এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • MJAL (মনে যা আসে লেখো )

    একক
    অন্যান্য | ০৮ মে ২০১৫ | ২৪২৮১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | ০৯ মে ২০১৫ ১৪:৪৯677875
  • টিমের ইচ্ছেটা আমারও হয়, আর আমি ইচ্ছেটা মিটিয়েও নি।
  • cb | 11.186.70.250 | ০৯ মে ২০১৫ ১৬:৩৮677886
  • পেটের ব্যাথায় মারা যাচ্ছি, বাড়িতে একটু আগে আমার মৃতদেহের ছবি পাঠিয়ে দিলাম
  • a x | 60.171.26.111 | ০৯ মে ২০১৫ ২০:০১677897
  • সিঁফোটাকে কবে যেন ত্যাজ্য করেছিলাম, আবার আমার স্নেহছায়ায় আশ্রয় দিলাম। গাড়ি নয়, টেস্টেস্টেরোন ভর্তি সিরিঞ্জ এইসব আমার মনে আসছিল।
  • cm | 127.247.99.196 | ০৯ মে ২০১৫ ২০:১২677908
  • ভগবান যাকে ইনভিজিবিলিটি ক্লোক দিয়েছেন তা সরাবে কে?
  • I | 233.239.165.163 | ০৯ মে ২০১৫ ২১:৩২677919
  • বললেন-এর মধ্যে একটা কাণ্ড হয়েছে। আমার যে ছেলে মারা গিয়েছিল , সে আবার বেঁচে উঠেছে। আর, একটা বিয়ে করে বসেছে। এই নিয়ে দুই বাড়িতে খুব হুলুস্থুলু। কারো কথা তো শোনে না, বরাবরের অ্যারোগ্যান্ট ছেলে।
    হাওয়ায় ফিনাইলের গন্ধ। আলুভাজায় সাঙ্ঘাতিক ক্যালোরি। গ্রহণের সময় পাতাওয়ালা গাছগুলো পিনহোল ক্যামেরার কাজ করে। সূর্যকে ফালি ফালি করে কেটে ছড়িয়ে দিয়েছে। ঠাণ্ডা লাগে।
  • dc | 132.164.226.60 | ০৯ মে ২০১৫ ২১:৪২677922
  • খাজাবাবা খাজাবাবা মারহাবা মারহাবা গেয়ে ছিল নবীর গুনগান।
  • Tim | 101.185.15.109 | ০৯ মে ২০১৫ ২২:১৬677923
  • সিফোঁকে লাইক
  • sinfaut | 127.195.51.153 | ০৯ মে ২০১৫ ২৩:০৪677924
  • এই যেমন এখন বীফব্যনিত রাষ্ট্রে থাকি আর যেই কেউ নাম জিজ্ঞেস করে চাপ খাই, যেমন আজ খেলাম সোসাইটির মধ্যে একজন করায়। কিছুই বলা যায় না। ওদিকে মেয়ে প্রতিদিন ঘুমোনোর আগে গল্প বলতে বলে। উপাদান ওর, প্রকরণ আমার। টমেটো আর ক্যাপ্সিকাম এর গল্প। আপেল আর তার মধ্যে পোকার গল্প। ঝোল কিম্বা ঝালের গল্প। সবই প্রায় খাবার গল্প। সে খাবার গুলো যদি সকালের হয়, তবে বাকি দিনের দুপুরের, বিকেলের সন্ধ্যের সে সন্ধ্যের মধ্যে আমি ফিরি রাতে হয়তো দুধ রুটি কলা খেয়ে মেয়ে আমার কাচে গল্প শুনবে বললো আর সেই গল্প বলতে বলতে ঐ খানটায়, ঠিক গল্পের আর গল্পে বাইরে ঐখানটায় পৌঁছে গেলে মেয়ে হেসে উঠে বলে এবার ঘুমোবো আর তখন আমি টাইপ করতে শুরু করি এই যেমন এখন বীফব্যনিত রাষ্ট্রে থাকি আর যেই কেউ নাম ...
  • I | 233.239.165.163 | ০৯ মে ২০১৫ ২৩:৩৩677925
  • খেয়ে উঠে রোজ একটা করে হজমোলা ইমলি। না হলে কী হত ভাবলে শিউরে উঠি। আর দেখুন, স্টোয়িকফোয়িক কিছু না , সবই আসলে হজমোলা ইমলি।
  • dc | 132.164.226.60 | ০৯ মে ২০১৫ ২৩:৫৪677927
  • আমরা ছোটবেলায় একটা দুতলা বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকতাম। বাড়িটার পেছনে একটা পুকুর ছিল। একবার খুব বৃষ্টি হলো, পুকুরটা ভেসে গিয়ে বাগানেও জল জমে গেল। তখন সারারাত গ্যাঙর গ্যাঙ করে ব্যাঙ ডাকত। আমাদের একটা গাব্দু মোটা বেড়াল ছিল, সেটা রাত্তিরবেলা জানলার ধারে কান খাড়া করে সেই ডাক শুনত। আর অন্ধকারে ওর চোখ জ্বলতো। আমি ওকে আবছায়া দেখতাম আর ওর চোখ দেখতাম। আর ঘুমোতাম।
  • achintyarup | 233.176.34.75 | ১০ মে ২০১৫ ০০:২১677928
  • বাড়ির বাইরের চুন-মাখা দেওয়ালের ওপর নীল মোম পেন্সিল দিয়ে রবীন্দ্রনাথের মুখ এঁকেছিলাম। সে প্রায় বছর তিরিশ হবে। বাবা বলল, বেশ হয়েছে, বেশ ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের মতো দেখাচ্ছে মুখখানা। তারপর চুন ঝরে ঝরে টুকরো টুকরো হয়ে গোটা ছবিটাই দেওয়াল থেকে ঝরে গেল
  • Tim | 101.185.15.109 | ১০ মে ২০১৫ ০০:৩৪677929
  • জানলা দরজায় হাওয়া ধাক্কা দিচ্ছে। সামনের বাড়ির জানলার নেটগুলো উড়ে গেল। মনে পড়লো অনেক ছোটবেলায় একবার ভাঙা ইঁটের টুকরো দিয়ে হাত চিহ্ন এঁকে ছিলাম ভোটের আগে, বাড়িতে কী বকা। অন্যের দেওয়াল নোংরা করেছি। আর কংগ্রেস করে একটা লোক, অসভ্যের মত হেসে বলেছিলো কেমন বোকা বানালাম। হাতটা তো কব্জি থেকে কাটা, রক্ত পড়ছে টপাস টপাস করে, এরকম করার ইচ্ছে ছিলো, করা যায়নি। উল্টে পুরোটাই মুছে দিতে হলো।
  • Abhyu | 85.137.13.237 | ১০ মে ২০১৫ ০০:৪৬677930
  • হোস্টেলে থাকার সময় একবার খুব বৃষ্টি হয়েছিল। পুকুর থেকে জল উঠে এসেছিল অনেকটা। আমরা কাগজের নৌকা ভাসিয়েছিলাম। সবার নৌকাই একটু গিয়ে উল্টে গিয়েছিল। শুধু তথাগতর নৌকোটা কেমন করে পুকুরের উল্টোদিক পর্যন্ত ভেসে গিয়েছিল। পরে তথাগত বলেছিল ও নিজেই উল্টোদিকে গিয়ে নৌকো ভাসিয়ে এসেছিল। সেদিনের মেনু চেঞ্জ করে দুপুরে খিচুড়ি করা হয়েছিল। অমন যে কালিদা, সেও আমাদের কথা মেনে নিয়ে দ্বিতীয়বার রান্না বসিয়েছিল। সে আজ সতের আঠার বছর আগের কথা।
  • একক | 24.99.206.140 | ১০ মে ২০১৫ ০১:০৩677931
  • এই নিখিল বাবুকে আমি একদিন সাউন্ড ফাইল থেকে টেনে বের করে হেব্বি ভয় দেখাবো কাছে একটা আলোর চাপাতি আছে বলে কী দেমাক পুরো হ্ম
  • achintyarup | 125.187.41.101 | ১০ মে ২০১৫ ০১:২০677932
  • হস্টেলের পুকুরের কথা আর না বলাই ভাল। গ্রাম থেকে এসে সেই আধা-শহরের পুকুরে নিজে নিজে সাঁতার শিখেছিলাম। আর ঋতুপর্ণ রোজ সকালে বিকেলে গুণে গুণে চব্বিশ বার করে সেই বড়সড় পুকুর এপার ওপার করত। আমি একবার করেছি। আর ঋতুপর্ণকে ছেলেরা ঋতুবন্ধ বলে ডাকত আর সে ইউনিভার্সিটিতে ঢুকে মাথা নেড়া করেছিল আর নেড়া হয়েই থাকত
  • Abhyu | 85.137.13.237 | ১০ মে ২০১৫ ০১:২৪677933
  • আচ্ছা ন্যাড়া হয়ে থাকলে কি টাক পড়ে না?
  • achintyarup | 125.187.41.101 | ১০ মে ২০১৫ ০১:৩০677934
  • আর হস্টেলের পুকুরে রাত দুটোর সময় গামছা পরে একা একা চান করার কথা কেউ জানত না। শুধু কলেজ শেষ করে বেরোনোর সময় ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট লিখতে লিখতে প্রিন্সিপাল বলেছিলেন মাঝরাত্তিরে পাড়ায় পাড়ায় পোস্টার লেখালিখি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ন কর্তব্য সেরে পাঁচিল ডিঙিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে পুকুরে নেমে চান করা কোনো কাজের কথা নয়।
  • achintyarup | 125.187.41.101 | ১০ মে ২০১৫ ০১:৩৩677935
  • আমাদের আপিসে একজন আছে, যার টাকও আছে, ন্যাড়াও আছে। তার পঁয়তাল্লিশ বছর বয়েস
  • achintyarup | 125.187.41.101 | ১০ মে ২০১৫ ০১:৫৪677936
  • আর গামছার কথাই বা কী বলব। সীতারাম পট্টনায়েক আমাদের সঙ্গে পড়ত আর পাগল হয়ে গেল আর একদিন গামছা পরে বাসের ছাদে উঠে কোথায় চলে গেল। তা ছাড়া আরও দু জন পাগল হয়ে গিয়েছিল। আর একজনের দেরাদুনে বাড়ি আর রোজ দাড়ি কামাত আর বাড়িতে গিয়ে গলায় দড়ি দিল। শুনে প্রথমেই মনে হল কানের পাশে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করলে মানাত ভাল। আরেক জন সরকারি বাসের কন্ডাক্টার হয়ে গেল। পুরুলিয়া-কলকাতা। আরেকজন পোস্টমাস্টার হল। মাধ্যমিকে স্টার পেলে পোস্টমাস্টার হওয়া যেত। আর গ্রামে গ্রামে সার্ভে করে বেড়ানোর সময় একজন আমায় বলল, তুমি কেন ট্রেন ড্রাইভার হও না, এত ভাল রেজাল্ট
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ১০ মে ২০১৫ ০২:১৪677938
  • আমাদের ক্লাসে একটা ছেলে পড়ত - সে আর তার ভাই বাড়ির ছাদে উঠে রাস্তার লোককে ঢিল ছুঁড়ত। ক্লাস টেনের পরে তার আর কোনো খবর রাখি না।
  • Atoz | 161.141.84.175 | ১০ মে ২০১৫ ০২:৩১677939
  • কালবৈশাখী ঝড় এলে উঁচু দাওয়া থেকে নিচের উঠোনে আমরা লাফিয়ে পড়তাম "উদ্ধা আ আ র" বলে চিৎকার করতে করতে। ধূলায় ধুলাক্কার। মায়ের কী রাগ! অথচ ব্যাপারটার মধ্যে একটা মজা থাকায় হেসেও ফেলত বকতে গিয়ে। এই "উদ্ধা আ আর" এর আইডিয়াটা ভাইয়ের। সে নাকি কোথায় তখন গল্পে শুনেছিল অমুকচন্দ্র তমুক দেশোদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তাই থেকে মনে করেছিল এইভাবে বুঝি ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়।
    সে কত যুগ আগের কথা। কত মাঠ তখন! ঝড়ের আসা তখন কত ভালো করে বোঝা যেত।
  • achintyarup | 125.187.41.101 | ১০ মে ২০১৫ ০২:৩৯677940
  • অজ্ঞান অবস্থা থেকে জ্ঞান ফেরার সময় তিনটে কথা বলেছিলাম জানা গেল। ১) নাকে লাগানো নলে অক্সিজেনের ফ্লো বাড়িয়ে দেওয়া হোক (সে কথা কেউ শোনেনি) ২) রোজ রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার সময় জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত (কেউ পাত্তা দেয়নি) ৩) শরীর থেকে বের করা দু ইঞ্চির টাইটেনিয়াম স্ক্রু দেখে বলেছি, সেটা তমালকে দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। (তমাল আমাদের বাড়িতে কাঠের কাজ করে।) এ সবের কিছুই আমার মনে ছিল না। এখন আবছা মতো মনে পড়ে
  • achintyarup | 125.187.41.101 | ১০ মে ২০১৫ ০২:৪২677941
  • কালবৈশাখির সময় আম কুড়োনো ইজ আ ভেরি ডিফিকাল্ট প্রোপোজিশন। দু এক বার চেষ্টা করে দেখেছি, একটা আমও পাইনি
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ১০ মে ২০১৫ ০২:৫০677942
  • পরের দিন ভোরবেলা কুড়োতে যেতাম। কখনো দু তিনটে পেতাম, খুব ছোটো ছোটো। ঢিল মেরে বড়ো আম পেড়ে বলতাম কুড়িয়ে এনেছি।
  • achintyarup | 125.187.41.101 | ১০ মে ২০১৫ ০২:৫২677943
  • বাসের মাথায় উঠে গোপীবল্লভপুর থেকে হাতিবাড়ি গিয়েছিলাম। মুখে মাথায় গাছের ডালের বাড়ি লাগে। সুবর্ণরেখা নদীতে ভরা দুপুরে ডুব দিয়ে চান। বালি হাতে তুলে দেখি সোনা আছে কি না। রাত্তিরে কি কুচকুচে আকাশ। তারাগুলি একেবারে ঝকঝক করে। হেব্বি মশা
  • Atoz | 161.141.84.175 | ১০ মে ২০১৫ ০৩:০২677945
  • পাশের বাড়ীতে ছিল একটা জঙ্গল, আমগাছ নারকেল গাছ ডুমুর গাছ হরবড়াই গাছ এইসবে ভর্তি। কিন্তু আমচুরি খুবই ডিফিকাল্ট ছিল, ঐ বাড়ীর জ্যেঠিমা সর্বদাই বাজপাখির মতন ঘোরাঘুরি করতেন। একদিন উনি যেন কোথায় গেছিলেন, সেই শুভ মুহূর্তে আমরা গিয়ে আম পাড়তে গিয়ে দেখি হাত যায় না আমে। তখন ওদেরই লগা দিয়ে টান দিয়ে পেড়ে যেই না তুলেছি, শোনা গেল উনি আসছেন। দৌড় দৌড় দৌড়, বমালসমেত ধরা না পড়ি।
  • achintyarup | 125.187.41.101 | ১০ মে ২০১৫ ০৩:০২677944
  • আরেকটা হাতিবাড়ি আছে বাঁকুড়ায়। শিমলাপাল নেমে যেতে হয়। শিমলিপাল নয়, শিমলাপাল। সেখানে বাস থেকে নেমে দেখি আদিগন্ত পৃথিবী কেমন হেলে মতো আছে, মাটির এমনি ঢাল। তার ওপরেই গাছপালা সব। কোনাকুনি উঠেছে। ভারি অদ্ভুত। সেখান থেকে হাতিবাড়ি বারো কিলোমিটার। জুন মাসের দুপুরে বাঁকুড়ার গরমে হেঁটে যেতে হয়। বাস থেকে নামা ব্যাঙ্কের কর্মচারী অচেনা ভদ্রলোক দয়াপরবশ হয়ে মোটর বাইকের পেছনে চাপিয়ে নিয়ে গেলেন। ব্যাঙ্কের পাশে কুয়ো। তার জল বরফের মতো ঠাণ্ডা আর মিষ্টি
  • achintyarup | 125.187.41.101 | ১০ মে ২০১৫ ০৩:৩০677946
  • খটখটে গরমের দুপুরে বাসে করে যেতে যেতে রাস্তার দুপাশের ঝোপঝাড়ে কি চিৎকার করে ঝিঁঝি ডাকে। বীরভূমের কোথায় যেন। তারপর সেই গ্রামটায় গিয়ে খেতে বসি। ভাতের হোটেলে আমি একাই খদ্দের। একটা মাটির বাড়ি, ছোট্ট অন্ধকার মতো ঘরে মাটির ওপর চাটাইয়ের আসন, অ্যালুমিনিয়ামের থালা-গেলাস, মোটা চালের ভাত, নালতের ঝোল আর ডিমের তরকারি। মোট সাড়ে সাত টাকা। নালতে হল গিয়ে পাটশাক। ঝোল একটু হড়হড়ে মতো
  • kd | 127.194.227.209 | ১০ মে ২০১৫ ০৫:২৫677947
  • আমাদের এক বন্ধু আছে, সুদীপা। ওকে কেউ দিদি বলুক, একদম পছন্দ করতো না। বেশ কিছুদিন বাদে কারণটা আবিস্কার করেছিলুম।
  • byaang | 233.227.114.125 | ১০ মে ২০১৫ ০৬:৩০677949
  • ক্লাস এইটে পড়ার সময়ে গার্গী ওদের একটা ফোটো অ্যালবাম নিয়ে এসেছিল ইস্কুলে। এ ছবি সে ছবি দেখার পর একটা ছবিতে দেখি বাড়ির ছাদের পাঁচিলের উপর ইয়াব্বড় এক ষাঁড় বসে। ষাঁড়টার আক্কেলে তো আমি হেসেই খুন। ষাঁড়টা কী করে ছাদে উঠল, কারুর বাড়ির ছাদে কী করে একটা আস্ত ষাঁড় উঠতে পারে, তারা ষাঁড়টাকে না তাড়িয়ে ছাদেই বা উঠতে দেয় কেন, ষাঁড়টারই বা অমন মতিচ্ছন্ন কেন, ছাদের পাঁচিলের উপর ঐ চেহারা নিয়ে চড়তে গেল কেন, ওরাই বা ষাঁড়টাকে নামানোর চেষ্টা না করে ফোটো তুলতে গেল কেন এইসব বলতে বলতে খুব একঝুড়ি হাসলাম। হাসতে গিয়ে শাস্তিও পেয়ে গেলাম টিফিনের পরের পিরিয়ডে। শাস্তি পেয়ে উঠে দাঁড়িয়েও হাসতে হাসতে গড়িয়ে গেলাম। এই জন্য এবার ক্লাসের বাইরে চলে যেতে হল শাস্তি পেয়ে। ভাগ্যিস পরের পিরিয়ডটা ছোটতৃপ্তিদির ছিল। উনি ক্লাসে এসে আমাকে ক্লাসে ঢুকিয়ে নিলেন, নিজের বেঞ্চে গিয়ে বসতে বললেন। তখনও আমি কুলকুল করে হাসছি। গার্গী সেই টিফিনের সময় থেকে ভারি আহতমুখে আমার হাড়জ্বালানে হাসি আর প্রশ্ন গুলো গিলে যাচ্ছে সমানে। একটুও রাগ করছে না। ওর চোখ ছলছল করছে কিনা দেখতে আমার ভারি বয়েই গেছে। ওদের বাড়ির দরজা খোলা পেয়ে কেমন করে একটা ষাঁড় সোজা তিনতলার ছাদে গিয়ে চড়তে পারে আবার ওকে এই প্রশ্ন করলে, ও বলে "ওটা ষাঁড়ের মূর্তি, জ্যান্ত ষাঁড় না।" সেই শুনে আবার হাসতে থাকি হি হি করে। আবার ওকে প্রশ্ন করতে থাকি, বাড়ির ছাদের পাঁচিলের উপর ওরকম দশাসই ষাঁড়ের মূর্তি বানানোর আইডিয়াটা কেন হয়েছিল ওর বাড়ির লোকের, বাড়ির কেউ আপত্তি করে নি কেন এইসব বলি আর হাসির দমকে কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকি। ও তখনও শান্তমুখে স্থির হয়ে বসে আমার হাসি বেমালুম গিলে যেতে থাকে। একবারের জন্যও রেগে ওঠে না। আবার শাস্তি পাই । সেভেনথ পিরিয়ড আর এইটথ পিরিয়ড দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কেটে যায়। তখনও কেঁপে কেঁপে হাসতে থাকি। গার্গী মুখ কালো করে স্থির হয়ে বসে থাকে। রেগে যায় না। আপত্তি করে না। নালিশও করে না। ও কি মনে মনে দোষ দিচ্ছিল? নিজেকে? অ্যালবামটা স্কুলে আনার জন্য? আমাকে দেখানোর জন্য? নন্দিতা, অন্বেষা ওরাও তো দেখেছিল ছবিটা। ওরা তো হাসেই নি , কোনো প্রশ্নও করে নি। তাহলে কি আমাকে দোষ দিচ্ছিল গার্গী মনে মনে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন