এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নিলয়কে আমরা বাঁচাতে পারলাম না

    bip
    অন্যান্য | ০৭ আগস্ট ২০১৫ | ৩৮৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.97.64.157 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ০৯:০৬682468
  • না,উনি খ্রীস্টধর্ম নিয়ে, ইহুদি ধর্ম নিয়ে , জরাথুস্ত্রীয় ধর্ম নিয়ে, মারাং বুরু নিয়ে, আফ্রিকান ট্রাইবদের ধর্ম নিয়ে , ছত্তিশগড়ের ঠাকুরদেব-বাররাজা-বাররাণী নিয়ে লেখেন নি ;মানে তেমন কিছু মনে পড়ছে না।
    কিন্তু সব ধর্মই যে পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোর সেটা বারবার বলেছেন। আর ভারত উপমহাদেশে ইসলাম ও হিন্দুধর্ম নিয়ে লেখাটাই যথেষ্ট নয় কি!
  • PT | 213.110.246.230 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ০৯:১১682469
  • সংগঠন বিরূপতা বা সংগঠনহীন নিঃসঙ্গতা থেকে এই সব সংগঠিত অমানুষদের সঙ্গে কি লড়াই করা সম্ভব?
  • 0 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ১৯:২৪682470
  • প্রাচীন যুগে 'বেদ' ছিল শিক্ষার সমার্থক। কিছু বিশেষ প্রিভিলেজ্ড্ বর্ণশ্রেণীর মানুষ ছাড়া সেই শিক্ষা গ্রহণের কারুর অধিকার ছিলনা। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে পাছে নিম্নবর্ণীয় প্রান্তিকেরা শ্রেণীসচেতন হয়ে ওঠে, পাছে তাদের নিজস্ব আইডেন্টিটি-নির্ভর জাতীয়তাবোধ গড়ে ওঠে, সেই ভয়ে সেই প্রিভিলেজ্ড্ ক্লাসের মানুষগুলো সতর্ক থাকতো। তাই বানিয়েছিল নানারকম বিধিনিষেধ।

    সে'সব নিয়ম আজ আর নেই। মানুষের শুভবুদ্ধির বিবর্তনের ফলে আজ শিক্ষা সহ সব ক্ষেত্রই সবার জন্য খোলা। কিন্তু আজও কিছু মানুষ তাদের মনের ভেতরে সেই প্রাচীন অমানবিক স্বার্থপর সঙ্কীর্ণ মনোভাব সযত্নে পুষে রেখেছে। মনের অন্ধকার তাদের কাটেনি। যখন ইউরোপীয়রা এখানে এলো তখন একদিকে যেমন কলোনিয়ালিজ্ম-নির্ভর সাম্রাজ্যবাদের অভিশাপ নিয়ে এলো তেমনি অন্যদিকে তারা দুটো ভালো জিনিস নিয়ে এসেছিল - মাত্র ছাব্বিশ-অক্ষরের সহজ ব্যবহারোপযোগী একটা উন্নত ইন্দোইউরোপীয় ভাষা এবং ইউরোপীয় রেনেঁসা-উদ্ভূত "ফ্রি স্পিরিট্ অফ্ এন্কুয়ারি"র মুক্তিদায়ী দর্শন।
    বাস্তবিক এই দুটো জিনিসই আজ দেশের মানুষের নিজেদের আর্থসামাজিক ও মানসিক উন্নতির প্রধান উপায়।

    আজও মিশনারীরা প্রত্যন্ত এলাকায় প্রান্তিক ভূমিপূত্র মানুষদের মাঝে এগুলো ছড়িয়ে দেবার কাজ করেন। অবশ্যই খ্রিস্টান ধর্মের প্রচারের কাজও করেন। সমাজকল্যাণের পাশাপাশি সেটাও তাদের ব্রত। কিন্তু আধুনিক শিক্ষা, সামাজিক সাম্য, ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান-সম্ভাবনার গুরুত্বের পাশাপাশি ধর্মান্তরের ব্যাপারটা আমার মতে খুব সাধারণ একটা চয়েস্ যেটা সেই মানুষগুলোর অনেকেই স্বেচ্ছায় বেছে নেয়।

    কিন্তু ওই যে বলেছিলাম, কিছু মানুষ তাদের মনের ভেতরে সেই প্রাচীন অমানবিক চিন্তাভাবনা এখনও পুষে রেখেছে। যখন তারা দেখছে যে, গরীব মানুষগুলো দিব্যি ইংরিজি শিখছে, পটাপট্ শিক্ষিত হয়ে যাচ্ছে, চাকরি-বাকরি পেয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে, অনেকে খ্রিস্টান হয়ে গিয়ে অন্তত কিছুটা হলেও সামাজিক সাম্য-সম্মানের স্বাদ পাচ্ছে, তাদের জীবন সুন্দর হবার দিকে এগুচ্ছে, তখন সেই অন্ধকার মনের লোকগুলোর প্রচণ্ড রাগ হয়, মাথায় খুন্ চেপে যায়। তখন তারা "গ্রাহাম্ স্টাইন্ আর তার দুই'ছেলেকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেয়।
    যেমন সেই পৌরাণিক উপন্যাসের 'রাম' নামের লোকটা রাগ সামলাতে না পেরে স্রেফ্ নিম্নবর্ণীয় হয়েও শিক্ষিত হবার চেষ্টা করার জন্যে শম্বুক নামের লোকটার কল্লাটা মহাউল্লাসে নামিয়ে দিয়েছিল।

    আজকে দারা সিং আর বজরং দলের নিন্দা করা যেমন দরকার, তার চেয়ে ঢের বেশী দরকার, বেশী উচিত হলো কঠোরতম এবং তীক্ষ্ণতম ভাষায় ওই সারাদেশে অসংখ্য মন্দিরে পূজিত, কোটি-কোটি লোকের প্রাণের প্রিয় 'রাম' নামের লোকটার চরিত্রের নোংরা দিকটা নিয়ে বিদ্রূপ করা এবং যারা তাকে দেবতার আসন দিয়েছে তাদেরকে মানসিকতাকে ব্যঙ্গ করা। তা'তে অনেকের ধর্মানুভূতি আহত হয় হো'ক।

    সব ধর্মের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।
  • a | 213.219.201.58 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ১৯:৩৬682471
  • প্রাচীন যুগে 'বেদ' ছিল শিক্ষার সমার্থক। কিছু বিশেষ প্রিভিলেজ্ড্ বর্ণশ্রেণীর মানুষ ছাড়া সেই শিক্ষা গ্রহণের কারুর অধিকার ছিলনা।

    এই দুই বাক্যের সমর্থনে কটা সূত্র দেবেন? যদ্দুর আমি জানি, বেদের শিক্ষা অধিকার বর্ণ এবং জেন্ডার এগনোস্টিক। শুদ্রও বেদ শিক্ষা করতে পারত। ডিডিদা কি বলেন?
  • PT | 213.110.243.21 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ১৯:৪৫682472
  • প্রাচীন মানে কত প্রাচীন?
    বেদাভ্যাসের বদ অভ্যাসের জন্য শম্বুকের জিভ কেটে নেওয়া হয়েছিল না?
  • 0 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ১৯:৪৯682473
  • হ্যাঁ ডিডিদা বেটার বলতে পারবে। আমি যদ্দুর জানি, ব্রাহ্মণ আর ক্ষত্রিয়রা বেদ পাঠের অধিকারী ছিল। ব্রাহ্মণদের প্রিভিলেজ্‌ নিয়ে একটা লিং দিলাম।

    "...The basis of the age-old veneration of Brahmans is the belief that they are inherently of greater ritual purity than members of other castes and that they alone are capable of performing certain vital religious tasks. The study and recitation of the sacred scriptures was traditionally reserved for this spiritual elite, and for centuries all Indian scholarship was in their hands..."

    [ http://www.britannica.com/topic/Brahman-caste ]
  • cm | 116.208.25.215 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ২০:১৩682474
  • "আজ শিক্ষা সহ সব ক্ষেত্রই সবার জন্য খোলা" এত অতি ভাল কথা। তা কোন দেশের কথা হচ্ছে?
  • Ekak | 34.17.201.58 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ২০:২০682475
  • জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলুম :)
    কোনকালেই প্রিভিলেজ জিনিষটা সবার জন্যে নয় । ধরণগুলো বদলে যায় শুধু । এখন পয়সার জোর টা প্রধান । তখন গুরু ধরা প্রধান ছিল । একটা কথা ওই দত্তাত্রেও রা বলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে যে প্রাচীনকাল-এ শুদ্রের ও শিক্ষার অধিকার ছিল । কথাটা একইসঙ্গে ভুল এবং ঠিক । আসলে শুদ্র যদি খাটাখাটনি করে খুব ব্যতিক্রমী কিছু কাজ করে গুরু ধরতে পারত তাহলে তাকে ওই একাডেমিক স্কুলে ঢুকিয়ে নেওয়া হত । এবার সেখান থেকে সে ব্রাহ্মণত্ব পেয়ে আরেকটা স্কুল চালু হয়ে গ্যালো । শুদ্রের ওপর কোপ নেবেছে যখন সে এক্রিদেসন ছাড়া শিক্ষার অধিকারী হওয়ার চেষ্টা করেছে । সে এখনো তো তাই । প্যারামিটার বদলেছে । আর কিছু না ।
  • 0 | 123.21.64.227 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ২১:১৪682476
  • 'সব ক্ষেত্রই সবার জন্যে খোলা' - আরে সে তো সংবিধানের কথা, কাগজে-কলমের ব্যাপার। সেটা যে আজও বাস্তবায়িত হয়নি সে তো জানা কথাই। সেটার কথাই তো বললাম। ওই যে আপার ক্লাসের সংকীর্ণমনা লোকজন আর কারুকে উঠতে দিতে চায়না, সেই কথাই তো হচ্ছে। তার মূলে ওই ধর্ম-বেস্‌ড্‌ পুরনো সংকীর্ণতা।
  • 0 | 123.21.64.227 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ২১:৪২682478
  • a লিখেছেন, "...যদ্দুর আমি জানি, বেদের শিক্ষা অধিকার বর্ণ এবং জেন্ডার এগনোস্টিক। শুদ্রও বেদ শিক্ষা করতে পারত।"

    একটা লিং দিচ্ছি যেখানে অন্যরকম বলছে।

    "...The Sûdras are not qualified for that reason also that Smriti prohibits their hearing the Veda, their studying the Veda, and their understanding and performing Vedic matters. The prohibition of hearing the Veda is conveyed by the following passages: 'The ears of him who hears the Veda are to be filled with (molten) lead and lac,' and 'For a Sûdra is (like) a cemetery, therefore (the Veda) is not to be read in the vicinity of a Sûdra.' From this latter passage the prohibition of studying the Veda results at once; for how should he study Scripture in whose vicinity it is not even to be read? There is, moreover, an express prohibition (of the Sûdras studying the Veda). 'His tongue is to be slit if he pronounces it; his body is to be cut through if he preserves it.'..."
    -- Vedanta Sutra: I/3/38

    [Ref.: The Vedanta Sutras, commentary by Sankaracharya, Trnsl. by George Thibaut [1890], url: http://www.sacred-texts.com/hin/sbe34/sbe34107.htm ]
  • 0 | 123.21.64.227 | ১১ আগস্ট ২০১৫ ২২:৩৪682479
  • "নীরবতার ৫ মাস:..."
    বন্যা আহমেদ, অগাস্ট্‌ ৪, ২০১৫

    "...আমি কিংবা অভিজিৎ দুজনেই মনে করি মানুষের পূর্ণ বাক্-স্বাধীনতা থাকা উচিত। ধর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে, যে কোন কিছুর পক্ষে বা বিপক্ষে। আপনার যদি তাদের ধর্মানুভূতি বা অন্য যেকোন সংবেদনশীল অনুভূতিতে আঘাত লাগে তবে তা ডিফেন্ড করুন, সাহস বা যোগ্যতা থাকলে লেখার জবাব দিন লেখা দিয়ে, অথবা নিজের উন্নত মস্তিষ্কটিতে নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত যে নিউরনগুলো আছে ওগুলো ব্যবহার করে ঐসব ওয়েবসাইটে, ব্লগে বা পেজে যাওয়া বন্ধ করে দিন অথবা একা একা নিজেই নিজের ঘরে কিছু ছুঁড়ে মেরে রাগ কমান। আমরা শার্লি হেব্দো বা উইকিলিক্স কেন, যে কোন মত প্রকাশের অধিকারকেই সমর্থন জানাবো। প্রথমে তাদের মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে দাঁড়াবো তারপর তাদের শৈল্পিক মান বা দক্ষতা নিয়ে অথবা মুক্তমনায় প্রকাশযোগ্য না অযোগ্য তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করার প্রশ্ন আসবে। লেখার জবাব যেকোন লেখা দিয়ে দিলে তাকেও সাদরে সমর্থন জানাবো। যতক্ষণ পর্যন্ত না কারো ‘ক্ষতি’ করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বাক্-স্বাধীনতার অধিকারকে ডিফেন্ড করে যাবো।..."
    "...চলুন এ প্রসঙ্গে স্টুয়ার্ট মিলের হার্ম প্রিন্সিপাল বা ক্ষতি-নীতিটায় একবার চোখ বুলিয়ে নেই। আমি এবং অভিজিৎ এবং সম্ভবত মুক্তমনার সম্পাদকমণ্ডলীও মিলের ‘On Liberty’ বইতে বলা বাক-স্বাধীনতার সীমার সাথে একমত পোষণ করি। জন স্টুয়ার্ট মিল বলছেন, “প্রত্যেকের নিজ মত ব্যক্ত করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে, তা সেই মত যা-ই হোক না কেন; একজন বাদে পৃথিবীর বাকি সবাই যদি এক মতের অনুসারী হয় তারপরও সেই একজনকে তার মত প্রকাশ করতে দিতে হবে, একজনের পৃথিবীর বাকি সবাইকে নীরব করা যতটা অনৈতিক, বাকি সবার জন্য একজনকে নীরব করাও ততটাই অনৈতিক।” বাক্‌-স্বাধীনতা খর্ব করার একমাত্র অধিকার থাকতে পারে একটি সমাজের সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং তারা কাউকে মত প্রকাশে কেবল তখনই বাধা দিতে পারে যখন সেই মত অন্য কারো “অবৈধ-সরাসরি-ক্ষতির” কারণ হতে পারে।..."
    "...এখন প্রশ্ন হলো ধর্মের যেকোনো রকমের সমালোচনাকে এই “অবৈধ-সরাসরি-ক্ষতি” এর কাতারে ফেলা যায় কি না। উত্তর হলো কোনোভাবেই যায় না। এমনকি অবৈধ তো দূরের কথা ধর্মের যাদৃচ্ছিক সমালোচনা বা ব্যঙ্গ প্রায় কখনোই কারো সরাসরি ক্ষতিরও কারণ হতে পারে না। কোনো ধরণের অনুভূতিতে আঘাত কোনো সরাসরি ক্ষতির মধ্যে তো পড়েই না, এমনকি স্রেফ ক্ষতির মধ্যেও পড়ে না।..."
    "...যারা এখানে ‘উগ্র’ নাস্তিকতাকে অভিদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করছেন তারা আসলে ভুলে যাচ্ছেন যে, এই ‘উগ্র’ নাস্তিকরা কাউকে হত্যা করার কথা বলেন নি। যারা এই হত্যার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করছে তারা আজ বড়ই অসহায় বোধ করছে, তারা এতই মরিয়া হয়ে উঠেছে যে তাদের সামনে হত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। তারা তাদের আদর্শগত অবস্থান থেকে বাক-স্বাধীনতা কিংবা অধিকাংশ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে অস্বীকার করে। তারা হত্যা এবং ভয়াবহ নিপীড়ণের নীতিকে সমর্থন করে বলেই তারা হত্যা করতে উদ্যত হয়েছে। এখানে বড্ড বড় ভুল হয়ে যায় এদেরকে বাদ দিয়ে তথাকথিত ‘উগ্র’ নাস্তিকদের দোষারোপ করলে।..."
    "...আমি মনে করি না ‘উগ্র নাস্তিক’দের উগ্রতর নাস্তিকতা চর্চার জন্য হুমায়ুন আজাদ-অভিজিৎ-অনন্তরা জীবন দিয়েছে। ওরা থাকলে ওরা নিজেরাই এই বক্তব্যের সাথে কোনদিন একমত হতো না। না, আমি মনে করি অভিজিৎ বা অনন্ত তাদের ‘র‍্যাশনাল থিংকিং’ এর জন্যই নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। অথবা কেউ যদি বলেন ধর্মের কার্ডকে পুঁজি করে ওদের রাজনৈতিক খেলার ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে সেটাও আমি বিবেচনা করতে রাজি আছি। কিন্তু ওরা ‘উগ্র’ নাস্তিকদের র‍্যাডিক্যাল কর্মকাণ্ডের দায়ভার মাথায় নিয়ে মৃত্যবরণ করেছে এটা মেনে নিতে আমি কিছুতেই রাজি হব না।..."

    পুরো লেখা - https://blog.mukto-mona.com/2015/08/04/47105/
  • 0 | 132.163.85.78 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ২৩:২১682481
  • "অনুভূতির রাজ্যে পৃথিবী রক্তময়"
    লেখক: নিকসন কান্তি

    "...ধরা যাক, কেউ একজন আমাকে খোলা রাস্তার ওপর সোজাসুজি বলে বসলো, তর বাপে একটা…। আমিও তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে খুন করে ফেললাম। এরপর কেসটা আদালতে উঠলে আমি কি অনুভূতিতে আঘাতের কারন দেখিয়ে পার পাবো? পাবো না। আদালত বলবেন, অনুভূতিতে আঘাত পাওয়া পর্যন্ত ঠিক আছে কিন্তু তারপর তোমার প্রতিক্রিয়া কী হবে সেটাতো তোমারই চুজ করা। তুমি তো পাল্টা একটা খারাপ কথা বলে বা তার চেয়েও খারাপ কিছু বলে গটগট করে চলে যেতে পারতে। গেলে না কেন? বেশ করেছো, এখন ঝুলে যাও।
    তারপরও ধর্মানুভূতিকে বেশীর ভাগ মানুষ ঐ হিসাবের বাইরে রাখতে চায়। কেন?..."

    "...অন্য যে কোন অনুভূতিতে আঘাত লাগলে আমি যদি খুনখারাবি করি তবে সেটা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু ধর্মানুভূতির ক্ষেত্রে ব্যাপার আলাদা। এখানে আঘাত করাই অপরাধ।..."

    "...এ এমন এক অনুভূতি যেটা থাকলে অন্য অনেককিছুই মাথা থেকে বেরিয়ে যাবে বা অন্ততঃ কোনঠাসা হয়ে থাকবে; যেমন, কমনসেন্স, যুক্তিবোধ, মানবিকতা, কৌতুহল ইত্যাদি।..."

    "...বেঁচে থাকাটা তো অর্থহীন হয়ে গেছে; মৃত্যুটার যেন একটা অর্থ থাকে। বুড়ো থুত্থুরে হয়ে বিছানায় নিজের মলমুত্রের মাঝে ডুবে মরার চেয়ে রক্তগঙ্গাতেই নাহয় ডুবে যাবো। তবুও যদি খুব কাছের মানুষগুলোকে অন্ততঃ একটু ভাবতে বাধ্য করা যায়।..."

    পুরো লেখা - https://blog.mukto-mona.com/2015/08/12/47378/
  • aranya | 154.160.98.91 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ০২:০৩682482
  • মুসলিমদের কাছে নবী নিজের বাবার চেয়েও অনেক বেশি প্রিয় বলে শুনি, অন্তত বহু মুসলমানের কাছে। তাই তাকে গাল দিলে অনুভূতি -তে আঘাতটা হয়ত খুবই জোরাল হয়।
    সেক্ষেত্রেও নবী-কে অপমানের প্রতিক্রিয়ায় কিভাবে কাউকে খুন করে ফেলা যায়, তা আমাদের পক্ষে বোঝা মুশকিল
  • pi | 24.139.221.129 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১০:২৬682483
  • অরণ্যদা, এটা আমাকে একজন মেসেজ করে গেছেন,
    'আপনার সামনে যদি আমি আপনার মেয়েকে ধর্ষণ করি,আপনি কি করবেন??? যদি আপনার হাতে অস্ত্র থাকে তবে???
    আপনি মেয়েকে যতটা ভালোবাসেন, তার চেয়ে বহুগুন বেশি আমরা নবীকে ভালোবাসি,,তার অপমান সহ্য হয়না'
  • কল্লোল | 125.242.141.157 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১৩:৫০682484
  • আসলে এটা একটা সংষ্কৃতির ব্যাপার। পবতে, কৃষ্ণ করলে লীলা / অমি করলে বিলা - এটা বললে কেউ ক্ষেপে যায় না। ব্যাপারটা "হিন্দু সহনশীলতা" একেবারেই নয়। এটাতে উত্তর ভারতে লোকে ক্ষেপে যাবে, মারপিট হওয়া বিচিত্র নয়। আবার এটাই দক্ষিণ ভারতে মারপিটে গড়াবে না, কিন্তু মুখদর্শন বন্ধ হয়ে যাবে। সেমেটিক ধর্মে একটু উগ্রতা আছে। আছে বলেই যীশু বা মহম্মদকে নিয়ে তাদের ভাবমুর্তির বিরুদ্ধে কিছু বললে সেটা ঝামেলার হয়। লেননকে ক্ষমা চাইতে হয়েছিলো, "আমরা যীশুর চেয়ে বেশী জনপ্রিয়" এটুকু বলার জন্য।
  • Ekak | 24.96.66.110 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১৪:৩১682485
  • হ্যা এখানে লোকজন ক্ষেপে গেলে বড়জোর কথা বলা বন্ধ করে দেয় । এক হোমোফোব সহকর্মী কে আইয়াপ্পা আর বাবরের সম্পর্ক নিয়ে ক্রস করায় সে বহুদিন আমাকে দেখলেই গাওরা বেড়ালের মত মুখ ঘুরিয়ে চলে যেত ।
  • Du | 107.79.230.34 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ২০:৪৮682487
  • না
  • 0 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ২১:৪৬682489
  • দুটো ঘটনা জানতে পারলাম উইকি থেকে। লিংক্‌- https://en.wikipedia.org/wiki/M._M._Kalburgi

    প্রথমটা থেকে একই সাথে জানা যায় মানুষটার সত্যনিষ্ঠা এবং অসহায়তার কথা।

    In 1989 Kalburgi was forced by the Lingayat temple-chiefs to recant the allegedly derogatory references to the founder of Veerashaivaism, Basava, his wife and sister. The controversy was about two articles in his book Marga 1. In the first, Kalburgi examined several vachanas (poems) written by Basaveshwara's second wife Neelambike and concluded that her relationship with her husband may have been only platonic. In the other article, he pointed out the obfuscation by historians of the birth of Channabasava, another Virashaiva poet. Kalburgi, relying on historical records, argued that Channabasava could be the product of Basava's sister Nagalambike's marriage to Dohara Kakkaya, the cobbler-poet. After recanting his views Kalburgi had said, "I did it to save the lives of my family. But I also committed intellectual suicide on that day."

    দ্বিতীয় ঘটনা ইঙ্গিত দেয় যে শৈশব থেকেই ওনার চরিত্রের মধ্যে সাহস এবং 'যাচাই না ক'রে বিশ্বাস না করা'র মুক্তচিন্তা কিভাবে মিলেমিশে ছিল।

    In June 2014, addressing a seminar on Anti-superstition Bill in Bangalore, Kalburgi cited U.R. Ananthamurthy’s 1996 book Bethale Puje Yake Kudadu,("Why nude-worship is wrong") in which the writer narrated his childhood experience of urinating on idols as an experiment to see whether there would be divine retribution.[6] This had led to protests from the right-wing groups, Vishva Hindu Parishad, Bajrang Dal and Sri Ram Sena.

    আন্তরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান জানালাম।
  • pi | 192.66.78.102 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ১৩:৫৬682490
  • 0 | 132.163.70.198 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ১৫:১৮682491
  • সরি, লাস্ট্‌ পোস্টে ভুল লিখেছি :-(
    দ্বিতীয় ব্যাপারটা অনন্তমূর্তির শৈশবে হয়েছিল। কালবুর্গির নয়। তবে সমর্থন নিশ্চই ছিল, নইলে উল্লেখ করতেন না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন