এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • চিকা মারো ভাই, চিকা মারো...

    Biplob Rahman লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ | ২০৯৮ বার পঠিত
  • ০১. আমার সাবেক নকশালাইট বাবা আজিজ মেহেরের কাছে শুনেছি চিকা মারার (দেয়াল লিখন) ইতিকথা। ‘৭০ সালে কমরেড মনি সিং যখন পাকিস্তান সামরিক জান্তার কারাগার বন্দি হন, তখন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার কালো রাজপথে সাদা চুন দিয়ে লিখেছিলেন:

    “কমরেড মনি সিং এর মুক্তি চাই!”

    তবে চিকা মারা নাকি শুরু হয়েছিলো ‘৬৯ এর গণ অভ্যূত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে সময় ছাত্ররা জিগা গাছের ডালের এক মাথা থেঁতো করে বানাতো ব্রাশ। আর আলকাতরা দিয়ে দেয়ালে লেখা হতো স্বাধীনতাকামী নানা শ্লোগান।

    তো সেই সময় গ্রেফতার এড়াতে এ সবই করা হতো রাতের বেলা টর্চ জ্বালিয়ে। হঠাৎ রাস্তার টহল পুলিশ দেখলে ছাত্ররা নাকি আলকাতরার টিন লুকিয়ে ফেলে জিগার সেই সব ডাল লাঠি বানিয়ে ঝোপে – ঝাঁড়ে এলোপাতাড়ি বাড়ি দেওয়ার ভান করতো।

    “এতো রাতে বাইরে কেনো’’– পুলিশী এই জেরার সরল জবাব আগেই থেকেই তৈরি, “আমাদের হলে চিকার (ছুঁচো) খুব উৎপাত। এ জন্য আমরা চিকা মারতে বের হয়েছি।…”

    এ ভাবেই নাকি দেয়াল লিখনের নাম হয়ে যায় — চিকা মারা। ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনের সময় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পাটি চিকা মেরেছিলো:

    “ভোটের আগে ভাত চাই! ভোটের বাক্সে লাথি মারো, সমাজতন্ত্র কায়েম করো!”

    ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ওপর ফটো সাংবাদিক রশিদ তালুকদারের অ্যালবাম দেখে চমকিত হই। সেখানেও দেখি ঢাকার দেয়ালে আকাবাঁকা হরফে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির চিকা:

    “জনগণ অস্র হাতে তুলে নিন! সাম্রাজ্যবাদ ও তার সমস্ত পদলেহী কুকুরদের পরাজিত করুন!”

    বাবার কাছেই শুনেছি, স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বহারা পার্টি নাকি প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর হরতাল আহ্বান করতো। তারা বিজয় দিবসকে বলতো ‘ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীর কাছে পূর্ব বাংলার আত্নসমর্পণ দিবস!’ তখন কোথাও হরতাল না হোক, সর্বহারা পার্টির সদর দপ্তর বৃহত্তর বরিশালে পালিত হতো কড়া হরতাল। সেখানে বড় রাস্তার দেয়ালে দু- একটা চিকা মারলে বা কয়েক রাউন্ড কাটা রাইফেলের গুলি ফুটালেই নাকি হরতাল হয়ে যেতো।

    ০২. ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ সামরিক শাসন জারী করে ক্ষমতা দখল করলে সে সময় স্কুলের দেয়ালে চিকা পড়তে দেখেছি:

    “বন্যেরা বনে সুন্দর, সৈন্যরা ব্যারাকে।”

    ১৯৮৩-৮৪ সালে এরশাদ বিরোধী মিছিলে পুলিশের ট্রাক চাপায় সেলিম – দেলোয়ার শহীদ হলে আবারও স্কুলের দেয়ালে চিকা পড়ে:

    “ট্রাক চাপা দিয়েছো, আন্দোলন থামেনি। ট্যাঙ্ক চাপা দিলেও আন্দোলন থামবে না।”

    তখন এ সব চিকা মারা হতো বেনামে। আরো পরে ১৯৮৬ সালে শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলাম পুলিশের গুলিতে নিহত হলে জাসদ স্কুলের দেয়ালে চিকা মেরেছিলো:

    “বিপ্লবের লাল ফুল, শহীদ কমরেড তাজুল।”

    কলেজে উঠে আমি নিজেও জড়িয়ে পড়ি এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। ‘৮৮ সালের মহাপ্লাবনের সময় এই অধম নিজেই বিশ্রী হাতের লেখায় ঢাকার দেয়ালে চিকা মেরেছিলো:

    “বানের জলে ভাসছে মানুষ, সেই মানুষের খাদ্য চাই।”

    সে সময় আমরা চিকা মরতাম বেশ সহজ উপায়ে। আরামবাগের প্রেসগুলো থেকে কেনা হতো ছাপার কালো কালি। সেই ঘন কালিতে তারপিন তেল মিশিয়ে তরল করা হতো। তারপর আসবাব রং করার ব্রাশ দিয়ে লেখা হতো চিকা। মোটা হরফের জন্য ব্যবহার করা হতো জুতার ব্রাশ।

    সুন্দর হাতের লেখার জন্য কদর ছিলো মনিরুল ইসলাম কচির। সিলেট মেডিকেল কলেজের ছাত্র কচি ভাই ছুটিতে ঢাকায় এলে তাকে নিয়ে চিকা লেখার ধুম পড়ে যেতো। ঢাকার দেয়ালগুলো অলংকৃত করা শেষে কচি ভাইকে নিয়ে আমরা ছুটে যেতাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা — আরিচা মহাসড়কের দেয়ালেও চিকা মারা চলতো দেদার। ডাকসু কি জাকসু নির্বাচনের সময় পোস্টারিং এর পাশাপাশি আমরা চানখাঁর পুল থেকে ‘রূপবান’ টিনে ডিমাই সাইজের স্টেনসিল কেটে ভোটের চিকা মারতাম।

    ১৯৮৮ কি ১৯৮৯ সালের এক রাতে কার্জন হলের দেয়ালে কয়েকজন চিকা মরছি। হঠাৎ দেখি কক্ষচ্যূত মেধাবী কবি সফতার সিদ্দিকী বারান্দার এক কোনে মোমবাতি জ্বালিয়ে বই পড়ছেন। আমি তখন লিখছি:

    “মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, ধ্বংস হোক – নিপাত যাক!…”

    আমাদের মধ্যে একজন দুষ্টুমী করে কবিকে জিগেষ করে, ‘‘আচ্ছা ভাই, ধ্বংস বানান কি তালেবশ্য শ’ না দন্তস্য?’’ কবিও পাল্টা দুষ্টুমী করে জবাব দেন, ‘‘ধ্বংস নেতি বলে দন্তস্য। তবে অংশ ইতি বলে তালেবশ্য শ’!’’

    ০৩. এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির দেয়ালে অলংকরণসহ ছাত্র ইউনিয়নের এক বিশাল চিকা দেখে আমরা হাসাহাসি করতাম এর বয়ান দেখে। সেখানে লেখা হয়েছিলো:

    “আমরা সশস্ত্র হবো, অজস্ত্র মৃত্যূতে।…”

    আহা, যেনো মৃত্যূ কতো শস্তা জিনিষ!! তখন সবচেয়ে প্রশংসিত ছিলো ছাত্র ফ্রন্টের চিকা। সুন্দর হরফে লাল কালিতে তারা চিকা মারতো। তাদের একটা চিকা এখনো আমার চোখে ভাসে:

    “শিক্ষা সুযোগ নয়, অধিকার।”

    ঢাকার বাইরে গেলেই রেল স্টেশনগুলোতে দেখতাম তাদের পত্রিকা পড়ার আহ্বান জানিয়ে চিকা:

    “ভ্যানগার্ড পড়ুন।”

    ছাত্র ফ্রন্টের চিকাও নিয়েও আমাদের হাসাহাসি ছিলো খুব। আমাদের মুখে মুখে ফিরতো একটা মজার বুলি:

    “তুমি ছাত্র ফ্রন্টের চিকার মতোই সুন্দর, সরকারি প্রেসনোটের মতোন মিথ্যে তোমার ভাষণ!”

    ছাত্র রাজনীতি শেষে ১৯৯৩ সালে সাংবাদিকতার পেশাগত কাজে টেকনাফে গিয়েছি। একজন সহকর্মি দেখালেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক উচ্চারণে আর কাকের ঠ্যাঙ – বকের ঠ্যাঙ মার্কা হাতের লেখায় এক চিকা। খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে লেখা সেই চিকায় লেখা ছিলো:

    “একাত্তরের পামিলা, আর করিস না জামিলা।…”

    ০৪. অশান্ত পাবর্ত্য চট্টগ্রামের বেশ কিছু চিকার কথা প্রায়ই মনে পড়ে। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ১৯৯২ – ৯৩ সালে চিকা মেরেছিলো:

    “জেলা পরিষদের সমীরণ (সমীরণ দেওয়ান; সাবেক শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান), পাহাড়িদের দুশমন ।”

    আরেকটি:

    “জুম্ম (পাহাড়ি) জাতির নেতা এমএন লারমা, লও লও লাল সালাম!”

    ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর বাঙালি সেটলারদের ভূঁইফোড় সংগঠন প্রথমে ‘পার্বত্য গণ পরিষদ’, পরে ‘সম অধিকার আন্দোলন’ পাহাড়ে প্রচুর চিকা মারে:

    “বাঙালি গণহত্যাকারী সন্তু লারমার ফাঁসি চাই। পার্বত্য কালো চুক্তি মানি না, বাতিল করো। আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয় জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও।…”

    ইসলামী ছাত্র শিবিরের মতো কটকটে নীল কালিতে লেখা ‘কষ্টে আছে আইজুদ্দীন’ – চিকাটি অনেকেই অনেকদিন মনে রাখবেন। কয়েক বছর আগে জে. মইন-ফখরুদ্দীনের এক-এগারোর সেনা সমর্থিত অস্বাভাবিক সরকারের সময় চালের দাম যখন রাতারাতি কেজিতে ২০ টাকা+ থেকে ৪০ টাকা+ এ দাঁড়ালো, তখন প্রেসক্লাবের দেয়ালে রঙিন চক দিয়ে লেখা একটি চিকা দেখে চমকে উঠেছিলেন অনেকেই:

    “মর বাঙালি না খেয়ে ভাত, ফখরুদ্দীনের আশির্বাদ!”

    সবাই জানেন দেশ জুড়ে চিকা মারার মহোৎসব শুরু হয় ভোটের সময়। তবে এখন নির্বাচন কমিশন আইন করেছে, রাজনীতি এবং নির্বাচনী সব ধরণের কাজে দেয়াল লিখন করা যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মততিতে এটি প্রথমে নির্বাচনী আচরণবিধি ও পরে আইনে পরিনত হয়। তাই গত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের সময় যেমন কৃচ্ছতার হাঁড়িকাঠে এক কোপে বাদ দেওয়া হয় রং-বেরং এর চোখ ধাঁধানো সব চিকা।

    এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছাড়া তেমনভাবে আর চিকার দৌড়াত্ব চোখে পড়ে না। এর বাইরে আছে কোচিং সেন্টার, অর্শ-গেজ-ভেগন্দর-পাইলস চিকৎসাসহ আরো নানান সব বিচিত্র বিজ্ঞাপনী চিকা। তো আইন হয়ে কী শেষমেষ হারিয়েই যাবে আমাদের চিকা সংস্কৃতি?…
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ | ২০৯৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Biplob Rahman | 190.234.212.49 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০১:০৭47341
  • #Ekak.

    হা হা হা ! তারপর?
  • Dipu Samadder | 113.9.115.66 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০১:০৭47342
  • চিকা মারার উত্পোত্তি কোথা থেকে হোলো আজ জান্তে পার লাম। খুব মজা পেলাম। নতুন এক লেখা।
  • Biplob Rahman | 190.234.212.49 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০২:০৩47343
  • #Dipu Samadder

    সংগে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। চলুক।
  • ranjan roy | 132.168.145.160 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:১৪47344
  • ফাজলামি দেখলেইঃঃঃঃঃ
    তাই এককের সঙ্গে একটু দোহার দিই।
    ১৯৬৭ তে প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকারের সময় হঠাৎ গজিয়ে উঠল বি এন ভি পি। বঙ্গীয় ন্যাশানাল ভলান্টিয়ার পার্টি ওরফে জাগো বাঙালী।
    ওরা সারা শহর চিকায় ভরে দিল।
    বাঙালী জাগো! বাঙালী গর্জে ওঠ!
    ( নীচে কেউ লিখল-- কাঁচা ঘুম ভাঙিও না।)

    " বঙ্গভঙ্গই বাঙালীর অধঃপতনের মূল কারণ",
    ( নীচেঃ ভুল! ধ্বজভঙ্গই----- )।
  • Ekak | 125.115.139.226 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:১৩47340
  • বাহ ! ভালো হয়েছে । প্রাচ্য দেশে রাজনৈতিক দেয়াল লিখনের ইতিহাস নিয়ে খুব বেশি লেখা পড়িনি । আচ্ছা ,সম্রাট অশোকের সেই শিলালিপি কি রাজনৈতিক দেয়াল লিখনের পর্যায়ে পরবে ? অনেক চিন্তাভাবনা উস্কে দিলো লেখাটা ।

    অভ্যেসবশত এট্টু ফাজলামি করে যাই । "আমরা বাঙালি " দলের লোকরা কার্জন পার্কের গায়ে দেয়াল লিখেছিল
    " আশি শতাংশ বাঙালি বেকারের অবিলম্বে চাকরি চাই ",,,, আমরা বাঙালি ।

    কিছুদিন পরে দেখা যায় তার তলায় কে বা কারা দেয়াল লিখে গেছে :

    "বাকি কুড়ি শতাংশ কি হ্যান্ডেল মারবে ?" ....আমরাও বাঙালি !!
  • আরিফুজ্জামান তুহিন | 124.130.67.30 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৩৬47345
  • আমি যতদূর জানি তাহলো, পূর্ববাংলার শ্রমিক আন্দোলন যা সর্বহারা পার্টি প্রস্তুতি সংগঠন-এ সংঠনের নেতা কর্মীরা ঢাকাতে ৬৮ এর সময় ঢাকায় চিকা লেখে। তবে এর আগেই কম্যুনিস্ট পার্টির চিকার কথাও শুনেছি সাবেক সর্বহারা পার্টির একাধিক নেতার কাছে।
    সর্বহারা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক একজন সদস্য ও শ্রমিক এ বিষয়ে আমাকে জানিয়েছেন, সিরাজ সিকদার মাওয়ের বিভিন্দেন কোড ঠিক করে দিতে আর কর্মীরা সেসব ঢাকায় চিকা মারতেন।েএসব চিকা পরে পুলিশ মুছে ফেলতো। যারা লিখেতো তাদেরকে খুজে বের করার জন্য বিশেষ অভিযানও চলতো।
    পুলিশ রাতে এসব যুবকদের দেখে প্রশ্ন করলে তারা বলতো চিকা মারি (ছুচো মারি/যশোরের আঞ্চলিক ভাষায় কইলাম আরকি)।
  • Pakhi | 132.163.38.42 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:২৩47346
  • দারুন হয়েছে আপনার লেখাটা। এতে আমার স্বল্প সংযোজন:

    মধ্য ষাটের দশকে যুক্তফ্রট আমলে, একটা চিকা কলকাতার পাড়াতে রাড়াতে দেখা যেত -

    বাজার থেকে বেগুন কিনে মন হল প্রফুল্ল
    বাড়ি ফিরে কেটে দেখি সবি কানা অতুল্য

    এতে পশ্চিমবাংলার দুই কার্যত ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে শ্লেষ জানানো হয়েছিল (প্রফুল্ল ঘোষ ও অতুল্য ঘোষকে)।
    এই চিকা সম্ভবত বঙ্গীক কংগ্রসীরা করেছিল (ওই যাঁদের প্রতীক ছিল জোড়া বলদ)।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৩২47347
  • আই হেদো পার্কে বিবেকানন্দের মূর্তির নীচে লেখা লেখা ছিল -
    হে বাঙালী, ওঠো, জাগো
    (তার ঠিক নীচে কাঁচা হাতে লেখা ছিল)
    হাগো, ছোঁচাও
  • Atoz | 161.141.84.239 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:১২47354
  • এটা কবেকার দেওয়াল লিখন ছিল কলকাতায়? কোনো ভোটের আগে?

    "রাস্তার মোড়ে লালবাতি জ্বেলে শকুনেরা দেয় সন্ধ্যে/
    জোড়া বলদকে দেয়ালে লটকে ঠোঁট চেটে বলে ভোট দে।"

    এটার কথা পেয়েছিলাম বর্তমান পত্রিকায় দেওয়াল লিখন সম্পর্কে একটা লেখা পড়তে গিয়ে।
  • Biplob Rahman | 190.234.212.49 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৩ ১১:২৫47348
  • #আরিফুজ্জামান তুহিন,

    এপারের দেওয়াল লিখনের কথ্য ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংযোজনের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আরো বিশদ করে লিখলে পারতেন।

    নিঃসন্দেহে মহান মুক্তিযুদ্ধে সিরাজ সিকদার [এসএস] ও তার সর্বহারা পার্টি একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে, যদিও মুক্তিযুদ্ধের ব্যপারিরা বরাবরই সংগ্রামটিকে সর্বস্তরের দল ও মানুষের গণযুদ্ধ বলে প্রতিষ্ঠার বদলে এট একক দল বা কারো পিতা বা স্বামীর একক অবদানের ফসল বলে চালিয়ে দিতে চান। আরো দুর্ভাগ্য অস্ত্র নির্ভর আত্নঘাতি বিপ্লবের মোহে এসএস'র রাজনীতি এবং অপরাপর চরমপন্থী দলগুলোর সশস্ত্রপন্থা শেষ পর্যন্ত আত্নঘাতিতার চোরাবালিতেই হারায়।

    এসএস'র ওপরে একটি নোট লিখেছিলাম, সেই বোধহয় আপনার পড়া আছে [http://biplobcht.blogspot.com/2013/06/blog-post_21.html] । চলুক।
  • Ranjan Roy | 132.168.108.15 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৩ ১১:২৫47349
  • পাখি,
    ওর সঙ্গে কখনো সখনো থাকতোঃ

    আয় লো দিদি! মাইলো খাই,
    কংগ্রেসকে বাঁচিয়ে যাই।

    ( তখন পিএল ৪৮০ স্কীমে আম্রিকা থেকে গম এবং ঘোড়ার দানা মাইলো আসতো,রেশনে দিত।)
  • Biplob Rahman | 190.234.212.49 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৩৪47350
  • #ranjan roy, #Pakhi, # lcm,

    আপনাদের সংযোজনগুলোও "অতুল্য" ... হা হা হা... [প্রফুল্ল ইমো] :পি

    দেয়াল লিখন নিয়ে আমরাও কম দুষ্টুমী করিনি।

    কার্জন হলে ইসলামী ছাত্র শিবিরের একটি দেয়াল লিখন ছিলো এ রকম:

    "ইসলামী [গণ] আন্দোলন গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য: শিবির" ।

    আমরা "গ"টিকে "প" এবং "ণ" র ওপরে একটি রেফ যোগ করে সেটিকে বানিয়েছিলাম:

    "ইসলামী [ পর্ণ ] আন্দোলন গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য: শিবির" !! :ডি
  • Biplob Rahman | 190.234.212.49 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৩৭47351
  • #Ranjan Roy,

    আপনার ঝুলিটি দেখছি বেশ সমৃদ্ধ। আরো আছে নাকি? :পি
  • Ranjan Roy | 132.168.108.15 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৫৪47352
  • বিপ্লব,
    একটু একটু করে ছাড়বো! অনেকেই সাবধানবাণী দিয়েছেনঃ বয়সের গাছ-পাথর নেই! ফক্কুড়ি করতে লজ্জা করে না? শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢোকার বিপদ জানো?
    হিন্দিবলয়ের বন্ধুরা বলছেনঃ
    লৌন্ডোঁ সে ইয়ারি,
    গাধে কী সওয়ারি।

    (ছেলে-ছোকরার সঙ্গে লড়ে উঠবি কি রে এঁটে?
    গোটা শহর ঘোরাবে রে চড়িয়ে গাধার পিঠে!)
  • রোবু | 213.147.88.10 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৩ ১২:৪৪47353
  • এরকম ছিলঃ
    আভাদিদির মাইলো,
    সবাই মিলি খাইলো।
  • a | 132.164.180.51 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:১৬47356
  • আর ছিল সেই অমোঘ লিখ্ন, পড়লেই গা ছমছম করতো

    "মার্ক্সবাদ সত্য, কারন ইহা বিজ্ঞান"
  • aranya | 78.38.243.161 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:৪৭47357
  • অতুল্য ঘোষ কখনও মুখ্যমন্ত্রী হন নি, তবে পঃ বঙ্গে কংগ্রেসের সর্বেসর্বা ছিলেন। একটা চোখে দেখতেন না, তাই 'কানা অতুল্য' সম্বোধন। নিম্নরুচির পরিচয়। আমি জানতাম ওটা কম্যুনিস্ট পার্টির দেয়াল লিখন, বাংলা কংগ্রেসের নয়

    চাল র‌্যাশনিং হত, মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল ঘোষ বাঙালীকে কাঁচকলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই নিয়েও ছড়া ছিল, মনে পড়ছে না এখন।
    এই অতুল্য, প্রফুল্ল - এদের নামে প্রচার ছিল এরা নাকি বিশাল টাকার মালিক, স্টিফেন হাউস বেনামে এদের সম্পত্তি। অকৃতদার দুই নেতা মারা যাওয়ার পর দেখা যায় সবই মিথ্যা রটনা
  • রোবু | 213.147.88.10 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৯:১০47358
  • কানা বেগুন কানা অতুল্য কম্যুনিস্ট পার্টিরই সম্বোধন। কাঁচকলা নিয়ে ছড়া ছিল। আর ছিল 'কম খান আর গম খান' ।
    অবশ্যই এগুলো একটাও আমার ফার্স্ট হ্যান্ড জানা নয় :-)
  • Biplob Rahman | 190.234.212.49 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৯:৩২47359
  • ১৯৯০ এর ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন হয়। পরে এইচএম এরশাদকে নানা দুর্নীর্তির অভিযোগে জেলও খাটেন। ভোটবাজীর খেলায় ১৯৯৬ এর সংসদ নির্বাচনে এরশাদ পাঁচ-পাঁচটি আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন!

    ভোটের বাজারে এরশাদের দল জাতীয় পার্টির [জাপা] দেয়াল লিখন ছিল:

    "কে বলে রে স্বৈরাচার? এরশাদ মোদের অহংকার!"

    আরেকটি:

    "মোরা ভোরের পাখি, দিনের সূর্য, এরশাদ আদর্শের রণতূর্য! "

    নীচে আঁকাবাঁকা হরফে মন্তব্য:

    "আমরা সবাই এরশাদ হবো, এতো *জিনাত কোথায় পাবো? " :ডি :ডি

    * জিনাত মোশাররফ ছিলেন জনৈক ব্যবসায়ীর লাস্যময়ী স্ত্রী এবং এরশাদের প্রকাশ্য প্রেমিকা।
  • Biplob Rahman | 129.30.39.148 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৩ ১২:০৯47355
  • ক্রমেই জমে উঠছে দেখছি। সবাইকে সাধুবাদ। :ডি

    বোধগম্য কারণে সব অবশ্য ঠিকঠাক বুঝতে পারছি না্‍। দু একটা টীকাভাষ্য পেলে বর্তে যাই। হরিদাসগণ. আরও লিখুন।

    রঞ্জন দা. নেক্সট? :-)
  • Pubদা | 209.67.138.43 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:০৫47362
  • দারুন লাগছে - চলুক ঃ)
  • শঙ্খ | 169.53.174.142 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:৫২47363
  • অনেক আগে আবাপ তে রবিবারে বেরিয়েছিল এই ভোটের দেওয়াল লিখন নিয়ে একটা খুব ভালো প্রতিবেদন। আমার কাছে কাটিং ছিল (আগে খুব স্ক্র্যাপ বুক-এর নেশা ছিল। অশোক দাশগুপ্তর পুরো বাবুরাম সাপুড়ে সিরিজ জমানো ছিল, সেইসব খাতা কোথায় গেল কে জানে)

    সেইখানে পড়েছিলুমঃ

    জোড়াবলদের আটটি ঠ্যাং
    কংগ্রেসকে মারো ল্যাং

    রাশিয়ার কাস্তে আর চীনের তারা
    এর পরেও বলতে হবে, দেশের শত্রু কারা?

    চুয়াং চুয়াং চুয়াং ছা
    মাও সে তুং-এর বাচ্চা

    এটা তো সবাই জানেনঃ

    গলি গলি মে শোর হ্যায়
    রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়

    বা

    মেরা পরিবার মহান

    সর্বশিক্ষা অভিযান বা ঐ রকমেরই কিছুর সময় দেখেছিলুমঃ
    ভুখা মানুষ ধরো বই
    ওটা তোমার হাতিয়ার

    আর তৃণমূলের সেই অমোঘ দুটি "চিকা"

    চুপচাপ
    ফুলে ছাপ

    ফাটাও বিষ্টু
    ফোটাও ফুল

    ("ফাটাও বিষ্টু, সামনে হরিপদ, পেছনে গাড্ডা", জানিনা আর কেউ শুনেছেন কিনা, তবে হলদিয়া অঞ্চলে খুব জনপ্রিয় ছিল।)
  • Ranjan Roy | 24.97.63.123 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ১১:১৯47360
  • ১৯৬৭। প্রথম যুক্তফ্রন্ট বা অ-কংগ্রেসি সরকার হব হব করছে। সিপিএম নতুন রাইজিং ফোর্স।
    দুটো বড় দেওয়ালে আঁকা অসাধারণ সুন্দর দুটো চিকা!
    এক, হাড্ডিসার নেংটিপরা বুড়ো কিসান, চোখ দুটো জ্বলছে, সংগে লেখা সুভাষ মুখুজ্জের কবিতার লাইনঃ
    "পেট জ্বলছে, ক্ষেত জ্বলছে, হুজুর শুনে রাখুন,
    খাজনা এবার মাপ না হলে উঠবে জ্বলে আগুন।"

    শ্রমিকের ছবির পাশে সুকান্ত সেই বিখ্যাত লাইন কয়টিঃ
    "শোন রে মালিক, শোন রে মজুতদার,
    তোদের প্রাসাদে জমা হল আজ কত মানুষের হাড়,
    হিসেব দিবি কি তার?"

    দুটো চ্যাংড়া ছেলে জিলিপি খেতে খেতে খুব মন দিয়ে পড়লো, ছবির দিকে তাকিয়ে রইল, তারপর বল্লঃ
    ইস্‌, দেখেছিস? সুকান্তকে একেবারে গুলে গুলে লিখে দিয়েছে!
  • Ranjan Roy | 24.97.63.123 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ১১:২৬47361
  • সেই ইন্দিরা গান্ধীর কুখ্যাত ইমার্জেন্সির সময় হিন্দি বলয়ে চিকাঃ
    জনতা পার্টিঃ
    স্বর্গ সে নেহরু করে পুকার,
    বেটি ! বন্ধ করো অত্যাচার।

    কংগ্রেসের পালটাঃ
    স্বর্গ সে নেহরু করে পুকার,
    ইন্দিরা বেটি হিম্মত না হার!

    এর পর যখন ইন্দিরা কংগ্রেসের ইলেকশন সিম্বল 'হা'ত হলঃ
    ইয়ে হাত নহী, হাথোড়া হ্যায়,
    গণতন্ত্র কী মুহ্‌ কো তোড়া হ্যাঁয়।

    (ওটা হাতুড়ি, ওরে উজবুক,
    গণতন্ত্রের ভাঙলো মুখ।)
  • Ranjan Roy | 24.97.152.57 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৪৪47364
  • হিন্দিতেঃ
    পড়না লিখনা শিখো , ও মেহনত করনেওয়ালোঁ।
    পড়না লিখনা শিখো , ও ভুখ সে মরনেওয়ালোঁ।

    ৬৭ সালের গোড়ায় মাত্র চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব চলছে, লিউ শাও চি পদচ্যুত হন নি, কিন্তু 'হাউ টু বি এ গুড কমিউনিস্ট' নিন্দিত হচ্ছে। তখন
    বেকবাগানের মোড়ে কংগ্রেসের চিকাঃ
    " অস্তগামী লালসূর্য, হোথায় কাঁদে মাও সে তুং,
    আর কলিকাতায় কাঁদে লালিমা পাল(পুং)।"

    সিপিএম কাকা বোঝালেন ছন্দ মেলাতে অন্ত্যমিল আনতে পরশুরামের কচিসংসদ থেকে না বুঝে ঝেড়েছে।
  • Ranjan Roy | 24.97.152.57 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৫২47365
  • ডিঃ
    লেখাপড়ার গানটা কিন্তু ব্রেখটের "মাদার" নাটকের কোরাস থেকে নেওয়া। পুরো কবিতাটাই গান করা হয়। অনুবাদ সম্ভবতঃ প্রয়াত সফদর হাশমীর।
    এটা নব্বইয়ের দশকে ভারত জ্ঞান বিজ্ঞান সমিতি পরিচালিত সাক্ষরতা আন্দোলনের সময়ের। এখনো চলে আসছে।

    ইমার্জেন্সির সময় সিপিআই ইন্দিরাকে সাপোর্ট দেওয়য় চিকাঃ
    দিল্লি থেকে এল গাই,
    সঙ্গে বাছুর সিপিআই।

    ১৯৫৭, অবিভক্ত সিপিআইয়ের চিকাঃ

    ভোট দেবেন কিসে?
    কাস্তে-ধানের শীষে।
    জোড়াবলদের দুধ নেই,
    কংগ্রেসের ভোট নেই।
  • Biplob Rahman | 129.30.39.50 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:৩৪47366
  • বাহ! আপনাদের অভিজ্ঞতা দেখেছি ব্যপক।খুবই চমকপ্রদ ব্যপার...আমি মুগ্ধ। চলুক। (y)
  • Biplob Rahman | 212.164.212.20 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৩ ১২:৫৮47367
  • ["ইমার্জেন্সির সময় সিপিআই ইন্দিরাকে সাপোর্ট দেওয়য় চিকাঃ
    দিল্লি থেকে এল গাই,
    সঙ্গে বাছুর সিপিআই।"]

    এই চিকাটিকে খুব বুদ্ধিদীপ্ত মনে হয়েছে। ধন্যবাদ সবাইকে। চলুক।
  • kd | 47.228.106.251 (*) | ০৬ নভেম্বর ২০১৩ ০২:১৬47368
  • মনে হয় "প্রফুল্ল" "প্রফুল্ল সেন", "প্রফুল্ল ঘোষ" নন - কেননা ওই পোস্টার কলেজে থাকতে (আর্লি সিক্সটিসে) দেখেছিলুম, তখন উনি (সেন) মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ৷
  • বিপ্লব রহমান | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:৫৪91117
  • এই পুরনো লেখায় চোখ পড়তে আরেকটি দেয়াল লিখন/ চিকার কথা মনে পড়লো।  সেটাও যোগ করে দেই। 

    আটের দশকে বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানে জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় আসেন। তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে মুক্তিযোদ্ধা  কর্নেল তাহেরসহ অনেক সামরিক কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝোলান।  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কর্নেল তাহেরকে তাদের তাত্ত্বিকগুরু মনে করে। 

    নয়ের দশকে জেনারেল এরশাদ সরকারের সময় হাই স্কুলের দেয়ালে জাসদ মোটা কালিতে লিখেছিল, 

    "তাহের, তাহের বলে ডাক দেই,  ভেসে আসে মৃত্যুহীন লাশ,  বিপ্লব স্পন্দিত বুকে, কর্নেল তাহের শাবাশ!"                

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন