এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • বইমেলা কড়চা - ২০১৯ প্রথম ভাগ

    Rouhin Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৮৩৬৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আদি পর্ব - লটারি

    উপন্যাস ছাড়া নাকি প্রোলোগ লেখার নিয়ম নেই - তাই বুজুরগলোগ মাপ করবেন - এই উপন্যাসোপম আখ্যানে এই আদিপর্বটা প্রতিবারেই ঘাপলা হয়ে যায়, তাই এবারে এটা দিতেই হল। কারণ না দিলে মিস। বইমেলার লটারি এক জব্বর বস্তু - সে অভিজ্ঞতা না কহিলেই নহে। অতএব গিল্ড লটারির কথা অমৃতসমান - পূণ্যবানেরা আসুন আসুন - পিঁড়ে পেতে বসে পড়ুন। গিল্ড ফ্রী তে চা খাওয়ায়, এমন কি টপ বিস্কুটও খাওয়ায়, হাতে হাতে নিয়ে নিন বাবাসকল, মা সকল। কৃতাঞ্জলিপুটে বসে পড়ুন।

    ঘোষিত সময় দুপুর বারোটা। জনতা সাড়ে এগারোটা থেকেই ঘুরঘুর কচ্ছে, ফ্রী চায়ের অপেক্ষা না করে অনেকে এমন কি নিজের পয়সায় চা পর্যন্ত কিনে খাচ্ছে (ভাবা যায়? বাঙালি!) - এদিকে কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে বারোটায় কত্তামশাই মাইকে বললেন, এবার তাহলে শুরু করি? কোন এক বেয়াড়া বলে উঠেছিল, টাইম তো বারোটায় ছিল - তিনি মধুর হেসে জানালেন, বারোটায় তো সবাই এসে পৌঁছান না, তাই - এরপরে আর কথা চলে না - ওঁরা আমাদের জন্য এত ভাবেন!

    এই লটারির দুটি পর্ব - প্রথম পর্বে হয় লটারির লটারি, আর দ্বিতীয় পর্বে সেই লটারির ওপরে লটারি। ব্যস - বুঝে গেছেন তো? জলবৎ তরলং? মানে এরপরেও না বুঝলে আপনার বোধশক্তি আমার মতই ছাব্বিশ মার্কা ধরে নিতে হবে আর কি - আমি যেমন গত তিন চার বছরেও বুঝে উঠতে পারলাম না এটা কেন করা হয়, কী এর মেকানিজম, মেকানিকাল অ্যাডভান্টেজই বা কী। তা সে যাগগে - আমি যা বুঝিছি, তা আপনাদিগেও বুঝায়ে বলি - প্রথম পর্বে লটারির লটারি মানে হল আসল লটারির সময়ে আপনি কত নম্বরে সুযোগ পাবেন সেই লটারি। তারপর দ্বিতীয় পর্বে সেই তত নম্বরে এসে আপনার সামনে যতটা ফাঁকা মাঠ পড়ে থাকবে তাতে কতটা গোল করতে পারবেন তার লটারি। এবারেও যদি না বুঝে থাকেন তো আমি নাচার - গিল্ডের অফিস পাঁচ বা ছয় নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে একটু এগোলেই পাবেন একটু কষ্ট করে জেনে নিন না বাবা। এত্ত কথায় কথায় গু গুলে দেখেন আর একটু গিল্ড গুলে দেখতে পারবেন না?

    এ বছর আমাদের তিন জনের দল - সেনাপতি শেখরদা, সঙ্গে আমি আর হুতো। অয়নের আসার কথা - সে অবশ্য নিজেই ভুলে গেছে সেটা, আমরা চাষার মত আশায় বসে আছি। বসে আছি আর ঠেলাঠেলি করছি - লটারি তুলতে কে যাবে? আমি ভাবলাম শেখরদাকে সিনিয়রমোস্ট ফোস্ট বলে হয়তো বার খাওয়ানো যাবে - কিন্তু শেখরদাও কমদিন এইসব চণ্ডাল চড়াচ্ছেন না - পোড় খাওয়া লোক। খুব সাব্লাইম একটা হাসি দিয়ে বললেন ‘না না - তোমরাই যাও’ - বলে আরও প্রশান্ত মুখে লটারি দেখতে লাগলেন - যেন রবি শাস্ত্রী কোহলির খেলা দেখছে। আর হুতো এমন একটা মুখ করল, যেন উলটে খাওয়া দূরে থাক, মাছটা ভাজা হয় এটাই একটা বড় খবর - মিত্রোঁ, মাছ ভাজিয়া উল্টাইয়া খাইতে হয় -

    এদিকে লটারিতে প্রথম দিকে সব ১২০-১৫০ এর মধ্যে তুলছিল, তারপরে আস্তে আস্তে ১২, ২৪, ৩৫ করতে করতে ১, ৪, ৭,৮ এসবও উঠতে লাগল। আর গুরুচণ্ডা৯ আর আসে না। আমরা এদিকে হিসাব করেই যাচ্ছি, পঞ্চাশের মধ্যে পেলে কোথায় বাছা যাবে, পঞ্চাশের ওপরে হলে কি, একশোর ওপরে হলে আর কোন আশা আছে কি না - ইত্যাদি। কোথায় কোথায় গ্যাপ রয়ে গেল - স্ট্র্যাটেজি শুনলে অমল দত্ত লজ্জা পেয়ে যেতেন। ডায়মন্ড সিস্টেম, গোল্ড সিস্টেম, পোড়ামাটির নীতি - সব আলোচিত হয়ে গেল। শেষে যখন গুরুচন্ডা৯ ডাকল, যথারীতি আমার পেছনে আর কেউ নেই - আমিই বীরদর্পে এগিয়ে গেলাম এবং লটারিতে উঠল ১৫৯। আউট অফ ২১০। অর্থাৎ ১৫৮ জন বুজুরগ তাদের জায়গা বেছে নেবার পরে যা পড়ে থাকবে সেখানে আমাদের খেলা। বার্বাডোজের সবুজ ঘাসের পিচে সকালের শনশনে হাওয়ায় টসে হেরে পতৌদি যেমন মুখ করে ফিরে আসতেন, সেরকমভাবেই আমার প্রত্যাবর্তন। শেখরদার পিছন পিছন আমিও আহত অবসৃত - চুপচাপ রেডিও বন্ধ করে দিলাম - এ ম্যাচ আর দেখার কী আছে।

    কিন্তু বার্বাডোজ কখনো কখনো তিরাশির লর্ডস হয়ে যায়। গিল্ডের ঘাসের পিচে হুতো যে এরকম স্যুইং এর ভেল্কি দেখিয়ে ম্যাচ বার করে আনবে সে আর কে বা ভেবেছিল? বিকালে শুনি দুই নয় তিন - স্টল নং ২৯৩ - লিটল ম্যাগের পাশেই, এবং কর্নার প্লটে, সামনে গানবাজনার উপযুক্ত ফাঁকা জায়গা এবং তার পাশেই ফুড কোর্ট - শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে পেছন দিকে ঠিকই - তা সেরকম দু-একটা ছয় তো ওরাও মারবেই - সে মারুক। দেখা হচ্ছে কমরেড - ৩০ এর ভোরে।

    অনাদি পর্ব - স্টল

    লটারির দিন, শুরুর আগেই স্যারেরা জানিয়েছিলেন, এবারে ১০ তারীখেই মাঠ পাওয়া যাচ্ছে - সাফিশিয়েন্ট টাইম, ২১ তারীখের মধ্যে স্টল মোটামুটি তৈরী হয়ে যাবে, তারপর এসে আমরা সরেজমিন তদন্ত করে যেতে পারি। এমন কি ভোটবাজারের মোদীর মতই এও আশ্বাস পাওয়া গেল যে তখন যদি আমরা কিছু বায়না টায়না করি তবে তা জরুর শোনা হবে। ২৭ থেকে ২৯ এর মধ্যে স্টল পুরো রেডি, সিকুরিটি থাকিবে, আমরা বই রেখে আসতে পারি - চাই কি বিক্কিরিও করতে পারি (!) - তবে ৩০শে উদবোধনের দিনে কোন পাঁয়তাড়া চলবে না। হীরকরাণীর বক্তৃতার দিনে পেঁয়াজি চলে না এ তো প্রজারা মেনেই নিয়েছে - এ আর এমন কি কথা? পরে অবশ্য সব ডেটই একদিন করে পিছালো - ৩০ তারীখ বোধায় পাঁজিতে কুষ্মাণ্ড ভক্ষণ নিষেধ ছিল। তা এ সব মন কি বাত শোনার পরে কি খুশী না হয়ে পারা যায় বলুন? আচ্ছে দিন তো এসেই গেছে। বায়না করব বায়না করব - গিল্ড আমাদের মাতাপিতাসম না হোক অন্ততঃ পিতৃব্য-মাতৃস্বসাসম (হামাপকে হাইকুন কেস ভাববেন না যেন আবার) তো বটে। আহা দু-একদিন বেশী তো লাগতেই পারে - ২১ ছেড়ে আমরা ২৩শে যাওয়া মনস্থ করলাম। কী মজা, কী মজা!

    মজা টের পাওয়া গেল ২৩শেই - গিয়ে দেখি স্টলের জায়গায় চারটে বাঁশ দাঁড়িয়ে। মনে ভাবিলাম মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে - তাই লিখি দিল বিশ্ব বাংলা স্টলের পরিবর্তে। আসলে ওই যে পিতৃব্যসম - পিতৃব্যরা ঠিক জানে কোন বেয়াড়া ভাইপো ভাইঝি বায়না করবেই - তো ল্যাও এবারে ফাঁকা মাঠে কী বায়না করবা, করো। না রহেগা বাঁশ - ইয়ে থুড়ি, বাঁশটুকু ছিল, অস্বীকার করার উপায় নেই - তবে তা দিয়ে বাঁশরী বাজানোর উপায় নেই - সে বাঁশের লক্ষ্য এবং গন্তব্য অন্য। অগত্যা গিল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে নিতান্তই স্টলটা বানিয়ে দেবার বায়না করে আসা গেল - খেতেই না পেলে আর সংস্কৃতির দাবী কে জানাবে। পুঁজিবাদ বিজ্ঞান - তাই উহা সত্য।

    ২৬শেও প্রায় একই অবস্থা - তবে হ্যাঁ প্লাই লেগে গেছে বটে। কাজ হচ্ছে না একথা বলার উপায় নেইকো - উন্নয়ন এক্কেরে চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ২৯ তারীখে সুমন জানাল প্রায় হয়ে এয়েচে, এবার বেঙ্গল মাস্ট মীন বিজনেছ। অতএব তিরিশের শুভ সকালে গাড়ি নিয়ে হাজির টিটিদিদি, সঙ্গে মারিয়া এবং বাঁচাইয়া। শেষোক্ত জন এই দলের প্রথম পুরুষ - সর্বার্থেই। প্রেস থেকে বই উঠে পড়ল গাড়ির ডিকিতে, নতুন বইএর মন কেমন করা গন্ধে মিশে গেল নতুন তালাচাবির গন্ধ। তারপর গাড়ি চলল গড়ফা, সেখানে আরো বই - পেটি পেটি। ততক্ষণে টিটিদির গাড়ির পেট ভরে গেছে - অতএব ট্যাক্সি - কালা-পিলা - কারণ তার অগাধ অ্যাপেটাইট।

    কলকাতা শহরে কালাপিলা পাওয়া, যে কিনা আপনার গন্তব্যস্থলে যেতে রাজি, এমন কি এক্সট্রা ভাড়াও চায় না - সে এক সাররিয়াল ব্যপার। কিন্তু ওই যে বলে অনুপ্রেরণা - একে তো আমাদের দিদি আছেন - তারপরে হুতো আছে - সেই অনুপ্রেরণার চোটে আমি আফ গঙ্গোও করে ফেললাম সেই অসাধ্য সাধন - মিনিট পনেরোর মধ্যেই কালাপিলা হাজির। দুয়ারে প্রস্তুত গাড়ি। ইতিমধ্যে টিটিদিদি এক মার্জার সুন্দরীকে মডেল বানিয়ে ফেলেছে। বাকি যাবতীয় পেটি এবং গাদা এবং ল্যাজা এবং মুড়ো সেই অ্যাম্বাসাডরে উঠে গেল - এবারে মিশন বইমেলা। চল পানসি বেলঘরিয়া।
    ইত্যাদি পর্ব - প্রেস

    হিজবিজবিজের এক বন্ধু ছিল, সে ছাতার নাম রেখেছিল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, গাড়ুর নাম পরম কল্যাণবরেষু। আমাদের একজন মুখ্যমন্ত্রী রেল স্টেশনের নাম রেখেছেন দীনদয়াল উপাধ্যায়, আরেক মুখ্যমন্ত্রী রাস্তার নাম রেখেছেন সত্যজিৎ রায় ধরণী। তা আমরা তো একাধারে গুরু এবং চন্ডাল - অতএব এসব মহান ব্যপারে আমাদেরও কিছু অবদান থাকা দরকার বলে মনে করি - কিন্তু এতটা প্রতিভাবান কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে অভাব পুরন করেছেন বর্ণনা প্রেসের সর্বেসর্বা গোবিন্দবাবু। তিন বছর আগে যখন এক ব্যাগ নব্বই ছাপা হচ্ছিল, তখন গোবিন্দবাবুর এই প্রতিভার প্রথম পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি কুর্মাবতারের নাম রাখলেন কুমড়ো, তারপর খান্ডবদাহনের নাম রাখলেন সৈকত, অমর মিত্রের নাম রাখলেন অরুণ মিত্র। তো এই গোবিন্দবাবু একজন নমস্য ব্যক্তি বুঝতেই পারছেন। বাংলা প্রকাশনার সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন, “ছাপাখানার ভুত” শব্দটার সঙ্গে তাদের সকলেরই কমবেশী পরিচয় আছে। কিন্তু গোবিন্দবাবুকে আজ অবধি বিশ্বাস করাতে পারিনি যে ওনার কোন ভুল হয় বা হতে পারে। এক অসীম ঋষিসুলভ ঔদাসিন্যে তিনি এসবের উর্দ্ধে উঠে যান এবং গুরুসুলভ গাম্ভীর্যে প্রমাণ করে দেন যে ভুলটা আসলে আমাদেরই। অতএব তিনিই যে আমাদের উপযুক্ত বোনাফায়েড মুদ্রক, এতে কোন সন্দেহই নেই। গোবিন্দবাবুর দর্শন পেতে হলে শেষ দিন শেষ ঘন্টার মেলায় চলে আসুন। মেয়ের বাবা যেমন বৌভাতের নেমন্তন্ন খেতে আসেন, ঠিক তেমনই ভাব করে গোবিন্দবাবু আসেন মেলায়।

    প্রেস থেকে বই আসা একটা পর্ব বটে। আসার আগেই পাই ইয়াব্বড় ফর্দ ধরায় - লক্ষ্মীপূজোর বাজারের ফর্দের সাইজ ওর থেকে ছোট হয়। তারপর যখন প্রেসে যাই, গোবিন্দবাবু তার স্বভাবসুলভ ঔদাসিন্যে বলেন ‘দেখছি’। সে দেখা শুধু তিনিই দেখতে পারেন - আমরা দু-একবার চেষ্টা করে দেখেছি - ঠিক যে বইটা খুঁজি সেটা থাকে সবার নীচে। এবং অনেক সময় সে ধরা দিয়াও দেয় না - কারণ তার ওপরে গোবিন্দবাবুর নিজস্ব নাম লেখা থাকে - ফলতঃ সে নামের মর্মোদ্ধার যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ বোঝারই উপায় থাকে না যে ওটা কী বই। এবং গোবিন্দবাবু যতক্ষণ নিজের কাজ করছেন, ততক্ষণ কারো পিতৃব্যের সাধ্য নেই তাঁকে সেখান থেকে ওঠায়। অতএব তাঁর ভরসায় বসে থাকি। তিনি পান চিবোতে চিবোতে কাজ শেষ করে উঠে আসেন, তারপর ম্যাজিকের মত বেরোতে থাকে একের পর এক বই। বর্ণনা প্রেসের অধিক বর্ণনা দিয়ে আর আপনাদের অবর্ণনীয় কষ্ট দেব না - তবে এই সকল ধুন্ধুমার সত্ত্বেও এ কথা না বললে অন্যায় হবে যে আমাদের এই শেষ মুহুর্তে ম্যাটার দিয়ে ঝড়ের গতিতে ছেপে দেবার বায়নাও দিনের পর দিন এই গোবিন্দবাবুই সহ্য করেন, এবং তাঁর সেই ঋষিসুলভ ঔদাসিন্যে - এ জন্য আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ।

    প্রথম পর্ব - মেলা শুরু

    ও হরি - এতক্ষণে প্রথম পর্বে আসা গেল। অর্থাৎ মেলা এবার শুরু হয়ে গেছে - লাগ লাগ লাগ লেগে যা ভেলকি। সেই যে ৩০ তারীখ আমরা ট্যাক্সিতে উঠে পানসি ছোটালাম - মানে আপনি যদি ভাবতে বসেন ট্যাক্সি কী করে পানসি হবে, তবে আপনি স্বাগত - ঋত্বিক তো বলেই গেছেন ভাবা প্র্যাকটিস করতে - অতএব ভাবা আপনার সংগ্রামী অধিকার - কিন্তু তার আগে এ-ও ভেবে নেবেন যে পানসি বেলঘরিয়া গেলে ট্যাক্সি করুণাময়ী আসে কি না। আমরা কিনা অ্যাডভান্স - অঙ্কে ফেলু মারা বুদ্দিজীবি, আমরা এসব আগেই ভেবে ফেলেছি - তাই দিব্যি তরতরিয়ে পৌঁছানু যথাস্থানে। এসে দেখি, ও মা! স্টল তো প্রায় রেডি! তবে কি না গেট নেই, এবং নেট নেই। গোটা বইমেলায় নেট নেই। স্টলের ভিতরে মেঝেতে একটা কালো ন্যকড়া ছিল - পরে জানতে পারলাম ওরে কার্পেট বলে। তাতে ৫০% কাপড় আর ৫০% ধুলো থাকে। আর আছে একটা টেবিল - উরিশ্লা - সে কী টেবুল রে ভাই - স্টলের সমান লম্বা পুরো - একটা দিক আটকে গন্ধমাদন হয়ে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন - অবস্থান করছেনও বলা যায়। এদিকে বইএর পেটিরা গাড়ি থেকে নেমে হাত পা ঝেড়েঝুড়ে স্টলে জাগা নেহি হ্যায় দেইখ্যা স্টলের বাইরের মাঠে জাঁকিয়ে বসেছেন। আমরা আর কী করি - তাঁদের সেখানেই চা জলখাবার চাট্টি খেতে দিয়ে ছুটলাম গিল্ডের অফিস - ডেকোরেটরের খোঁজে। গিল্ড কর্তারা চিরকালই অমায়িক, এবারে দেখা যাচ্ছে একটু বেশীই অমায়িক - যা-ই জিগাই, হাসিমুখে উত্তর দেন - উত্তর অবশ্য না-বাচকই হয়, কিন্তু না খিচিয়ে। ফলে মন খুশ হয়ে গেল। অনেক পাঁয়তারা করে ওঁদের ম্যাপ খুলিয়ে ২৯৩ এর অবস্থান বোঝানো গেল - তখন সেখানকার সুপারভাইজারের নম্বর দিয়ে বললেন যোগাযোগ করে নিন - উনি সব করে দেবেন। তবে একথা মানতেই হবে যে এই বিশ্বনাথবাবু (ডেকোরেটর) কিন্তু মোটামুটি যা চেয়েছি, করে দিয়েছেন - ওনার এক্তিয়ারের বাইরে না হলে। গেট লাগল, গেটে তালা লাগাবার হুড়কোও লাগল, “কার্পেট” হল টানটান, ধুলো পরিষ্কার হল কিছুটা - এবং সেই মহাটেবিলের মহাপ্রস্থান ঘটল। তার বদলে এল ছোট টেবিল। এদিকে মারিয়া তখন স্টল সাজাতে লেগে গেছে - ইন্টিরিয়র ডেকোরেশন। এক্সটিরিয়রের জন্য ওদিক থেকে আছেন হুতোবাবু - একের পর এক ইন্সট্রাকশন পাঠিয়ে চলেছেন - সেই অনুযায়ী কনস্ট্রাকশন হয়ে চলেছে। ইন্টিরিয়র এবং এক্সটিরিয়র - সে এক অনন্ত প্রক্রিয়া। কালও স্টলে গেলে দেখবেন ইন্টিরিয়র এবং এক্সটিরিয়রের কাজ হয়েই চলেছে। আর আপনারা যারা ‘মারিয়া’কে এখনো চেনেন না, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, মোদীর যেমন অমিত শাহ, দিদির যেমন ববি হাকিম, তেমনি পাই এর হল মারিয়া। কেউ কেউ বলেন গুরুমাতা ইন মেকিং - আমরা ফ্যাক্ট চেক করতে পারিনি।

    তা সে যাই হোক, সেই অনন্ত সজ্জাপর্বের মধ্যেই মেলা শুরু, জনসমাগম শুরু, বিক্রিবাটা শুরু, আর শুরু ছপি তোলা। যারা দূরে আছেন, তারা পারলে সবটাই ছবিতেই দেখে নিতে চান আর কি - ফলে সেই বিপুল চাহিদার জোগান দিতে বিপুল পরিমাণে উৎপাদন চলছে, চলবে। যে যেখানে যেমন পারছে ছবিছাবা তুলছে। নতুন বই এক এক করে আসছে - বিপুল দাসের তোমার সঙ্গে খেলা, আসামের নাগরিকপঞ্জী, মলয়দার নিজের বাছাই হাজির প্রথম দিনেই - তারপর একে একে মাঠে নামছে সব রথী-মহারথীরা - তন্বীদির মজুররত্ন, টিটিদিদির পাড়াতুতো চাঁদ, অমরদার নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান, দমদির সীজনস অফ বিট্রেয়াল, অর্চন আর অভিজিতের নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছের নতুন বাঁধাই সংস্করণ, এককের অতিনাটকীয় - মাঠ ময়দান তোলপাড় - হৈ হৈ রৈ রৈ মার মার কাট কাট ব্যপার স্যপার। গেছোদাদা এসে বইএর হিসাব লিখে নিলেন। তৃতীয় দিনে, অর্থাৎ দুই তারীখ আসার কথা পাইকিশোরীর - কিন্তু তার বিমান অত সহজে ওড়ে না। অগত্যা তিনি আবির্ভূত হলেন পরের দিন সকালে। মোচ্ছব জমে গেছে এতক্ষণে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৮৩৬৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • র২হ | 127812.61.672312.65 (*) | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২০49835
  • হইহই। লেখো বাপু। কিজানি কবে স্বাধিকার প্রমত্ত হয়েছিলাম তাই শাপেনস্তংগমিতwfh হয়েছি। রামগিরিও দূরে নয়। লবণহ্রদের অলকাপুরীর গল্পই শুনি।
  • dd | 670112.51.8912.144 (*) | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৯49836
  • বাঃ, দিব্বি হচ্ছে। রেগুলার হোক আপডেট।

    যারা যেতে পারলেম না, তাদের জন্য এই ই সই। আর ফটো টটো।
  • প্রতিভা | 670112.198.670123.238 (*) | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:১১49837
  • রৌহিন, অনেক ধন্যবাদ। তোমার জন্য দূরে দিল্লিতে বসেও বইমেলায় গুরুকে দেখতে পাচ্ছি। আরো লেখো ভাই।
  • pi | 7845.15.892312.208 (*) | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৬49838
  • ভাগ্যে পৌঁছে গেলাম, সে ফ্লাইট লেট করে টরে যতই কেলো হোক, নইলে এই লেখা পড়ে আরো চিত্ত উচাটন হয়ে থাকত!
    তবে যা চলছে, ভয় করে, এরপরেও যাওয়া হবেতো!
  • Rouhin Banerjee | 2345.110.345612.96 (*) | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৩১49839
  • আরে গ্গুরু গ্গুরু - সবে তো শুরু!
    জ্জয়গুরু
  • Tim | 89900.253.8956.205 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:২৭49841
  • অসা হয়েছে রৌহিনের বিবরণী। লটারির কমেন্ট্রি শুনলে অজয় বসু তোমারে মেডেল দিতেন হে! লেখো লেখো, দূর থেকেই পড়ি।

    পকেটে টান না দিয়েও মগজে শান দেওয়ার শুরু -- জ্জয়গ্গুরু !!
  • সিকি | 670112.215.45900.24 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২৪49842
  • প্রতিভাদি দিল্লিতে কী কচ্ছে?

    লেখাটা অসাম হয়েচে। হিয়ার আই কামেথ।
  • dc | 232312.174.4589.125 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৩০49843
  • শেক্সপিয়ারের সময়ে কি লোকে এইভাবেই বলতো? হিয়ার আই কামেথ?
  • সিকি | 670112.215.45900.24 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:১০49844
  • লিখত। কথ্যভাষা আর লেখ্যভাষা আলাদা হত তো।
  • কুশান গুপ্ত | 340112.215.3456.190 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৪৯49847
  • ভাই রৌহীন। তোমার লিখনে ক্ষুরের চেয়ে অনেক বেশি ধার। তাই বিশেষণ খুঁজে পাচ্ছি নে।
    ধার-আ-বিবরণী পড়ে বেশ মনে হলো এমত মৌলিক গদ্য লিখতে পারলে হেবি তৃপ্তি, সঙ্গে শম্ভু, শাওনি সবই হতো, মিত্র, পাত্র, শত্রু, অঞ্জন চৌধুরী, এমনকি রণজিৎ মল্লিক অবধি হতো।
    তবে, কাল গুরুর স্টলে অল্প সময় বাঁচিয়ে দু মুঠো চাউমিন তোমার থেকে ঝেড়ে মন্দ লাগেনি। আমরা মুড়ির টজকে বাদাম বাছি, চাও থেকে ডিমের কুচি।

    যদি বেশি সময় হাতেম, মানে হাতে পেতেম, তবে তোমার ভাগে কম পড়তো নিশ্চয়ই। হাতে সময় নাই, উড়ন্ত কার্পেট, হাতেমতাই এবং শঙ্খ ঘোষ সবই দুষ্প্রাপ্য।

    তবে, সময় একটুকুনি পেলে আবার যাব।
    স্টলের নাম ২৯৩, চন্ডালের নাম গুরু।

    মারিয়া, তোমাকেও বলি, এই দাদাটির সময় নাই বলিলেও চলে।

    গুরুর সবাইকে শুভেচছা।
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:০২49848
  • হিংসে দেব না, জ্জয়্গুরু, এনজয় গুরু :-)

    ছবিতে অনেক-কেই চিনি না, এটা একটা দুঃখ। আশা করি কখনো আলাপ হবে
  • pi | 2345.110.454512.9 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:২২49849
  • একবারো না এলে কাউকে চেনানো হবেনা!
  • pi | 2345.110.454512.9 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪৭49850
  • উফ্ফ আজ কত্ত যে লোকজন, কী যে হুল্লোড়!
    কতজনের সঙ্গে দেখা, কী ভাল লাগস!
    কটা সময় মনে হল ঝড় বয়ে গেল!

    ছবি কেউ দিয়ে দিক। হাজারেভ্হাজারে ছবি।
  • pi | 2345.110.454512.9 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪৮49851
  • আর রৌহিন লিখুক।!
  • pi | 7845.15.892312.208 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:১৫49845



















































  • সিকি | 670112.215.45900.24 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:৪২49846
  • হুঁ, গেছোদাদাও হাজির।
  • kihobejene | 3478.223.4567.61 (*) | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:১৩49840
  • darun laagche porte; aro update r jonno opekkhai roilam
  • হুতো | 232312.172.561223.64 (*) | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:২০49853
  • হ্যাঁ, এখানটা বড় ধোঁয়াশা। ম্যাচটা আসলে ঠিক হুতো বেরও করেনি, রিমোটলি পাইও ছিল সঙ্গে।

    হয়েছে কী, ১৫৯তম হয়ে তো সব বিফল মনোরথ হয়ে নিজ নিজ কাজে চলে গেল, বুঁদির গড় রক্ষা করার জন্যে আমাকে ফেলে। তার আগে বেলা দ্বিপ্রহরে অবশ্য আমরা ফুটপাথের মুরগীর স্ট্যু আর পাঁউরুটি খেয়ে পিত্তিরক্ষা করে নিয়েছি,দূর্গতোরণে নাকাড়া বাজার আগে (এগুলো ইমপর্ট্যান্ট, সাহিত্য বা রাজনীতি খালিপেটে হলেও হওয়া মোটে উচিত না, আর কলেজস্ট্রীট আমার কাছে মূলত এক সুবিশাল খাদ্যমেলা)।
    তারপর এদিক ওদিক গজল্লা করে মোটামুটি একশো পেরিয়ে যাওয়ার পর আবার রণভূমিতে অর্ধমৃত পদাতিকের প্রবেশ। এবং ঢুকেই পাইকে/ পাইয়ের ফোন। তারপর কিছুটা এরকম-

    "হ্যাঁ এই দুশো ছয় চলে গেল" "ছাপ্পান্ন নাম্বার নিয়ে নিল নবনেরুদা""সাতাশি আছে?""কোত্থেকে থাকবে মাথা খারাপ নাকি""এইতো ফেসবুকে দিয়েছে বাবাজী পাবলিকেশন একশো বত্তিরিশ ওর পাশে কিন্তু ফুটপাথে দাঁড়িয়ে বই বেচতে হলেও না""এই চলে গেল দুশো সাতাশ যাহ""জিজ্ঞেস করুন জিজ্ঞেস করুন, অ্যা কেউ কিছু বলছে না?""একশো সাতাশি কিন্তু ভালো""এই হলুদ স্টল গুলো কোথায়""এই ফেসবুকে দেখাচ্ছে লঘুসপ্তদশ ঈশাণ কোণের তিন নম্বর স্টলে - ওদের পাশে ফাঁকা নেই?""হরিমটর ম্যাগাজিন কোথায় পেল?""প্যাভিলিয়ন, সর্বনাশ""বাথরুমের পাশে পাঁচখানা এখনো ফাঁকা""ফুডস্টল থেকে থেকে বেরুতে গিয়ে আছাড় খেয়ে পড়ে গেলে কিন্তু সোজা দুশো পাঁচ দেখা যাবে - খুব ভালো লোকেশন""তাহলে কি আমরা কলার খোসা ফেলে রাখবো""লিটল ম্যাগের পেছনে কি দরজা আছে?"" ধরুন ধরুন, ও দাদা লিটল ম্যাগের পেছন--- হ্যাঁ থাকতে পারে" - এইসব করতে করতে স্থির হলো আমাদের লক্ষ্য বিপদ ও রহস্যসঙ্কুল বারমুডা ট্রায়েঙ্গেল- যার এক কোণে ফুড কোর্ট, এক কোণে বাথরুম, এক কোণে আত্মার আত্মীয় লিট্ল ম্যাগ। তারপর সেখান থেকে আরো ঘন্টাখানেক ঐরকম ফোনে একদিকে আমার কোন কোন স্টল গেল তার লাইভ আর অন্যদিকে ফেসবুকে কে কোথায় স্টল নিলো তার আপডেট দেখে এবং, অন্যতরে ফোনে পাইয়ের বিপুল জনসংযোগ ও প্রখর অ্যানালিসিসে কে কোথায় স্টল নিচ্ছেনা সেই খবর বিবেচনা করে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বারমুডা ত্রিকোনের ওপর দিয়ে তাক করে করে ছোঁ মেরে যে স্টলটা নেওয়া গেল তার সামনে আদিগন্ত সর্ষেক্ষেত, গানবাজনার বিপুল আয়োজন, রসিকজনেদের ছিলিমখানা, মহানায়কদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য, সংস্কৃতিতে ছয়লাপ। সেই আমাদের দুশোতিরানব্বই, স্বপ্নের ওয়েসিস।
    চমৎকার স্টল হয়েছে। তবে আগামীবার দুশো স্কোয়ারফিট চাই, এতে কুলোচ্ছেনা।
  • Kaju | 122312.242.016712.210 (*) | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩০49854
  • এই হচ্ছে প্রকৃত প্রাঞ্জল বর্ণনা, হুতোদার জবাব নেই, জলজ্যান্ত দেখতে পেলুম , না হলে বোঝা যায় কত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আজকের এই ২৯৩ পাওয়া গেল। আর এটাকে কিনা এক লাইনের ভাষার চাতুরীতে চেপে দেয়া হচ্ছিল ! অবশ্য তারও কারণ আছে, আপনারা যে হাল ছেড়ে হুতোদার ওপর ফেলে পালিয়েছিলেন সেই সত্যটি গোপন করিবার চেষ্টা।

    ও মশাই অঙ্কে নম্বর পেতেন কী করে এত ডায়নোসরের মত অতিকায় স্টেপ জাম্প করে?
  • হুতো | 232312.172.561223.64 (*) | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৭49855
  • কী মুশকিল কেউ তো ছিলনা, কী করে বলবে?
  • ipsita pal Bhowmick | 2345.110.125612.219 (*) | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:১৪49856
  • :)))
  • Tim | 013412.126.562323.237 (*) | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:৫২49857
  • আমার ধারণা পাই গোপনে গিল্ডের কাছে লেখাপত্র চেয়েছে বলেই ভয়ে ভয়ে ২৯৩ গছিয়ে সরে পড়লো। পরেরবার খনুদাকে পাঠিয়ে দুটো প্রবন্ধ চাইলে হয়ত গিল্ড আপিসটাই দিয়ে দিতে পারে। ট্রাই করলে হয়।
  • Kaju | 122312.242.016712.210 (*) | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:০৫49852
  • বেশ স্টেপ বাই স্টেপ এগোচ্ছিল, হঠাৎ "গিল্ডের ঘাসের পিচে হুতো যে এরকম স্যুইং এর ভেল্কি দেখিয়ে ম্যাচ বার করে আনবে সে আর কে বা ভেবেছিল?" সেই "কোথা হইতে কী হইয়া গেল, দস্যুর পিস্তল মোহনের হাতে" টাইপ জাম্প ! হুতোদা কীভাবে অসাধ্যসাধন করল আরেকটু খোলসা করতে হত। সটান রাণাঘাট-ডায়মন্ডহার্বার-তিব্বত করে দিলে হয়? সেই ২০১৫-তে তাপসদার লটারিপর্ব বর্ণন এখনো মনে আছে।
  • | 2345.110.893412.204 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৪49863
  • এ বাবা আমি ও গেসলাম কিন্তু দে র সঙ্গে দেখা হয়নি, কিন্তু ইন্দ্রানী দি , রৌহিন, ট, দমু , ইন্দো, আর ডার্লিং কল্লোল দার সঙ্গে দেখা হয়েছিল।গেছো র সঙ্গে দেখা হল, কিন্তু ব্ল‍্যাঙ্কির সঙ্গে একটু র জন‍্য‍্য দেখা হলো না, ও ব্রিগেড এ একঘন্টা র জন্য নেমেছিল, তারপর পুনরায় উলানবাটোর ।
  • | 2345.106.673423.207 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৯49864
  • তুমিতো রোববার গেসলে আর ব্রিগেডও রোববার ছিল। দে ত লিখেছে শনিবার গিয়েছিল।
  • pi | 2345.110.125612.14 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৫49865
  • খদার আমার সঙ্গে দেখা হয়নি! তাইলে আমি কোথায় ছিলাম!
  • r2h | 232312.171.782323.113 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:১৩49858
  • আর যে কোন সাড়া শব্দ পাইনা কারো।
  • Rouhin Banerjee | 342323.223.124512.18 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:৩৯49866
  • দ্বিতীয় ভাগ দিলুম। এটা একটু ছোটই হল - পরের ভাগে মেকাপ হয়ে যাবে আশা করি।
  • র২হ | 232312.171.782323.113 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:৫৪49867
  • চমৎকার! তবে দু’দিন ধরে ছবির জোগান কম, আর বুকমার্কের ছবি চেয়ে চেয়ে হদ্দ হয়ে গিয়ে অভিমান করবো না আর একটা দিন অপেক্ষা করবো স্থির করতে পারছিনা।
  • pinaki | 0189.254.455612.105 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:০০49859
  • দময়ন্তীদির লেখা বহু প্রতীক্ষিত 'সীজনস অফ বিট্রেয়াল' এখন পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় গুরুর স্টল নং ২৯৩ তে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন