এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শত্রু যুদ্ধে জয়লাভ করলেও লড়তে হবে

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ এপ্রিল ২০১৭ | ১১১৫১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মালদা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পুকুরিয়া থানার অন্তগর্ত গোবরজনা এলাকায় অবস্থিত গোবরজনার প্রাচীন কালী মন্দির। অষ্টাদশ শতকে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির বিরুদ্ধে লড়বার সময়ে এক রাতে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরাণী কালিন্দ্রী নদী দিয়ে নৌকা করে ডাকাতি করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ এক বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে তাঁদের নৌকো আটকায়। অস্থায়ী শিবির করে আস্তানা নেয় ডাকাতদল। সেখানে স্বপ্নাদেশ পান ভবানী পাঠক। স্বপ্নে তাঁকে মা কালী কালিন্দ্রী নদীর ধারে জঙ্গলের মধ্যে পূজো করতে আদেশ দিয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু হয়েছিল কালীপুজো, যেটি ভবানী পাঠকের পুজো নামে খ্যাত। শোনা যায়, পরবর্তী বছরগুলিতে কম্পানির বিরুদ্ধে বড় কোনও অপারেশনের আগে ভবানী পাঠক নাকি এখানে পুজো দিয়ে আসতেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে এখানে পুজো দিয়ে এসেছিলেন মজনু শাহও।

    আমাদের পাড়া, মানে সিরিটি মুচিপাড়া অঞ্চলের এক ছোট্ট নির্জন কালী মন্দির আছে, যার পুরোহিত গণেশ ভটচাজ এককালে নক্সাল করতেন। পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীয়া থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেন। পাকেচক্রে কালী মন্দিরের পুরুত হয়ে যান। সন্ধেবেলা বিড়ি জ্বালিয়ে দরদভরা কণ্ঠে গান ধরতেন, আমার সাধ না মিটিল আশা না পুরিল। মন্দিরের পাশের ঝুপড়িতে থাকতেন। খাওয়া দাওয়া পাশের হোটেলেই। কিন্তু যেটা বলার, গণেশ ভট্চাজের সেই সাধের কালী মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে শিবঠাকুরের ছবির গা ঘেঁসে আরেকটা ছবি ঝুলত। এক রংজ্বলা বিবর্ণ কিন্তু অম্লান হাসির যুবকের ফটো। যুবকের নাম চে গুয়েভারা।

    নক্সাল কিংবদন্তী এখানেই শেষ নয়। সিরিটি শ্মশানের পাশে আছে এক বড় ঝিল। টালিগঞ্জ ফাঁড়ি হয়ে মহাবীরতলা থেকে কলাবাগান আসার আগে বাঁদিকে মোষ রাখার বিশাল খাটাল যা বহুদিন পরিত্যক্ত হয়ে আছে। সত্তরের দশকে খাটালে কয়েকটি ছেলে লুকিয়ে ছিল । গোয়ালারা পুলিশে খবর দিয়ে দেয়। খাটাল থেকে বার করে এনে ঝিলের পাশে নিয়ে গিয়ে পুলিশ বলেছিল “যা”। পালাতে শুরু করলেই পেছন থেকে গুলি। ঝিলেই ডুবিয়ে দিয়েছিল বডি। শোনা যায়, সেই ঝিলে নাকি এক লুকনো কালীমুর্তিও আছে যা বিশেষ বিশেষ অমাবস্যার রাতে জলের উপর উঠে আসে। আর বাকি সময়টুকুতে জলের নিচে সেই নক্সাল ছেলেদের লাশ বুক দিয়ে আগলে রাখেন করাল কালী।

    অনেক বছর আগে কর্মসূত্রে একবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়েছিল। কাজের শেষে বন্ধু, যে তখন সবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেছে, সে অনুরোধ করল পরের দিন তার গ্রামের বাড়ি ঘুরে যেতে। বাড়িতে ঢোকার সময়ে দেখেছিলাম, পাড়ার ধার ঘেঁসে যে মাজার চলে গেছে, তার পাশের এক তেঁতুলগাছের তলায় বসে স্থানীয় কালিমন্দিরের পুরোহিত আর মাজারের পিরের প্রবল তর্ক (পরিচয় পরে জেনেছিলাম) । বাড়ির মধ্যেও সেই উত্তেজিত চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ ভেসে আসছিল। একটু বাদে কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করাতে বন্ধুর বাবা বললেন "তর্ক বেঁধেছে মা কালী কবিরাজী না কি হাকিমী কোন উপায়ে ভক্তের রোগ সারান ।" মাজারের পির কেন এই নিয়ে মাথা ঘামাবেন সে বিষয়ে ঈষৎ বিস্ময় প্রকাশ করাতে ভদ্রলোক হেসে উত্তর দিলেন "প্রতি পূর্ণিমাতে এই মাজারে অঞ্চলের গরীব মানুষ এসে মোমবাতি জ্বালিয়ে যায়। হিন্দুরাও আসে, কারোর চাকরির জন্যে সুতো বেঁধে যায়, কেউ রোগ নিরাময়ের প্রার্থনা, আবার কারোর সন্তানকামনা। মাজারের পেছনেই কালিমন্দির। যারা মাজারে মাথা ঠোকে, ফেরবার সময়ে কালিমন্দিরেও মানত করে যায়। এবার যাদের রোগ সেরে যায়, তাদের কেউ ভাবে মাজারে মাথা ঠোকার জন্য সেরেছে, আর কেউ ভাবে মা কালীর আশির্বাদে। সেই কারণে কেউ মাজারে নতুন চাদর দেয়, কেউ আবার পুজো দেয় মন্দিরে। কার দাবী যে আসল সেই তর্কের আর মীমাংসা হয় না। পুরোহিতের দাবি মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি কবিরাজি শিখেছেন। আর পিরের দাবী, তাঁর পরদাদা বলে গিয়েছিলেন যে মায়ের মুর্তি বহু বছর আগে এই ডিহি মসজিদপুরের পাশের যে খালবিল জলা, সেখানে ভেসে উঠেছিল। এক হাকিম রাত্রিবেলা শৌচকর্ম করতে গিয়ে মা-কে তুলে আনেন, নিজের কাছে রাখেন, এবং মৃত্যুর আগে মাজারের পাশে মন্দির বানিয়ে মা-কে সেখানে প্রতিষ্ঠা করে যান। সেই কারণে রোগ নিরাময়ের কৃতিত্বটা হেকিমি দাওয়াইয়ের প্রাপ্য"।

    সন্ধ্যে হয়ে আসছিল। শাঁখের আওয়াজ ভেসে আসছিল এ বাড়ি ও বাড়ি থেকে। তুলসিতলায় প্রদীপ জ্বালাচ্ছিল বাড়ির একটি বৌ। আশেপাশের জংলী ফুল, গাছ্পালা, মৃদুমন্দ হাওয়া আর ঘেঁটু আকন্দ বুনো লেবুর গন্ধে মাটির রাস্তা ম ম করছিল। ফিরে আসবার সময়ে দেখলাম, কালীমন্দিরের টিমটিমে হলুদ বাল্বের আলোতে বসে বসে পুরোহিতমশাই ঝিমোচ্ছেন, আর ঘসঘসে গলাতে আকাশবাণী চলছে পাশের রেডিও থেকে। পিরসাহেব মাজার ঘিরে মোমবাতি বসাচ্ছিলেন, একটা এসে মন্দিরের সিঁড়িতে জ্বালিয়ে রেখে গেলেন। পুরুতমশায় ফিরে তাকালেন কী না খেয়াল করলাম না, গাড়ির ড্রাইভার বারে বারে যাত্রা শুরুর তাগাদা দিচ্ছিল।

    না, আমাদের এখানে আলাদা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা চেঁচিয়ে বলতে হয় না। এখানে কালী মুর্তির পাশে চে গুয়েভারার ফটো ঝুলিয়ে রাখে নক্সাল পুরুত। এখানে কম্পানির বিরুদ্ধে লড়তে যাবার আগে মজনু শাহ কালিমন্দিরে পুজো দিয়ে আসেন । কবিরাজ আর হাকিমের ভূতের দিনভর ঝগড়ার শেষে মাজারের একটা বাড়তি মোমবাতি অপেক্ষা করে থাকে, মন্দিরের সিঁড়িতে বসবে বলে। এখানে, মানে এই বাংলায়। এই বাংলা মনে রাখে ভবানী পাঠকের কালীর কথা। মুনশী বরকতউল্লার গল্প। দেবী গৃহবাসিনী হয়ে যান কিন্তু ভবানী পাঠক মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন। ভবানী পাঠক মরে যান কিন্তু মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে মজনু শাহ উঠে দাঁড়ান। মজনু শাহ ফিরবেন , লড়বেন এবং মরবেন । কিন্তু তাতেই তাঁর অবসান নয়। তাঁর ভূত তবুও দাপিয়ে বেড়াবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অন্দরে অন্দরে। তাঁর আরাধ্যা করাল কালী হৃৎকম্প তুলে দেবে হেস্টিংস কর্নওয়ালিশ আর তাঁদের তল্পিবাহক জগৎচাঁদ শেঠ বিড়লাদের বুকে। এবং ভবানী পাঠক, মজনু শাহ আর গণেশ ভটচাজরা লড়েই যাবেন শেষ অবধি। এমনকি শত্রু যদি উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব মণিপুর দিয়ে ঘিরে ধরে, তার পরেও।

    ১৯৪২ সালে জার্মান নাট্যকার বেরটল্ট ব্রেশট একটা নাটক লিখেছিলেন, দ্য ভিশন অফ সিমন মাসার। মজনু শাহকে যেরকম কালিমূর্তি স্বপ্নাদেশ দিয়েছিল যুদ্ধে যাবার, নাৎসি পদানত গ্রামের অতি সরল বালিকা সিমোন মাসারকে তেমনই মাঝে মাঝে দেবদূত এসে খোয়াব দেখিয়ে যেত। জোয়ান অফ আর্কের মত। তাকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করত।

    সিমোনঃ শত্রু যুদ্ধে জয়লাভ করলেও কি লড়তে হবে?
    দেবদূতঃ আজ রাত্রে কি বাতাস বইবে?
    সিমোনঃ হ্যাঁ।
    দেবদূতঃ আঙিনায় একটা গাছ আছে না?
    সিমোনঃ হ্যাঁ, পপলার গাছ।
    দেবদূতঃ বাতাসের ঝাপটায় তার পত্রমর্মর শোনা যায়?
    সিমোনঃ হ্যাঁ, স্পষ্ট শোনা যায়।
    দেবদূতঃ তাহলে শত্রু যুদ্ধ জয় করলেও লড়ে যেতে হবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ এপ্রিল ২০১৭ | ১১১৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cm | 37.62.51.37 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:৩৮59589
  • ব্রাভো অন্যের বক্তব্য বিশ্লেষণ না করে নিজেই লিখে ফেলুননা।
  • কল্লোল | 233.186.43.112 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:৩১59606
  • পিটি।
    শেষ থেকে শুরু করি। নকশালেরা খুব পন্ডিত ছিলো এমন তথ্য তুমি কোদ্দিয়ে পেলে ভাই? প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুরের বেশ কিছি মেধাবী ছাত্র নকশাল হয়ে গেছিলো। তো? প্রথমতঃ তারা নেহাৎই মেধাবী চাত্র ছিলো, পন্ডিত নয়। তাদের কেউ কেউ পরে পন্ডিত বলে মান্যতা পেয়েছে, তার সাথে তাদের নকশাল হওয়ার বিশেষ কুনো সম্পোক্কো নাই। তবে তারা তো হাজারে ব্যাজার গোছের। তাছাড়া আরও যে সব মানুষ নকশাল হয়ে গেছিলো তারা সব সাধারন মানুষ, বড়জোর ১৯৬৪সাল থেকে সিপিএম করতো।
    তাছাড় নকশালদের গোটা রাজনৈতিক ভাবনা চিন্তাই ছিলো ভুল ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি তাদের নবম কংগ্রেসে দাবী করে লেনিনের যুগ শেষ। এখন মাওয়ের যুগ। সাম্যাজ্যবাদ আজ ঝরাপাতার মত কাঁপছে। সারা পৃথিবী জুড়ে মানুষের মুক্তির লড়াই তুঙ্গে। তাই এখন লেনিনের যুগের সংগঠন, লড়াইয়ের কায়দা সব বাতিল হয়ে গেছে। অতএব সোজা গেরিলা লড়াই। এমন একটা আজগুবি তত্ত্বে ভর করে যারা বিপ্লব করতে নেমেছিলো, তাদের সততা, সাহস, ত্যাগ নিয়ে কথা না হলেও, পরিপক্কতা নিয়ে বিশাল প্রশ্নচিহ্ন ছিলোই। তাই তারা ভারতীয় মননের ধারে কাছেই যেতে পারে নি। তখনকার সিপিএম অনেক ভুলভ্রান্তি সত্ত্বেও সাধারনভাবে নকশালদের চেয়ে অনেক বেশী বাস্তবোচিত ভূমিকা নিয়েছিলো।

    কাকাবাবু, ধুতি কাখনো কাখনো পরতেন, তবে বেশীরভাগ ছবিতে সার্ট প্যান্ট পারা দেখেছি। ঘরে লুঙ্গী পরতেন বলে শুনেছি, সে তো বিমান বোস আর জ্যোতি বসুও পরতেন। নজরুল কাছা দিয়েই ধুতি পরতেন আব্বসউদ্দীন।
    কিন্তু কাছা দিয়ে ধুতি পারা কোন ধর্মের বিধান নয়। দেখাও কোন ধর্মগ্রন্থে কাছা দিয়ে ধুতি পরতে বলা হয়েছে হিন্দুদের?
    ধুতি পরার ধরন বাঙ্গালী শিক্ষিত মধ্যবিত্তের একরকম। শাড়ি পরাও তাইই। সম্ভবতঃ দুটোই ঠাকুরবাড়ির অবদান। গ্রামবাংলার গরীব মানুষ হেটো ধুতি পড়েন। উচ্চশ্রেণীর মুসলমানেরা দামী লুঙ্গী ব্যবহার করতেন। তবে সে তো মগ ও আরাকানীরাও করতো হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ নির্বিশেষে।
    কিন্তু পৈতে, পঞ্চ ক এগুলো ধর্মের বিধান। যারা এগুলো মানেন ও নিজেদের কমিউনিস্ট বা মার্ক্সবাদী বলেন তারা ভন্ডামী করেন।
  • PT | 213.110.242.21 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৬:০০59607
  • তক্ক সংক্ষিপ্ত করি।
    "কাছা দিয়ে ধুতি পরা একটি বাঙালি উচ্চ জাতের অভ্যাস।"
    অর্থাৎ কিনা জ্যোতি বসু, বুদ্ধ ভটচায ইত্যাদি প্রভৃতিরা প্রতিনিয়ত তাদের পোশাকের মাধ্যমে তাদের উচ্চ জাতের কথা মনে করিয়ে দিতেন। সেই হিসেবে তো তারাও কমুনিস্ট হওয়ার যোগ্য নন।

    "তখনকার সিপিএম অনেক ভুলভ্রান্তি সত্ত্বেও সাধারনভাবে নকশালদের চেয়ে অনেক বেশী বাস্তবোচিত ভূমিকা নিয়েছিলো।"
    যাক, তোমার আঙুল দিয়ে এই বাক্যটা বেরিয়ে ভালই হল। তখনকার সিপিএমের বাস্তববোধের মধ্যে অর্থনীতি ও রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে হরকিষেণের পাগড়ি, বুদ্ধ-জ্যোতির কাছা, এবং মুসলিম কমরেডের সন্তানদের সুন্নৎ ইত্যাদি সবই ছিল।

    "`উচ্চশ্রেণীর মুসলমানেরা দামী লুঙ্গী ব্যবহার করতেন"
    কেন তাঁরা হঠাৎ কাছা দিয়ে ধুতি পরা পরিত্যাগ করে লুঙ্গী ব্যবহার শুরু করলেন কেন?

    এবারে ওপরের প্রথম বাক্যটির সঙ্গে এই বাক্যটির একটি সংঘাত তৈরি হচ্ছে (কিংবা হচ্ছে না)। গুছিয়ে লিখলে ব্যাপারটা এইরকম দাঁড়ায়ঃ
    *********কাছা দিয়ে ধুতি পরা একটি (হিন্দু) বাঙালি উচ্চ জাতের অভ্যাস। উচ্চশ্রেণীর মুসলমানেরা দামী লুঙ্গী ব্যবহার করতেন*********
  • কল্লোল | 233.186.48.251 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:৩৫59590
  • পিটি।
    এই লেখাটায় এসব না আনলেই পারতে। যাই হোক এনেছো যখন জবাব দেবার দায়্টাও থেকেই যায়।
    যে নক্সাল মানুষটি কালি মন্দিরের পুরুৎ হয়ে গেলো, সে আর যাই হোক কোন ভান করেনি। সে তার রাজনৈতিক ব্যর্থতাকে মেনে নিয়েই কালির আশ্রয় নিয়েছে। নিজেকে কৃষি বিপ্লবের ধারক বাহক বলে ঘোষনা করে নি।
    হরবিষেন সিং ঘোষিত নাস্তিক। নিজেকে মার্ক্সবাদী বলে দাবী করেছেন। তিনি কোন ধর্মীয় আচার পালন করলে সেটা নিঃসন্দেহে স্ববিরোধিতা ও ভন্ডামী। কোই বুদ্ধবাবুর তো পৈতের দরকার হয়নি। হরকিষন যে যুক্তিতে পাগড়ী পরেন, দাড়ি রাখেন, সেই একই যুক্তিতে বুদ্ধবাবু বা তার মতন আরও অনেক ব্রাহ্মণ পদবীধারী মার্ক্সবাদী পৈতে ধারণ করতে পারতেন। আমি জানি বিকাশ ভট্টাচার্যো পৈতে ধারণ করেন না। কিন্তু যারা করে, যদি কোন ব্রাহ্মণ পদবীধারী মার্ক্সবাদী পৈতে ধারণ করেন, তাকে ভন্ড বলা ছাড়া আর কি বলা যায়?
  • PT | 213.110.242.22 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:৪৪59591
  • কল্লোলদা
    সাধারণভাবে সব শিখেরই কি ৫-ক থাকার কথা না? কিন্তু হিন্দু পৈতে ধারণ করলে ব্রাহ্মণ হয়। দুটোর মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।
    তবে বুদ্ধবাবু কোন দিন প্রকাশ্যে কাছা না দিয়ে ধুতি পরতেন না। বাঙালী মুসলমানদের কাছে সেটা একটা বিরাট বড় ইস্যু। (দয়া করে কেউ এটার সঙ্গে তামিলদের কাছা ছাড়া ধুতিকে গোলাবেন না।)

    আসলে এইসব তক্ক একেবারেই অনর্থক। এই সব ফাল্তু তক্কের ছিদ্র দিয়ে ঢুকে কালনাগেরা রাজনৈতিক পরিসর দখল করে ফেলেছে। তাদের একদল কোন আড়াল আবডাল ছাড়াই অস্ত্র হাতে নেচে বেড়াচ্ছে। তাদের আর যাই হোক ভন্ড বলা যাবে না। কিন্তু আরেকদল যাদেরকে "মাদার অব অল ভন্ডোস" বললে খুব কম বলা হয়, তারা পব-র ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। একসময়ে তুমি সেই ভ্ন্ডদের সমর্থন করেছ আর এখন তাদের সকল ভন্ডামি সামনে আসার পরেও, সুমনপন্থী হয়ে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার জন্য জমায়েতে যেতে আহ্বান জানাচ্ছ।
  • dc | 181.49.215.7 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৯:১১59592
  • ইশ কোন সে ছিদ্রপথে কালনাগেরা ঢুকে পড়লো আর বেচারা বাম্পন্থীরা কিছু করতে পারলো না। সব ব্যাটা ছাগোল মানুষদের দোষ।
  • Ekak | 52.109.164.46 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১০:৫৮59593
  • মরে যাই ,সব শিখের পন্চ ক থাকার কথা ,এদিকে বর্ণ ভেদে পৈতে থাকার কথা নয়। গুরু নানক এর নির্দেশ হয়ে গ্যলো "কথা", পরাশর-মনু কথা নয় , গ্রন্থ সাহিব হলে কথা, স্ম্রিতি,সঙ্গহিতা কথা নয় !

    এই কেষ্টা আমার পাকানো লাঠি টা দে তো রে !!!!
  • সিকি | 57.30.152.190 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১১:১৯59594
  • শিখিজম সম্বন্ধে একটু লেখাপড়া করে আসতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
  • PT | 213.110.242.22 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১১:৫০59595
  • শিখেদের নিয়ে পড়তে থাকুন। ততক্ষণে পব হনুমানদের হাতে চলে যাবে।
  • Ekak | 52.109.164.46 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১২:১২59596
  • কন্স্টিটিউশোনের অর্টিকল ২৫ হিন্দু ধর্মের অন্গ্শ হিসেবে শিখ কে ডিফাইন করে এবঙ্গ রিলিজিআস রাইটস দেয়। কাজেই এই দেশে একজন শিখের যা অধিকার একজন বর্নহিন্দু ব্রাহ্মোনের ও তাই পাওআ উচিত। পাগড়ি চল্লে পইতে ও চলবে।ক্রিপান চল্লে ভল্ল র দাবি ও উঠবে। সেক্টোরিআল দাবি কে মান্যোতা সন্গ্বিধান দিয়েছে। এবার এই নিয়ে জার ইচ্চে ত্যানা প্যন্চাবার ইচ্চে পেচাক। আর শাক্য র লেখার সঙ্গে এসব এর কোনো সম্পর্ক নেই, পিটির ঢপবজির উত্তর অন্যো কোথাও দেওআ জাবে।
  • সিকি | 57.30.158.162 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১২:১৪59597
  • একক মোটামুটি লিখে দিয়েছে, বাকি আর কিছু বলবার মত প্রবৃত্তি নেই।
  • dc | 181.49.203.139 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১২:২৩59598
  • ছি ছি ছাগোল মানুষরা পাগড়ির মাহাত্ম্য বুঝলোনা।
  • বরুণ বিশ্বাস | 192.66.104.153 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ১২:২৭59599
  • হনুমানের উপদ্রব বাড়লে চিন্তা করবেন না। সরকারের ডাইরেক্টরেট অফ মংকি ডিপোর্টেশন সদা আপনার সাথে আছে।
  • :-) | 116.208.97.224 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫০59623
  • বিভিন্ন ফেবুগ্রুপে সাবস্ক্রাইব করলেই নানা ছোটখাট নির্বাচনে বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর খবর পাবেন। ছোটছোট সোসাইটির মিটিং, তবে ঘুরছে। এখানে সে সব খবর দেবার মানে হয়না তাই দিইনা।
  • :-)) | 69.160.210.3 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৬59624
  • আশায় বাঁচে ...
  • PT | 213.110.242.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৬59609
  • "যেহেতু পশ্চিমা মুসলমানেরা লুঙ্গী ব্যবহার করতেন, আর চিরকালই এদের "সচ্চা" মুসলমান বলে ধরেন বাঙ্গালী উচ্চশ্রেণীর মুসলমানেরা তাই এই অনুকরণ।"
    পুব আর পশ্চিম বাংলা মিলিয়ে ধর্মের সঙ্গে পোশাক ও আচার এমনই মিশে গিয়েছে যে ব্যবহারিক জীবনে কোনটা করলে সেকুলার থাকা যায় বা যায় না সেটা বোঝা মুশকিল। এই নিয়ে আর তক্ক করার কোন জায়গা নেই কেননা কল্লোলদা নিজেই জানিয়ে দিচ্ছে ধর্ম আর পোশাকের সম্পর্কটা কি করে তৈরি হয়। অন্যত্রও হয়। এই যেমন কল্লোলদা আর আমি দুজনেই হিন্দু বাঙালী পরিবারের সন্তান বলেই "জল" বলি, "পানি" বলিনা।
    আমার এক মুস্লিম বন্ধু (বাবা পাকিস্থানের) জানিয়েছিলেন যে মুসলমান পুরুষের নিম্নাঙ্গের পোশাক হাঁটু না ঢাকলে সেটা অমুসলমানি!! আর শাড়িও অমুসলমানি.....কারণটা লিখতে সঙ্কোচ হচ্ছে....কল্লোলদার সঙ্গে দেখা হলে বলবখন।

    "এনারা নিজেদের উচ্চ্জাতের ভদ্রলোক বলেই দাবী করতেন।" দাবী করতেন? জ্যোতি ও বুদ্ধদেব? সত্যি?
    এর চাইতে মনগড়া মশালাদার কোন বাক্য এমনকি কল্লোদার কাছ থেকেও এর আগে শুনেছি বলে মনে পড়েনা।

    "`কিন্তু কাছা দিয়ে ধুতি পরা কোনভাবেই ধর্মীয় বিধান নয়।"
    কল্লোলদা বেদ-উপনিষাদ ইত্যাদি সব পড়েই এইসব বলছে। এ ব্যাপারে আমার পান্ডিত্য শুন্যের নীচে। তাই গুগুল জ্যেঠুর শরণাপন্ন হলাম। যেখান থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি সেটার রিলায়েবিলিটিও জানা নেই। কিন্তু বাল্যকালে ধার্মিক মানুষজনের কাছে এইরকমই কিছু একটা শুনেছিলাম বটেঃ
    The other is called ‘Pancha Kachcham'( five fold tuck in) , which is prescribed by the Sastras for House holders........
    .........The other is called ‘ Pancha Kachcham'( five fold tuck in) , which is prescribed by the Sastras for House holders(Unmarried should not wear in this style)
    It indicates that one is married.
    Panchakacha is , now a days worn by the Hindus, during functions, both for auspicious and inauspicious)
    In fact it should be worn daily.
    Panchakacha style wrapping is reported to preserve the electrical/magnetic forces in the Human Body and does not earth it,as the wrapped cloth is fully connected at all ends with no loose ends.
    Kaccha means the part of cloth that is tucked to the back, in between the legs. The Pancha Kaccha has five folds of cloth in the kaccha and the nine-yards saree, doesn’t have a fold.

    ***The kacha style of dressing (where in the saree or the dhoti is worn in the style that ultimately is similar to a pair of pants) has been made compulsory for the married lot because-
    #1 To indicate that you are married and you shouldn’t even remotely dream of having a crush on the married guy/girl
    #2 To conserve the positive sexual energy that drains out via the moolaadhaara.. Now don’t ask me why, but looks like another subtle energy source gets wasted via the moolaadhara and the Kacha helps conserve all the reproductive energy."
    https://ramanan50.wordpress.com/2012/03/13/how-to-wear-a-dhoti-indian-pancha-kacha-and-regular-style-videos/

    অথবাঃ
    In some regions, a silk dhoti is tucked at five places on the waist. These five places are the symbols of the five cosmic elements, the Absolute Earth, the Absolute Water, the Absolute Fire, the Absolute Air and the Absolute Ether. The folds of a silk dhoti are tucked at the place of the navel. With tucking of the folds of a dhoti, the five vital energies solidified at the centre of navel region are activated. They are related to the five cosmic elements. The folds tucked at the place of a navel emit the frequencies associated with the Universe and the five cosmic elements in the environment as per the need.
    https://ariseohindu.wordpress.com/2010/09/09/why-is-silk-dhoti-and-uparana-worn-on-religious-occasions/
    (কল্লোদা আবার ধরে নিও না যে এসবে আমার বিশ্বাস আছে!!)

    "তখনকার সিপিএমের বাস্তববোধের সাথে পৈতে, পঞ্চ ক, সুন্নত করার কোন সম্পোক্কো নাই।"
    একটা দল মানুষের সমর্থনে বাঁচে। তখনকার বিস্তর সিপিএম করা লোক পৈতে গায়ে, পাগড়ি বেঁধে, সুন্নৎ করিয়ে হাজারে, হাজারে, লাখে, লাখে সিপিএমকে সঙ্গ দিয়েছে বলে সিপিএম বেঁচে ছিল আর এখনো ঐ কারণেই অবশিষ্ট আছে। এরা কল্লোলদার মত পন্ডিত নয়। তাই "পঞ্চ ক, পৈতে সুন্নত এগুলো মান্য করা কমিউনিস্ট যে ভন্ড" সেটা তারা মনে করেনা।
  • কল্লোল | 233.186.218.156 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:৪৮59610
  • এরে কয় এঁড়ে তক্কো।
    যে লিংক দুটি দিয়েছো তাতে কোন সূত্র নাই। শুধু বলা আছে শাস্ত্রে এমন বলা আছে। কোন শাস্ত্র? তাও বলা নেই। এতো পঞ্জিকার ইং সংস্করণ। শেষে এসব বিজেপি মার্কা লিংকের আশ্রয় নিয়ে হলো??
    যাগ্গে ধুতি বা লুঙ্গী পড়ার কলাকৌশল কোন ধর্মের বিধান নয়। কিন্তু পৈতে বা পঞ্চ ক বা সুন্নত ধর্মের বিধান যা না মানলে হিন্দু বা শিখ বা মুসলমান হয় না। সেগুলো যারা মানে আবার নিজেদের মার্ক্সবাদী বলে তারা ভন্ডই।
    ধর্মীয় অনুসঙ্গ আর ধর্মীয় বিধান দুটি আলাদা বিষয়। কেউ পানি বলে কেউ জল তাই দিয়ে সে ধর্ম মানে কি মানে না তার বিচার হয় না। কেউ একগ্লাস পানি চাইলে তিনি যেমন মুসলমান ধর্ম মানা মানুষ হয়ে যান না, তেমনি কেউ এক গ্লাস জল চাইলে তিনিও হিন্দু ধর্ম মানা মানুষ হয়ে যান না।
    পিটি কি ভাবে জল খেতে চায় জানতে ইচ্ছে হয়।
    পিটির মতে "একটা দল মানুষের সমর্থনে বাঁচে। তখনকার বিস্তর সিপিএম করা লোক পৈতে গায়ে, পাগড়ি বেঁধে, সুন্নৎ করিয়ে হাজারে, হাজারে, লাখে, লাখে সিপিএমকে সঙ্গ দিয়েছে বলে সিপিএম বেঁচে ছিল আর এখনো ঐ কারণেই অবশিষ্ট আছে।"
    আমি মনে করি উল্টোটা। ঐসব মানুষদের সমর্থন থাকে সুখের সময়, বিপদের দিনে তারাই পাল্টি খায়। আজ যেমন খেয়েছে।
    একটা ছোট্ট উদাহরণ। আগে পাড়ায় পাড়ায় গণশক্তি সাঁটা থাকতো, আজ যেমন জাগো বাংলা থাকে। এখন বলবে তিনোরা লাগাতে দেয় না, লাগালে ছিঁড়ে ফেলে। কিন্তু এটা একেবারে অবিমিশ্র সত্য নয়। আমি রোজ সকালে হাঁটতে গিয়ে দেখি লেক গার্ডেন্সের লেভেল ক্রসিং এর কাছে একজন মানুষ রোজ গণ শক্তি লাগান পরম মমতায়। ওনাকে দেখে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে। উনি হয়তো সামান্য একজন কর্মী, ওখানেই চায়ের দোকানে প্রায়ই আড্ডা মারতে দেখি। এই মানুষগুলোই একটা বাম দলকে বাঁচিয়ে রাখেন - ঐ সুখের দিনের টিকি-দাড়ি-পৈতে-সুন্নতওয়ালারা নয়।
  • PT | 213.110.242.23 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৬:০৮59611
  • এঁড়ে তক্ক তুমিও চালাচ্ছ কল্লোলদা। শাস্ত্রে লেখা নেই এটাও তুমি কোন সূত্র থেকে বলছ সেটা জানাও নি।
    আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে পুজো-পাঠের সঙ্গে কাছা ইত্যাদির বিস্তর ও নিবিড় সম্পর্ক আছে।

    "ধর্মীয় অনুসঙ্গ আর ধর্মীয় বিধান দুটি আলাদা বিষয়।"
    যাক কল্লোলদার খুঁটি নড়েছে। ঈশ্বরবাবু কাউকে কি করে ডেকে বলেন যে তাঁর অনুগামীরা পাগড়ি বাঁধবে না ল্যাঙট জড়িয়ে থাকবে? সুন্নতের শুরু কি ইসলামের হাত ধরে নাকি যেখানে ইসলামের শুরু সেখানে ঐ সামাজিক প্রথা বহু আগে থেকেই চালু ছিল?

    "লেভেল ক্রসিং এর কাছে একজন মানুষ রোজ গণশক্তি লাগান পরম মমতায়। ওনাকে দেখে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে। উনি হয়তো সামান্য একজন কর্মী, ওখানেই চায়ের দোকানে প্রায়ই আড্ডা মারতে দেখি।"
    ওঁকে জিগিয়ে দেখোঃ
    দুগ্গোপুজোয় সন্তানের জন্যে নতুন জামা কেনেন কিনা......
    ব্রাহ্মণ হলে ছেলের পৈতে দিয়েছেন কিনা.........
    শাস্ত্রাচার মেনে জাত মিলিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন কিনা......
    মহরমে অংশ নেন কিনা.....
    ছেলের সুন্নৎ করিয়েছেন কিনা.....
    বেশীর ভাগ উত্তরেই তিনি "হ্যাঁ" বলবেন বোধহয়। তারপরে তাঁকে ভণ্ড বলে এস, কেমন?

    আমার কাজের দিদি, যে কিনা সততই "সিপিএমে ছাড়া কাউরে ভোট দিবনি" বলে, আজকে নীলের উপোস করে শিবের মাথায় জল ঢেলে এসেছে। তাকে আজ বিকেলে আমি জানাব যে সে একজন "ভ্ন্ড"!!
  • কল্লোল | 233.186.12.21 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:১০59612
  • পিটি। সুন্নতের শুরু ইসলামে নয়। ইহুদীরাও সুন্নত করায়। কিন্তু ইসলামে ও ইহুদী ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী সুন্নত না করালে সেই পুরুষ ইহুদী বা মুসলমান বলে মান্য হবেন না। ঠিক যেমন হিন্দু ব্রাহ্মণ পুরুষের পৈতে না হলে সে হিন্দু ব্রাহ্মণ বলে মান্য হয় না। তেমনই পঞ্চ ক ধারন না করলে সে শিখ হিসাবে মান্য হয় না।
    হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে ধুতু পরা নিয়ে বিধান নাই। থাকলে দক্ষিন ভারতীয় হিন্দুরাও ওভাবেই ধুতি পরতো। কিন্তু উপনয়ন সারা ভারতের হিন্দু ব্রাহ্মণদেরই হয়। কোন ব্যাতয় নাই।
    জল-পানি, কাছা দিয়ে বা কাছা ছাড়া এগুলো ধর্মীয় বিধান নয়, বড়জোর অনুসঙ্গ, তাও অনেকক্ষেত্রে আঞ্চলিক আচারও বটে।
    তাই পৈতে-পঞ্চ ক-সুন্নত মানলে সে মার্কসবাদী হয় না। সেটা দাবী করলে সে ভন্ড।
    সিপিএমকে ভোট দিলে সে মার্কসবাদী হয়ে যায় - এরকম যুক্তি সিপিএমদের কাছেই আশা করা যায়।
    আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে বহু বহু মার্কসবাদী দেখেছি নানা রংএর। তাদের অনেকেই কোন ধর্মীয় আচার মানেন না। ধর্মীয় আচার মেনে বিয়ে-শ্রাদ্ধ-অন্নপ্রাশন কোনটাই করেন নি। একজনকে ভালোভাবে জানি। তার নাম বিকাশ ভট্টাচার্য। আবার অনেকে মানেন। নিজের বিয়ে করেছেন আচার না মেনে। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন আচার মেনে। সেক্ষেত্রে মেয়ের ইচ্ছের ব্যাপার ছিলো। নিজে সেই বিয়েতে কোন ধর্মীয় আচারের সাথে থাকেন নি।
    কিন্তু যারা নিজেদের মার্কসবাদী বলেন ও ধর্মীয় বিধান পালন করেন, তারা ভন্ডই।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:১৭59625
  • একেবারে যাকে বলে কাছাখোলা চাঁছাছোলা অবস্থা। ঃ-)
  • PT | 213.110.242.6 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:২০59613
  • "হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে ধুতু পরা নিয়ে বিধান নাই। "
    আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এই ব্যাপারে তুমি কিস্যু জাননা।

    "জল-পানি, কাছা দিয়ে বা কাছা ছাড়া এগুলো ধর্মীয় বিধান নয়, বড়জোর অনুসঙ্গ, তাও অনেকক্ষেত্রে আঞ্চলিক আচারও বটে।"
    এট মেনে নিলে কোন তক্কও থাকে না আর। ঐজন্যেই সেকুলর পাগড়ি ও কাছা সম্ভ্বব।

    "মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন আচার মেনে। সেক্ষেত্রে মেয়ের ইচ্ছের ব্যাপার ছিলো। নিজে সেই বিয়েতে কোন ধর্মীয় আচারের সাথে থাকেন নি।"
    এটা আরেকজনের চোখে ভ্ণ্ডামি লাগতে পারে!!

    According to the CDC, roughly 80% of American men are circumcised.
    একজন মুসলমান কমরেড সন্তানের সুন্নৎ করিয়ে দাবী করতেই পারেন যে সিটি সেকুলার সুন্নৎ।

    তোমাকে কোনদিন এইধরণের এঁড়ে ও ভুলভাল তক্ক করতে দেখিনি এর আগে।
  • সিকি | 233.176.191.41 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:২৭59614
  • অসম্ভব বিরক্তিকর।

    শোনেন, শিখ হওয়া সত্ত্বেও পঞ্চ ক ধারণ না করলেও চলে। এমনকি পঞ্চ ক ধারণ করা শিখের ছানাও ওগুলো ধারণ না করতে পারে, এবং তার পরেও শিখ থাকে।

    ন্যান, আবার টুইডল ডি টুইডল ডাম শুরু করেন।
  • সিকি | 233.176.191.41 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:২৯59615
  • ওটা ব্যাপটিজম যার মাধ্যমে একজন শিখ , সর্দার হয়। যেমন বামুনের বাচ্চাও পৈতে না হলেও বামুনই থাকে। পৈতে হলে দ্বিজ হয়।
  • PT | 213.110.242.20 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:৫৯59616
  • এই যুক্তিতে কেউ কিছু না করলেও, হিঁদুর ব্যাটা হিঁদু ও মোছোলমানের ব্যাটা মোছলমান থাকে। সেকুলারিসমে বিশ্বাস কিংবা ধর্মে অবিশ্বাস একটি ব্যক্তিগত অবস্থান মাত্র। দুগ্গোপূজোতে নতুন জামা পরে দুগ্গাঠাকুর দেখে বেড়ালেই কেউ ধর্মবিশ্বাসী হয়ে যায় না।
  • dc | 132.164.50.135 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৯:২৮59617
  • আর দুর্গাপুজোতে স্টল খুলে মার্ক্সবাদী সাহিত্য বিক্রি করেও বামপন্থায় অবিচল থাকা যায়।
  • কল্লোল | 233.186.21.194 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ১০:২৭59618
  • পঞ্চ ক ও পৈতে থেকে বিষয়টা পাগড়ী ও কাছায় এসে ঠেকেছে। কাছা ও পাগড়ী কোন ধার্মের বিধান নয়। এমনকি শিখেদের পাগড়ী পঞ্চ ক এর মধ্যে পড়ে না।
    কাছা দিয়ে ধুতি পড়া কোন শাস্ত্রে আছে জানালে আলোকিত হতাম। শুধুই শাস্ত্রে আছে বল্লে ব্যাপারটা ঠগবাজ জ্যোতিষিদের মতো হয়ে যায়।
  • T | 229.75.11.86 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ১১:১১59619
  • এই পরস্পরের কাছা নিয়ে টানাটানি করে যান আপনারা। ওদিকে শত্রুরা মহানন্দে ম্যাচ জিতছে।
  • কাঁথি | 59.203.248.5 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ১১:৫২59620
  • কিন্তু সেদিন যে শুনলাম বামেরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে,পার্টি অফিস গুলো আগেরমতো কলরবমুখর !
  • dc | 132.164.50.135 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ১১:৫৩59621
  • অ্যাই ওপরের পোস্টটা কিন্তু আমি করিনি :d
  • T | 229.75.11.86 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ১২:০৪59622
  • যা দেখেছি, তার ভিত্তিতেই বলেছি। কানগুলো আরো খাড়া করে শুনতে থাকুন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন