এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অনিশ্চিত

    Tathagata Dasmjumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ জুন ২০১৬ | ৭৯৭০ বার পঠিত
  • কার্যকারণ সম্পর্ক জিনিসটা বেশ মজার। ধোঁয়া দেখলেই আমরা আগুনের অস্তিত্ব বুঝি, ভোরে উঠে রাস্তাঘাট ভিজে দেখলে আমরা আগের রাতের বৃষ্টি হয়েছিল কিনা মনে করার চেষ্টা করি, এ সবই কার্যকারণ সম্পর্কেরই খেলা। এবারে হয়েছে কি যে এই কার্যকারণ সম্পর্কের আইডিয়াটাকে আরেকটু বিস্তৃত করে যদি পদার্থবিদ্যার আঙ্গিনায় নিয়ে আসা যায়, তাহলে কি হবে? লাপ্লাস (যাঁর আবিষ্কৃত নানান সুত্র ও আঙ্কিক পদ্ধতি ছাত্রজীবনে অনেক অসুবিধার সৃষ্টি করেছে) ঠিক এই কাজটাই করলেন, মোদ্যা কথায় তিনি যা বললেন, তা হল এই, সকল বস্তু ও জীব আদতে পরমাণু (তখনও ধারণা ছিল যে পরমাণু অবিভাজ্য) দিয়ে তৈরী, এবারে যদি কোন দৈত্যের পক্ষে প্রতিটি পরমাণুর অবস্থান, গতি, ভরবেগ জানা থাকে তাহলে দৈত্যটি তার কম্পিউটারসম মস্তিষ্কে নিউটনের বলবিদ্যার সূত্র, মহাকর্ষ আর তড়িথচুম্বকীয় বলের প্রভাবকে গণনা করে যেকোন সময় পরে বিশ্বব্রহ্মান্ডের সকল পরমাণুর অবস্থান জানা যাবে। মানে আপনার আঙুলের নখের আগায় কেরাটিনের অণুর কার্বন পরমাণুটা আজ থেকে কুড়ি কোটি বছর পরে কোথায় থাকবে সেটা ঠিকঠাক করে প্রচুর অঙ্ক কষলে (যেটা কোন দৈত্যই পারবে) বের করে ফেলা যাবে। প্রারম্ভিক অবস্থা জানা থাকলে পরবর্তীকালের সকল ঘটনাবলীর ভবিষ্যতবাণী (অবশ্যই যুক্তির সাহায্যে) করতে পারাকেই গোদাভাবে বলা হয় ডিটারমিনিজম। এবারে পশ্চিমী দর্শনে ফ্রি উইলের ধারণাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ (বাইবেল থেকে এসেছে) এখন যদি সব পরমাণুর গতিপথ আগে থেকেই বলে দেওয়া যায়, সমস্ত মানুষের পরবর্তী পদক্ষেপও আগে থেকেই বলে দেওয়া যাবে তাহলে, ফ্রি উইলের কোন যায়গাই থাকলনা।
    ব্যাপারটা আরেকটু সহজে ব্যাখ্যা করা যাক ধরা যাক, দুটো কাদার তাল পরস্পরের দিকে ছোঁড়া হল, তাহলে কি হবে? মূলত তিনটি ঘটনা ঘটতে পারে,
    এক:-পাথরদুটো ধাক্কা লেগে হয় অনেকগুলো টুকরো হযে যাবে,
    দুই:- চটচটে হলে দুটো একসাথে জুড়ে
    গিয়ে নতুন গতিপথে যাবে
    তিন:- তারা পরস্পরের সাথে ধাক্কা খেয়ে দুদিকে ছিটকে যাবে।
    এবারে কাদার তালদুটোর চরিত্রট আগে থেকে জানা থাকলে কোন সম্ভাবনাটা বাস্তবায়িত হবে বোঝা যাবে আগে থেকেই। বিশ্বব্রহ্মান্ডের সকল অণু-পরমানুর বিক্রিয়া মাত্রেই যেহেতু এই, তাহলে আপনি কাল কি করবেন, কি খাবেন, দশবছর বাদে আপনি সিইও হবেন কিনা সব অঙ্ক কষে বের করে দেওয়া যাবে যদি যথেষ্ট শক্তিশালী একটি গণকের সন্ধান পাওয়া যায় (দৈত্য)। অর্থাৎ সৃষ্টির আদিকাল থেকেই সবকিছুই আসলে নির্দিষ্ট হয়ে আছে, আপনি আজ দুপুরে লোভে পড়ে দুটো সিঙাড়া খাবেন থেকে পাঁচবছর বাদে স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জে ভূমিকম্প হবে, সবকিছুই পূর্বনির্ধারিত।

    উনবিংশ শতাব্দী ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে এই ডিটারমিনিজম পদার্থবিদ্যার জগতে বেশ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু, বিংশ শতাব্দী সেই ধারণা বিরাট আঘাত হানল। বিজ্ঞানজগতে সেই সময়টাই ওলটপালটের, তার কিছু বছর আগেই বিশেষ ও সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এনেছেন আইনস্টাইন, তাতে দেখা যাচ্ছে যে স্হান ও সময় এদিটো জিনিস মোটেই স্থির নয়, তাদের সংকোচন প্রসারণ আছে, বক্রতা আছে, ভর এবং গতিবেগ স্থান ও কালকে প্রভাবিত করে। সেই সাথে এল কোয়ান্টাম মেকানিক্স, ক্ষুদ্রতম পদার্থ এবং শক্তিকণাদের ধর্ম নিয়ে যা চর্চা করে, এই দুই ধারাই পরবর্তী একশো বছরের পদার্থবিদ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
    কৃষ্ণবস্তুর বিকিরণের বর্ণালীর ব্যাখ্যার জন্য ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক কোয়ান্টা বা প্যাকেটের ধারণা নিয়ে এসেছিলেন। কিসের প্যাকেট? প্লাস্টিকের না, শক্তির। যেকোন সোর্স থেকে যখন আলো বেরোয়, সেটা আমাদের চোখে কন্টিনিউয়াস হলেও আসলে তা বেরোয় বিচ্ছিন্নভাবে, একটা কণা বেরোল, চারপরে আরেকটা কণা বেরোল, এভাবেই চলতে থাকে। প্রতিটি কণা একটি নির্দিস্ট পরিমাণ শক্তি নিয়ে বেরোয় যা তার কম্পাঙ্কের সাথে সমানুপাতিক। এই কণাই হল শক্তির প্যাকেট বা কোয়ান্টা। পরবর্তিকালে আইনস্টাইন এই কোয়ান্টার ধারণা নিয়েই আবিস্কার করেন ফোটো ইলেকট্রিক এফেক্ট যার জন্য পরবর্তিকালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান (আশ্চর্যজনক হলেও আইনস্টাইন আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জন্য নোবেল পাননি কিন্তু)। তারপর নীলস বোর কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে আরো কয়েকধাপ এগিয়ে দিলেন পরমাণুর গঠন বর্ননা করে (এব্যাপারে অন্য লেখায় বলব কোনদিন)। তারপর নামল ঢল, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভুতুড়ে ব্যাপারস্যাপার বাস্তবতা সম্পর্কে মানুষের ধারণাটাই পালটে দিল চিরকালের মত।
    ১৯২৩ সালে ল্যুই ডি ব্রগলী বললেন যে আলোর মত যেকোন পদার্থকণাই একাধারে কণা ও তরঙ্গ। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার করে নেওয়া ভাল, আমরা তরঙ্গ বলতে যেরকম বুঝি, যেমন ধরা যাক জলে ঢিল ফেললে ঢেউ ওঠে, এটা ঠিক সেরকম তরঙ্গ নয় কিন্তু। এখানে কি হচ্ছে, ত্রিমাত্রিক জগতে জলের অণুগুলোর গতিবেগ ও দিক একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণে পরিবর্তিত হচ্ছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের তরঙ্গ কিন্তু সেরকম নয়, কিছু ডাইমেনশনবিহীন জটিল সংখ্যার মান একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর তিনের বেশি মাত্রার জগতে ( যেটি একটি আঙ্কিক প্রকল্প ) পরিবর্তিত হচ্ছে। বলা যেতে পারে এটি একটি সম্ভাব্যতার বা প্রোবাবিলিটির তরঙ্গ। তার মানে কি এই তরঙ্গের আসলে অস্তিত্ত্ব নেই? আছে, পরীক্ষার মাধ্যমে সেটা প্রমাণও করা যায়। আলোকে তরঙ্গ হিসেবে প্রমাণ করার জন্য ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্টের কথা আমরা স্কুলেই পড়েছি। বিরাট কিছুনা, একটা কার্ডবোর্ডের গায়ে কিছু দূরত্বে যদি দুটো লম্বা ফুটো বা স্লিট বানানো যায়, তাহলে কার্ডবোর্ডের উল্টোদিকের দেওয়ালে আলো অন্ধকারের একটা নকশা তৈরি হয় যেখানে আলো আর অন্ধকারের ব্যান্ড পরপর দেখা যায়। এখানে যেটা হচ্ছে আলো দুটো স্লিটের মধ্যে দিয়ে যাবার পরে দুটো ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে, সেই দুটো ভাগ যখন পরস্পর মিলিত হচ্ছে তখন তরঙ্গের শিখরগুলো যেখানে যেখানে সমাপতিত হচ্ছে সেৃানে সেখানে আলোর ব্যান্ড আর যেখানে যেখানে আলোকতরঙ্গের শিখর আর উপত্যাকা সমাপতিত হচ্ছে, সেখানে হচ্ছে অন্ধকারের ব্যান্ড (সাথের ছবিগুলো দেখলে আরেকটু বোঝা যাবে। ১৯২৭ সালে বেল ল্যাবসে ইলেকট্রন কণাদেরকে দিয়ে একই পরীক্ষা করতেও এরকম ব্যান্ডই পাওয়া গেল ( কার্ডবোর্ডের বদলে অবশ্য নিকেলের কেলাস ব্যবহৃত হয়েছিল), অর্থাৎ পদার্থকণারও তরঙ্গধর্ম আছে। সেই তরঙ্গধর্মের আঙ্কিক ব্যাখ্যা যতই অ্যাবস্ট্রাক্ট হোকনা কেন, রিয়েল ওয়ার্ল্ডে সেটা প্রমাণ করা সম্ভব, আর পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণ না হলে কিন্তু বিজ্ঞানের কোন তত্ত্বই দাঁড়ায় না। যাই হোক ফিরে এবারে ফিরে আসা যাক ডিটারমিনিজমে।
    ১৯২৫ সালে এক অর্বাচীন স্বর্ণকেশী জার্মান যুবক পুরোন কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে সরিয়ে নিয়ে আসেন ম্যাট্রিক্স মেকানিক্সের ধারণা। এর আগে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ধারণাটা চলত মূলত দুটি জিনিসের ওপর ভিত্তি করে,
    এক) সমস্ত গতি আসলে কোয়ান্টাইজড
    দুই) ক্লাসিকাল মেকানিক্সের সকল সূত্র মেনে চলে কোয়ান্টারা, কিন্তু কিছু কিছু পথে কোয়ান্টারা যেতে পারেনা।
    নীলস বোর ও আর্নল্ড সমারফিল্ড এই ওল্ড কোয়ান্টাম থিওরীর প্রবর্তক বলা যায়। কিন্তু কাঁরাও জানতেন যে এই ধারণাটি অসম্পূর্ণ, কিন্তু তখন এর চেয়ে ভাল উপায় আর ছিলনা।
    অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করল ১৯২৫ সাল থেকে। সেই জার্মান স্বর্ণকেশী যুবক ক্লাসিকাল মেকানিক্সের গতির ধারণাটাকেই বাতিল করলেন। পরমাণু , ইলেকট্রন এগুলোর গতিপথ ক্লাসিকাল মেকানিক্সের কথামত নির্দিষ্ট গতিপথ মেনে চলেনা, বরং তাদের গতিপথ যেন অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকে, যেন সেই জায়গাটার পুরোটা জুড়েই সেই কণাটি চলছে। ব্যাপারটা এরকম, ধরা যাক একটি ইলেকট্রন একটি ক্রিকেট বল, একটি ঘরের একদিক থেকে আপনি সেটা ছুঁড়লেন, এবারে আমাদের সাধারণ বুদ্ধি কি বলে? আপনি বলটার গতিপথ বরাবর একটা লাইন টানতে পারবেন, তাইতো? কিন্তু ক্রিকেট বলটা যেহেতু ইলেকট্রন, তাই বলটা যেন একটা বড়সড় যায়গার পুরোটা দিয়ে যাবে, আপনি একটা লাইন টেনে বলতেই পারবেননা, যে এই দেখ, এটা ইলেকট্রনের গতিপথ। যেন একটা মেঘ, সেই মেঘটা পুরোটাই ইলেক্ট্রনের সম্ভাব্য গতিপথ। বলটা / ইলেকট্রনটা ছোঁড়া এবং তার শেষ অবস্থানের মধ্যে সেটা কোন সময়ে ঠিক কোন জায়গায় ছিল এবং সেসময়ে তার গতিবেগ কত ছিল এদুটোর একটাও নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। স্বর্ণকেশী জার্মান যুবক এর থেকে আরো একটি সিদ্ধান্তে আসেন, এই যে অনিশ্চয়তা, এটা যেকোন মৌলিক কণার অন্যতম বৈশিষ্ট্য, পদার্থকণার তরঙ্গরূপই এই অনিশ্চয়তার জন্ম দেয়। কোণ পদার্থকণারই বা আলোকের কণারই ভরবেগ ও অবস্থান একসাথে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।
    ব্যাপারটা একটু সহজভাবে বোঝানো যাক। সেই স্বর্ণকেশী যুবকই এই এক্সপেরিমেন্টটার কথা বলে গেছেন। ধরা যাক একটি ইলেকট্রনের অবস্থান ও ভরবেগ জানার জন্য একটি ফোটন কণা ছোঁড়া হল, এবারে ফোটনটি যদি উচ্চশক্তিযুক্ত (উচ্চ কমেপাঙ্কের) হয়, তাহলে ফোটনটি ইলেকট্রনে ধাক্কা দিয়ে ফেরত আসার পর সেটির অবস্থান বিচার করে ইলেকট্রনের অবস্থান নির্দিষ্টভাবে জানা সম্ৰব, কিন্তু মুশকিল হল, উচ্চশক্তির ফোটন ইলেক্ট্রনে ধাক্কা খেয়ে ফেরত আসার সময় তার ভরবেগের কিছুটা অংশ তো ইলেকট্রনকে দিয়ে আসবে, তাহলে ভরবেগ তো একেবারেই মাপা যাবেনা, কারণ তা পরিবর্তিত হয়ে গেছে। আবার ফোটনটি যদি কম শক্তিসম্পন্ন হয় তাহলে সেটা ইল্ক্ট্রনের ভরবেগকে পরিবর্তিত করবেনা সেরকমভাবে, তাই ভরবেগ মাপা গেলেও ফোটনটি এমনভাবে স্ক্যাটারড হবে যে অবস্থান জানা সম্ভব হবেনা। অর্থাৎ মৌলিককণাগুলির অবস্থান ও গতিবেগ দুটোর একসাথে জানা সম্ভবই নয়। অনেকেই এখন বলবেন যে এটা তো আমরা ফোটন বা আলো দিয়ে ইলেকট্রনটাকে দেখছি বলেই এই অনিশ্চয়তার জন্ম। তা আসলে নয়, আমরা না দেখলেও ইলেক্ট্রনটির ভরবেগ ও অবস্থান একসাথে নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব নয়, কোনরকম মৌলিক কণার ক্ষেত্রেই তা সম্ভব নয়। কোয়ান্টাম বিশ্বের মৌলিক ধর্মই হল এই অনিশ্চয়তা। এর থেকে যেটা বেরিয়ে আসছে যে ল্যাপ্লাসের সেই দৈত্যর পক্ষে কোনভাবেই মহাবিশ্বের সব কণার অবস্থান ও গতিবেগ নির্দিষ্টভাবে জানা সম্ভব নয়, তাই তার পক্ষে কিছু সময় পরে মহাবিশ্বের অবস্থা কি হবে সেটাও বলা সম্ভব নয়। কোন গণকই বলতে পারবেনা যে আপনি আজ ফুটপাথের সিঙ্গারা খাচ্ছেন, কিন্তু পাঁচবছর পরে আপনি অ্যাপেলের সিইও হবেন কিনা কেউ বলতে পারবেনা, বিশ্বব্রহ্মান্ডের মৌলিক অনিশ্চয়তা সেরকম কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতেই দেবেনা। ল্যাপ্লাসকৃত ডিটারমিনিজমের মৃত্যু ঘটল সেই স্বর্ণকেশী জার্মান যুবক হাইজেনবার্গের হাতে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ জুন ২০১৬ | ৭৯৭০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ভুল - Tathagata Dasmjumder
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • কল্লোল | 125.242.162.41 (*) | ২১ জুন ২০১৬ ০২:০১55126
  • অসাধারণ। শেষ অনুচ্ছেদটির জবাব নেই। অনিশ্চয়তার তত্ত্ব আর একবারই এতো সহজভাবে বর্ণিত হতে দেখেছি। হ্যাঁ, শুধু শুনিনি, দেখেওছি।
    নাটক কোপেনহেগেন। নাট্যকার মাইকেল ফ্রেন।
    নীলস বোর, মার্গারিটা আর হাইজেনবার্গের মধ্যে দেখা হচ্ছে ওরা মারা যাবার পর। নানান কথা, তর্ক ও প্রশ্ন উঠে আসছে। তর্ক হচ্ছে ইলেকট্রনের গতিপথ নির্ধারণ করা নিয়ে। হাইজেনবার্গ বোরকে বলছেন - তুমি ভবছো যে তুমি ইলেকট্রনের গতিপথ নির্ধারণ করতে পারছো। আসলে তুমি তা পারছো না। এরপর হাইজেনবার্গ একটা উপমা টানেন। বোরকে বলেন - ধরো তুমি ইউরোপ ঘুরতে বেরিয়েছো। মাদ্রিদ থেকে রোম থেকে বন থেকে বার্লিন থেকে মস্কো থেকে হেলসিঙ্কি থেকে অসলো হয়ে কোপেনহেগেন। প্রত্যক জায়গায় পৌঁছে তুমি মার্গারিটাকে ফোন করে জানাচ্ছো তুমি অমুক জায়গায় পৌঁছেছো। মার্গারিটা ভাবছে যে সে তোমার্ব গতিপথ নির্ধারণ করতে পারছে। এবং সে ভাবছে সরলরেখায় মাদ্রিদ-রোম-বন-বার্লিন-মস্কো-হেলসিঙ্কি-অসলো-কোপেনহেগেন। কিন্তু তুমি যে মাদ্রিদ থেকে রোম এলে পথে নানান চড়াই উতড়াই বাঁক ছিলো, তার খবর মার্গারিটার কাছে নেই। কাজেই মার্গারিটা ভাবছে যে সে তোমার গতিপথ নির্ধারণ করতে পারছে, কিন্তু আসলে সে পারছে না।
    হয়তো বেশ কিছুটা সরলীকরণ। কিন্তু তাহলেও একটা নাটকে আর কিভাবেই বা বলা যেতো বিষয়টি। কিন্তু নাট্যকার এখানেই ছেড়ে দেন নি। উনি ইলেকট্রন ফোটনের ধাক্কা লাগা, ফলতঃ ইলেকট্রনের গতি, অবস্থান ও ভর পাল্টানো এসবই এনেছেন ঠিক তারপরেই। যাতে বিষয়টি একেবারে তরলীকৃত হয়ে না যায়। অসাধারণ নাটক। ব্যাঙ্গালোরে মাঝেমাঝেই হয়। এই ৪ ডিসেম্বরে কলকাতায় জ্ঞানমঞ্চে অভিনিত হবে।
  • কল্লোল | 125.242.162.41 (*) | ২১ জুন ২০১৬ ০২:১৭55127
  • একটা কথা তথাগতকে বলা হলো না। বড়ো আরাম হচ্ছে লেখাগুলো পড়ে। ব্যক্তিগতভাবে জীবনের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এরকম একটা মানসিক স্থিতিতে তথাগতর এই লেখাগুলো বড় আরাম দিচ্ছে।
    ধন্যবাদ তথাগত।
  • Tathagata Dasmjumder | 233.191.55.155 (*) | ২১ জুন ২০১৬ ০২:২৪55128
  • ধন্যবাদ কল্লোলবাবু, ডিসেম্বরে নাটকটা দেখার চেষ্টা করব
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২১ জুন ২০১৬ ০৩:৩৪55129
  • " ক্লাসিকাল মেকানিক্সের সকল সূত্র মেনে চলে কোয়ান্টারা, কিন্তু কিছু কিছু পথে কোয়ান্টারা যেতে পারেনা।" এই জায়গাটা ভুল লেখা হয়েছে মনে হয় ... বোরের কোরেস্পন্ডেন্স প্রিন্সিপল এমন কথা বলেনি, বলতেও পারেনা... কারণ হাইড্রোজেন অ্যাটম এর স্ট্রাকচার সম্পর্কে যা জানা ছিল, যা বস্তুত বোরের নিজেরই কাজ... বোর postulates, তাইতেই explicitly বলা যে শুধু যে কিছু কক্ষপথে ইলেকট্রন শুধু যেতে পারেনা তাই ই নয়... যেগুলোয় থাকতে পারে সেগুলোতেও যখন থাকে তখন একটি ক্লাসিকাল চার্জড কণা ত্বরণ থাকলে যে তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ করত তাও করে না...

    যদিও ওইখানটায় কোয়ান্টা বলতে কি বোঝানো হয়েছে সেটা পরিষ্কার নয়...

    আর "এক) সমস্ত গতি আসলে কোয়ান্টাইজড" টা মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই ভুল লেখা হয়েছে কিছু একটা... এনার্জি কোয়ান্টাইজড...
    গতি কোয়ান্টাইজড কথাটার আদৌ মানে কি সেই সংক্রান্ত অ্যাম্বিগুইটি ছাড়াও এমন কথা বোর বা সমারফিল্ড নিশ্চিতভাবেই বলেননি... অ্যাটমে বদ্ধ ইলেকট্রন ( bound state ) এর ক্ষেত্রে কক্ষপথের রেডিয়াস ও সেই কক্ষপথে ইলেকট্রনের এনার্জি ও ইলেকট্রনের সেই কক্ষপথে দ্রুতি... এই দুইয়েরই নির্দিষ্ট সম্পর্ক আছে ( যা যেকোন ক্লাসিকাল central force motion এর ক্ষেত্রেই সত্যি... পৃথিবী-সুর্যের ক্ষেত্রেও ), তাই এনার্জি লেভেল কোয়ান্টাইজড হলে bound state এ ইলেকট্রনের গতি ও কিছু discrete value হতে পারে মাত্র... তার অনুসিদ্ধান্ত " সমস্ত গতি আসলে কোয়ান্টাইজড" নয়।
  • Tathagata Dasmjumder | 120.227.92.241 (*) | ২১ জুন ২০১৬ ০৪:০৮55130
  • আসলে আমি এখানে কোয়ান্টাইজড বলতে ডিসক্রিট ভ্যালুগুলোকে বলেছি, অতিসরলীকৃত করতে গিয়েই সমস্যাটা হয়েছে।
  • তখাগত | 233.191.55.155 (*) | ২১ জুন ২০১৬ ০৪:১০55131
  • আরেকটু ডিটেলিং করতে হবে
  • dc | 132.174.111.196 (*) | ২১ জুন ২০১৬ ০৪:২৭55132
  • লাপ্লাসের দৈত্যটা হাইজেনবার্গের হাতে মারা পড়লেও, তার আগে লর্ড কেলভিনের হাতে ভালোমতন জখম হয়েছিল কিন্তু (সেকেন্ড ল অফ থার্মোডায়্নামিক্স)।
  • abcd | 233.223.151.253 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৩:২৪55133
  • @তথাগতবাবু, আপনি কি বলতে চাইছেন হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সূত্রই সমাজের বিভিন্ন বিষয়কেও ব্যাখ্যা ট্যাখ্যা করে দিচ্ছে (মানে ওই সোসাইটির মধ্যেকার ডিটারমিনিজম আদৌ আছে কি নেই এই ধরনের প্রশ্নে), মাইক্রোস্কোপিক ওয়ার্ল্ডের আনসার্টেনিটিকে আবিষ্কার করার পাশাপাশি? তাহলে, হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সূত্র অ্যাপ্লাই করে কিভাবে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে "আপনি আজ ফুটপাথের সিঙ্গারা খাচ্ছেন, কিন্তু পাঁচবছর পরে আপনি অ্যাপেলের সিইও হবেন কিনা কেউ বলতে পারবেনা", এটা একটু ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়।
  • dc | 132.174.115.207 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৫:৩৮55134
  • abcd, লাপ্লাসের দৈত্য, মানে পিওর ডিটারামিনিজম এর মৃত্যু হলেও ফ্রি উইল বনাম ডিটারমিনিজম এর তর্ক কিন্তু ফুরিয়ে যায়নি। এমনকি মানুষের যে কোন অ্যাকশন বা ওভারল স্বভাব (human nature) কতটা ডিটারমিনিস্টিক, কতটা এনভায়রনমেন্টের দ্বারা প্রভাবিত আর কতটা পিওরলি র‌্যান্ডম সে নিয়ে সাইকোলজিস্ট আর নিউরোলজিস্ট দের মধ্যে জোরদার তর্ক চলছে। বহু নিউরোলজিস্ট মনে করেন ফ্রি উইল স্রেফ একটা ইলিউশান, যেটা মানুষের ব্রেনই নিজের জন্য বানিয়েছে। আবার রজার পেনরোজ মনে করেন হিউম্যান কনশাসনেস বা ফ্র উইল এর উদ্ভব ব্রেনের মাইক্রোটিউবুলের মধ্যে ওয়েভ ফাংশান সুপারপোজিশানের মাধ্যমে (Orch-OR) মাধ্যমে, অদিও এটা অতি বিতর্কিত। যাই হোক, এই ডিবেট সমানে চলছে।

    আপাতত বিস্তারিত লেখার সময় নেই, কিন্তু এই বিতর্ক নিয়ে আরও লেখা হলে আমিও পড়ে উপকৃত হতে পারি।
  • দ্রি | 195.100.84.108 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৬:২৬55136
  • এই লেখাটা পড়ে মনে হল কোয়ান্টাম মেকানিকসের ক্লাসে গিয়ে বসি।

    কিন্তু আমারও হযবরলর মত মনে হয়েছে, মানুষের জীবনের অনিশ্চয়তা ইলেকট্রনের অনিশ্চয়তার করোলারী নয়। তা যদি হত তাহলে তো পৃথিবীর সূর্য্যের চারদিকে ঘোরারও নিশ্চয়তা থাকত না। মানে আমি বলতে চাইছি দুটো অনিশ্চয়তার ফান্ডামেন্টালসটা বোধহয় ভিন্ন।

    সে যাগ্গে। আসল জিনিষটা নিয়ে আরেকটু আলোচনা চাইছি।

    "অনেকেই এখন বলবেন যে এটা তো আমরা ফোটন বা আলো দিয়ে ইলেকট্রনটাকে দেখছি বলেই এই অনিশ্চয়তার জন্ম। তা আসলে নয়, আমরা না দেখলেও ইলেক্ট্রনটির ভরবেগ ও অবস্থান একসাথে নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব নয়, কোনরকম মৌলিক কণার ক্ষেত্রেই তা সম্ভব নয়। কোয়ান্টাম বিশ্বের মৌলিক ধর্মই হল এই অনিশ্চয়তা। "

    এইটাকে নিয়ে আরেকটু বিশদে আলোচনা করুন তো। এটা হঠাৎ করে বোঝা গেল কিকরে? বা অ্যাজিউম করা হল কেন? এবং অ্যাজিউম করে কিধরণের এক্সপেরিমেন্টের রেজাল্ট ভ্যলিডেট করা গেল যেগুলো আদারওয়াইজ হচ্ছিল না। মানে আইডিয়াটা এত কাউন্টারইন্টুইউটিভ!
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৬:৪৩55137
  • এখানটা আমিও বুঝিনি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনিশ্চয়তা আর হাইজেনবার্গের আনসার্টেনটি এক কি ? আর নইলে লাপ্লাসের ডিটারমিনিজম দিয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রেডিক্ট করা যেত ? মানে কণার ভরবেগ আর অবস্থান একসাথে ঠিকঠাক মাপা গেলেই ভবিষ্যতে একটা মানুষ কী করবে, কী খাবে, কী চাকরি করবে, সেটা প্রেডিক্ট করা যেত ?
  • হযবরল | 24.139.222.66 (*) | ২৩ জুন ২০১৬ ০৯:৫৬55135
  • কোয়ান্টাম কি করে সমাজ কে ব্যাখ্যা করে বা "আপনি আজ ফুটপাথের সিঙ্গারা খাচ্ছেন, কিন্তু পাঁচবছর পরে আপনি অ্যাপেলের সিইও হবেন কিনা কেউ বলতে পারবেনা" তা গত ৮ বছর কোয়ান্টাম পরে এবং চর্চা
    করে আমি বুঝিনি। কারণ যতদূর জানি কোয়ান্টাম সূক্ষ্ম কণা র জন্য সত্যি । কণা র সাইজ বারতে থাকলে তার গতিবিধি ফের নিউটন র আওতায় চলে আসে। এর পর ত জীবনের আসা যাওয়া টাকেও হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা দিয়ে ব্যাখ্যা হবে।
  • দ্রি | 119.236.90.209 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৪:১৭55141
  • "তাই সবাই কোয়ান্টাম জগতের এই অনিশ্চয়তাটি মেনে নিতে পারেননা।"

    কিন্তু যারা মেনে নেয়, তারা কিসের ভিত্তিতে মেনে ney নিশ্চয়ই এমন কিছু কিছু এক্সপেরিমেন্ট/অবজার্ভড বিহেভিয়ার অফ ম্যাটার আছে যেগুলো ক্লাসিকাল মেকানিক্স দিয়ে এক্সপ্লেন করা যায় না কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্স দিয়ে যায়। যদি সেই এক্সপেরিমেন্ট/অবজার্ভড বিহেভিয়ারের একটা লিস্ট দেন তাহলে কমপ্রিহেনশানটা আরেকটু এগোতে পারে।
  • dc | 132.174.167.94 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৫:১৮55142
  • কোয়ান্টাম বিহেভিয়ারের একটা উদাহরন হলো নানারকম ট্রানসিস্টরে আর সেমিকডাক্টর ডিভাইসে কোয়ান্টাম টানেলিং এফেক্ট, যেটা ক্লাসিকাল বিহেভিয়ার দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়্না।

    আরেকটা উদাহরন হলো, নিয়ন বাল্বের রং কেন লাল আর সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্পের কেন হলুদ, এটা ব্যাখ্যা করতে গেলে ইলেকট্রনের ডিসক্রিট স্টেট আর তার ফলে অ্যাটোমিক স্পেকট্রা - কোয়ান্টাইজড এনার্জি ছাড়া ক্লাসিকাল মেকানিক্স দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।

    তৃতীয় উদাহরন হলো গাছপালা ফটোসিন্থেসিসের সময়ে হাই এফিশিয়েন্সিতে এনার্জি ট্রান্সফার করে। ক্লাসিকাল মেকানিক্স দিয়ে এই এফিসিয়েন্সি ব্যাখ্যা করা সম্ভব না, কিন্তু কোয়ান্টাম সুপারপোজিশান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়।
  • abcd | 233.223.147.129 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৫:৩৮55143
  • হযবরল-এর সঙ্গে একমত। আমার মনে হয়, বিজ্ঞানের পপুলার লেখা লিখতে বসলে এটা সবসময় মাথায় থাকা দরকার যে লেখার বিষয় যেন বিজ্ঞানের মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে না যায়। পপুলার বিজ্ঞানের লেখায় সেরকম হালকা চালের রসিকতা যা মূলত বিজ্ঞানের বিষয়টিকে কল্পবিজ্ঞান করে তোলে, তা না আনাই জরুরী। আর সেরকম রসিকতা যদি করতেই হয় তবে কল্পবিজ্ঞানের বিরাট প্রান্তরে গিয়ে করাই ভাল। তবে আবার একেবারে কাঠের মতো নিরস করে বিজ্ঞান লিখলেও লেম্যান হিসেবে পড়তে ভাল লাগে না। কিন্তু সুখপাঠ্য পপুলার (ঠিকঠাক) বিজ্ঞানের লেখা যে একেবারেই লেখা যায় না এমনও তো নয়। এবং তার সংখ্যা বাংলা ভাষায় বেশ কম। এরকম কিছু লেখা এখানে পড়তে পেলে মন্দ হয় না। ইংরেজীতে অ্যামেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি-র ফিজিক্স ( http://physics.aps.org/) নামের জার্নালটিতে পদার্থবিদ্যার নতুন আবিষ্কারগুলো পপুলার করে বলার একটা প্রয়াস রয়েছে। এখানে কিন্তু ওই হালকা চালের (কল্পবিজ্ঞান) রসিকতা চলে না।
  • abcd | 233.223.147.129 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৫:৪৪55144
  • @ dc, আপনি যে ব্রেনের টিউবিউল, কনশাসনেস ইত্যাদিদের সাথে কোয়ান্টামের কানেকশন নিয়ে বললেন, সেগুলো কি এক্সপেরিমেন্টাল ফ্যাক্ট হিসেবে প্রমাণিত নাকি শুধুমাত্র হাইপোথেসিস? জানালে ভাল হয়।
  • dc | 37.63.53.110 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৫:৫৯55145
  • ওগুলো প্রায় পুরোটাই হাইপোথিসিস আর বিতর্কিত। পক্ষে আর বিপক্ষে অনেক তর্ক হয়েছে, কিন্তু আপাতত বিপক্ষের পাল্লা ভারি। আর নিউরো সাইন্টিস্টরা অনেকে মনে করেন যে ফ্রি উইল একটা ইলিউশান মাত্র।
  • দ্রি | 186.126.252.11 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৬:১৮55146
  • "আরেকটা উদাহরন হলো, নিয়ন বাল্বের রং কেন লাল আর সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্পের কেন হলুদ, এটা ব্যাখ্যা করতে গেলে ইলেকট্রনের ডিসক্রিট স্টেট আর তার ফলে অ্যাটোমিক স্পেকট্রা - কোয়ান্টাইজড এনার্জি ছাড়া ক্লাসিকাল মেকানিক্স দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।"

    অন্য দুটো তো একটু শিশিবোতল হয়ে গেল। এইটা মনে হয় একটু গ্রিপের মধ্যে আছে। এটা আরেকটু ডিটেলিং করা যাবে?

    ক্লাসিকাল মেকানিক্স কী প্রেডিক্ট করছিল? নিয়ন বাল্ব আর সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্পের কী রং হওয়া উচিত ছিল ক্লাসিকাল মতে? ইলেকট্রনের ডিসক্রিট স্টেট, আর ইলেকট্রনের আনসর্টেনটি। এই দুটো কি আলাদা আলাদা হাইপথেসিস, নাকি একটা অন্যটা থেকে ফলো করে?
  • হযবরল | 24.139.222.66 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৭:০৩55138
  • @দ্রি, কোয়ান্টাম জগতে এই অনিশ্চয়তাটি মৌলিক । আপনি কি সাবজেক্ট যেখান থেকে সুরু হয় সেই জায়গা কে কখনো প্রশ্ন করেন? করা যায় না। আসলে আমরা চারদিকে যা দেখি যা বুঝি তা সব ম্যাক্রো জগত কে নিয়ে। সেখানে এই অনিশ্চয়তা নেই । (অফকোর্স এই অনিশ্চয়তা ফিজিক্সএর উপাদানের যেমন কণার ভরবেগ আর অবস্থান, জীবনের নয়।)তাই সবাই কোয়ান্টাম জগতের এই অনিশ্চয়তাটি মেনে নিতে পারেননা।
    @ pi আপনার অনুমান ঠিক। কোয়ান্টাম ভবিষ্যত প্রেডিক্ট করবে না । মজা করে বলা যায়, জীবনের অনিশ্চয়তা আরও জটিল ,কোয়ান্টাম এর সেই সাধ্য নেই যে একে ব্যাখ্যা করে । আসলে জীবনের অনিশ্চয়তা ব্যাখ্যা করাটা কোয়ান্টাম এর আওতা য় পরে না।
  • PM | 116.79.21.245 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৭:৩১55139
  • কি মুশকিল, এতো দেখছি কঠিন বিষয়ে গদ্য লিখতে গেলে কঠিন মুখ করেই লিখতে হবে জনগনের দাবী মেনে। হালকা চালে কোনো রসিকতা করলেই ৭ দিনের ফাসী ঃ)

    আপেল আর সিঙ্গারা সংক্রান্ত লাইনটা পড়ে আমার একবারেই মনে হয় নি ওটা আনসার্টেনিটি প্রিন্সিপালএর করোলারী হিসেবে দাবী করেছেন লেখক ।
  • হযবরল | 24.139.222.66 (*) | ২৪ জুন ২০১৬ ০৯:৪২55140
  • @ PM কঠিন বিষয়ে গদ্য লিখতে গেলে কঠিন মুখ করেই লিখতে হবে এটা যেমন সত্যি নয় তেমন সহজ করে বলতে গিয়ে বিজ্ঞ।ন কে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। এর সীমা পরিসীমা জানা দরকার।
  • abcd | 233.223.149.10 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০২:৩৬55147
  • @দ্রি, রিডনিকের এবিসি অফ কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটা দেখতে পারেন। https://mirtitles.org/2014/06/05/update-books-in-comments/ এই লিঙ্কে পেয়ে যাবেন বইটা।
  • dc | 120.227.234.86 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৩:৩৮55148
  • দ্রি, কোয়ান্টাম মেকানিক্স কথাটা কিভাবে এসেছে? "কোয়ান্টাম" থেকে, যার মানে একটা ইউনিট বা একটা প্যাকেট। ক্লাসিকাল মেকানিক্স আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর ফান্ডামেন্টাল তফাত হলো যে প্রথমটা কন্টিনুয়াস, পরেরটা ডিসক্রিট। আর এই ডিসক্রিটনেসের মাধ্যম হলো ঐ কোয়ান্টাম বা প্যাকেট। একটা ইলেকট্রন যখন একটা অ্যাটমের চারপাশে একটা হায়ার অরবিট (আসলে অর্বাইটাল) থেকে আরেকটা লোয়ার অরবিটে যায়, তখন সেটা একটা নির্দিষ্ট "ডিসট্যান্স" (আসলে ক্লাউড) থেকে আরেকটা "ডিস্ট্যান্সে" জাম্প করে, আর যে এনার্জি প্যাকেটটা রিলিজ করে সেটাকে বলে একটা কোয়ান্টাম। এই প্যাকেটটা হলো একটা ফোটন, বা আলোর সবথেকে ছোট ইউনিট। (উল্টোটাও একইভাবে হয়, একটা নির্দিষ্ট প্যাকেট এনার্জি গিলে ইলেকট্রনটা লোয়ার থেকে হায়ার অরবাইটালে জাম্প করে)।

    তাহলে ক্লাসিকালের থেকে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের আসল পার্থক্য হলো, ক্লাসিকালে ইলেকট্রনটা যেকোন এনার্জি লেভেলে থাকতে পারে। উদাহরন স্বরূপ (বোল্ড অ্যান্ড আন্ডারলাইন) যদি এনার্জি স্টেটগুলো ১, ২, ৩ হিসেবে মাপা যায় তো ক্লাসিকাল ইলেকট্রন 1.1, 1.089, 1.76 ইত্যাদি যেকোন এনার্জি স্টেটে থাকতে বা যাতায়াত করতে পারবে। কিন্তু কোয়ান্টাম মেকনিক্স অনুযায়ী ইলেকট্রনটা শুধুমাত্র ১, ২, ৩ ইত্যাদিতে যাতায়াত করতে বা থাকতে পারবে, মাঝামাঝি কিছুতে না। (এরকম কেন হল তারও খুব ইন্টারেস্টিং কারন আছে, প্রথম প্রোপোজ করেছিলেন বোর দাদু আর পরে এর ম্যাথামেটিকাল ফর্ম তৈরি করেছিলেন শ্রডিংগার বেড়ালখ্যাত সাহেব)।

    এবার আসুন নিয়ন, সোডিয়াম, জেনন ইত্যাদি ল্যাম্পে। প্রতিটি কেমিকালের অ্যাটমের কোয়ান্টা ভিন্ন ভিন্ন এনার্জির, বা ভিন্ন ওয়েভলেংঠের হয়। নিয়নের একরকম, সোডিয়ামের আরেকরকম। নিয়নের কোয়ান্টার যে ওয়েভলেংথ সেটাকে আমরা দেখি লাল আলো হিসেবে। সোডিয়ামেরটা দেখি হলুদ। যদি ক্লাসিকাল মেকানিক্স ঠিক হতো, তাহলে দুটো ল্যাম্প থেকেই স্রেফ সাদা আলো বেরোত (কেন বলুন তো?)।

    (তবে ক্লাসিকাল মেকানিক্স ঠিক হলে কিন্তু অ্যাটমিক স্ট্রাকচারই থাকত না। কেন? বোর দাদু বলে গেছেন)
  • দ্রি | 174.132.51.91 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৫:০৪55149
  • হ্যাঁ, কোয়ান্টার আইডিয়াটা তাও বুঝি। ইলেভেন টুয়েল্‌ভে একটু একটু ছিল তো।

    "যদি ক্লাসিকাল মেকানিক্স ঠিক হতো, তাহলে দুটো ল্যাম্প থেকেই স্রেফ সাদা আলো বেরোত (কেন বলুন তো?)।"

    বরং এই প্রশ্নটা কমন পড়ে নি। আন্দাজেই বলি। এনার্জির কোয়ান্টা না থাকলে বিভিন্ন ইলেকট্রনে স্ট্যাটিস্টিকালি বিভিন্ন রকম এনার্জি ট্রান্সফার হতে পারে। যার জন্য সব ফ্রিকোয়েন্সির আলো বেরোবে। তাই সাদা?

    "(তবে ক্লাসিকাল মেকানিক্স ঠিক হলে কিন্তু অ্যাটমিক স্ট্রাকচারই থাকত না। কেন? বোর দাদু বলে গেছেন)"

    হ্যাঁ, এই কথাটাও লেখা ছিল। অ্যাকসিলারেটিং চার্জড পার্টিক্‌ল এনার্জি রেডিয়েট করবে (বা এই ধরণের কিছু কথা)। এটা কেন?

    এবং ফাইনালি, কোয়ান্টার আইডিয়া থেকে আনসার্টেনটি কি ফলো করে? নাকি ওটা একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট হাইপথেসিস?
  • dc | 120.227.234.86 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৫:২৩55150
  • দুটো উত্তরই ঠিক। কিন্তু খেয়াল করবেন, বোর এর অ্যাটমিক মডেল প্রায় পুরোটাই অবসোলিট হয়ে গেছে, এখন অরবাইটাল মডেল বেশ কিছুটা অন্যরকম। ম্যাক্স বর্ণ প্রথম ইলেকট্রনের প্রোবাবিলিটি ডিস্ট্রিবিউশানের আইডিয়া দেন, এখন মোটামুটি সেভাবেই অ্যাটমকে মডেল করা হয়।

    আর আনসার্টেনটি আসে ওয়েভ-পার্টিকল ডুয়ালিটি থেকে। এই ডুয়ালিটি না থাকলে আনাসার্টেনটি প্রিন্সিপলও লাগত না। আনসার্টেনটি প্রিন্সিপল হলো কোয়ান্টাম লেভেলে (মানে যে লেভেলে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর দরকার হয়, ক্লাসিকাল মেকানিক্স দিয়ে পদার্থের বিহেভিয়ার ব্যাখ্যা করা যায়্না) কিছু কিছু ডুয়াল প্রপার্টি আছে (যেমন ইলেকট্রনের ভর আর গতিবেগ), যেগুলোর একটা যতো প্রিসাইজলি জানা যাবে অন্যটা ততো আনসার্টেন হয়ে পড়বে)।
  • dc | 120.227.234.86 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৫:৩২55151
  • "ইলেকট্রনের ভর আর গতিবেগ" - এটা ভুল লিখেছি, হবে "ভরবেগ ও অবস্থান", যা মূল লেখাতেই আছে।
  • দ্রি | 103.115.95.202 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৫:৫৬55157
  • ও আই সী। ঠিক আছে, মোটামুটি একটা ধারনা হল।

    কোয়ান্টাম টানেলিং এর একটা উদাহরণ বলছে রেডিওঅ্যাক্টিভ ডিকে। আলফা পার্টিক্‌ল নিউক্লিয়াসের বাঁধন ছিঁড়ে বেরিয়ে এল কোয়ান্টাম টানেলিং করে -- এইরকম একটা ব্যাপার?

    এবং এর ব্যাখ্যা ক্লাসিকাল মেকানিকস দিয়ে হবে না, কিন্তু abcd যে তিনটে পস্চুলেটের কথা বললেন সেগুলো ধরে নিলে ব্যাখ্যা করা যাবে -- এইরকম?
  • দ্রি | 11.39.86.48 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৫:৫৭55152
  • কিন্তু অ্যাকসিলারেটিং চার্জড পার্টিক্‌ল এনার্জি রেডিয়েট করবে এটা কোন ক্লাসিকাল থিওরী মতে সেটা তখনো বুজিনি, এখনো বুঝিনা। এর আন্ডারলায়িং প্রিন্সিপ্‌লটা কী?

    আর তাহলে নিয়ন বাল্বের আলো তো আনসার্টেনটির ডেমনস্ট্রেশান হল না, কোয়ান্টামের হল। আনসার্টেনটির একটা সহজ ম্যাক্রো এফেক্ট থাকলে বুঝতে সুবিধে হত। কোয়ান্টাম টানেলিং কি খুব শক্ত জিনিষ? আপনার প্রথম উদাহরণের কথা ভাবছি।
  • abcd | 233.223.151.253 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৫:৫৮55153
  • কোয়ান্টা-র আইডিয়াই কিন্তু আধুনিক কোয়ান্টাম মেকানিক্সের স-ব নয়। বেসিক্যালি, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের যে পশচুলেটগুলো মূল বলে ধরা হয় (অর্থাৎ যেখান থেকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সাবজেক্টটা শুরু হয়) তার মধ্যে কোয়ান্টা-র কথা বলা নেই। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের পশচুলেটগুলো খুবই অ্যাবস্ট্রাক্ট, যেমন, কোয়ান্টাম স্টেট হল হিলবার্ট স্পেসের এলিমেন্ট, কোয়ান্টাম সিস্টেমের টাইম-এর সঙ্গে ইভোলিউশন স্থির হবে নির্দিষ্ট ইউনিটারি অপারেশন দিয়ে, এছাড়া কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মেজারমেন্ট নিয়ে পশচুলেট তো আছেই।
    আসলে যে কোনও সিস্টেমের (ক্লাসিকাল বা কোয়ান্টাম) তিনটি বিষয় মোটামুটিভাবে প্রধান, ১. সিস্টেমের স্টেটের স্ট্যাটাসঃ-ক্লাসিকাল মেকানিক্সের ক্ষেত্রে কোনও সিস্টেমের স্টেট কী সেটা জানতে গেলে সিস্টেমটির পজিশন আর মোমেন্টাম জানাই যথেষ্ট, অর্থাৎ, পজিশন আর মোমেন্টাম-ই হল ক্লাসিকাল নিউটনিয়ান মেকানিক্সের সিস্টেমের স্টেট।
    কোয়ান্টাম সিস্টেমের ক্ষেত্রে তার স্টেট সম্পর্কে জানতে গেলে যেটা জানতে হবে তা হল কোয়ান্টাম সিস্টেমটির করেস্পন্ডিং হিলবার্ট স্পেসের কোন এলিমেন্টে সিস্টেমটি রয়েছে (অ্যাবস্ট্রাক্ট হয়ে গেল) বা বলা যায় কোয়ান্টাম সিস্টেমটির ওয়েভফাংশন জানতে হবে।
    আবার থার্মোডিনামিক্সের কথা বললে, একটি গ্যাসের স্টেট তার প্রেসার, ভলিউম, টেম্পারেচার দিয়ে লেখা হয়।
    ২. সিস্টেমের স্টেট সময়ের সঙ্গে কীভাবে পরিবর্তিত হয়ঃ- ক্লাসিকাল মেকানিক্সে নিউটনের সূত্র এই সময়ের সঙ্গে স্টেটের পরিবর্তনটি ঠিক করে দেয়। কোয়ান্টাম মেকানিক্সে স্টেটের টাইম এভোলিউশন ঠিক করে দেয় কিছু নির্দিষ্ট ইউনিটারি অপারেটর, আবার অ্যাবস্ট্রাক্ট হয়ে গেল।
    আর শেষ, ৩. সিস্টেমের কিছু মাপা যায় এমন প্রপার্টি (এদের অবসারভেবল বলা হয়) মাপবার আইন। ক্লাসিকালে কোনও পার্টিকেলের পজিশন, ভেলোসিটি ইত্যাদি কীভাবে মাপা হয় তা আমরা জানি। স্কেল দিয়ে পজিশন, সঙ্গে স্টপ ওয়াচ নিলে বেগও মাপা যাবে।
    কোয়ান্টামে বিষয়টা কিন্তু অন্যরকম, এখানে প্রতিটা ফিজিক্যালি মিনিংফুল অবসার্ভেবলকে অতি অবশ্যই হার্মিশিয়ান অপারেটের হতে হবে, এবং মাপবার পরে কোন রেজাল্ট বেরোবার সম্ভাবনা কত তা ঠিক হবে বর্ন প্রোবাবিলিটি রুল দিয়ে, আবার অ্যাবস্ট্রাক্ট হয়ে গেল।
    দেখুন এই তিনটে জিনিষই কিন্তু আধুনিক কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ক্ষেত্রে মূল তিনটে পশচুলেট যদিও বোধহয় বোঝা গেল না এর একটাকেও! কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিষয়টির শুরু এখান থেকেই। ইউক্লিডের জিওমেট্রিতে যেরকম খান পাঁচেক অ্যাক্সিয়ম ছিল, এই তিনখানাও কোয়ান্টামের সেরকম অ্যাক্সিয়ম, এদেরকে অঙ্ক কষে প্রমাণ করা চলে না, এরা প্রশ্নের উর্ধ্বে। ঠিক এরকমভাবে ক্লাসিকাল মেকানিক্সেও নিউটনের সূত্রগুলো হল পশচুলেট, তাদেরও প্রমাণ করা যায় না।
  • dc | 120.227.234.86 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৬:৩৫55154
  • হ্যাঁ কোয়ান্টাম মেক এর পরিধি অনেকটাই, বলাই হয় যে আধুনিক ফিজিক্সের দুটো পিলার হলো কোয়ান্টাম মেক আর রিলেটিভিটি। দ্রি, একটা অ্যাকসিলারেটিং চার্জড পার্টিক্‌ল একটা পরিবর্তনশীল ম্যাগনেটিক ফিল্ডের জন্ম দেয়। আর পরিবর্তনশীল ম্যাগনেটিক আর ইলেকট্রিকাল ফিল্ড দুয়ে মিলে তৈরি করে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশান, মানে পার্টিকলটার এনার্জি কমতে থাকে।

    কোয়ান্টাম টানেলিং বোঝা এমন কিছু শক্ত না, চটপট উইকিটা পড়ে ফেলুন।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন