এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • একই বৃন্তে দুটি ঢ্যাঁড়শ

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩১ জুলাই ২০১৮ | ৪৪৯১ বার পঠিত
  • প্রশ্নটা স্রেফ এনআরসি নিয়ে নয়। "অবৈধ অনুপ্রবেশ"এর সন তারিখ ১৯৫১ বা ৭১ বা ৮১ বা ২০১১ যাই হোক না কেন, তাতে কিস্যু এসে যায়না, কারণ প্রশ্নটা সালতামামি নিয়ে নয়। প্রশ্নটা "অবৈধ অনুপ্রবেশ" নামক একটি অদ্ভুত ধারণাকে নিয়ে। বলা ভালো "অবৈধ অনুপ্রবেশ" নামক বস্তুটির বৈধতা নিয়েই। "অনুপ্রবেশ" শব্দটি নতুন। বৃটিশ ভারত এই শব্দটির অস্তিত্ব জানতনা। ভারতে তখন শাসক ছিল, শাসিত ছিল, শোষক ছিল, শোষিত ছিল, ঔপনিবেশিক ছিল, সায়েবসুবো ছিল, জমিদার ছিল, জাতপাত ছিল, চোর-চোট্টা-চিটিংবাজ ছিল, ধান্দাবাজ্ব রাজনীতিবিদ ছিল, বহু রকম উঁচু-নিচুর বিভাজন ছিল, কিন্তু কোনো অনুপ্রবেশকারী ছিলনা। উপমহাদেশের মানুষের এই নতুন শ্রেণীবিভাজনটি একদম খাঁটি বাদামী চামড়ার "গণতান্ত্রিক" শাসকদের সৃষ্টি, যাঁদের কাউকে কাউকে আমরা জাতির পিতা বলি। ১৯৪৭ সাল অবশ্য আমাদের জাতির অভিধানে এই একটিই শব্দ দিয়েছে তা নয়। বহু মানুষ, যাঁরা বাদামী চামড়ার শাসকদের কৃপায় ভিটেমাটি হারিয়েছেন, তাঁরা স্বাধীনতা বলেননা, বলেন পার্টিশন। স্বাধীনতার এই প্রতিশব্দটি নতুন। ১৯৪৭ সাল আমাদের দিয়েছে "উদ্বাস্তু" নামক আরও একটি ঝকঝকে সংস্কৃত ঘেঁষা শব্দ। একটি আস্ত ভূখন্ডের মধ্যে যে "পার্টিশন" বানানো যায়, একদল লোককে ভিটে-মাটি থেকে উচ্ছিন্ন করে মনুষ্যাধম "উদ্বাস্তু" আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঘোরানো যায়, কিংবা অনুপ্রবেশকারী স্ট্যাম্প মেরে দলবদ্ধভাবে জেলের মধ্যে আরও কোনো অন্ধকার কুঠুরিতে ভরে রেখে দেওয়া যায়, এসবই আমাদের উত্তর-৪৭ সালের শিক্ষা।

    প্রশ্নটা তাই এসবের বৈধতা নিয়েই। "অনুপ্রবেশ" এর বৈধতা নিয়ে নয়। উদ্বাস্তুরা বৈধ আর অনুপ্রবেশকারীরা নয়, এসব কূটকচালির কোনো মানেই নেই, কারণ, এসবের জন্ম যে "পার্টিশন" থেকে, সেই "পার্টিশন"টির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসে গেছে। ১৯৩০ এবং ৪০ এর দশকের ইতিহাস অব্যর্থভাবেই আমাদের একথা জানায়, যে, এই "পার্টিশন" কোনো গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নয়। এ নিয়ে কোনো গণভোট হয়নি, স্রেফ কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগ নামক দুটি ক্ষমতালোভী দল, উভয়েই সর্বেসর্বা হতে চেয়ে একটা আস্ত উপমহাদেশকে বাঁটোয়ারা করে নিয়েছিল। যেকোনো সভ্য দেশে প্রধানমন্ত্রী বা রাশ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জনতার ভোটে, যিনি হারেন তিনি বিরোধী আসনে বসেন। কিন্তু এখানে আগে ঠিক হয়েছিল, রাষ্ট্রনায়ক, তারপর দেশকে বাঁটোয়ারা করে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। তাতে কোটি-কোটি লোককে সীমান্ত পার করে 'নিজের দেশ'এ যেতে হয়েছিল সর্বস্ব হারিয়ে। অনেকেই অবশ্য পৌঁছতে পারেননি। এর চেয়ে ঢের কম আকারে একই রকম কান্ড ঘটিয়ে, দিল্লি থেকে দৌলতাবাদে সমস্ত দিল্লীবাসীকে নিয়ে যাবার ফরমান দিয়ে ইতিহাসে চিরনিন্দিত হয়ে আছেন মহম্মদ বিন তুঘলক। কিন্তু এই অতি-তুঘলকি কান্ডের নায়করা সীমান্তের দুই পারে জাতির নায়ক।

    এবং এ নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই, যে দুটি জাতি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই বিভাজনে, দ্বিখন্ডিত হয়েছিল, সেই বাঙালি এবং পাঞ্জাবিরা কেউই এই বিভাজন চায়নি। পাঞ্জাবে পার্টিশনের সময়ই তার বিরুদ্ধে তীব্র আওয়াজ উঠেছিল, বাঁটোয়ারাকারীরা কেউ কান দেননি। বাংলায় সেসব যাতে না হয়, তাই দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। সুভাষ ও শরৎ বসুকে কংগ্রেস থেকে বিতাড়ন, নির্বাচনে কংগ্রেসের কেবলমাত্র হিন্দু আসনে অংশগ্রহণ, ফজলুল হকের সঙ্গে সরকার না গড়া, কংগ্রেসি রাজনীতিতে গান্ধী ঘনিষ্ঠ বিড়লা-খৈতানদের অনুপ্রবেশ, স্থানীয় নেতাদের হাইকম্যান্ডের রাবার স্ট্যাম্পে পরিণত করে ফেলা এবং দেশভাগের পক্ষে সংগঠিত প্রচার চালানো, সবই এর অংশ। এমনকি কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ একটি পত্রিকা, সম্ভবত ১৯৪৬ সালে নিজেদের মতো করেই একটি সমীক্ষাও ছেপে ফেলেছিল, হিন্দুরা দেশভাগ চায় এই সিদ্ধান্ত প্রচার করতে। আর মুসলিম লিগ তো সরাসরি ডায়রেক্ট অ্যাকশান ডের ডাকই দিয়ে দেয়।

    তা, এইসব পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটার জন্য এই লেখা নয়। বস্তুত এটা কোনো প্রবন্ধই নয়। এখানে স্রেফ ছোটো করে কাজের কথাটা বলা হচ্ছে। কথা হল, অনুপ্রবেশকারীরা বৈধ বা অবৈধ এটা কোনো প্রশ্নই নয়। অনুপ্রবেশের জন্য আগে প্রয়োজন পার্টিশন। সেই পার্টিশনটিই গণতান্ত্রিক নয়। অতএব অবৈধ। এই অবৈধ কাজটি না করলে গোটা উপমহাদেশে কোথাও কোনো অনুপ্রবেশ হতনা। হওয়া সম্ভব ছিলনা। কাজেই পাপ কিছু হয়ে থাকলে সেটা যেমন উদ্বাস্তুদের পাপ নয়, তেমনই অনুপ্রবেশকারীদেরও পাপ নয়, আদি পাপটি এনআরসির চতুর্দশপুরুষের, যাঁদের মধ্যে আমাদের জাতির পিতারাও অন্তর্ভুক্ত। যাঁরা অর্ধেক অর্ধেক তেল ভাগাভাগি করবেন বলে তেলের শিশিটি দু ভাগ করেছিলন। বেচারি অন্নদাশঙ্কর রায় পিতাদের সম্পর্কে হয় এই তথ্যটি জানতেননা, কিংবা সম্ভবত ভদ্রতাবশে উল্লেখ করেননি।

    এখানে "আমাদের পিতারা", বা "পিতাদের" শব্দগুলি লক্ষ্য করবেন। সবই বহুবচন। অর্থাৎ এপারের পিতা এবং ওপারের পিতা সকলকেই গাল দেওয়া হচ্ছে। সবাই "আমাদের" পিতা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে। এবং ছানা-পোনাদের মধ্যে কোনো আমরা-ওরা করা হচ্ছেনা। দুর্ভাগা পিতাদের মাতৃহারা সন্তানদের (দেশেদের শুধু পিতারাই ছিলেন, লক্ষ্য করবেন) মধ্যে বিভাজন, এই লেখায় করা হচ্ছেনা। ওসব নেতাদের বা পিতাদের কারবার, যা তাঁরা করে ফেলেছেন। সেই আদিপাপ ঢাকতে পাবলিকের টাকার শ্রাদ্ধ করে অবিরত যুদ্দু-যুদ্দু খেলে চলেছেন। কখনও পূর্ব-পাকিস্তানে, কখনও কাশ্মীরে। কখনও উগ্রপন্থী ঢোকাচ্ছেন, কখনও এজেন্ট। কখনও মুম্বাইতে বিস্ফোরণ হচ্ছে, কখনও করাচিতে। এপারের লোককে বোঝানো হচ্ছে, ওপারটা স্রেফ সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া, আর ওপারের লোকরা জানেন, এপারে গরুখেকো দেখলেই কেটে ফেলা হয়। এই অ্যাজেন্ডারই সুসংহত রূপ হল অনুপ্রবেশ জুজু। নেপাল থেকে লাখে লাখে লোক ভারতবর্ষে কাজ করতে এলে কারো কোনো সমস্যা দেখা যায়না, সমস্যা হল বাংলাদেশের লোক ঢুকলে। আফগানিস্তান-পাকিস্তানে অবাধ মুজাহিদিন চলাচলে কারো কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা হল কোনো ভারতীয় 'এজেন্ট' ঢুকে পড়লে।

    তা, এসব আটকানোর একটাই উপায়। আদি-পাপের প্রতিকার। আমরা কিছু বাইবেলীয় মনুষ্যসন্তান নই, যে, আদম-ইভের পাপকার্যের বোঝা আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বয়ে চলতে হবে। তদুপরি আমাদের কোনো মাতা নেই, সবই পিতা। তাঁদের পাপ আমাদের ঘাড়ে বয়ে চলার কোনো কারণ নেই, জাস্ট ঝেড়ে ফেললেই হয়। অর্থাৎ, অনুপ্রবেশ নয়, প্রশ্ন তুলুন পার্টিশান নিয়ে। সে পার্টিশান এখনই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। কিন্তু যাতায়াত তো উন্মুক্ত হওয়া সম্ভবই। খুলে যাক ওয়াঘা। খুলে যাক পেট্রাপোল। আর্মি আর সিক্রেট সার্ভিসের দাপাদাপি বন্ধ হোক। লোকে অবাধে এপার থেকে ঠুংরি-ভজন গাইতে হাইতে ওপারে যাক, ওপার থেকে এদিকে আসুক গজল-কাওয়ালির বোল। ১৯৪৭ সালের বিভাজন চুলোয় যাক। প্রতিকার হোক আদি পাপের। ভারতবর্ষে কস্মিনকালেও কোনো অনুপ্রবেশকারী ছিলনা। এখনও থাকবেনা।

    এই দাবী তুলতে হলে আপনাকে আমাকেই তুলতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠিত হল তুলবেনা। কারণ, আদি-পাপের ভাগীদার এরা সবাই। আর ভুল স্বীকার করা উপমহাদেশের রাজনীতির উত্তরাধিকারে কোথাও নেই। যদি দাবী তুলতেই হয়, এই আমি যেমন লিখছি, "অবৈধ অনুপ্রবেশ" নামক হযবরলর চক্করে না পড়ে আপনাকেও লিখতে হবে। পার্টিশনের পাপকে অস্বীকার করে, "অনুপ্রবেশ" এর ডিসকোর্সে ঢুকে, তারপরে সম্প্রীতির হাজারটা বাণী দেবার কোনো মানে নেই। তার চেয়ে বরং নজরুলের গানকে প্যারডি করে গানঃ মোরা একই বৃন্তে দুটি ঢ্যাঁড়শ, হিন্দু-মুসলমান।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩১ জুলাই ২০১৮ | ৪৪৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 2345.110.125612.95 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৯:০১64863
  • কিছু ভুল হচ্ছে। সীমান্ত দুম করে তুলে দিলে, সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
    প্রথমেই আসবে জীবিকা সমস্যা, তারপর ধর্মের সমস্যা, তার পর আঙ্গুল তুলে দোষারোপ ও ফলশ্রুতি খুনো খুনি।
    এটা ঠিক জার্মানির পাঁচিল ভেঙ্গে ফেলা নয়।
    উদাহরণ হিসেবে ইউরোপ ধরা যাক বা গ্রেট ব্রিটেন।ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লোকজন কাজ করতে যায়। কোন সমস্যা হয় না তো। কারণ ধর্মের বেড়া নেই, ঘৃণা পরিমাণে কম।
    কিন্তু ইউরোপ কি দুম করে এশিয়ার সঙ্গে বর্ডার খুলে দেবে?দেবে না। কারণ বর্তমান পরিস্থিতি তে অসম্ভব।
    সুতরাং ভারত পাকিস্তান বা বাংলাদেশের মধ্যে বর্ডার তুলে দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। ধর্মের বেড়া টপকানো গেলেও ঘৃণার বেড়া টপকানো যাবে না।
    অত:কিম। ধীরে ধীরে বর্ডার আলগা করতে হবে। যেমন এখন বাংলা দেশ- ভারত খুব সহজেই মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পাওয়া যায়।
    কাজের ক্ষেত্রে, দেশের মধ্যেই বিদেশি দের কাজের সুযোগ দিতে হবে।
    বাণিজ্য বাড়াতে হবে। দাদা গিরি কমাতে হবে।
    এতো গুলো স্টেপ পর পর করলে ঘৃণার বেড়া আলগা হবে।
    খুব ই কঠিন কাজ হে।
  • b | 562312.20.2389.164 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৯:০৫64864
  • "ওদিকে থারুর লিখেছেন বৃটেনকে ভারতত্যাগে বাধ্য করে নৌ বিদ্রোহ। নৌ বিদ্রোহ আর সুভাষ বোস মিলে জোর ধাক্কা দেয়"

    থারুর কেন? এ তো হামলোগ ক্লাশ টেনকা ইতিহাস বইসে দুলে দুলে মুখস্ত করতা থা।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ১১:২০64865
  • আমি সেসব মন দিয়ে পড়ি নাই তো। ৪৯ পেয়েছিলাম। ইতিহাস পড়তে একেবারে ভালবাসতাম না। ইতিহাসপ্রেমটা বড় হয়ে তৈরী হয়েছে।
  • sswarnendu | 7845.15.455612.145 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ১২:২৮64866
  • সীমান্ত খুলে দেওয়া অবশ্যই আজকে করা যাবে না, যাওয়ার জায়গাতেও নেই। দশকের পর দশক ধরে পারস্পরিক ঘৃণা আর সন্দেহের চাষবাসের পরে থাকার কথাও নয়, তবু এই কথাগুলো ওঠা দরকার, উঠুক। অন্যের এগিয়ে দেওয়া ছুরি নিজেদেরই হৃদপিণ্ডে চালিয়ে হৃদপিণ্ডের এদিকটা আমার, ওদিকটা তোর আর কতদিন করতে থাকব?
  • Debs | 561212.96.344512.181 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ১২:২৯64867
  • Haven't found such a straight forward and beautiful to read essay give such an impractical solution in a very long time. It was going well, but too much emotions bring out impractical results. But Sir, I am gonna repeat myself..this is a beautiful piece..
    Keno jani, Neruda er kotha mone pore gelo.. Kobita ke byabohar korte hobe ostrer moto..
  • কল্লোল | 670112.203.674512.149 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ১২:৪৮64868
  • আমি এই প্রস্তাবে একমত। কিন্তু আজকের বাস্তব গোলমেলে। এই প্রস্তাবে কিছু বাঙালি আর কিছু পাঞ্জাবির সমর্থন পাওয়া যাবে, কিন্তু ভারতের অন্য অংশের মানুষ এতে রাজি হবে কেন? তাদের তো কিছু এসে যায় না।
    নেপাল, ভুটান সীমান্ত তো খোলাই। তাতে তো কোন অসুবিধা হয় না।
    ভালো কথা, তামিলনাড়ুতে "অনুপ্রবেশ" হয় কি? কেউ বলে না তো!
  • সিকি | 670112.208.6767.32 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ০৩:২৫64901
  • তারপরে কী হইবে, জানে শ্যামলাল।
  • dc | 011212.227.454523.1 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ০৩:৪৯64902
  • ধুর এসব কিছুই হবে না। খানিক লেখালেখি করে টাইমপাস আরকি।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ০৪:৪৭64891
  • এই সেই রেয়ারেস্ট অব রেয়ার মুহূর্ত যখন আমি পিটি ( 31 July 2018 19:25:40 IST )র সাথে এবং ট্যান (31 July 2018 23:58:15 IST )এর সাথে একমত।

    এককের সাথে মাঝেমধ্যেই একমত হয়ে যাই, কাজেই সেটা তেমন ব্যপার না।
  • Du | 237812.58.890112.136 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ০৪:৫৯64903
  • পুরো উপমহাদেশে মানুষের ভয়েস কিছুই নাই। শুধুই সরকার। তা বাদে ভিসিবল শুধু দাঙ্গাকারী ও লিঞ্চারেরা।
  • bhuktobhogi | 456712.100.5623.50 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ০৫:৩৯64892
  • অফিস কলিগ দের সাথে আড্ডা/ আলোচনায় ওপেন বর্ডার পলিসি কে সাপোর্ট করে বাংলাদেশী/মাকু/দেশদ্রোহী ইত্যাদি গালাগাল হজম করতে হয়েছে/হচ্ছে। রাজধানীর বুকে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস এবং সহকর্মীরাও কেউ অশিক্ষিত নন।দীর্ঘ সময় ধরে ঘৃণার চাষ করার প্রত্যক্ষ প্রভাব।
  • Tim | 89900.228.0167.253 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ০৬:০৩64893
  • লেখা তো আগেই পড়েছি। আলোচনাও পড়ছি। কথা চলুক।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ০৬:১৪64904
  • এইটা দু দি একেবারে ঠিক বলেছ। উপমহাদেশীয় জনগণের কাছে কোনো সিস্টেম্যাটিক উপায়ই নেই নিজেদের ভাবনাচিন্তা দাবীদাওয়া ইত্যাদি জানানোর, কার্যকরী করা তো অনেক পরের ব্যাপার।
  • ... | 9001212.56.890112.69 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ০৮:৪৪64895
  • পাশের পাড়া বেড়াতে গেলে যেখানে ঘরে চাবি দিয়ে যেতে হয়, সেখানে বর্ডারহীন যৌথখামারের অলীক স্বপ্ন না দেখাই উচিত ও বাস্তব। অবশ্য আঁতেলরা আর কবে বাস্তবতাবোধের পরিচয় দিয়েছে। সবই তো বিদেশের খেয়ে পড়ে পেট মোটা করা জনগণ।
  • bhuktobhogi | 456712.100.5623.49 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ০৮:৫৬64896
  • এতো আক্রোশ যে ডট ডট এর আড়ালে এসে মেটাতে হচ্ছে! ফিলিপ মোষের দলের বাছুর নাকি?
  • debu | 017812.213.90012.215 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ১০:১৭64905
  • চমত্কার লেখা , title টা "ভারত স্বাধিনের আদি পাপ " হলে ভালো ছিলো।
  • PT | 340123.110.234523.22 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ১০:৫১64897
  • ঘরে নাহয় চাবি দিলামই স্থানীয় চোরেদের আটকানোর জন্য। কিন্তু যৌথখামার না হোক অন্ততঃ আগে ভিসা না নিয়্র শুধু পাসপোর্ট দেখিয়ে তো বাংলাদেশে যাওয়ার (ও আসার) ব্যব্স্থা করাই যায়। ভাবা যায় যে একটা সময় ছিল যখন বিনা ভিসায় তিন মাসের জন্যে ভারতীয়রা সুইডেনে ঢুকতে পারত!!
  • sm | 7845.11.450123.51 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ১১:৪৬64898
  • তো সুইডেন কেন সেটা বন্ধ করলো বলুন তো?স্বাধীনতার আগে বিনা ভিসায় ব্রিটেন যাওয়া যেত। কেন আর যাওয়া যায় না বলুন তো?
  • dc | 670112.203.67900.5 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ১২:১৪64899
  • পিটিদা ভালো প্রস্তাব দিয়েছেন। সাবকন্টিনেন্টের সবকটা দেশে হয় ভিসা তুলে দেওয়া যায় নাতো শেঙ্গেন ভিসার মতো কিছু একটা চালু করা যায়। কমার্সের ফ্লো অনেক বাড়বে তাহলে।
  • dc | 670112.203.67900.5 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ১২:১৬64900
  • পাকিস্তান ভারত নেপাল ভুটান শ্রী লংকা বাংলাদেশ মিলে ইউনিফায়েড ভিসা।
  • বিপ্লব রহমান | 9001212.30.90034.249 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ১২:৩৫64890
  • খুবই দরকারী লেখা, সীমান্ত- বিচ্ছেদ একদিন ঘুচবেই, এটি অনিবার্য, রাজকূটের পরাজয় সময়ের ব্যপার।

    "পাকিস্তান, ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশ তিনটে আলাদা দেশ, মনে হয়না এদের এক হওয়ার দরকার আছে। তবে তিনজন নিজেদের মধ্যে ফ্রি ট্রেড জোন করতেই পারে, নাফটার মতো।"

    ডিসির সাথে এ ক ম ত। বাণিজ্যিক কারণে খুব শিগগিরই এটি হতে পারে। বাংলাদেশের স্বার্থ দেখলে মিয়ানমারকেও সাথে নিতে হবে হয়তো।

    আলোচনাগুলোতেও নজর রাখছি। উড়ুক 7
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ০২ আগস্ট ২০১৮ ০১:০৭64907
  • ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ ব্যাপারটা পার্টিশনের সময়, ১৯৪৭-এ ছিল না। বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার হত্যা, পাকিস্তানে তো সুইসাইড বম্বিং, প্রচুর মানুষ মারা যাওয়া নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব জুড়ে ইসলামিক মৌলবাদী/ উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলির কাজকর্মের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে ভারতের মুক্ত সীমান্তের আশা কল্পনা মাত্র
  • aranya | 560123.148.1256.34 (*) | ০২ আগস্ট ২০১৮ ০২:২৮64912
  • পাকিস্তানে ধর্মীয় মৌলবাদী প্রার্থীরা এবারের নির্বাচনে পাত্তা পায় নি, এইসময়-এর রিপোর্টে পড়েছি।

    এই ধরণের খবরগুলো সব কাগজের প্রথম পাতায় বেরোনো দরকার
  • h | 230123.142.560112.169 (*) | ০২ আগস্ট ২০১৮ ০৩:৫১64909
  • দেশ সম্পূর্ন হায়নায় ভরে গেছে।
  • PT | 340123.110.234523.22 (*) | ০২ আগস্ট ২০১৮ ০৪:০১64910
  • যারা ঘৃণার চাষ করে অথবা ঘৃণার চাষকে তোল্লাই দেয় তারা এই জাতীয় খবরের প্রচারেও উৎসাহী নয়!
    "Extremist and banned groups, including Mumbai attack mastermind Hafiz Saeed-backed Allah-o-Akbar Tehreek, have failed miserably in Pakistan’s general elections despite their massive campaign."

    অথবা এটাঃ
    "Ali Wazir, a central committee member of The Struggle, has won a seat in the national parliament of Pakistan from NA-50 (Tribal Area–XI) with 23,530 votes and his closest rival from a religious parties alliance, MMA got 7,515. Thus winning the seat with a majority of 16,015."
  • PM | 238912.160.340112.246 (*) | ০২ আগস্ট ২০১৮ ০৪:১৯64913
  • পর্টিসন নিয়ে প্রশ্ন তোলা খুব ই মুসকিল--- ৩০ কোটি বাঙ্গলি আর ২০ কোটি পান্জাবী থাকলে হিন্দি বলয়ের আধিপত্যের কি হবে? যার জন্য এতো কান্ড
  • সুবল দত্ত | 7845.9.9004523.166 (*) | ০২ আগস্ট ২০১৮ ০৭:১০64911
  • তাহলে বর্ডার বাঁধার জন্য দেশের এত খরচ কেন এত মিলিটারী এত ইমিগ্রেশন এত দেশপ্রেম
  • ফারিয়া ইয়াসমীন | 342312.49.4512.251 (*) | ০২ আগস্ট ২০১৮ ০৮:১৮64914
  • `সেই আদিপাপ ঢাকতে পাবলিকের টাকার শ্রাদ্ধ করে অবিরত যুদ্দু-যুদ্দু খেলে চলেছেন। কখনও পূর্ব-পাকিস্তানে, কখনও কাশ্মীরে। '

    - বুঝলাম না। ‘পূর্ব পাকিস্থান’ মানে? ‘বাংলাদেশ’ না বলে লেখক পূর্ব পাকিস্থান বললেন কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন