এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এমাজনের পেঁপে

    একক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০১৭ | ৯৪৮ বার পঠিত
  • একটি তেপায়া কেদারা, একটি জরাগ্রস্ত চৌপাই ও বেপথু তোষক সম্বল করিয়া দুইজনের সংসারখানি যেদিন সাড়ে ১২১ নম্বর অক্রুর দত্ত লেনে আসিয়া দাঁড়াইল, কৌতূহলী প্রতিবেশী বলিতে জুটিয়াছিল কেবল পাড়ার বিড়াল কুতকুতি ও ন্যাজকাটা কুকুর ভোদাই। মধ্য কলিকাতার তস্য গলিতে অতটা আধুনিকতা এখনো প্রবেশ করে নাই যে নূতন ভাড়াটে আসিলেও পড়শীদের কৌতূহল যৎপর্নাস্তি সংবৃত থাকিবে । এই ক্ষেত্রে, মালবাহী টেম্পোর সঙ্গে একটি মধ্যবয়স্ক পুরুষ ও প্রায় চলচ্ছক্তিহীন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা ও সেই তেপায়া কেদারা, জীর্ণ চৌপাই ইত্যাদির বা সবকিছুর মধ্য দিয়া এমন একটি হতশ্রী ফুটিয়া বাহির হইতেছিল যে সকল স্বাভাবিক পরচর্চায় সেই স্থানেই ছেদ পড়িয়া যায়।

    প্রথমদিকে মাতাপুত্রের সংসারে চতুষ্পদ ভিন্ন কাহারো উৎসাহ না থাকিলেও, অচিরে কাক -শালিখরা টের পাইল যে এমত কলহমুখীন প্রতিবেশী তাহারা দীর্ঘকাল প্রত্যক্ষ করে নাই । বৃদ্ধ বায়স রামাধীন, দত্ত গিন্নির ফেলিয়া দেওয়া ম্যাকডি বার্গার জুৎ করিতেছিল ভগ্ন পাঁচিলে বসিয়া । অকস্মাৎ ধাতব তৈজসপত্র পতনের বিকট আওয়াজ ও "মর মর মরিসনে কেন বুড়ি !! " চিৎকারে তাহার বার্গার ছিটকাইয়া পার্শ্ববর্তী নালায় পতিত হয় । বায়সকুলে ভূপতিত খাবার তুলিয়া খাইবার রেওয়াজ থাকিলেও বার্গারবিচ্যুত একটি সতেজ মাংসখণ্ডকে কাকচক্ষু নর্দমার জলে বহিয়া যাইতে দেখিয়া বুকে শেল বাজিল রামাধীনের। সে প্রতিজ্ঞা করিল এ পাঁচিলে, আর নয় ।

    কুতকুতি কিন্তু ইতর মনুষ্যের ভাষা বুঝিত, তথাপি তাহার বাপ বহুবাজারের ডাকসাইটে হুলো এই অভিমানে ম্যাওভাষা ভিন্ন উচ্চারণ করিত না । মাতা ও পুত্রের শ্রীহীন সংসার , মারমুখী সন্তান , ক্রন্দনরতা মা এইসকল অলীক রঙ্গ দিন দুই ন্যাজ খাড়া করিয়া শ্রবণপূর্বক সে প্রতীত হইল যে মানবজগতে স্নেহ ও মমতার যে সামাজিকতা সে ইতিপূর্বে দেখিয়া আসিয়াছে তাহা আর যাহাই হউক স্বতঃসিদ্ধ নহে । মধ্যবয়স্ক সন্তানটি কোনো অজ্ঞাত কারণে বারবেলা অবধি বিছানা আঁকড়াইয়া পড়িয়া থাকে । বৃদ্ধা মাতা তখন নাকিসুরে দরোজায় বসিয়া কাঁদিয়া মরে। নিদ্রা ভাঙিয়াই কুম্ভকর্ণ ক্ষুধায় চিৎকার জোড়ে ও মাকে গালিগালাজ শুরু হয় । বৃদ্ধার নাকিসুর উচ্চগ্রামে উঠিতে উঠিতে পরের পর সপ্তক আরোহণ করিতে থাকে সেইসঙ্গে অনুযোগ যে ; বাজার না করিলে রন্ধন কিরূপে হইবে, এই বয়েসে হাড় কালি করিয়া বাজার ঘর করা অসম্ভব, ঈশ্বর কেন তাঁহাকে মৃত্যুর পরম আশীর্বাদ দেন না ইত্যাদি ইত্যাদি ও অতঃপর সন্তানের দ্বারা মাতার মৃত্যুকামনা ।

    কুতকুতি এই খণ্ডহরগীতি একদিন শুনিল , তিনদিন শুনিল , অতঃপর নেহাতই ব্যাজার ও বিরক্ত হইয়া ; দত্তগিন্নি , বোসজায়া প্রমুখের দ্বিপ্রাহরিক আড্ডায় কান দেওয়া অধিক মনোরঞ্জনের , বিশেষত পাঁচিলে পাঁচিলে না ঘুরিয়াও পাঁচ পাড়ার খপর তো পাওয়া যায় , এই ভাবিয়া স্থানত্যাগ করিল ।

    মার্জারকুলীনের অলক্ষ্যে কিছু ঘটনা ঘটিতেছিল।

    সাড়ে ১২১ নম্বরের বাটীতে বহুকাল কোনো ভাড়াটে আসে নাই । মামলা ও ডিসপুটের হেতু বাটীর অর্ধ অংশ বিলকুল ফাঁকা ও কালক্রমে মনুষ্যবাসের অযোগ্য হইয়াছিল । কুম্ভকর্ণ সন্তানটি একরাত্রে কিঞ্চিৎ অসাব্যস্ত হইয়া আসিয়া বাটীর ভগ্নাংশ বরাবর ঝাঁকি দিতেছিল , উদ্দেশ্য পুরাতন পরিত্যক্ত আসবাব বেচিয়া দিবার মতো কিছু আছে কিনা তল্লাশ । এমতাবস্থায় বাটীর প্রান্তে একটি ক্ষুদ্রায়তন ঘরে এক পানওয়ালার সহিত সাক্ষাৎ , অন্তত তাহার রকম সকম দেখিয়া সেইরূপ বোধ হয় । তক্তপোষে বসিয়া বিপুলাকৃতি ডালায় জলসিক্ত লাল শালু মুড়িয়া সে কে বা কাহাদের সহিত দরদাম হাঁকডাক করিতেছিল তাহা কুম্ভ ঠাহর পায় নাই । অদ্ভুত শান্ত এই ভগ্নবাটীর মধ্যে এইরূপ একটি জমকালো বিপণি আছে তাহাই সে জানিত না ! পীতাভ অন্ধকারে অগ্রসর হইয়া লাল শালুর দিকে সে অঙ্গুলিনির্দেশ করিল । পানওয়ালা কাপড় সরাইযা যাহা বাহির করিল তাহা পান নহে , পেঁপে । ঘন সবুজ নধরকান্তি পেঁপের গাত্রে ততোধিক সবুজে লিখিত "এমাজনের পেঁপে , সুনকারিনারপুল" । একখানি কর্তনী লইয়া পেঁপে চারফালি করিয়া কুম্ভের হস্তে একফালি তুলিয়া দিল পানওয়ালা । চতুষ্পার্শ্ব হইতে কাহারা যেন বলিল : খাইয়া লও , সে নির্দেশে তীব্রতা নাই কিন্তু তীক্ষ্ণতা আছে , যেন অনাদিকালের মালসাভোগের মাঝে আসিয়া সে ভাগ্যক্রমে প্রসাদ পাইয়া গিয়াছে। কুম্ভ সেই এমাজনের কাঁচা পেঁপে কচকচ শব্দে চর্বণ করিতে করিতে ভগ্নাংশময় ভ্রমণ করিতে লাগিল।

    পূর্বে সে কখনো খেয়াল করে নাই এই বাড়িটির দেয়ালে দেয়ালে এতো ছবি । খুব স্পষ্ট নয় আবার সেইসব ভাষা যে বড় দুর্গম তাহাও নহে । একটি বেগনী দেয়ালে ঘন নীল বাঁশির শব্দ চলিয়া গিয়াছে, তাহার পার্শ্বে জলের কুলকুল ছবি আর ছাতিমছাপ আইসকিরিমের গন্ধ । আরেকটু আগাইলেই মাটি কাঁপে । ও কাহারা করমচা আঁকিয়াছে গৃহের ছাদ জুড়ে ? ক্রমে কুম্ভের সামনে দৃশ্য আসিল , অগণিত অস্পষ্ট তবু নিশ্চিত অবয়ব ছেনি লইয়া দেয়াল কুটিতেছে আর প্রতিটি আঘাতে দেয়ালময় ছবি রং আর ছবি । হাতুড়ি পড়িতেছে ছেনির উপর টুং ড্রঙ ঢিন ঝিপ ঝিপ টং সু সু । আর রক্ত । রক্ত না হইলে কি রং হয় । বড় প্রীত হইয়া এদিক সেদিক ঘুরিতে লাগিল কুম্ভ , কখন যে নিজেও একটি ছেনি ও হাতুড়ি তুলিয়া লইয়াছে টের ও পাইল না । যেন এক আনন্দ রেলগাড়িতে উঠিয়া পড়া ;আর ক্ষুধা নাই , তৃষ্ণা নাই , মা মাগীর নিত্যি মুখঝামটা নাই শুধু টুং ড্রঙ ঝিপ ঝিপ সু ।

    কুম্ভ আলোয় ডুবিয়া গেল । আর দেয়াল কুটিবার অনাহত শব্দে ।রূপ । ভলকে ভলকে রূপ ।

    দুইদিবস পরঃপ্রাতে কুতকুতি যখন পুনরায় সরেজমিনে আসিল , বিস্ময়জনকভাবে আর চিল্লৌত নাই । ক্ষুধায় তৃষ্ণায় বৃদ্ধাটি উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিবার অবস্থাতেও ছিল না । দাঁতে দাঁত চাপিয়া অস্ফুটে কিছু গাল দিতেছিল অদৃষ্টের উদ্দেশে আর তাহার কুম্ভকর্ণ পুত্রটি দুইদিবস যাবৎ নাসিকা গর্জন করিয়া নিদ্রিত , খাইতে চাহে নাই , গালিগালাজ করে নাই । তাহার মাথার পার্শ্বে অর্ধভুক্ত কাঁচা পেঁপের ফালি এবং ছেনি ও হাতুড়ি রাখা ।

    জানালা দিয়া ব্যাপার দেখিয়া কুতকুতি বলিল : ম্যাও । অর্থাৎ গৃহে শান্তি ফিরিয়াছে । বৃদ্ধ বায়স রামাধীন রাস্তার উল্টোবাগের কার্নিশে বসিয়া রোহিতকন্টকে বৃথাই মৎস্যসন্ধান করিতেছিল । সে বলিল : ক্ব । অর্থাৎ লক্ষণ ভালো নয় ।

    সেই প্রথমদিবসে বার্গারবিয়োগহেতু, রামাধীন সাড়ে ১২১ নম্বর বাটীর পাঁচিলে আর বসে নাই কিন্তু তাহার প্রাজ্ঞ নজরের বাহিরেও কিছু নহে । উপরন্তু সায়ংকালে যখন সে দেখিল কুম্ভকর্ণ জাগিয়া উঠিয়া চৌপাইতে বসিয়া কাঁচা পেঁপে চিবাইতেছে তাহার আর বুঝিতে বিশেষ বাকি রহিল না । ব্যঞ্জনবর্ণমালার প্রথম অক্ষরে তাহার অবস্থান , কুলীন বায়স ; ম্যাওভাষায় অভিমানী কুতকুতি মেনি কী বুঝিবে এ রহস্যের ! বৃদ্ধা মাতা কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া হীনবল হতআশা হইয়া একবার প্রবল চিক্কুর দিল : মর মর ! পুরুষমানুষ ভাত জোটাতে পারিস না সব খেয়েছিস এবার মা টারেও খা খেয়ে মরণ হোক তোর !! রামাধীন খানিক চমকাইয়া টাটকা নেংটিতে মনোনিবেশ করিল । কিয়ৎক্ষণের মধ্যেই গবাক্ষ হইতে আবার পরুষ চিৎকার : আলো আলো কত রং ! রং খাবো ! খেতে দে !! এবং ভগ্ন ক্লিষ্ট নারীকণ্ঠে একটি অস্ফুট আর্তনাদ । রামাধীন হলুদ আকাশের পানে চাহিল একবার । একবার অভুক্ত নেংটির প্রতি ।

    এই ছিন্নমুণ্ড কাহিনীতে ভোদাই এর কোনো গুরুদায়িত্ব এতদবধি নাই । প্রাণীকুল সে সর্বাপেক্ষা অকুলীন । শুধু কয় দিবস পর তাহার চিৎকার ও অস্থির দৌড়াদৌড়িতে আকর্ষিত হইয়া পাড়ার কয়টি চেঙ্গড়া ছেলে বৃদ্ধার দুর্গন্ধময় শব উদ্ধার করে । কপাল কীলকবিদ্ধ । হাঁ মুখ বহিয়া পিপীলিকার পাল । ম্যুনিসিপ্যালিটির শকট আসিয়া শবদেহ সংগ্রহপূর্বক ধাপার মাঠে চলিয়া যায়।পুরা সময় টুকু গাড়ির সামনে পিছনে দৌড়াইয়া,আত্মঘোষণা করিয়া ভোদাই তাহার সামাজিক কর্তব্যে অবিচল থাকে।যদিও ন্যাজ কাটা হওয়ায় এবিষয়ে তাহার মানসিক পরিস্থিতি ঠাহর পাওয়া যায় নাই ।
    কুতকুতির ব্যস্ততা সর্বাপেক্ষা বেশি গিয়াছে কারণ দত্তগিন্নি , বোস জায়া ও নকুড় মিষ্টান্ন ভান্ডারের সম্মুখের আড্ডাস্থল এই পুরা এলাকাটি ঘুরিয়া পরচর্চার দলিল সংগ্রহ তো ফেলনা কাজ নয় । প্রকৃত সত্য সেও বুঝি কিছু জানিত ।তবে ম্যাওভাষাভিন্ন অপর জবান মুখে না লওয়ার ঘোর প্রতিশ্রুতি বলিয়া কথা !

    রামাধীন কোনো চঞ্চলতা প্রকাশ করে নাই । মা -ছেলের ঘরের মেঝেতে পড়িয়া থাকা অভুক্ত এমাজনের কাঁচা পেঁপের শেষতম টুকরাটি চাখিয়া দেখিবার কিঞ্চিৎ ইচ্ছা তাহার হইয়াছিল , কিন্তু ত্রিকালদর্শনের প্রাজ্ঞতা হেতু নিজেকে সংবরণ করে । কুম্ভকে শেষ মুহূর্তে ছুটিয়া সাড়ে একশো একুশ নম্বর বাটীর ভগ্নাংশের দিকে যাইতে সে দেখিয়াছিল । সন্ধ্যার পীতাভ আকাশে বার দুই ডানা ঝাপ্টাইয়া রামাধীনও সেই পানে উড়িয়া যায় ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০১৭ | ৯৪৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    নাইটো - একক
    আরও পড়ুন
    সিপাহী - একক
    আরও পড়ুন
    প্রহাস - একক
    আরও পড়ুন
    স্বাদ - একক
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | 53.224.129.54 (*) | ০৬ আগস্ট ২০১৭ ০৬:৫১60604
  • #
  • i | 147.157.8.253 (*) | ০৬ আগস্ট ২০১৭ ১০:০৫60605
  • কী লেখা!!!
    কী ভাষা কী এক্সপ্রেশন কী গল্প...
    একক, আপনি কে বলুন তো?

    ছোটাই
  • dd | 59.207.57.89 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৩:১৪60606
  • উফ। কী পড়িলাম। জন্ম জন্মান্তরেও ঝট করিয়া ভুলিবো না।

    এককই কি নেতাজী? বংগ সাহিত্যের ঘোর দুর্দিনে মাউস হাতে আবির্ভাব ?
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৪:০৯60607
  • প্রথম লাইনেই হোঁচট খেলাম। "বেপথু তোষক"??
    খাইসে!
  • T | 113.211.20.200 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৪:৩২60608
  • বেপথু মানে তিরিতিরি কাঁপা। কিন্তু,

    ওঃ, লাল সেলাম বস।
  • avi | 57.11.10.221 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৪:৪৮60609
  • এককের কি এক হাতে চীন, অন্য হাতে রাশিয়া আছে? থাকলে এককই নেতাজী। না হলে, একক কি বিপ্লব? অবশেষে এসে পড়েছেন! স্টানিং ইনিংস।
  • de | 24.139.119.175 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৬:১৮60610
  • একক বিপ্লব!!!
  • de | 24.139.119.175 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৬:১৯60611
  • *(পাল নয়)
  • শিবাংশু | 113.217.234.117 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৬:৩৩60612
  • বাঃ...
  • রোবু | 213.132.214.86 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৬:৫৯60613
  • ভালো লেগেছে।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ০৭:১৫60617
  • তোষকটা কাঁপছিল? ঃ-)
  • Suhasini | 213.99.208.1 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১০:৩৭60614
  • জোরদার।
  • Rabaahuta | 116.216.169.157 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১০:৫১60615
  • বেপথু তোষকটা নিয়ে আমিও ভাবছিলাম, তারপর মনে হলো নিশ্চয় ভেবেচিন্তে লিখেছে কিছু, ছিঁড়ে ফেটে নিভুনিভু তোষক, হবেওবা। আবার নাও হতে পারে, হয়তো নিতান্তই ল্যম্পপোস্টের একটা লাইট খারাপ। আর চীনের কাঁঠাল এমাজানের পেঁপে কামচাটকার চালকুমড়ো কতই না দেখবো।
    সে যাই হোক গল্পটা ফেঁদেছে ভয়ানক, কাল রাত থেকে অনেকবার পড়ে ফেললাম। এককের ভাষার ঘোরপ্যাঁচ আর নানাবিধ অব্যয় একেবারে লক্ষ্যভেদী মনে হয়।
    তবে কিনা কুতকুতিকে আরেকটু ফুটেজ দিলে তাকে বিড়াল টইয়ে নিয়ে যাওয়া যেত।
  • শঙ্খ | 52.110.181.42 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১২:৫৫60616
  • দুএকটা জায়গা একটু শিশিবোতল ঠেকল, কিন্তু সুখপাঠ্য। বরাবরের মতই।
  • Atoz | 161.141.84.119 (*) | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ০৪:১১60619
  • লক্ষ লক্ষ ছারপোকা তোষকের ভিতরে একত্রে নৃত্য করছিল, তাও হতে পারে। ঃ-)
  • de | 24.139.119.172 (*) | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ০৫:০৭60618
  • কাঁপতেই পারে - পাতলা, জ্যালজ্যালে তোষক - হাওয়ায় কাঁপছিলো হয়তো!
  • একক | 57.15.0.202 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:০৯60620
  • দুরন্ত, দূর্মদ, একঘর হয়েছে
  • Du | 182.58.110.234 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৫১60621
  • উফ পুরো ঝড় একঘর। ব্রেনের সবকটা পয়েন্টে কানেকশন হল একবার করে।
  • একক | 57.15.11.184 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:৩৮60622
  • কমলকুমার
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন