এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তমোঘ্ন কেন বাড়াবাড়ি করল না?

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪৬২৪ বার পঠিত
  • প্রেসিডেন্সীর আন্দোলন এবং ব্রা কেসে মজা লাগল লোকজনের প্রতিক্রিয়া দেখে। কিভাবে ব্যাপারটাকে হ্যান্ডল করতে হয় জানেই না। এইখানে আমাদের দেখার চোখ এখনো যে পরিণত হয়নি তার আবার প্রমাণ পাচ্ছি। তিনখানা কমন রিঅ্যাকশন দেখলাম।

    ১। এই সব ফালতু কাজ করে আন্দোলনের মেইন ইস্যু থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেওয়া হল।
    উত্তরে বলার, এই কাজটা হল বলেই আন্দোলনটা সর্ব-ভারতীয় মিডিয়াতে খবর হল। নাহলে মমতা ব্যানার্জীর রাজ্যে পুলিশ এবং/অথবা তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ছাত্র পেটানোর সংস্কৃতি এতই গা-সওয়া হয়ে যাচ্ছিল যে আর কেউ মাথাই ঘামাত না। বরং দিনে দিনে সেট রুল হয়ে যাচ্ছিল যে ছাত্রেরা কোনো একটা ইস্যুতে অবস্থান করবে, অথরিটিকে ঘেরাও করবে, পুলিশ ঢুকবে, ধরে ক্যালাবে, মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাবে এবং মলেস্ট করবে, ছেলেদের চ্যাংদোলা করে গোল্লাছুট খেলবে। সেই নিয়ে পথ অবরোধ হবে, ছাত্র ধর্মঘট হবে, কাগজে কাগজে নিন্দার বন্যা বইবে, বামপন্থী বুদ্ধিজীবি অভিনেতার চোখের পাতা সাড়ে বাইশ ডিগ্রি কাঁপিয়ে “এই পরিবর্তন কি আমরা চেয়েছিলাম” মার্কা ন্যাকাষষ্টী ডায়লগ, স্টার আনন্দে সুমন দে-র বালবাজারী এবং ছদ্ম বিস্ময়ে গলার পারদ উচ্চে তুলে “এ কেমন সরকার এ কেমন গণতন্ত্র” নামের পেটফাটা কমেডি, সাথে ফাউ হিসেবে ৩৬৫ দিন কাগজটার খোরাক, তারপর আস্তে আস্তে সকলে ভুলে যাবে। মাঝে মাঝে পিতৃ-তর্পণের মতন বিড়বিড় করে বলা হবে “পুলিশ তুমি যতই মারো তোমার দিদির একশো বারো”, সেই বলাতেও কোনো জোর থাকবে না, জাস্ট গান্ধী-টুপী পরা ঘুষখোর কংগ্রেসী নেতাদের স্বাধীনতা দিবস পালনের মতন দায় সারা। এবারেও হয়ত এগুলোই সব হবে, কিন্তু খেলার রুলটা ওলট-পালট হয়ে গেল তমোঘ্ন-র জন্য। যদি পুলিশ ঢুকে ছাত্র পিটিয়ে বেরিয়ে যেত, সকলে নিন্দে করত প্রতিবাদ প্রতিরোধ হত কিন্তু কেউ ভুলেও দিশেহারা হয়ে যেত না। যেমনটি জোকার বলেছিল যে যখন সবকিছু প্ল্যানমাফিক ঘটে তখন কেউ প্যানিক করে না, সে বিশাল বড় অন্যায় অবিচার হলেও। কিন্তু যখন-ই সেই প্ল্যানে কোনো অন্তর্ঘাত ঘটে, সমস্ত হিসেব নিকেশের মা বোন হয়ে যায়। সিস্টেম তখন বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবে। তমোঘ্ন তার শরীরকে সেই অন্তর্ঘাত হিসেবে ব্যবহার করেছে। ঠিক যেভাবে করেছিলেন মণিপুরের মায়েরা, অথবা ঠিক যেভাবে ধাওয়া করা আমেরিকান ট্যাংকের সামনে প্রাণভয়ে দৌড়নো ভিয়েতনামী তরুণীর নগ্ন দেহের ছবি যুদ্ধবিরোধীতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই আন্দোলন মরতে মরতেও মরবে না তার বড় কারণ তমোঘ্ন-র শরীর ।

    ২। এরপর কি আন্দোলনের নামে যা খুশি হবে? কেউ যদি ভিসির ঘরে হাগু হিসু করে দিয়ে আসে সেতাকেও কি মানতে হবে?

    আজ্ঞে হ্যাঁ, যা খুশি হবে। হাগু হিশু নিয়ে এত আপত্তি কিসের? ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় আমেরিকায় চাইকিন বা শেখনারেরা ওপেন থিয়েটারে প্রকাশ্যে মলত্যাগ দেখিয়েছেন, দেখিয়েছেন গণ-সংগম, এবং সেটাও আনসিমুলেটেড। সেটাকেও কিভাবে প্রতিবাদের মাধ্যম করে ফেলা যায় অনেক অনেক এক্সপেরিমেন্টেশন হয়ে গেছে তা নিয়ে। কারোর যদি মনে হয় ভিসির ঘরে মলত্যাগ করে সে প্রতিবাদ জানাবে তো সেটাই করবে। শালীন কি অশালীন বিচার করার দায়ীত্ব আপনার নয় কারণ এই পৃথিবীর কোনো আন্দোলন আপনার কাস্টমাইজড পথে হবে না। বামপন্থীরা যদি বলেন যে এটা ছাত্র-আন্দোলনের পদ্ধতি নয় তো সবিনয়ে বলব যে আপনারা তাহলে রেজিমেন্টেড আন্দোলন নামিয়ে দেখান প্লিজ ! কবে আপনি রেজিমেন্টেড মুভমেন্ট নামাবার মতন জায়গায় আসবেন ততদিন আপনার মুখ চেয়ে বসে থাকা হবে নাকি? প্লিজ অন্য রাস্তা দেখুন !

    ৩। এই ভাবে ব্রা পরে আসা চরম অশালীনতা।
    এই পয়েন্টটা সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। কারণ অনেককে দেখলাম যারা সত্যিকারের সহমর্মী হয়েও এই অশালীনতার পয়েন্টটা তুলছেন। তাঁদের সলিডারিটি নিয়ে অন্তত আমার কোনো প্রশ্ন নেই। এবার তার উত্তরে মাথামোটা আগমার্কা খাজা লিবারালেরা “কোনটা অশালীন তা কে ঠিক করে দেবে” টাইপের গান্ডূমার্কা গোল গোল লজিক দিচ্ছে, এবং কোনো পক্ষই কারোর কথা বুঝতে চাইছে না। এটা একটা সত্যিকারের সমস্যা যে অত্যন্ত প্রগ্রেসিভ বামপন্থী মানুষেরাও এতটা বাড়াবাড়ি নিতে পারছেন না। সমস্যাটা ব্রা পরা নিয়ে। তমোঘ্ন যদি খালি গায়ে আসত তাহলে তাঁদের কিছু আসত যেত না। তার থেকেও বড় কথা, তমোঘ্ন বা তার কোনো বান্ধবী যদি নগ্ন শরীরে আসত তাহলে এই মানুষেরাই তাকে মাথায় তুলে নাচতেন। কারণ তার নগ্নতার মধ্যে তাঁরা রাষ্ট্রশক্তির নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব প্রতিবাদ দেখতেন। মনে করে দেখুন মহাশ্বেতা দেবীর “দ্রৌপদী” গল্পটা। পুলিশের অত্যাচার নিতে নিতে নিতে নিতে দ্রৌপদী একসময় নিজেই নগ্ন হয়ে গিয়ে বলে “আয় আমায় ভোগ কর”। বামপন্থীরা, সব রং-এর বামেরাই, মাথায় তুলে নেচেছেন সেই গল্প নিয়ে। মণিপুরের মা-দের নিয়ে রাস্তা কাঁপিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একটা ছেলে যখন ছেলেদের এবং মেয়েদের অন্তর্বাস মিলিয়ে মিশিয়ে পরে আসছে তাকে নিতে পারছেন না। সমস্যাটা মনে হয় পেট্রিয়ার্কাল গেজের। একটা সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে নিজেকে কেন একটা মেয়ের স্তরে “নামাবে”? কেন সে নিজের মধ্যে জোর করে নারীত্ব আনবে? লক্ষ্য করে দেখবেন আধুনিক ভারতীয় সমাজে এমন কোনো চিহ্ন আর ধীরে ধীরে থাকছে না যা দিয়ে ছেলেদের পোষাক আলাদা করা যাচ্ছে। জিন্স প্যান্ট পাজামা যা-ই বলুন না কেন সেটা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলে পড়ছে (ধুতি ব্যতিক্রম কিন্তু কটা এযুগের ছেলে আর তা পড়ে!)। উল্টোদিকে মেয়েদের পোষাক খুব নির্দিষ্ট। একটা ছেলে কখনো সেটা পড়তে পারে না। আমাদের চোখে তখন সেটা অস্বাভাবিক। নিতে পারে না সেটা। ফলে, একটা মেয়ে যদি সেদিন কন্ডোম সেজে আসত তাহলে তাকে নিয়ে প্রতিবাদের নতুন ফর্ম বলে নাচানাচি শুরু হয়ে যেত।। যা ছিছিক্কার করার সেটা ওই প্রাচীনপন্থীরা করতেন, যারা পার্কে জোড়ায় জোড়ায় ছেলেমেয়ে বসে থাকলেও ভুরু কোঁচকান। আর করত বিজেপি আর তৃণমূলীরা কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক শিশুর মতন, এখনো বোধবুদ্ধি ডেভেলপ করেনি বলে তাদের এই আলোচনা থেকে বাদ রাখলাম। কিন্তু বামপন্থীরা কন্ডোম সাজা মেয়েটিকে ফেমিনিস্ট এক্সপ্রেশনের নতুন রূপ বলে দাগিয়ে দিতেন। সমস্যাটা হয়ে গেল একটা ছেলে ক্রস-ড্রেসিং করল বলে। আমাদের চোখে সেই ছেলেটা অস্বাভাবিক হয়ে গেল তৎক্ষণাৎ। যে ছাত্র-আন্দোলনের রূপ আমরা মাথার মধ্যে দেগে নিয়ে নিয়ে অভ্যস্ত তার সাথে এগুলো মিলছে না। এমনকি কোনো এলজিবিটি ফর্মের সাথেও মিলছে না, কারণ তমোঘ্ন-র সেরকম কোনও অ্যাজেন্ডাও ছিল না। তার অ্যাজেন্ডা পিওরলি পলিটিকাল, পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে রাষ্ট্রশক্তির নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ । বাবার জন্মে আমাদের কেউ শোনেনি যে এইরকম ইস্যুতে পতাকার বদলে, ব্যানার ফেস্টুন লালঝান্ডার বদলে একটা ছেলে নিজের শরীরে নারীচিহ্ন বসিয়ে নেবে। আবারো সেই জোকারের কথাই ধার করে বলি, এটা প্ল্যানের বাইরে। নগ্ন শরীর বা নারীশরীরে পুরুষ-চিহ্ন ধারণ করলে যদিও বা মেনে নেওয়া যেত, তমোঘ্ন-র কেসটা টু মাচ হয়ে গেছে।

    আর এসব দেখেই মনে হচ্ছে, আরেকটু বাড়াবাড়ি কেন হল না ! তমোঘ্ন কেন নিজের পুরুষাংগ ব্যবহার করল না ! কেন বমি করে আসল না পুলিশের সামনে। এখন বাড়াবাড়ির-ই সময়। এক্সট্রিমিটিকে ভয় লাগলে নেকুপুষু চোর-পুলিশ খেলা খেললেই হয়। সিস্টেম-ও তাতে খুশি থাকে। কোনো কিচ্ছু বিগড়োয় না। তমোঘ্ন-র সুযোগ ছিল আরেকটু বাড়বাড়ি করে সব কিছু বিগড়ে দেবার। কেন করেনি জানি না। মনে আছে সুবিমল মিশ্র একটা লেখায় খেদ প্রকাশ করেছিলেন যে যুক্তি তক্ক গপ্পো-তে ঋত্বিক কেন ক্যামেরার ওপর শুধু মদ-ই ঢেলে দিলেন, কেন ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দিলেন না? রামায়ণ চামারে কি? হবেও বা...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪৬২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 132.161.206.24 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১১:১০67838
  • তাপস,
    বেশ। কিন্তু স্পেক্ট্যাকলের "প্রেক্ষিত"? মানে, আকার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জানতে চাইছি।
  • তাপস | 126.203.200.217 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১১:৩৬67839
  • রঞ্জনদা, এই ঘটনা নিয়ে আমার গাট ফিলিং আমি আমার প্রথম পোস্টে প্রথম লাইনে লিখেছিলাম, উদ্ধৃত করি ফের - "স্পেক্ট্যাকল টা জরুরি ছিল। এখন মনে হচ্ছে। এবং এটা প্রেসির আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কিনা জানি না---"

    অন্য কিছু কথা যদিও আছে, কিন্তু আমার মনে হয় আমার পোজিশনই জানতে চাওয়া হচ্ছে, যেটুকু এখন অব্ধি আর্টিকুলেট করতে পেরেছি, সেটুকু লিখেছি। সেটা ইনকমপ্লিট।
  • AP | 24.139.222.45 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১২:০০67840
  • রঞ্জনদা, তমোঘ্ন-র ফেবু থেকে যে পোস্টটা বিভিন্ন টই তে ঘুরছে, সেটা আপনি কি পড়েছেন ? (ঐ হাগুহিসু-টই তে দুবার পোস্টানো হয়েছে)। রৌহিনের পোস্টে পেয়ে যাবেন। একটু কষ্ট করে পড়ে নিন, তাহলে এই ৫ & ৬ নম্বর পয়েন্টের উত্তর পেয়ে যাবেন। সত্যি বলতে কি এই পোস্ট পড়েও বার বার ক্রস ড্রেস, ক্রস জেন্ডার এই টার্মগুলো কেন আসছে আমি তো সেটাই বুঝতে পারছি না ! তাহলে কি যারা এই লাইনে খেলতে চাইছেন, তারা ইচ্ছে করেই তমোঘ্নর বিবৃতি & জস্টিফিকেশনট এড়িয়ে চলছেন ?
  • aka | 80.193.181.187 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১২:৩০67841
  • পড়েছি মানে তমোঘ্নর প্রেসীতে যাওয়াটা নেহাতই কাকতালীয়। সেটা কেন বোধগম্য হল না। মনে হয়েছে হঠাত ঘটে যাওয়া কিছু আবেগঘন মুহূর্ত। তাহলে প্রেসীর সেই হঠাত ঘটে যাওয়া মুহূর্ত নিয়ে কেনই বা এত থিওরাইজেশন, সেই ঘটনাতো প্রেসীর ছাত্ররাও অ্যাপ্রুভ করে নি। হাগু হিসু, স্পেক্ত্যাকলের থিওরাইজেশন অযথা বলে মনে হল আর তমোঘ্নর আন্দোলনে যোশ আছে, দিশা নেই, আশা করি আস্তে আস্তে পরিপক্ক হবে। আপাতত ডেভিস কলিঙ্গ।
  • AP | 24.139.222.45 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১২:৪৮67842
  • তমোঘ্নর আন্দোলনে কি আছে কি নেই, তা নিয়ে ক'টা কথা হচ্ছে বলুন তো ! সব কথাই তো ওর ড্রেস নিয়ে যা থেকে ক্রস ড্রেস, ক্রস জেন্ডার ইত্যাদি কত কথা ! মানে বলতে চাইছি, ও যদি সাধারণ পোশাকে যেত ওর মতবাদ, দৃষ্টিভঙ্গী, আন্দোলনের রাস্তা জোশ, দিশা, কিছুই তো বদলাতো না, শুধু ঘটনাচক্রে একটা অন্য পোশাকে যাওয়ার জন্য আমরা এত কথা বলছি।
  • তাপস | 122.79.38.49 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১২:৫৩67843
  • পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটনা ঘটার আগে থিওরাজেশনের সংখ্যা বেশি না ঘটনার পর?
  • aka | 80.193.106.168 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১২:৫৮67844
  • ব্যাপারটা হচ্ছে এটা একধরণের স্টান্টবাজী দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। সেখানে একটা মাত্রার প্রয়োজন, সেখানেই সফদর হাশমি পথ নাটিকায় সাকসেস্ফুল। দৃষ্টি আকর্ষণ হল কিন্তু এমন দিকে হল যাতে আসল উদ্দেশ্য বিধেয় গুলিয়ে গিয়ে পড়ে রইল কিছু ফিল্ম, ব্রা, আর জাঙ্গু করোলারি হিসেবে ভিসির টেবিলে হাগু হিসু, তমোঘ্ন কেন আরও বাড়াবাড়ি করল না। আরে কেন?
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০২:৩০67903
  • নেটবিপ্লব যে খুব নিরাপদ খেলা নয় সেটা বাংলাদেশে তার প্রমান কদিন পরপরই পাওয়া যাচ্ছে। অভিজিৎ রায়েরও ডলারে ইনকাম ছিল। আরো অনেকেই আছেন নিশ্চয়। পশ্চিমবঙ্গেও।
    আমি অবশ্য চাইনা তাঁদের কারোর ঐরকম ভাবে প্রমান দিতে হোক।
  • শ্রী সদা | 113.16.71.8 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০২:৩৮67904
  • বাপস এই রৌহিন তো বিজ্ঞের বাটখারা দেখছি। পছন্দমতো পোস্ট না হলেই টইকে জিজিতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেদিন ফেবুগুরুতে এইরকম গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল সাজতে গিয়ে অতগুলো কাঁচা খিস্তি খেয়েও সাধ মেটেনি। বোধয় ওর হবি এটা।
  • Boltzman Machine | 47.228.105.78 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০২:৪৬67905
  • হ্যাঁ, লোকেশন এবং মাইনে ছাড়াও অ্যাসেট (গ্যাজেট ইনক্লুডেড) লিস্ট করে বলে দিন তো - কার কার কী কী বলা উচিত। অনেক ঝামেলা মেটে।
  • ঈশান | 183.17.193.253 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০২:৫২67888
  • একটু ভুল লিখেছিলাম।

    গায়ত্রী চক্কোত্তি স্পিভাক যে ভুবনেশ্বরী ভাদুড়ির কথা লিখেছিলেন সে ছিল ১৬-১৭ বছরের মেয়ে। রাজনৈতিক হত্যার দায়িত্ব ছিল তার উপরে। সেটা না করে সে আত্মহত্যা করে। মরলে কেচ্ছা হবে জানত, তাই ঋতুমতী হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে গলায় দড়ি দেয়। কিন্তু তাতে কেচ্ছা থামেনি। সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পপুলার ডিসকোর্স ওটাকেই গর্ভবতী হিসেবে আত্মহত্যা করা বলে চালিয়ে দিয়েছিল। মানে স্ক্যান্ডাল এবং সুইসাইড। সেটা গপ্পে পুরো খাপে খাপ মিলে গেল।

    তমোঘ্ন প্রসঙ্গেও এই নানা চাপান উতোরে তমোঘ্নকে ভুবনেশ্বরী ভাদুড়ির মতই মনে হচ্ছে। তমোঘ্নর স্টেটমেন্ট কি নিশ্চিত করে জানিনা। বোধহয় আর জানা যাবেও না। কারণ র‌্যাডিকাল রাজনীতি দাবী করছে, ওটা প্রতিবাদ। ওটাই প্রতিবাদের ফর্ম। র‌্যাডিকাল রাজনীতির গপ্পে ওটাই খাপে খাপ মিলে যায়। অতএব তৈরি হচ্ছে আখ্যান। প্রতিবাদের আখ্যান। সেখানে তমোঘ্ন আর জরুরি নয়, জরুরি হল ফিকশনের কম্পোজিশন।

    কিন্তু এখনও তমোঘ্ন ভুবনেশ্বরী ভাদুড়ি নয়। এখনও যেটুকু বাকি আছে, সেটা ট্র্যাজেডিতে। কিন্তু এ কিরকম অদ্ভুত ফিকশনাল লাগছে, মনে হচ্ছে এবার একটা ট্র্যাজেডিও লেখা হয়ে গেছে। মানে, পুরোটাই তো লেখা হচ্ছে, মিডিয়ায়, ফেসবুকে, গুরুর পাতায়। কেউ পক্ষে লিখছে, কেউ বিপক্ষে। কিন্তু যেপক্ষেই থাকুক, বিপ্লবী/ভিলেন তমোঘ্নর পাশাপাশি সেসব লেখায় শহীদ তমোঘ্নও ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। রাষ্ট্র পুলিশ পাঠাচ্ছে, তাদের একটা শিকার চাই। উল্টোদিকে তৈরি হয়ে গেছে রাষ্ট্রের হাতে নিপীড়িত তমোঘ্নর ছবি। শহীদ হওয়াটাই যা বাকি। সেটা হলেই সব পক্ষের গল্প পূর্ণতা পায়।

    আখ্যান যা দাবী করে, তাইই তো শেষমেশ সত্যি হয়। ও হেনরির গপ্পে একটা পাতা যা চেয়েছিল তাইই তো হয়েছিল। মোনালিসা চুরির গপ্পে ইতালি একজন দেশপ্রেমিক চেয়েছিল, তাই চোর হয়েছিল হিরো। পিটার প্যানের টিংকারবেল তো নিজের নামে টিংকারবেল এফেক্টই বানিয়ে ফেলল। আমি একটা উপন্যাস লিখেছিলাম অনেক দিন আগে। খান্ডবদাহন তার নাম। আমার মনে হচ্ছে, এটা সেই উপন্যাস। আমিই লিখছি যেন। তার নায়ককে আমি ভালোবেসেছিলাম। কারণ সে শহীদ হয়েছিল। তমোঘ্নকে আমি ভালোবাসতে চাইনা। বরং এইসব কান্ড ঘটানোর জন্য খিস্তি করতে চাই কোনো একদিন। তমোঘ্ন পালাক। এই জলজ্যান্ত ফিকশনের খপ্পর থেকে।

    এসব কথা ঠিক লেখার নয়। কিন্তু লিখে ফেললাম। আবেগ এলে এইসব অদ্ভুতুড়ে কান্ড ঘটে। ঘটুক।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৩:০৩67889
  • একটা ব্রোকেন টেলিফোন খেলা চলছে-
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৩:১৪67906
  • অক্ষদা, সুচেতার বক্তব্যে রিঅ্যাক্ট করেছি কারন ওটা গায়ে লেগেছে, ময়লা পাঞ্জাবী টলটলে আবেগ এইসব শুনে। আমেরিকা গিয়ে নেটবিপ্লব, এইমতে কোনভাবেই সাবস্ক্রাইব না করলেও, সরাসরি গায়ে লাগেনি, তাই রিঅ্যাক্ট করিনি।
    এতো জলের মত সোজা হিসেব। নিজের কথা বললাম।

    তবে কিনা শহরের বিপ্লবীরা যে ক্রমেই নিজেদের ক্রেডিবিলিটি নষ্ট করে চলেছেন তাতে তো সন্দেহ দেখিনা। তমোঘ্ন আগে কি করেছে তা জানিনা, তাতে কোথায় কতদূর কি প্রভাব পড়েছিলো তাও জানিনা। তবে এইখানে ব্যাপারটা এমন হয়েছে যে আমি ভুল করে নৃসিংহ অবতারের কস্টিউম পরে রাস্তায় বেরুলাম আর লোকজন বললো ঐ দেখো কি ভাষা। আর তারপর বাবা দেখতে পেয়ে কান ধরে বাড়ি নিয়ে তালাবন্ধ করে রাখলো।

    'এর পর থেকে ছাত্রছাত্রীরা যদি কোনটা উচিৎ কোনটা অনুচিৎ ভেবে আন্দোলন করতে থাকে তাহলে তাদের আর আন্দোলন না করে পড়াশুনো করাই ভাল' এইধরনের বক্তব্য হজম করার মত ক্ষমতা এখনো আমার পশমে মোড়া মস্তিষ্ক বা পঁচিশে বৈশাখী মনের হয়নি, এ আমারই অক্ষমতা। তাই বলে আমার ফ্যাবিন্ডিয়া বা সংস্কৃতি জড়িত ভয়েসটা তো চেপে রাখতে পারিনা।
  • s | 60.158.184.196 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৩:১৭67890
  • আর লজ্জা এলে -
  • cm | 127.247.96.171 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৩:২০67907
  • মূল প্রশ্ন হল ভাষা ভাবপ্রকাশের মাধ্যম নাকি সাহিত্য ফলাবার। যদি ভাবপ্রকাশের মাধ্যম হয় তাহলে তমোঘ্ন বোধহয় ফেল করলেন। আর সাহিত্য হল কিনা তা সমঝদারে বলবেন সে ভারী গ্রে এরিয়া।
  • lcm | 60.242.74.27 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৩:২৬67908
  • ধুর, ধুর, এই প্রতিবাদ বা তার ওপরে লেখা নিয়ে এত ক্যালোরব্যালোরের কিস্যু নাই। কিস্যু ট্রেন্ড ভাঙ্গে নি, কিস্যু হয় নি, দুনিয়ার কোথাও কেউই কোনো কিছুর প্রতিবাদ করতে হলেই প্রথমেই প্যান্টজামা খুলে ফেলার কথা ভাবছে না। কোনোদিন ভাবেও না, ভাবেও নি।

    ভিয়েতনামের যুদ্ধের যে ছবিটার উদাহারণ দেওয়া হয়েছে সেটা যদি সেই বিখ্যাত ছবিটার কথা হয় যেটা নিয়ে ন্যাটজিও, টাইম ও নানা পত্রিকায় বহুবার লেখা হয়েছে , এটা প্রতিবাদের ছবি নয়, একদল অসহায় ভিয়েতনামি বাচ্চা যুদ্ধের সময় যখন বোমা পড়ছিল তখন রাস্তায় নেমে দিশাহারাভাবে হাঁটতে থাকে, তাদের মধ্যে একটি নগ্ন বাচ্চা মেয়ে ছিল, সেই ছবিটি আইকনিক হয়ে যায়। (অন্য ছবির কথা হলে আলাদা কথা)

    এই যে সোমবারে বন্ধ ডাকবে বলছে বাম শ্রমিক সংগঠন, তাতে সবাই ন্যাংটো হয়ে প্রতিবাদে নামবে না। বর্ধিত বাসভাড়া বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে কেউ ন্যাংটো হয়ে রাস্তায় নেমে দেখায় না যে - দ্যাখো হে অত্যাচারী বাসমালিক, বেশি ভাড়া গুণতে গিয়ে জামা প্যান্ট বিক্রি করে কি অবস্থা হয়েছে দ্যাখো। এই যে হংকং-এ প্রটেস্ট হল, হংকংবাসীরা সবাই ছাতা হাতে নেমেছিল, চল দেখি কে বেশি নগ্ন - গণতন্ত্র না আমরা - এই ভেবে কেউ পান্তুল খুলে ঝাঁপিয়ে পড়ে নি। অবশ্য হাজার ছাতা মাথায় নগ্ন প্রতিবাদী মানুষ - যে সব প্রতিবাদীরা অভিনবত্ব খুঁজছে তারা ভেবে দেখতে পারে।

    তিয়ানেনমেন থেকে তাহিরি - সবাই জামাকাপড় পরেই প্রতিবাদ করছে।

    তবে কি দু-একটা ওরকম অফ্‌বিট ঘটনা ঘটে। খেলার মাঠে দুএকজন উদম ন্যাংটো হয়ে নেমে পড়ে।

    মণিপুরে সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষিত ও অত্যাচারী যে মহিলারা দিনের পর দিনের অবিচারের শিকার হয়ে শেষে নগ্ন হয় প্রতিবাদে নেমেছিলেন, তারা বাধ্য হয়েছিলেন এই প্রতিবাদের ধরন বেছে নিতে, তাদের অসহায়তা প্রকাশ করতে। তাদের রেফারেন্স এইসব আলোচনায় টানতে হল দেখে... যাগ্গে...
  • Arpan | 233.227.16.95 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৩২67909
  • ল্যাদোশদা, ডিড ইউ ইনভেন্ট দিস গজানন গাই?
  • lcm | 60.242.74.27 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৩৭67910
  • হ্যাঁ, গজেন্দ্র কে গজানন ভেবে - আমিই গুলিয়েছিলাম, আকা কারেক্ট করে দেয়।
    যখন গজেন্দ্রর ব্যাপরটা শুনি তখন এক সাউথইন্ডিয়ান দয়ানিধি মরন নামের একজনের কেলেংকারি নিয়ে গপ্পো শুনিয়েছিল, গজেন্দ্র আর মরন মিশে গিয়ে গজানন হয়ে গিয়ে থাকতে পারে।
  • nyakasosthi | 24.96.74.147 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৪৪67911
  • "হাগু হিশু নিয়ে এত আপত্তি কিসের?
    কারোর যদি মনে হয় মলত্যাগ করে সে প্রতিবাদ জানাবে তো সেটাই করবে। শালীন কি অশালীন বিচার করার দায়ীত্ব আপনার নয় কারণ এই পৃথিবীর কোনো আন্দোলন আপনার কাস্টমাইজড পথে হবে না।" - বেশ । শাক্যজিতের সব লেখা গুলোয় মুত্রত্যাগ,মলত্যাগ,বমিত্যাগ,বীর্যত্যাগ ,স্রাব ত্যাগ, গণসঙ্গম সব করে গেলাম । সব প্রতিবাদের মাধ্যম ।
    নিজে যাবে আম্রিগা তে তারপর ফিরে সাম্রাজ্যবাদ কে ধ্বংস করার জন্যে আইসিস মারাবে আর সারমন দেবে কেউ ওর থ্রেডে বিরুদ্ধ কিছু লিখলে নাকির ওর সুতোর "বালিফিকেশান " হয় । ওর এই "গান্ডু মার্কা" "বালবাজারী " "গোল গোল লজিকের " "মাথামোটা আগমার্কা খাজা" বক্তব্য পরে হেজে গিয়ে ওর ভাষা তেই ফেরত দিয়ে বলি - "প্লিজ অন্য রাস্তা দেখুন !"
  • rabaahuta | 77.191.245.247 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৪:০৪67891
  • কি বিচ্ছিরি, কি ঢপ। এঃ। কি কুক্ষণে যে এটা পড়তে গেলাম।
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১১67912
  • কি মুশকিল, বাথরুম টাথরুম নেই?

    এদিকে সঙ্গীতা বন্দ্যো তমোঘ্নকে অশালীন বা অশ্লীল কি একটা বলেছেন বলে আপত্তি হচ্ছে, এখানেও দেখলাম, ফেসবুকেও দেখেছি 'প্যান্টি উপন্যাস খ্যাত সঙ্গীতাও' ইত্যাদি। শালীনতা বা অশালীনতা ব্যাপারগুলো আছে কিনা, বা তা নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত থাকা উচিত কিনা সেটা অন্য প্রশ্ন। কিন্তু সঙ্গীতা বন্দ্যো প্যান্টি নামক (নামতাই জানি শুধু, কিছুই পড়া হয় নাই) উপন্যাস লিখেছেন বলেই তাঁর নিজস্ব শালীনতার বোধ থাকতে পারবেনা, এটা কি ঠিক সুবিচার হলো? কি আছে প্যান্টি উপন্যাসে? প্রকাশ্য অন্তর্বাস পরা নিয়ে কোনরকম প্রীচিং টাইপ? সেটা হলেও অবশ্য সাহিত্য আর সাহিত্যিকের সম্পর্ক নিয়েও তো নানা কথা হয়। এইরকম বিবৃতি ঢপের সেটাও মতামত হতে পারে, আমার নিজেরই অনেকটা তাই। সর্বঘটে সেলিব্রিটি দেখলে গা জ্বলে যায়। কিন্তু 'প্যান্টি উপন্যাস খ্যাত সঙ্গীতা', এইরকমভাবে আলাদা করাটা অস্বস্তিকর।
  • byaang | 132.167.118.61 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২২67913
  • যাঃ বাবা! সুচেতার লেখাটা পোষায় নি, তা সেটা বলা যাবে না!!! অতবার "আহারে" বলে চেঁচালে সেই লেখা পড়ার ধৈর্য্য কতক্ষণ থাকে!
    ভাটে যা বলেছি, তার ঝাল এই টইয়ে টেনে এনে দু-চারকথা শুনিয়ে দেওয়া হল, তা বেশ হল। কিন্তু আমি মশাই কোথায় আম্রিকাবাসীদের গাল দিলাম? আমি বলে কিনা, আম্রিকার ফ্লোরটাইলস ওয়াটারপ্রুফ হয় না জেনে অব্দি আপামর আম্রিকাবাসীর জন্য দুঃখে মরে যাই। শুধু শুধু এক মাস আগের ভাটের রেফারেন্স টেনে (আফ্রিকা যাওয়া) ছায়ার সাথে যুদ্ধু করা!
  • a x | 138.249.1.198 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২৩67914
  • সব ব্যাপারেই জামা কাপড় খুলে ফেলতে হবে এমন দাবী তো কোথাও নেই, তমোঘ্নও করেনি। কাজেই যা নেই, তা কেন আছে তা বলা খুব কঠিন কাজ। সে পারবনা।

    তমোঘ্ন শরীরকে ব্যবহার করেছে। আর জামাকাপড় খুলে ন্যাংটো খুব সচেতন ভাবেই হয়নি। এই ক্ষেত্রেও। অন্তত আমি যেভাবে রীড করছি।

    কবিতা জোশির একটা ডকু আছে, "মাই বডি, মাই ওয়েপন" বলে। সেখানে ইরম থেকে মণিপুরের মায়েদের এই শরীরকেই তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কথা আছে।

    শরীরকে নগ্ন করে, শরীরকে ক্ষুধার্ত রেখে, শরীরে আগুন দিয়ে, বিভিন্ন ভাবেই রাজনৈতিক প্রতিবাদের লং হিস্টরি আছে। শরীরকে নগ্ন করে প্রতিবাদ মহিলাদের মধ্যেই বেশি, সেটাও কেন একটু ভাবলেই বুঝতে অসুবিধে হবার কথা না। ইউক্রেনের ফিমেন মুভমেন্টকে সবাই মনে রেখেছে। ফিমেনের ক্রিটিসিজম করতে গিয়ে তৃতীয় বিশ্বে প্রথম বিশ্বের আন্দোলনের ধরণ রপ্তানি এইসব কথাও শোনা গেছিল। আদতে এই নগ্ন শরীর দিয়ে প্রতিবাদ অনেক পুরোন এবং আদৌ পাশ্চাত্যের অবদান না। পুরো নাইজেরিয়া, কেনিয়া, লাইবেরিয়া ধরে ৩০'এর দশকে হাজার হাজার ব্ল্যাক মহিলাদের bare breasted প্রোটেস্ট মুভমেন্ট চলেছিল। ২০০৩ নাগাদ নাইজেরিয়ার বিশাল ওয়েল ইন্ডাস্ট্রি, বিশেষ করে শেভ্রন একদম শাট ডাউন করে দিয়েছিল কালো মহিলাদের ন্যাংটো শরীর। শুধু শরীর না। স্পেসিফিকালি যোনি প্রদর্শন। এই হালের #sayhername মুভমেন্টে সানফ্রান্সিস্কোতেই কালো মেয়েরা নিজেদের নগ্ন শরীরকেই হাতিয়ার করেছেন।

    আর অবভিয়াসলি গজেন্দ্র ইস্যু ওয়াস লং ট্রিভিয়ালাইজড। ব্রা-র জন্য বরং আরো কয়েকজন নামটা শুনল। এই যেমন এলসিএম প্রেসিতে একটা ছেলে ব্রা পরে ঢুকেছে এ নিয়ে খুবই সচেতন। কিন্তু কে গজেন্দ্র, কে গজানন, হাউ ইস হি ইভেন রেলেভ্যান্ট তা নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন, এবং তমোঘ্ন ব্রা বা জাঙ্গিয়া পরার আগেও ছিলেন না, এটাই খুব স্বাভাবিক।
  • a x | 138.249.1.198 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২৮67915
  • ব্যাংকে নিয়ে আচ্ছা জ্বালা মাইরি, তোমাকে কিছু বলা হয়নি, যাও হেতমপুর লেখ।
  • byaang | 132.167.118.61 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৩৭67916
  • হেতমপুর লেখা হয়ে গেছে। আর আফ্রিকা যাওয়া এমন কিছু ব্যাপার না, একথা আমিই বলেছিলাম। কিন্তু আম্রিকার বাথরুমে ধারাস্নান করা যায় না, জানার পরে অব্দি আমার ঐ দেশ নিয়ে সব সুখস্বপনের ওখানেই ইতি হয়েছে। কেউ আম্রিকা যাচ্ছে শুনলেই বাধা দেব।
  • dd | 116.51.138.221 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৪১67892
  • অ্যাতো তত্ত্ব টত্ত্ব বুঝি না।

    যেটা অবাক করছে সেটা হছে তমোঘ্ন কই? যাকে নিয়ে অ্যাতো কান্ডো ? সে কোথায় গ্যালো?

    সে নিজের ফেসবুকের পাতা অচল করে কোথায় উড়ে গেলো? বহু প্রচারিত বিবৃতিটাও ওর নিজের কিনা সেটাও স্বীকার/অস্বীকার না করেই?

    যেসব ভক্তকুল তাকে কুর্নিশ জানিয়ে/হ্যাট দের অফ করে একাক্কার করছেন,তাঁরাও জানেন না? কেউ ?

    যদি প্লেনেই বসে থাকেন ক্যালিফোর্নিয়া যাবার পথে তাহলে (হয়তো) টেকনিক্যাল বাধা থাকবে, কিন্তু সেও তো বেশ কদিন হয়ে গেলো।তাহলে কি জেট ল্যাগ?

    তার নিজের বর্তমান স্ট্যান্স টা জানতে পারলে ভালো লাগতো। অন্ততঃ এই অখন্ড নীরবতা কিরকম মোদি/মনমোহনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
  • byaang | 132.167.118.61 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৪৭67918
  • হ্যা হ্যা হ্যা এলসিএম, দয়ানিধি মরন!!! ঃ)))

    দয়ানিধি মারান বলে তো এখানে। মরন কী করে হল? ঃ)) মুরাসলি মারানের ছেলে।
  • জোকার | 188.162.193.233 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৫:১৬67893
  • সে এক্টু ঘেবড়ে গেছে। স্পেক্টাকলওলারা তাকে শাসিএছে এই বলে, অ্যাই তোর পুরুষাংগ কেন ব্যাভার কোর্লিনা আর পুলিশের সামনে কেন বমি করে দিলিনা তাইলে আমরা আরেক্টু তামাশা পেতাম। তাই সে এখন ভাবছে আমি তাহলে খেতাম পুলিশের রুলের গুঁতো আর তোমরা তো দিব্যি আরামে কম্পুতে গর্মাগরম পোস্ট টাইপাতে আর উত্তেজনায় শিউরে উঠতে। এসব ভাবছে বোধায়।
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৫:১৮67919
  • যাক বাব্বা , এতক্ষণে প্রতিবাদী শরীরের ব্যবহারের একটা এনসায়ক্লোপিদিয়া পাওয়া গেল। বোঝা গেল উটি বহু পুরনো ও বহুল ব্যবহৃত।কিন্তু কথা হলো,ছেলেটি , অন্য একটি প্রতিবাদের অংশগ্রহণকারী । হঠাথ করে শুনলো প্রেসিতে গন্ডগোল চলছে; অমনি চলে গেল প্রেসির অন্দরে। পোশাক পাল্টানোর সময় পর্যন্ত পেলনা। যেন প্রেসিতে কুনো টয়লেট নেই।
    খুব খানিকটা স্লোগান দিল,প্রতিবাদী শরীর কে প্রদর্শন করলো, তারপর গন্তব্যে ফিরে গেল।
    একেবারে লা জবাব!
    অনেকটা মিরাক্কেল এর অপূর্ব রায় এর মতন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন