এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কুমুদির রোমহর্ষক গল্পসমূহ

    Abhyu
    অন্যান্য | ১০ জুলাই ২০১৪ | ২১২৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 188.91.253.21 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৪:৩২647581
  • হ্যাঁ, আমি ঐ ১৪-১৫ ই ভেবেছি। মানে নাইন-টেন আর কি। ঋভুর কোন ক্লাস জানি না তো। ঐ বোর্ডগুলোতে ক্লাসে রামায়ন-মহাভারত পড়িয়ে দেয়? বাহ! ভালো তো!
  • i | 134.168.2.225 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:৪৫647582
  • মন খারাপ হলে এই টইতে ঘুরে যাওয়া অবশ্যকর্তব্য।

    আচ্ছা, সেই সুইঁকুমারীকে দ্রৌপদী আর কমাচুলের বলবান ডাক্তারকে ভীম করলে হত না?

    ব্যাঙের একটা প্রশ্ন দেখলাম-ব্যাঙ ছাড়া এই প্রশ্ন কারো মাথাতেও আসবে না। -'অর্পিতা কি আর কখনও ঐ ওড়না ব্যবহার করেছিলেন?"
  • Du | 24.96.88.38 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:১০647583
  • জয়া কিকির নিজেরও ভালো লাগবে।
    তবে ভক্তিগদগদের সাথে আমার নিজের একটা বেশ নিবিড় সম্পর্ক আছে দেখেছি। ঐ আমি~ই শাস্তি দিয়েছি আমি~ই পেয়েছি সে শাস্তি এইটাইপের লাইনগুলোতে আমার গলা বুজে যায় - কি যে করি ঃ( বুড়ো হয়েছি বলে নয়, আগেও। অথচ এই করে স্বর্গে যাবে আর এই করলে নয় টাইপের লাইনগুলো একেবারেই অসহ্য।
  • kiki | 125.124.41.34 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:৩২647584
  • হুচি, দে,
    থেঙ্কু। ঃ)

    দু,
    আমি সেটাই বলতে চাইছি, ঐ কি করতে হবে বলে জুড়ে দেওয়া ব্যাপারগুলো চাইছি না। কাব্যটা যেভাবে এগিয়েছে সেটা জানুক।সঙ্গে নিরপেক্ষ বিশ্লেষন ঠিক আছে, তখনকার ভাবনা, কালচার, জীবন যাপন ............. এইসব।
  • - | 109.133.152.163 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:৫৬647585
  • সেন্টি না, মেগা-টেরা চাই ঃ-)
  • Abhyu | 85.137.0.61 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:৪৪647587
  • তার্পর?
  • Abhyu | 81.12.146.223 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৭:০৭647588
  • তার্পর?
  • kiki | 125.124.41.34 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:০৬647589
  • কোথায়? কুমু ভালো আছো তো?
  • Abhyu | 106.32.178.92 | ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৩২647590
  • আজকের মধ্যেই গপ্প চাই।
  • | ১১ অক্টোবর ২০১৪ ১১:১৪647591
  • হ্যাঁ চাইই চাই
  • ranjan roy | 24.97.241.130 | ১১ অক্টোবর ২০১৪ ১২:৫৯647592
  • কুমু,
    দূগ্গিপূজোর নাটক কি কালীপূজোয় হচ্চে?
    ছ্যা ছ্যাঃ))))
  • Abhyu | 106.32.178.92 | ১২ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:১৭647593
  • ভোর হল, দোর খোলো
    কুমুদিদি ওঠো রে
  • Abhyu | 106.32.178.92 | ১২ অক্টোবর ২০১৪ ১৮:৩৪647594
  • সন্ধ্যা হল গো, ও মা
  • Abhyu | 85.137.5.211 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৭:৩২647595
  • জন্মদিনে একটু গল্প লিখে আমাদের আনন্দবিধান করুন।
  • kumu | 113.6.156.163 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৮:৩৮647596
  • "প্রতিহারী । মহারাজ , মহিষী গান্ধারী
    দর্শনপ্রার্থিনী পদে ।
    ধৃতরাষ্ট্র ।রহিনু তাঁহারি
    প্রতীক্ষায় ।"
    ইকি,তুমি অমন হাসি হাসি মুখ করে বসলে ক্যানো?দুর্যোধন এতক্ষণ ধরে এত ভালোমন্দ শুনিয়েছে,এখন আবার মহারাণী এসে কী বলেন তার ঠিক নাই,এই কি তোমার অমন প্রসন্ন হওয়ার সময়?
    আবার হোক।
    "মহারাজ , মহিষী গান্ধারী দর্শনপ্রার্থিনী " ইত্যাদি
    ওঃহো,তাই বলে অমন মুখ পেঁচকে গালে হাত দিয়ে বসতে হবে?গান্ধারী তোমায় মারতে তো আসছে না-

    প্রচুর তোড়জোড় করে প্রথম দিনের রিহার্সাল শুরু হয়েচে।জ্যেঠুর পড়ার ও জেঠিমার গোঁসাঘর পুজোর আগে হয়ে গেছে ক্লাবের রিহার্সালরুম।আর জেঠুর রোদে বসে দাড়িকামানোর তিনঠেঙ্গে টুলটিতে আপাতত ধৃতরাষ্ট্র যথাসম্ভব রাজকীয় মর্যাদায় সাবধানে ভারসাম্য রেখে বসে আছেন।দুর্যোধন ও যুধিষ্ঠিরকে জেঠু কোন কাজে পাঠিয়েছেন,অগত্যা মাঝখান থেকে রিহার্সাল শুরু হচ্চে।কিন্তু বারবার এমন বাগড়া পড়াতে মহারাজের ধৈর্য্য থাকে না।
    "কেমন করে বসব দেখিয়ে দিন তবে নয়তো অন্য কাউকে দেখুন,আমার দ্বারা হবে না-"
    "হ্যাঁ,এই তোমাদের এক হয়েছে,কথায় কথায় রাগ আর অভিমান।কোন কুক্ষণে যে আমি নাটকে হাত দিয়েছিলাম।পান থেকে চুনটি খসেচে কি খসেনি অমনি হুমকি দিচ্চেন বাবুরা-"
    জেঠুর কথা শেষ হওয়ার আগেই হাঁপাতে হাঁপাতে যুধিষ্ঠির এসে স্টেজে মানে সতরঞ্চির এরিয়ায় ঢুকে পড়ে,কিন্তু,তার পেছনে দুর্যোধনকে দেখা যায় না।
    "একি,তুমি আবার এখন ঢুকছ কেন?তোমার এন্ট্রি তো সেই শেষকালে,কোন কুক্ষণে যে আমি"
    "পাড়ার সব দোকানে ছোলেপুরী শেষ" কাঁদোকাঁদো মুখে ধর্মরাজ জানান।
  • kiki | 125.124.41.34 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৯:২৫647598
  • তোমার রিটার্ন গিফ্ট টা দারুন।ঃ)
  • kumu | 113.6.156.163 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৯:৩২647599
  • জেঠিমা আঁতকে ওঠেন,"সে কী কথা রে।এতগুলো মানুষ এখন খাবে কী?জয়ন্তী বরং ময়দা মেখে দিক,আমি আলুচ্চ্চড়ি বসিয়ে দিই।"
    "ও ময়দা মাখলে আমি লুচি খাব না বলে দিচ্ছি" অর্পিতার ঘোষণা শোনা যায়।
    "ধুত্তেরি দুলাইন রিহার্সাল এগোলো না ,আলুচচ্চড়ির ব্যাবস্থা হচ্চে-"জেঠু এবার সিরিয়াসলি রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন,আর সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিতে রঙ্গমঞ্চে প্রবেশ করেন পারঙ্গমা সেন,অর্থাৎ চিত্রাঙ্গদার পরিচালিকা।
    "কী,কেমন এগোচ্ছে আপনাদের মহড়া?আমার মেয়েরা তো অর্ধেকের বেশী নাচ তুলে ফেলেছে। সুরূপার এক্সপ্রেশন দেখলে অবাক হয়ে যাবেন। দর্শক এই মেয়েকে ভুলতে পারবেনা ,জানেন,আমিই অবাক হয়ে যাচ্ছি,কেমন করে ঐটুকু মেয়ে ভূমিকাটি এত আত্মস্থ করে ফেল্ল,আশ্চর্য!!"
    মিসেস সেনের চমৎকার ভাব এসে গেছিল আরও অনেকক্ষণ বলে যেতে পারতেন,কিন্তু তাঁকে কনুইএর গুঁতোয় প্রায় ঠেলে ফেলে দিয়ে ছোলে পুরীর গন্ধে পাড়া আমোদিত করে এবার ঢুকে আসে হতক্লান্ত দুর্যোধন।
    "ওঃ,সে-এ-ই রাজৌরী গার্ডেন থেকে ছোলে নিয়ে এলাম জেঠু।আর পাড়ায় ঢুকেচি কি ঢুকিনি ,আমার বাইকটি দেহ রাখল।একহাতে বাইক ঠেলচি অন্যহাতে এই রাবণের গুষ্টির খাবার,ভাবা যায়?আমি একটু শোবো এখন,সরুন দেখি সব,দাঁড়ান প্যান্টটা খুলি-"

    একি একি প্যান্ট খোলে কেন,ও জেঠু রোদ লেগে গেছে বোধহয়,এই মল্লিকা একটা ঠান্ডা জলের বোতল আন না ,একি প্যান্ট খুলচ কেন,মেয়েরা রয়েচে ,কোন কুক্ষণে যে আমি,আরে,কথা শোনে না দেখো,এই মেয়েরা চোখ বোজো সব,চোখ বোজো বলচি -

    সকলের চক্ষু মুদ্রিত করণ ও ৩০ সেকেন্ডের সূচীভেদ্য অসহনীয় নীরবতার পর রান্নাঘর ফেরত জেঠিমার বিস্মিত প্রশ্ন শোনা গেল,"এ কি ,তোমরা সব চোখ বুজে রয়েচ কেন?আর এই অভিষেক, পাজামা পরে শুয়ে আছ কেন?"
    পাজামা ?সকলের ধড়ে প্রাণ ফিরে আসে।

    "একটা কাজ কর্তে গিয়ে গলদঘর্ম,আবার ভিরকুটি করে প্যান্টের নীচে পাজামা পরে আসা হয়েচে!!কোন কুক্ষণে যে আমি---"
  • ব্যাং | 233.227.19.64 | ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৯:৪৭647600
  • ওঃ কুমুদি ঃ))))))) তুমি একটা যাচ্ছেতাই রকমের ভালো লোক। প্লিজ আরেকটু লেখো ঃ))))
  • 00 | 181.64.40.104 | ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০০:১৮647601
  • "পাড়ার সব দোকানে ছোলেপুরী শেষ" কাঁদোকাঁদো মুখে ধর্মরাজ জানান।
    নাজুক নাজুক !!
  • Atoz | 161.141.84.164 | ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪৯647602
  • ওহ্হ্হ্হ, কী লেখা!

    // কিন্তু তাঁকে কনুইএর গুঁতোয় প্রায় ঠেলে ফেলে দিয়ে ছোলে পুরীর গন্ধে পাড়া আমোদিত করে এবার ঢুকে আসে হতক্লান্ত দুর্যোধন।

    ""ওঃ,সে-এ-ই রাজৌরী গার্ডেন থেকে ছোলে নিয়ে এলাম জেঠু।আর পাড়ায় ঢুকেচি কি ঢুকিনি ,আমার বাইকটি দেহ রাখল।একহাতে বাইক ঠেলচি অন্যহাতে এই রাবণের গুষ্টির খাবার,ভাবা যায়? আমি একটু শোবো এখন,সরুন দেখি সব,দাঁড়ান প্যান্টটা খুলি-"//

    পড়ে মন একেবারে দরিয়া হয়ে গেল! ঃ-)))))
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০৯647603
  • দুর্দান্ত :)
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩৪647604
  • কোন সুক্ষণে যে আমি... অবশ্য এ আর বেশি কথা কি, আমি তো ভালো টই খুলেই থাকি।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩৭647605
  • সত্যি! কী অপূর্ব টই!!! মন ভালো করতে এর জুড়ি নেই।
    অভ্যুকে ধন্যবাদ, কুমুদিকে কাঠবেড়ালী সহযোগে ধন্যবাদ । ঃ-)
  • de | 69.185.236.52 | ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ১০:৪৩647606
  • কুমুদির কলম অক্ষয় হোক!!

    জন্মদিনটা মিসিয়েছিলাম - দুদিন আসতে পারিনি গুরুতে, হীরে বসানো সোনার কলম, একজামবাটি বাটি নলেনগুড়ের পায়েস আর একমুঠো করে শিউলি আর মাধবীলাতা রেখে গেলাম! অনেক লেখো কুমুদি!
  • একত্র | 138.192.7.51 | ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ২২:৪২647607
  • গান্ধারীর আবেদন
    ডঃ জয়ন্তী অধিকারী

    প্রায় দুই দশক আগেকার এক সোনারোদ পুজোআসছে শরৎসকাল। তখন আকাশ আরো গভীর নীল ছিল, শিউলি তাড়াতাড়ি ও বেশি ফুটত, ক্লাবে প্রচুর মেম্বার ছিল, পুজোর ধুমধাম অনেক বেশী ছিল, নাটকে আবালবৃদ্ধবনিতার প্রবল উৎসাহ ছিল, সর্বোপরি সকলের ওজন ও রক্তচিনি দুইই অনেক কম ছিল।

    যথারীতি প্রচুর গবেষণা,ঝগড়া,দুটি রেজিগনেশন সাবমিশন/সামান্য সাধাসাধির পর প্রত্যাহার করন ইত্যাদির পর "গান্ধারীর আবেদন" বিপুল ভোটে জয়ী হল। ধৃতরাষ্ট্র,দুর্যোধন ইত্যাদি কাষ্টিং হয়ে গেছে, ভানুমতীও রেডী, কেবল গান্ধারী তখনো ফাইনাল হয়নি।

    সেই রোব্বারের সকালে রিহার্সাল শুরু হবে, ঠিক এগারোটায়। আমি ও অর্পিতা (অর্থাৎ দুই সম্ভাব্য গান্ধারী) ছেলেমেয়েদের ক্যারাটে ক্লাশে পৌঁছে দিয়ে একটু বাজার করতে গেলাম। দুজনেই মনে মনে ছক কষচি কিভাবে অন্যজনের ঘাড়ে কৌরবসম্রাজ্ঞীর গৌরবময় ভূমিকাটি চালান করে দেয়া যায়।

    নানারকম আশকথাপাশকথা (ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, কর্ত্তাদের অপদার্থতা, কলকাতার তুলনায় দিল্লীতে শাড়ীর ভ্যারাইটি ও কোয়ালিটির অসম্ভব নিম্নমান ইত্যাদি ২) বলতে বলতে আমরা অন্যবাজার সেরে ফলের দোকানের সামনে দাঁড়ালাম। আর সময় নেই, রিহার্সালে যাওয়ার আগেই একটি ফয়সালা হওয়া দরকার। অতএব, আপেল বাছতে বাছতে আমাদের মধ্যে এমত বাক্যালাপ হল -

    - "দেখ জয়ন্তী,তোর মত এমন লম্বা চুল(এত বাড়িয়ে বলতে পারে) আর কারো আছে যে সে গান্ধারী সাজবে? আমার এই ছোট চুলে গান্ধারী মানায় কখনো? "

    - "চুল দেখে গান্ধারীর পার্ট দিতে হলে দাড়ি দেখে ধৃতরাষ্ট্রর পার্ট দিতে হয়, ব্যানার্জিদা যুধিষ্ঠির সাজছে কেন তবে?"

    - "আরে, ব্যানার্জিদা ঐটুকু পার্টই মনে রাখতে পারবে না। ছড়িয়ে একসা করবে। ভেবে দ্যাখ তুই মহারাণীর সাজে আপাদমস্তক গয়নায় ঝলমল করে ধৃতরাষ্ট্রকে বলছিস "নিবেদন আছে শ্রীচরণে, অনুনয় রক্ষা করো তাত"

    - "তাত? সে আবার কী? নাথ তো। আমার চেয়ে ছইঞ্চি বেঁটে ঐ কোহিনূর সান্যালকে আমি নাথ ফাথ বলতে পারব না। তোর তো হাইট নামে জিনিস নেই, তোর সঙ্গেই ওকে বেশ মানাবে।"

    - 'আরে আমি নিয়মিত রিহার্সালে আসতেই পারব না, সংসারের ঊনকোটি চৌষট্টি সামলে, তার ওপর মেয়ের পরীক্ষা।"

    - "আমিও পারব না, আমারো ছেলের পরীক্ষা"

    কী এক কায়দার চুন্নী পরেছিল, এমন সিরিয়াস আলোচনার মধ্যে কেবলি উড়ে উড়ে যাচ্ছিল।

    হাতে সময় নেই মোটে, ছেলেকে ক্যারাটে ক্লাশ থেকে তুলতে হবে, ইদিকে অর্পিতার গোঁয়ার্ত্তুমির জন্য সামান্য একটা জিনিসের সমাধান তো হচ্চেই না, বরম আলোচনা কেমন একটা সহিংস রূপ নিচ্চে।

    দুজনেরি আপেল কেনা কখন হয়ে গেছে, তাই ফলওলার সামনে থেকে একটু ডানদিকে সরে এসে হাত মুখ নেড়ে আমরা তক্কো করছিলাম। এবং এটাও ডকুমেন্টেড থাকা উচিত যে অত উত্তেজনার মধ্যেও আমি ৩ বার অর্পিতাকে বলেছিলাম ঐ হতচ্ছাড়া চুন্নী কোমরে বা মাথায় বেঁধে নিতে,যাতে বারে বারে উড়ে আমার গায়ে না পড়ে।

    নিয়তির কুটিল চক্রান্ত - পাশেই এক ভালোমানুষের-দিন-নেই চেহারার বিজাতীয় গরু মন দিয়ে ছোলে বাটুরে খাচ্ছিল, নিজেদের সমস্যায় অতিরিক্ত ভারাক্রান্ত থাকায় আমরা তার ফোঁস ফোঁস দীর্ঘশ্বাস, হিংস্র চাউনি, কঠিন ভ্রুকুঞ্চন কিছুই খেয়াল করিনি।

    - "অত লম্বা লম্বা ডায়্লগ মুখস্ত করব বসে বসে? আমাকে পেয়েছিস কী?"

    - "এইসা দেব একটা কানের গোড়ায়, টেপ বাজবে তো, মুখস্ত করতে লাগে?"

    সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে যা ঘটল বর্ণনার অতীত। অর্পিতা বোধহয় ভাবল আমি সত্যি মারব, রিফ্লেক্সে হাত ছুঁড়ল, কী করে কে জানে চুন্নী উড়ে গিয়ে গরুর মাথায় পড়ল, শুধু শুনলাম ভয়ংকর হাড়হিম করা এক গর্জন আর ,ফলওলার চিৎকার

    - ভাগো,ভাগো জলদি ভাগো ও ও -

    অতজোরে জীবনে কোন দিন ছুটিনি, সেও শাড়ি পরে। প্রাণ হাতে করে দৌড় কাকে বলে সেদিন বুঝলাম। নীল চুন্নী মাথায় গরুর চেহারা যতবার মনে আসছে তত স্পীড বেড়েযাচ্ছে, এদিকে দুহাত ভর্ত্তি বাজার। রাস্তার লোকেরা হৈহৈ করে উঠেছে, কিন্তু কোনদিকে তাকাতে বা থামতে পারছিনা, এদিকে দম ফুরিয়ে আসছে।

    পাড়ায় এক বিপুলবপু কমলাচুলের ডাক্তার ছিলেন, তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট রেখেছিলেন এক ইঞ্জেকশনপটু তরুণীকে। ফলে অসুখ যত সামান্যই হোক ,ওনার কাছে গেলেই অন্তত ৫ টি ছুঁচ অবধারিত। মহল্লার সকলেই এটি জেনে যাওয়াতে রুগীপত্র বিশেষ হত না, যদিও চেম্বার রোব্বারেও খোলা থাকত। ডাক্তার আর সুঁইকুমারী রাস্তায় দাঁড়িয়ে লোকজন দেখে সময় কাটাতেন।

    সেদিনো দুজনে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়েছিলেন - চোখে পড়তেই কেউ কিছু বোঝার আগেই অর্পিতা একহাতে আমাকে টেনে নিয়ে ফুটবল খেলার কায়দায় দুজনের মাঝখান দিয়ে গলেগিয়ে চেম্বারে ঢুকে ধড়াম করে দরজা বন্ধ করে দিল। ডাক্তার আর সুঁইকুমারী বাইরে রয়ে গেলেন।

    সংসার করিয়ে গিন্নীরা যেখানে যে অবস্থায় যত প্যাঁচের মধ্যেই থাকুক তাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ঐ সাংসারিক ডিউটির ছবিটি (ঠাকুরও মনে হয় এইধরনের কিছু বলেছিলেন।)

    বাইরে ডাক্তার - সুঁইকুমারীর গগনভেদী আর্ত্তনাদ, লোকজনের হৈচৈ, পুলিশ পুলিশ রব - চেম্বারে প্রথমেই নজরে পড়ল ডাক্তারবাবুর ফোনটি - ততক্ষণে আমরা নিজেদের মধ্যে ফিরে এসেচি, এ দরজা ভেঙে ঢোকার ক্ষমতা গরুর হবে না। অকম্পিত হাতে ফোন তুলে বাড়ীতে ফোন করে বলেদিলুম,বাচ্চাদের নিয়ে আসতে। কর্ত্তা সামান্য প্রতিবাদ করছিলেন, তোমরা কোথায় আছ? আমি তো ঠিক চিনি না ক্যারাটে ম্যাডামের বাড়ী এইসব। তার উত্তরে জানিয়ে দিলাম যে আমাদের গরু তাড়া করেছে, বাড়ী ফেরার কোন নিশ্চয়তা নেই। ফিরতে না পারলে সবুজ ব্যাগে ব্যাংকের বই ও টাকা রাখা আছে।

    বাইরের ডাক্তারের চ্যাঁচামেচি ক্রমেই ভয়ানক রূপ নিচ্ছিল, যেন আমরা ওনার সব ওষুধ ইত্যাদি খেয়ে নেব, শরণাগতকে আশ্রয় দেবার কনসেপ্টই আর নাই। কিন্তু বেরোবার সাহসও ঠিক পাচ্ছিলাম না। হেনকালে কাকে দেখে যেন ডাক্তার প্রায় কেঁদে ফেল্লেন, "দেখিয়ে না,দো বংগালী ছোকরী মেরা চেম্বারকা সত্যনাশ কর দিয়া, হাউমাউ হাউমাউ, পেশেন্ট ওয়াপসি চলা গিয়া (১০০% মিথ্যে কথা)।"

    - "বংগালী ছোকরী?" ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বর্মন জেঠুর গভীর বিস্মিত প্রশ্ন শোনা গেল।

    জেঠুর আওয়াজ পেয়ে গুটি গুটি দুজনে বেরোলাম,কিন্তু আমাদের দেখেই তিনি মহারাগে ফেটে পড়লেন।

    - "দেখা আপলোগোনে? আজকালকা বচ্চোঁ - কোই দায়িত্বজ্ঞান নেহী। এগারো বজে রিহার্সাল আর ইয়ে দোনো ইধার ঘাপটি মারকে বৈঠা হ্যায় !!!!"

    এত্ত লোকজন, অপমানের একশেষ।

    তবে শেষ কথা বলল ফলওয়ালা - "গায় তো উহাঁপরই ব্যয়ঠা থা। আপলোগ বেকারমে ভাগী"।

    জেঠুর সঙ্গে পায়ে পায়ে হেঁটে দুজনে ক্লাব ঘরের দিকে রওনা দিলুম। একটু গিয়েই সেই ভয়ংকর গরুকে দেখা গেল , চোখ বন্ধ করে ড্রাগনের মত নিশ্বাস ফেলচে, পিঠে নীল ওড়নার চুমকিতে রোদ পড়ে ঝিলমিল করচে।

    ক্লাবে পৌঁছেই অবশ্য আবার হাড্ডাহাড্ডি ঝগড়া শুরু হয়ে গেল । একটা রক্তারক্তি হয় দেখে জেঠু থামিয়ে দিয়ে বল্লেন যে টসে যে জিতবে তাকেই গান্ধারী সাজতে হবে।

    ক্লাবে উপস্থিত জনতাও ততক্ষণে দুদলে ভাগ হয়ে গেছে। তবে ব্যাপারটা একটু গোলমেলে। যারা অর্পিতাকে গান্ধারী সাজাতে চায় অমি তাদের সাপোর্টার। এবং ভাইসি ভার্সা।

    টানটান শ্বাসরোধকারী উত্তেজনার মধ্যে জেঠু টস করলেন

    ঢিংকাচিকা ঢিংকাচিকা ঢিংকাচিকা

    অর্পিতা জিতেছে, মানে ওকেই গান্ধারী করতে হবে- এ- এ।

    কিন্তু বিধি বাম। জেঠু ফতোয়া দিলেন আমাকেও নাকি রোজ রিহার্সালে যেতে হবে।

    পরের রোব্বার সকাল দশটা থেকে রিহার্সাল।

    দেখতে দেখতে পরের রোব্বার এসে পড়ল। কিশোরীরা করবে চিত্রাঙ্গদা। গান্ধারীর আবেদনে শেষ দৃশ্যে যুধিষ্ঠির ৪ ভাই ও দ্রৌপদীকে নিয়ে বিরস বদনে এসে দাঁড়াবেন। ৫ জনের মুখে কথাটি নেই,হেঁটমুন্ডে দাইড়ে থাকা ছাড়া কোন কাজও নেই, স্বভাবতই ঐ ৫ ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। জেঠু তাই ভেবেচিন্তে চিত্রাঙ্গদার অর্জুনকেই বলেন একটু গোঁপটোপ লাগিয়ে যুধিষ্ঠিরের অনুগামী হতে , অর্জুন তো অর্জুনই থাকচে। ঐদিকের মদনকেও বোধহয় নকুল বা সহদেব সাজানোর ইচ্ছে ছিল, তার আগেই এই পরিকল্পনা জানতে পেরে অর্জুনের মা (বিশ্বভারতী) জেঠুকে ফোন করে দেড় ঘন্টা ধরে এক বক্তৃতা দেন যা শোনার পর জেঠুর শরীর ও ব্যক্তিত্বের ওজন যথাক্রমে ২৫ ও ৪০ শতাংশ কমে যায়।

    ভীম, অর্জুন(গা আ), নকুল ও সহদেব পাওয়া যায় নি। প্রতিহারীও না।

    ক্লাবের এই সংকটে অবশ্য আমি দ্রৌপদী করতে চেয়েছিলাম, হাজার হোক কত্তব্য বলে একটা কথা আছে। কিন্তু একেতো যুধিষ্ঠির আমার চেয়ে বেঁটে হয়ে যাচ্ছে তাছাড়া গান্ধারী বল্ল আমকে দেখলে তার বিছুটি দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। "ভূলুন্ঠিত স্বর্ণলতা হে বৎসে আমার,একবার তোলো মুখ,বাক্য মোর করো অবধান"- এত ভাল ভাল কথা বলা জাস্ট সম্ভব না।

    জেঠু নিজেই প্রতিহারী কর্বেন বলছেন - এই শুনে ধৃতরাষ্ট্র অবশ্য প্রবল উৎসাহে লাফিয়ে এসেছিল "জেঠু আপনি বরম ধৃতরাষ্ট্র করুন ,আমি প্রতিহারীটা দেখি"।

    - "অ,আমি চক্ষু বুজে বসে থাকলে তোমাদের সামলাবে কে?"

    - "না,আপনি সিনিয়র মানুষ ,ঐটুকু পার্ট করবেন,কেমন একটা লাগে"

    - "যে পারে সে একলাইনেই পারে,বুঝলে হে ছোকরা"---

    "প্রতিহারীঃ মহারাজ , মহিষী গান্ধারী দর্শনপ্রার্থিনী পদে।"
    ধৃতরাষ্ট্রঃ রহিনু তাঁহারি প্রতীক্ষায়।"

    ইকি, তুমি অমন হাসি হাসি মুখ করে বসলে ক্যানো? দুর্যোধন এতক্ষণ ধরে এত ভালোমন্দ শুনিয়েছে, এখন আবার মহারাণী এসে কী বলেন তার ঠিক নাই, এই কি তোমার অমন প্রসন্ন হওয়ার সময়?

    আবার হোক।

    "মহারাজ, মহিষী গান্ধারী দর্শনপ্রার্থিনী" ইত্যাদি।

    ওঃহো ,তাই বলে অমন মুখ পেঁচকে গালে হাত দিয়ে বসতে হবে? গান্ধারী তোমায় মারতে তো আসছে না-

    প্রচুর তোড়জোড় করে প্রথম দিনের রিহার্সাল শুরু হয়েচে। জ্যেঠুর পড়ার ও জেঠিমার গোঁসাঘর পুজোর আগে হয়ে গেছে ক্লাবের রিহার্সালরুম। আর জেঠুর রোদে বসে দাড়িকামানোর তিনঠেঙ্গে টুলটিতে আপাতত ধৃতরাষ্ট্র যথাসম্ভব রাজকীয় মর্যাদায় সাবধানে ভারসাম্য রেখে বসে আছেন। দুর্যোধন ও যুধিষ্ঠিরকে জেঠু কোন কাজে পাঠিয়েছেন, অগত্যা মাঝখান থেকে রিহার্সাল শুরু হচ্চে। কিন্তু বারবার এমন বাগড়া পড়াতে মহারাজের ধৈর্য্য থাকে না।

    "কেমন করে বসব দেখিয়ে দিন তবে নয়তো অন্য কাউকে দেখুন,আমার দ্বারা হবে না-"

    "হ্যাঁ,এই তোমাদের এক হয়েছে,কথায় কথায় রাগ আর অভিমান। কোন কুক্ষণে যে আমি নাটকে হাত দিয়েছিলাম। পান থেকে চুনটি খসেচে কি খসেনি অমনি হুমকি দিচ্চেন বাবুরা-"

    জেঠুর কথা শেষ হওয়ার আগেই হাঁপাতে হাঁপাতে যুধিষ্ঠির এসে স্টেজে মানে সতরঞ্চির এরিয়ায় ঢুকে পড়ে, কিন্তু, তার পেছনে দুর্যোধনকে দেখা যায় না।

    "একি, তুমি আবার এখন ঢুকছ কেন? তোমার এন্ট্রি তো সেই শেষকালে, কোন কুক্ষণে যে আমি"

    "পাড়ার সব দোকানে ছোলেপুরী শেষ" কাঁদোকাঁদো মুখে ধর্মরাজ জানান।

    জেঠিমা আঁতকে ওঠেন,"সে কী কথা রে। এতগুলো মানুষ এখন খাবে কী? জয়ন্তী বরং ময়দা মেখে দিক, আমি আলুচ্চ্চড়ি বসিয়ে দিই।"

    "ও ময়দা মাখলে আমি লুচি খাব না বলে দিচ্ছি" অর্পিতার ঘোষণা শোনা যায়।

    "ধুত্তেরি দুলাইন রিহার্সাল এগোলো না ,আলুচচ্চড়ির ব্যাবস্থা হচ্চে-" জেঠু এবার সিরিয়াসলি রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন, আর সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিতে রঙ্গমঞ্চে প্রবেশ করেন পারঙ্গমা সেন, অর্থাৎ চিত্রাঙ্গদার পরিচালিকা।

    "কী,কেমন এগোচ্ছে আপনাদের মহড়া? আমার মেয়েরা তো অর্ধেকের বেশী নাচ তুলে ফেলেছে। সুরূপার এক্সপ্রেশন দেখলে অবাক হয়ে যাবেন। দর্শক এই মেয়েকে ভুলতে পারবেনা, জানেন, আমিই অবাক হয়ে যাচ্ছি, কেমন করে ঐটুকু মেয়ে ভূমিকাটি এত আত্মস্থ করে ফেল্ল, আশ্চর্য!!"

    মিসেস সেনের চমৎকার ভাব এসে গেছিল আরও অনেকক্ষণ বলে যেতে পারতেন, কিন্তু তাঁকে কনুইএর গুঁতোয় প্রায় ঠেলে ফেলে দিয়ে ছোলে পুরীর গন্ধে পাড়া আমোদিত করে এবার ঢুকে আসে হতক্লান্ত দুর্যোধন।

    "ওঃ, সে-এ-ই রাজৌরী গার্ডেন থেকে ছোলে নিয়ে এলাম জেঠু। আর পাড়ায় ঢুকেচি কি ঢুকিনি, আমার বাইকটি দেহ রাখল। একহাতে বাইক ঠেলচি অন্যহাতে এই রাবণের গুষ্টির খাবার, ভাবা যায়? আমি একটু শোবো এখন, সরুন দেখি সব, দাঁড়ান প্যান্টটা খুলি-"

    একি একি প্যান্ট খোলে কেন, ও জেঠু রোদ লেগে গেছে বোধহয়, এই মল্লিকা একটা ঠান্ডা জলের বোতল আন না, একি প্যান্ট খুলচ কেন, মেয়েরা রয়েচে, কোন কুক্ষণে যে আমি, আরে, কথা শোনে না দেখো, এই মেয়েরা চোখ বোজো সব, চোখ বোজো বলচি -

    সকলের চক্ষু মুদ্রিত করণ ও ৩০ সেকেন্ডের সূচীভেদ্য অসহনীয় নীরবতার পর রান্নাঘর ফেরত জেঠিমার বিস্মিত প্রশ্ন শোনা গেল, "এ কি, তোমরা সব চোখ বুজে রয়েচ কেন? আর এই অভিষেক, পাজামা পরে শুয়ে আছ কেন?"

    পাজামা? সকলের ধড়ে প্রাণ ফিরে আসে।

    "একটা কাজ কর্তে গিয়ে গলদঘর্ম, আবার ভিরকুটি করে প্যান্টের নীচে পাজামা পরে আসা হয়েচে!! কোন কুক্ষণে যে আমি---"
  • Abhyu | 109.172.117.178 | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ২৩:০৮647609
  • আর হবে না?
  • Abhyu | 85.137.13.34 | ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:৪৬647610
  • ও কুমুদি
  • Abhyu | 111.63.127.105 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:১২647611
  • নববর্ষে একটু আপডেট?
  • Abhyu | 125.253.132.200 | ০২ জানুয়ারি ২০১৫ ১৮:০৯647612
  • তুলে দিলাম।
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ৩১ মার্চ ২০১৫ ০৩:৪৯647613
  • এইটা তুলে দিলাম। কুমুদি একটু লেখেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন