এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমেরিকান প্রেশিডেনশিয়াল ইলেকশান ২০১৬

    Abhyu
    অন্যান্য | ১০ মার্চ ২০১৬ | ৬৯৬৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দ্রি | 59.248.174.67 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৬ ২১:০৬699780
  • যেখানে কোন ইন্ডাস্ট্রি নেই সেখানে দেখা যাবে গত ৫টা ইলেকশানে রিপাবলিকান পেয়েছে। কিন্তু যারা আগের বার ডেমোক্র্যাটকে দিয়েছিল, তারা এবার রিপাবলিকানকে দিল কেন? নিশ্চয়ই ঠিকঠাক এনগেজমেন্ট হয়নি।
  • cb | 233.229.164.251 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৬ ২১:১০699781
  • ব্রেক্সিট নিয়ে তো টোরিরা নাকানি চোবানি খাচ্ছে এদিকে। সেদিন কারা জানি টপ টোরি এইডের হাতের খাতায় লেখা দেখেছে, কি যে হবে কিছুই জানি না এই মর্মে। হার্ড ব্রেক্সিট হওয়ার চান্স পোচুর
  • aka | 167.199.112.25 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৯699782
  • দ্রি,

    প্রথম কথা, পপুলেশ ডেন্সিটি দেখা হবে না কেন? ২ মিলিয়ন কিছু কম ভোট না। এই দুই মিলিয়ন লোক যদি সঠিক সঠিক কাউন্টিতে ডিস্ট্রিবিউটেড হত তাহলেই ভোটের ফল অন্যরকম হত।

    দ্বিতীয়ত, হিলারী রাস্ট বেল্টের লোকজনের সাথে কানেক্ট করতে পারে নি, পিরিয়ড। এটা ব্যর্থতা।

    তৃতীয়ত, রাস্ট বেল্টের কিছু নিরুপায় লোক ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে মানেই এই নয় যে ট্রাম্প সারা আমেরিকায় ট্রেড পলিসি আর জব ফিরিয়ে আনা নিয়ে জিতেছে। ট্রাম্পের ক্যাম্পেইনের মেজর অংশ জুড়ে ছিল ক্রমাগত রেসিজম চাগিয়ে তোলা। কিছু পোস্ট আগে আমি হার্ভার্ডের স্টাডি দিয়েছি লোকজনের সাইকি কি ভাবে হ্যাক করা সম্ভব। ট্রাম্প নির্ভূল ভাবে সেটা করেছে। আর রেসিজম যে বড় অ্যাজেন্ডা ছিল তা ট্রাম্পের ক্যাবিনেট থেকে সুসস্পষ্ট।

    যাস্ট রাস্ট বেল্টের লোকজনের সাথে হিলারী কানেক্ট করতে পারে নি বা ডেমোক্রেটদের পলিসিগত ভুল আছে বলেই ট্রাম্প ও তার ক্যাম্পেইনের রেসিস্ট প্রোপাগাণ্ডা নেই বলে মনে করা অতি সরলীকরণ হয়ে যাচ্ছে।

    আর আমেরিকার বরাবরই প্রতিষ্ঠান বিরোধী, আট বছর বাদে গদি পাল্টানোরই কথা। সেটাও একটা ফ্যাক্টর ছিল। সবকিছুর ওপরেও ট্রাম্পের রেসিস্ট ক্যাম্পেইন মান্যতা পেল বা রাস্ট বেল্টের লোকেদের ভোটে আরও দুই মিলিয়নের ভয়েস চাপা পড়ে গেল, এইটা ঠিক নয়।
  • lcm | 179.229.10.212 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:১৮699783
  • এই ইলেকশনের রেজাল্ট রেসিজিম দিয়ে ব্যাখ্যা করা মুশকিল। ইন ফ্যাক্ট, তাহলে গত দুটো ইলেক্শনে তাহলে অমন রেজাল্ট অসম্ভব হত। ২০০৮-এ ওহায়োতে ম্যাকেইনের সভায় ৫০০ লোক জড়ো করতে দম ছুটে গেছিল লোক্যাল রিপাবলিকান পার্টির মেম্বারদের।
    ২০১২ তে রেকর্ড (% অনুযায়ী) কালো লোক ভোট দিতে এসেছিল, রেজিস্টার্ড কালোদের ৬৪% আর সাদাদের ৫৬% - যা আগে কোনোদিন হয় নি। তো, এবারে কালোরা অনেকে ভোট দিতে যায় নি। তার কারণ যদি এই হয় যে কোনো কালো ক্যান্ডিডেট নেই - তাহলে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
    ট্রাম্প-কে যারা ভোট দিয়েছে তারা কিছু রেসিস্ট/মিসোজিনিস্ট বাঞ্চ অফ ডিপ্লোরেব্‌ল্‌স্‌ --- এই চিন্তাভাবনাই ডেমোক্র্যাটদের এবারে বিপদে ফেলেছে। তারা শুনতে চায় না অন্য দিকের কথা।

    ক্লিন্টন/বুশ/ওবামা-দের ২৪ বছর যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে একদম হাই লেভেলে ইকনমিক পলিসিতে তেমন ফারাক ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকানদের মধ্যে নাই। অন্য কোনো ক/খ/গ প্রেসিডেন্ট থাকলেও ২৪ ধরে এমনি হত। চাকরি-বাকরি বা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে সাংঘাতিক তেমন কিছু হত না। ২০০৮ এর রিয়েল এস্টেট ক্র্যাশ যা কিনা ইকনমিকে গ্রেট রেসিশনে ঠেলে দিল - সেটা বুশ-এর জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও ঐ হাউসিং লোন সিস্টেম ক্র্যাশ করতই। আর তার বীজ বপণ তো হয়েছে অনেক আগে অনেক বছর ধরে - দুই পার্টির আমলেই।

    তাহলে প্রশ্ন হল, ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান-দের মধ্যে এই মুহুর্তে পলিসিগত পার্থক্যটা ঠিক কোথায় - ইকনমিক পলিসি নয় - সোশ্যাল ইস্যুতে আছে । মাইনরিটি রাইট্‌স্‌ , অ্যাবরশন - এসেট্রা।

    তো, যাদের ইকনমিক প্রবলেম আছে, তাদের গিয়ে যদি বলো যে - ঠিক আছে কোনো রকমে কষ্টেসৃষ্টে আর চারটে বছর চালিয়ে নাও, কিন্তু ভোটটা ডেমোক্র্যাটদের দিও - কারণ নইলে মাইনরিটি রাইট্‌স্‌ নিয়ে যে সোশ্যাল প্রগ্রেস হয়েছে সেটা থমকে যাবে --- এই শুনে গত প্রায় দুই যুগ ধরে ইকনমিক্যালি অ্যাডভান্টেজ না পাওয়া সাদা মধ্যবিত্ত বলছে - গুলি মারো তোমার সোশ্যাল ইস্যুতে - আমার ভদ্র মাইনের কাজ চাই। আর কালোরা বলছে, আমাদের ক্যান্ডিডেট নেই, দুজন সাদা ক্যান্ডিডেটের জন্য আর কষ্ট করে ভোট দিতে যাবো না।
  • lcm | 179.229.10.212 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:৩০699784
  • ইলেকটোর‌্যাল কলেজ নিয়ে যে চেঁচামেঁচি হচ্ছে তার সল্যুশন কাউকে দিতে দেখলাম না। কারণ, টেকনিক্যালি সল্যুশন নাই, একটাই একস্ট্রিম সল্যুশন আছে।
    ধরো, কোনো রাজ্যে দশটা সিট আছে। তো এখন যা নিয়ম তাতে, কোনো একজন হয় ১০ টাই পায়, বা শূণ্য। তো, সেটা যদি এমন হয় যে প্রত্যেক সিটের হিসেব আলাদা করে ধরা হবে। অর্থাৎ, কোনো রাজ্যের সব সিট একজন ক্যান্ডিডেট পাবে না, ১০ টা সিট থাকলে, ট্রাম্প ৮টা পেতে পারে, হিলারি ২ টো পেতে পারে। এরকম করে সব রাজ্যের সিট মিলিয়ে সারা দেশে যে বেশি পাবে সে জিতবে। যেমন ভারতে হয়। কিন্তু তাতেও পপুলার ভোটের সমস্যা মিটবে না। ধরো, ৮ টা সিটে ট্রাম্প গড়ে ১০ টা করে বেশি ভোট পেল, কিন্তু যে দুটোয় হারল সেখানে বড় মার্জিনে হারল, ধরো ৫০ করে। তাহলে ট্রাম্প মোট ১০ টার মধ্যে ৮ টা সিট জিতল, কিন্তু রাজ্যের মোট ভোট (পপুলার ভোট) কম পেল। এটাতো ম্যাথেমেটিক্যালি সব্সময়ই সম্ভব। যদি না, এমন সিস্টেম হয় যে গোটা দেশে একটা মাত্র সিট - ১৪০ মিলিয়ন ভোটার - যে সত্তর মিলিয়্নের বেশি পাবে সে জিতবে।

    মোদি-ও কিন্তু গত ইলেকশনে রেজিস্টার্ড ভোটারদের ২২-২৫% ভোট পেয়ে জিতেছিল, নিরংকুশ গরিষ্ঠতা।

    পপুলার ভোটে না জেতা যায় তার জন্যেই এত পায়ঁতারা কষা আছে সিস্টেমে - কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠের জয় সবসময় ভালো জিনিস নয়।
  • aka | 79.73.9.37 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৫:১৪699785
  • আনএমপ্লয়মেন্ট রেট হল ৪.৬%, ২০০৭ এর পরে সবথেকে কম, তাহলে সব চাকরী ইন্ডিয়া আর চায়নায় চলে যাচ্ছে এই দিয়েও ইলেকশনের রেজাল্ট ব্যাখ্যা করা যায় না।

    সুইঙ্গ স্টেটের হাতে অত্যধিক ভোটের ওজন থাকলেও তেমনি ইস্যু অন্যরকম ভাবে ব্যাখ্যা হতে থাকে।

    ২০০৮ বা ২০১২ র সাথে পার্থক্য কোথায় তাও কয়েক পোস্ট আগে লিখেছিলাম, আবার লিখব।

    সলিউশন নেই মানে সমস্যাও নেই তা তো নয়। সলিউশনের প্রথম ধাপ হল সমস্যা আছে সেটাকে অ্যাকনলেজ করা।

    এবারে যদি ট্রাম্পের অবাস্তব পলিসির ফলে এই দুই মিলিয়নের চাকরি যায় তখন, কার ভয়েস কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

    ম্যানুফ্যাকচারিঙ্গ জব নেই পৃথিবীতে। অটোমেটেড, এর সাথে ট্রেড পলিসি বা গ্লোবালাইজেশনের সম্পর্ক নেই। আনএমপ্লয়্মেন্ট রেট অন্যরকম হত।
  • aka | 79.73.9.37 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৫:২৮699786
  • আজ যদি কেউ বলে কেন ফিল্মে কেউ ছবি তুলবে না? কেন ক্যামেরা ডিজিটাল হবে? আমি কোডাক কোম্পানি ও কোডাক সিটি ফিরিয়ে আনব।

    এর বিরুদ্ধে ভোট দিল ২ মিলিয়ন বেশি লোক কিন্তু যেহেতু কোডাক সিটির লোকেদের ভোটের ওজন বেশি তাই তারা জিতে গেল। এ তো রীতিমতন আনফেয়ার। এবারে কোডাক সিটি ফিরিয়ে আনতে গিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরার লোকজনের চাকরি গেলে তা আরও আনফেয়ার।

    মাইনরিটির ভয়েস শোনা গেল মানে খুব ফেয়ার হল বলা গেল কি?

    বাই দা ওয়ে, ইকনমি গ্রো করেছে ৩.২% হারে, অনেকদিন বাদে বেতন বাড়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। লোয়েস্ট আনএমপ্লয়মেন্ট ইন এ ডিকেড, ইকনমি গ্রোয়িঙ্গ, স্যালারি বাড়ছে যে নীতিতে। তাও আবার কোথা থেকে না ২০০৮ ক্র্যাশ থেকে। যদি ধরে নিইই ওবামা আর হিলারীর নীতি একই, তাহলে সেই নীতির পক্ষে বেশি সন্খক্যক লোক ভোট দিলেও তার ভ্যালিডিটি নাল?
  • lcm | 179.229.10.212 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৫:৪৫699787
  • নাল কেন হবে।

    ২০১২-তে মোট ৬০ মিলিয়ন ৯৩৩ হাজার মানুষ মিট রমনি-কে ভোট দিয়েছিল। ওবামার প্রেসিডেন্সিতে দেশের ভালো হয় নি, এমন অনেক মানুষ মনে করে - তারা সবাই রেসিস্ট নয়, মিসোজিনিস্ট ও নয়।

    ২০১৪ সালে ভারতের একটা সংখ্যক মানুষের মনে হয়েছে বিজেপিকে ভোট দেওয়া উচিত - দিয়েছে। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের একটা সংখ্যক মানুষের মনে হয়েছে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া উচিত - দিয়েছে।

    লোকজন তার নিজের পরিস্থিতি মতন ভোট দেবে। ডেমোক্রেসিতে সেটা মানতে হবে।
  • lcm | 179.229.10.212 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৫:৫৮699788
  • পপুলার ভোটে জেতার ব্যবস্থা হলে তো চিরকাল ডেন্স্‌ আর্বান এরিয়ার লোকজনই চালকের আসনে থাকবে। তাদের প্রতিনিধিই সবসময় জিতবে।

    এবারে আর্বান এলিট লিবার‌্যালরা জিতলে পারল না, তাদের মোট ভোট বেশি হলেও, কারণ তারা সারা দেশকে রিপ্রেসেন্ট করে নি।

    সেটা যাতে না হয় সেই জন্যেই তো জটিল সিস্টেম বানানো। সেটার কিছু মেরিট তো আছেই।

    পার্ফেক্ট কোনো সিস্টেম নয়।
  • lcm | 179.229.10.212 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:০৪699790
  • মার্চ মাসে এই থ্রেডেই দিয়েছিলাম, টাইম ম্যাগাজিন থেকে বিল ক্লিন্টনের কমেন্ট ওবামার সময়ের ইকনমি নিয়ে ---
    ----

    "Millions of people look at that pretty picture of America Obama painted and they cannot find themselves in it"

    -- former president Bill Clinton saying how Obama bears some of the blame for this 'wacky election' because his descriptions of the economy do not align with the realities Americans know firsthand...
  • aka | 79.73.9.37 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:৩৭699791
  • গণতন্ত্রের আর একটা দিক হল ক্রমাগত ভ্যালিডেট করা সবকিছু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঠিক চলছে তো? ১৯২০ সন অবধি এই গণতন্ত্রেই মেয়েরা ভোট দিতে পারত না, সেটা মেনে নিয়ে প্রশ্ন না তুললে তো আজও ধরেই নিতে হত, এই আমেরিকার গণতন্ত্র, ফাউন্ডিং ফাদাররা তৈরী করেছিল অতএব এটাই ঠিক। তাই পদ্ধতিগত প্রশ্ন তোলাও গণতন্ত্রেরই পার্ট।

    সিস্টেমটা ঠিক সেই জন্য বানানো নয়। সিস্টেমটা বানানো হয়েছিল, দক্ষিণের স্লেভরা ছিল বলে। সেই "নিগ্রোরা" ভোট দিতে পারত না তাই দক্ষিণের লোকেরা আপত্তি জানিয়েছিল পপুলার ভোটের বিরুদ্ধে। কারণটা বেশ ডকুমেন্টেড, কোন মন গড়া গল্প নয়।

    ধরা যাক কোন একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক - যেমন হিসপ্যানিক - একটি বিশেষ ভৌগলিক অঞ্চলে থাকে, শুধুমাত্র ডেন্সড বলে তাদের ভয়েস সুইং স্টেটের ভোটারদের থেকে কম হবে? কেন?

    দ্বিতীয়ত, একটা স্টেটের গভর্ণর তো পপুলার ভোটেই নির্ধারিত হয়। সেক্ষেত্রে কোন কাউন্টিতে বেশি লোক থাকে, কোন কাউন্টিতে কম লোক থাকে সেসব কি বিবেচিত হয়? প্রেসিডেন্ট ইলেকশন তার থেকে আলাদা কিকরে? শুধু একটি রাজ্যের বদলে তা সব রাজ্যের পপুলার ভোট নেওয়া হচ্ছে।
  • aka | 79.73.9.37 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:৪০699792
  • আর বিল ক্লিন্টনের বক্তব্য শুধুই রেটোরিক যতক্ষণ না তার পিছনে কোন নাম্বার আছে। ওবামা যেখান থেকে শুরু করেছিল আর যেখানে পৌঁছেছে সেটা প্রশংসনীয়। ঠিক কোন জায়গায় ফার্স্ট হ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স আলাদা সেটা একটু বুঝতে হবে, নইলে ইহা রেটোরিক, ট্রাম্পের মতনই।
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:২৪699793
  • প্রথম কথা, ওবামা তো ভোটে দাঁড়ায় নি, দাঁড়িয়েছিল তো হিলারি।
    আর, ২০০৭-এ একদম তলিয়ে গেছিল, ওখান থেকে ম্যাকেইন/ওবামা/রামা/শ্যামা যেই আসত ইকনমি রিবাউন্ড করত।

    দেশে একটা সিটে ভোট হবে, একটা সিট - ১৪০ মিলিয়ন ভোটার - যে ৭০ মিলিয়নের বেশি ভোট পাবে সে জিতবে। তার মানে, ছোট রাজ্যগুলোর কোনো ভয়েস তাহ্কবে না - সেটা ঠিক নয়।
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:২৮699794
  • ইলেকটোরাল কলেজ সিস্টেমের ডকুমেন্টেড কারণ , স্লেভারির সঙ্গে তো কিছু নেই ---

    The Electoral College was created for two reasons.

    1) The first purpose was to create a buffer between population and the selection of a President.

    2) The second as part of the structure of the government that gave extra power to the smaller states.
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৩699795
  • আরও বলছে ---

    The first reason that the founders created the Electoral College is hard to understand today. The founding fathers were afraid of direct election to the Presidency. They feared a tyrant could manipulate public opinion and come to power.

    The electoral college is also part of compromises made at the convention to satisfy the small states.
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৫699796
  • ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক আর টেক্সাস জিতলে - যে কোনো সময়ই ইলেক্শন জেতা যাবে - এটা আটকানোর জন্যেই ইলেকটোরাল কলেজ।
    নো বডি উইল এভার কেয়ার স্মলার স্টেট্‌স্‌ ।
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৮699797
  • যে জিনিসটা ইন্ডিয়াতে - উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ - কয়েকটা বড় রাজ্যে ঝেঁটিয়ে জিতলেই দিল্লি দখলে - যে ফরমুলাতে প্রথম ৫০ বছর লোকসভা ভোট হত।
  • aka | 79.73.9.37 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৯699798
  • ebaare ekaTu ise habe, taa aar ki karaa, takker khaatire naa haya hala :)

  • aka | 79.73.9.37 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪০699799
  • ঐ কারণগুলো স্কুলে কলেজে পড়ানো হয়।
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪২699801
  • স্কুল কলেজের বই-এর লিংক থেকেই তো কাট-পেস্ট করলাম
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৩699802
  • দেখো - ইলেকটোরাল কলেজের মেরিট টাও তো বইতে আছে
  • aka | 79.73.9.37 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৪699803
  • স্কুল কলেজে যা পড়ানো হয় তাহল আসল সত্যর ওপর সুগার কোটিঙ্গ।
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৬699804
  • না না, কিন্তু তুমি বলো একটা কথা -- এই যে - ইন্ডিয়াতে ইউপি/এমপি/এপি জিতলেই দিল্লি দখলে --- এটা কি তুমি ফেভার করো ।
  • দ্রি | 59.248.174.67 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৭699807
  • "আনএমপ্লয়মেন্ট রেট হল ৪.৬%, ২০০৭ এর পরে সবথেকে কম"

    এইটা হল বিগেস্ট গোঁজামিল। এই নিয়ে অনেক লেখালিখি হয়েছে। মনে হয় বিল ক্লিন্টনের সময় থেকে আনেমপ্লয়মেন্ট রিপোর্টিংএর রুল বদলে দেওয়া হয়। এর আগে এটা ট্রু আনেমপ্লয়মেন্ট রিপ্রেজেন্ট করত। নতুন নিয়মে যারা জব সীকার তাদেরকেই শুধু কাউন্ট করা হয়। জব সীকার করা? যারা ছ'মাস (কি এক বছর, এক্স্যাক্ট ফিগারটা মনে নেই) ধরে জব খুঁজছে। এর চেয়ে বেশীদিন কেউ আনেমপ্লয়েড থাকলে ধরে নেওয়া হয় তারা চাকরী পেতে ইন্টারেস্টেড নয়। তাদের কাউন্ট করা হয় না। অর্থাৎ, এই জবলেস নাম্বার হল শর্ট টার্ম জবলেস নম্বার। কিন্তু ডাউনটার্নের পর লংটার্ম জবলেস প্রচুর আছে। তা না হলে ওবামার আমলে ফুডস্ট্যাম্পে কেন অল-টাইম হাই নাম্বার (৪৩ মিলিয়ানের বেশী)। বুশের আমলে এই সংখ্যাটা ছিল ২৭ মিলিয়ান, ২০০০ এ ১৭ মিলিয়ান। ডাউনটানের পর আর একটা ব্যাপার হয়েছে। ভালো জব চলে গিয়েছে। সেগুলো রিপ্লেসড হচ্ছে খারাপ জব দিয়ে। আন্ডারএমপ্লয়মেন্ট বেড়েছে।
  • aka | 79.73.9.37 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৭699806
  • কোন মেরিট আমি দেখি না। আজ যদি ক্যালিফোর্ণিয়া সুইঙ্গ স্টেট হয়, তাহলে যা খুশী ডিক্টেট করবে।

    মাইনরিটিকে গুরত্ব দিতে গিয়ে মেজরিটিকে ইগনোর করা আদৌ ভালো কাজ না।
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৭699805
  • ইলেকটোরাল কলেজ সিস্টেমের গলতা নেই বলছি না - কিন্তু উল্টো অপশনটার ড্রব্যাকগুলো-ও তো দেখতে হবে।
  • aka | 79.73.9.37 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৫২699808
  • এই ভোট বরঙ্গ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালো যে সিস্টেম বদলের দরকার পড়েছে। রাস্ট বেল্টের লোকজন যে চাকরি নেই সেই চাকরি করবে বলে বায়না ধরেছে আর এক পাগল ভোটে জেতার জন্য বলেছে হ্যা হ্যা সেই চাকরিই এনে দেব। যেহেতু এই সিস্টেমে রাস্ট বেল্টের গলার জোর বেশি তাই পাগলেও জিতেছে।

    আমি এর এককথায় সলুশন দিতে পারব না। তবে এর থেকে পপুলার ভোট ভালো বলতে পারি।

    ইন্ডিয়া অন্য গল্প, অন্য সিস্টেম।
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৫৩699809
  • বাহ! তোমার লেখাটা পড়লাম।

    একটা কথা, এক জায়গায় লিখেছ -- "....শুধুমাত্র যদি জনগণের ভোটে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হত তাহলে হিলারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতেন..."

    এটা তখনই সম্ভব যদি সারা দেশে একটা সিট ধরা হয় যার ক্যাপাসিটি ১৪০ মিলিয়ন রেজিস্টার্ড ভোটার। এটা কিন্তু পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই হয় না (একদম ছোট দেশ/শহরগুলো বাদ দিচ্ছি)।

    নইলে ধরো ঐ ৫২০ টা যদি আলাদা সিটও হয়, তাহলেও ম্যাথেমেটিক্যালি এতা সবসময় সম্ভব যে অনেক সিট কম মার্জিনে জেতা, এবং কিছু সিট বেশি মার্জিনে হারা, মোট ভোট কম পেয়েও বেশি সিট জেতা।
  • lcm | 83.162.22.190 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৫৫699810
  • না না, এই ভোটের রেজাল্ট একটা জিনিস প্রমাণ করল, যা বুদ্ধ বহু আগে বলে গিয়েছেন ----
    ক্ষুধার্তকে ধম্মোজ্ঞান দিয়ে লাভ নেই।

    আগে, কাজকম্মো, চাগ্রি-বাক্রি, কম ইন্সিওরেন্সে হেল্থকেয়ার --- পরে সামাজিক অগ্রগতি।
  • দ্রি | 59.248.174.67 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৫৬699812
  • ইলেকটোরাল কলেজ সিস্টেম কারো ভালো না লাগতে পারে। সেই নিয়ে ডিবেট হতে পারে। রুল বদলানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। কিন্তু খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর খেলার রেজাল্ট বদলানোর চেষ্টা চলেনা। ইলেকশানের আগে সবাই তো জানত ইলেক্টোরাল সিস্টেমের কথা। এখন আর শোচনাং নাস্তি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন