত : তলায় কাটা-মাথায় ফোঁটা । বাচ্চারা কেও বোকা নয়তো যে সিলেক্টিভলি একটা প্রজেকশন করলেই সেটা মেনে নেবে । রামমোহন যেমন আদৌ ধর্মবিরোধী ছিলেন না । উত্তর্মীমাংসক । এখন এই শব্দটার মানে কী কেলাস সিক্সে আদৌ বুঝিনি কিন্তু এই সন্নাসীগুলো ধর্মবিরোধী নয় এরাও বেদ নিয়ে হাবরায় আর রামমোহন ও হাবরাতেন এটুকু কানেক্ট হয়ে যেত । আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা একটা জিনিসই দিয়েছে ,সেকুলারিসম ব্যাপারটা যে আরোপিত ঢপবাজি সেটা আরও বেশি তাড়াতাড়ি বুঝে ফেলার ক্ষমতা ।
  • একক | 24.99.222.214 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৮:০৬68981
  • ফিসিকাল এডুকেশন খাতায় অবশ্য নরেনের তামুক খাওয়ার ছবি আঁকার চল ছিলো । সেটার কারণ নরেন নয় তামুক । স্যারদের কে দিয়ে সই করানোর সময় তামুক খাওয়া ব্যাপারটা একটা লেজিটিমেসি পেত ।
  • riddhi | 117.217.133.50 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৮:২০68982
  • "আমাদের ইতিহাসশিক্ষিকা ঘোরতর মার্ক্সবাদী ছিলেন বলেও বোধহয় অনেক কিছু অন্য আংগেলে দেখাতেন।" :p :p
    একটু ডাইগ্রেস করছি, এটা কি ইন জেনারাল বাম আমলের ফিচার? সরকারি ইতিহাস বইগুলোতে মাও ফাও-এর জীবনী থাকত শুনেছি।
  • একক | 24.99.222.214 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৮:২৯68983
  • ছাত্রবন্ধু বলে একটা হেল্পবুক মার্কেটে পাওয়া যেত । ভালো স্টুডেন্টরা হয়ত নাম শোনেনি । তবে আমাকে বাবা এনে দিয়েছিলেন দু-ক্লাস পরপর । নীচুক্লাসে বাংলায় বেজায় খারাপ নম্বর পেতুম বলে । সে যাইহোক এই বইটিতে প্রথম সাম্যবাদ-মার্ক্সবাদ এসব কথা পাই । এতদিন বাদে সব কন্টেক্স্ট মনে নেই । কিন্তু ওই বইতে এরকম মরাল মোড়লি মাঝে মাঝেই থাকত বাংলা আর ইতিহাসের উত্তরের মধ্যে গোঁজা এটুকু মনে আছে । তখন বেশ নীচুক্লাস ।এসবের মানেও বুঝতুম না । তবে জাগৃতি ক্লাব আর নীয়গী পাড়ার মুখে যারা বক্তৃতা করত তাদের ভাষাতেও এসব শব্দ থাকতো ,এটা কানেক্টেড হয়ে যেত । সিরিয়াসলি পাঠ্যবই এর যে আদৌ কী প্রভাব কে zaনে । মানে কাজের শিক্ষাটুকুর বাইরে যে প্রভাব সামাজিক জ্যাঠামশাইরা ফেলতে চান আর কী :/
  • riddhi | 117.217.133.50 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৮:৪৩68984
  • হুম্ম, এরকমি শুনেছি। কিন্তু মার্ক্স থেকে রামমোহন পাঠ্য পুস্তকে শুধু ঢুকিয়ে বিশেষ কিছু হয় না হাইলি। আমার বন্ধু মাও-এর দাড়ি গোফ বানাত পেন দিয়ে, এইসব।

    যদি না আলাদা করে জোর দেয়া হয় কিছু বিশেষ জায়গায়।
  • Biplob Rahman | 212.164.212.20 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৯:০৮68961
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়
    বিপ্লব রহমান

    বিজ্ঞান লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা ও তাঁর স্ত্রী বন্যা আহমেদকে গুরুতর জখমের ঘটনায় ব্লগ সাইটে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বাংলা ভাষার ব্লগ লেখকরা ব্লগ, টুইটার ও ফেসবুকে এই বর্বরোচিত সন্ত্রাসী ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছে। অনেকেই ঘটনার প্রতিবাদে আন্তর্জালিক প্রোফাইলে নিজের ছবির বদলে অভিজিৎ রায়ের ছবি জুড়ে দিয়েছে। কেউ আবার শোকের প্রতীক হিসেবে ডিজিটাল কালো ব্যাজ বা ডিজিটাল মোমবাতির প্রজ্বলিত শিখা ব্যবহার করছে প্রোফাইলে।

    এদিকে বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স এক বিবৃতিতে এই সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা করে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেছে। শীর্ষস্থানীয় বাংলা ব্লগ সচলায়তন ডটকম, আমারব্লগ ডটকমসহ বেশ কয়েকটি কমিউনিটি ব্লগের স্টিকি পোস্টে গতকাল শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, অভিজিৎ রায় ও বন্যা আহমেদ মুক্তবুদ্ধির বিকাশে দীর্ঘ সময় ধরে নিবেদিত সাধনা করে এসেছেন। অভিজিৎ রায়ের মৃত্যু তাই বাংলাদেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে। অভিজিৎ রায়ের প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় ব্লগ সাইট মুক্ত-মনা ডটকম গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বসে গেছে বলে জানা গেছে। পৃথিবীর নানা দেশ থেকে ব্লগাররা এই সাইটটিতে একসঙ্গে ক্লিক করায় সাইটটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। 'যুক্তি আনে চেতনা, চেতনা আনে সমাজ পরিবর্তন' স্লোগানের অনলাইন পত্রটি বছর ছয়েক আগে বাংলা ব্লগ সাইট হিসেবে যাত্রা করে।

    বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় ব্লগ সাইট সামহোয়ার ইনব্লগ ডটনেট-এর ব্লগার শামীম সুজায়েত 'লাশগুলো বাঙালির, বাংলায় কথা বলে, বাংলায় করে প্রতিবাদ' শীর্ষক প্রতিবাদী স্টিকি পোস্টে লিখেছেন, 'ভয়াবহ বিষাক্ত এক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ। প্রতিদিনই দেখছি লাশ। পোড়া লাশ, গুলিবিদ্ধ ঝাঁঝরা লাশ, কোপানো লাশ, ডুবন্ত লাশ, গলিত লাশ, বস্তাবন্দি লাশ! লাশগুলো সব বাঙালির। বাংলায় কথা বলে। বাংলায় করে প্রতিবাদ। বাংলায় লেখে গান, গল্প-কবিতা, বাংলায় করে ধর্মচর্চা, বাংলায় করে যুক্তি-তর্ক, বাংলায় দেয় মতামত।'

    নাগরিকব্লগ ডটকম মুক্ত-মনা ব্লগ সাইটের ব্যানার ব্যবহার করে স্টিকি পোস্টে অভিজিতের কাছে লেখা খোলা চিঠিতে ঘোষণা করেছে, 'নাগরিকব্লগ আজ থেকে ধর্ম-সমালোচনামূলক লেখাকে সক্রিয়ভাবে প্রমোট করবে।'

    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্লগাজিন গুরুচণ্ডালী ডটকম-এর মূল সাইট ও ফেসবুক গ্রুপে একের পর এক প্রতিবাদী লেখা আসছে। মূল সাইটে 'অভিজিৎকে কি আমি চিনতাম?' শীর্ষক লেখায় ব্লগার সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'আমি নড়েচড়ে গেছি, কারণ লেখার জন্য জীবন দেওয়া আর দূরের জিনিস নয়। এ যেন ব্রেখটের নাট্যতত্ত্ব, নিদারুণ বিচ্ছিন্নতায় অন্য একটা নাটকের দৃশ্যাবলি দেখার পর, দুম করে অনুভব করা, আরে এ তো আমারই কথা বলছে। আমার বা আমার পাশের বাড়ির। কিন্তু শুধু সেটুকুই নয়। এখানে রয়ে গেছে আরেক পরত ম্যাজিক রিয়ালিজম। কাঁটাতারের বেড়া।'

    আসামের বাংলা ভাষার অনলাইনপত্র 'ঈশানের পুঞ্জমেঘ'-এর নির্মাতা সুশান্ত কর ফেসবুক নোটে লিখেছেন, বস্তুত বাংলাদেশে মৌলবাদ তথা সামপ্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নেতৃত্বদায়ী এক অন্যতম সংগঠন মুক্ত-মনা। জনপ্রিয়তম বাংলা ব্লগগুলোর একটি 'মুক্ত-মনা'। এর প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়কে নৃশংসভাবে খুন করে ব্লগটিকে নীরব করার জঘন্য পথ নিয়েছে সামাজিক সন্ত্রাসীরা! এই করে এরা শুধু নিজেদের জন্যে অপার ঘৃণার আগুনে আরো ঘি চড়ালো...ধিক্কারে সরব হোক গোটা উপমহাদেশ। মুক্ত-মনা বন্ধ যেন না হয়...বাংলা ব্লগ জগতে মুক্তচিন্তার ধারকদের গৌরবের জায়গা এই মুক্ত-মনা ডটকম।

    মৌলবাদী হামলার শিকার ও প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে ব্যবহার করছেন অভিজিৎ রায়ের ছবি। তিনি ফেসবুক নোটে লিখেছেন, 'শপথ নিচ্ছি, যত দিন বেঁচে থাকব, মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত, যত দিন না আমাকেও (মৌলবাদীরা) মেরে ফেলছে, আমার গলাটা তারা চাপাতির কোপে নামিয়ে দিচ্ছে, এই (মতাদর্শিক) যুদ্ধ চালিয়ে যাব। যা হারিয়েছি, ভবিষ্যতে যা হারাব, সব মেনে নিলাম। এমনকি মৃত্যুও।'

    একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ গণবিস্ফোরণের সময় হেফাজতে ইসলামের দাবির মুখে কারা ভোগকারী ব্লগার সুব্রত শুভ্র তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি হিসেবে ব্যবহার করছেন অভিজিৎ রায়ের দেওয়া অটোগ্রাফ। এ বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি দেওয়া অটোগ্রাফে অভিজিৎ লিখেছেন, 'মুক্তি আসুক যুক্তির আলোয়। সুব্রত শুভ, এক অসম সাহসী যোদ্ধা।' আর ব্লগার সুব্রত অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর ফেসবুকে লিখেছেন, 'পাঁচ ঘণ্টা আগেও দাদার (অভিজিৎ) সঙ্গে মেসেজে কথা বললাম। বইমেলায় আসব কি না জিজ্ঞেস করছিলেন। দাদা, কী দরকার ছিল এই মরার দেশের হেফাজতি বইমেলায় আসার। আমেরিকায় তো ভালোই ছিলেন।'

    নিহত ব্লগার অভিজিতের 'বিশ্বাসের ভাইরাস', 'সমকামিতা', 'অবিশ্বাসের দর্শন'সহ বেশির ভাগ বই 'শুদ্ধস্বর' থেকে প্রকাশিত। এর প্রকাশক ও ব্লগার আহমেদ রশিদ টুটুল আক্ষেপ করে ফেসবুকে লিখেছেন, 'বিচার হবে না, বিচার পাব না, এটাই পরম সত্য।...আমাদের বিমানবীকরণ কোথায় পৌঁছেছে জানি না! এই সমাজব্যবস্থায় অভিজিতের লেখাই আলো ছড়াবে, দেখাবে আলোর পথ, মুক্ত স্বাধীন মানবিক জীবনের পথ।'
    - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2015/02/28/193089#sthash.I05LpNxv.dpuf
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১০:৫০68962
  • @ax
    আপনার বোধহয় আমার লেখায় মাচিস্মো দেখতে গিয়ে বক্তব্যটা চোখে পড়েনি...
    যে দেশের উদাহরণ দিলেন তার পাবলিক লাইফে ধর্ম কিভাবে ইন্টারভেইন করে বা করতে দেওয়া হয় একটু জানাবেন, আমরাও আলোকিত হতুম। একটা জানি, এখনো অনেক ইউনিভার্সিটি তে বিবর্তন পড়ানো যায় না, সেটা খারাপ ই... সেইটা নিয়ে অন্তত সারা ইউরোপে সে দেশটা খিল্লির পাত্র ও... আর খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বসেই এই নিয়ে যত খুশী খিল্লি করুন, কেউ আটকাবে না...

    আর ধর্ম নির্মূল করা আমার প্রোজেক্ট না... পৃথিবী থেকে গান্ডুমি নির্মূল করে ফেলব ভাবতে যতটা গান্ডু হতে হয় অতটা নই... আমি স্পেসিফিকালি পাবলিক লাইফ ও পাবলিক স্পেস থেকে তাকে নির্মূল করার কথা বলেছিলাম, সেটা করা যায়ও, করা দরকারও...
    কেউ গান্ডু হবেন হতেই পারেন, তার চয়েস... মাঝরাস্তায় কাউকে গান্ডুমি করতে দেওয়া হবে কিনা, কিছু লোকের গান্ডুমির জন্যে ( সেই কিছুটা যত গরিষ্ঠ অধিকাংশ ই হোক না কেন ) বাকিদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় আঁচ আসতে দেওয়া বরদাস্ত করা হবে কিনা এটা সেই প্রশ্ন...

    আর বাকি মিনমিন গলার স্বরের ওপর আপনার আস্থা নিয়ে বাকিরাই বলে দিয়েছেন, তাই আমার তরফ থেকে মুচকি হাসি ছাড়া আর কিছু দিলাম না।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:০০68963
  • @ax
    লিখব না ভেবেও সামলাতে পারলুম না, মিনমিন গলার স্বর নিয়ে বলে যাই...

    যদি কাল আমার মাথায় হিন্দুত্ববাদিগুলো কোপ বসায়, দয়া করে আপনি আমার পরিচিতরা দেখতে পাবেন এমন জায়গায় " ইহা প্রকৃত হিন্দুধর্ম নয়" কিম্বা " এই যদি হিন্দুধর্ম হয় তাহলে আমি বিধর্মী" জাতীয় পোস্ট দেবেন না এই অনুরোধ জানিয়ে গেলুম... নাহয় মৃতের অনুরোধ রাখছেন ভেবেই আপনার বাকস্বাধীনতায় এই হস্তক্ষেপ টা মেনে নেবেন। আর হ্যাঁ, ফেরত সৌজন্য হিসেবে আমি কথা দিতে পারি আপনি চাইলে আপনার মাথায় যদি কোনোদিন কোপ পড়ে ( বালাই ষাট ) সেদিন আমি গুরুতে ও স্ট্যাটাসে " এই যদি হিন্দুধর্ম হয় তাহলে আমি বিধর্মী" লিখে রাখব।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:২১68964
  • @riddhi
    ধর্মবিশ্বাস কে আক্রমন করে ধর্মের ভিত নাড়ানো যায় না, যায় ইনডক্ট্রিনেশন প্রসেসটা রেস্ট্রিক্ট করে...
    সমস্ত ধর্মকে শুধু স্কুল শিক্ষায় নাক গলানোটা বন্ধ করলেই হাতে কলমে প্রমাণ পাবেন। ১০-১২ বছরের জন্য সমস্ত মিশনারি স্কুল, রামকৃষ্ণ মিশন বা সঙ্ঘ পরিবারের স্কুল , মাদ্রাসা এসব নিষিদ্ধ করে দেখুন, ফল না হলে মেনে নেব যে আমার মত ভুল। রাস্তা আটকে দুর্গাপুজো বা নামাজ পড়া বন্ধ করাটা বন্ধ করুন, ধর্মীয় ভাবাবেগ এর নামে সব কুছ চলতা হ্যয় যে আর চলবে না দ্বর্থহীন ভাষায় বুঝিয়ে দিন, দেখুন না এসব কমে কিনা।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০১:১৪68986
  • "যাতে অনেক অ্যাডমিন লাইক দিয়েছেন" এই কথাটা বলার কী মানে? বেসিকালি সবার কেন এক বক্তব্য হবেনা এটাই তো? এই দমবন্ধ করা পরিবেশ তৈরি করতে নিজেদের কন্ট্রিবিউশনগুলো মাঝে মাঝে মনে রাখবেন।
  • সিকি | 166.107.33.122 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০১:৩৫68987
  • কে লাইক দিয়েছে জানি না, জানার দরকার নেই, এই লেখাটার প্রতি আমার স্পষ্ট অপছন্দ এখানেও জানিয়ে গেলাম।
  • amichinigochinitomare | 92.211.223.3 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০১:৫১68988
  • কথাটা বাংলায় লেখা। লেখার মানে যখন জানতে চেয়েছেন, কাইন্ডলি নিজের মতো মানে করে নেবেন না। কিংবা নিজের মতো মানে করে নিলে আবার মানেটা জানতে চাইবেন না। এইরকম কলকাতাসুলভ আচরণ কত বিরক্তিকর সেটা আর নাই বললাম। লেখাটার মানে হল অ্যাডমিনরা লেখাটাকে কোনও না কোনও ভাবে এনডর্স করছেন। এর পরও তাঁরা যদি বলেন গ্রুপের নামে বাংলাদেশী লিবারালরা মিথ্যা অপবাদ দেয়, সেটা স্পষ্টতই ভন্ডামি হবে। এই ধরণের লেখা যেখানে তীব্রভাবে কনডেম করা হচ্ছে না সেখানে কোনও বাংলাদেশী লিবারেল লিখতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন না। বাংলাদেশের লিবারেলদের একটা বইপড়ুয়া গ্রুপে অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুর পর গ্রুপের ব্যানার আপডেট করে বিবৃতি দিতে তিনদিন সময় লেগেছে বলে গ্রুপের প্রায় অর্ধেক সদস্য প্রিয় গ্রুপটা লিভ করেছেন বিনা দ্বিধায়। সেখানে এইধরণের লেখা নিয়ে একটা প্রগতিশীল, কিংবা ওনার ঠেস দেওয়া ভাষায় "আলোকপ্রাপ্ত" গ্রুপে সুশীলতা দেখালে সেটা দেখে যাঁরা পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন তাঁদের পক্ষে কতটা গা ঘিনঘিনে মনে হয় সেটা বুঝতে চেষ্টা করবেন এই অনুরোধ।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০১:৫৪68989
  • ' এই ধরণের লেখা যেখানে তীব্রভাবে কনডেম করা হচ্ছে না '

    তাই ? লেখার নিচে মন্তব্যগুলো পড়ে বলছেন তো ?
  • সিকি | 166.107.33.122 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০১:৫৫68990
  • একজন অ্যাডমিন ওখানেই নিজের লাইক দেবার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। লাইক করেছিলেন যাতে পরের আপডেটগুলো পেতে থাকেন, পরে সময়মত সেগুলো পড়ে উত্তর দিতে পারেন। বক্তব্যের সঙ্গে তিনি কোনও অবস্থাতেই একমত নন বলে জানিয়েছেন।
  • সিকি | 166.107.33.122 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০১:৫৬68991
  • যাকগে, ও থ্রেড আমি আনফলো করেছি। নিতে পারছিলাম না।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০১:৫৬68992
  • আজ সন্ধ্যায় ২৪ ঘণ্টায় অভিজিত রায়কে নিয়ে অনুষ্ঠান আছে।
  • সিকি | 166.107.33.122 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০১:৫৭68993
  • কটার সময়ে, ডিসি?
  • সিকি | 166.107.33.122 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০১:৫৮68994
  • সরি, পাই।
  • byaang | 132.167.125.205 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০২:০২68995
  • অভিজিত রায়ের অনুষ্ঠানটা এখন হচ্ছে। সুবোধ সরকার যথারীতি বজ্জাতি শুরু করেছে কালকের অ্যাকাডেমির ঘটনা নিয়ে।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০২:১৫68996
  • হ্যাঁ ।
    এবং সেই এক কথা, এটা ধর্মের উপর আক্রমণ নয়। মুক্তমনা ধর্মকে আক্রমণ করেনি !
  • mila | 183.172.151.47 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০২:৫৯68997
  • আপডেট পাওয়ার জন্যে টার্ন অন নোটিফিকেশন কিম্বা একটা কমেন্ট করলেও হয়। লাইক করতেই পারেন কেউ কিন্তু এরকম অদ্ভূত যুক্তি দেওয়া কেন
  • a x | 138.249.1.202 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০৩:২৯68998
  • আমিচিনি, বুঝতে চেষ্টা করছি। হয়ত বুঝতে পারছিনা - কেননা সত্যিই আমাদের রিয়ালিটি গুলো ভয়ানক ভাবে আলাদা। আমার নিজের গা ঘিন ঘিন করা অনেক পোস্টই এখানে ও ফেবু গ্রুপে পড়ে। কিন্তু সেটা দিয়েই একটি পত্রিকার স্ট্যান্ড দয়া করে বিচার করবেন না। বা সেই পত্রিকা/সাইটের সাথে যুক্ত সবারই এক মনোভাব এরকমটাও ভাববেন না। এই ছাপ মেরে দেবার আগে কথা বলুন, আলোচনা করুন। যাঁর এই নৃশংস মৃত্যুতে সবাই বিচলিত, তিনি হলেও তাই করতেন, তাই না?
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০৪:০৫68999
  • @Z
    কনভার্ট করার কথা আমি কোথায় বলেছি একটু দেখিয়ে দেবেন দয়া করে...
    স্ট্র ম্যান খাড়া করে তর্ক করাটা পুরনো টেকনিক... নিছক তর্ক করার জন্যে তর্ক করার বাসনা না থাকলে আমার কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু লিখলে আমার কমেন্টটা পড়ে লিখলেই খুশি হব।

    @a x
    আপনাকে উত্তর দেওয়ার বাসনা আমার আদৌ নেই... তবে কিনা প্রোফাইলিং এর কথা বললেন তাই স্পষ্টাক্ষরে জানিয়ে যাই... আপনি আমার কাছে ঐ a x দুটো ইংরাজি অক্ষর মাত্র, যা এই ফোরামে লেখেন এমন কারোর নিক ...... আপনি কে আমি তা আদৌ জানি না... তাই আরও কিসব হাবিজাবি বললেন কে কদিন নেট দুনিয়ায় আছে না কিসব সেসব অবান্তর......
    "স্বর্ণেন্দু কী দিয়ে আমার হিন্দু ও ধর্মবিশ্বাসী আইডেন্টিটির কথা জানতে পারলেন তা আর জিগালাম না।" -- আমি আদৌ জানতে পারি নি তো... আপনার পোস্টটা স্পোক ফর সাচ অ্যান আইডেন্টিটি... মানে ধর্মবিশ্বাসী বা ধর্ম-অ্যাপোলোজেটিক আইডেন্টিটি। আপনি হিন্দু না মুসলমান না কি আমি আদৌ জানি না।

    @ন্যাড়া কে
    আদৌ কিছুই লিখব না, গায়ে পড়ে করা অসভ্যতার উত্তর দেওয়া বাহুল্য মনে করি...
  • | 24.97.47.214 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০৪:১২69000
  • 'বইপড়ুয়া' গ্রুপের ব্যানার আপডেট না হওয়ায় এবং আপডেট দেরীতে আসায় অর্ধেক নয় দুজন সদস্য ছেড়েছেন দেখছি। এই মুহূর্তে মেম্বারের সংখ্যা ২৭০৬।
    'অর্ধেক মেম্বার' ??
  • ranjan roy | 24.99.233.177 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ০৫:১৪69001
  • এই মুহুর্তে দরকার যত বেশি সংখ্যক মোবিলাইজেশন। ব্যাপক ইউনিটি, যত বেশি সম্ভব একস্বরে কন্ডেম করা, প্রতিবাদ করা, কাউন্টার এবং প্রিভেন্টিভ স্টেপের জন্যে ব্রেনস্টর্মিং ও স্ট্র্যাটেজি খোঁজা।
    পারস্পরিক দোষারোপণ ও 'হোলিয়ার দ্যান দাউ' অ্যাটিচুড আমাদের ক্ষতিই করবে।
    আমি অক্ষের সাথে একমত যে আজ উনি থাকলে একই প্ল্যাটফর্মে বিবাদী কন্ঠস্বরকে জায়গা দিতেন,--অবশ্যই বিশ্লেষণ করার জন্যে।
  • amichinigochinitomare | 15.199.142.195 (*) | ০২ মার্চ ২০১৫ ১২:৪৭68985
  • ওদিকে গুরুচণ্ডালী ফেসবুক গ্রুপে নীচের কাউন্টার লেখাটি পোস্ট হয়েছে যাতে অনেক অ্যাডমিন লাইক ও দিয়েছেন। লেখাটি এখানে প্রাসঙ্গিক বিধায় তুলে দিলাম।

    ফারাবীকে কি আমি চিনতাম?

    ফারাবীকে আমি চিনতাম না। অভিজিত রায়ের হত্যার কয়েকমাস আগে থেকে ফারাবীর নাম শুনেছি। অল্পবয়স্ক একটা ছেলে, যাকে জামাত নিজের মুখপত্র হিসেবে সোসাল মিডিয়াতে ব্যবহার করে। ফ্যানাটিক শুধু না, ফেসবুকে এই ছেলেটা মেয়েদের স্টক করে বেড়ায়, এর ওর কাছে মোবাইলের টপ-আপ করে দেবার জন্যে টাকা চায়, ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার দাবী করে। আর বিরুদ্ধমতের লোকজনকে ডেথ থ্রেট দিয়ে বেড়ায়, মেরে ফেলব, কেটে ফেলব এসব বলে। তো, স্বাভাবিকভাবেই এমন লোকের প্রতি কোন উতসাহ জন্মানোর কথা না। ফারাবীর প্রোফাইলেও কখনো যাইনি। চেনা তো দুরের কথা।
    ফারাবীর নাম আবার শুনলাম অভিজিত রায় মার্ডার হবার পর। ফারাবী অ্যাবস্কন্ডিং ছিল, এবং আজ দেখলাম সে অ্যারেস্টেড হয়েছে। তো, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার যে এতে অনেকেই খুশী। এটাও স্বাভাবিক যে অনেকের উল্লাসের মাত্রাটা তুলনামূলকভাবে একটু বেশি-ই। এমনকি এটাও অস্বাভাবিক নয় যে এই অ্যারেস্টে অনেকেই তদন্ত শেষ হবার আগেই “মার ব্যাটাকে!” বলছেন, অথবা মুসলমানদের সন্ত্রাসবাদী ধর্ম নিয়ে আকাশ ফাটাচ্ছেন। না, এর কোনোটাই অন্তত আজকের বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে অস্বাভাবিক নয়।
    কিন্তু আমার মনে পড়ছে কয়েক মাসের আগের আর একটা হত্যাকান্ডের কথা। কোরপান সাহ নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে মোবাইল চোর সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল কয়েকজন আলোকপ্রাপ্ত মেডিকাল কলেজের ইন্টার্ন। অভিজিত রায়ের হত্যা এবং কোরপানের হত্যা বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে। অভিজিত মেধাবী, উচ্চশিক্ষিত, যুক্তিবাদী। আলোকপ্রাপ্ত পশ্চিমী সমাজের প্রতিনিধি। কোরপান শাহ হতদরিদ্র, ভিক্ষে করে খেতেন, মাথায় গন্ডগোল ছিল। অভিজিতকে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার ফারাবীর সাথে বরং সোসিও-কালচারাল অ্যাশপেক্টে কোরপানের মিল অনেক বেশি। দুজনেই অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামীণ সমাজ থেকে উঠে এসেছেন। তেমন-ই, অভিজিতের সাথে অনেক বেশি মিল কোরপান হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইন্টার্নদের। ফারাবী যেমন কোরপানের সাথে নিজেকে আইডেন্টিফাই করতে পারে, সেই ইন্টার্নরা নিজেদের আইডেন্টিফাই করতে পারে অভিজিতের সাথে। এবং কি আশ্চর্য্য, অভিজিত জন্মসুত্রে হিন্দু (পরে নিজের চয়েসে নাস্তিক), খুন হয়েছেন মুসলিমদের হাতে। কোরপান জন্মসুত্রে মুসলমান, তাঁর খুনীদের মধ্যে অবশ্য হিন্দু মুসলিম দু-ই ছিল, সংখাধিক্যে হিন্দু উচ্চবর্ণরা বেশি। মোটকথা, সেই খুনীদের মধ্যে কোন মুসলমানের-ই ধর্ম-পরিচয় প্রবল হয়ে ওঠেনি ফারাবীর মতন।
    আর তাই জন্যেই কি কোরপান শাহের জন্য যখন হোক-কলরব করতে হয়, তখন কুড়ি তিরিশ জনের বেশি আসে না? গোটা কলেজ স্কোয়ার ফাঁকা থাকে, কয়েকজন জান-কবুল অ্যাকটিভিস্টের হাতে টিমটিম করে জ্বলতে থাকা পতাকা বাদে। আর অভিজিত রায়ের জন্য বন্যার মতন মিছিল আছড়ে পড়ে ঢাকার রাজপথে, সোসাল মিডিয়া ভরে ওঠে শোকে ক্রোধে শপথে। জন্ম নেয় হাজার অভিজিত, আর কোরপান সাহ কেমন দেখতে ছিলেন সেটাই আস্তে আস্তে ভুলে যাই আমরা। শুধুই দুজনের আর্থ-সামাজিক অবস্থার তফাতের জন্য তা ঘটে না। ঘটে, কারণ ফারাবীকে প্রোফালিং করা অনেক বেশি সহজ। ফারাবীর থেকে অনেক বড় হয়ে ওঠে ফারাবীর টুপি, দাড়ি, আলখাল্লা। আমাদের রক্তের মধ্যে পুরুষানুক্রমে অর্জিত ঘৃণা আমরা তাই খুব সহজেই উগড়ে দিতে পারি ফারাবীর দিকে। আমরা যখন অভিজিতের শোকে মগ্ন থাকি ইস্লামোফোবিয়া নিঃশব্দে তার দাঁত নখ বার করে উঠে আসে। গণ-বিচারসভা বসে। ক্যাংগারু কোর্ট চালু হয়। ফারাবীর ছবি ঘুরতে থাকে হাত থেকে হাতে, ক্রিমিনাল হিসেবে।
    আর উচ্চবর্ণের হিন্দু বা আলোকপ্রাপ্ত মুসলমান খুনীদের নিয়ে কেই বা কবে মাথা ঘামিয়েছে! আমরা তো জানি, ল উইল টেক ইটস ওন কোর্স। এমনকি এ-ও জানি যে চুরি ডাকাতিটা ওদের জাত থেকেই বেশি হয়। ফলে মোবাইল চোর বলে পিটিয়ে মারলে মনে হয়, যা ঘটে তার কিছু তো বটে!
    ফলে, দিনের শেষে লক্ষ মোমবাতি জ্বলবে। আমাদের শোক ক্রোধ অশ্রু হয়ে নেমে আসবে মৌলবাদের ওপর। অভিজিত প্রতীক হয়ে উঠবেন। যুক্তিবাদী আন্দোলনের পুরাণপুরুষ হিসেবে তাঁর নাম গণ্য হবে। আর সমস্ত যুক্তির উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা, কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার বাংলাদেশের একটা অশিক্ষিত, ধর্মীয় ফ্যানাটিক জেলে যাবে। এই খুনের পর তার কি বক্তব্য ছিল, আমরা জানব না, তার ভয়েস আমাদের কাছে পৌঁছবে না, আমরা আমাদের ইন্টারপ্রিটেশন তার ঘাড়ে চাপাব, তাকে ডিসেক্ট করব মৌলবাদের প্রতিভূ হিসেবে, অথবা জাস্ট ভুলে যাব দুদিন বাদে। সব ছক যেমন মিলে যায়, সব নদী যেমন ভাবে জীবনের সব লেনদেন মিটিয়ে ফেলে। শুধু দুদিন বাদে, আবার নিঃশব্দে অন্য কোনো ফারাবী তার প্রোফাইল খুলে ফেলবে কোনো সোসাল মিডিয়াতে।
    নাহ। ফারাবীকে আমি চিনতাম না। কোরপান শাহকেও নয়। ফারাবীদের চেনা অত মুখের কথা নয়।

    https://www.facebook.com/groups/guruchandali/permalink/957882344229712/?comment_id=957893454228601&offset=0&total_comments=32
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১১ মার্চ ২০১৫ ০৫:৪৯69003
  • যেহেতু এই নিয়ে এখানেও তর্ক হয়ে গেছে, এই পোস্টটা এখানেও করে দিলাম।।

    এখানে এবং অন্যত্র অনেকবার তর্ক হয়ে গেছে, কেউ বলেছেন ইসলামে শান্তির কথা আছে, যাঁরা ইসলামের নাম করে সন্ত্রাস করছেম, তাঁরা সহি মুসলমান নন তো কেউ কেউ বলেছেন, কোরান যে শান্তির ম্যানুয়াল এ সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ইসলাম মানা বন্ধ না করলে সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্তি নাই। তো, এনিয়ে আগেও কয়েকবার প্রশ্ন করেছিলাম, যাঁরা কোরান পড়েছেন, তাঁরা এনিয়ে কী বলেন। সেভাবে উত্তর পাইনি।
    আজ পুরানো একটা টই পড়তে গিয়ে এই পোস্টগুলো পেলাম।

    Name: dd Mail: Country:

    IP Address : 202.122.18.241 Date:10 Jul 2006 -- 01:39 PM

    পরধর্ম সহিষ্ণুতা নিয়ে কোরানে আয়াত আছে প্রচুর। আমরা, মেকলের মান্সপুত্রেরা সেগুলো কোনো দিন পড়ি নি।

    কয়েকটা, মাত্র কয়েকটা উল্লেখ করছি।

    " ধর্মের জন্য কোনো জবরদস্তি নাই "

    " সমস্ত মানবমন্ডলী একজাতি "

    " আমি (মুহম্মদ স:) কেনল একজ্‌ন মানুষ, একজন রসুল "

    " আল্লাহ্‌ স্পষ্ট ভাবে বলেছেন রসুলের কাজ হলো প্রচার করা ; প্রচার করা ছাড়া রসুলের অন্য কোনো কর্তব্য নেই "

    " জোর জবরদস্তি করে নিজ ধর্মমতে অন্যকে দীক্ষা দিতে অল্লাহ্‌র কোথাও নির্দেশ দেন নি "

    Name: dd Mail: Country:

    IP Address : 202.122.18.241 Date:10 Jul 2006 -- 01:48 PM

    পৌত্তলিক দের গালি দিতো যে অধৈর্য্য মুসলমানেরা তাদের প্রতি নির্দেশ :

    " এবং যারা আল্লহ্‌কে ছেড়ে যাদের ডাকে তাদের তোমরা গালি দেবে না,কেননা তারা (সীমালংঘন করে) অজ্ঞানতাবশত: আল্লহ্‌কেও গালি দেবে। "

    " যে অন্যের উপাসককে গালি গালাজ করে বুঝতে হবে সে তার আল্লহ্‌র প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল নয় "

    Name: dd Mail: Country:

    IP Address : 202.122.18.241 Date:10 Jul 2006 -- 01:53 PM

    এই ছোটো সুরাটো পুরোটাই লিখছি।

    " বল, ' হে অবিশ্বাসীগন।

    আমি তার উপাসনা করি না যার উপাসনা তোমরা করো।

    এবং তোমরাও তাঁর উপাসনাকারী নও - যাঁর উপাসনা আমি করি।
    ---

    eবং আমি উপাসনাকারী হবো না তার, যার উপাসনা তোমরা করে আসছো।

    এবং তোমরাও উপাসনাকারী হবে না তাঁর, যাঁর উপাসনা আমি করি।

    তোমাদের ধর্ম তোমাদের, আমার ধর্ম আমার কাছে (প্রিয়)। "

    http://www.guruchandali.com/amaderkatha/guruchandali.Controller?portle
    tId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1418760311963&conten
    tPageNum=1#.VP_TunyUczc

    ----

    তো, এগুলো বিশ্বাস করে যাঁরা নিজেদের মুসলিম মনে করেন, তাঁদের নিয়ে সমস্যা কোথায় ?
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৫ ১১:০৬69004
  • বাংলাদেশ সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কি পরোক্ষ মদত অবশ্যই চিন্তার বিষয়, কিন্ত্তু আবারো একই প্রশ্ন করব। সাধারণ মানুষ এমন নিষ্ক্রিয় , নিরুত্তাপ কেন ? কোনভাবে 'নাস্তিক' তকমা লেগে গেলে কি এতটাই দূরত্ব চলে আসে, তাঁরাও কি মৌলবাদীদের কোনভাবে সহায় , নাকি সাধারণ মানুষও মৌলবাদীদের রোষে পড়ার ভয়ে ?

    এর আগে চার্বাক লিখেছিলেন , 'পাশে বন্যা আপা রক্তাক্ত দেহ নিয়েই ডাকছিলেন সামনে গোল হয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলিকে, কিন্তু সেই মানুষগুলি মস্তিষ্কের খুব ব্যবহারই করে, আর এমন মানুষদের চারণভূমি করাই তো লক্ষ্য ছিল হামলাকারীদের!'

    আরিফ জেবতিকঃ

    'অভিজিৎকে ধরাধরি করে তুলে দিয়ে আসা গুটিকয় লোকের একজন। আমি তখন কাকে যেন রক্তের জন্য ফোন করছি। একপাশে টেনে নেয় আমাকে। তারপর ফিসফিস করে বলে, "এত রক্ত লাগবে না ভাই। মাথায় কোপ মেরেছে, মগজ বেরিয়ে গেছে।' আমি তার দিকে অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে থাকি। সে ক্লান্ত গলায় বলে, "জানেন আরিফ ভাই। একটা লোকও এগিয়ে আসেনি। সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ছবি তুলছিল।"

    আমি ধপ করে ফুটপাতে বসে পড়ি। ল্যাম্পপোস্টে গা এলিয়ে দেই। আমার সামনে সব ঝাপসা হয়ে আসে। ঐ দূরে তখনও মাসুম ভাই, জয়ন্ত দা, আকরাম ভাই মিছিলের জন্য লোক জড় করছে।
    আমরা কাছে এর সবকিছুই অকারন মনে হয়।

    আমরা এমন এক জনপদে বাস করছি যেখানে দুয়েকজন ঘাতক নয়, সবাই ঘাতক হয়ে উঠেছি।
    এখানে প্রতিবাদ প্রতিরোধের কোনো মূল্য নেই। ঘাতকের কথা ভাবি না, তারা আর কয়জন?
    কিন্তু আমার জনপদে ঘিরে ধরা একদঙ্গল পশু। মোবাইলে খিচখিচ করে ছবি তুলছে।
    এই জঙ্গলে আমি তাদের ভাষা আর তারা আমার ভাষা বুঝবে না কোনোদিন।

    আমার বসে থাকা আর অভিজিৎ এর আহত হওয়ার মাঝখানে কয়েক গজ দূরত্ব মাত্র। সেই দূরত্বটুকুতেও গিজগিজ করছে বোধহীন, চিন্তাশক্তিহীন স্থবির পশুর পাল। এই গহন গহীন আঁধারে এসব ঝাঁকঝাঁক মোবাইল ফোনের আলো এড়িয়ে অন্য কোনো আলো জ্বেলে আমি কোনদিনই কোনো গন্তব্যে পৌঁছাব না।
    এই চিন্তাশক্তিহীন পশুদের জঙ্গলে এই অন্ধকারে আমাকে এভাবেই বসে থাকতে হবে।

    --

    কাল হাসিবের ব্লগ থেকেঃ

    ''এটা করেছে মৃত‍্যু নিশ্চিত করতে। এরপর নাকি পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ঢুকে তাদের উদ্ধার করেছে। অর্থাৎ বেশ একটা সময় এই তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে হয়েছে। কথা হল পুলিশ আসার আগে প্রতিবেশিরা কী করছিল?'

    'গুলির শব্দে পাব্লিক জড়ো না হয় কেম্নে!'
    '
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন