এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সর্ষেবাটা মোচাকাটা চিতলের মুইঠ্যা ইত্যাদি ইত্যাদি (২)

    Ishan
    অন্যান্য | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ | ২৮৩১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৭:০৮694763
  • মেয়ো -টা কি বস্তু? খায় না মাথায় মাখে? রান্নায় দিলে কি সর্বদাই অখাদ্য খেতে হয়?
  • Tirtha | 60.50.128.28 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১২:১৩694764
  • ওটা মেয়ো নয় মায়োনিস হবে। লেডিশ চয়েশ কোম্পানীর প্রোডাক্ট। ওটা কে-এফ-সির স্যালাডে দেয়।
    আর আগে দেখলাম একটা জিনিস আলুবোখরা বলে প্রুনকে, সেটা আসামে পাওয়া যায় নাম হলো বগুড়ি।
  • Samran | 59.93.160.158 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৫:২১694765
  • বড়ি সহযোগে ট্যাংরার ঝাল
    -------------------------

    বেশি করে পেঁয়াজ কেটে রাখ সরু সরু করে।
    নধর ট্যাংরা ধোয়ার সময় সাবধানে ধুতে হবে, পেটের তেল যেন বেরিয়ে না যায়। হালকা করে ভেজে তুলে রাখ প্লেটে। বড়িও তেলে ভেজে নিয়ে তুলে রাখ প্লেটে।
    বড়িগুলো আলাদা কড়ায় একটু বেশি তেলে ভাজলে ভাল হয়। মাছের তেলে বড়ি ভাজতে গেলে ঝপ করে তেলটা শুষে নেয় আর বড়িও একটা পোড়া পোড়া ভাব ধরে।

    বেশ অনেকটা তেল দাও কড়ায় আর তারপর তেল ভালমতন গরম হয়ে এলে এক চিমটে জিরের ফোড়ন দিয়ে কাটা পেঁয়াজ হালকা লাল হওয়া অব্দি ভাজো। কয়েকটা শুকনো লংকা গোটা গোটা দিয়ে দাও পেঁয়াজে। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে এলে আদা বাটা, জিরের গুড়ো আর লংকার গুড়ো ( ঝাল কম-বেশি অনুপাতে লংকার গুড়ো কম-বেশি হবে) দিয়ে একটু জল দিয়ে মশলা একটু কষো আর তারপর ঝোলের জল সবটুকু দিয়ে কড়াতে ঢাকনা দাও। ঝোল ভালমতন ফুটে উঠলে মাছগুলো ছেড়ে দাও, নুন ছড়িয়ে দাও আন্দাজমত আর আবার ঢাকা দাও। এবার খানিকটা সময় দিতে হবে। ঝোলটা মোটামুটি শুকিয়ে এলে ভাজা বড়ি ছড়িয়ে দাও মাছের উপরে। খুন্তি বা হাতায় করে হালকা হাতে একটু নেড়ে বড়িগুলো মাছের ফাঁকে ফাঁকে ঢুকিয়ে দাও। আরো খানিকটা সময় দিতে হবে বড়িতে ঝোল ঢুকে বড়িটা সেদ্ধ হওয়ার জন্যে। ততক্ষণে ঝোল গা মাখা মাখা হয়ে এসেছে। কড়ার হাতল ধরে যেটুকু সম্ভব গোটা তরকারিটাকে একটু ঝাঁকিয়ে দেওয়া ভাল নইলে তলায় ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। খুন্তি বা হাতায় করে নাড়ার চেষ্টা না করাই ভাল, তাতে ট্যাংরা এবং বড়ি উভয়েরই ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    কুচানো ধনেপাতা ছড়িয়ে দাও উপরে। নামানোর আগে নুন দেখতে ভুলো না যেন।

    বি: দ্র:- সর্ষের তেলে রান্না করার পরামর্শ রইল। হাতের কাছে না থাকলে অগত্যা সাদা তেল।

    মাছের পরিমান অনুযায়ী বড়ি, তেল, মশলা ইত্যাদি পড়বে। আমি কোন মাপ-ফাপ দিলাম না।

    সামরান
  • b | 193.1.100.105 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:৪২694766
  • দু:খিত, একটা সামান্য প্রশ্ন করি:
    মুগ ডালের জন্য অপ্টিমাল ফোড়ন কি?
    নারকেল আর মাছের মুড়ো বাদ দিয়ে বলবেন প্লিজ।
  • d | 121.247.66.228 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:৫৯694767
  • কাঁচালঙ্কা, আদাকুচি, জিরেবাটা আর তেজপাতা।
  • a x | 192.35.79.70 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২১:০১694768
  • আস্ত জিরে, তেজপাতা ফোড়ন। তারপর আদা, জিরেবাটা।
  • a x | 192.35.79.70 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২১:০৬694770
  • আর কাঁচা মুগ ডাল হলে আস্ত সর্ষে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে আদাবাটা আর কারিপাতা - ইয়াম্‌ম্‌।
  • mita | 24.211.173.47 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২১:০৬694769
  • জিরে,শুকনো লংকা, তেজপাতা, আর অল্প আদাবাটা।

  • Shuchismita | 141.218.214.156 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২১:০৮694771
  • আমি মিতাদিরটা দিই :)
  • d | 121.247.67.197 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২৩:০৭694773
  • বোঝো! গুরু ও চন্ডালগণ কেবল খাওয়ার গল্প করতেই ভালোবাসে না ..... ফোড়ন দিতেও বড্ড ভালোবাসে।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৩:৫০694774
  • সামরানদিকে ছোট্ট করে একটা থ্যাঙ্কু বলার ছিল :-)
    বিরিয়ানি ও বুরহানির কোন তুলনা হবে না। দেবভোগ্য নামছে প্রতিবার :-)
  • ip | 128.231.88.4 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৬:১৫694775
  • কারুর কি মনে আছে, সমাপ্তি তে পাগলী কে হবু শাশুড়ী interview তে কোন রান্না এ কি ফোড়ন এর কোচ্চেন করেছিলেন ?
  • Arijit | 128.240.229.7 | ১১ মার্চ ২০০৮ ১৭:০৯694776
  • মেথি পরোটা
    =======

    নাম দেখিয়া বিভ্রান্ত হইবেন না, ইহা মেথি শাকের পরোটা। এবং অত্যন্ত সহজ।

    উপাদান -

    আটা (ময়দার রুটি/পরোটা খাওয়া অব্যেস হলে ময়দা, বা মিক্সড)
    মেথি শাক - শুধু পাতা, ডাঁটি বাদ।

    মেথিশাক অল্প তেলে এট্টু কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে ভেজে নাও, অল্প নুন দেবে - নরম নরম হয়ে যাবে - একটা দলার মতন। তাপ্পর পরোটার আটা/ময়দা মাখার সময় ওটা দিয়ে মেখে নাও। তারপর তাই দিয়ে পরোটা বানিয়ে নাও (গোলগোল পরোটা - ওই ফোল্ড করে দ্বিতীয়বার বেলার দরকার নেই) - কিস্যু ইস্পেশ্যাল ব্যাপার নেই। আচার দিয়ে খাও, বা সরষে শাক দিয়ে।
  • d | 192.85.47.11 | ১১ মার্চ ২০০৮ ১৭:২২694777
  • থেঙ্কু। ঐ স্টাফিঙের মশলা কি হবে সেটাই জানতে চাইছিলাম। পালঙ্‌শাকের স্টাফিং হলে তো আমি কালোজিরে, শুকনো-লংকার গুঁড়ো, খুব সামান্য রসুনকুচি আর নুন দিয়ে দিয়ে বানাই।
  • Arijit | 128.240.229.7 | ১১ মার্চ ২০০৮ ১৭:৪৯694778
  • এটা আলুর পরোটার মতন স্টাফিং নয় কিন্তু। ময়দার সাথে ডাইরেক্ট মাখা।
  • agantuk | 128.48.203.91 | ১১ মার্চ ২০০৮ ২৩:১৪694779
  • ip কে: আমার যতদুর মনে পড়ছে, সমাপ্তিতে প্রশ্নটা ছিল 'শুক্তুনিতে কি ফোড়ন দেয়' আর উত্তরটা ছিল 'শর্ষে'। (তবে ছবিটা শেষ দেখেছিলাম বহু, বহু বছর আগে, তাই এটা পুরোপুরি স্মৃতিনির্ভর।)
  • tatin | 130.39.149.83 | ১১ মার্চ ২০০৮ ২৩:৫২694780
  • dd,
    যে রান্নার নাম 'পোমোবাজী' ত খেতে বিস্বাদ হবেনা এমন ভাবলেন কী করে?
  • d | 61.11.19.219 | ২২ মার্চ ২০০৮ ২১:১৭694781
  • ভুনা মেটে
    ------------

    চিকেনের মেটে এমনিতে খেতে খুব একটা ভাল নয়। এইটা করলে তবু মোটামুটি খাওয়া যায় আর কি।

    চিকেন -- আধ কিলো
    পেঁয়াজ - ২ টো মাঝারী সাইজের
    আদা রসুন কুচানো -- ১ চামচ করে
    দই - এক হাতা
    হলুদগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো -- আন্দাজমত
    কারিপাতা - ৫
    কাঁচা লঅঙ্কা চেরা - ৪ টে
    ক্যাপসিকাম - ১ টা ছোট, ৪-৫ টুকরো করে কুচানো
    তেল, নুন, চিনি -- আন্দাজমত

    ১। কড়াইতে তেল ভাল করে গরম করে কারিপাতা, আদাকুচি, রসুনকুচি আর পেঁয়াজকুচি ভাল করে ভাজুন। খেয়াল রাখুন চিকেন নরম হবে, কিন্তু লাল যেন না হয়ে যায়।
    ২। কড়াইতে মেটেগুলো দিয়ে আন্দাজ ৩-৪ মিনিট মত রান্না করুন। জল দেবেন না। মেটে থেকে দিব্বি জল বেরোয়।
    ৩। এইসময় দইয়ের মধ্যে হলুদগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন।
    ৪। এবারে দইয়ের পেস্টটা কড়াইতে মেটের সাথে মিশিয়ে দিয়ে নেড়েচেড়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন, যতক্ষণ না জাল শুকোয়।
    ৫। এবারে কাঁচালঙ্কা আর ক্যাপসিকামকুচি মিশিয়ে বেশ ভাজাভাজা করুন ৩-৪ মিনিট ধরে।

    ব্যাস রেডী।
  • d | 61.11.19.219 | ২২ মার্চ ২০০৮ ২১:১৯694782
  • সংশোধনী:
    প্রথম স্টেপে চিকেনের জায়গায় পেঁয়াজ পড়তে হবে।
    ৪# স্টেপে : জাল নয় জল
  • arjo | 24.214.28.245 | ২৩ মার্চ ২০০৮ ২৩:৩৯694784
  • এইটা রান্না করলাম। কারণ বাড়িতে বাঁধাকপি আর মেটে ছাড়া আর কিছু নেই। একটু ইম্প্রোভাইজেশন

    ১। আধকিলো চিকেনের বদলে চিকেনের মেটে :-))

    ২। দই না দিয়ে সাওয়ার ক্রিম। দই নেই বলে।

    ৩। কাঁচালংকার বদলে হ্যালোপিনো দিয়ে।

    খাসা হয়েছে।
  • a x | 207.69.137.10 | ২৩ মার্চ ২০০৮ ২৩:৫৬694785
  • সহজ চিকেন দুই অথবা চিকেন বৈরাগী (ইন্দোকৃত পাহাড়ী চিকেনকে বোষ্টুমি আখ্যা দেবার সুবাদে)

    .৫ পাউন্ড (পৌনে কিলো) মত চিকেন,
    আধ টিন নারকেলের দুধ,
    বড় পেঁয়াজ একটা,
    আদা বাটা এক টেবলস্পুন,
    রসুন বাটা এক টিস্পুন উঁচু,
    আস্ত জিরে,
    দারচিনি - ৪" ভেঙ্গে,
    লবঙ্গ - গোটা চারেক,
    এলাচ - ঐ,
    নুন
    গোলমরীচ
    তেল
    অপর্যাপ্ত ধনেপাতা ও লংকা কুচি

    চিকেনের থাইএর টুকরো হলে সবচেয়ে ভালো। ছোট ছোট টুকরো করুন, একটা কাঁটা দিয়ে ফুটো ফুটো করে নিন। এতে আদা, রসুন, নুন, গোলমরীচ ইত্যাদি মেখে রেখে দিন পাশে।
    পেঁয়াজ মিহি করে কুচোন, ধনে পাতা, লংকাও কুচিয়ে রাখুন।
    তেল গরম করে আস্ত মশলা গুলো দিন, বাদামী হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়ুন যতক্ষণ না হাল্কা বাদামী রঙ্গ হচ্ছে। এবার ঐ মাখা চিকেন দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন মাঝে মাঝে - অল্প একটু ভাজা ভাজা রঙ্গ হলে নারকেল দুধ দিন, লংকা কুচি দিন, ধনেপাতার অদ্ধেকটা দিন, অল্প জল দিন*। টগবগ করে ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে দিন জতক্ষণ না সেদ্ধ হচ্ছে - মিনিট কুড়ির বেশি লাগা উচিৎ না। মুর্গি সেদ্ধ হবার পর, আগুন নিভিয়ে বাকি ধনেপাতা ছড়িয়ে একবার নেড়ে রেখে দিন। ভাতের সাথেই বেশি ভালো লাগে।

    *জলের পরিমাণ নিজের ইচ্ছে মত - শুকনো চাইলে জল না দিলেও চলে, স্রেফ নারকেলের দুধে সেদ্ধ হবে তাহলে, আর একটু ঝোল ঝোল চাইলে জল দিতে হবে।

  • d | 192.85.47.11 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ১১:০৫694786
  • আরে ওটা মেটেরই রেসিপী ছিল তো। শুধু উপকরণে "মেটে' কথাটা লিখতে ভুলে গেছিলাম। তবে পাঁঠার মেটের চচ্চরিই দিব্বি লাগে খেতে।

    অক্ষ খুব রসুন ভালোবাসে মনে হয়। খুব রসুন দেয়। আমি আবার রসুনটা খুব সামান্য দিই। ঐ পাহাড়ী চিকেনেও রসুন খুব কম করে দিয়েছিলাম।
  • ip | 69.251.184.3 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ১২:২৪694787
  • চিকেন এক ডজন রেসিপি:

    আদা,রসুন, পেঁয়াজ এর মধ্যে যেকোনো দুটি একসাথে নিয়ে, তিনখানি কম্বিনেশান হয়, এবং তিনটি ই একসাথে, অর্থাৎ চাররকম হলো।
    এবার এর প্রত্যেকটির সাথে যুক্ত করা যাক টক দই, মানে আরো চাররকমের হইলো।
    টক দই শুধু কম্বিনেশান নয়, পারমুটেশান করেও আদা-পেঁয়াজ, রসুন- পেঁয়াজ, আদা-রসুন বা আদা-রসুন-পেঁয়াজ এর আগে বা পরে আসতে পারে।
    এক ডজন হলো কি ?

    ধনেপাতা,জিরে,টম্যাটো, গাজর, ক্যাপসিকাম, ওয়াইন, রাম ইত্যাদির যেকোনো একটি উপরিউক্ত এক ডজনের সাথে কম্বিনেশান করালে আরো এক ডজন, আরো বারো, এবারো বারো চিকেনের সিরিজ নামিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

    এবং এগুলি চিকেন বাহারি, পাহাড়ি, কান্দাহারি, শহরি , গওহরি ইত্যাদি বিবিধ নামে পরিচিত।

    অবশ্য নিন্দুকেরা ইহাকে থোড় বড়ি ইত্যাদিও বলিয়া থাকেন।
  • sifnaut | 66.232.102.157 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ১২:৩৭694788
  • এইটা ভালো দিয়েছেন। অমিও বুঝিনা খুব ইস্পিসাল রান্না ছাড়া একটা মাংসের রেসিপির সাথে আরেকটা রেসিপির তফাত কোথা। আর যেটুকু তফাৎ সে এক্সপেরিমেন্ট করতে করতে বেরিয়ে যায়।

    আর সকাল সকাল কি সব তামসিক রান্নার কথাবার্তা - মুর্গির ঠ্যাং, রসুন, পাঁঠার মেটে... মা মা গো।
  • d | 192.85.47.2 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ১৩:৫১694789
  • এইজন্যই বিদ্যেসাগরমশাই বলেছিলেন "পরের উপকার করিও না'। এমন একটা সিরিয়াস থ্রেডেও খিল্লি দিচ্ছে!! কি হবে এদের?

    যাও-ও-ও বাঁধাকপির হরিয়ালি রেঁধে খাও গে। চিকেন মাটন খেতে হবে না তোমাদের।
  • ranjan roy | 122.168.69.155 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ২১:৩৮694790
  • আচ্ছা, কোন রেসিপিতে কাউকে মেথি ফোড়নের কথা বলতে শুনলাম না।
    ভাজা মুগের ডালে সামান্য মেথি ভেজে কাঁচালংকার সাথে ফোড়ন দিলে আমার বেশ লাগে।
  • ip | 69.251.184.3 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ২২:০৫694791
  • বর্ণপরিচয়ের দিব্বি আমি খিল্লি করি নাই।

    এই মাত্র একটি category কেই আমি মোটামুটি equationfit করিয়ে কমন-টমন নিয়ে solve করিতে পারিয়াছি, তাই বল্লুম। নইলে আমার সাধ্যি কি বিরিয়ানি র branched বংশতালিকাসূত্র বা পোমোবাজি র unsolved territory তে ঢুকি !

    যাই হোক, আমার লিস্টি থেকে নারিকেল বাদ পড়ে গেছে, কম্বিনেশানে ওটা ঢুকিয়ে একটি বাহ বারো সিরিজ নামানো যেতে পারে। :)
  • d | 61.17.194.194 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ২০:৩৭694792
  • মুলো দিয়ে যে ২-৩ টে রান্না আমি জানি

    মুলো ঘন্ট - ১
    ----------------
    মুলো - ২-৩ টে।
    তেজপাতা - ২
    আস্ত জিরে - ১/২ চামচে
    ধনেবাটা - ১/২ চামচে
    জল - পরিমাণমত
    চিনি - ২ চিমটি
    ময়দা - ১ চামচে
    দুধ - ১ বড় চামচে
    জিরেবাটা - ১/২ চামচে
    লঙ্কাগুঁড়ো - ১/৪ চামচে
    মটর ডালের বড়ি - ৭-৮ টা
    কড়াইশুঁটি - ১ মুঠো
    নারকোল কোরা - ১ মুঠো
    তেল - পরিমাণমত

    ১। মুলোর খোসা চাড়িয়ে সরু সরু করে কুচিয়ে নিয়ে জলে ভাপিয়ে নিন।
    ২। জল বেশ ভাল করে ফুটে উথলে নামিয়ে মুলো থেকে জল ঝরিয়ে আলাদা করে রাখুন
    ৩। ননস্টিক প্যানে বড়িগুলো হাল্কা করে ভেজে তুলে নিন।
    ৪। তেলে তেজপাতা ও আস্ত জিরে ফোড়ন দিন।
    ৫। মুলো ও ধনেবাটা দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন।
    ৬। মুলোর গায়ে লালচে দাগ হতে শুরু করলেই পরিমাণমত জল ও নুন দিন।
    ৭। দুধে ময়দা, চিনি, লঙ্কাগুঁড়ো, জিরেবাটা ভাল করে গুলে নিন।
    ৮। মুলো থেকে জল শুকিয়ে এলেই দুধটা মিশিয়ে দিন।
    ৯। এবারে কড়াশুঁটি আর ভাজা বড়িগুলো আধভাঙ্গা করে মিশিয়ে দিন। ভাল করে নেড়েচেড়ে দিন।
    ১০। ২-১ মিনিটের মধ্যে বেশ মাখোমাখো হলে সামান্য ঘি দিতে পারেন।
    ১১। আবার ভাল করে নেড়ে ওপরে নারকোল কোরা ছড়িয়ে গ্যাস অফ করে দিন।
  • d | 61.17.194.194 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ২০:৫৭694793
  • মুলো দিয়ে মুসুরির ডাল
    -----------------------

    মুসুর ডাল - আন্দাজ ২৫০ গ্রাম মত
    মুলো (কই হওয়া বাঞ্ছনীয়) -- আধখানা
    শুকনো লঙ্কা - ৩-৪ টে
    হলুদ - ১/২ চামচে
    ধনে - ২ চামচে
    আস্ত জিরে - ১/২ চামচে
    জিরেগুঁড়ো (অথবা বাটা) - ১ চামচে
    তেজপাতা - ২ টো
    নুন - পরিমাণমত
    জল - পরিমাণমত

    ১। মুলোর খোসা ছাড়িয়ে ৮-১০ টুকরো করে নিন। ধনে ও ২টো শুকনো লঙ্কা মিহি করে একসাথে বেটে নিন। জিরেগুঁড়ো না হলে বেটে নিন।
    ২। মুসুর ডাল প্রেসারে একটা সিটি দিয়ে তাতে মুলো ও হলুদ মিশিয়ে আরো ২ টো সিটি দিন।
    ৩। প্রেসারের ঢাকনি খুলে ধনে ও শুকনোলঙ্কাবাটা মেশান। নুন দিন। ঢকনিখোলা অবস্থায় ফুটতে দিন।
    ৪। বেশ ৩-৪ বার ভাল করে ফুটে উঠলেই নামিয়ে নিন।
    ৫। কড়াই বা সসপ্যানে তেল গরম করুন।
    ৬। আস্ত জিরে তেজপাতা ও অবশিষ্ট শুকনোলঙ্কা ফোড়ন দিন। শুকনোলঙ্কাগুলো ২-৩ টুকরো করে ভেঙ্গে দেবেন।
    ৭। এইবারে ঐ মুলো দেওয়া ডালটা ওতে ধেলে দিয়ে জিরেবাটা দিয়ে দিন।
    ৮। ভাল করে ফুটে উঠলে নামিয়ে নিন।
  • b | 78.137.144.235 | ১০ এপ্রিল ২০০৮ ০১:৩১694795
  • নিরামিষ পাওয়া গেলো কিছু, ধন্যবাদ জানবেন।

    এই রান্নাটার কথা শুনেছি শুধু, চোখে দেখিনি। তবে যে সোর্স থেকে শুনেছি পুরোটা ঢপ না-ও হতে পারে। এটার নাম "মিছা ডিমের ডালনা'। সেদ্ধ/বাটা ছোলার ডালের পুর মিহি ছানার ভিতরে পুরে, সেটা ভেজে তৈরি হবে "মিছা ডিম'। সম্ভবত: বিধবা ইস্পেশাল। কেউ বানালে জানাবেন কেমন হল।

    আমার উত্তরবঙ্গীয় দিদিমা একাদশীর দিন কাওনের চালের খিচুড়ি খেতেন। সে যে কি স্বর্গীয় জিনিস কেমন করে বোঝাই?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন