এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অনুকূল ঠাকুর উবাচ- এক হিন্দু শরিয়তবাদির উপাখ্যান

    bip
    অন্যান্য | ২২ নভেম্বর ২০১৪ | ১১৫৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bip | 78.33.140.55 | ২২ নভেম্বর ২০১৪ ২২:২৪651889
  • (১)
    লেখাটা না লিখিলেও চলিত! একটা আস্ত খোরাকের পেছনে সময় দেওয়া আদৌ বুদ্ধিমানের কাজ কি না এই সব নিয়ে যখন ভাবছি --দেখলাম, উনি এতসব মণিমাণিক্য ছড়িয়েছেন-এগুলি নিজের ভাষায় না লিখলে, পাঠক এক বিশুদ্ধ হাস্যরস থেকে বঞ্চিত হবে!

    আমার দাদু ছিলেন অনুকুল ঠাকুরের শিষ্য! তখনই প্রথম এই শব্দগুলির সাথে পরিচিত হই -

    যজন,যাজন ও ইষ্টভৃতি

    তখন দেখতাম এক অদ্ভুত কেরামতি। দাদু হাগতে গেলেও এক পয়সা গুরুর নামে একটা ভাঁড়ে জমা দিয়ে হাগতে বসত! এটি শ্রী শ্রী ঠাকুরে দীক্ষিত শিষ্যদের অবশ্য কর্তব্য-সর্বদা গুরুকে স্মরণ করিবে! হাগতে গেলেও করিবে! কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আমাশায় সর্বত্র গুরুকে স্বরণ করা এই কূলের ( যা সৎসঙ্গ) নিয়ম! গুরুদেব ঠাকুরকে এক পয়সা ভাঁড়ে দিলে , উনি কোষ্টকাঠিন্যে পায়খানা তরল করিবেন, আমাশায় আঁটি বাঁধিবেন! অহ ! এমন জগৎগুরুর সন্ধান কভি কেও দেখিয়াছেন?

    উনার সর্বাধিক বিখ্যাত শিষ্য লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সারা বাংলায় মেরেকেটে কোটি খানেক সৎসঙ্গী আছে বলে উনারা দাবী করেন!

    (২)

    তবে শ্রী শ্রী ঠাকুর বিখ্যাত অন্যকারনে। এই ডাইনামিক হিন্দুধর্মে ইউজেনিক্স নামে ডিনামাইট ঢোকানোর পেটেন্টটি উনার । যারা ইউজেনিক্স নিয়ে পরিচিত নন -তাদের জন্য দুই লাইন জানিয়ে রাখি। এটি একটি খরতরনাক অপবিজ্ঞান যা নিয়ে হিটলার অবসেসড ছিলেন বিশুদ্ধ জার্মান জাতির সৃষ্টিতে। বিবাহে নরনারীর নির্বাচনের বিশুদ্ধতা উৎকৃষ্টতর সন্তানের জন্ম দেয়-এই হচ্ছে উনাদের "বিজ্ঞান সম্মত " বিশ্বাস!!

    অনুকুল চক্রবর্ত্তীর (14 September 1888 – 27 January 1969) অবশ্য হিটলারে ঠাঙারে বাহিনী ছিল না। তাই হিন্দু ধর্মের বর্ণবাদকে আশ্রয় এবং সাশ্রয় করেই উনি, হিন্দু ধর্মে ইউজেনিক্স ঢোকাতে উৎসাহী হোন।

    উনার দর্শনের মূল থিওরী এই রকম -

    হিন্দু ধর্মের বর্ণবাদ ভাল! কারন তা বংশ গৌরব এবং বংশ দক্ষতা ( স্কিল) রক্ষা করে! রক্তের বিশুদ্ধতা রক্ষা করে!

    এই ঠাকুর কোন এক কালে ডাক্তারী পাশ করেছিলেন। কোন বায়োলজি গ্রন্থে শুদ্র রক্তের সাথ ব্রাহ্মন রক্তের পার্থক্যর পরীক্ষালদ্ধ ফল পাওয়া যায়, তা আমাদের কারুর জানা নেই । তবে উনিত আবার ঈশ্বরের সাথে কথা বলতেন-হয়ত কানে কানে ইশ্বর এসে এসব বৈজ্ঞানিক অমৃতবানী উনার কানে ঢেলেছিল!

    তবে এই বর্ণবাদ টেকাতে এবং উৎকৃষ্ট হিন্দু সন্তান প্রসব করিতে, উনার বিবাহের ফর্মুলা হচ্ছে এই রকম -

    প্রতিটা হিন্দু পুরুষের দুইটি বিবাহ করা উচিত ! প্রথমটা সবর্ণ, পরেরটা অনুলোম অসবর্ণ । অনুলোম অসবর্ণ বিবাহ মানে উচ্চকাস্টের হিন্দু পুরুষের সাথে নিম্ন বর্ণের মহিলার বিবাহ। ব্রাহ্মন পুরুষের সাথে শুদ্রকন্যার বিবাহ। উচ্চবর্নের মহিলার সাথে নিম্ন বর্নের পুরুষের বিবাহে তিনি নারাজ। কারন তার বায়োলজি "গবেষণা" । নিম্নবর্নের স্পার্ম নাকি উচ্চবর্নের ডিম্বানুকে নষ্ট করে। প্রথমত উচ্চবর্নের আর নিম্ন বর্নের লোকেদের স্পার্ম আলাদা হয়-এই অতি মুল্যবান বৈজ্ঞানিক তথ্যর জন্য, উনাকে নোবেল বা নিদেন পক্ষে একটি গোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিত ছিল!
    সর্বর্নে বিবাহটা করার পর কিন্ত আপনি অসবর্ণ বিবাহটা করিবেন! কেন? কারন আপনার সবর্ন স্ত্রীর গর্ভে আসিবে বিশুদ্ধ সন্তান! আর অসবর্ন বিবাহে আসিবে অশুদ্ধ সন্তান! অশুদ্ধ সন্তান কেন? এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শ্রী শ্রী ঠাকুর বিজ্ঞানে একেবারে "নিরক্ষর " ছিলেন না । উনার মতে বায়োডাইভারসিটি বাড়াইতে দ্বিতীয় বিবাহটি অসবর্ণ করিতে হইবে!

    মোদ্দা কথা উনার এই স্বরচিত " বৈজ্ঞানিক " ইউজেনিক্স ভারতে খুব বেশী চলে নি-কারন নেহেরু। যিনি হিন্দুদের বহুবিবাহ আইন করে রদ করেন । তবে শ্রীঠাকুর, থিওরী অনুয়ায়ী দুটি বিয়ে করেছিলেন। এতে সমাজে বিশুদ্ধ এবং ডাইভার্স সন্তান এসেছিল কিনা আমার জানা নেই - তবে সতীন ও সতীনপুত্রের ঝগড়ায়, তার সৎসঙ্গ আশ্রম উঠে যাবার উপায় হয় একসময়। শিষ্যরাও বিরক্ত হয়েছিল। আমার দাদু তার সন্তানদের ওপর খাপ্পা ছিলেন-এটুকু মনে আছে।

    (৩)

    কেও যদি জোকার নায়েকের বৈজ্ঞানিক আবিস্কারে পুলকিত হৌন-তাহলে অনুকুল চক্রবর্ত্তীর বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের উদ্ভাবনী শক্তিতে তূরীয় অবস্থা পেতে পারেন! উনার পুনঃজন্মের তত্ত্বটি এখানে হুবহু দিলাম -

    ।। পুণর্জন্ম কিভাবে হয় ।।
    "সম্বেগ জীবের বা মানুষের মধ্যে gene-এর (জনির) ভিতর-দিয়ে যে pitch-এ
    (স্তরে) ওঠে, মরে যাওয়ার সময় psycho-plasm-এ (মানস দেহে) engraved (মুদ্রিত)
    হ'য়ে থাকে সেই pitch-এ wave-এর (তরঙ্গের) আকারে । মিলনেচ্ছু sperm-এর
    (শুক্রকীটের) ভিতর সেই জাতীয় সম্বেগ সৃষ্টি হ'লে tunining (সঙ্গতি) হয় এবং মৃত
    ব্যক্তি পুনরায় শরীর গ্রহণ করার সুযোগ পায় । জন্ম ও মৃত্যুর এটাই revolving process
    (ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি) ।"
    আঃ প্রঃ ২১।১০৭ থেকে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বাণী ।

    শ্রী শ্রী ঠাকুরের মাথায় কতটা উর্বরা ফসফেট ছিল ভেবে দেখুন ত? ব্যাপারটা জাস্ট ভাবুন

    আপনি মারা যাচ্ছেন-যাওয়ার সময় আস্তে আস্তে তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গে বিলীন হচ্ছেন! সেই তরঙ্গের একটা ফ্রিকোয়েন্সি আছে? রাইট!

    এবার ধরুন আপনি যে সময় মৃত্যুর কারনে তরঙ্গে পরিনত, একজাক্টলি সেই সময়, অনেক পুরুষ, অনেক নারীর সাথে সঙ্গমে রত এবং তাদের যোনীদ্বারে কোটি কোটি স্পার্ম সবে ঢুকতে শুরু করেছে ! এই সব স্পার্মও তরঙ্গায়িত! নীলস বোর বা হাইজেনবার্গ স্পার্মের ওয়েভ পপার্টি বার করতে ব্যর্থ হলেও, শ্রী শ্রী ঠাকুর ঠিক জানেন, স্পার্মের ওয়েভ পার্টিকল ডুয়ালিটি!

    এবার আপনার মৃত আত্মার একটা ফ্রিকোয়েন্সি আছে এবং স্পার্মদেরও নিজস্ব ফ্রিকোয়েন্সি আছে! এবার আপনার আত্মার ফ্রিয়োয়েন্সির সাথে স্পার্মের ফ্রিকোয়েন্সি মিলে গেলেই আপনি খাঁটি "রেজোনান্স" পদ্ধতিতে স্পার্মের মধ্যে ঢুকে গেলেন!! তারপরে সেই মহিলার পেট হইতে সন্তান হিসাবে বাহির হইবেন।

    তবে গুরুর তত্ত্বে অসম্পূর্নতা আছে যা তার শিষ্য বা পুত্ররা সম্পূর্ন করেন নি! প্রথমত কন্ডোম থাকিলে কি হইবে? তাহলে ত সবই গেল!! আর ওই কোটি কোটি স্পার্মের মধ্যে মাত্র একটিই ডিম্বানুর প্রাচীর ভেদ করতে পারে! ভেবে দেখুন-আপনি একটি স্পার্মের মধ্যে ঢুকে গেলেন রেজোনান্সের মাধ্যমে কিন্ত সেটি প্রাচীর ভেদ করিতে পারিল না !
    তাহা হইলে কি হইবে? আপনি আবার সেই জন্মাতে জন্মাতে মারা পড়িলেন! রাইট? সেক্ষেত্রে আপনি --সেই স্পার্ম হইতে বাহির হইয়া, নতুন যোনির সন্ধান করিতে লাগিলেন না পুনজন্ম হইলনা বলিয়া, মহাবিশ্বে তরঙ্গায়িত হইয়া ভাসিতে লাগিলেন, এসবের সমাধান কিন্ত গুরুদেব দিয়ে যান নি!!

    ভেবে দেখুন। মৃত্যর পর আবার জন্ম নেওয়ার চেষ্টাটা কিন্ত বেশ চাপের! ওই তরঙ্গের ফর্মে আপনি শুধুই যোনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন যেখানে লিঙ্গ সবে ঢুকেছে আর স্পার্ম ফেলার তালে আছে! যোনিতে স্পার্ম পড়তেই আপনি ফ্রিকোয়েন্সি স্ক্যানার দিয়ে স্পার্ম খুঁজতে লাগলেন যদি ম্যাচিং ফ্রিকোয়েন্সি পেয়ে যান! তারপরেও যদিও নিস্তার নেই -কন্ডোম থেকে প্রতিযোগী স্পার্মদের কাছে হেরে যাওয়ার ট্রাবলটা এক্সট্রা! আমি বাপু মরে যাওয়ার পর এত ঝামেলার মধ্যে যেতাম না !

    তবে এই সুমহান তত্ত্বটার জন্য উনাকে গোবেল প্রাইজ অবশ্যই দেওয়া উচিত ছিল!

    ভাবতে অবাক লাগে জাকির নায়েক, অনুকুল ঠাকুর টাইপের লোকগুলো ধর্মীয় বাঙালী মধ্যবিত্তের মধ্যে জনপ্রিয় গুরুস্থানীয় চরিত্র। এই ব্যপারটা বোঝার জন্য যথেষ্ট আসলেই সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালী কতটা অশিক্ষিত এবং অজ্ঞানের অন্ধকারে ডুবে আছে!

    (৪)

    কেও যদি ভাবেন শরিয়া এবং ইসলাম ভয়ংকর নারী বিরোধি-তারা অনুকুল ঠাকুরের "নারী" জাতির প্রতি উপদেশ পড়ে দেখতে পারেন! আমি দুয়েকটা মণিমানিক্য তুলে দিচ্ছি ---মন্তব্য নেই কারন আমি সত্যই বাকরুদ্ধ!

    "
    এক মা জিজ্ঞাসা করলেন, স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা সত্ত্বেও
    স্বামী যেখানে স্ত্রীর সঙ্গে দূর্ব্যবহার করে, সেখানে স্ত্রীর কী করবে?

    শ্রীশ্রীঠাকুর- ঐ কথাই তো বলছিলাম। প্রকৃতিগত সামঞ্জস্য
    দেখে বিয়ে না দিলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই জীবন বিধ্বস্ত হ’য়ে যায়।
    তুমি তোমার ধারনা অনুযায়ী হয়তো ভাল ব্যবহার করছ, কিন্তু স্বামীর
    হয়তো অনুযোগ- আমি যা চাই, আমি যা পছন্দ করি, আমার স্ত্রী কিছুতেই
    তেমনভাবে চলে না, সে তার নিজের খেয়ালমত চলে,
    আমি তাকে নিয়ে আর পারি না। বড়জোর হয়তো বলবে, আমার
    স্ত্রী এমনি ভাল মানুষ, কিন্তু আমি কিসে খুশি হই, আমি কিসে ভাল থাকি,
    তা সে বোঝে না। তার নিজের এক ধরণ আছে, সেই ধরনে চলে। আমি বহু
    ক্ষেত্রে দেখেছি, স্ত্রীর মত স্ত্রীও খারাপ নয়, স্বামীর মত স্বামীও খারাপ
    নয়। উভয়েই ভাল মানুষ বলে সুনাম আছে বাইরে। সবার সঙ্গেই তাদের ব্যবহার
    ভাল, কিন্তু উভয়ের মধ্যেই আর কিছুতেই বনিবনা হয় না। বিয়ে থাওয়ার এমনতর
    গরমিল যদি কোথাও ঘটে গিয়ে থাকে, সেখানে স্বামী-স্ত্রীর
    প্রকৃতিটা বুঝতে চেষ্টা করা উচিত এবং স্বামীর যাতে ভাল লাগে ও ভাল
    হয় নিজের ব্যবহার সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করা উচিত। একটা জ্যান্ত
    মানুষের সাথে ব্যবহার করার সব সময় স্মরণ রাখা উচিত, আমি ইট, কাঠ
    বা পাথরের সঙ্গে ব্যবহার করছি না। যার সঙ্গে ব্যবহার করছি তার
    একটি রুচি আছে, প্রকৃতি আছে , মেজাজ আছে, ধরণ আছে। বদ্যি যেমন
    নারী টিপে ধাত বুঝে ওষুধ দেই, মানুষের সঙ্গে ব্যবহারের দাওয়াইও
    তেমনি ধাত বুঝে প্রয়োগ করতে হয়। এক কথায় মানুষের মন-মেজাজ
    বুঝে চলতে হয়। এমনটি যদি না চলতে পার তবে তোমার ভালর
    ধারণা নিয়ে আবদ্ধ হ’য়ে থাকলে তুমি কিন্তু কখনও মানুষের মন পাবে না। শুধু
    স্বামীর সঙ্গে ব্যবহারেই এমনতর নয়। প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যবহারেই চোখ, কান, মন
    খোলা রেখে চলবে। নজর করবে, কে কখন কী অবস্থায় আছে। তাই বুঝে তখন
    যা বলার বলবে, যা’ করার করবে। তুমি হয়তো মনে করে রেখেছ, স্বামীর
    কাছে সংসারের একটা প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য আবদার করবে। স্বামীর মন
    কেমন তা লক্ষ্য না করে, তুমি তোমার চিন্তার সম্ভেগ অনুযায়ী এমন সময়ই
    হয়তো কথাটা তাকে বললে যখন তার মন নানা সমস্যায় ভারাক্রান্ত। তখন
    সে তো চটবেই। আবার, তুমিও বলবে, আমি তো নিজের জন্য কিছু
    চাইতে যাইনি, সংসারের জন্য দরকার, সেই দরকারী জিনিসের
    কথা বলতে গিয়ে কত কথা শুনলাম। যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা।
    আমার ভাল কথাটাও তোমার গায়ে সয় না। এই বেধে গেল আর
    কি লাঠালাঠি। পরস্পর হিসাব করে না চলার দরুন অনেক গোলমালের সুত্রপাত
    হয়। মেয়েদের বিশেষ বিশেষ শারীরিক অবস্থায় বিশেষ-বিশেষ মেজাজের
    সৃষ্টি হয়, সেটা হলো সাময়িক ব্যাপার এবং শারীরিক অবস্থার সাথে জড়িত।
    পুরুষ ছেলের এটা সম্পর্কে যদি কোন জ্ঞান না থাকে এবং তখনকার
    স্বাভাবিক বৈলক্ষণ্যের দরুন যদি অযথা শাসন করতে যায়, তাহলে কিন্তু
    হিতে বিপরীত ঘটে। আবার, স্বামী হয়তো ফিটফাট থাকতে পছন্দ করে, কিন্তু
    স্ত্রী হয়তো অগোছাল, অপরিচ্ছন্ন রকমে চলতে অভ্যস্ত। সেখানে স্ত্রীর ঐ
    চলনে স্বামীর তো অসন্তুষ্ট হবার কথাই।
    মা-টি অকপটে বললেন, আমার ঐ দোষটি আছে।
    শ্রীশ্রীঠাকুর: দোষ যদি বুঝে থাকিস, তবে সেরে ফ্যাল্। যা করলে শরীর-
    মনের পক্ষে ভাল হয়, ছেলেপেলে ভাল থাকে, স্বামীরও মনোরঞ্জন হয়,
    তা তো করাই লাগে। স্বামীর কাছে যত সময় নত থাকবি। যুক্তি তর্ক
    দিয়ে কারো মন জয় করা যায় না। তোর যদি কখনও মনেও হয় যে, স্বামী তোর
    সঙ্গে অকারণ দূর্ব্যবহার করছে, তাও বলবি, আমি কথাটা বলতে চেয়েছিলাম
    ভাল, কিন্তু ভাল করে বুঝিয়ে বলতে না পারায় তোমার অশান্তির কারণ
    হয়েছি। ত্র“টি আমারই। এইরকম যদি করতে পারিস তাহলে দেখতে পাবি,
    স্বামীর সব রাগ গলে জল হয়ে যাবে। একটা জায়গায় কেবল স্বামীর
    বিরুদ্ধে দাড়াতে পারিস, অর্থাৎ যদি দেখিস, স্বামী তাঁর মা-
    বাবা বা গুরুজনের সঙ্গে অসমীচিন ব্যবহার করছে, সেখানে কখনও কিন্তু
    স্বামীর পক্ষ সমর্থন করতে যাবি না, শ্বশুর-শাশুড়ীর পক্ষ হয়ে সেখানে ন্যায্য
    প্রতিবাদ করবি। স্বামীর মঙ্গলের জন্যই এটা করা দরকার। অনেক স্ত্রী তাদের
    স্বামীকে তাদের গুরুজন ও আপনজন হতে বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের
    আঁচলধরা করে রাখতে চায়। ভাবে, আমরা স্বামী-স্ত্রী ছেলেপেলেদের
    নিয়ে সুখে থাকতে পারলে হলো, আর চাই কী? কিন্তু এত যে স্বামীর প্রতি ও
    নিজের প্রতি শত্র“তা করা হয়, এ-কথাটা বোঝে না। স্বামীর
    প্রতি শত্র“তা এদিক দিয়ে যে, স্বামী যাদের নিয়ে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ,
    প্রীতি, দায়িত্ব ও কর্ত্তব্যহীন করে তুললে সে ধীরে ধীরে অমানুষ হয়ে পড়ে,
    তার জগৎটা হয়ে যায় সংকীর্ণ; কারণ, যে নিজের মা, বাপ,
    ভাইবোনকে ভালবাসতে পারে না, তাদের প্রতি কর্ত্তব্য করতে পারে না,
    সে দেশ ও দশকে ভালবাসবে, তাদের জন্য করবে, এ একটা মিছে কথা। অমনতর
    যারা, তারা বড়জোর তথাকথিত politics (রাজনীতি)করতে পারে নাম-
    চেতানর জন্য, স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য। অন্তরের আসল বিস্তার তাদের কিছুই হয় না।
    আর, তাদের আত্মপ্রসাদ বলেও কিছু থাকে না। যাদের খুশি করে, যাদের
    আশির্বাদ ও প্রসাদ লাভ করে মানুষ বড় হবার প্রেরণা পায়, তাদের প্রতি টানই
    যদি ছিঁড়ে যায়, তবে তার সম্বল কি রইল জীবনে তা তো বুঝি না।
    ওভাবে রিক্ত ও নিঃসম্বল হয়ে করে দিল যে তাকে মনোজগতে, তার
    প্রতি একদিন তার আক্রোশ আসাও অসম্ভব না। তখন ঐ
    স্ত্রীকে হয়তো সে দুচক্ষে দেখতে পারে না। ভাবে, ঐ ডাইনী আমার
    সর্বনাশ করেছে। আমার মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন সকলের
    থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে আমাকে। আমার সাজানো বাগান
    শুকিয়ে ফেলেছে। ও আমাকেও চায় না। ও চায় আমাকে দিয়ে ওর নিজের
    খেয়াল পূরণ করতে। এটা প্রকারান্তে নিজের প্রতি শত্র“তা নয় কি? তাছাড়া,
    যে ছেলেপেলেদের সুখসুবিধার দিকে চেয়ে অমন করে, তাদেরও কি ভাল
    হয়? যে সঙ্কীর্ণ স্বার্থপরতার দীক্ষা তাদের দেয়, তার ফলে তারাও
    তো পরস্পরকে ভালবাসতে শেখে না। কালে-কালে তারাও তো মা-
    বাবা ও ভাই-বোন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যেমনতর বীজ বোনা যায়,
    তেমনতর ফলই তো ফলবে। তখন হয়তো দেখবে, তোমার একটি ছেলে চর্ব্য, চোষ্য,
    লেহ্য, পেয় খাচ্ছে আর একটি ছেলে পথে-পথে না খেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে,
    কিন্তু সে তাকে এক মুটি ভাতও দিচ্ছে না। দিতে চাইলেও তার স্ত্রীর
    ভয়ে পারছে না। এই অবস্থা দেখলে তোমার কি ভাল লাগে? কিন্তু এই
    অবস্থাটার তো সৃষ্টি করলে তো তুমি।
    মা-টি সঙ্কুচিত হয়ে বললেন, ঠাকুর! আপনি আর বলবেন না, শুনে বড় ভয় করে।
    মেয়ে মানুষ বোকা জাত, তাদেরই কি যত দোষ? মেয়েমানুষ ভূল
    করে যদি স্বামীকে তার বাপ-মার থেকে নিজের দিকে টানতে চায়,
    তাহলেই স্বামীও কি সেই ভূলে সায় দেবে?
    শ্রীশ্রীঠাকুর তা তো দেওয়া উচিতই নয়। পুরুষেরই তো দায়িত্ব বেশী। সেই
    তো তার পিতৃভক্তি ও মাতৃভক্তির দৃষ্টান্তে স্ত্রীকে তাদের
    প্রতি আরো শ্রদ্ধাপরায়ণ করে তুলবে। যেখানে স্বামীর অতখানি দৃঢ়তা ও
    পৌরুষ নেই, সেখানে সতী স্ত্রীর অনেকখানি করণীয় আছে। সে যদি স্বামীর
    ভালই চায়, তবে তাই করবে যাতে স্বামীর মঙ্গল হয়। স্বামী যদি তার মা-
    বাবার প্রতি কর্ত্তব্যচ্যুত হতে চায়, সে বরং তখন
    কলেকৌশলে চেষ্টা করবে যাতে বাপ-মার প্রতি তার টান
    বাড়ে এবং আবেগভরে সে তাদের সেবাযতœ করে। মানুষের অন্তরে শ্রদ্ধা,
    ভক্তি, প্রীতি ইত্যাদি বাড়াবার জন্য অনেক সময় দূতীগিরি করতে হয়।
    স্ত্রী হয়তো স্বামীকে বলল, বাবা-মা তোমাকে খুব ভালবাসেন। বলেন ও
    রাগধাগ করলে কি হয়? মন ওর খুব ভাল। বাইরে আধিক্যেতা নেই। কিন্তু সকলের
    প্রতি অনেক টান। আবার, শ্বশুর-শাশুড়ীর কাছে হয়তো বলতে হয়,
    উনি আমাকে সবসময় বলেন, আমার কিছু করা লাগবে না তোমার। তুমি সব সময়
    দেখবা, বাবা-মার যাতে কোন কষ্ট না হয়।
    এইভাবে যদি কৌশলে দূতীগিরি করা যায়, তাহলে পরস্পরের মধ্যে শ্রদ্ধা,
    প্রীতি, ভাব-সাব গজিয়ে দেওয়া যায়। এই তো সতী স্ত্রীর কাজ,
    লক্ষ্মী বৌয়ের কাজ। গড়া সংসার ভাঙবে না সে, ভাঙা সংসার গড়বে সে,
    জোড়া লাগাবে সে। মায়েদের তুই বোকা বলিস? বোকা হলে কখনও সন্তান
    পেটে ধরে মানুষ করে তুলতে পারে? দে তো একটা ব্যাটাছাওয়ালের
    কাছে একটা মা হারা শিশুকে মানুষ করার ভার। প্রায়ই হাগে-
    মুতে একসা করে ফেলবেনে। কিন্তু মায়েরা কেমন অনায়াসেই করে তা। তাই
    নিজেদের কখনও ভাববি না। তোরাইতো বুদ্ধিস্বরুপিণী, লক্ষ্মীস্বরুপিণী,
    দূর্গতিনাশিনী, দুর্ম্মতিদলনী দূর্গা। তোরা আছিস, তাই তো আমাদের
    আগলে রেখেছিস। নইলে আমাদের উপায় ছিল কী?
    [তথ্যসূত্র: আলোচনা প্রসঙ্গে, ৬ই কার্তিক, শুক্রবার, ১৩৪৯ (ইং ২৩/১০/১৯৪২)]

    এবার উনার নারীবাদি তত্ত্বগুলি সাজিয়ে নিন

    নিজেদের ভালোর জন্য নারীর স্বীকার করা উচিত তারা হীনবুদ্ধির জীব
    স্বামী অত্যাচার করলে, বকলে, ভুল ব্যবহার করলেও তা মেনে নিতে হবে -কারন লং টার্মে তা সংসারের জন্য ভাল "যুক্তি তর্ক
    দিয়ে কারো মন জয় করা যায় না। তোর যদি কখনও মনেও হয় যে, স্বামী তোর
    সঙ্গে অকারণ দূর্ব্যবহার করছে, তাও বলবি, আমি কথাটা বলতে চেয়েছিলাম
    ভাল, কিন্তু ভাল করে বুঝিয়ে বলতে না পারায় তোমার অশান্তির কারণ
    হয়েছি। ত্র“টি আমারই। এইরকম যদি করতে পারিস তাহলে দেখতে পাবি,
    স্বামীর সব রাগ গলে জল হয়ে যাবে। '
    নিজেদের সংসার এবং সন্তান ছাড়া নারীর আর কোন কাজ নেই , জীবনের আর কোন উদ্দেশ্য নেই
    সব সময় স্বামীর মন ও মেজাজ বুঝে চলতে হবে-তবে সে সার্থকনামা স্ত্রী!

    মুশকিল হচ্ছে এত বড় একজন খোরাকের পেছনে, এতটা সময় দিয়ে লেখাটা ঠিক হল কি না ! কিন্ত যেভাবে রাজনৈতিক কারনে হিন্দুত্বের বিষ রক্ত আবার বাংলাতে ঢুকছে, পবিত্র হিন্দু গুরুরা ঠিক কি টাইপের এবং কোন গোয়ালের গরু সেটা মনে করিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি।
  • Abhyu | 118.85.89.126 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:০৩651992
  • একে নিয়ে কি সত্যি এতো বাইট খরচা করার দরকার আছে? এক শীর্ষেন্দু ছাড়া আর বলার মতো কেউ অনুকূলবাবুকে মানে কি? বিনোদনের জন্যে ঠিকই আছে, সেই বালক ব্রহ্মচারীর মত খোরাক আর কি!
  • PM | 53.251.91.77 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:৩৮652003
  • অভ্যু ব্যাপারটা অত সহজ নয়। বহু লোক ওনার শিষ্য। আমার শ্বশুরবাড়ির তরফের এক আত্মীয়ের বিয়ে হয় অনুকুল ঠাকুরের এক শিষ্যের সাথে। সেই বিয়েতে ব্রাম্ভন আর অব্রাম্ভনদের আলাদা ভাবে খাওয়ানো হয়। আমি প্রায় উঠে চলে আসছিলাম। শ্বশুর বাড়ির ব্যাপার না হলে আসতাম-ও।

    সেই মেয়েটির বিয়ের পরে হাতে হারিকেন হয়েছে। তারা মাছ খায় কিন্তু বাকি কোনো আমিষ খায় না। পেয়াজ রসুন-ও খায় না। মেয়েটি এখন শ্বসুর বাড়িতে নানা বিপ্লব করছে
  • ক্ষী | 181.25.193.20 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৪:১১652014
  • ব্রাম্ভনরা আলাদা বসবে তাতে কার বাপের কী?
  • potke | 126.202.101.21 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৪:২৬652025
  • নিজের বাড়ীতে গিয়ে আলাদা বসুক, কারো বাপের কিছু না।
  • cm | 116.208.54.59 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৪:৩৪652036
  • আমি বসব যেদিকে মেনু ভাল। দরকার মত একগাছ সুতো গলায় চড়াব বা খুলব।
  • Ekak | 24.99.226.158 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৪:৪১652047
  • অনুকূল বাবুর স্কুল এ অনেক মানুষ নেই প্যাকেজিং এ বলিয়ে-কৈয়ে লোক নেই | এটাতো ফল্টলেস প্লেটনিক ওয়ার্ল্ড এর স্বপ্ন-ইউজেনিক্স দিয়ে | দেশ বিদেশে এরকম ইউজেকিক্স এর ভাট প্রচুর ছড়িয়ে আছে বরং অনুকূল একটা এক্সট্রা কথা বলছেন সেটা হলো "প্রকৃতিগত সামঞ্জস্য " যেটাকে ক্যারেক্তারিস্তিক ম্যাচিং ইমপ্লিমেন্ট করে একটা অনুকূল স্কুল অব কম্প্যাটিবিলিটি গড়ে তোলা যেত | লোকে বই পছন্দ থেকে ফিল্ম পছন্দ থেকে ইমোশনাল ইন্ক্লিনেষণ,মুড্ প্যাটার্ন সব ম্যাচ এন্ড ফিল্টার করে বিয়ে করত | সেই মার্কেটে যারা অংশগ্রহণ করত তারা সমাজের পয়সাওয়ালা লোক কাজেই জাত-পাত এর ব্যাপারটা তারা ধরে রাখতে পারতনা ছেলে-মেয়ে চাগরি তে ঢুকলেই | যেভাবে দক্ষিন ভারতে ভেঙ্গে পড়ছে মধ্যবিত্ত-উচ্চমধ্যবিত্তের মধ্যে | অনুকূল বাবুর মডেল টার পতেনশিয়ালিতি ছিল কিন্তু এন্টারপ্রেনীয়রশিপের অভাবে এগোয়নি | মূলত মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্তের পেটি সেন্ট্রাল প্ল্যানিং বেসড ইউজেনিক্স হয়ে রয়ে গ্যাছে |
  • potke | 126.202.101.21 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৫:২৯652058
  • ঃ)
  • Arpan | 125.118.159.142 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:০৮652069
  • হাগার জন্য "ব্রাম্ভন"-দের আলাদা কমোডও আছে লিচ্চয়, ওঁয়াদের বাড়িতে?
  • % | 219.239.123.90 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:৪৬651890
  • ইউজেনিক্স ব্যাপারটা ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারলে ভারতের জনসংখ্যা ৫% এ নেমে আসবে।
  • PM | 53.251.91.77 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:৫১651901
  • ওটা আর দেখা হয় নি ঃ) কারন আমার ওখানে রাত কাটানোর ইচ্ছা হয়নি ।

    তবে এটুকু বুঝেছি এগুলোকে খিল্লি করে , উপেক্ষা করে কোনো লাভ নেই। এরা একটা অদ্ভুত শেল এর মধ্যে থাকে। সামনা সামনি বিরোধীতা করতে হবে। পরে ওখান থেকে যতবার নেমন্তন্ন করেছে যায় নি। কারনটা-ও বলে দিয়েছি পরিস্কার।

    আমাদের সমাজে যে সমন্তরাল ভাবে কতো মধ্যযুগীয় রীতি চলে না দেখলে বিশ্বাস হবে না
  • bip | 78.33.140.55 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:১৭651912
  • তবে এটুকু বুঝেছি এগুলোকে খিল্লি করে , উপেক্ষা করে কোনো লাভ নেই। এরা একটা অদ্ভুত শেল এর মধ্যে থাকে। সামনা সামনি বিরোধীতা করতে হবে। পরে ওখান থেকে যতবার নেমন্তন্ন করেছে যায় নি। কারনটা-ও বলে দিয়েছি পরিস্কার।

    আমাদের সমাজে যে সমন্তরাল ভাবে কতো মধ্যযুগীয় রীতি চলে না দেখলে বিশ্বাস হবে না

    >>
    যাক, গুরুর লোকজনের সাথে বহুদিন বাদে একমত হওয়া গেল। এদের সামনা সামনি মোকাবিলা করতে হবে। ফেসবুকে অলরেডি হুমকি আসতে শুরু করেছে, লেখাটা তুলে নেওয়ার জন্য। এই ভাবে লেখা তুলে নেওয়া যায় না কি ?
  • robu | 122.79.36.109 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৩২651923
  • গুরুর তো আজ দারুণ সৌভাগ্যের দিন!!

    যা হোক, বিপ এর লাস্ট দু-একটা লেখা পড়া যাচ্ছে।
  • dd | 132.172.220.221 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৪৭651934
  • এই"গুরুর লোকজন" (বিপ উবাচ) মালটা কী?

    এদের কোনো প্রোফাইল পাওয়া যায় ?(বিপ কে প্রশ্নো, তবে অন্যদের উত্তরও সাদরে গৃহীত হবে)।
  • T | 24.139.128.15 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৪৯651945
  • পারবেন না। কি সাংঘাতিক রকমের ব্রেনওয়াশড না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আমার সাথে মোলাকাত হয়েচে এমন কিছু অনুকূল (বানান কি লিখছি কে জানে) ভক্তের। ইউজেনিক্স থিয়োরীতে প্রচন্ড রকম বিশ্বাসী। চেপে ধরলে ন্যাশনাল মেডিকেলের এক ডাক্তারের উদাহরণ দেয়। তিনি নাকি দশকের পর দশক ধরে পরীক্ষা করে দেখেছেন যে ইহা সত্যি।

    আরেকটু চেপে ধরাতে জানা গেছিল যে ডাক্তারও বাবার শিষ্য।
  • - | 109.133.152.163 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ২১:৫০651956
  • আর এটাও একটা শেলের মধ্যেই থাকা, "আমি যা ভাবছি তাইই ঠিক। অন্যদের সঙ্গে "মোকাবিলা" করে জগৎ উদ্ধার করে দেব"।
    আগে নিজের "শেল"গুলো থেকে বেরোন, তার্পর অন্যদের নিয়ে ভাব্বেন!

    ডিঃ অনুকূল প্রতিকূল কোনও ঠাকুর নিয়েই কোনও "চিড়বিড়ানি" নাই ঃ-)
  • Abhyu | 118.85.89.126 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ২২:৩০651967
  • অনলাইনে তো কতো কিছুই পাওয়া যায়। হিসি খাওয়ানোর স্বপক্ষেও যুক্তি আসে, এমনকি পচা মড়ার জল খাওয়ানোর স্বপক্ষেও যুক্তি আসতে পারে। বরং PMএর কেসটায় অবাক হলাম। আমি হলে সম্ভবতঃ সিন ক্রিয়েট করে উঠে আসতাম। তাতে অন্ততঃ (নিমন্ত্রিতদের মধ্যে হলেও) দুচারজন বুঝত যে সব কিছু মেনে নেওয়া ঠিক না (ঐ ব্যাংদির অটোওয়ালাদের শিক্ষা দেওয়ার মতো!) - তবে এটাও মানছি যে বাইরে থেকে বলা সহজ, নিজের আত্মীয়দের মধ্যে ঝামেলা করা অনেক বেশি কঠিন।

    পুনঃ এই লেখাটা কি ওনার "চিট ফান্ড" (আনন্দবাজার) দ্বারা অনুপ্রাণিত? :)
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:৫৭651978
  • অনুকূল কি আছেন, তিনি তো ঐ ষাট/সত্তরের দশক অবধি - তাই না। তারপর তো বাবা লোকনাথ এবং বালক ব্রহ্ম - এনারা মার্কেট নিয়ে নিলেন না?
  • ranjan roy | 132.176.193.89 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০৫651989
  • -,
    দুটো কি একসাথে চলতে পারে না? নিজের শেল থেকেও বেরিয়ে যাওয়া ও অন্যদের শেল নিয়ে কথা বলা?
    আমি কি সবসময় নিজের শেল দেখতে পাই? অবশ্যই কেউ না কেউ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়!
    কাজেই বিতর্ক, বিচার বিমর্শ সর্বথা কাম্য। ইহাই মহান ভারতীয় ঐতিহ্য , আর্গুমেন্টেটিভ হওয়াঃ))))।
  • Mmu | 102.90.26.110 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১৬651993
  • BIP আপনি সুপার। যা লিখেছেন - অসাধারন। আমি আমার পাড়ার অভিগ্যতা ( বানান ভূল) থেকে ব্যাপারটায় একমত।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২৬651994
  • পিএম,
    কোন্‌দিকে কী মেনু ছিল? ঃ-)
  • cb | 120.32.18.111 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০৪:৪৬651995
  • মেনুতে ডিফারেন্স না থাকায় পিএমদা ব্যাপারটা কাটিয়ে দিয়েছিলেন :)

    আর নিজের ছোটোবেলা থেকে চেনা লোকজনদের ক্ষেত্রে এগুলি করা যায়, শ্বশুরবাড়িতে অনেক ইকুয়েশন থাকে, মোস্টলি শ্বশুর শাশুড়ির পজিশন ইত্যাদি

    পরে লিখব এইরকম এক ভক্তের কথা
  • adhuli | 190.148.69.210 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:০৮651996
  • অন্ধ বিশ্বাস যে কতটা ভেড়া বানিয়ে রাখে মানুষ কে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। ছাত্র জীবনে এক বড়লোক আত্মীয়-র বাড়ি তে গিয়ে দেখি তারা বালক ব্রামচারির ভক্ত। নিজে ভক্ত হন ক্ষতি নেই, এঁদের ধারণা ওনাদের বাবার পাবলিসিটি করা এদের পবিত্র কর্তব্য। যথারীতি ভজন গাজন এবং বাবার মহতী বিবরণ শুরু হলো এবং সবাইকে বলা হলো তারা কি হারায়তেছেন। যে সব পাপীরা এখনো বাবার শরণ-এ আসেন নি, জলদি না এলে তাদের ধন-প্রাণ-মান সব যাবে। আমি আলপটকা কত গুলো বোকা বোকা প্রশ্ন করাতে আমাকে কিছু বলা হলো না, কিন্তু বাবা মা কে অনেক ভাবে খুব ভালো ভাবে বোঝানো হলো যে কি ভাবে তারা ছেলে-কে অমানুষ বানাচ্ছেন এবং বাবা-মা হিসেবে তারা কতটা অপদার্থ। বেশ অপমান লেগেছিল, মানে একটা ১১-১২ বছর-এর ছেলের যত টা অপমান বোধ থাকে আর কি। কোনো দিন যাই নি আর তাদের বাড়ি তে। বলতে পারি যখন বাম সরকার গভীর রাত-এ এই বালক-বাবা-র ভেড়া ভক্ত দের পিটিয়ে ওর লাশ-টা পুড়িয়েছিল, খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। সুভাষ চক্রবর্তী-র বহু কু-কীর্তি থাকলেও এই একটা ভালো কাজ -এর জন্য ওনাকে অনেক ধন্যবাদ দিতে আমার কোনো লজ্জা নেই।
  • SC | 34.3.22.185 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:২৮651997
  • এটা ঠিক বুঝলাম না। বালক বাবা কে marxbad দিয়ে রিপ্লেস করে দিন। দিয়ে নিজের স্টেটমেন্ট গুলো পড়ুন।
    ওই লোকগুলো আপনাকে অপমান করেছিল, সে তো ওই লোকগুলোর অসভ্যতা। এর সাথে বালক বাবার কি সম্পর্ক।
    আপনি বালক বাবার শিষ্যের বাড়ি না গিয়ে লেনিন বাবার শিষ্যের বাড়ি গেলে তারাও আপনাকে বাণী শোনাত।
    প্রশ্ন করলে অপমানও করতে পারত (অনলাইনেই কতবার করেছে)।

    তখন কি তারা ভেরা hoto, নাকি enlightened লিবারেল?

    আর বাই di ওয়ে, সুভাষবাবু মনে hoy বালক বাবার শিষ্য ছিলেন, অন্তত কিছু পরিচিত লোকের কাছে তাই শুনেছি।
  • | 183.17.193.253 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:৩৪651998
  • আলাদা মেনুর প্রশ্নই নাই। উরিবাবা!সব ঘাসপাতা। ওনারা মাছমাংসডিমপেঁয়াজরসুনমুসুরির ডাল খান না ও খাওয়ান ও নাঃ(

    আমার বড় মেসোর বাড়িসুদ্ধ সবাই ঐঠাকুরের শিষ্য। মেসোর যখন সাত-আট বছর বয়েস তখন মেসোর বাবা কি এক বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে সপরিবারে দীক্ষা নিয়ে ঐ ঘাসপাতা মেনুতে শিফট করে যান। মেসোর ছোট দুইবোন জীবনে কখনো ঐ সব 'শরীরগরম' করা খাবার খায়নি।যদিও দুই বৌ এসেছে 'মেছোবাড়ি' থেকে- দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন মেছোবাড়িতে। বররা মাছ পায়না। বৌরা মাছ খায়্নাঃ)

    বাবা অনেকদিন হলো গত হয়েছেন,মাও এখন নেই।এইবার দেখলাম,বাড়িতে রান্না হয়না।তবে আমার ছেলের খেতে কষ্ট হবে বলে বন্ধুর স্ত্রীকে দিয়ে তিনরকম মাছ রান্না করে টিফিন ক্যারিয়ারে করে খুব লুকিয়ে বাড়ি আনা হলো। সবাই মিলে ঐ বাড়িতে বসে মাছ-ভাত খাওয়ার সাধ আমার মিটেছে,যদিও কাঁটা ইত্যাদি আবার একটা প্যাকেট করে যত্ন করে ভরে তাকে মোটরসাইকেল চড়িয়ে কোথায় যেন একটা বিসর্জন দিয়ে এলো;)
  • | 183.17.193.253 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:৩৭651999
  • আমিও সুভাষ চক্রবর্তীকে সাধুবাদ জানাই। তখন ঐ প্রত্যেক দিন বাবা আজ মলত্যাগ করেছেন-জাতীয় খবরে প্রথম পাতা ছেয়ে থাকতো।

    হ্যাঁ,সন্তানদলের দেওয়াল লিখনগুলো খুবই মিস করি।
  • adhuli | 190.148.69.210 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:৩৮652000
  • ধর্মীয বাবাদের গুণ-গরিমা আর মার্কস-বাদ এর প্রচার এ কিছু বেসিক তফাত আছে মনে হয়। রাজনীতি নিয়ে যুক্তি-তর্ক করা যায়, রাজি-অরাজি-র একটা স্পেস থাকে। কিন্তু ধর্মীয় অন্ধ বিশ্বাস-এর সাথে তর্ক করা দেয়াল-এ মাথা ঠোকা। যারা অন্যের যুক্তি শুনতেই চায় না, তাদের সাথে কি ভাবে যুক্তি-তর্ক করবেন-? আমার মূল কথা এটাই, অন্ধ ধর্ম বিশ্বাস মানুষ-কে সত্যি অন্ধ করে ফেলে, বাকিদের যুক্তি শোনার স্পেস আর থাকে না।
  • | 183.17.193.253 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:৪০652001
  • নানা, তর্ক কেন করা যাবে না? তর্ক শেষে বলতে হবে আমার আর আপনার মত মিল্লো না, পরষ্পর সমৃদ্ধ হলাম;)
  • কল্লোল | 111.63.141.13 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:৫৮652002
  • আমরা কি শুনিনি বা দেখিনি? "মার্কসবাদ সত্য কারন ইহা বিজ্ঞান"
    অনুকূল-প্রতিকূল সব বাবাই বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে থাকে।
    এজগতে বিজ্ঞানই একমাত্র পবিত্র গাভী।
    এই কথাটা বেশ লাগলো - "অন্ধ ধর্ম বিশ্বাস মানুষ-কে সত্যি অন্ধ করে ফেলে, বাকিদের যুক্তি শোনার স্পেস আর থাকে না।"
    শুধু "ধর্ম" শব্দটি তুলে দিলেই এক্কেরে একমত।
  • SC | 34.3.22.185 | ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:২০652004
  • ধর্মীয় বাবাদের সব শিষ্যরা তারমানে অন্ধবিশ্বাসী ভেড়া? এরা কেউ অন্যদের বক্তব্য শোনে না?
    এরকম কি করে জানা গেল?
    তাছাড়া, কেউ যদি বিশ্বাস করেন বালক বাবা তে, তিনি তো 'বিশ্বাস' করেন। তিনি আবার 'যুক্তি তর্ক' করতে যাবেন কেন?
    'যুক্তি তর্ক' একান্ত ভাবেই বিজ্ঞানের ব্যাপার। উনি নিজের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে তর্ক করে সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন কেন?
    ওনার ভালো লাগে উনি বিশ্বাস করেন।আপনি ওনার বাড়িতে গেলে উনি প্রচার করবেন।
    ওনার বাড়িতে নেমন্তন্ন হলে উনি নিজের নিয়ম মেনে করবেন। আফটার অল, বাড়িটা তো ওনার।

    আমি এইগুলোর মধ্যে খুব বেশি ভুল কিছুই দেখি না। নিজের বিশ্বাস অন্যের উপরে চাপিয়ে দেওয়াতে অবশ্যই ভুল দেখি।
    আর অনুকুল বা প্রতিকুল, কারুর ভক্ত যদি মাংস মাছ নাও খান, তা না খেতেই পারেন।
    ওনার ভক্ত ছাড়াও পৃথিবীতে অনেক লোক আছে যারা মাছ মাংস খায় না, অনেক কারণেই। অনেক লিবারাল লোকও আছে তাদের মধ্যে।
    তাদের বাড়িতে গেলে তারাও আপনাকে বোঝাবে, মাংস খাওয়া খুব খারাপ, পরিবেশের ক্ষতি হয়, শরীরের ক্ষতি হয় ইত্যাদি ইত্যাদি ।

    আপনারা সমস্ত লোক যাদের গুরুদেব আছেন, তাদেরকে কিরকম একটা মোটা দাগ দিয়ে পেন্ট করে দিলেন। সেইটার মৃদু প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম। বালক, অনুকুলের অনেক শিষ্যদের আমি ছোট থেকে দেখেছি। তারা সকলে এরকম "ভেড়া" আমার তো মনে হয়নি। তাদের সাথে আমি
    এগ্রি করি না, কিন্তু তাদের অনেককেই সম্মান করি। আবার অনেককে করিও না। "ভেড়া"ও অনেক রকমের দেখেছি। বালক বাদী, লেনিন বাদী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন