এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 236712.158.12900.34 (*) | ০১ জুলাই ২০১৯ ০৩:৪০50676
  • হ্যাঁ একমত
  • PM | 237812.68.45900.177 (*) | ০২ জুলাই ২০১৯ ০৩:০৪50678
  • কিন্তু সব দোষ নেতাদের আর নাগরিক রা সব দুগ্ধ পোষ্য নিরিহ শিশু, এই রকম ধারনাও ঠিক কি?

    একটা গনভোট হয়েছিলো না? তাতে সংখ্যাগরিশ্গ্ঠ লোকে পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দিয়েছিলো না ? সেই ভোট দ্বিজাতি তত্ত্বের সমর্য়্হনেও ছিলো না ? । এই "সামান্য" একটা লাইন টানার দাবি আদায়ের জন্য শয়ে শয়ে লোক মরেছিলো না দাঙ্গায় ? যারা করেছিলো তারা তো নেতা নয়? দুই পক্ষের সাধারন নাগরিক । রক্ত দিয়ে তারা ঐ দাগ টেনেছে। এখন হটাত করে ঐ সীমানা কিছু নয় -- সামান্য দাগ বল্লে হবে ?

    পরে ওপারের বাঙ্গালি কে আবার বহু রক্তের বিনিময়ের মানতে হয়েছিলো দ্বিজাতি তত্ত্বের একটা ডাইমেনসনের অসারতা-- যে সমস্ত মুসলিম এক আর অভিন্ন জাতি। সে অন্য কথা। এখানে প্রাসঙ্গিক নয়।
  • Ishan | 237812.68.8934.99 (*) | ০২ জুলাই ২০১৯ ০৩:৫২50679
  • গণভোট? মানে?????
  • গবু | 237812.68.674512.151 (*) | ০২ জুলাই ২০১৯ ০৫:৩৯50680
  • দ্বিজাতি তত্ব নিয়ে বা দেশ ভাগ হবে কিনা নিয়ে গণভোট?

    এটা নতুন লাগছে, বিস্তারিত জানতে চাই।
  • PM | 237812.69.3434.106 (*) | ০২ জুলাই ২০১৯ ০৫:৪১50681
  • ১৯৪৬ এর ভোট প্রায় একটা গনভোট।
    হাতের কাছে কোনো বই নেই এই মুহুর্তে রেফার করার জন্য।

    উইকি বলছে " In early 1946, new elections were held in India. With the announcement of the elections the line had been drawn for Muslim voters to choose between a united Indian state or Partition." এর একটা সাইটেসন ও দিয়েছে উইকি
  • PM | 237812.69.3434.58 (*) | ০২ জুলাই ২০১৯ ০৬:০৭50682
  • ৪৬ এর ভোটে মুসলিম লিগ এর মেন অ্যাজেন্ডা ছিলো পাকিস্তান। আর জনগন ভোট দিয়েছে ঐ অ্যাজেন্ডাতে। আর মুসলিম প্রধান অন্চলে ঐ অ্যাজেন্ডা জিতেছে বিতর্কহীন ভাবে।

    Religious slogans were utilized and the term ‘Pakistan’ was put forward. Some scholars state that the meaning of Pakistan was kept vague so that it meant different things to different people. On the other hand, Venkat Dhulipala observes that, rather than being vague, the proposals for Pakistan were vigorously debated in public, maps printed, economic foundations analysed and Pakistan was envisioned as a modern Islamic state.

    পাকিস্তানের মানে আজ ও বেশ ভেগ বেশিরভাগ পাকিস্তানির কাছে। এখনো তারা বলে

    পাকিস্তান কা মতলব ক্যয়া
    লা ইলাহা ইল্লল্লহা

    বাংলাদেশী রা এসব বলে না বিশেষ, ৭১ এর চেতনার জন্য
  • PM | 237812.69.3434.58 (*) | ০২ জুলাই ২০১৯ ০৬:০৯50683
  • ইংরাজী পার্ট টা কোটেসনের মধ্যে হবে
  • বিপ্লব রহমান | 236712.158.78.70 (*) | ০২ জুলাই ২০১৯ ০৬:৫৬50677
  • বুঝলাম, রাজনৈতিক কারণে সব দায় বাংগালির ওপর চাপানো হচ্ছে। সেদিন মিডিয়ার খবরে দেখলাম, আসামের নাগরিক পঞ্জির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ললক্ষাধিক, তাদের অধিকাংশই বাংগালি। মানলাম, এও রাজনীতি।

    কিন্তু এর বাইরে যে জাতি বিদ্বেষ, ভাষা বিদ্বেষ -- তা যাবে কি করে?
  • Ishan | 237812.68.8934.69 (*) | ০৩ জুলাই ২০১৯ ০২:০১50684
  • এটাকীসের কোটেশন জানিনা। তবে তিনটি কথা খুব স্পষ্ট।

    ১। অখন্ড ভারতে বিভাজন প্রসঙ্গে কোনো ভোট হয়নি। ৪৬ সালে আইনসভা নির্বাচন হয়েছিল মাত্র।

    ২। আইনসভা নির্বাচন কখনই গণভোট ছিলনা। ভারতবর্ষের জনতার মোটামুটি ১৩% উচ্চকোটির মানুষের ভোটাধিকার ছিল। কোনোভাবেই, ঘুরিয়ে পেঁচিয়েও এটাকে গণভোট বলা যায়না।

    ৩। কোনো সন্দেহ নেই, নির্বাচনে মুসলিম লিগের অ্যাজেন্ডা ছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই পাকিস্তান মানে একটি আলাদা রাষ্ট্র নয়। মুসলমানদের নিজস্ব ভূমি (খুব লুজ উদাহরণ দিয়ে বলা যায় গোর্খা পার্বত্য পরিষদ যেমন গোর্খাদের নিজস্ব ভূমি, আলাদা রাষ্ট্র নয়)। ৪৬ সালে অখন্ড ঢিলেঢালা ভারতবর্ষের প্রস্তাব সেই কারণেই মুসলিম লিগ মেনে নেয়। কংগ্রেস নেয়নি। বস্তুত ভারত এবং বাংলা ভেঙে দু-টুকরো হবে, এ নিয়ে কোনো ধারণাই ৪৭ সালের আগে লোকের তৈরি হয়নি। প্রবল কনফিউশন ছিল। নানারকম মতামত ছিল। কিন্তু আলাদা রাষ্ট্রের পক্ষে কোনো ম্যান্ডেট ছিলনা।

    এক কথায়, গণভোট হয়নি। হওয়া জরুরি ছিল।
  • Du | 237812.68.121223.51 (*) | ০৩ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩১50685
  • দায় যাদের সেই পার্টিগুলো কেউই আর নেই।
  • PM | 237812.68.121223.93 (*) | ০৩ জুলাই ২০১৯ ০৪:৪৫50686
  • ২ নং পয়েন্ট এ দ্বিমত নেই--- তিন নং এ আছে।

    পাকিস্তান মানে কি সেটা লাহোর অধিবেশন থেকেই যথেষ্ট ক্লিয়ার ছিলো। যারা লিগকে ভোট দিয়েছে তারা জেনে বুঝেই দিয়েছে। ১৯৪৫ এর আইনসভার ভোট আর ১৯৪৬ এর প্রভিন্সিয়াল ভোটের ফলের পার্থক্য খালি চোখেই দেখা যায়।

    প্যাটেল আর নেহরুর বেশ কিছু রেফারেন্স পড়েছিলাম -- যেখানে দুজনেই-- তাতে দুজনেই আর্মি তে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রিপ্রেসেন্টেসন নিয়ে চিন্তিত। পরবর্ত্তিতে পাকিস্তানের ইতিহাস দেখিয়ে দিয়েছে যে ওদের চিন্তা অমুলক ছিলো না।

    যাই হোক দেশ ভাগের আমিও সমর্থক নয়। পুর্ববঙ্গ আলাদা রাজ্য হিসেবে ভারতে থাকলেও আজকের ভারত আর বাঙ্গালি অন্য রকম হতো এটা বিশ্বাস করি।

    আমার আপত্তি আপনার ঐ বক্তব্য নিয়ে যে সব দায় নেতাদের সাধারন মানুষ নিরীহ গোবেচারা ---এই পার্ট টুকু নিয়ে।

    ১৯৪৬ এর পাকিস্তান অ্যাজেন্ডা লোকে সাব্স্ক্রাইব করেছে। তার পারেও হয়তো বাঙ্গলা ভাগ না হবার একটা সম্ভাবনা ছিলো,। ক্যাবিনেট মিশন ফেল করার পরে ডাইরেক্ট অ্যাকসন ডে তে বাংলার সামুহিক পার্টিসিপেসন ই দেশভাগ নিশ্চিত করে। যে লেভেল এর ইন্টেন্সিটিতে বাংলা জুরে মহাসমারোহে ডাইরেক্ট অ্যাকসন ডে পালন হয়েছে --- তাতে করে শুধু নেতারা দেশ ভাগ করিয়েছে এটা ধোপে টেকে না।

    তারপরেও যদি বলেন এটা শুধু চাট্টি অবাঙালী নেতার কাজ নেতাদের কাজ , তাহলে বলব আপনি পরোক্ষে PT বাবুর বিখ্যাত ছাগল তত্ত্ব সাবস্ক্রাইব করছেন। আমি বরং বলব সুইসাইডাল প্রবনতা বাঙালির জিন এ

    ( কংগ্রেস আর লিগ দুজনের কাছেই বাংলা ভাগ জরুরি ছিলো কেনো তা নিয়ে আমার মত আমি আগে নানা আলোচনায় বলেছি)
  • PM | 237812.69.3434.136 (*) | ০৩ জুলাই ২০১৯ ০৫:০৮50687
  • ছোট্টো করে আরেকবার বলে যাই

    ১। বাংলা এক থাকলে ভারতের একক বৃহত্তম জাতি হয় বাঙালিরা । কংগ্রেস আর তার পৃষ্ঠাপোষক দের কাছে এটা অ্যাকসেপ্টেবল ছিলো না কোনোমতেই যে স্বাধীন ভারতের পাওয়ার সেন্টার পুর্ব দিকে থাকবে

    ২। আবিভক্ত বাংলা পাকিস্তানে গেলে সেই সময় কলকাতাকে পাকিস্তানের রাজধানী না করা প্রায় অসম্ভব ছিলো । সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী আর রাজধানী দুই ই পুবে হত। আর পাকিস্তানের পওয়ার সেন্টার ও পুবেই থাকত। সেটা লিগ এর কাছেও অ্যাকসেপ্টেবল ছিলো না কোনো ভাবেই।

    অগত্যা দেশ ভাগ

    কিন্তু সাধারন বাঙ্গালী মুর্খের মতো এই খেলাটায় অংশ নিয়েছে, ঠিক যেভাবে মুল খেলোয়ার রা চেয়েছে সেই ভাবেই। আত্যন্ত আবেগ সর্বস্য আত্মঘাতী জাত আমরা
  • Ishan | 237812.68.8934.69 (*) | ০৩ জুলাই ২০১৯ ০৭:৫৫50688
  • কী মুশকিল ছাগলতত্ত্ব আসছে কোথা থেকে। দেশ তথা বাংলা বিভাগ বিষয়ে কোনো গণভোট হয়নি। শরৎ বসু বারবার গণভোট চেয়েছিলেন, করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি শুনলে আশ্চর্য লাগে, কেন্দ্রীয় আইনসভায় শরৎ বসু ছিলেন কংগ্রেসের দলনেতা (ধরা যাক প্রধানমন্ত্রীর সমতুল্য)। তাঁকেও কোনো আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। কংগ্রেসের তরফে পুরো সিদ্ধান্তই নিয়েছেন নেহরু এবং প্যাটেল, গান্ধিকে অবহিত রেখে অবশ্যই। এবং এর বাইরে আর কারো কোনো মতামত গ্রহণ করা হয়নি। ছ সপ্তাহেই মধ্যে র‌্যাডক্লিফ সায়েব, যিনি বিলেত থেকে পদার্পণ করেছিলেন, তিনি একটি লাইন টানেন। কোনো আগা-গোড়া বিবেচনা না করেই বলাবাহুল্য। সেটাই বাইবেলের মতো মেনে নেওয়া হয়। পাবলিক কেন, রাজ্যের কোনো কংগ্রেস নেতারও কোনো কিছু বলার ছিলনা ভাগাভাগির ব্যাপারে।

    প্রাদেশিক সভার ভোটেও, আগেই বললাম, ১৩% মানুষের ভোটাধিকার ছিল। কিন্তু তাতেও বিধানসভাতেও বিভাজনের পক্ষে-বিপক্ষে কোনো ভোটাভুটি হয়নি। ভোটাভুটি হয়েছে, "আপনারা পাকিস্তানে যেতে চান না ভারতে" এইরকম একটি লাইনে। বাংলা বিভাগ নিয়ে ভোটাভুটির দাবীও করা হয়েছিল। কিন্তু সরাসরি দিল্লির নির্দেশে সেটা করতে দেওয়া হয়নি। এইসব কান্ডের পরই শরৎ বসু পদত্যাগ করেন, তারপর ধীরে ধীরে নির্বাসনে। এসবের পরেও যদি বলা না হয়, যে গুটিকয়েক লোক মিলে দেশভাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বাকিদের অন্ধকারে রেখে, তো সেটায় ভুল কী? এ সবই ঐতিহাসিক সত্য। বুক বাজিয়ে করা হয়েছিল। এর দায় পাবলিক কেন নেবে? পাবলিকের ঘাড়ে দায় কেন চাপারে চাইছেন বুঝছিনা।

    বাকি রইল দুটো প্রসঙ্গ।

    ১। লাহোর প্রস্তাব। সেখানে মুসলমানদের জন্য "ইনডিপেন্ডেন্ট স্টেট" এর কথা বলা হয়েছিল, অবশ্যই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে স্টেট মানে কী? টিপিকাল যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি স্টেটই স্বাধীন, সার্বভৌম, স্ব-ইচ্ছায় একটি ইউনিয়নে থাকে। এর সঙ্গে ভারত ভেঙে পাকিস্তান বানানোর কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। পরের দিকে মুসলিম লিগ নেতারা অবশ্যই ভারত ভাঙার দাবী করেছিলেন, কিন্তু সেসব ৪৬ এর পরে। তার আগে অবধি ভাঙাভাঙি নিয়ে কোনো কথাই হয়নি। মুসলমানের নিজস্ব ভূমির কথা অব্শ্যই হয়েছিল।

    ২। ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে। ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে তে দাঙ্গা হয়েছিল। তারপর হয়েছিল নোয়াখালিতে। এছাড়া বাংলার আর কোথাও হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, দাঙ্গা কি পাবলিক করেছিল, না সংগঠিত ভাবে করা হয়েছিল? যথেষ্ট তথ্য আছে, যা দেখায় যে আজকের হিন্দুত্ববাদী দলগুলির মতো সেসময় হিন্দু এবং মুসলিম মৌলবাদী দলগুলি অস্ত্রশস্ত্র জমা করে সক্রিয়ভাবে দাঙ্গা বা গণহত্যা সংগঠিত করে। দুটো জায়গাতেই। কিন্তু তার পরে শত প্ররোচনাতেও ৪৭ এর পনেরোই আগস্ট পর্যন্ত আর কোথাও কোনো দাঙ্গা হয়নি। শরৎ বসু যথেষ্ট জোর দিয়েই বলেছিলেন, গণভোট নিলেই বোঝা যাবে বাংলার মানুষ সম্প্রীতি এবং ঐক্যের পক্ষে। সোচ্চারে এবং নিরুচ্চারে কিরণশঙ্কর রায়, ফজলুল হক, হাশিম, অনেকেই অবিভক্ত বাংলা মতের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু প্রস্তাবটাকে এগোতে দেওয়া হয়নি। না বিধানসভায় না গণভোটে।

    আপনি বেসিকালি যে মতটা দিচ্ছেন, সেটা খুবই বিপজ্জনক। সাম্প্রদায়িক অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, যে দেশভাগ না করে উপায় ছিলনা। আর এক ধাপ এগোলোএই বলা হবে, পুরোটাই পাকিস্তান হয়ে যেত, শ্যামাবাবু কোনোমতে হিন্দু বাঙালিকে রক্ষা করেন। এগুলো আদৌ সত্য নয়। ঐতিহাসিকভাবে। এই প্রচারগুলিতে সাবস্ক্রাইব করবেন না।
  • এলেবেলে | 236712.158.782323.31 (*) | ০৩ জুলাই ২০১৯ ০৮:১৯50689
  • সাইট ডাউন ছিল বলে হাজার চেষ্টা করেও লেখাটা দেখতে পারিনি যদিও সৈকতবাবুর ফেবু দেওয়ালে লেখাটা দেখেছি। পিএম ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে এবং সৈকত র‍্যাডক্লিফ লাইন নিয়ে যা বলেছেন তা ত্রুটিপূর্ণ। কাল চেষ্টা করব এ ব্যাপারে লেখার।
  • S | 237812.68.121223.141 (*) | ০৩ জুলাই ২০১৯ ০৯:৫৬50690
  • র‌্যাডক্লিফ লাইন কি অতটাও র‌্যান্ডামলি টানা হয়েছিল? যতদুর শুনেছি আসামে যাতে বাঙালীরা কখনই সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়, সেইভাবেই ভাগ হয়েছিলো। তার জন্য বোধয় একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জেলাকেও ওদিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। কেউ একটু কনফার্ম করবেন প্লিজ। এখন এই ব্যবস্থা র‌্যাডক্লিফ লাইন টানার পরে করা হয়েছিলো কিনা ঠিক জানিনা।

    ঈশানদার ইউনিয়নের ব্যাপারে যেটা বলছেন সেটা অনেকটা ইউকের মতন ব্যাপার। সেটা বোধয় অনেক বেশি লজিকাল প্রোপোজিশান হতো।

    পৃথিবীতে বেশিরভাগ নেশন স্টেট তৈরীই হয়েছে জাত এবং ভাষার নিরিখে, ধর্মের নিরিখে নয় (ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)। বেশিদুরে যেতে হবেনা - বাংলাদেশ আমার খুব প্রিয় উদাহরণ। ধর্ম যদি ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হত, তাহলে পাকিস্তান ভাগ হয়্না।

    এমনকি ভারতের আজকের কাশ্মীর সমস্যাটাও ঠিক ধর্মীয় নয়, স্বায়ত্বশাসনের। যদিও বিগত বেশ কয়েক দশকে ভারত সরকার (পাকিস্তানের ফাঁদে পা দিয়ে) এটিকে সফল ভাবে ধর্মীয় লাইনে নিয়ে গেছে এবং এখন ল্যাজেগোবরে হচ্ছে। পাকিস্তানের মধ্যে বেলুচিস্তান নিয়ে যে ঝামেলা রয়েছে স্বাধীনতরা পর থেকেই, সেটা তো জাতিসত্ত্বার ব্যাপার। ধর্মের ব্যাপার নেই সেখানে।

    আমার ধারণা জাতি ভাষাকে ইগনোর করে শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করে আজকের এই এত সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়েছে এই পুরো রাষ্ট্রভুমিকে। ইট ওয়াজ আ ভেরি ব্যাড একজাম্পল। দেশভাগ যেকোনও ক্রাটেরিয়াতে দেশ টুকরো করার মান্যতা দিয়েছে।
  • Ishan | 237812.68.4534.141 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩৮50692
  • আমি লিখলামই, মোটের উপর কী হয়েছিল। র‌্যাডক্লিফের লাইন টানার পদ্ধতি নিয়ে কিছু দ্বিমত থাকতে পারে, সে থাকুক। কিন্তু মোটের উপর গপ্পোটা তো এই। এতে জনতার কী ভূমিকা ছিল বলুনই না। জোর করে "আসলে পাবলিকই দুষ্ট" ফ্রেমওয়ার্কে ঢোকানোটাই অতিসরলীকরণ নয় কি?
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৫:০১50693
  • জনগণের ডাইরেক্ট ভূমিকা কোথায়, কোন দেশে, কোন আন্দোলন এ থাকে ? সে দেশভাগ হোক বা সিঙ্গুর এ টাটাকে তাড়ানো, সব জায়গাতেই তো কিছু নেতা নিজের স্বার্থে কিছু লুম্পেন কে নিয়ে অহিংস বা সহিংস আন্দোলন suru করে বা অনশনের নাটক করে , আর সেটাকে ই দেখায় জনগণের আন্দোলন বলে। চিট ফান্ড এর পয়সা থাকলে কয়েকটা মিডিয়া হাউস কেনা যায় আর সেই তথাকথিত গণ আন্দোলন কে ভরপুর পাবলিসিটি ও দেওয়া যায়। :) :)

    প্রতিটা বিষয়ে ১০০-% গণভোট নিয়ে সব কটা সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনো কালে কোনো দেশে চালু হয় ? ইন্ডিয়া র ওই ১৯৪৫-৪৭ এর টালমাটাল সময়ের কথা ছেড়েই দিলুম, যে যার মতো দাবার গুটি সাজাচ্ছে, এই হাল আমলে ব্রেক্সিট কেই দেখেন না, এতো গণভোট নিয়েও কেমন ছড়িয়ে লাট হয়ে যাচ্ছে।

    আমার মূল বক্তব্য জাস্ট কয়েকটা।

    ১। দেশভাগ করতে সমস্ত জনগণের মত ছিল এটা যেমন এক পেশে, তেমনি জনগণ গলা জড়াজড়ি করে সম্যের গান গাইছিলো, মাঝখান থেকে নেহেরু, প্যাটেল , জিন্নাহ আর র্যাডক্লিফ - জাস্ট এই চারজন মিলে দেশটাকে কেক কাটার মতো ভাগ করে দিয়ে গেলো, এটাও তেমনি এক পেশে। কলকাতার দাঙ্গা কত দিন ধরে চলেছিল ? প্রায় কয়েক মাস। সেটাকে খুব শান্তি পূর্ণ বাতাবরণ বলা যায়না। বাকি জায়গায় বেশি দাঙ্গা হয়নি, হিন্দু মুসলিম বেশির ভাগ আলাদা ঘেটোতে থাকা তার একটা বড়ো কারণ হতেই পারে। দেশভাগের পরে যেভাবে হিন্দু সংখ্যা কমে গেলো বাংলাদেশ এ , তাতে তো শান্তির নমুনা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না-? এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি ?

    এই যে মমব্যান ইমাম ভাতা, পুরোহিত ভাতা ইতুয়াদি চালু করছেন, এতে কি সংখ্যা গরিষ্ট লোকের মত আছে ? প্রমান কোথায় ? কোনো গণভোট হয়েছে ? না হয়নি , কারণ তিনি ভোট জিতে এসেছেন , এবার সংবিধানের মধ্যে থেকে তিনি কিছু অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিসিশন নিতেই পারেন। এবং সেটা ভালো না লাগলে পরের ভোট ওনাকে তাড়ানো যেতেই পারে (সেই দিকেই যাচ্ছে যদিও )। কিন্তু এটা বলা যায়না যে তিনি যা করছেন, তাতে সংখ্যা গরিষ্ঠের মত নিয়ে করছেন। হ্যা, ১৯৪৭ এ গণতন্ত্র বলে কিছু ছিল না ইন্ডিয়াতে ,তো কি আর করা যাবে। ঘড়ি তো আর ঘোরানো যায়না।

    ২। বাঙালির ইসলামিক নেতারা যদি পাকিস্তান নাই চাইতেন, যেটা অনেক বুজি বলে থাকেন আজকাল, দেশভাগ পুরো কংগ্রেস এর দায়, তাহলে ওনারা ভারতে থেকে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব তুললেন না কেন ? পাকিস্তান র টান র থেকে কি বাংলার টান বেশি ছিল- ? তার প্রমান কোথায় ? কল্পনা দিয়ে প্রমান কিছু হয়না।

    ৩। ভালো, খারাপ যাই হোক, দেশভাগ হয়ে গেছে। দুটো অন্য দেশ, তার নাগরিক আলাদা, আইন কানুন আলাদা। তাহলে উনকন্ট্রোলড ইমিগ্রেশন আটকানোর চেষ্টা করাটা ভারতের অধিকার এর মধ্যে পড়ে কি না ? এর মধ্যে আবার মানবতা ইত্যাদি টানবেন না, জাস্ট হ্যা বা না বললেই হবে।

    ৪। আসামের মেজর সব কটা পলিটিকাল পার্টি NRC কে সাপোর্ট করছে। তারা উনকন্ট্রোলড ইমিগ্রেশন এর বিরুদ্ধে। এবার সেটা জনগণের সাপোর্ট বলা যাবে কি না ? আমার মতে যাবে, কারণ গণতন্ত্রে মানুষ প্রতিনিধি নির্বাচন করে। এবার তারা যদি গুন্ডাকে নির্বাচন করে, সেটা তাদের দায়িত্ব। কিন্তু এর বিকল্প কোনো মডেল আছে কি -? এবার বিরোধিতা করতে হলে সেটাকে আইনের পথে সঙ্গবদ্ধ করা হোক।
  • | 236712.158.8956.230 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৫:০৪50694
  • একেবারে কপিবুক কেস অব ভিক্টিম ব্লেমিং।
  • সৈকত | 236712.158.782323.63 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৫:১৪50695
  • জানা ছিলই, আলোচনাটা সিঙ্গুর আর মমতায়-এ এসে পড়বে।
  • r2h | 124512.101.89900.159 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৫:২৩50696
  • 'এর মধ্যে আবার মানবতা ইত্যাদি টানবেন না' - এটা ভালো বলেছেন।
  • এলেবেলে | 236712.158.782323.23 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৫:২৬50697
  • সৈকতবাবু লিখেছেন --- ছ সপ্তাহেই মধ্যে র‍্যাডক্লিফ সায়েব, যিনি বিলেত থেকে পদার্পণ করেছিলেন, তিনি একটি লাইন টানেন। কোনো আগা-গোড়া বিবেচনা না করেই বলাবাহুল্য। সেটাই বাইবেলের মতো মেনে নেওয়া হয়। পাবলিক কেন, রাজ্যের কোনো কংগ্রেস নেতারও কোনো কিছু বলার ছিলনা ভাগাভাগির ব্যাপারে।

    লাইন টানার বিষয়টা এবং পদ্ধতিটা কিন্তু মোটেই অমন জলের মতো সহজ ছিল না।

    আসলে যেভাবে লাইন টানা হয়েছিল :

    ব্রিটিশ সরকারের তরফে ভাইসরয় মাউন্টব্যাটেন ১৯৪৭ সালের ৩ জুন বাংলা ও পঞ্জাব প্রদেশের বিভাজন সম্পর্কিত যে বিবৃতি প্রকাশ করেন, তার সংযোজনী অংশে ১৯৪১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে পঞ্জাব ও বাংলার কোন জেলাগুলিকে মুসলিম-গরিষ্ঠ এলাকা হিসাবে গণ্য করা হবে তার একটি তালিকা পেশ করা হয়। তার সতেরো দিনের মাথায় ২০শে জুন বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পর ৪ জুলাই পঞ্জাব ও বাংলার সীমানা কমিশনের চেয়ারম্যান হন ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের তথ্য মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল এবং ১৯৪৬ সালে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা স্যার সিরিল জন র‍্যাডক্লিফ। বাংলার সীমানা কমিশনের দুই হিন্দু (সরকারি ভাষ্যে ‘অমুসলিম’) সদস্য হিসেবে মনোনীত হন বিচারপতি বিজনকুমার মুখার্জি এবং বিচারপতি চারুচন্দ্র বিশ্বাস। দু’জন মুসলিম সদস্য হন বিচারপতি আবু সালেহ্‌ মহম্মদ আক্রম ও বিচারপতি এস এ রহমান। ৯ জুলাই সীমানা কমিশনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই সরকার কমিশনের প্রাথমিক কাজ চালানোর সুবিধার জন্য মুসলিম অধ্যুষিত ১৬টি জেলার তালিকা উল্লেখ করে ‘provisional boundary’ বা সাময়িক সীমানা নির্ধারণ করে দেয়।

    ওই সরকারি তালিকায় ১৬টি জেলা ছিল চট্টগ্রাম ডিভিশনের চট্টগ্রাম (মুসলিম ৭৩.৮%), নোয়াখালি (৭৮.৪৮%) ও ত্রিপুরা (৭৫.৪৮%); ঢাকা ডিভিশনের বাখরগঞ্জ (৭১.৬৩%), ঢাকা (৬৬.৮১%), ফরিদপুর (৬৩.৮%) ও ময়মনসিংহ (৭৬.৫৬%); প্রেসিডেন্সি ডিভিশনের যশোহর (৬১.১৬%), মুর্শিদাবাদ (৫৫.৫৬%) ও নদীয়া (৬১.৬৭%) এবং রাজশাহি ডিভিশনের বগুড়া (৮৩.৩৬%), দিনাজপুর (৫০.৫৭%), মালদহ (৫৪.২৮%), পাবনা (৭৬.৯%), রাজশাহি (৭৫.৭৯%) ও রংপুর (৭০.৭৯%)। তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের এই হিসাবে উল্লেখিত ষোলোটি জেলাই যে পূর্ববঙ্গের ভাগে পড়বে, এমন কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। বরং বলা হয়েছিল যে পরস্পর সংলগ্ন মুসলমানপ্রধান এবং পরস্পর সংলগ্ন হিন্দুপ্রধান অঞ্চলগুলি যাতে একত্র সন্নিবেশিত হতে পারে, সে দিকে খেয়াল রেখেই কমিশন সীমানা নির্ধারণ করবে।

    র‍্যাডক্লিফ আশঙ্কা করেছিলেন যে কমিশনের সদস্যদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে রোয়েদাদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এই অনিশ্চয়তার হাত থেকে রেহাই পেতে ‘ইন্ডিয়ান ইনডিপেনডেন্স বিল’-এর ৩ ও ৪ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাব দেন। সরকার র‍্যাডক্লিফের এই যুক্তি মেনে নিয়ে ১০ জুলাই সংশ্লিষ্ট আইনের উপযুক্ত সংশোধন করে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তকেই কমিশনের অ্যাওয়ার্ড হিসাবে গ্রহণ করার কথা বলে। কমিশ গঠনের সময়েই রায় দ্বিধাহীন ভাবে গ্রহণ করা হবে বলে কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের পক্ষ থেকে সরকারকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বিচারপতি আক্রম ও রহমান ২৮ জুলাই তাঁদের রিপোর্ট জমা দেন। বিচারপতি মুখোপাধ্যায় ও বিশ্বাস রিপোর্ট জমা দেন তার একদিন পর। র‍্যাডক্লিফ ১২ অগস্ট তাঁর রোয়েদাদ লেখা শেষ করেন। পরের দিন তা বড়লাটের কাছে জমা পড়ে এবং মাউন্টব্যাটেনের ইচ্ছানুযায়ী ১৭ অগস্ট তা প্রকাশ্যে ঘোষণা হয়। নবগঠিত দুই দেশের মধ্য ভাগ হয় নদিয়া, যশোহর, দিনাজপুর, মাল ও জলপাইগুড়ি জেলা।

    মাউন্টব্যাটেন এই রোয়েদাদের বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ গোপন রাখতে চাইলেও রিপোর্টের সম্ভাব্য ফলাফল অনুমান করে নানা জায়গায় নতুন করে সাম্প্রদায়িক অশান্তি শুরু হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাঙ্গামা এড়ানোর জন্য ১৪-১৫ অগস্টে ক্ষমতা হস্তান্তর পর্ব শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটে যাওয়ার পর র‍্যাডক্লিফের রোয়েদাদ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন খোদ মাউন্টব্যাটেন। সেই অনুযায়ী তিনি প্রদেশগুলিকে জানান যে ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন পঞ্জাব ও বাংলায় provisional boundary-ই চালু রাখা হবে এবং ১৬ বা ১৭ই অগস্ট এই রায় জনগণকে জানানো হবে।

    প্রসঙ্গত, র‍্যাডক্লিফের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত সমস্ত কাজ থেকেই মাউন্টব্যাটেন নিজেকে যথাসম্ভব দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। সীমানা কমিশনের চেয়ারম্যান কে হবেন, সদস্য হিসাবে কাদের গ্রহণ করা হবে, কর্মপদ্ধতি কী হবে ইত্যাদি নানা আনুষঙ্গিক বিষয়ে কোনও অবস্থাতেই তিনি তাঁর বক্তিগত মত বা সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেননি। এমনকি কমিশনের রায় তাঁর কাছে জমা পড়ার পরেও তিনি এককভাবে সেটি খুলে দেখেননি।

    র‍্যাডক্লিফের ঘোষণায় কংগ্রেস বা মুসলিম লিগের নেতৃবৃন্দ যে একশো শতাংশ সন্তুষ্ট হবেন না, মাউন্টব্যাটেন তা আঁচ করতে পেরে ১৬ অগস্ট ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রোয়েদাদ সম্পর্কিত আলোচনায় বসেন। এই আলোচনায় নেহরু যেমন পার্বত্য চট্টগ্রামের পাকিস্তানভুক্তি মেনে নিতে পারেননি, তেমনই লিয়াকৎ আলি খান মানতে পারেননি দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির ভারতভুক্তি। এই চাপান-উতোরের মধ্যে মাউন্টব্যাটেন আপস সূত্র খুঁজে বের করার জন্য আলোচনার প্রস্তাব দিলে লিয়াকৎ আলি খান গোটা র‍্যাডক্লিফ রোয়েদাদকেই পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দেন। ফলে আলোচনার সমস্ত রাস্তা চিরতরে বন্ধ হয়।
  • PM | 236712.158.8956.230 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৫:৪৫50701
  • "আপনি বেসিকালি যে মতটা দিচ্ছেন, সেটা খুবই বিপজ্জনক। সাম্প্রদায়িক অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, যে দেশভাগ না করে উপায় ছিলনা। আর এক ধাপ এগোলোএই বলা হবে, পুরোটাই পাকিস্তান হয়ে যেত, শ্যামাবাবু কোনোমতে হিন্দু বাঙালিকে রক্ষা করেন। এগুলো আদৌ সত্য নয়। ঐতিহাসিকভাবে। এই প্রচারগুলিতে সাবস্ক্রাইব করবেন না।"

    যা বলি নি তা মুখে বসিয়ে বা দাগিয়ে যদি পয়েন্ট স্কোরিং করতে চান তাহলে করুন --কিন্তু তাহলে আলোচনার আর কিছু থাকে না।

    "ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে তে দাঙ্গা হয়েছিল। তারপর হয়েছিল নোয়াখালিতে। এছাড়া বাংলার আর কোথাও হয়নি। " এটা সঠিক তথ্য নয়। বাংলায় প্রথম সাম্প্রাদায়িক দাংগা হয় বোধ হয় ১৯০৭ সালে মৈমন সিংহে। তারপর সাংপ্রাদায়িক হিংসার ধারাবাহিক ডকুমেন্টেড ইতিহাস আছে। আর সেটা আপনি বল্লেই পাল্টে যাবে না। আমি খুব ডিটেলে কিছু বলতে চাই না খোলা পাতায় বর্তমান পরিস্থিতে। অ্যাকাডেমিক ছাড়া এই সব ঘটনার আর কোনো ভ্যালু নেই বর্তমানে। অনেক বই পত্র আছে , উৎসাহী লোকজন পড়ে নেবেন। সুরন্জন দাস এর একটা পেপারের লিন্ক দিচ্ছি "Communal Violence in Twentieth Century Colonial Bengal: An Analytical Framework" । শুধু ডেটা গুলো দেখতে পারেন। এই সব ক্ষেত্রে সমস্যা হলো অ্যানালিসিস নিরপেক্ষ পাওয়া খুব মুসকিল। কিন্তু ডেটা ডেটাই।

    https://www.jstor.org/stable/3517477?seq=1#metadata_info_tab_contents

    লাহোর প্রস্তাব নিয়ে আপনার বক্তব্য "টিপিকাল যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি স্টেটই স্বাধীন, সার্বভৌম, স্ব-ইচ্ছায় একটি ইউনিয়নে থাকে"
    জোর করে অংক মেলানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয় । এই ফরমুলা মেনে চলে এরকম দেশ ১৯৪০ সালে বিরল ই ছিলো । এখন ও EU ছাড়া এই ডেফিনিসন ফিট করা ইউনিওন/ দেশ বিরল। UK,US এর উদাহরন দিয়ে আমাকে আবার ৫০ লাইন টাইপ করাবেন না প্লিজ

    লাহোর রেসোলিউসন বলেছে-
    "The areas in which the Muslims are numerically in a majority as in the North-Western and Eastern Zones of India, should be grouped o constitute “Independent States” in which the constituent units shall be autonomous and sovereign." এখানে "সভেরেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেট" বলতে ১৯৩৭ সালে যা বোঝানো হতো তাই বোঝানো হয়েছে। বাকি অন্য মানের কল্পনা আপনি নিজের মতো করতেই পারেন, তাতে GST লাগে না

    বরং ভারত পাকিস্তান সম্পর্ক কেমন হবে বলতে গিয়ে এখাধিকবার জিন্না USA আর CANADA র কথা বলেছেন, সেটা ডকুমেন্টেড।
  • এলেবেলে | 236712.158.782323.31 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৫:৪৮50698
  • এবারে কথা উঠেছে দেশভাগ করেছিল নেতারা আর দেশের সাধারণ মানুষ কী সাধুপুরুষ ছিল? বলা বাহুল্য, এমন হাস্যকর প্রশ্ন যে গুরুর সিরিয়াস আলোচনায় উঠতে পারে তা কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি।

    ১. ১৯৪৭-এর এপ্রিলের মাঝামাঝি নেহরু বলেছিলেন : “পাঞ্জাব ও বাংলা বিভক্ত হবে; আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েই এ কথা বলছি” [Mansergh, N: The Transfer of Power 1942-7]।

    ২. অবিভক্ত বাংলা সম্পর্কে ৮ই জুন গান্ধী শরৎ বোসকে লিখেছিলেন, “নেহরু ও প্যাটেল অবিভক্ত বাংলার সম্পূর্ণ বিরোধী এবং তাঁদের মতে তফশিলী নেতাদের হিন্দুদের থেকে পৃথক করার এটা একটা কৌশল। এটা তাঁদের সন্দেহ নয় দৃঢ় বিশ্বাস। … তাঁরা আরও মনে করেন যে,ত ফশিলীদের ভোট কেনার জন্য জলের মত টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। যে ব্যবস্থাই হোক তার জন্য কংগ্রেস ও লীগের মধ্যে আগে চুক্তি হতে হবে। আমি যা দেখছি সেটা তোমার পক্ষে ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।” [CWMG, Vol 88, p.103]।

    ৩. কৃষ্ণ মেনন ১৯৪৭-এর ১৩ মার্চ মাউন্টব্যাটেনকে এক দীর্ঘ চিঠিতে বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রস্তাব দিয়ে লিখেছিলেন, বিভাগের বিরুদ্ধে বাংলার তুলনামূলকভাবে প্রবল বিরুদ্ধতা আছে। তবু স্থায়িত্বের জন্য দেশবিভাগ-রূপ দাম বাংলাকে দিতে হবে [The Transfer of Power 1942-7, Vol 9, p. 949]।

    ৪. মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবার পরে ৫ জুন বিড়লা প্যাটেলকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছিলেন : “আপনি যা চেয়েছিলেন সেভাবেই সব ঘটেছে। বাংলাকে বিভক্ত করার প্রশ্নটাও যে আপনি সমাধান করেছেন তার জন্য আমি খুবই আনন্দিত ”।

    ৫. বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার সময়ে শ্যামাপ্রসাদের বক্তব্য ছিল, বাংলায় তথা পাকিস্তানে হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য পশ্চিমবাংলায় ও হিন্দুস্থানে মুসলমানদের জামিন হিসাবে ব্যবহার করা হবে [Gordon L, Brothers against the Raj, p. 575]।

    ৬. ১৯৪৭ সালের এপ্রিল মাসে (৪ থেকে ৬ এপ্রিল) তারকেশ্বরে হিন্দু মহাসভার সম্মেলন থেকে সর্বপ্রথম বঙ্গভঙ্গের ডাক দেওয়া হয়। শ্যামাপ্রসাদ বলেন, 'সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধানে বাংলাকে দুই ভাগ করা ছাড়া আমি আর কোনো উপায় দেখছিনা।' বস্তুত সে সময় জিন্না বাংলাকে পাকিস্তানে নেওয়ার দাবিই করেননি। এপ্রিল মাসেরই ২৬ তারিখ, মাউন্টব্যাটেন জিন্নাকে জিজ্ঞাসা করেন, বিভক্ত বাংলা পাকিস্তানে না গিয়ে যদি যদি আলাদা হয়ে থাকে, তাহলে তাঁর কী মত। জিন্না উত্তরে বলেন, 'কলকাতা ছাড়া বাংলার মানে কী? ওরা আলাদা হয়েই অনেক ভালো থাকবে। আমি নিশ্চিত ওদের সম্পর্কে আমাদের ভালো সম্পর্ক থাকবে।'

    এঁদের বিরুদ্ধে বাংলার সাধারণ মানুষের লড়াই করার ক্ষমতা কতটা ছিল?
  • Amit | 237812.68.6789.99 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৬:০২50700
  • সাধারণ মানুষের এখন ঠিক কি কি করার ক্ষমতা আছে ? পাঁচ বছর অন্তর একটা ভোট দিতে পারা ছাড়া ? তও তো অনেক সময় পেরে ওঠে না।
  • এলেবেলে | 236712.158.782323.31 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৬:০২50699
  • পিএম লিখেছেন --- ডাইরেক্ট অ্যাকসন ডে তে বাংলার সামুহিক পার্টিসিপেসন ই দেশভাগ নিশ্চিত করে। যে লেভেল এর ইন্টেন্সিটিতে বাংলা জুরে মহাসমারোহে ডাইরেক্ট অ্যাকসন ডে পালন হয়েছে --- তাতে করে শুধু নেতারা দেশ ভাগ করিয়েছে এটা ধোপে টেকে না।

    ১. সোহরাওয়ার্দি একটি অতি উত্তম খচ্চর ছিলেন এবং তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল প্রায় শূন্য। ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে-তে তাঁর ভূমিকা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। কিন্তু তাঁর থেকেও অতি উত্তম খচ্চর ছিলেন কংগ্রেসের হিন্দু উচ্চবর্ণের নেতারা। তাঁরা তাক বুঝে অনেক আগেই অস্ত্রশস্ত্র-গাড়ি-মাস্তান রেডি করে রেখেছিলেন। এবং পুরো দোষটা চেপেছিল মুসলিম লিগের ঘাড়ে। এটা করা হয়েছিল as an excuse to go ahead with the transfer of power to a Congress-only cabinet.

    ২. পেথিক লরেন্সকে ওয়াভেল চিঠিতে জানিয়েছিলেন --- The strong reaction by Gandhi to my suggestion that Congress should make their assurance about the grouping categorical shows how well justified Jinnah was to doubt their previous assurances on the subject. It is to my mind convincing evidence that Congress always meant to use their position in the interim Government to break up the Muslim League and in the constituent assembly to destroy the grouping scheme which was the one effective safeguard for the Muslims।

    ৩. ক্যাবিনেট মিশন --- একটা লুজ কেন্দ্র যার হাতে থাকবে কেবলমাত্র প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া তিনটি অঞ্চলে থাকবে প্রদেশগুলো ক) হিন্দুপ্রধান; খ) মুসলিম প্রধান এবং গ) বাংলা ও অসম। এখানেও ঠিক হয়ে গিয়েছিল প্রদেশগুলোতে সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা না থাকলে কোনও সিদ্ধান্ত পাশ করা যাবে না। জিন্না পুরো মেনে নিয়েছিলেন এই প্রস্তাব, নেহরু সাময়িকভাবে মেনেছিলেন। এরপর ১৯৪৬এর জুলাইতে তিনি একতরফাভাবে ঘোষণা করেন the Congress was not bound by any agreements and that it would decide the fate of India in the constituent assembly itself. প্রথমে ১৯৩৭এ কোয়ালিশন না গঠন করা এবং ১৯৪৬এ ক্যাবিনেট মিশনের পিছনে ছুরি মারায় দেশভাগ বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। নাটের গুরু গান্ধী এবং তাঁর পুষ্যিপুত্তুর নেহরু।

    ৪. অবিভক্ত বৃহত্তর বঙ্গ - ফজলুল হক যথার্থ বলেছিলেন Politics of Bengal is in reality the economics of Bengal. এটা আরও শক্তিশালী হত কারণ অবিভক্ত বঙ্গে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সিংভূম-মানভূম-পূর্ণিয়া জেলা-সুরমা উপত্যকা এবং অসম। তাতে বাংলার যেমন বাড়ত অর্থনৈতিক শক্তি, তেমনই বাড়ত রাজনৈতিক শক্তিও। কিন্তু না, বাঙালি এখনও পশ্চিমবঙ্গ নামক একটি প্রায় মৃত রাজ্যের ক্ষুদ্র গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকতেই বড্ড ভালোবাসে। কারণ তাকে মুসলমানকে শত্রু মনে করতে হবে।
  • Amit | 237812.68.6789.105 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ০৯:২০50702
  • "সোহরাওয়ার্দি একটি অতি উত্তম খচ্চর ছিলেন এবং তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল প্রায় শূন্য। ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে-তে তাঁর ভূমিকা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। কিন্তু তাঁর থেকেও অতি উত্তম খচ্চর ছিলেন কংগ্রেসের হিন্দু উচ্চবর্ণের নেতারা। তাঁরা তাক বুঝে অনেক আগেই অস্ত্রশস্ত্র-গাড়ি-মাস্তান রেডি করে রেখেছিলেন।"

    এসব তো ডিসক্লেইমার , তথ্য নয়। দাঙ্গা করার সময় কোন পক্ষ বেশি তৈরী ছিল, সেটা হিসেব না করে তার পেছনে যে তেতো বাস্তব টা বেরিয়ে আসে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলে যেটা ক্লেম করা হচ্ছে, সেটা আসলে ফাঁপা, নাহলে দাঙ্গার জন্য প্রস্তুতির দরকার পড়ে না। PM র লিংকটা পড়ছি, তবে ঈশেন বাবু যে ক্লেম করলেন ১৯৪৬ র একশন ডে বাদ দিলে আর বিশেষ কোথাও দাঙ্গা হয়নি, তাহলে তো মোদী বাবু ও বলতে পারেন ২০০২ র পড়ে গুজরাট এ আর কোনো বড়ো দাঙ্গা হয়নি ? তাই না ? এবার এসবকে ভিক্টিম ব্লেমিং বা যা ইচ্ছে বলা যায় , বাস্তব টা তাতে ঢাকা পড়ে না।

    আর হ্যা, মমতার উদা টা জাস্ট উদা হিসেবেই দেওয়া, কিভাবে নেতারা নিজের ওপিনিয়ন কে পাবলিক ওপিনিয়ন হিসেবে ফ্যাব্রিকেট করে, এর মধ্যে বেশি কিছু খুঁজে লাভ নেই।

    দেশভাগের জন্য শুধু হাতে গোনা কয়েকজন নেতা আর ব্রিটিশ দের দায়ী করা মনে হয় বালিতে মুখ গুঁজে রাখা। সাধারণ মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত মানুষ কোথাও, কোনো দেশে দাঙ্গা করে না, গুজরাট, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ ও করে নি নিশ্চিন্ত। কিন্তু যখন নেতারা একটা বড়ো দাঙ্গা বাধানোর জন্য গুন্ডা, মাস্তান দের বিরাট দলবল জোটাতে পারে, সেই দলবল সেই দেশের সাধারণ গরিব মানুষের মধ্যে থেকেই আসে, অন্য কোনো দেশ থেকে উড়ে আসে না। ১৯৪৫-৪৭ তো আর ইসিস বা তালিবান ছিল না যে মার্সেনারি ভাড়া করবে।

    সেটাই বড়ো প্রমান যে সম্প্রীতির কাঁথায় আগুন দেওয়ার জন্য গুন্ডার সংখ্যা আদৌ কম পড়ে নি তখন।

    এবার সেই দাঙ্গা তে শুধু অবাঙালিরা ভাগ নিয়েছিল, কলকাতার বাঙালিরা কেও কিচ্ছু করেন নি বা দেশভাগ একেবারে চান নি, এসব বলা হাস্যকর। তপন রায়চৌধুরী র বই একটু পড়ে নেবেন।

    আমার করা সিম্পুল কোশ্নো গুলোর কোনো উত্তর দিলেন না কেও ?

    যদি সম্প্রীতি আদৌ ছিল, বাংলাদেশ এ সংখ্যালঘু এতো কমে গেলো কেন ? সম্প্রীতি কোথায় উড়ে গেলো ? এর থেকে তো ইন্ডিয়া তে বেশি সম্প্রীতি ছিল বা আছে বলা যায় স্ট্যাটিসটিক্স র ভিত্তিতে :) :)

    আইন অনুসারে স্টেট অফ ইন্ডিয়া আনকন্ট্রোল্ড ইমিগ্রেশন ঠেকাতে পারে কি না ? শুধু আইনের কথা বলা হচ্ছে।
  • Ishan | 237812.68.4534.117 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ১০:০২50703
  • পিএম।
    কী মুশকিল। আমরা তো একটা টাইমফ্রেম নিয়ে কথা বলছি। সেটা গুলিয়ে ফেললে তো হবেনা। আমাকে যা কোট কেরেছেন, দেখুন, সময়টা ডায়্রেক্ট অ্যাকশন ডে এবং তার পরে। আরও বড় করে বললে দ্বিতীয়বিশ্বযুদ্ধোতর সময় -- ৪৬-৪৭। তার আগে এবং পরে বাংলায় অনেক সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা হয়েছে, কিন্তু ওই সময়কালে ওই দুটোই হয়েছে। ৪৬-৪৭ এ কলকাতা আর নোয়াখালি ছাড়া অন্য কোথাও দাঙ্গা হয়নি।

    দ্বিতীয় কথা হল যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীতে বেশিরভাগই নেশন-স্টেট, সেকথা সত্য। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রও ছিল। তার নাম হল সোভিয়েত ইউনিয়ন। ভারতের গঠনে সোভিয়েতের প্রভাব নতুন কিছু না। যুক্তরাষ্ট্রও অজানা কিছুই ছিল না। ৩৭, ৩৮, ৪০ যেকোনো সময়েই। কাজেই ৩৭ সালে সভেরেন স্টেট বলতে লোকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্গত স্টেট বুঝতই না, এ নেহাৎই আপনার অজ্ঞতা।

    জিন্না এবং মুসলিম লিগ সাধুপুরুষ কিছু না। কিন্তু পাকিস্তান বলতে অন্তত ৪৬ সাল পর্যন্ত মুসলিম লিগ যে একটি মনোলিথিক আলাদা রাষ্ট্র ভাবতনা, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ আছে। একটি ঢিলেঢালা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় অখন্ড ভারতবর্ষের যে প্রস্তাব ক্যাবিনেট মিশন দেয়, মুসলিম সেটি গ্রহণ করেছিল। ডায়রেক্ট অ্যাকশানেরই কিছু মাস আগে। কংগ্রেস রাজি হয়নি। হলে ভারত-ভাগ এবং ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে কোনোটাই ঘটনা।

    আপনি পড়ছেন, খুবই ভালো কথা। কিন্তু টাইমলাইনগুলো দেখে একটু পড়ুন। ওই সময়টা খুব দ্রুত বদলের সময়। ৬ মাস এক বছরে বহু মানুষের বহু মতামত বদলে গেছে, বহু উথাল-পাথাল হয়ে গেছে। আর সুরঞ্জন দাস নিয়ে আমরা গুরুতেই অন্যত্র কোথায় যেন একটা আলোচনা করলাম। ওঁর লিস্টিতে কোনো সমস্যা নেই, যেটা আপনি দিয়েছেন, কিন্তু ৪৬ সালের দৃষ্টিভঙ্গী একটি নির্দিষ্ট ঘরানার।
  • Ishan | 237812.68.90056.167 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ১০:০৮50704
  • অমিতকে পরে লিখছি।
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ১০:৩৬50705
  • আর দেশ পেলেন না, শেষ অবধি সোভিয়েত? সোভিয়েত রাশিয়া কিভাবে আসপাশের সব দেশ গুলোকে কব্জা করেছিল, আর সাধারণ লোকের ওপর যা অত্যাচার চলেছিল, আপনি কি সেই মডেল ইন্ডিয়াকে ফলো করতে বলছেন ? aar তখন ব্রিটিশ ইন্ডিয়াতে সোভিয়েত এর প্রভাব কতটা ছিল ? প্লিজ , একটু বাস্তব অবস্থা থেকে দেখা হোক।

    ৪৫-৪৭ যে একটা টার্বুলেন্ট সময় সেই বিষয়ে আমরা সবাই একমত। পুরো দুনিয়ার পলিটিক্স এ ঐরকম টার্বুলেন্ট টাইম হয়তো আর আসে নি এখনো অব্দি। কিন্তু এই যে কেবিনেট মিশন জিন্না মেনে নিয়েছিলেন, নেহেরু মানেন নি , সুতরাং তারই দোষ, এটাও অতি সরলীকরণ।

    জিন্না আর নেহেরু র পলিউটিক্যাল লিভারেজ তখন এক ছিল না, কংগ্রেস একটা মেজর পলিটিকাল ফোর্স সেই সময়, আর মুসলিম লীগ কয়েকটা পকেট এ মাত্র। জিন্নার কাছে মুসলিম লীগের শক্তি বাড়ানোর একটাই হাতে গরম রাস্তা ছিল, সেটা হলো ব্রিটিশ দের সাথে সহযোগিতা করা। ওই সময় অখণ্ড ইন্ডিয়াতে যদি মুসলিম লীগ ৬০-৭০-% রাজ্যে ক্ষমতায় চলে আসতো, আর কংগ্রেস ৩০-৪০% এ আটকে থাকতো , তাহলে হয়তো কেবিনের মিশন নিয়ে তাদের মতামত উল্টো হতো। আবার এটাও আমার কল্পনা , কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।

    যেটা বলতে চাই, এতে জিন্নার মহানতা কিসুই নেই, সবই ওই সময়ের টালতামাল সময়ে যে যার মতো দাবার ঘুটি সাজানো। আর সাধারণ মানুষের কোনো দোষ নেই, এই কথার ও কোনো ভিত্তি নেই। কারণ তার কোনো তথ্য নেই, তখন ১০০-% গণভোট হয়নি, এটাও সত্যি , হলে কি হতো সেটাও জানা নেই, এটাও সত্যি।
  • Amit | 237812.68.6789.111 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৯ ১০:৫৩50706
  • আর কেবিনেট প্রস্তাব কংগ্রেস মেনে নিলে নোয়াখালী বা কলকাতা দাঙ্গা কিছু হতো না, এসব আপনার কল্পনা। বাস্তব নয়। বাস্তব হলো দাঙ্গার জন্য জমি তৈরী ই ছিল, সেকথা এলেবেলে ই লিখছেন, কংগ্রেস গুন্ডা জোগাড় করেই রেখেছিলো। আমি অবশ্য ধরে নিচ্ছি মুসলিম লীগ সেই সময় হটাৎ অহিংস হয়ে যায়নি। PM র লিংক টা দেখেন একটু, ভালো লেখা।

    দাঙ্গা কোথাও নিজে নিজে ঘটে না , ঘটানো হয় কোনো পারপাস এ। ক্ষমতার দখল একটা মেজর পারপাস সব জায়গায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন