এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কমিউনিস্ট রাশিয়া তে একচুয়ালি কী হত ?

    একক
    অন্যান্য | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ২৫৬০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এমেম | 69.93.200.13 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:৩২626953
  • দ, কাঁথার স্তুপ মায়েরা ইস্ত্রি করবে সেটা তো দেখলাম। খারাপ লাগলো না। বাবার কথা মনে পড়ল। আমার ছেলের যাবতীয় কাপড়জামা বিছানাপত্র আমার বাবা ইস্ত্রি করতেন। আষাঢ় মাসের বাচ্চা আর বাড়িটাও বেশ ছোট ছিল, কাপড় মেলবার বারান্দা ছিল না।
  • hu | 188.91.253.21 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:৩৪626955
  • সাবানের গল্পটা বড় ভালো লাগল ঃ-)

    এসেছি যখন একটা লেটেস্ট কনভার্সেশন লিখে যাই। এরা কথায় কথায় বলে - আফটার আওয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্স ... সেদিন আর থাকতে না পেরে শুধোলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্স কি রকম? সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে বুঝি, তোমরা ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসেছ, কিন্তু পরাধীনটা ছিলে কবে? তাতে সেই মেয়ে বলে, পরাধীন নই? তবে কেন আমাদের ওপর জোর করে রাশিয়ান চাপিয়ে দেওয়া হল? কেন আমার মা-ঠাকুমা বাসের মধ্যে কাজখে কথা বললে তাদের শুনতে হত পাবলিক স্পেসে হিউম্যান ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বল? সেসব শুনে আমি বললাম, তাহলে মনে হয় আমরা সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্পর্কে বাইরে থেকে যেসব ভালো ভালো কথা শুনতাম সেসব সত্যি নয়। তখন সে বলে, সেটা ঠিক নয়, কিছুই যে ভালো ছিল না তা তো নয়। পার্সোনাল সম্পত্তি বলে কিছু ছিল না, আবার সব কিছুতেই সবার অধিকার। লোকে তাই সব কিছুর যত্ন নিত। বাসের গায়ে, স্টেশনে একটা আঁচড় নেই, রাস্তা ঝকঝক করছে। আমার তখন সে-র কথা মনে পড়ছে। ভাবছি সে-কে বলব এটা নিয়ে লিখতে। তবে এখন লিখতে বসে ভাবছি, এখনও কিন্তু এদের দেশটা বেশ পরিস্কারই আছে। কে জানে সে আমলে হয়তো আরো ভালো ছিল!
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:৩৪626954
  • আষাঢ় মাসের বাচ্চা! কী মিল, কী মিল!
  • | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:৩৫626956
  • আচ্ছা আচ্ছা থ্যাঙ্কুস
  • এমেম | 69.93.200.13 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:৩৭626957
  • কাঁথা আর ওয়াশেবল ডায়পারও হোমমেড হত তখন। সেসব বাবাই সেলাই করেছিলেন পায়ে চালানো মেশিনে।
  • এমেম | 69.93.200.13 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:৩৮626958
  • সে :)
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:৫৭626959
  • নাগরিকত্ব হারানোর দুটো কেস মনে পড়ছে। দ্বিতীয়টা ম্যাদামারা, কিন্তু প্রথমটা রোমাঞ্চকর।
    ভেবে বসবার কোনো স্কোপ নেই যে কারোকে দেশ থেকে ঘাড় ধরে তাড়ানোর জন্যে মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলে উল্টো গাধায় পিঠে চড়িয়ে নাগরিকত্ব হরণ।
    এ হচ্ছে মাস নাগরিকত্ব হরণের ব্যাপার। সেই ১৯৯১ এ দেশগুলো ভেঙে যাওয়ায় যা হয়েছিলো।
    যে কথা বলছিলাম। ১৯৯৬ এর জানুয়ারীতে পশ্চিমবঙ্গে একটা অস্ত্রপাচার উৎপাত হয়েছিলো। ঘটনাটার নাম পুরুলিয়া আর্ম্‌স্‌ ড্রপ কেস।
    সংক্ষেপে ব্যাপারটা এইরকম, যে ১৯৯৬ র কোনো এক রাতে একটা ভাড়া করা বিমানে ব্রিটিশ অস্ত্রপাচারকারী যার নাম কিনা কিম ডেভি (আরো অনেক নাম আছে তার, কোনটা আসল কোনটা নকল তা বিতর্কিত) পুরুলিয়ায় আনন্দমার্গীদের অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে ভুল জায়গায় অস্ত্র ফেলে দেয়। সম্ভবতঃ স্থানীয় লোকেরা সেই শীতের রাতে আগুন ফাগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছিলো, সেটা বিমান থেকে দেখে সেই কিম্‌ ডেভি মনে করে যে ওটাই আনন্দমার্গীদের সিগ্‌নাল, ওখানেই অস্ত্রগুলো ফেলে দেয়া যাক। পাইলটদের (মোট চারজন পাইলট, সকলেই রাশিয়ান) যে জোর করতে থাকে মাল অফলোড করতে। অন গান পয়েন্ট। অস্ত্র অফলোড হলে পাইলটেরা ঘাবড়ে যায় এবং চেষ্টা করে ব্যাপারটা পুলিশকে জানাতে। পারে না। দমদমে ফ্লাইট নিয়ে আসে, ল্যান্ড করতেই কিম ডেভি জাস্ট নির্বিকারে হেঁটে বেরিয়ে ভিড়ে মিশে যায়, ওদিকে পাইলটের পোশাক পরা চারজনে অ্যারেস্টেড হয় তৎক্ষণাৎ, কারণ পুরুলিয়ায় তখন হৈ চৈ পড়ে গেছে আকাশ থেকে এত অস্ত্র পড়তে দেখে।
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:১৫626960
  • খবরের কাগজে খুব্যাক্টা ডিটেলে খবর দেয় নি, এবং আমি প্রথম জানতে পারি মার্চের গোড়ায়। দেশে তখন জাস্ট ফিরেছি এবং সেই সময়ে আমার অ্যাড্রেস প্রায় রোজ রোজই পাল্টাত।
    যদ্দূর মনে পড়ে মার্চের গোড়ার দিকে, দ্বিতীয় সপ্তাহে (বোধহয় দোলের ঠিক পরপর ই, ছ তারিখ দোল ছিলো কি?), সাত কিংবা আটুই মার্চ নাগাদ একটা উপার্জ্জনের স্কোপ পেলাম। টেম্পোরারি, কিন্তু ইজি মানি। সেটা এইরকম।
    ঐ পাইলটদের মধ্যে যিনি প্রধান ( নাম আকেসান্দার ক্লিশিন) তাঁর বৌ (ওল্‌গা ক্লিশিনা) লাতৎভিয়া থেকে উড়ে চলে এসেছেন কলকাতায় - স্বামীকে বাঁচাতে। ওল্‌গা একটিমাত্র ভাষা জানেন - রাশিয়ান। তাই দোভাষী খুঁজছেন। বাংলা-রাশিয়ান, রাশিয়ান-বাংলা। সিন্‌খ্রোনাস্‌ ইন্টারপ্রেটার। থেমে থেমে ভেবে ভেবে বললে চলবে না, সঙ্গে করে ঘুরতে হবে, সময় খুব কম। কাজটা আমি নিয়ে নিলাম।
    হ্যাঁ এইমাত্র ক্যালেন্ডার দেখলাম। সেদিন ছিলো সাতুই মার্চ - বেষ্পতিবার।
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:১৬626961
  • আলেকসান্দার* ক্লিশিন
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:১৭626963
  • লাৎভিয়া*
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:২৯626964
  • আমার ঘন্টা প্রতি রেট ঠিক করে নিলাম, যদ্দূর মনে পড়ে ঘন্টায় ৭৫ বা ১০০ টাকা।
    কুইন্‌স্‌ ম্যানশনের বেঙ্গল চেম্বার অফ্‌ কমার্সের গেস্ট হাউসে গিয়ে উপস্থিত হলাম সকাল নটা দশটা নাগাদ। ওল্‌গা সেখানেই ছিলেন।
    একা। উপেক্ষিত। ঘৃণার চোখে তাকে দেখছে সকলে। দেখে মনে হয় মধ্য চল্লিশ।
    প্রথমে আমাদের গতব্য কিরণশঙ্কর রায় রোড, হাইকোর্টের কাছেই উকিলপাড়া। ক্রিমিনাল লইয়ার খুঁজতে হবে। অদ্ভুত ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতা।
    রাস্তাটা নোংরা। ঘিঞ্জি। তারই মধ্যে খুঁজতে হলো উকিলের ঠিকানা। বাক্সের মতো ঘর, চেম্বার। এসি। উকিল কথা বলতে নিলেন ৩৫০০টাকা, মাত্র দশ পনেরো মিনিট। তারই মধ্যে ওল্‌গাকে চোখ দিয়ে চাটা চললো। নানান মন্তব্য। সেসব আমি অনুবাদ করে দিইনি ওল্‌গাকে। ওর থেকে টাকা নিয়েছি, কিন্তু সব কথা অনুবাদ করে দিইনি।
    উকিলের অফিসে এরকমও শুনেছি - ওর স্বামী জেল খাটুক না, ওর চিন্তা কি, এখানেই জুটে যাবে কেউ।
    ওকে পয়সা নিয়ে এত চিন্তা করতে বারণ করে দিন, এখনো যা চেহারা আছে, ভালোই কামিয়ে নেবে।
    হ্যাঁ এইভাবেই ওরা বলছিলো সেদিন।
    ওল্‌গা আমার দিকে সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলো অনুবাদের আশায়; আমি মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছিলাম তাকে। মিথ্যে অনুবাদ।
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:৪২626965
  • ওখান থেকে কিছু পয়েন্ট কাগজে লিখে নিই, কারণ এরপরে আমাদের অজান্তেই তো টিকটিকি ঘুরবে আমাদের পেছন পেছন। দুপুর দুপুর পৌঁছে গেছি প্রেসিডেন্সী জেল। আলেকসান্দার ও তার বাকি চারজন সহকর্মী সেখানেই রয়েছেন।
    এদিকে রিগায় ওদের বড়ো মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক হয়ে রয়েছে। সামনেই বিয়ে - এই মার্চেই।
    ওলগা বলে চলে, টাকা ধার করে সে এসেছে। বাকি তিনজন সহকর্মীর বৌয়েরা টাকা তুলেছে ধারধোর করে, এদেশে আসবার টিকিট, ভিসা, থাকা খাওয়া ঘোরার খরচ, উকিলের খরচ, সমস্ত এই থেকেই চালাতে হবে।
    ওর থেকে টাকা নিতে আমার ইচ্ছে হয় না, তবু আমি নিরুপায়। মেয়ের বিয়ের জন্যে অল্প কিছু শপিং করতে চায়। সাদা সিল্কের ড্রেস মেটিরিয়াল কিনবে, এমনি ইচ্ছে। ভারতের সিল্ক তো দুনিয়া বিখ্যাত।
    আমি বলি, জেল থেকে ফেরবার পথে সময় থাকলে নিউমার্কেটে নিয়ে যাবো কেমন?
    প্রেসিডেন্সী জেলে বেষ্পতিবার হচ্ছে "দেখা করবার" দিন। বিকেলে। সাইডের গেট দিয়ে ঢুকে সেই ঘাসহীন মাট্জটায় একটা গাছতলায় দাঁড়াই। বড্ড গরম সেদিন। উল্টো দিকে একটা চাতালে অপেক্ষা করবার শেড। তার দেয়াল বেঞ্চি ছাদ সমস্তই সিমেন্টের। দেয়ালে জলের কল। সেই জল ওল্‌গা খেতে পারবে না।
    সময় হলে আমাদের সবার আগে ডেকে নেয় ভেতরে। হাই প্রোফাইল কেস্‌।
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:৪৪626966
  • ঘাসহীন মাঠ*টায়
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:৫৭626967
  • সবার আগে বিপদে পড়ি আমি।
    ১। কেন আমি অনুবাদকের কাজ নিয়েছি?
    ২। কেন একজন দেশদ্রোহীর হয়ে, ইত্যাদি ইত্যাদি...
    ৩। কোথায় থাকি আমি?
    ৪। ভাষা শিখলাম কোথায়?
    এবং সবশেষে "ভেতরের খবর" যেন ওদের দিই।
    ওল্‌গা এসবের কিছুই জানলো না। এই সময়ের সমস্ত খরচ ওকেই দিতে হবে, ওর "ভেতরের খবর" আমি বলে দেবো কর্তৃপক্ষকে - তার খরচ ও ওল্‌গার।

    প্রশগুলোর উত্তর যথাসম্ভব সংক্ষেপে দিই।
    ১ নং প্রশ্নের উত্তর - টাকার জন্যে।
    ২ নং প্রশ্নের উত্তরে জানাই - দেখুন এরা অপরাধ করেছে সেটা কি প্রমান হয়ে গিয়েছে? হয় নি তো এখোনো। আর "দেশদ্রোহী" কথাটা বলবেন না প্লীজ - আমাকে কি আপনার দেশদ্রোহী মনে হচ্ছে? অনুবাদ করাটা পাপ?
    ৩। থাকি বালীতে। তখন প্রশ্ন ৩ক) কোন বালী? উত্তরপাড়া বালী? উত্তর ৩ক) হ্যাঁ।
    তখন প্রশ্নকর্তা ( তিনিই সর্বোচ্য ব্যক্তি) বলেন - আমিও তো উত্তরপাড়ায় থাকি।
    আমি হেসে ফেলি।
    ৪। ভাষার ব্যাপারটা খুব খুব সংক্ষেপে বলি।

    ভেতরে হেঁটে গিয়ে দেখি একটা বড়োসড়ো উঠোনের সাইজের (মাঠ?) জায়গা, সেখানে সব খেলছে, ঘুরছে, কথা বলছে। পাশের সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসেন ওঁরা চারজনে, তখনো পাইলটের পোষাক।
    সবাই মিলে সেই সামনের বড়ো ঘরটায়, সেই অফিস ঘরটায় বড়ো টেবিলের পাশে চেয়ার নিয়ে বসি।
    এখন তো ওল্‌গা কথা বলবে তার স্বামীর সঙ্গে, এখন তো আমার অনুবাদের কাজ থাকতেই পারে না।
    তবু থাকে।
    আমায় বাধ্য করা হয়। ওরা কী বলছে বলুন, কান পেতে শুনে বলুন।
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৫:১১626968
  • ওরা হাঁ করে চেয়ে থাকে আমার মুখের দিকে। ওল্‌গা আলেকসান্দারের দিকে না তাকিয়ে আমি ওদের বলে যাই বাংলায়, যা শুনছি।
    ওরা তো সংসারের কথা বলে, মেয়ের বিয়ের কথা, কে কে টাকা দিলো আসতে, কে কে দেয় নি, হবু জামাই কী বলেছে, আলেকসান্দার বলে - আমার কোমরের মাফ সরু হয়ে গেছে, বেল্ট নিয়ে এসো পরেরবার সরু দেখে।
    আমিতো এগুলোই বলে যাচ্ছি ক্রমাগত - বাংলায়।
    একটু ভেবে বলবার ও অবকাশ পাচ্ছি না।
    ওরা অধৈর্য হয় - অস্ত্র পাচারের কথা বলছে না? ওদের দলের পালের গোদা টা কোথায় গেল বলছে না?
    কিম্‌ ডেভির ব্যাপারে আলেকসান্দার সত্যিই কিছু জানে না। সে পুরোপুরি প্রতারিত। প্রাইভেট প্লেনের পাইলট হয়েছিলো ভেশি অর্থ উপার্জনের জন্যে। বউয়ের সামনে সে হুহু করে কাঁদে। ফাঁকা চোখে তাকিয়ে থাকে।
    এইসমস্ত অনুবাদ পছন্দ হয় না এদের। এরা তথ্য চায়। আমি তথ্য বানাতে পারি না। যা যা বলে হুবহু অনুবাদ করে দিই।

    সন্ধ্যে প্রায় ঘনাবে এমন সময় বেরিয়ে যাই আমরা, বেরোনোর আগে ওল্‌গা ও আলেকসান্দার চুমু খায়।
    একজন কর্মচারী বলে - এসব এখানে অ্যালাউ করা হয় না, ওদের স্পেশাল ছাড় দেয়া হয়েছে, বুঝলেন?

    ভাবখানা এমন, আমি যেন ওদের পক্ষের লোক।

    সেদিন আর নিউমার্কেটে যাই না, গেস্ট হাউসে ফিরিয়ে দিই ওল্‌গাকে, গুনে গুনে নিই আমার রোজগারের টাকা।
    ফের আসতে হবে পরের দিন সকালে।
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৫:২২626969
  • পরের দিন।
    আরো সব দেখা সাক্ষাৎ। খুব বেশি কাজ নয়। শপিং।
    দিনশেষে টাকা গুনে নিতে নিতে প্রশ্ন করি আচ্ছা তোমাদের দেশ, তোমাদের সাহায্য করে না?
    - দেশ! কোনটা দেশ আমার?
    - কেন লাৎভিয়া? না না, রাসিয়া।
    - রাসিয়া আর দেশ নেই; দেশ ভাগের সময় আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের নাগরিকত্ব।
    - তাহলে লাৎভিয়ার নাগরিক হিসেবে, তারা কি কিছু...
    - লাৎভিয়ার নাগরিক হিসেবে একজন রাশিয়ানের কী অধিকার থাকতে পারে? কিচ্ছু নেই।

    আর কী বলব? একটু বাণী দিই। কাঁদিস না ওল্‌গা। তোর স্বামী নিরপরাধ সেটা জানি। কিন্তু তা প্রমাণ করতে কত সময় যে লেগে যাবে - তবু জানবি সত্যের জয় হবেই।

    ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ওল্‌গা। ব্যাগ গুছোতে হবে তাকে। অসহায় মেয়েটা। একবার ভাবি ওকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি? ওকে তো উকিলরা ঠকিয়ে লুটে নেবে, যা দেখে এলাম। নয়ত ছিঁড়ে খাবে। ও মোটেই নিরাপদ নয় এই শহরে, ওর ফিরে যাওয়াই উচিৎ।
  • ranjan roy | 132.175.176.173 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৫:২৫626970
  • উঃ! আর নিতে পারছি না। মাথা ঘুরছে। কোথায় যেন আমার নিজের-- । যাকগে। বুড়ো হচ্ছি।
  • pi | 24.139.209.3 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৬:৫৪626972
  • কী সব অভিজ্ঞতা ! পড়ছি ..
  • pi | 24.139.209.3 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৬:৫৪626971
  • কী সব অভিজ্ঞতা ! পড়ছি ..
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৭:১৩626975
  • আর তো এই প্রসঙ্গে অভিজ্ঞতা নেই। এরপরে আর দেখা করিনি। জীবিকার তাগিদে তার পরএর দিন থেকেই শুরু হয় আমার মডেলিং এর কাজ, ক্যাট ওয়াক।
    কেবল বার বার মনে হতো আলেকসান্দারদের গিয়ে দেখে আসবো প্রেসিডেন্সী জেলে? ওদের তো দেশের কেউ নেই এখানে আমি ছাড়া। তারপরেই চটক ভাঙতো, কী ভুলভাল ভাবছি। আমার দেশ তো এটা। ওরা বিদেশী।
    ভয়ও পেতাম। স্বার্থপরতার ভয়। কী জানি যদি ওরাই দোষী সাব্যস্ত হয়, তখন আমি বিপদে পড়ে যাবো। কোনোদিনো যাইনি দেখা করতে।
    হাইকোর্টে যখন কেস ওঠে, ওরা চেয়েছিলো ইন্টারপ্রিটেশন করে দিই। আমি পালিয়ে গেছলাম সেসব ঝামেলা থেকে।
    বিনাদোষে দশ বছর জেল খাটে ওরা। ছাড়া পায়। অথচ কিম্‌ ডেভির আজও পাত্তা নেই।
  • byaang | 69.93.211.183 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৭:১৩626974
  • সের লেখাটা পড়লে একটা অজানা আতংক ঘিরে ধরে থাকে অনেকক্ষণ, অনেকক্ষণ।
  • b | 135.20.82.164 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:১৩626976
  • পুরুলিয়া আর্মস ড্রপ হয়েছিলো তো ১৯৯৫ সালে।
    উইকি লিখছেঃ
    Following the intervention of Russian authorities, the Latvian crew (who gained Russian citizenship while in Indian custody) were later pardoned and released in 2000.
    জানি না এটা ঠিক না সত্যি।
  • b | 135.20.82.164 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:১৬626977
  • উপস। মাথা গেছে। *মিথ্যা না সত্যি।
  • sch | 132.160.114.140 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:৩১626978
  • এই লিঙ্কটাও পেলাম
    http://www.thehindu.com/news/national/other-states/purulia-armsdrop-case-witness-found-murdered-in-bihar/article5553058.ece

    এখানে বলছে "The Purulia arms drop case dates back to December 17, 1995, in which sophisticated arms were dropped from an Antonov An-26 aircraft in Purulia district in West Bengal."

    ঠিকই আছে - "সে" জানুয়ারি ১৯৯৬ লিখেছেন

    আর লিখছে "A file picture of Peter Bleach, one of the key accused in the Purulia arms drop case at a press meet after his release on Feb. 4, 2004."
    তো বছর দশেক হচ্ছে প্রায়
  • sch | 132.160.114.140 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:৩৫626979
  • এখানে পুরো জাজমেন্ট আছে
    http://pib.nic.in/newsite/erelease.aspx?relid=71884

    সেটা কিন্তু ২০০০ এ রিলিজ বলছে

    "judgement in this case was pronounced on 2/2/2000 and the convicted accused persons viz. Peter James Gilfran Vol Kalkstein Bleach, Alexander Klichine @Sasha, Igor Moskvitine @Alexandre, Oleg Gaidach, Evgueni Antimenko and Igor Timmerman were sentenced to undergo R.I. for life and to pay a fine of Rs.25000/- each. Later in spite of objection by the prosecuting agency, the then Govt. of India granted presidential pardon to remit the sentences in respect of five Latvians on 22.07.2000 and in respect of Peter Bleach on 04.02.2004.
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ২০:৩৪626980
  • তাহলে ডিসেম্বরই হবে, কারণ আমি জেনেছি মার্চে। সাতুই মার্চ বেস্পতিবার ছিলো এবং তার ১ বা ২ দিন আগে ছিলো দোল - এটা মনে আছে।
    যখন ওরা ছাড়া পায় সেটা ২০০০ নয় কারণ খবরটা টিভিতে দেখি এদেশে, ঐ বছর দশেক বা অল্প কম। তবে আমার নিজের যেটুকু ইন্টার‌্যাকশান সেটুকু গ্যারান্টি সহকারে, ইঃ।
  • jhiki | 149.194.244.11 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ২২:০৯626981
  • সে, অদ্ভুত অভিজ্ঞতা!!

    ৯৬ এর ৯-ই মার্চ কীকরে ভুলি! সেই ব্যাঙ্গালোরে ভারত-পাকিস্তান কোয়ার্টার ফাইনাল!! ৯-ই মার্চ শনিবারই ছিল।
  • jhiki | 149.194.244.11 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ২২:১২626982
  • আর হ্যাঁ, দোল ঠিক তার আগেই ছিল। ৫/৬ তারিখে।
  • এমেম | 69.93.200.13 | ০৩ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৪৪626983
  • ভালো লাগলো গল্প। কিরণশঙ্কর রায় রোড, বাক্সের মতো ঘর, চেম্বার। পাড়াটা চেনা।
  • AS | 125.187.57.238 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৬:৪২626985
  • খুব মিস করেছিলাম এই টা চাগ্রীর গল্পের থেকে লিংক পেয়ে আজ পড়্লাম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন