এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কীভাবে নাস্তিক হলাম

    সিকি লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৩ মে ২০১৫ | ১০০৯১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১২:৩৯676295
  • "একথা সত্যি বিপদে পড়লে ইশ্বর কে ডাকি।" "নাস্তিকদের বক্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে, তাঁরা বলতে চাইছেন যে ঈশ্বর মঙ্গলময় হলে, মানুষের এত দুক্খ কষ্ট কেন?"

    নানা নাস্তিকদের বক্তব্য এতোটা সোজাসাপ্টা না ঃ-) যেমন ধরুন আমি বিপদে আপদে সুখে দুঃখে কখনো ঈশ্বরকে ডাকি না কারন ভেতর থেকে সেই তাগিদটাই আসে না। উল্টে বিপদের সময়ে কেউ ঈশ্বরকে ডাকার পরামর্শ দিলে একটু মজা পাই, ভাবি মনে মনে বলি, হে আফ্রিকার এক ফুট উঁচু বেগুনি জিরাফ, আমায় উদ্ধার করো, বা হে মঙ্গল গ্রহের চারপাশের বিরাট কেটলি, আমার রক্ষা করো, বা হে হিন্দুদের আরাধ্য ভগবান আমাকে বাঁচাও। যার অস্তিত্ত্ব কোনদিন অনুভবই করতে পারিনি, যা আমার কাছে স্রেফ একটা অপ্রমানিত কনসেপ্ট, আমার বিপদে কিকরে সেই কনসেপ্টটাকে ডাকব আমি এই ব্যাপারটাই বুঝতে পারিনা।
  • Tim | 188.91.253.22 | ১৪ মে ২০১৫ ১২:৪৪676296
  • "ধর্মকে বরং অনুশাসনের দিক থেকে সরিয়ে দর্শনের দিকে ঠেলে দিন"

    তাই? যে লোকটা আমার চেয়ে দশ গুণ বেশি পরিশ্রম করে আমার একশো ভাগের এক ভাগ মাইনে পায় বলে তার বাচ্চা বিনা চিকিৎসায় মরে, বা যে লোক স্রেফ আফগানিস্তানে জন্মেছে বলে গ্রেনেডে উড়ে গেল তার পরিবারকে কোন দর্শনের ললিপপ দেবেন স্যার? তাকে গিয়ে বলবেন, যে ধর্মচর্চা করুন চেতনার জন্য? ঃ-)

    এইটাই বলছিলাম। বড়োলোকের আস্তিক্য আর গরীবের আস্তিক্য এক নয়। তাদের ঈশ্বরও আলাদা। যে যেমন তার ঈশ্বর সেইরকম। সবই রিলেটিভ, এবং বাবারও বাবা আছে। এই লাইনে ভাবলে আর ঈশ্বরচিন্তা লাগেনা। রাজনীতি দিয়েই কাজ চলে যায়।
  • Tim | 188.91.253.22 | ১৪ মে ২০১৫ ১২:৪৭676297
  • দর্শনচর্চা কি নিরামিষ জিনিস নাকি? এক স্কুল অন্য স্কুলকে অ্যাটাক করবেনা? সহিষ্ণুতার অভাব থাকবেনা?
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১২:৪৯676298
  • ইয়ে, বড়োলোক আর গরীবলোক তো থাকবেই কারন রিসোর্সের আনইকুয়াল ডিসট্রিবিউশন থাকবেই। তবে একই সাথে দার্শনিক ডিসকোর্সও চলবে। মানুষের ইতিহাসে আনইকুয়াল রিসোর্স বা মাইনের পার্থক্য তো চিরকালই ছিল, কিন্তু দর্শন চিন্তা তো বন্ধ হয়ে যায়নি। তাই এখনো বন্ধ করার দরকার হবে বলে মনে হয়না, আর নিছক রাজনীতি দিয়ে এর পুরোটা ধরাও যাবেনা।
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১২:৫২676299
  • উরেব্বাস এক স্কুল আরেক স্কুলকে প্রচুর কঠিন আর ভয়ানক অসহিষ্ণু অ্যাটাক করেছে। তবে দুয়েকটা উল্টো উদাহরনও আছে, যেমন রাসেল সাহেব প্যারাডক্স আবিষ্কার করে যেই ফ্রেগেকে চিঠি লিখলেন ওমনি ফ্রেগে তাঁর প্রায় সারাজীবনের কাজের অসারতা বুঝতে পেরেও বল্লেন, না রাসেল ঠিকই বলেছে।
  • san | 11.39.32.81 | ১৪ মে ২০১৫ ১২:৫৩676300
  • যে যত ভালনারেবল তার ধর্মের দরকার তত বেশিই । যার বাচ্চা বিনা চিকিৎসায় মরে তার নাস্তিক হবার প্রায় কোন সম্ভাবনাই নেই , আমার আছে। আর এই যুক্তিতে আফগানিস্তান ভর্তি নাস্তিক হবার কথা ছিল , কারণ বোমার আঘাতে মরতে কারোরই ভাল লাগেনা , অতএব তারা দলে দলে ধর্মকে ছুঁড়ে ফেললেই সহজ সমাধান পেয়ে যেত। কিন্তু অ্যাপারেন্টলি পাচ্ছেনা।
  • san | 11.39.32.81 | ১৪ মে ২০১৫ ১২:৫৫676301
  • দেখেছ - নিজে বলবে যে যেমন তার ঈশ্বরও তেমন। আর যে যাতে কিক পায় সেটাই তার ঈশ্বর বললেই ধোঁয়াটে বলে দাগিয়ে দেবে । বেশক্‌ না ইনসাফি।
  • Tim | 188.91.253.22 | ১৪ মে ২০১৫ ১২:৫৬676302
  • হ্যাঁ থাকবেই। এবার সেটা গিয়ে সত্যনারায়ণের পুজোয় বলুন সমাগত ভক্তমন্ডলীকে অ্যাজ অ্যান এক্সপেরিমেন্ট। বিশ্বাস করাতে পারবেন? এবং যদি পারেন, তারপর পুজোটা বহাল থাকবে? পুজোটা এখানে প্লেসহোল্ডার, ভগমানকে ডাকা অর্থেও ধরে নিতে পারেন।
  • Tim | 188.91.253.22 | ১৪ মে ২০১৫ ১২:৫৮676305
  • না না আমি যে যেমন বলেছি, যা বলিনি। আকাশ মেঘ ঝড় ইত্যাদি এর বাইরে। মানুষ বাদে অন্য জন্তুরাও বাদ। তাদেরও ঈশ্বর নাই।
  • hu | 188.91.253.22 | ১৪ মে ২০১৫ ১২:৫৮676303
  • যার কেউ নেই তার ঈশ্বর আছে। তাকে দেখতে পাওয়া যায় না। তার উত্তর দেওয়ার দায় নেই। তবুও সে আছে। কিচ্ছু না থাকার নিরপত্তাহীনতার থেকে এই মুক-বধির-অন্ধ অস্ত্বিত্বটিও অনেক সহনীয়। তাই আফগানিস্তানে রোজ বোমাবৃষ্টি হলেও সেখানে ঈশ্বর আছে। যেখানে যত অভাব সেখানে তত বেশী করে আছে। কারন তাকে বর্জন করলে কিচ্ছু না থাকাকে মেনে নিতে হয়।
  • san | 11.39.32.81 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:০০676306
  • যাগ্গে এই চুপ করলাম , ডিসি এই বিভিন্ন স্কুল অফ থটস নিয়ে বড়ো করে লিখুন না , আমি পড়তে খুবই ইচ্ছুক।
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:০৮676307
  • "হ্যাঁ থাকবেই। এবার সেটা গিয়ে সত্যনারায়ণের পুজোয় বলুন সমাগত ভক্তমন্ডলীকে অ্যাজ অ্যান এক্সপেরিমেন্ট। বিশ্বাস করাতে পারবেন? এবং যদি পারেন, তারপর পুজোটা বহাল থাকবে? পুজোটা এখানে প্লেসহোল্ডার, ভগমানকে ডাকা অর্থেও ধরে নিতে পারেন।"

    Tim কি আমাকে বল্লেন? আমার কাউকে কোনদিকে কনভার্ট করানোর কোন ইচ্ছেই নেই, না ভক্তদের, না নাস্তিকদের। দার্শনিক তর্কগুলো পড়তে ভাল্লাগে, এটুকুই। আর ফিলজফি অফ রিলিজিয়ন বা ফিলজফি অফ সায়েন্স ওভাবে সরাসরি পুজো টুজো নিয়ে মাথা ঘামায় না।

    san দেখি, সময় করে বড়ো একটা লেখা লিখে টই খুলে দেব।
  • quark | 125.115.196.43 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:১৩676308
  • একটা সত্যি কথা ব'লে যাই। ছোট্টবেলায় ঠাকুমার কাছে শেখা হরেক কিসিমের স্তোত্র শুধু ঐ ভাষা আর ছন্দের জন্যে এখনো ভালো লাগে। এর সঙ্গে ঈশ্বরভক্তির কোন সম্পক্কো কোনদিনই ছিল না আজও নাই।

    ১। জবাকুসুমসঙ্কাশং ...
    ২। সরস্বতী মহাভাগে ...
    ৩। শরণাগত দীনার্ত ....
    ৪। ওম্‌ সর্বমঙ্গলা মঙ্গল্যে ...
    ৫। অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য ....

    আরও কিছু ছিল।
  • Tim | 188.91.253.22 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৩২676309
  • হ্যাঁ ডিসি, আমি তো এখানে তর্কের জন্য তর্ক করছিনা। আর কনভার্ট কেন ভাবছেন? বরম উল্টোটাই, কনভার্ট করা আটকাতে চাইছি। স্পেডকে স্পেড বলছি। এরপর যার যা চয়েস।
  • সিকি | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৩৪676310
  • (বাজার গেছিলাম, আবার এগোই)

    হু-র সাথে অনেক কিছু মিলছে, স্যানের সাথে মিলছে না। স্যান যে বললি না, নাস্তিক হয়ে থকাও সোজা - অত সোজা নয়। কারণ, হু তার পরেই লিখেছে, আমার জীবনটা শুধু আমাকে নিয়ে নয়, আমার সঙ্গে আরও অনেকে জুড়ে আছে। কেউ পরিধি বরাবর, কেউ আমার পার্সোনাল স্পেসের মধ্যে। তাদের বিশ্বাসের ছায়া পড়ে আমার ওপর, আমার অবিশ্বাসের ছায়া পড়ে তাদের ওপর। খুব খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায় নিজের ছায়া নিজের আইডিওলজি বাঁচিয়ে চলার।

    ভূত ভগবান শয়তান বনাম ডক্টর কোভূর - বইতে পড়েছিলাম আব্রাহাম কোভূর কখনও নিজের নাস্তিক্য কখনও কারুর ওপর চাপিয়ে দেন নি, নিজের পরিবারের ওপরেও নয়। ডিবেট এনকারেজ করতেন, প্রশ্ন ছাড়া কিছুই মেনে না নেবার শিক্ষা দিতেন ছেলেকে। ছেলে মোটামুটি তাঁর আদলেই বড় হচ্ছিল। একদিন প্রতিবেশির মুখে খবর পেলেন ছেলে নিয়ম করে চার্চে যায় সানডে মাস প্রেয়ারে। কোভূর লিখেছেন, দূঃখ পেয়েছিলাম, কিন্তু বারণ করি নি, খোঁজখবর নিয়ে আস্তে আস্তে জানলাম, মাস প্রেয়ারে যাবার যত না কারণ যীশুর প্রতি ভক্তি, তার চেয়ে বেশি কারণ ছিল সানডে মাসে প্রচুর সুন্দরী সুন্দরী মেয়ে আসত প্রে করার জন্য। কোভূর হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন - ছেলের তখন আঠেরো বছর বয়েস। :-)

    কলেজজীবনে কখনও আস্তিক্য নাস্তিক্য নিয়ে কারুর সাথে ক্ল্যাশ হয় নি, আমার রুমমেট একটা ছোট তিরুপতির মূর্তি টেবিলে রাখত, রোজ প্রণাম ট্রণাম করত, এই অবধি। বাকি ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজে যেমন সরস্বতী পুজো আর বিশ্বকর্মা পুজো হয়, তেমন হত। আমি যেতাম, কখনও যেতাম না। পুষ্পাঞ্জলী দেবার ইচ্ছে জাগে নি কোনওদিনই। কম বয়েসে মা বাবার সাথে বোধ হয় দু একবার দিয়েছি - সে তখন নতুন জিনিস জানার আনন্দে।

    প্রেমে পড়লাম। সিকিনী চাকরি পেলে জানুয়ারি মাসে, আমি আগস্ট মাসে। এইবারে ধীরেসুস্থে সম্পর্কটা পাবলিক করা উচিত।

    তো, দুই বাড়িতেই মেনে নেয় নি। বিস্তর ক্যাচাল, ঝামেলা হয়েছে - চলেছে বছরের পর পছর। এক সময়ে ভাবাও হয়েছিল কাউকে না জানিয়ে রেজিস্ট্রি করে নেব, একমাত্র গোঁ ধরেছিলাম আমি, না, বিয়ে করব তো সবার সমনেই করব, সবাইকে নিয়ে। পালিয়ে বিয়ে করে জীবন শুরু করার মধ্যে কোনও বাহদুরি ছিল না।

    দীর্ঘ দু বছরের প্রচেষ্টায় দুই বাড়িকে বাগ মানালাম। রাজি নয়, নিমরাজি টাইপ। তার সঙ্গে এইটা জানিয়ে রেখেছিলাম - শুধু এবং শুধু রেজিস্ট্রি করব। পুনরায় দীর্ঘ অশান্তি, অবশেষে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেবার সেন্টি ফেন্টি - যেটা গত দু বছর ধরে আমি শুনে আসছিলাম, সেইটাই ঘুরিয়ে দিলাম। পরিষ্কার বললাম, ধর্ম বা ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখি না, তাদের কাউকে সাক্ষী রাখার কথা আমি ভাবতেও পারব না। যদি পুরোহিতকে ডাকা হয়েছে, তাকে সবার আগে ঝাঁটা হাতে ওয়েলকাম করব আমি, তারপরে যা হয় হবে।

    একটা সুবিধে হয়েছিল, সিকিনী আমার মতন কেঠো নাস্তিক না হলেও, অ্যাগনস্টিক। পুরোহিতহেন রেজিস্ট্রি বিয়েতে তার অসুবিধে ছিল না, কেবল শাঁখাসিঁদুরের মোহটা ছাড়তে পারে নি - সেটা যতটা না বিশ্বাসের কারণে, তার চেয়ে বেশি একটা মেয়েলী আগ্রহের কারণে। মাথায় সিঁদুর ইজিকোয়াল্টু এয়োস্ত্রী, এই সানি-টা বাংলায় কমবেশি অনেক মেয়েই বয়ে চলে।

    ফলে আমাকে লড়াইটা লড়তে হয়েছিল শুধু আমার বাবা-মা-দিদির সঙ্গেই। আমার এই এত বড় দাবিটা মেনে নেবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দুটো জিনিস আমাকে মেনে নিতে হয়েছিল - এক, বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল পঞ্জিকা দেখে - তা আমার কাছে সব দিনই সমান, শুভ অশুভ দিনের বিচার করি না, তাই গা করি নি, আর সিকিনীর তরফে দাবি ছিল ওকে সিঁদুরটা পরাতে হবে, তা সেটাও পরিয়ে দিয়েছিলাম। মোদ্দা কথা বিনা ঝামেলায় শেষমেশ সব্বাইকে সঙ্গে নিয়ে বিয়েটা সেরেছিলাম ধর্মহীনভাবেই।

    অশান্তি চলেছে তার পরেও, দীর্ঘকাল। এখন সময় আর বয়েসের সাথে সাথে সেসব ব্যপার ফিকে হয়ে এসেছে। যাই হোক, আরেকটি মানুষ আমার জীবনে এল - সিকিনী। তার নিজস্ব ধ্যানধারণা সানি বিশ্বাস অবিশ্বাসের ব্যাগেজ সমেত। কখনও আমি সেগুলো ভাঙাবার চেষ্টা করি নি। কম বয়েসে দু একবার তক্কাতক্কি করেছি, কিন্তু পরে বুঝেছি তর্ক করে এই বয়েসে কারুর মত বদলানো যায় না। যে যাতে মানসিক শান্তি পায় সে তাই নিয়ে থাকুক, কেবল আমার স্ফিয়ারে দখলদারি না করলেই হল।

    অসুখে মরতে বসেছিলাম, শেষ প্রান্ত থেকে বেঁচে ফিরেছিলাম ডাক্তারের হাতযশে। আমি তখন বেডে শুয়ে, চতুর্থ দিন, অনেকটা সামলে উঠেছি। সিকিনী বসে ছিল কেবিনে, বলল, এইবারে একটু গড ফিয়ারিং হ'। এই যে এত ভগবান মানি না, হ্যান ত্যান চাদ্দিকে বলে বেড়াস, ভগবান কিন্তু সব দেখছেন, একটু বিশ্বাস রাখতে শেখ। ... তখন আমার কথা বলার ক্ষমতা ছিল না প্রায়, চুপ করে শুনলাম। কিন্তু বিশ্বাস আনতে পারলাম না। শুধু বুঝলাম, বিশ্বাস ইনট্রুড করছে আমার নিজের স্ফিয়ারে। যে স্ফিয়ার অমার একার, কারুর সাথে শেয়ার করা যায় না যে স্ফিয়ার, সেখানে ঢুকে পড়ছে কেউ, যে আমার অত্যন্ত আপনজন।

    কঠিন সময় এসেছে বেশ কয়েকবার। একেবারে অতল শূন্য দেখেছি সামনেটায়, তখনও কোনও বিশেষ শক্তিকে "উদ্ধার করো" বলে ডাকতে মন চায় নি, পারিই নি সেই লাইনে ভাবতে। সবসময়ে জেনেছি জীবনে নিজের লড়াই নিজেকেই লড়তে হয়। কোনও বিশেষ শক্তি এসে লড়তে সাহায্য করে যায় না।

    বাকি রইল মনের ভক্তিভাব। অনেকে অনেক কিছু থেকে মানসিক শক্তি বা ভক্তি খুঁজে নেন। কেউ সঙ্গীতে ঈশ্বর পান, অরিজিৎ যেমন কইল, কেউ নাচের মধ্যে দিয়ে সমর্পণ করেন নিজেকে। কেউ পড়াশোনার মধ্যে, কেউ অন্য কিছু মধ্যে।

    বিশাল প্রকৃতি, তার অসীম শক্তি অনুভব করেছি বেশ কয়েকবার, পাহাড়ে দাঁড়িয়ে, সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে। রবীন্দ্রনাথের বিশেষ বিশেষ গান শুনলে আজও চোখ জলে ভরে আসে, কীর্তনাঙ্গ, বাউল, টপ্পা তেমন তেমন গায়কের গলায় শুনলে এখনও গায়ে কাঁটা দেয়, কিন্তু সে তো ভালোলাগার অনুভূতি। কোনও ঐশ্বরিক স্পর্শ তো পাই না! আমি নাচ বুঝি না, চিত্রকলা বুঝি না, ক্রায়োজেনিক টেকনোলজি বুঝি না, এমনকি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের রাগরাগিনীও বুঝি না। কেবল সুর বুঝি, কিছু সুর মনের ভেতরে একেবারে ঝপাং করে গেঁথে যায়, তছনছ করে দেয় ভেতরটা, সেইটা বুঝতে পারি। সেইসব সুরের নাম জানি না, কেবল গানের কথা জানি, একলা শুনি, গাই।

    এটাকে যদি ঈশ্বর বলা যায় তো, ঈশ্বর।
  • - | 109.133.152.163 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৩৫676311
  • @ডিসি, "যার অস্তিত্ত্ব কোনদিন অনুভবই করতে পারিনি" -- আন্তরিক চেষ্টা করেছিলেন কখনও?
  • সিকি | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৩৭676312
  • সংস্কৃত জিনিসটাই এমন সুন্দর শুনতে, ঠিকঠাক সিজনিং হলে অনেকের মনেই ভক্তিভাব জাগে। ভোর চারটেয় আজকাল ওঠা হয় না, কিন্তু নিয়ম করে বচ্ছরকার দিনে আমি মহালয়া শুনি, অনেকটাই মুখস্ত আছে শ্রীশ্রীচণ্ডী, বীরেন ভদ্র যেখানে কেঁদে ফেলেন সেখানে আমারও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে, এবং নিয়ম করে বাকি তিনশো চৌষট্টি দিন আমি ঐ এমপিথ্রিটা চালাই না। নষ্ট লজির ব্যাপার। ভক্তি নয়।

    সেইভাবে কাঁটা দিয়ে ওঠে রবি ঠাকুরের বা অন্য কারুর কবিতা শুনলে বা পড়লেও। অন্য অনুভূতি, বোঝানো যায় না।
  • - | 109.133.152.163 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৪৫676313
  • অর্থাৎ, আপনি স্পিরিচুয়াল। রিলিজিয়াস না। এইদুটি আস্তিক-নাস্তিক থেকে আলাদা ব্যাপার।
    টই-এর টপিক করতে চেয়েছিলেন, "কীভাবে স্পিরিচুয়াল হলাম।"
  • সিকি | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৪৯676314
  • তাই মনে হল বুঝি? ক্কীআশ্চর্য!
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৫২676316
  • Tim নানা আমার এসব বিষয়ে স্রেফ থিওরেটিকাল ইন্টারেস্ট, হাতেকলমে কিছু করার কথা ভাবিনি।

    -, আন্তরিক চেষ্টা কাকে বলে জানিনা। রোজ সকালে উঠে হাগু পায়, কোনরকম আন্তরিক চেষ্টা ছাড়াই। সুন্দর ভাবে অনুভব করতে পারি। তা ঈশ্বরকে যদি এইভাবে অনুভব না করতে পারলাম তো আন্তরিক চেষ্টা কিভাবে করবো?
  • PT | 213.110.246.25 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৫৪676318
  • কি কঠিন কঠিন তত্ব আর আলোচনা, বাপরে!!
    প্লেন আকাশে উঠলেই কেমন আস্তিক আস্তিক বোধ হয় আর আগে পরে ঘোর নাস্তিক!!
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৫৪676317
  • মানে "আন্তরিক চেষ্টা" বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন পরিষ্কার করে লিখলে উত্তর দিতে পারি।
  • d | 144.159.168.72 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৫৬676319
  • অরিজিৎ বলল নাচের মধ্যে দিয়ে সমর্পণ করে? কই? কই? কত পাতায়?
  • b | 135.20.82.164 | ১৪ মে ২০১৫ ১৩:৫৮676320
  • কোয়ার্ক, ৩-৪ তো একই স্তোত্র। নারায়াণীস্তুতি।

    সর্বমঙ্গলামঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে
    শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমহ'স্তুতে।।
    সৃষ্টিস্থিতি বিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনী
    গুণাশ্রয়ে গুণময়ে নারায়াণী নমহ'স্তুতে।।
    শরণাগত-দীনার্ত-পরিত্রাণ-পরায়ণে
    সর্বস্যার্তি-হরে দেবি নারায়াণী নমহ'স্তুতে।

    এইখানে, দ্বিতীয় আর তৃতীয় শ্লোকের মধ্যে একটা অনবদ্য নাটকীয়তা আছে, যেটা আমাকে খুব টানে।

    দেবী কেমন? না সৃষ্টি স্থিতি আর প্রলয়ের শক্তি নিয়ে আছেন, সমস্ত গুণের আধার, সমস্ত গুণের বাইরে, আদিম ও সনাতন। একেবারে কসমিক উপস্থিতি। আমাদের সময় ও স্থানের ধারণার বাইরে।

    অথচ শরণাগত যে অতি দীন, তাকে তিনি পরিত্রাণ করবেন, ধুয়ে মুছে দেবেন সবার ব্যক্তিগত জীবন।

    ম্যাক্রো থেকে মাইক্রোর এরকম লাফ বেশি দেখি নি। খুব উঁচু দরের কবিত্ব না থাকলে লেখা যায় না।
  • d | 144.159.168.72 | ১৪ মে ২০১৫ ১৪:০০676321
  • সে তো ঝিকিও বলেছিল ওর সুফীগান শুনতে দারুণ লাগে। ঝিকিও তো ভরপুর নাস্তিক।
  • unclamp samples ebb | 125.112.74.130 | ১৪ মে ২০১৫ ১৪:০২676322
  • ওটা সংযুক্তা পাণিগ্রাহীর একটা অনুষ্ঠানের গল্প। আইকনিফিকেশন নিয়ে।
  • সিকি | ১৪ মে ২০১৫ ১৪:০৪676323
  • চণ্ডীর দার্শনিক ভ্যালু বেশ হাই। তেম্নি সুন্দর শ্লোকগুলো।

    ডিডিদা, সাত পাতায়, ১১-২১ এ এম-এর পোস্ট।
  • b | 135.20.82.164 | ১৪ মে ২০১৫ ১৪:১৪676324
  • বু. ব-র একটা অভিযোগ ছিলো যে সংস্কৃত কবিতায়, কালিদাস জয়দেব ইত্যাদি, মিস্টিক উপাদান কম। প্রখর শব্দচাতুর্য্য, কিন্তু , বাঙলার অভাবে ইঞ্জিরিতেই বলি, nothing beyond the words। ধর্মীয় স্তোত্রগুলি উনি বাদ দিয়েছিলেন কেন, কে জানে?
  • - | 109.133.152.163 | ১৪ মে ২০১৫ ১৪:১৭676325
  • @ডিসি, "শারীরিক" চেষ্টা তো বলি নি। "আন্তরিক" চেষ্টা বলেছি। দুটোর মধ্যে সামান্য পার্থ্ক্য আছে। আপনার দেওয়া উদাহরণে মনে হল, সে পার্থক্যটা হয়ত জানেননা। সেটা বুঝতে পারলেই, আমার প্রশ্নের ব্যাখ্যা চাইতে হবে না ঃ-)
  • dc | 132.164.235.136 | ১৪ মে ২০১৫ ১৪:২৫676327
  • -, "আন্তরিক চেষ্টা" কাকে বলে তার সঠিক ডেফিনিশন না দিলে সত্যিই আপানার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন