এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 237812.69.4545.137 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ১১:০৯50707
  • নেতাদের দোষ , জনগণের দোষ, বৃটিশের দোষ, সোভিয়েতের দোষ, আমেরিকার দোষ, গ্রহের দোষ ---দোষ যারই হোক, সেসব অতীত।
    বর্তমানে যে অবস্থাটা হয়েছে, সেটাকে যদি তেমন তেমন ভালোভাবে মোকাবিলা করে সাব-কন্টিনেটাল ইউনিয়ন তৈরী করা যায়,ধরেও রাখা যায় আর ক্রমাগত ভুল শুধরে শুধরে এগোনো যায়--- সম্ভবতঃ এই উপমহাদেশ ভবিষ্যতে অসাধারণ একটা গ্লোবাল পাওয়ার হয়ে উঠতে পারে। এটাই সেই সময়, এটাই সেই সুযোগ। ভাবুন, বিপুল প্রতিরক্ষা-খরচ ফ্রী হয়ে যাচ্ছে তিনটে/ চারটে দেশের, সেই টাকা কাজে লাগছে শিক্ষায়- স্বাস্থ্যে-গবেষণায়-পরিবেশরক্ষায় ইত্যাদি ভালো ভালো কাজে।
    এত মানুষ, এত ভাষা, এত ধরণের সংস্কৃতি, এত রকমের নৃগোষ্ঠী ---এই ডাইভার্সিটি, এই মানবসম্পদ সহজে পাওয়া যায় না। নিজেদের মধ্যে মারামারি ধাক্কাধাক্কি করে এত বড় সুযোগ হেলায় হারানো হচ্ছে না কি?
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ১১:২২50708
  • এতোজ এর সাথে এই পয়েন্ট এ ১০০-% একমত। আগে যাই হোক, এখন সামনে দেখাটাই জরুরি। সমস্যা হলো যুদ্ধটা চাগিয়ে রাখা তিনটে দেশের নেতা আর আর্মি টিকে থাকার র জন্য বড়ো জরুরি, তাই এতো ৫৬" র বুক দাবড়ানি।

    জাস্ট এই টইতে সেই পুরোনো কবর আবার খোঁড়া শুরু হয়েছিল বলে আমার দু পয়সা দিয়ে গেলুম আর কি। :) :)
  • Amit | 237812.68.6789.99 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ১২:৩৯50691
  • ৪৬ এর আগে দেশভাগ নিয়ে কথা হয়নি কারণ দেশ স্বাধীন হবার সম্ভাবনাও ছিল না, তখন সবাই মোটামুটি একটা ডোমিনিওন স্টেটাস বা পার্শিয়াল শাসন অধিকার পেলেই বর্তে যেতেন। ২ন্ড বিশ্বযুদ্ধ, জাপানের হাতে মার্, INA , নৌ বিদ্রোহ, এসব কিছুও একুয়াসন এ ছিল না। সুতরাং মুসলিম দের স্বাত্মশাসন মানে আলাদা দেশ নয়, এসব কথার এখন কোনো অর্থ হয়না। আর বাঙালির মধ্যে যদি অতো দারুন আন্তরিকতা ছিল, কোনো হিন্দু মুসলিম বিভেদ ছিল না, তাহলে ১৯৪৭ এর পরে বাংলাদেশ র জন সংখ্যা তে হিন্দু % এতো ড্রপ করলো কেন ? আন্তরিকতা কি হাওয়াতে উড়ে গেছিলো ? নাকি সবাই শুধু মাত্র অর্থনৈতিক কারণে এদিকে চলে এসেছেন ?

    বাঙালি উদ্বাস্তু যারা এসেছেন, তাদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে, এই পয়েন্ট এ একমত। কিন্তু দেশের জনগণ সবাই সাধু আর নেতারা শুধু চোর, নিজেরা গদির লোভে দেশ টাকে ভেঙে দিলো, এই দৃষ্টিভঙ্গি ও অতি সরলীকরণ। যখন কোনো দেশ এ দাঙ্গা হয়, তারপরেও জনগণ ভোট দিয়ে সেই সরকার কেই আবার ক্ষমতায় আনে, তারাও কিছু সাধু নয় , তারাও সেইসব সমস্যার জন্য দায়ী। অতো সহজে হাত ধোয়া যাবে না

    গত ১০০ বছরে বহু দেশ ভেঙেছে, গড়েছে। ভারত এক মাত্র কেস নয়। অনেক দেশের মধ্যে ইউনিয়ন চালু হয়েছে, বহু দেশের মধ্যে মারামারি থাকার কারণে বর্ডার খোলা হয়নি। আসামে সব মেজর পলিটিকাল পার্টি NRC কে সমর্থন করছে, তার মানে সেখানে সাধারণ জনগণ এর সাপোর্ট আছে। দেশ ভাঙা ভালো , খারাপ এসবের মধ্যে না গিয়েও বলা যায় যে উনকন্ট্রোলড মাইগ্রেশন যদি কোনো দেশ আটকাতে চেষ্টা করে , সেটা আইনের মধ্যেe পরে।
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:১৮50710
  • ""এবং ফ্যাক্ট হল, সেটা মেনে নিলে ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে হতনা। প্রতিক্রিয়াতে নোয়াখালিও হতনা।"

    এটা ঠিক কোন দিকে ফ্যাক্ট সেটা বোঝাবেন-? যা ঘটেনি আদৌ, সেটা ঠিক কবে থেকে ফ্যাক্ট এর মধ্যে পড়ছে ? আমি তো মনে করি সেটা কল্পনা বা ধারণা :)

    আর এবার গোলপোস্ট ৩৭-৩৮ এ চলে গেলো কেন আবার ? নেহেরু র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি কি ছিল সেটা নিয়ে কি আদৌ আলোচনা হচ্ছে এখানে ? আমার তো ধারণা ছিল আলোচনার সময়কাল শুধু ১৯৪৫-৪৭ এবং আলোচনা শুধু matro দেশভাগ নিয়ে।

    দেশভাগ কয়েক জনের গাফিলতি সেটা আপনার ধারণা থাকলে থাক, ধারণা আর ফ্যাক্ট এর মধ্যে তফাৎ আছে। যারা নেতা হয়ে যান বা হতে চেষ্টা করেন, তাদের ঘাড়ে সাফল্য বা ব্যর্থতার দায়িত্ব টাও পড়ে। এবার তাদের মতো নেতাকে যারা ওপরে তুললেন , তাদের হাত ধুয়ে ফেললেই হয়ে গেলো, তাই তো ?

    জার্মানি র নেতা হিসেবে হলোকাস্ট বা যুদ্ধের দায়িত্ব হিটলার বা তার চেলা দের ওপরেই পড়ে, তাদের ই শাস্তি হয় নিউরেম্বের্গ এ। এবার কেও যদি ভাবেন নুরেমবার্গ এ যারা শাস্তি পাননি, তারা ছাড়া জার্মানি র বাকি যাবতীয় লোক, তারা সবাই সাধু সন্ত, সেটা ও ধারণা ই, কোনো ফ্যাক্ট নয়।

    ইন ফ্যাক্ট আমার নিজের এক জার্মান কলিগ কথাচ্ছলে বলেছিলো তার ঠাকুরদা নাত্সি SS বাহিনীতে ক্যাডার ছিলেন, যুদ্ধের পারে অস্ট্রেলিয়া তে পালিয়ে আসেন। ৮০ র দশকে মারা যান, কোনো শাস্তি হয়নি। এবার তিনি দোষী না নির্দোষ ? বাকি সব কিছুর মতো সেসব ই ধূসর।

    আর মতে না মিললে তার জন্য অন্য কেও আপনার লেখা না পড়েই লিখে চলেছে এসব বলে যদি আপনি নিজের কাছে স্কোর করতে চান , করুন। সেটা আপনার ব্যাপার।
  • এলেবেলে | 236712.158.782323.31 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:২৪50730
  • @অমিত লিখেছেন --- "সোহরাওয়ার্দি একটি অতি উত্তম খচ্চর ছিলেন এবং তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল প্রায় শূন্য। ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে-তে তাঁর ভূমিকা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। কিন্তু তাঁর থেকেও অতি উত্তম খচ্চর ছিলেন কংগ্রেসের হিন্দু উচ্চবর্ণের নেতারা। তাঁরা তাক বুঝে অনেক আগেই অস্ত্রশস্ত্র-গাড়ি-মাস্তান রেডি করে রেখেছিলেন।" এসব তো ডিসক্লেইমার , তথ্য নয়।

    ডিসক্লেইমার হতে যাবে কোন দুঃখে? তথ্য তো বলছে ওই দিন মারা গিয়েছিলেন চার হাজার নিরীহ মানুষ যাঁদের অধিকাংশই মুসলমান। অথচ কায়দা করে দোষটা ফেলা হয়েছিল মুসলিম লিগের ঘাড়ে। মুসলিম লিগ যে কত বড় সাম্প্রদায়িক দল, কত সহিংস, কত বিপজ্জনক তা বোঝাতে। গোপাল পাঁঠা এবং তার দলবল গাড়ি-অস্ত্র মজুত করেই রেখেছিল গণ্ডগোল পাকাবে বলে। কারণ কংগ্রেস এটাকে ব্যবহার করেছিল 'as an excuse to go ahead with the transfer of power to a Congress-only cabinet.' ইংরেজি উদ্ধৃতিটা আমারও নয়, তথ্য হিসেবে ভুলও নয়। তাহলে এসব অভিযোগের অর্থ কী?
  • এলেবেলে | 236712.158.782323.31 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:৩০50731
  • দেশভাগে জনসাধারণকে দায়ী করে লাভ কী? পৃথিবীর ইতিহাসের বৃহত্তম মাইগ্রেশনটি নেতারা করেছিলেন না সাধারণ জনগণ? দেশভাগের ৯০ শতাংশ দায় গান্ধী-নেহরু-প্যাটেলের এবং চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীর। তারও আগে লাজপত রায়ের যিনি পাকিস্তান প্রস্তাবের বহু আগে তা চেয়েছিলেন। জিন্না বড়জোর ১০ ভাগ দায়ী, তা-ও তাঁকে একরকম বাধ্য করা হয়েছিল। ওই যে ১৪ দফা প্রস্তাব সে ব্যাপারে বহু আগে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে গান্ধী ঘুষ হিসেবে দিতে চেয়ে আম্বেদকরকে আটকাতে চেয়েছিলেন। এসব তো ডকুমেন্টেড।
  • Amit | 237812.68.6789.99 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:৪৪50711
  • ইন ফ্যাক্ট এই টোয়ি টা শুরু করার উদ্দেশ্যটা ঠিক কি কি ছিল ? EU র কথা যদি বলাই হয়, সেখানেও কেও ইল্লিগ্যাল ইম্মিগ্রেশন কে সাপোর্ট করেন বলে তো জানা নেই। যারা এদেশ ওদেশ রেগুলার ঘোরাঘুরি করেন, তাদের পেপারস, পারমিট সব ঠিক ঠাক রাখতে হয়। অন্য কোনো দেশের সিটিজেন হতে গেলে সেখানে সব নিয়ম মেনে তারপর এপলাই করতে হয়। সে রকম ইউনিয়ন ইন্ডিয়া পাকিস্তান বাংলাদেশ এর মধ্যে চালু হলে হোক না, প্রপার ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে লোকে কাজ করতে আসুক যত ইচ্ছে। তাতে আপত্তি টা কোথায় ? NRC টা কি তার বিরুদ্ধে হচ্ছে ? হচ্ছে তো ইল্লিগাল ইমিগ্র্যাশন এর বিরুদ্ধে। এবার ৭০ বছর আগের কঙ্কাল দেখলে আজকের আইন তো সেটাকে সাপোর্ট করবে না। এখনকার যা নিয়ম , সেটা মানা হোক।

    ঘড়ির কাটা ঘোরানোটা নিশ্চয় উদ্দেশ্য ছিল না ? বরং সামনের দিকে তাকিয়ে যাতে তিনটে দেশের মধ্যে রিলেশন ভালো করা যায়, ডিফেন্স কস্ট কমে, আনাগোনা বাড়ে , সেটা ই তো প্রায়োরিটি মনে হয়। সেখানে নেহেরু র দোষ, তিন চার জনের দোষ গুনে এখন কোন মোক্ষলাভ হবে ?

    যদিও এই নেহেরু র দোষ ধরাটা হেভি ভালো লেগেছে, মাইরি বলছি। এই একই কারণে আমি মোদী বাবুর ও এতো ভক্ত, উনিও যাবতীয় সমস্যার পেছনে নেহেরু র কালো হাত খুঁজে পান :) :)
  • Ishan | 237812.68.4534.57 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:৪৬50712
  • এবং সুরঞ্জন দাস। তিনি খুব স্পষ্ট করেই একটা পক্ষ নিয়েছেন, নানা লেখায়। উভয় পক্ষেরই দোষ আছে দেশভাগে, কিন্তু মুসলমান সাম্প্রদায়িকতা অধিক দায়ি -- মোটের উপর এইরকম একটা (অক্ষরে অক্ষরে নয়, কিন্তু টোনটা এইরকমই। এই লেখাতেও পড়লাম দেশভাগের জন্য নিচের দিক থেকে একটা চাপ ছিল ইত্যাদি)। উল্টোদিকে জয়া চ্যাটার্জি ঠিক উল্টো একটা অবস্থান নিয়েছেন। মোটের উপর হিন্দু ভদ্রলোকরাই সাম্প্রদায়িকতা এবং দেশভাগের জন্য দায়ি -- এইরকম একটা। এর ঠিক বা ভুলের মধ্যে আমি যাবনা। কিন্তু তথ্য যেহেতু তথ্যই, সেখানে একটা জিনিস পরিষ্কার দেখা যায়। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও, ১৯০৫ সালের আগে বাংলায় দাঙ্গার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। হিন্দু ভদ্রলোকদের মুসলমান বিদ্বেষ এবং মুসলমান অভিজাতদের হিন্দুদের প্রতি নাক-কোঁচকানো সত্ত্বেও সাধারণ লোকজন অস্ত্রশত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে নেমে পড়ছে, এরকমটা অকল্পনীয় ছিল। বরং ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহও একটা যৌথ প্রক্রিয়া ছিল। বাংলার নীল বির্দ্রোহ, তিতুমির, সবই এই একই গোত্রের। সাম্প্রদায়িক গোলমালের লেশমাত্র ছিলনা তখন। সেই গোলমালের একটা নির্দিষ্ট টাইমলাইন আছে। তপন রায়চৌধির লেখাই পড়ুন, শেখ মুজিবের আত্মজীবনীই পড়ুন, সুমিত সরকারই পড়ুন, সুরঞ্জন দাসই পড়ুন, টাইমলাইনটা পাবেনই।

    টাইমলাইনটা হল সেটা হল ১৯০৫ এর বঙ্গভঙ্গের পরই ছোটোখাটো দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু হয়। অর্থাৎ বঙ্গভঙ্গই সূচনাবিন্দু। এর পর ইংরেজ শাসন যত শক্তপোক্ত হয় জিনিসটা বাড়তে থাকে। তার নির্দিষ্ট কারণও আছে। বাংলা ভাগের মতই সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা, ভারত-সরকার-আইন, এগুলো সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদকে বাড়ানোর জন্যই করা হয়েছিল। একদম পরিকল্পনা মাফিক। ১৯৩৫ এর পর চিত্র আসে ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলোও, যখন তাদের সরকার গঠনের সুযোগ আসে। ৪৬ সালে যে উভয়পক্ষের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্র জমিয়ে রেখেছিল, সে তো আর এমনি হয়নি। তারপর তো দেশভাগই হয়ে গেল। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করে ফেললে, তারপর যে সাম্প্রদায়িকতা বাড়বে, তাতে আর আশ্চর্য কী।

    এই উপর থেকে ইন্ধন জোগানোর চিত্রটা সামগ্রিকভাবেই সুরঞ্জন দাসে অনুপস্থিত। এই লেখাতেও। খুব ইন্টারেস্টিং একটা জিনিস দেখলাম। ১৯৩৯ এ মুসলিম লিগ সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিল হিন্দু মহাসভা, সেটা খুব স্পষ্ট করে লেখা আছে। কিন্তু শ্যামা-হক কোয়ালিশনের কথা এক লাইনও নেই। হয়তো শব্দসংখ্যা সীমিত। কিন্তু এইসব জিনিসগুলো এড়িয়ে গেলে তো চিত্রটাই উল্টে যায়। উপর থেকে ইন্ধন জোগানোর বিষয়টাই এড়িয়ে যাওয়া যায়।
  • Ishan | 237812.68.4534.141 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০২:০১50713
  • আমি খুবই দুঃখিত, আপনার প্রিয় নেহরু-প্যাটেলের দোষকে তাদের দোষই বলছি।

    আর অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, ইল্লিগাল ইমিগ্র্যান্টদের লাথিয়ে তাড়াতে হবে, এ একটি অতি-দক্ষিণপন্থী অবস্থান। এই ধরুন, এই মুহূর্তে আমেরিকায় লাতিন আমেরিকান অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে একটা বিতর্ক চলছে। সেখানে ট্রাম্পের অবস্থান হল আপনার মতই। "এখন ঝেঁটিয়ে বিদায় কর। ভিসা নিয়ে আসুক তারপর দেখা যাবে"। আর উল্টোদিকের অবস্থান হল "ইহাদের ক্রমে নাগরিক করে তোলো"। কারণ সাধ করে এত লোক সীমান্ত টপকায়না। তবে সব লোক একসঙ্গে আশ্রয় নিতে এলে অর্থনীতি লাটে উঠবে তাও ঠিক, তাই অন্য আরেকটি দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, যে, লাতিন আমেরিকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন হওয়া উচিত, যাতে পালে পালে লোক আমেরিকায় অবৈধভাবে চলে না আসে। এই নিয়েও আমেরিকা সরকারকে অন্য দেশের সরকারগুলির সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি করতে হবে।

    আমি এই দ্বিতীয় মতটির পক্ষে, বলাই বাহুল্য। ত"আমাদের আইনে ভিসাহীন প্রবেশ অবৈধ" এটা অনর্থক গায়ের-জোর দেখানো, যখন কোটি-কোটি লোক সীমান্ত পাল্টায়। তখন বুঝতে হবে বিষয়টা একটা রাজনৈতিক সমস্যা, তার রাজনৈতিক সমাধান চাই, আইনী সমাধান নয়।

    এর জন্যই রাজনৈতিক সমস্যাটিকে খোঁজার চেষ্টা। আমেরিকায় দেশভাগ জাঈয় কিছু হয়নি। ভারতীয় উপমহাদেশে হয়েছে। সেটাই রাজনৈতিক সমস্যা। সেটা না বুঝে, স্রেফ "আমাদের অমুক আইন আছে" বলাটা কোনো সমাধানের দিকে নিয়ে যাবেনা। বরং চরম দক্ষিণপন্থারই উদ্ভব ঘটাবে। সেই জন্যই দেশভাগ, সেইজন্যই পাপ নিয়ে এত কথাবার্তা। দেশভাগের পাপস্খালন অবিলম্বে করা প্রয়োজন। অন্তত তিনটি দেশের সরকারের যৌথ উদ্যোগে। ভারতকেই প্রথম দায়িত্বটা নিতে হবে।
  • | 236712.158.782323.63 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০২:২৭50714

  • কার দোষ বেশি টা কোন ইসুই না, প্রাত্যহিক অস`দভাব, জাত পাতের গপ্প সত্ত্বেও, ঊনবিম্শ শতকের বিদ্রোহ গুলো মূলত সকলেই করেছেন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে। আমাদের আধুনিক ফ্রাট্রিসাইডের ইতিহাস নেহাত ই বিংশ শতকীয়।

    আমার এই দুটো এবং আরো বেশ কয়েকটা সোর্স পড়ে মনে হয়েছে যে, ১৯০৫ এর পরে স্কারমিশ হলেও, ১৯০৫ থেকে না প্রথম বিশ্বযুদ্ধ র সময় থেকে ১৯৪০ এর দশক, ধীরে ধীরে পোলিটিকাল কমিউনাল মোবিলাইজেশন বেড়েছে, এবং ১৯৩৫ থেকে আরেক রকম ভাবে। কিন্তু ১৯৪৬ এর উন্মত্ততা , রশীদ আলি দিবসের কদিন বাদে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং আনবিলিভেবল, তো এটা মোটামুটি সকলেই বোঝে এন আর সি, তার পুনরাবৃত্তি র সম্ভাবনা কে কমাবে না , উল্টে বাড়াবে।

    আমাদের ইতিহাসের ট্রেনিং এর অভাবে, একটু আধটু টেলিওলোজিকাল হয়ে গেলেও, মোটামুটি সিভিলাইজড আলোচনা হচ্ছে, ভালো-ই লাগছে। পি এম এর সাবধানতা অবলম্বন খুব ই ভালো লাগলো।

    এই আলোচনা র মেন সীমাবদ্ধতা হল, আসাম ও ত্রিপুরার ইতিহাস টা নিয়ে আলোচনা কম হচ্ছে, সেদিকে যাওয়া যাক। এবং সেটা কে বাংলার ইতিহাসের ডেরিভেটিভ হিসেবে ভাবার কারণ নেই। এবং ভারতীয় ফেডেরালিজম এর ব্যর্থতা কে এন আর সি দিয়ে ঢাকার চেষ্টা নিয়েই আলোচনা জরুরি। এবং সম্ভবত এটা বোঝাও জরুরি ভাষা ন্যাশনালিজম টা কে কমিউনাল মোবিলাইজেশন এর বিরুদ্ধে এক ধরণের সামাজিক শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল স্টেট ফর্মেশনে, সেটা উত্তর পূর্বে কেন ফেইল করলো।
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০২:৩৮50715
  • ধন্যবাদ। যখন দক্ষিণপন্থী বা ট্রাম্প এর ভক্ত এই সব ব্র্যান্ডিং করা শুরু হয় , তখন বোঝা যায় বিষয়ের ব্যাপারে বক্তব্য ক্রমশ কমে আসছে, ব্র্যান্ডিং একটা ভালো ডিভর্সন । :)

    তাহলে আপনার লেখাতেই একটা জিনিস পরিষ্কার হলো, NRC তে যেটা হচ্ছে সেটা নির্মম হতে পারে, কিন্তু হয়তো বেআইনি নয়। আর সেই জন্যেই এটার আইনি সমাধান সম্ভব নয়, রাজনৈতিক উদ্যোগ দরকার। ভালো কথা। কি রকম উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে হয় ? তার জন্য এতো ৭০ বছরের ইতিহাস টেনে আনার কি ছিল বুজলাম না।

    দেশভাগ আমেরিকায় হয়নি , কানাডা এ বেশ কবার ফ্রেঞ্চ ক্যুবেক আলাদা হওয়ার রিসোলিউশন এসেছে, আবার চাপাও পরে গেছে। আলাদা হলে ওখানে ইন্ডিয়ার মতো স্কেল এ রিওট হয়তো হতো না, আবার হতেও পারতো হয়তো, সবই কল্পনা। যতক্ষন না কিছু সত্যি ঘটছে সেটাকে ফ্যাক্ট বলাতে আমার আপত্তি আছে। আর দক্ষিণ আমেরিকা নিয়ে যেটা বললেন, সত্যি কথা, কিন্তু রাজনৈতিক সমাধান টা বড়ো ভেগ টার্ম। জোর করে আলোচনায় বসতে চাইলে তখন আবার বলা হবে আমেরিকা দাদাগিরি ফলাচ্ছে, এই আর কি।

    ভারতের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সেটাও ভালো কথা। তো মোদিবাও তো উদ্যোগ নিয়েছেন, বলেই দিয়েছেন মুসলিম ছাড়া বাকি দের ভেরিফাই করে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তাতে রাজনীতির প্যাচ যতই থাক, লজিক্যালি এটা ঠিক যে ওই দুটি দেশে ধর্ম বিদ্বেষের কারণে এনাদের অত্যাচারিত হয়ে পালিয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি। এটা নিয়ে কি মত ? alternative ki ?

    এবার এর রাজনৈতিক সমাধান e কি ভাবে হওয়া উচিত -? apnar মত দিলেই চলবে, ১৯৪৫-৪৭ থাক না হয়।
  • S | 237812.69.3434.136 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০২:৪০50716
  • "তবে সব লোক একসঙ্গে আশ্রয় নিতে এলে অর্থনীতি লাটে উঠবে তাও ঠিক"

    এটা কি করে জানা গেল? আম্রিগার বার্থ রেট এখন যা (এবং যেভাবে ক্রমশ কমছে) তাতে বাইরে থেকে লোক না এলে পপুলেশান কমে যাবে। লজিকালি এইসব ইমিগ্র্যান্টরা না এলেই অর্থনীতি লাটে উঠে যাবে।
  • dc | 124512.101.89900.123 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০২:৪৮50717
  • "আর উল্টোদিকের অবস্থান হল "ইহাদের ক্রমে নাগরিক করে তোলো""

    এটা আমারও অবস্থান। ফাইন্যান্স আর লেবার ফ্লো অবাধ হোক, বর্ডার কন্ট্রোল ইত্যাদি উঠে যাক, ক্যাপিটাল আর লেবার দুটোরই ফ্রি ট্রেড আরও বাড়ুক। লোকে যে দেশে খুশী গিয়ে থাকুক, যেখানে ইচ্ছে কাজ করুক, সে দেশের ইকোনমিতে কনট্রিবিউট করুক। এরকম হলে আমি নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে সেটল করবো।
  • S | 237812.68.454512.252 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৮50718
  • আমার ক্যাপিটাল অন্যের দেশে পাঠিয়ে বা সেখান থেকে অসময়ে তুলে নিয়ে সেই দেশের অর্থনীতি চৌপাট করে দেওয়ার ক্ষমতা যদি থাকে, তাহলে লেবার ফ্লো কন্ট্রোলই বা করা হবে কেন? গ্যাট চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী লেবার ফ্লো অবাধ হবার কথা। বাকিগুলো অবাধ করে দিয়ে এখন লেবারের কথা আসতেই সবাই দরজা বন্ধ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

    এইটা এই টইয়ের ব্যাপার নয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে মুলতঃ হিন্দুরাই এদেশে এসেছে। আসামে এনারসি যে হচ্ছে সেতো সেখান থেকে মুসলমান (বিজেপির ইন্টারেস্ট) এবং সবধর্মেরই বাঙালী (অসমীয়াদের ইন্টারেস্ট) তাড়ানোর আছিলা মাত্র। আর পস্চিমবঙ্গে এনারসির জন্য অতি উৎসাহিত সামান্য কিছু ঘটি পাব্লিক। এখানে নেটিভ পাব্লিকের তেমন সাপোর্ট নেই, তাই এখানে হবেনা। এইসব ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নেতারা চাইলেই যে কিছু হয়্না, পাব্লিকের সাপোর্ট দরকার হয় - এনারসিই তার উদাহরণ। আবার নেতারা চাইলে এটাকে ডিলে করিয়ে করিয়ে শেষে না করালেও পারতো।

    আরেকটা কথা বলি - সোশাল মিক্সিং খুব জরুরী। সেটা না হলেই দেশভাগ, এনারসির মতন ঘটনাগুলো ঘটে। পাশাপাশি বাস করেও যদি দুই ধর্ম, জাতের লোকের দুটো আলাদা দুনিয়া হয়, তখন সমস্যা তৈরী হবেই।
  • dc | 124512.101.89900.123 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৩:০৩50719
  • "বাকিগুলো অবাধ করে দিয়ে এখন লেবারের কথা আসতেই সবাই দরজা বন্ধ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।"

    এক্স্যাক্টলি। এই বন্ধ দরজাগুলো খুলতে হবে। ক্যাপিটালিজমকে নিওরাইট হাইজ্যাক করে নিয়েছে, তাদের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।

    "সোশাল মিক্সিং খুব জরুরী"

    ১০০% সহমত। সবরকম মবিলিটি এনকারেজ করা জরুরি, তাতে মার্কেটও বাড়ে।
  • PM | 236712.158.78.28 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৩:৫২50720
  • সোভিয়েত গুলো " সভেরেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেট" ছিলো ?
  • PM | 236712.158.67.189 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৪:২১50721
  • স্কট্ল্যন্ড সভেরেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেট" ? ওয়র্ল্ড অ্যাটলাস তা বলছে না

    "Scotland is one of the four countries that make up the sovereign state of the United Kingdom. However, Scotland is itself not a sovereign state and is recognized more closely as a province or region."

    স্কট্ল্যান্ড আর নরদার্ন আয়ারল্যান্ড এর সভেরেনিটি একটি অতি বিতর্কিত বস্তু যা নিয়ে ২০১৮ সালেও ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কে রেসলিউসন পাস করতে হয়। তার মানে ইশান বাবুর মত পন্ডিতের সাথে আমার মত অজ্ঞ লোকের দুনিয়ায় অভাব নেই। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এও নেই । নইলে বিতর্ক হত না।ঃ)
  • কল্লোল | 124512.101.89900.159 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩৮50722
  • পিএম।
    হ্যাঁ, সমস্ত ইউনিয়ান রিপাবলিকগুলোর যখন খুশী USSR থেকে বেরিয়ে যাবার অধিকার ছিলো -
    Stalin’s CConstitution of the USSR
    Moscow, USSR December 1936
    ARTICLE 17. To every Union Republic is reserved the right freely to secede from the U.S.S.R.
    সূত্রঃ
    http://insidethecoldwar.org/sites/default/files/documents/Constitution%20of%20the%20USSR%20under%20Stalin_0.pdf
  • কল্লোল | 236712.158.786712.95 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৪:৫৭50732
  • পিএম।
    চ্যাপটার ২। আর্টিকেল ১৩ আর ১৪।
    ARTICLE 13. The Union of Soviet Socialist Republics is a federal state, formed on the basis of the voluntary association of Soviet Socialist Republics having equal rights, namely :
    The Russian Soviet Federative Socialist Republic
    The Ukrainian Soviet Socialist Republic
    The Byelorussian Soviet Socialist Republic
    The Azerbaijan Soviet Socialist Republic
    The Georgian Soviet Socialist Republic
    The Armenian Soviet Socialist Republic
    The Turkmen Soviet Socialist Republic
    The Uzbek Soviet Socialist Republic
    The Tajik Soviet Socialist Republic
    The Kazakh Soviet Socialist Republic
    The Kirghiz Soviet Socialist Republic
    The Karelo-Finnish Soviet Socialist Republic
    The Moldavian Soviet Socialist Republic
    The Lithuanian Soviet Socialist Republic
    The Latvian Soviet Socialist Republic
    The Esthonian Soviet Socialist Republic
    ARTICLE 14. The jurisdiction of the Union of Soviet Socialist Republics, as represented by its highest organs of state authority and organs of government, covers :
    a) Representation of the Union in international relations, conclusion and ratification of treaties with other states;
    b) Questions of war and peace;
    c) Admission of new republics into the U.S.S.R.;
    d) Control over the observance of the Constitution of the U.S.S.R. and ensuring conformity of the Constitutions of the Union Republics with the Constitution of the U.S.S.R.;
    e) Confirmation of alterations of boundaries between Union Republics;
    f) Confirmation of the formation of new Territories and Regions and also of new Autonomous Republics within Union Republics;
    g) Organization of the defence of the U.S.S.R. and direction of all the armed forces of the U.S.S.R.;
    h) Foreign trade on the basis of state monopoly;
    i) Safeguarding the security of the state;
    j) Establishment of the national economic plans of the U.S.S.R.;
    k) Approval of the single state budget of the U.S.S.R. as well as of the taxes and revenues which go to the all-Union, Republican and local budgets;
    l) Administration of the banks, industrial and agricultural establishments and enterprises and trading enterprises of all-Union importance;
    m) Administration of transport and communications;
    n) Direction of the monetary and credit system;
    o) Organization of state insurance;
    p) Raising and granting of loans;
    q) Establishment of the basic principles for the use of land as well as for the use of natural deposits, forests and waters;
    r) Establishment of the basic principles in the spheres of education and public health;
    s) Organization of a uniform system of national economic statistics;
    t) Establishment of the principles of labour legislation;
    u) Legislation on the judicial system and judicial procedure; criminal and civil codes;
    v) Laws on citizenship of the Union; laws on the rights of foreigners;
    w) Issuing of all-Union acts of amnesty.
    ARTICLE 15. The sovereignty of the Union Republics is limited only within the provisions set forth in Article 14 of the Constitution of the U.S.S.R.
    Outside of these provisions, each Union Republic exercises state authority independently. The U.S.S.R. protects the sovereign rights of the Union Republics.
    ARTICLE 16. Each Union Republic has its own Constitution, which takes account of the specific features of the Republic and is drawn up in full conformity with the Constitution of the U.S.S.R.
    ARTICLE 17. To every Union Republic is reserved the right freely to secede from the U.S.S.R.
    ARTICLE 18. The territory of a Union Republic may not be altered without its consent.
    ARTICLE 19. The laws of the U.S.S.R. have the same force within the territory of every Union Republic.
    ARTICLE 20. In the event of a discrepancy between a law of a Union Republic and an all-Union law, the all-Union law prevails.
    ARTICLE 21. A single Union citizenship is established for all citizens of the U.S.S.R.
    Every citizen of a Union Republic is a citizen of the U.S.S.R.
    সূত্রঃhttps://www.marxists.org/reference/archive/stalin/works/1936/12/05.htm
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৪:৫৯50723
  • আচ্ছা, এই ওপেন মডেল যুক্তরাজ্য নিয়ে মাঝেই মাঝেই টইতে কিসব ভেসে ওঠে। সেসব দেশে নাকি যে কোনো রাজ্য যখন ইচ্ছে ধ্যাকতে পারে , যখন ইচ্ছে বেরোতে পারে , পুরো মুক্তাঞ্চল ja ke বলে। সেসব জায়গা নাকি একেবারে স্বর্গের পরের স্টেশন। ওরকম ই নাকি জিন্নার আইডিয়া ছিল, কে জানে বাবা, আর ওসব ইমপ্লিমেন্ট হলেই ইন্ডিয়া পাক বাংলাদেশের যাবতীয় সমষ্যা ইভাপোরেট হয়ে যেত। জাস্ট নেহেরু আর প্যাটেল শয়তানি করে হতে দেয়নি।

    এই তিনটে দেশ বাদ দ্যান, একেবারে আজেবাজে লোক নেতা হয়ে এগুলোকে ডুবিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কটা দেশে এরকম ভাঙা গড়া র মেলামেলি পুরো শান্তিপূর্ণ হয়েছে , কেও একটু উদাহরণ দিয়ে জানাবেন ? এই হালে তো দেখি স্পেন এ হৈচৈ হয়ে গেলো ক্যাটালোনিয়া কে বেরোতে দেবেনা বলে। গ্রীস আর মেকাদিনিয়ার মধ্যেও বাবল হতে দেখি। নর্থ আইর্লন্ড্ আবার ব্রেক্সিট এর পরে খেপে গেছে , গণভোট নিয়েও কি অবস্থা। যুগোস্লাভিভিয়া একখান দেশ ভেঙে এখন চারটে হয়ে গেলো, তাতেও লড়ালড়ি, আফ্রিকার দেশ গুলো আর কি বলবো, এদিকে ইন্দোনেশিয়া ভেঙে ইস্ট টিমোর বেরিয়ে গেলো , তাতেও মারামারি। কানাডা র ইতিহাস টা একটু খুঁজে দেখতে পারেন, প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় কি রকম টার্বুলেন্ট ছিল। এই সব আর কি। USA এ যদ্দুর মনে পড়ছে ১৮ শতকে ক্যালিফর্নিয়া একবার কিসব রেসল্যুশন আনছিল, সেখানেও তাড়াতাড়ি সব ধামাচাপা পরে গেলো। কোথাও সেই ওপেন মডেল দেখতে পাইনা , কোথাও শান্তি নেই।

    এই সব বড়োলোক দেশ সব ছড়িয়ে ফেলছে , আর এদিকে আশা করা হচ্ছে, দাঙ্গার মধ্যে নাকি ইন্ডিয়া পাকিস্তান ওপেন যুক্তরাষ্ট্র মডেল তৈরী করবে।

    ঈশেন বাবু অবশ্য একটা দিকে লজিক্যালি ঠিক। উনি সোভিয়েত দেশের কথা বলেছেন শুধু, ওটাকে ভালো খারাপ বা ফলো করার কথা কিছু বলেন নি । কেন বললেন বা এই টইতে তার রেলেভ্যান্সি কোথায় তা অবশ্য জানা নেই।

    আর কল্লোল দা, স্তালিন এর রাশিয়ার মডেল নিয়ে প্লিজ আর হাসাবেন না। খাতায় কলমে যাই থাক , আসলে কি কি হয়েছিল সেটা তো সবাই ভালোই জানেন। আর কষ্ট করে নাই বা লিখলাম। :) :)
  • dc | 124512.101.780112.71 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৫:০৮50724
  • "সমস্ত ইউনিয়ান রিপাবলিকগুলোর যখন খুশী USSR থেকে বেরিয়ে যাবার অধিকার ছিলো"

    দিদিও বলেছেন কাটমানি ফেরত দিতে হবে।
  • কল্লোল | 236712.158.676712.20 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৫:০৮50733
  • অমিত। আপনি লিখেছেন - "আচ্ছা, এই ওপেন মডেল যুক্তরাজ্য নিয়ে মাঝেই মাঝেই টইতে কিসব ভেসে ওঠে। সেসব দেশে নাকি যে কোনো রাজ্য যখন ইচ্ছে ধ্যাকতে পারে , যখন ইচ্ছে বেরোতে পারে , পুরো মুক্তাঞ্চল জ কে বলে। সেসব জায়গা নাকি একেবারে স্বর্গের পরের স্টেশন। ওরকম ই নাকি জিন্নার আইডিয়া ছিল, কে জানে বাবা, আর ওসব ইমপ্লিমেন্ট হলেই ইন্ডিয়া পাক বাংলাদেশের যাবতীয় সমষ্যা ইভাপোরেট হয়ে যেত। জাস্ট নেহেরু আর প্যাটেল শয়তানি করে হতে দেয়নি।"
    বোঝা গেল না। এটা কে দাবী করেছে যে ঠিকঠাক যুক্তরাষ্ট্র হলে (সোভিয়েৎ ইউনিয়ানের মত) ইন্ডিয়া পাক বাংলাদেশের যাবতীয় সমষ্যা ইভাপোরেট হয়ে যেত।
    যা হতো হতো। অন্ততঃ আমরা (বাঙ্গালীরা) আমাদের সমস্যা বুঝে নিতাম।
    আপনার যুক্তি ধরলে তো বাংলাদেশের স্বাধীন হাওয়া উচিৎ হয়নি। স্বাধীন হয়ে কি যাবতীয় সমষ্যা ইভাপোরেট হয়ে গেছে???
    যায়নি তো। তাহলে বলুন বাংলাদেশ স্বাধীন হাওয়াটাও ভুলভাল।
  • কল্লোল | 236712.158.786712.95 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৫:২০50725
  • স্তালিনের মডেল কি মডেল না, সেটার চেয়েও বড়ো ক্থা এই অধিকার ছিলো - এটা সত্যি। এটুকুই।
  • Ishan | 237812.68.4534.93 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৫:৩১50726
  • "ঈশেন বাবু অবশ্য একটা দিকে লজিক্যালি ঠিক। উনি সোভিয়েত দেশের কথা বলেছেন শুধু, ওটাকে ভালো খারাপ বা ফলো করার কথা কিছু বলেন নি । কেন বললেন বা এই টইতে তার রেলেভ্যান্সি কোথায় তা অবশ্য জানা নেই।"

    যথেষ্টই বুঝেছেন। মুসলিম লিগের লাহোর প্রস্তাবের কথা উঠেছিল। সেখানে পাকিস্তান প্রসঙ্গে সার্বভৌম শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছিল। আমি বলি, যে, সার্বভৌম মানেই আলাদা জাতিরাষ্ট্র হতেই হবে এমন না। ১৯৪০ সালের হিসেবে। পিএম বললেন সে সময়ে সার্বভৌম রাজ্যদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কনসেপ্ট চালু হয়নি। সে প্রসঙ্গেই সোভিয়েত। সোভিয়েতে এই কনসেপ্টটি ছিল। ইউক্রেনে বা কাজাকস্তানে কী হয়েছিল, সে অন্য প্রসঙ্গ, কিন্তু কনসেপ্টটা অবশ্যই ছিল।

    ভারতবর্ষের ইতিহাস দেখলে দেখবেন, এই ধারণাটি নিয়ে প্রচুর টানাপোড়েন হয়েছে। শুধু পাকিস্তান নয়, বাংলা সার্বভৌম হতে চেয়েছিল। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত সার্বভৌম হতে চেয়েছিল। কাশ্মীরও তাই। কাশ্মীর অবশ্য দেশীয় রাজ্য ছিল। এরকম আরও কয়েকটি দেশীয় রাজ্য ছিল। তারা সার্বভৌমত্ব চেয়েছিল, কিন্তু আলাদা থাকবে বলে নয়। তারা স্ব-ইচ্ছায় সারভৌমত্ব সমেত ভারতীয় ইউনিয়নে (বা পাকিস্তানে) যোগ দিতে চেয়েছিল। ভারতবর্ষের এবং পাকিস্তানের এই ধারণাটি ছিল আল্গা। ঢিলে-ঢালা। উল্টোদিকে প্যাটেল এবং নেহরু একটি কেন্দ্রীভূত ভারতবর্ষ চেয়েছিলেন। মূলত সেই জন্যই ক্যাবিনেট মিশন প্রস্তাব প্রত্যাখান, বাংলা ভাগ, ইত্যাদি।

    শেষমেশ যদিও ভারতের নাম ইউনিয়ন, পশ্চিমবঙ্গ বা তামিলনাড়ু একটি স্টেট, রাজ্যগুলি ভাষা বা জাতিভিত্তিক, কিন্তু তাতেও জিনিসটা বকচ্ছপ হয়েই দাঁড়িয়েছে। মস্কোর আধিপত্যের মতো দিল্লির আধিপত্য। অনেকে অবশ্য তাতে খুশিই, কারণ এতে করে রাজকাপুরের নাম সারা পৃথিবীতে অনেকে জেনে গেছে, আর ভারতের ক্রিকেট টিম কতবার যেন বিশ্বকাপ জিতেছে।
  • | 236712.158.78.96 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৫:৩৯50727
  • অনেকেই খুশী হবেন জেনে যে কর্ণাটকেও ডিটেনশান ক্ল্যাম্প বানিয়েছে কংগ্রেস সরকার।
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৫:৪৩50728
  • আরে সেটাই তো জানতে চাইছি । এই সার্বভৌম মডেল এর ঠিকঠাক কোথায় কোথায় শান্তি পুর্ন ইমপলিমেনট হয়েছে? রেগে যাচ্ছেন কেন ?
  • PM | 236712.158.78.28 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৮:১১50729
  • ধন্যবাদ কল্লোলদা। এটা জানা ছিলো না যে অন্তত খাতায় কলমে সোভিয়েত দের বেরিয়ে যাবার অধিকার ছিলো।

    কিন্তু তাতে তর্ক টা থামছে না। ১৯২২ বা ১৯৪০ এর সংবিধানে কোথাও দেখি নি যে সোভিয়েত গুলো সভেরেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেট। অপানি কোথাও তার রেফেরেন্স পেলে দিন । সেচ্ছায় বেরিয়ে যাবার ক্ষমতা একটা মাত্র ট্রেট সভেরেনিটির।

    Moldova was declared a sovereign state on June 23, 1990 যদি মলদোভা আগে থেকেই সভেরেন থাকবে , তাহলে নতুন করে সভেরেনিটি ডিক্লেয়ার করার দরকার হলো কেনো ১৯৯০ তে?

    মুল প্রশ্নটা হলো "ইন্ডিপেন্ডেন্ট সভেরেন স্টেট" বলতে ৯৯% যা বুঝত , লাহোর রেসেলুসনে তা বোঝাতে চাওয়া হয় নি, অন্য কিছু বোঝাতে চাওয়া হয়েছে, এরকম ক্লেম করতে হলে এর সপক্ষে যতটা তথ্য দেওয়ার কথা লেখক তা দেন নি। তাই দেশ ভাগ হটাত হয়েছে---নেতারাই দাই--- আর পাবলিকের কোনো দায় নেই এই প্রোপোসিসন সাব্স্ক্রাইব এখ্নো করার মতো যুক্তি আসে নি।

    এর মানে কিন্তু এই নয় যে নেতাদের দায় নেই। অবশ্যি আছে। কিন্তু দুপারের সাধারন বাঙালী ও সমান দায়ী।
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ১০:২২50734
  • এলেবেলে,

    আমার পয়েন্ট টা হলো নেতারা অন্য গ্রহ থেকে উঠে আসা কোনো এলিয়েন এনটিটি নয়, ডেমোক্রেটিক সিস্টেম এ নেতা হলো সমাজের একটা বড়ো অংশের মানুষের নিজেদের বিশ্বাস, ভয়, এম্বিশন সবকিছুর একটা ব্রড রিফ্লেকশন। পাবলিক এর মধ্যে থেকেই নেতা উঠে আসে, যারা সেই বিশ্বাস বা ভয় কোনো কিছুকে ভালো করে এক্সপ্লইট করে সেটাকে একটা ভয়েস দিতে পারে। এখানে সমাজ বা দেশ বলতে ওপর থেকে নিচে সবাইকে মিলিয়ে ধরেছি আমি, কয়েকজন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নয়। আপনি নিজেই বলছেন দাঙ্গার প্রস্তুতি ছিল, কাদের বেশি কম ছিল সেটা প্রশ্নই নয়। কিন্তু সেই প্রস্তুতি কি ? তাতে একটা বড়ো গুন্ডা বাহিনী বা দলবল লাগে না ? তো সেই দলবল কি অন্য দেশ বা গ্রহ থেকে এসেছিলো ? তা নয় , সেই গুন্ডার দলবল যে একই সমাজ থেকে উঠে আসা এটা নিশ্চয় মানবেন ?

    আমি মনে করি না আদৌ ক্যাবিনেট মিশন মেনে নিলে দাঙ্গা হতো না, এটা ভুল প্রেডিকশন, জমি তৈরী করাই ছিল, না হলে তার জন্য প্রস্তুতি দরকার পড়ে না। কিছু না কিছু ছুতোয় দাঙ্গা লাগানো হতোই two নেশন তত্ত্বের র সাকসেসফুল এপ্লিকেশন করার জন্য। ততদিনে two নেশন তত্ত্ব ভালো মতো মান্যতা পেয়ে গেছে।

    ওই সমাপতন হিসেবে করলে কালকে মোদী বাবু ও বলবেন গোদরাতে ট্রেন জ্বালানো না হলে ২০০২ গুজরাট হয়না। সেটাও মেনে নেবেন আশা করি ? এই প্রশ্নটা ঈশেন বাবু কে অবশ্য।

    একই যুক্তি তে আমি মনে করি ২০১৯ এ যে জনগণ মোদিকে জিতিয়ে এনেছে, পাঁচ বছর পরে যদি দেশকে একটা বড়ো যুদ্ধের মুখে ফেলে দেওয়া হয়, যদি এমন হাল হয় যে পুরো দেশটাই জিজি তে গেলো , তখন সব দোষ মোদী বাবুর ঘাড়ে ফেলে জনগণ হাত ধুয়ে ফেললে হবে না, সেই জনগণের মেজরিটি অংশ এদেরকে জিতিয়ে এনেছে। এখানে ইন্ডিভিজুয়াল কেও কেও তার বিরোধিতা করেছে , সেটা ইম্প নয়, মেজরিটি যেটা বললো সেটাই ম্যাটার। এটা ভালো না লাগতে পারে, আমার ও লাগে না সব সময়, কিন্তু তাও বাকি অপশন গুলোর থেকে গণতন্ত্রকে বেটার অপশন মনে হয় কারণ বাকি গুলো বলতে, মোনার্কি, ডিকটেটরশীপ , টোটালিটারিয়ান - এগুলো আরো বেশি খারাপ।

    ঈশেন বাবু ক্লেম করছেন ক্যাবিনেট প্রস্তাব মেনে নিলে নাকি কোনো দাঙ্গা হতো না এবং সেটা ফ্যাক্ট। যা ঘটেনি সেটা ফ্যাক্ট কি করে হয় বুঝলাম না। আর জিন্নাহ কেন ক্যাবিনেট প্রস্তাব মেনে ছিলেন , তার দু একটা কারণ অলরেডি লিখেছি। তার মধ্যে এই তথাকথিত সরভোমত্ব-ফত্ব কিস্যুই ছিল না, যেটা মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস সেই সময়ে মুসলিম লীগ কে জাস্ট সংখ্যার জোরে স্টিম রোল না করতে পারে তার জন্য রাস্তায় একটা গোদা রোড বাম্পার লাগানোর চেষ্টা। এই ওপেন যুক্তুরাষ্ট্র মডেল খাতায় কলমে অনেক দেশে আছে, যেমন কল্লোলদা দেখালেন সোভিয়েত :) , কিন্তু প্রাক্টিক্যালি একটা মডেল কাজ করেছে একটা বড়ো দেশ এ শান্তিপূর্ণ ভাবে, তার উদা কিন্তু এখনো এলো না। সুতরাং যেটা কোথাও মেজর স্কেল এ রিয়েল লাইফ এ ট্রাইড এন্ড টেস্টেড মেথড নয়, শুধু কাগুজে তত্ত্বের র ওপর ভিত্তি করে সেই কেবিনেট মিশন তত্ত্ব বা জিন্না কে ফুল মার্ক্স্ দেওয়াটা আমার কাছে হাস্যকর লাগছে। উদা দেখান যেগুলো ইন্ডিয়ার সাথে তুলনায় আসছে, তাহলে নিশ্চয় ভুল মেনে নেবো।

    কংগ্রেস আর মুসলিম লীগ দুজনেই দাবার গুটি খেলে গেছে ওই টালতামাল সময়ে, যে ম্যাক্সিমাম মাইলেজ পেতে পারে ব্রিটিশ দের থেকে ৪৫-৪৭ এর চৈত্র সেল এর বাজারে। বাকিরা ও পারলে খেলতো নিশ্চয় , কিন্তু তারা পাত্তা পাওয়ার জায়গায় জাস্ট ছিল না। মুসলিম লীগ তখন মাত্র ৬ টা স্টেট এ ক্ষমতায়, বাকি সবকটাতে কংগ্রেস, সুতরাং বার্গেইনিং পাওয়ার তাদের ন্যাচারালি বেশি ছিল। এর মধ্যে কি হলে কি হতনা, এসব প্রেডিকশন জাস্ট পইন্টলেস।

    আর হ্যা, অত যদি জিন্নার সার্বভৌমত্বের প্রতি এতো প্রগাঢ় প্রেম ছিল, তাহলে ১৯৭১ এ রক্তগঙ্গা হয়না।

    আমার কাছে সামনে তাকানোটা জরুরি, আগে কি হয়েছে সেটাকে উল্টোনো যাবে না। বড়ো জোর হয়তো ৫০-১০০ বছর পরে পরিস্থিতি বদলালে একটা ক্ষমা প্রার্থনা আসবে ব্রিটিশ বা কংগ্রেস বা মুসলিম লীগের থেকে। তাতে ইতিহাস বদলাবে না।
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ১০:৪২50735
  • কল্লোল দা,

    এর আগে একটা টোয়িতে আপনার সাথে বাংলাদেশ নিয়ে লম্বা আলোচনা হয়েছিল। খুঁজে পেলে তুলে দিচ্ছি। আপনারা অখণ্ড বাংলার স্বপ্নে বিভোর, খুব ভালো কথা। মনে আছে আপনার যুক্তি ছিল অখণ্ড থাকলে নাকি হিন্দু মুসলিম পপুলেশন কাছাকাছি থাকতো , তাহলে দাঙ্গা হতো না। যখন আমি ১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ এ হিন্দু পপুলেশন কমে যাওয়ার ট্রেন্ড দেখলাম, তখন আপনার যুক্তি ছিল দেশভাগের ফলে মুসলিম পপুলেশন বেড়ে যাওয়ায় এর জন্য দায়ী। এবার যখন আমি লেবানন এর উদা দিলুম যেখানে মুসলিম খ্রীষ্টান পপুলেশন প্রায় ৫০-৫০ % থাকা সত্ত্বেও দাঙ্গা আটকায়নি , তখন আপনি যুক্তি নিয়ে এলেন বাংলায নাকি লালন ফকির , বাউল গানের যে সংস্কৃতি ইত্যাদি, তাতে নাকি বাঙালি কোনোদিন দাঙ্গা করতেই পারে না।

    বেশ লম্বা আলোচনা ছিল , অনেক কিছু লেখালেখি হয়েছিল, পারলে তুলে দেব ওটা।

    কিন্তু সমস্যা হলো ফ্যান্টাসি আর লজিক হাত ধরাধরি করে চলে না সব সময়।

    আর ঈশেন বাবু লাস্ট পোস্ট এ সেই আবার যথারীতি হিন্দি বনাম বাংলা র, রাজ্ কাপুর , ক্রিকেট ইত্যাদি চেনা ট্র্যাকে ফিরে গেছেন। তো সেটা সোজা করে বললেই হয়ে যেত , তার জন্য নরক দিয়ে শুরু করে এতো ১৯৪৫-৪৭ আমড়াগাছি টেনে আনার কি দরকার ছিল বুঝি না।
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৫ জুলাই ২০১৯ ১০:৪৩50736
  • ota NRC hobe last line e
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন