এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে - Mt DKD ব্সেক্যাম্প

    Blank
    অন্যান্য | ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ | ৭৩৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 213.132.214.88 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩:২৬727321
  • ঃ( সত্যি এ বছর কোথাও বেড়ানো হলো না এখনো অব্দি ঃ(
  • বোকা | 52.110.158.30 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১৪:৩৮727322
  • তাপ্পর?
  • dc | 132.164.235.212 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:২৩727323
  • "নাম পাল্টালে কি বন পাল্টায় রে ভাই"

    বাঃ এটা বেশ সুন্দর একটা প্রবাদের মতো লাগছে কিন্তু। এই যেমন হোআটসঅ্যাপে হয়তো অন্য একটা নাম নিলাম আর কেউ সে নিয়ে কমেন্ট করল, তো রিপ্লাই দিলাম নাম পাল্টালে কি বন পাল্টায় রে, ভাই?
  • রোবু | 213.132.214.83 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:২৫727324
  • বন না লিখে তখন মন লিখে দেবেন।
  • Blank | 213.132.214.84 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১৯:৪১727325
  • এদিক ওদিক পাখীর আওয়াজ হয় আর ছানা গাড়িয়ে থামিয়ে ক্যামেরা নিয়ে দৌড় মারে। কখনো মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায় গ্রে হেডেড প্যারাকিটের ঝাঁক, গাছে গাছে তাদের ঝগড়া; কখনো রাস্তার ধারে গাছের গায়ে নির্বিকার মুখে বসে থাকে এশিয়ান বেয়ার্ড আউলেট; ছোট ছোট ঝর্নার ধারে হোয়াইট কেপড রেডস্টার্ট ; আকাশে বিশাল ডানা জুড়ে থাকা স্টেপ ঈগল। (এই রাস্তায় ছানার তোলা কয়েকটা পাখী রইলো নীচে - রাহুল রায়চৌধুরি)







    পথের ধারে ম্যাগি আর ডিম্ভাজা, চম্বা থেকে তোলা গডফাদার - এই করে ৫ ঘন্টার রাস্তা আমরা পৌছলাম প্রায় সাড়ে সাত ঘন্টায়।
    গঙ্গার ধারে খুব ছোট একটা টাউন উত্তরকাশী। ২০১১ তে যখন প্রথম উত্তরকাশী আসি তখন গঙ্গার আওয়াজে কান পাতা যেত না। সবার সাথে চেঁচিয়ে কথা বলতো সারাক্ষন। এখন বড় বড় হাইড্রলিক প্রোজেক্টের জন্য থেমে গেছে সে আওয়াজ। কেদারের সেই ভয়ানক দুর্ঘটনায় উত্তরকাশী প্রচন্ড ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আগের বছরেও ভেঙে পরে থাকা বাড়ি ঘর দেখেছি। এবছর দেখলাম সেসব আর নেই - তবে ভাঙা চোরা শহর সারানোর কাজ এখনো চলছে।
    উত্তরকাশি বিখ্যাত গঙ্গোত্রি, গোমুখ রুটের জন্য। গোমুখ, তপোবন, গঙ্গোত্রী ন্যাশনাল পার্ক ইত্যাদি যাওয়ার পারমিট মেলে এখান থেকেই। টাউন ছেরে পাহাড় বেয়ে একটু এগোলেই নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেরিয়াং (NIM) এর বিশাল ক্যাম্পাস।
    হোটেলে ব্যাগপত্তর রেখে কয়েক প্লেট মোমো খাওয়ার মাঝে দেখা করতে চলে এলো আমাদের গাইড - প্রেম ঠাকুর। আপাতত আমরা প্রেমের সাথে NIM যাবো শপিং এ। রাতে প্রেমের বাড়ি নেমতন্ন, প্রেম রাঁধে বড় ভালো।
  • সিকি | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১৯:৪৫727326
  • নষ্টালজিক হয়ে যাচ্ছি। সেই এনআইএম, সেই প্রেম।
  • Blank | 213.132.214.84 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১৯:৪৭727327
  • এবারে হাতে সময় ও ছিল বেশী। পুরো NIM ঘুরে দেখেছি, বলছি সেসব।
  • Blank | 213.132.214.84 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ২০:০৭727328
  • প্রেম একটা মারুতি গাড়ি কিনেছে রিসেন্টলি - মারুতি ৮০০। গাড়িটার বয়স মনে হয় আমার চেয়ে বেশী, তবে বসার সীট, দরজা আর স্টিয়ারিং আছে। গাড়ীটাকে ঠেলে না দিলে চলে না, তাই খুব সিওর নই যে আদৌ ইঞ্জিন আছে কিনা।
    যাকগে, সেই গাড়ি করে আমরা চললাম NIM। আমাদের মেন টার্গেট NIM থেকে কয়েকটা ট্র্যাকস্যুট কেনা। NIM এর নিজেদের দোকানে মাউন্টেনিয়ারিং আর ট্রেকিং এর সব রকম ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায় আর সেগুলোর যেমন কোয়ালিটি তেমন দামে সস্তা। যেকোনো নামী ব্র্যান্ডের হাফ বা কোয়ার্টার দামে এখানে যে কোয়ালিটির জিনিস পাওয়া যাবে তার তুলনা হয় না।
    আমি কিনে ফেললাম কয়েকট্রা ট্র্যাকস্যুট আর ছানা কিনে ফেল্লো একটা ফেদার জ্যাকেট। এরপর টাকা দেওয়ার সময় সমস্যা - কার্ড মেশিন কাজ করছে না। শেষে ব্যবস্থা হলো প্রেমের সাথে। আমরা প্রেমকে ব্যাংক ট্রান্সফার করে দেবো আর প্রেম এখানে পে করে দেবে পরে। প্রেমের নিজের ভাগ্নে NIM ক্যান্টিনের রাঁধুনী - তাই চাপ নেই কোনো।
    এই সব ঝামেলার মাঝে শুরু হলো ডিমট নিয়ে কথা বার্তা। বড়ই খারাপ হাল চলছে এদিকে। এখানে লোকাল ব্যাংক গুলো নিজেরা সপ্তাহে সাত/আট হাজার মতন লিমিট সেট করে দিয়েছে। প্রেমকে আমি যাওয়ার আগে ব্যাংক ট্রান্সফার কর দিয়েছিলাম পুরোটা - কিন্তু সেটা তখনো তুলে উঠতে পারে নি সে। কিভাবে পোর্টারদের টাকা দেবে তাই নিয়ে টেনশানে। আর এইটা যদি পরের সীজন অব্দি কন্টিনিউ করে তাহলে ভয়ানক মার খাবে ট্যুরিজম। একটা বড় এক্সপিডিশানে, পোর্টার খরচ পরে ৭০/৮০ হাজার। পোর্টার দের পে করতে গেলে ১০ সপ্তাহ ধরে তুলতে হবে সেই টাকা - একি সম্ভব !!
    আমাদের আলোচনার মধ্যেই যোগ দিলো NIM এর কয়েকজন কর্তা ব্যাক্তি। রাজনৈতিক কথাবার্তার মাঝে তারা উৎসাহ নিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতে শুরু করলো NIM । বিশাল বিশাল ঘর ভর্তি ট্রেনিং ইকুইপমেন্টস, স্কী করার সরঞ্জাম, সার্ভে ইকুইপমেন্টস। চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে দেখলে। ক্যাম্পাসের মধ্যেই দেওদার আর পাইনের কাঠ চিরে ফেলে কিছু একটা বানানো হচ্চে - কি মিষ্টি গন্ধ বেড়োয় কাঠগুলো থেকে।
  • Rit | 213.110.242.5 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৯727329
  • গঙ্গোত্রীর ভাঙা রাস্তা সারিয়ে দিয়েছে? যোশীমঠের রাস্তা দেখলাম ঝকঝকে।
  • Blank | 24.96.49.202 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১০:০৯727331
  • হ্যা মেন রোডের ৯৯% সারানো শেষ। যোশিমঠের রাস্তা আগেই সারিয়ে দিয়েছে - ওদিকে তিব্বত বর্ডার যে।
  • dc | 181.60.196.238 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১০:৪০727332
  • প্রথম ফটোটা পুরো ম্যাকেনাস গোল্ড টাইপের হয়েছে

  • Blank | 213.132.214.83 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:১৪727333
  • আমাদের রুটের অনেকটাই ম্যাকেনাস গোল্ড টাইপ ছিল। শীতকালে রুক্ষ শুকনো বুগিয়াল। পেছনে আইস পিক না থাকলে মনে হতো মরুভুমি।
  • Blank | 213.132.214.83 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:২৪727334
  • পুরো সন্ধেটা কাটলো আড্ডা মেরে - কখনো কেদার ডোম ক্লাইম্বের অল্প, কখনো মেরু তে রোপিং এর ঘটনা। তার সাথে প্রেমের বাড়িতে ঝাল ঝাল দিশি চিকেন আর ভাত, লোকাল হুস্কি। পরের দিন আমরা সকাল বেলা বেড়িয়ে যাবো উত্তরকাশী থেকে, কিছুটা এগিয়ে আমাদের হাঁটা শুরু হবে। পাঁচ দিনের হাঁটা শেষে শুক্রবার ফের আমাদের ফেরার কথা কোনো একটা মোটরেবল রোডে।
  • Blank | 213.132.214.83 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৫:৫৬727335
  • (সোমবার)
    নাহ, এটা ঠিক সেই সোমবার নয়, যেদিন করে মুড টা বিগড়ে থাকে সবচেয়ে বেশী। ছানার ডাকাডাকির চোটে ঘুম টা ভাঙতেই টের পেলাম আজ কোনো আপিস নেই !! আজ আসলে সোমবার নয়। ছানা দেখি ঐ সাত সকালে চান করে ফেলেছে, এমনকি দাঁত ও মেজেছে।
    একটু পরেই এসে গেলো প্রেম, নীচে আমাদের গাড়ি রেডি তখন। মাল পত্তর, র‌্যাশন ইত্যাদি তোলা হচ্ছে গাড়িতে। প্রেম এসে জানালো একটু চাপ হয়েছে ওর জীবনে। ওকে দেরাদুন যেতে হবে, বাড়ি সংক্রান্ত কিছু একটা সরকারি কাজে। তাই আমাদের সাথে যাবে ওর এক জিগরি দোস্ত নবীন। দুজনের প্রোফাইল এক ই রকম - অর্থাৎ দুজনেই বহু যুগ ধরে এক্সপিডিশান, সামিট ইত্যাদি করছে। কিন্তু আমাদের রুটে তো সেটা সমস্যা নয় - এটা এমনিতেই ছোট ট্রেক। প্রেম রান্নাটা বড় ই ভালো করে - একি আর তেমন পারবে !!
    গাড়ি ছারতে ছারতে বাজলো ৯ টা। আমি, ছানা, নবীন (নভীন) আর তিন জন পোর্টার, যাদের নাম জানা যাবে পরে। ক্রমশ উত্তরকাশী ছেরে এগোতে লাগলাম গঙ্গোত্রী রুটে। পথের পাশেই ভাগীরথি, মাঝে মাঝে একটু দুরে মুখ তুলছে বান্দরপুঞ্চের সাদা মাথা।
    মধ্যে একবার গাড়ি থামিয়ে তুলে নেওয়া হলো কেজি ৩ এর একটা মোরগ- পরের দু-তিন দিন লেগে যাবে কাজে। ঘন্টাখানেকের মধ্যে পৌছলাম ভাটোয়ারি। এই রুটে ভাটোয়ারি একটা বড় বাজার মতন, যেখানে খান ১৫/২০ দোকান আছে, এটিএম আছে, ছোট খাটো দুটো হোটেল ও আছে। এখানেই আমাদের ব্রেকফাস্ট - আলুর পরোটা আর ডালের ঘ্যাঁট দিয়ে। ভাটোয়ারি থেকে এগিয়ে ভুক্কি রোড হেডে যখন গাড়ি এসে থামলো তখন ১১ টা বেজে গেছে। আমাদের হাঁটা শুরু হবে এখান থেকে।
  • blank | 52.110.175.108 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৬:০৭727336
  • ভাটোয়ারি থেকে গঙ্গা (মোবাইলে তোলা)

  • Rit | 213.110.242.6 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৭:২৪727337
  • ছানাটার ক্যালি আছে। ঃ)
  • de | 192.57.63.138 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:৪৭727338
  • ক্ষী সুন্দর জায়গা!
    পাখীর ছবিগুলোও দারুণ হয়েচে-
    বড়াই তো আজগাল আর আসে না, এলে খুব ভালো বলতো! আম্মো বল্লাম -

    লেখাটাও বুনুসুলভই হচ্চে - সাধে আর নতুন জেনারেশনের সবাই আমি নেই হতে চায়!
  • Blank | 213.132.214.88 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ১৯:০৩727339
  • গ্রামটার নাম ভুক্কি। পাহাড়ের উঁচুতে ছোট একটা পাহাড়ি গ্রাম। রোড হেড থেকে পায় কিলোমোটার ২ ওপরে উঠতে হবে গ্রামে পৌছতে গেলে। মেন রোড থেকে একটা হ্যাংগিঙ্গ ব্রীজ চলে গেছে গঙ্গার ওপর দিয়ে। সেটা পার হয়ে শুরু হবে ওপরে ওঠা। গাইড আর পোর্টাররা আসবে একটু পরে - আমি আর ছানা শুরু করলাম হাঁটা।

    (মোবাইল ছবি)



    যারা এই ধরনের রাস্তায় আগে হেঁটেছেন তারা জানেন 'কেঁচি' রাস্তার কথা। ভুক্কি অব্দি রাস্তা এই ভাবে উঠে গেছে - কাঁচির মতন zig zag রাস্তা, চড়াই আছে বেশ। প্রথম দিকে হাঁটাও হয় আস্তে আস্তে, মোটামুটি ঘন্টা খানেক বাদে এসে পৌছলাম ভুক্কি গ্রামে। পাহাড়ের মাঝামাঝিতে একটা প্রায় সমতল প্ল্যাটফর্মের ওপর খান ১০/১৫ ছোট ঘর, চাষের ক্ষেত, একটা প্রাইমারি স্কুল - এই নিয়ে গ্রাম। গ্রামের প্রান্তরে নানা সাইজের গোমাতা ও গো পিতারা ঘুরে বেড়ান। ভুক্কি পৌঁছনোর একটু আগেই দেখি পেছনে এসে গেছে গাইড আর পোর্টার। পোর্টাররা নিজেদের স্পীডে নিজেদের মতন এগোবে। আমরা যাবো আমাদের মতন।
    ভুক্কি পার করার পরে চড়াই টা বাড়তে লাগলো হু হু করে। অনেক উঁচুতে পাহাড়ের একটা ভাঙা মাথা দেখা যাচ্ছে, ঐ অব্দি পৌছে তারপর আমরা চলে যাবো পাহাড়ের অন্য দিকে।
    এই রাস্তা টুকু শুধু খাড়া নয়, তার সাথে র‌্যান্ডম পাথর ছরানো (বর্ষাকালে জল কাদা আটকায়), পায়ে লাগে চলতে। তার মধ্যে ১২ টা বেজে গেছে ঘড়িতে; মাথার ওপর সুর্য। একটু করে এগোনো, আর লাঠির ওপর ভর করে ২০/৩০ সেকেন্ড দম নেওয়া। অনেক নীচে সেই বড় রাস্তা টা তখন সরু সুতোর মতন হয়ে গেছে।
    প্রায় ৩/৩.৫ কিমি একটানা চড়াই ভেঙে আস্তে আস্তে উঠে এলাম আমরা টপে। নবীন আগেই এসে টপের সামনে বসে অপেক্ষা করছিলো আমাদের জন্য। এইখানে কিছুক্ষন রেস্ট - তারপর প্রায় আরো ৪ কিলোমিটার এগোতে হবে আমাদের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। গাইডের আশ্বাস যে খান দুই কিলোমিটার অব্দি রাস্তায় চড়াই কম, তারপর দিনের শেষে ফের ২ কিমি একটা খাড়া চড়াই আছে। তবে পুরোটাই গাছের ছায়া দিয়ে, কষ্ট কম হবে।
  • Blank | 213.132.214.88 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ২০:৩৪727340
  • মিনিট দশেকের বিশ্রাম আর গল্পগাছা। দুরের পাহাড়ে আরো উঁচুতে একটা গ্রাম দেখা যাচ্ছে, সেখান থেকে লোকজন নাকি প্রতিদিন নীচের বড় রাস্তায় ওঠা নামা করে। এদের নিশ্চয় এক ডজন করে ফুস ফুস থাকে। এরপর ফের শুরু হবে সরু রাস্তা দিয়ে হাঁটা, সাড়ে তিনটের মধ্যে ক্যাম্পিং এর জায়্গায় পৌছনোর টার্গেট আমাদের।
    পাহাড়ের যাস্ট উল্টো পিঠেই ঘন জঙ্গল, পুরো জায়্গাটাই আসলে গঙ্গোত্রী ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে। শীতকালের শুকনো পাতা ঝরে পরেছে রাস্তায়। অনেকক্ষন পাথুরে রাস্তার পরে নরম পাতার গদী তে পায়ের আরাম। গাছের পাতাও রঙ বদলে ফেলেছে - পুরো জঙ্গলটাই হয়ে গেছে অসাধরন ক্যানভাস একটা।
    (মোবাইলের ছবি)


    ছোট ছোট সরু সরু জলের ধারা রাস্তার ওপর। একজন পোর্টার দেখলাম তার থেকে জল ভরে খেয়ে নিল। আমিও ভরে নিলাম ওয়াটার বটল। ছানা টা জলের চেহারা দেখে নাক সিঁটকালো, বেচারা জানেনা ওর জন্য সামনে কি অপেক্ষা করছে।
    ২ কিলোমিটার মতন এই রাস্তাটা সত্যি খুব আরামের। চড়াই কম, গাছের ছায়ায় শীত শীত আমেজ - মাঝের মাঝে কিছুট উৎরাই (এগুলোকে আমরা বলি ষড়যন্ত্র, ফেরার সময় এগুলো ই ফাটিয়ে দেবে)। তিনটে নাগাদ এসে পৌছলাম একটা খাড়া দেওয়ালের সামনে। প্রায় দেড় দু কিমি একটানা চড়াই - আর কোনো রাস্তা নেই এখানে। পাহাড়ের ঢাল ধরে উঠতে থাকো।
    এই শেষ দু কিমি কি করে যে উঠলাম বলা খুব মুশকিল - সারাদিনের শেষে ততক্ষনে ফুসফুসের ব্যাটারি গেছে কমে। শেষের দিকে ১০ মিটার, ১৫ মিটার করে উঠে একটু দাঁড়াতে হচ্ছে। গাইড তখন উঠছে পাশে পাশে আর বলছে 'আব থোড়াই বাকি হয়'।
    অবশেষে জঙ্গল পেরিয়ে এক ঝলক রোদ্দুর, সামনে একটা মাঝারি সাইজ বুগিয়াল, শুকনো ঘাসে ঢাকা - আমাদের আজকের রাতের জায়্গা। জায়্গাটার নাম টেলা। এইসব এরিয়াতে গুর্জ্জররা আসে মহিষ নিয়ে, তাই ইতস্তত কিছু ভাঙা হাট রয়েছে। আমাদের কীচেন হবে সেখানেই। টেন্ট টাঙানো হয়ে গেলো কিছুক্ষনের মধ্যে। শুকনো কাঠের জ্বলে উঠলো আগুন - সারাদিনের শেষে কোনোমতে জুতো খুলে পা ছরিয়ে আগুনের ধারে। নবীন ভাই বসিয়ে দিয়েছে কফি - রান্নার বাকি জিনিস পত্র আনলোড হচ্ছে তখন।

    (মোবাইলের তোলা)
  • Sankha | 57.15.78.7 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ২০:৪৩727342
  • দারুন হচ্ছে বস। হাত চালিয়ে
  • blank | 52.110.175.108 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ২০:৫২727343
  • দে দি। ঐ পাখীর ছবি গুলো কিন্তু ছানার তোলা। ছানা বেশ ভালো বার্ড ফটোগ্রাফার।

    শন্খ , থ্যান্কু
  • Abhyu | 85.137.3.44 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ২০:৫৯727344
  • হ্যাঁ বুনু, খুবই ভালো হচ্ছে, এখানেও হিমালয়ের মতোই ওয়েদার। আমি ফেদারের তলায়।
  • de | 192.57.63.138 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ২১:০৬727345
  • ছবি দেখেই বোঝা যাচ্চে- ছানার প্রথম ছবিটা ফাটাফাটি হয়েচে - জাস্ট যা তা!
  • blank | 52.110.175.108 | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭ ২২:১৬727346
  • এখানে মানে কি কল্যানি তে!
  • Abhyu | 85.137.3.44 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১২727347
  • না রে দাদা, এথেন্সে। আমেরিকার এথেন্সে।
  • Blank | 24.99.36.11 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১৯727348
  • এমনি হয়্না। আম্রিকায় নাকি এথেন্স !! আমি কি বোধি দা নাকি !!
  • pi | 233.231.35.147 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০৮:৫৩727350
  • কই, কই ?
  • pi | 233.231.35.147 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০৮:৫৩727349
  • কই, কই ?
  • de | 192.57.62.116 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ২০:৫৭727351
  • কি হোলো? আজ তো শনিবার, তাপ্পর কাল রোব্বার - একটু এগোবে তো?
  • Boka | 233.191.24.168 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ২০:৫৯727353
  • যা, এ কি হলো? রোববার টাও শেষ তো :( ?!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন