এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইদিওতেস

    bip
    অন্যান্য | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ৮৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 83.200.4.3 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৮657014
  • আজ দিল্লীতে ভোট। বিজেপি আপের থেকে যদি হাজার গুনে ভালোও হয়, তাও এই নির্বাচনে আপের জেতা ভারতীয় গণতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য জরুরী। শক্তিশালী শাসক দল না -শক্তিশালী বিরোধি শক্তিই গণতন্ত্রের সাফল্য এবং অস্তিত্বের মূল চাবিকাঠি।

    পৃথিবীর প্রথম গণতন্ত্র আসে খৃষ্টজন্মের পাঁচশো বছর আগে নগর রাষ্ট্র এথেন্সে। সেই এথেনিয়ান ডেমোক্রাসি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আজো। ওই গণতন্ত্রেই প্রথম ইদিওটেস ( গ্রীক ) বা ইডিয়ট শব্দটির উৎপত্তি। এথেন্সে যারা ভোট দিত না, রাজনীতিতে উৎসাহ দেখাত না তাদের বলত "ইদিওতেস"
    "We do not say that a man who takes no interest in politics is a man who minds his own business; we say that he has no business here at all-Pericles"

    এথেন্সের গণতন্ত্র আরো একটা গুরুত্বপূর্ন শিক্ষা দিয়েছিল ভবিষ্যতের সমস্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে। পার্শিয়ার বিরুদ্ধে সালামির নৌযুদ্ধে , এথেন্সকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন জেনারেল থেমিস্টকল। সালামি এবং প্লাটিয়ার যুদ্ধে সাফল্যের কারনে উনি হয়ে উঠলেন এথেন্সের সব থেকে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। কিন্ত এই থেমিস্টেকলকেই তাড়িয়েছিল এথেনিয়ান গণতন্ত্র-তাদের ভয় ছিল, জনপ্রিয়তার কারনে একদিন স্বৈরাচারী হয়ে উঠবেন থেমিস্টিকল!

    ঠিক এক কারনে ব্রুটাস হত্যা করেছিলেন রোমান মহানায়ক জুলিয়াস সিজারকে। ব্রুটাস ক্যাম্পের দীক্ষাগুরু কাটো চান নি, কোন একজনের হাতে এত ক্ষমতা তুলে দিতে যাতে রোমান গণতন্ত্রটাই ধ্বংস হয়।

    আজ ভারতের গণতন্ত্রেও সেই অবস্থা। পরিস্কার ভাবেই বিজেপির সুসংগঠন এবং স্ট্রাটেজির সামনে বিরোধি পক্ষ দিশেহারা। কংগ্রেস রাহুলের কাঁধে চেপে সক্ষাত সলিলে। সিপিএম সোভিয়েতের শবসাধনায় বাস্তবকে অস্বীকার করে এখন পশ্চিম বঙ্গ রাজনীতিতেও অপ্রাসঙ্গিক। মমতা জয়ললিতা এতটাই পপুলিস্ট এবং কোরাপ্ট এরা রাজ্য রাজনীতিতে টিকবেন -কিন্ত রাজ্যের বাইরে এদের কেও পুঁছবে না । মুলায়েম মায়াবতীর জাতপাত ধর্মের গুন্ডামোর রাজনীতির চেয়ে উত্তর প্রদেশে লোকে বিজেপিকেই চাইছে। জীতন রাম মঞ্জি মুখ্যমন্ত্রীত্ব বাঁচাতে আমিত শাহের পায়ে পড়ে গেছেন! এই অবস্থায়, ভারতে বিজেপির বর্তমান অবস্থান অপ্রতিরোধ্য।

    বিজেপি ভাল না খারাপ এই বিতর্কে না গিয়েও, এটা পরিস্কার ভাবে বলা যায়-একচ্ছত্র নিরঙ্কুশ ক্ষমতাই সব দুর্নীতির উৎস। স্বৈরাচারের সূতিকাগৃহ। কোন গণতন্ত্রেই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কোন ব্যক্তিকে বা দলকে দেওয়া উচিত না । সেটা হবে গণতন্ত্রের আত্মহত্যা। শুধু এই কারনেই আজ আআপের জেতা বিশেষ জরুরী।
  • Atoz | 161.141.84.175 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৫০657025
  • তুল্লাম।
  • achintyarup | 127.194.42.116 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৪৫657031
  • তাপ্পর কী কী হবে?
  • achintyarup | 127.194.42.116 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৫৬657032
  • উত্তরপ্রদেশের এক শহরে আপ-এর আপিসে বসে আড্ডা হচ্ছিল। সারাদিন প্রচার টচার সেরে ক্লান্ত সেলিব্রিটি প্রার্থী সাদা তোয়ালে দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে ফ্ল্যাটবাড়ির বেসমেন্টে পার্টি টেম্পোরারি আপিসের একটা ঘরে গিয়ে দোর দিলেন। ঘরের বাইরে ব্যস্ততা চূড়ান্ত। দৌড়োদৌড়ি, কাপ কাপ চা। মোটাসোটা এক ভদ্দরলোক সোফায় বসে গল্প করতে করতে বল্লেন, আমাদের সবচে বড় স্ট্রেংথ কী জানেন? এই যে আমি এখেনে বসে কাজ করছি, আর ঐ যে উনি, ঐ পাশের টেবিলে বসে কাজ করছেন, আর এই সব এত লোক যে ছুটোছুটি করে দলের জন্য কাজ করছে, আমরা কেউই কাউকে চিনি না। শুনে ভারি শ্রদ্ধা মতো হল
  • ranjan roy | 113.240.99.60 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৩৮657033
  • বিপ কে পিপ্‌-পিপ্‌-পিপ্‌!
  • bip | 83.200.4.3 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৫৯657034
  • আপের সম্ভাব্য বিজয়ে, যারা উল্লাসিত , ভাবছেন এবার আপ সারা ভারতে বিজেপিকে টেক্কা দেবেন, আমি কিন্ত তাদের দলে নেই -যদিও আমি সেটাই চেয়েছি। কারন সেটা ভারতের জন্য ভাল হত। দিল্লীতে আপ জিতবে এটা আমি লোকসভা ভোটে আপের হারের পরেও লিখেছি। কিন্ত এটাও লিখছি, আপ গোটা ভারতে আসার ব্যপারে আমি আশাবাদি না এখনো।

    অনেকেই এই ফোরামে জিজ্ঞেস করেছেন,পশ্চিম বঙ্গে আপ নেই কেন? অন্য রাজ্যেই বা কেন এত বাজে দশা-পাঞ্জাব বাদে।

    আসল সত্যটা সবার জানা উচিত। স্যার কার্ল পপারের পলিটিক্যাল ম্যাক্সিম আপের জন্যও খাটে। ওদের যা শক্তি, সেটাই দুর্বলতা । আপ কোন পলিটিক্যাল থিওরী বা আইডিওলজী মেনে চলে না । এটার ফ্লিপ সাইড হচ্ছে এর ফলে সবাই আপ জয়েন করতে চায়। তাতে চোর, চাকর, সৎ সন্ন্যাসী সবাই আছে। ওদের কোন সংগঠিত স্ট্রাকচারালিজম নেই ।

    এর ফল হচ্ছে রাজ্য ইউনিটগুলো কিভাবে চলবে, তারা কতটা স্বাধীনতা পাবে-এগুলো নিয়ে আপ গভীরে ভাবে নি। অনেকেই আপের জন্য পশ্চিম বঙ্গ সহ অন্য রাজ্য থেকে কাজ করতে এসেছিল। এসে দেখেছে, আপ একদম কংগ্রেসের মতন দিল্লী ভিত্তিক সেন্ট্রালিজমে পার্টি চালাতে চাইছে। ওদের বক্তব্য ওরা "আপের" ব্রান্ডিং ঠিক রাখতে চাইছে। কিন্ত রাজ্য ইউনিট গুলো স্বাধীনতা না পেলে কাজ করবে কি করে-আর রাজ্যের ভালো ট্যালেন্টেড লোকেরা কেনই বা দিল্লীর আপের নেতাদের চামচা গিরি করবে? ফলে যারা আপের রাজ্য ইউনিটগুলোর জন্যে এসেছিল, দিল্লীতে আপের নেতাদের দাদাগিরি বা কর্পরেট টাইপের ব্রান্ড ম্যানেজমেন্টের জন্য বসে গেছে।

    আপ মুখে যতই ডিরেক্ট ডেমোক্রাসির কথা বলুক, ওদের পার্টির মধ্যে গণতন্ত্রের অবস্থা দশ জনপথের কংগ্রেসের মতন করুণ। যে পার্টির নিজের মধ্যে ডেমোক্রাসি নেই, তারা ভারতে ডিরেক্ট ডেমোক্রাসি আনবে তা অবান্তর কল্পনা।

    তবুও ভরসা এই যে আপ ভুল থেকে দ্রুত শিক্ষা নেয়। আশা করি আপের দিল্লীর নেতারা বুঝবে, দিল্লীতে থেকে রাজ্য ইউনিট চালাতে গেলে দশা হবে কংগ্রেসের মতন বা তার থেকেও বাজে। কারন আপের রাজ্য ইউনিট এখনো গড়ে ওঠে নি। নিজের পার্টিতে গণতন্ত্র প্রাক্টিস না করলে, অচিরেই আপের সাফল্য তাসের ঘরের মতন ভেঙে পড়বে।
  • ranjan roy | 24.99.92.219 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৬:২৮657035
  • বিপের প্রত্যেকটা বাক্যে পিপ, পিপ্‌ পিপ্‌!
    ছত্তিশগড়ের আপ এর অভিজ্ঞতা থেকে বলছি-- বিপ ২৪ ক্যারেট খাঁটি বক্তব্য রেখেছেন।
  • dc | 213.187.246.59 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৬:৪৩657036
  • বিপের লেখাটা ভাল্লাগলো। ঠিকয় বলেছেন, গনতন্ত্রে কোন পার্টির হাতেই সব ক্ষমতা যাওয়া উচিত না। তাহলে সেটা কমিউনিজম বা ডিক্টেটরশিপ হয়ে যায়। আর সব পার্টিরই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্ষমতায় আসা উচিত। নাহলে পশ্চিম বঙ্গের মতো কেস খেতে হয়।
  • PM | 53.251.91.243 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৭:২০657037
  • বিপকে ক।
  • সিকি | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৮:৪৯657015
  • "আপের সম্ভাব্য বিজয়ে, যারা উল্লাসিত , ভাবছেন এবার আপ সারা ভারতে বিজেপিকে টেক্কা দেবেন, আমি কিন্ত তাদের দলে নেই -"

    প্রথমত বানানটা উল্লসিত, ল্ল-এর পাশে আ-কার নেই।

    দ্বিতীয়ত, আপের সম্ভাব্য বিজয়ে খুব সাঙ্ঘাতিক না হলেও অল্পস্বল্প আমিও উল্লসিত, কিন্তু তাই বলে আমি বা আমার মতন বহু মানুষই একবারও ভাবছে না আপ এবার সারা ভারতে বিজেপিকে টক্কর দেবে। আমরাও অল্পবিস্তর লেখাপড়া জানি।

    ব্যাস, এইটুকুই।
  • Abhyu | 78.117.212.251 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:২৩657016
  • সিকির বাংলা এতো খারাপ হয়ে গেছে? কিছুই তো চোখে পড়ে নি

    বিরোধি না বিরোধী
    গুরুত্বপূর্ন না গুরুত্বপূর্ণ
    কারন না কারণ
    সক্ষাত না স্বখাত
    পরিস্কার না পরিষ্কার
  • ranjan roy | 24.99.208.209 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:৩৫657017
  • অ্যাই অভ্যু,
    তুমি না মিশনের ছেলে?
    বিবেকানন্দ শিকাগো থেকে ফেরার পরে পন্ডিতদের সঙ্গে সংস্কৃতে শাস্ত্র নিয়ে বিতর্ক হয়। তাতে উনি একজায়গায় "অস্তি" না বলে "স্বস্তি" বলেন।
    ব্যস্‌, পন্ডিতমন্ডলী I don't know' স্টাইলে জিতে গেছি জিতে গেছি করে বাড়ি চলে গেলেন।
    স্বামীজি খুব বিরক্ত হয়ে বললেন--" এরা কলা ছেড়ে কলার খোসা নিয়ে টানাটানি করে!"
    তা বিপদার অমন ভালো বক্তব্যের সার ছেড়ে কিছু টাইপো নিয়ে কতা বলবে?ঃ))))
  • Abhyu | 78.117.212.251 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:৩৮657018
  • না না, এক্কেবারে না। আমি সিকিকে বলেছি। বিপদা তো নির্দ্বিধায় এরকম বাংলা লেখেন চিরকালই, কিছু বলতে গেছি কখনো?
  • dc | 213.187.246.59 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:৫৮657019
  • বিবেকানন্দ এরকম বলেছিলেন নাকি? ইস আমার পাপী মন, ভাগ্যিস এসব সাধুসন্তদের সামনে পড়তে হয়নি।
  • Abhyu | 78.117.212.251 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২০:৩০657020
  • http://www.indichouse.net/cwsv/book/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6_%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1_%E0%A7%AF/#content-471

    পৃষ্ঠা ১-৫

    প্রথমবার বিলাত হইতে ফিরিয়া স্বামীজী কয়েক দিন কাশীপুরে ৺গোপাললাল শীলের বাগানে অবস্থান করিতেছিলেন, শিষ্য তখন প্রতিদিন সেখানে যাতায়াত করিত। স্বামীজীর দর্শনমানসে তখন বহু উৎসাহী যুবকের সেখানে ভিড় হইত। কেহ ঔৎসুক্যের বশবর্তী হইয়া, কেহ তত্ত্বান্বেষী হইয়া, কেহ বা স্বামীজীর জ্ঞান-গরিমা পরীক্ষা করিবার জন্য তখন স্বামীজীকে দর্শন করিতে আসিত। প্রশ্নকর্তারা স্বামীজীর শাস্ত্রব্যাখ্যা শুনিয়া মুগ্ধ হইয়া যাইত; স্বামীজীর কণ্ঠে বীণাপাণি যেন সর্বদা অবস্থান করিতেন।

    কলিকাতা বড়বাজারে বহু পণ্ডিতের বাস। ধনী মারোয়াড়ী বণিকগণের অন্নেই ইঁহারা প্রতিপালিত। স্বামীজীর সুনাম অবগত হইয়া কয়েকজন বিশিষ্ট পণ্ডিত স্বামীজীর সঙ্গে তর্ক করিবার জন্য একদিন এই বাগানে উপস্থিত হন। শিষ্য সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিল।

    আগন্তুক পণ্ডিতগণের সকলেই সংস্কৃতভাষায় অনর্গল কথাবার্তা বলিতে পারিতেন। তাঁহারা আসিয়াই মণ্ডলীপরিবেষ্টিত স্বামীজীকে সম্ভাষণ করিয়া সংস্কৃতভাষায় কথাবার্তা আরম্ভ করিলেন। স্বামীজীও সংস্কৃতেই তাঁহাদিগকে উত্তর দিতে লাগিলেন। পণ্ডিতেরা সকলেই প্রায় এক সঙ্গে চীৎকার করিয়া সংস্কৃতে স্বামীজীকে দার্শনিক কূট প্রশ্নসমূহ করিতেছিলেন এবং স্বামীজী প্রশান্ত গম্ভীরভাবে ধীরে ধীরে তাঁহাদিগকে ঐ-বিষয়ক নিজ মীমাংসাদ্যোতক সিদ্ধান্তগুলি বলিতেছিলেন। ইহাও বেশ মনে আছে যে, স্বামীজীর সংস্কৃত- ভাষা পণ্ডিতগণের ভাষা অপেক্ষা শ্রুতিমধুর ও সুললিত হইতেছিল। পণ্ডিতগণও ঐ কথা পরে স্বীকার করিয়াছিলেন।

    সংস্কৃতভাষায় স্বামীজীকে ঐরূপে অনর্গল কথাবার্তা বলিতে দেখিয়া তাঁহার গুরুভ্রাতৃগণও সেদিন স্তম্ভিত হইয়াছিলেন। কারণ, গত ছয় বৎসর কাল ইওরোপ ও আমেরিকায় অবস্থানকালে স্বামীজী যে সংস্কৃত-আলোচনার তেমন সুবিধা পান নাই, তাহা সকলেরই জানা ছিল। শাস্ত্রদর্শী এই সকল পণ্ডিতের সঙ্গে ঐরূপ তর্কালাপে সেদিন সকলেই বুঝিতে পারিয়াছিলেন, স্বামীজীর মধ্যে অদ্ভুত শক্তির স্ফুরণ হইয়াছে। সেদিন ঐ সভায় রামকৃষ্ণানন্দ, শিবানন্দ, যোগানন্দ, তুরীয়ানন্দ ও নির্মলানন্দ মহারাজগণ উপস্থিত ছিলেন।

    বাদে স্বামীজী সিদ্ধান্তপক্ষ এবং পণ্ডিতগণ পূর্বপক্ষ অবলম্বন করিয়াছিলেন। শিষ্যের মনে পড়ে, বিচারকালে স্বামীজী এক স্থলে ‘অস্তি’স্থলে ‘স্বস্তি’ প্রয়োগ করায় পণ্ডিতগণ হাসিয়া উঠেন; তাহাতে স্বামীজী তৎক্ষণাৎ বলেন, ‘পণ্ডিতানাং দাসোঽহং ক্ষন্তব্যমেতৎ স্খলনম্’। পণ্ডিতেরাও স্বামীজীর এইরূপ দীন ব্যবহারে মুগ্ধ হইয়া যান। অনেকক্ষণ বাদানুবাদের পর সিদ্ধান্তপক্ষের মীমাংসা পর্যাপ্ত বলিয়া পণ্ডিতগণ স্বীকার করিলেন এবং প্রীতিসম্ভাষণ করিয়া গমনোদ্যত হইলেন। দুই-চারি জন আগন্তুক ভদ্রলোক ঐ সময় তাঁহাদিগকে পশ্চাৎ গমন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘মহাশয়গণ, স্বামীজীকে কিরূপ বোধ হইল?’ তদুত্তরে বয়োজ্যেষ্ঠ পণ্ডিত বলিলেন, ‘ব্যাকরণে গভীর ব্যুৎপত্তি না থাকিলেও স্বামীজী শাস্ত্রের গূঢ়ার্থদ্রষ্টা, মীমাংসা করিতে অদ্বিতীয় এবং স্বীয় প্রতিভাবলে বাদখণ্ডনে অদ্ভুত পাণ্ডিত্য দেখাইয়াছেন।’

    পণ্ডিতগণ চলিয়া গেলে স্বামীজী শিষ্যকে বলেন যে, পূর্বপক্ষকারী উক্ত পণ্ডিতগণ পূর্বমীমাংসা-শাস্ত্রে সুপণ্ডিত। স্বামীজী উত্তরমীমাংসা-পক্ষ অবলম্বনে তাঁহাদিগকে নিকট জ্ঞানকাণ্ডের শ্রেষ্ঠতা প্রতিপাদন করিয়াছিলেন এবং পণ্ডিতগণও তাঁহার সিদ্ধান্ত মানিয়া লইতে বাধ্য হইয়াছিলেন।

    ব্যাকরণগত একটি ভুল ধরিয়া পণ্ডিতগণ যে বিদ্রূপ করিয়াছিলেন, তাহাতে স্বামীজী বলেন যে, অনেক বৎসর যাবৎ সংস্কৃতে কথাবার্তা না বলায় তাঁহার ঐরূপ ভ্রম হইয়াছিল। পণ্ডিতগণের উপর সেজন্য তিনি কিছুমাত্র দোষারোপ করেন নাই। ঐ বিষয়ে স্বামীজী ইহাই কিন্তু বলিয়াছিলেনঃ

    পাশ্চাত্যদেশে বাদের মূল বিষয় ছেড়ে ঐভাবে ভাষার সামান্য ভুল ধরা প্রতিপক্ষের পক্ষে মহা অসৌজন্য। সভ্যসমাজ ঐরূপ স্থলে ভাবটাই নেয়— ভাষার দিকে লক্ষ্য করে না। তোদের দেশে কিন্তু খোসা নিয়েই মারামারি চলছে—ভেতরকার শস্যের সন্ধান কেউ করে না।
  • সিকি | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:০৮657021
  • আমি আসলে প্রথম লাইনটা পড়েই আর এগোই নি। এই অ্যাজাম্পশন দিয়ে যে লেখা শুরু হয়, সেটা বাকি না পড়াই ভালো।
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:১৫657022
  • তাই ছেড়ে দিলাম, নইলে "আশাবাদি" নিয়ে প্রশ্ন তুলতাম :)
  • ranjan roy | 24.96.98.243 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২৩:০৪657023
  • অভ্যু,
    ধন্যযোগ! চমৎকার ! এইভাবে ঠিক ঠিক কোট করার জন্যে।
  • dc | 213.187.246.59 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২৩:১৫657024
  • হুঁ রঞ্জনবাবু কিরকম যেন বিচ্ছিরি বিচ্ছিরি কথা দিয়ে কোট করেছেন। মোদিভাই দেখলে কিন্তু আপনাকে আস্ত রাখবে না :p
  • dc | 213.187.246.59 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২৩:১৮657026
  • যাগ্গে এবার থেকে আমি বলে বেড়াব, বিবেকানন্দ বলেছিল, "হায় দুর্ভাগা ভারতবাসী! এরা কলা ছেড়ে কলার খোসা নিয়ে টানাটানি করে!"

    দুমিনিট আডা স্তব্ধ হয়ে যাবে, গ্যারান্টি :d
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৩657027
  • স্বামীজী কলা নিয়ে কিছুই বলেন নি, আমি যতদূর জানি। উনি প্রেসিডেন্সি কলেজে কলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। কলার সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক ছিল না।
  • সিকি | 125.249.13.82 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪২657028
  • এইখানে কেউ দয়াল বাবার গানের ভিডিও লিংটা পোস্ট করে দিক - ষোল-কলা পূর্ণ হয়।
  • dc | 132.164.199.63 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৫৭657029
  • এই দেখো কথা হচ্ছিল একটা কলা নিয়ে, ইনি একেবারে ষোলটা নিয়ে এলেন।
  • dc | 132.164.199.63 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৫৮657030
  • এনজয় গুরু :d

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন