এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ৬ ই ডিসেম্বর -বাবরি মসজিদ ভাঙা আসলেই সামাজিক প্রগতির দিন

    bip
    অন্যান্য | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ | ৭২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 83.200.4.3 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ১১:২৭656583
  • আজ সেই ৬ ই ডিসেম্বর । বাবরি মসজিদ ভাঙার দিন। কারুর কাছে শোকের, কারুর কাছে রাগের, কারোর বা উল্লাসের দিন। ৭ই
    ডিসেম্বর, ১৯৯২ আমরা খালি পায়ে হেঁটেছিলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য। পরের কয়েকটা দিন ছিল থমথমে। গুজুবে। দাঙ্গার
    ভয়ে বাড়ির বাইরে বেড়োনো নিশেধ।

    আজ যখন স্মৃতির ক্যালিডোস্কোপে দেখি, আসলেই দুঃখ হয় না। বরং মানুষের মুর্খতায় আমোদিত হই।

    রাম ওখানে জন্মেছিল ! বাও! স্পাইডারম্যানের মতন দুস্কৃতি বিনাশয় ফিকশনাল চরিত্র এই রাম। পার্থক্য এই যে স্পাইডারম্যানের
    ভক্ত বালকরাও জানে, ম্যানহাটনে স্পাইডারম্যানের আপার্টমেন্ট নেহাত কল্পনা। কিন্ত রামভক্ত ধেরে লোকেরা গভীর ভাবে বিশ্বাস
    করে রাম অযোধ্যায় শুধু জন্মায় নি-কোথায় জন্মেছিল সেটাও তারা ইঞ্চি প্রিসিশনে জানে। আর বিশ্বাসেই বা কি আসে যায়। কোন
    বিশ্বাসের জন্য যদি মুসলমানদের বাঁশ দেওয়া যায়, হিন্দু হিসাবে ভোটিং ব্লক একত্রিত করার সুযোগত গণতন্ত্রই দেয়!!

    অনেকে বাবরি মসজিদের প্রসঙ্গ তুললেই বলেন বাংলাদেশে যে রোজ মন্দির ভাংছে তার বেলা? আসলে মন্দির মসজিদ ভাংলে আমি
    খুশীই হয়। কারন এগুলি প্রগতিশীলতার প্রতিবন্ধক। স্পেস এজের এক্সিমা। যখন দেখি একজন বাংলাদেশী হিন্দু মন্দির কেন ভাঙা
    হচ্ছে সে প্রশ্ন না তুলে --মনের গোপনে বা একজন নাস্তিকের কাছে স্বীকার করে, আসলেই কালী বা দূর্গাকে যতই জাগ্রত দেবতা
    ইত্যাদি ইত্যাদি সুপারম্যান ভেবে পূজো করিনা কেন, তারা আসলেই নির্বল নির্বোধ নির্বাক পুতুল। নইলে যেসব মুসলমানরা কালী
    মূর্তি ভাঙে তাদের কেন কিছু হয় না ?

    হায় হায়!!

    ঠিক এই কারনেই বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় নিশ্চয় কিছু বুদ্ধিমান অথচ ধার্মিক মুসলমান প্রশ্ন করেছিল, আল্লা যদি এত
    সর্বশক্তিমান সুপারম্যান হন কেন তিনি বাবরি মসজিদ রক্ষা করতে সক্ষম হলেন না ?
    এতেব বন্ধুগন মন্দির মসজিদ মূর্তি ভাঙা আসলেই সমাজের প্রগতির পক্ষে ভাল। মধ্যযুগের ইউরোপে ইহুদিদের সিনাগগ প্রায়
    ভাংত খ্রীষ্ঠানরা। তাদের বার করে দিত অনেক সময় শহর থেকে। ঠিক এই কারনেই ইহুদিদের মধ্যে সেকুলার বা উন্নত চিন্তায়
    বিশ্বাসী দার্শনিকদের জন্ম হয়। স্পিনোজা, ফ্রয়েড, আইনস্টাইন, কার্লমার্ক্স সবাই ইহুদি কেন? কারন ধর্ম আর ইহুদিদের ঈশ্বর যে
    তাদের বাঁচাতে ব্যার্থ, এই চিন্তা থেকে সেকুলারিস্ট হিউম্যানিজমের চিন্তা প্রথমে ইহুদি মানসেই আসে।

    সরি, আমি আপনাদের সাথে একমত নই । হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে এত সাম্প্রদায়িকতা চাপা হয়ে আছে, ধর্ম ছাড়তে না
    পারলে ( ঈশ্বরে বিশ্বাস বা আধ্যাত্মিকতা ছাড়তে আমি বলছি না -কিন্ত ধর্মের পরিচিতি কেন?? ), সম্প্রীতি অলীক আলেয়া।
    ইল্যুউশন । ধর্ম পালন করব আবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও থাকবে, তা হওয়ার নয়। ওর্গানাইজড রিলিজনের স্তম্ভ, সিম্বল হচ্ছে এই
    মন্দির মসজিদ। এসব গুঁড়িয়ে দিলে ধর্মবিশ্বাস ও দুর্বল হয় ( যে সুপারম্যান আল্লা বা স্পাইডারম্যান রাম, আসলেই সর্বশক্তিমান না
    -কারন উনারা নিজেদের বাড়িই বাঁচাতে অক্ষম )
  • adhuli | 11.121.138.188 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ১২:৩৪656584
  • বিপ-র লেখা টা ভালো লাগলো। কম্মুনিস্ম ভালো লাগুক না লাগুক, মার্কস-র উক্তি "ধর্ম জনতার আফিং" কথাটা বড় বেশি সত্যি। ধর্মের যাঁতাকলে গরিব মানুষ নিজেরা বলি হচ্ছে, কিন্তু সেটা বোঝার বুধ্হী টাও এদের নেই। সেই অন্ধ ভক্তির আর ধর্মের জোয়ালে পিষে শেষ হবাতেই এদের ভবিতব্য। হয় মোল্লা, নয় নকল বাবাদের বুজরুকি চলছে চলবে, সব ধর্মের তো একটাই টার্গেট, মুর্খ বানিয়ে রাখো মানুষকে, যত মুর্খ তত বেশি ধর্মের ব্যবস্যা । নাসা চাঁদে, মঙ্গলে পৌছবে, আর আমরা চাঁদ দেখে ব্রত পালন করব। হায় বিজ্ঞান, হায় প্রগতি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন