এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কমিউনিস্ট রাশিয়া তে একচুয়ালি কী হত ?

    একক
    অন্যান্য | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ২৫৬০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • 4z | 152.176.84.188 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ০০:২১627975
  • *জিপি
  • | 127.194.81.219 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ০০:২২627976
  • রঞ্জন দা কানাডা তে স্বাস্থ্য ফ্রি আর এডুকেশন হাই স্কুল অবধি।

    এই দেশ টাকে কি প্রশংসা করবেন? জাস্ট কিউরিয়াস!! ঃ))
  • | 127.194.81.219 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ০০:২৪627977
  • গেলেই তো একটা জেনার‌্যাল ফিজিশিয়ান এর আন্ডারে এনরোল করিয়ে দেত। সেটাই। দোকানের ইন্স্যুরেন্স ছিল তো। কিন্তু সেটা র জন্যে কিনা মনে নেই। বাংলা ভুলে গেছি। ঃ((
  • PM | 122.133.194.9 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ০০:৩৮627978
  • ব, NHS এ বড় অপারেসন-ও ফ্রী। হ্যা, বিদেশীদের জন্য-ও, UK তে চাকরী করলে (ট্যক্স পেয়ার হতে হয় কিনা জানি না ঠিক)।

    তবে ইমার্জেন্সী না হলে ডেট পেতে এখন প্রচুর সময় লাগে। ইমার্জেন্সি হলে সাথে সাথে সাভিস পাওয়া যায়। আমার প্রজেক্টের একজনের বাই-পাস অপারেসন হয়েছিলো। বুকে ব্যাথা রিপোর্ট করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপারেসন হয়। ৪ দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে রিলিজ পায়। ১৫ দিন পরে অফিসে জয়েন করে !!!

    তবে বিদেশীদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা কতদিন থাকবে তা বলা যাচ্ছে না। প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে NHS এর ওপোর চাপ বাড়ছে বলে
  • | 127.194.81.246 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ০০:৪১627979
  • আচ্ছ PM থ্যাঙ্কু।
    আমার ও সেই রকম ই মনে হচ্ছিল। কিন্তু একেবারে নিশ্চিত ছিলাম না।
  • | 127.194.81.246 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ০০:৪২627980
  • পুরোনো কম
  • | 127.194.81.246 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ০০:৪৬627981
  • পুরোনো কমরেড রঞ্জন দা একা লড়ছেন।

    বাকি রা কি কিছুই বলবেন না? কাম অন ।

    ( তুমি ( তোমরা) কি কেবল ই ছবি? ঃ )) )
  • 4z | 152.176.84.188 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ০১:২৭627982
  • নাহ, চুপ করে থাকা আমাদের হবি
  • | 127.194.83.82 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ০৭:১৯627983
  • মানেঃ

    আমরা হলাম পুরোনো কবি
    সময়্মতো চুপ করে থাকা আমাদের হবি? ঃ))
  • | ২৮ মার্চ ২০১৪ ১১:৩৪626930
  • এখানেই দিয়ে রাখি
  • সে | 188.83.87.102 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ১১:৩৯626931
  • কোন দেশে দেশের নাগরিকদের জন্যে শিক্ষা পুরো ফ্রি?
    কোন দেশে দেশের নাগরিকদের জন্যে চিকিৎসা পুরো ফ্রি?
  • /\ | 69.160.210.2 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ১২:০৪626932
  • সোভিয়েত দেশের গল্প...WD
    by WatchDog on Sat, 29/10/2011 - 10:31am
    http://blog.priyo.com/watchdog/2011/10/29/5734.html

    সাল ফাল মনে রাখার ধৈর্য্য কোন কালেই ছিলনা। জীবনের কোন পর্যায়ে এ নিয়ে লেখালেখি করব তার কোন প্ল্যান না থাকায় লিখে রাখার কথাও মনে আসেনি। যে ঘটনার কথা লিখতে যাচ্ছি তার সালটাও মনে নেই। সময়টা তখন ভাঙ্গা গড়ার সময়। ঘটনার ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন কিছু না কিছু ঘটছে। উপর হতে নির্দেশের বাণ বইছে, আর নীচে তা বাস্তবায়ন করতে হিমসিম খাচ্ছে স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ। খবরের জোয়ারে হঠাৎ করেই মস্কো হতে খবর এলো খোদ গর্ভাচেভ আসছেন আমাদের ইউনিভার্সিটিতে। পার্টি প্রধান হওয়ার পর মস্কোর বাইরে এটাই তার প্রথম ভ্রমণ। রবোট টেকনোলজির উপর নতুন একটা ফ্যাকালটি খোলা হবে এবং তা উদ্বোধন করবেন শক্তিশালী সোভিয়েত দেশের প্রেসিডেন্ট ও পার্টির সাধারণ সম্পাদক মিখাইল সের্গেইভিচ গর্ভাচেভ। লিওনিদ ইলিচ ব্রেজেনেভের মৃত্যুর পর সোভিয়েত সাম্রাজ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে এ নিয়ে বাইরে যতটা জল্পনা কল্পনা ছিল ভেতরের মানুষ ছিল ততটাই নির্বিকার। দিন শেষে ৩ রুবেল ১৫ কোপেইকের একটা ভদকা বোতলের সহজলভ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকত কোটি কোটি মানুষ। সাধারণ জনগণের জন্যে রাজনীতি শব্দটা ছিল অনেকটা কালো রাতের, কালো শব্দের, কালো বন্যার মত। দেশটার ইহুদি সম্প্রদায় এ নিয়ে কিছুটা মাথা ঘামাত নিজেদের প্রয়োজনে। শেষ ঠিকানা স্বপ্নের ইসরাইলে পালানোর কায়দা কানুন আবিস্কার করতে গিয়ে রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিত অনেকটা বাধ্যবাধকতা হিসাবে। বাকি কোটি কোটি মানুষের জন্যে রাজনীতি ছিল ওয়ান ম্যান শো; যথাক্রমে ব্রেজনেভ হয়ে কিরিলেংকো, কিরিলেংকো হয়ে আন্দ্রোপভ এবং আন্দ্রোপভ হয়ে গর্ভাচেভ। জোযেফ স্টালিনের আমল হতেই চলে আসছিল এ ঐতিহ্য, যা স্বগৌরবে সমুন্নত রেখে গেছেন নিকিতা ক্রুশ্চেভ। ভদ্‌কা স্টকের ওঠানামাকে ধরা হত দেশটার রাজনৈতিক ব্যারোমিটার হিসাবে। এ ক্ষেত্রে লিওনিদ ইলিচ ব্রেজনেভ ছিলেন সর্বকালের সেরা চ্যাম্পিয়ান। তার আমলে ৪ ঘন্টা লাইন দিয়ে এক কিলো মাংস পাওয়া ছিল অনেকটা এভারেস্ট জয়ের মত, অথচ ভদকার প্রবাহ ছিল নদীর মত। খেটে খাওয়া সোভিয়েত জনগণকে কি করে খুশি রাখা যায় তা ভাল করেই জানা ছিল সর্বহারা একনায়কতন্ত্রের নায়কদের। ভদকা ছিল তার অন্যতম কার্যকরী উপাদান। দশকের পর দশক ধরে চলে আসা এই ধারায় প্রথম ধাক্কাটা আসে গর্ভাচেভের আগমনের সাথে। পেরেস্ত্রইকা আর গ্লাসনস্তের মাধ্যমে মধ্য বয়সী এই নেতা নতুন কিছু বানী পৌছানো শুরু করেন জনগণের দুয়ারে। কলকারখানা, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত, হাসপাতাল জেলখানা সহ গোটা সোভিয়েত জনগণকে বলা হল পার্টি পূজায় বিরতি দিয়ে সমস্যা নিয়ে কথা বলতে। ঘুণে ধরা সোভিয়েত সমাজকে ঢেলে সাজাতে জনগণের অংশগ্রহনের প্রয়োজনীয়তার কথা এই প্রথম উচ্চারিত হয়ে সোভিয়েত দেশে। কথা বলার স্বাধীনতা নামের জিনিসটা কি সোভিয়েত জনগণ প্রায় ভুলে গিয়েছিল, তাই কোত্থেকে এর শুরু হবে তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। এমন একটা প্রেক্ষাপটে খোদ গর্বাচেভের আগমন ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে আমাদের ক্যাম্পাসে।

    সেকশন অফিসার আবুল হোসেনের হাতে নারায়ণ ধরিয়ে অথবা বিভিন্ন কমরেডদের পৃষ্ঠপোষকতায় সোভিয়েত দেশের স্কলারশীপ বাগানোর ট্রাডিশন চালু হতে তখনও বেশ কবছর বাকি। সেরা ছাত্রদের অনেকেই সাড়া দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সোভিয়েত দেশের আমন্ত্রণে এবং ছড়িয়ে পরেছিল রাশিয়া, ইউক্রেন, মোলদাভিয়া,বেলারুশ সহ দেশটার বিভিন্ন রাজ্যে। সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশি ছাত্রদের জ্ঞান ও মেধার দাপট অনুভব করতে সময় নেয়নি সোভিয়েত দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। আজকের দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও বিনায়ক সেন ছিল সেই সোনালী সময়ের প্রতিনিধি। একাডেমিক ফলাফল ও সদ্য স্বাধীন হওয়া বন্ধু প্রতীম দেশের প্রতিনিধি হিসাবে মনে মনে আশা ছিল হয়ত দেখা হবে গর্বাচেভের সাথে। আমার নিজস্ব কিছু কথা ছিল সোভিয়েত সমাজ নিয়ে, অভিযোগ ছিল তিক্ত কিছু অভিজ্ঞতার। হেমন্তের এ সময়টা পাতা ঝরার সময় ইউরোপে। রাতারাতি রং বদলায় প্রকৃতি। আমাদের ক্যাম্পাসের ব্যাপ্তি ছিল তিন তিনটা সাবওয়ে ষ্টেশন জুড়ে। বিশাল আয়তনের এই ক্যাম্পাসকে পাতামুক্ত করার দায়িত্ব ছিল আমাদেরই। বছরের এ সময়টায় কাজটা করতে হত অনেকটা বার্ষিক রুটিন হিসাবে। এ নিয়ে কারও কোন ক্ষোভ ছিলনা। প্রেসিডেন্টের আগমন উপলক্ষে নতুন মাত্রা যোগ হয় বাৎসরিক পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। চারদিকে উৎসবের আমেজ। হাজারও জল্পনা কল্পনা। আগমনের দিন প্রথম তুষারপাত হয় শহরে। পরিচ্ছন্নতার সব প্রচেষ্টা এক লহমায় তলিয়ে যায় বরফের নীচে। গোসল সেরে পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে প্রয়োজনের চাইতে বেশকিছুটা আগে হাজির হই পরিচিত ক্যাম্পাসে। কিন্তু শুরুতেই বিপত্তি। আমরা যারা বিদেশি তাদের সবাইকে বলা হল কেমেস্ট্রি বিল্ডিংয়ে জমা হতে। ৭০টা দেশের প্রায় ২৫০ জন ছাত্র ছাত্রীর অধ্যয়ন আমাদের ইউনিতে। কেমেস্ট্রি বিল্ডিংয়ে জমা হয়ে ভাবলাম হয়ত গর্বাচেভ আলাদাভাবে দেখা করবেন আমাদের সাথে। সবাই আশান্বিত, উদগ্রীব। দশটার ভেতর খবর পাওয়া গেল নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা আগেই এসে গেছেন তিনি। তখনই ঘটল ঘটনাটা। দালানের মূল ফটক আটকে দেয়া হল। আমরা যে রুমটায় জমা হয়েছিলাম তার দরজায় ঝুলানো হল বিশাল এক তালা। আমাদের বন্দী করা হয়েছে। একজন এসে বলে গেল যতক্ষণ গর্বাচেভ ক্যাম্পাসে আছেন কেউ বের হওয়ার চেষ্টা করলে এক কাপড়ে ফেরৎ পাঠানো হবে স্বদেশে। থ হয়ে গেল সবাই। সোভিয়েত সমাজ ব্যবস্থার আসল চেহারা নেংটা হওয়ায় অনেকের মত আমি যে খুব একটা অবাক হয়েছি বলা যাবেনা।

    লিওনিদ ইলিচ ব্রেজনেভকে যেদিন দাফন করার কথা মস্কো হতে এক বড় ভাই এসেছিলেন আমাদের ডরমিটরিতে। হলের বাংলাদেশিরা মিলে আমার রুমে আড্ডা দিচ্ছি। সাথে খাওয়া দাওয়ার বাংলাদেশি আয়োজন। হঠাৎ করে দরজায় অপরিচিত নক। ইউনির যুব কম্যুনিস্ট পার্টির একটা দল ছাত্র রুমে রুমে ঘুরছে। কেন ঘুরছে কেউ জানেনা। আমার রুমে এত ছাত্র দেখে বন্য শুয়োরের মত চীৎকার করে উঠল। এন্টি সোভিয়েত একটিভিটির অভিযোগ আনল। মুখ খুলতে যাব এমন সময় এক লাথিতে ভাতের হাড়িটা উড়িয়ে দিল শূন্যে। বোবা হয়ে শুধু তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিলনা আমাদের। মস্কো হতে বেড়াতে আসা বড় ভাইকে ধরে নিয়ে গেল খাবার টেবিল হতে । একদিন একরাত ষ্টেশনে কাটিয়ে প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থায় তাকে ফিরতে হয় মস্কোতে। কাহিনীর কিছু অংশ শেয়ার করার ইচ্ছা ছিল গর্বাচেভের সাথে। তিনি নিজ হতে এসব জানতে আগ্রহী ছিলেন। নেতার প্রস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর মুক্তি দেওয়া হয় সবাইকে। ততক্ষণে নেতা জেনে গেছেন একটা সুখী সমৃদ্ধ আধুনিক সোভিয়েত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাফল্যের কাহিনী।

    গর্বাচেভের সাথে দেখা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত। তবে তা ছিল ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। নিউ ইয়র্ক শহরের ল্যা গুয়ারডিয়া এয়ারপোর্টে। বস্টন যাচ্ছেন একাকী। ততদিনে ঢাল তলোয়ার ছাড়া নিধিরাম সর্দার বনে গেছেন তিনি। মার্কিন বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে লেকচার দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। না বলা কথার অনেক গুলোই বলে ফেলেছিলাম সেদিন। পালটা মন্তব্য না করে কেবল রুশ ভাষা জ্ঞানের প্রশংসা করে বস্টন গামী প্লেনের যাত্রী হয়েছিলেন এক কালের পরাক্রমশালী এই নেতা।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৮ মার্চ ২০১৪ ১২:২৩626933
  • কিরিলেংকো কে?
  • সে | 188.83.87.102 | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১৬:৫৮626934
  • উত্তেজক মগজ ধিকাই এর স্টোরি
    -----------------------------------
    এতে ঘোড়ার ডিম ও মাংস নেই। রাশিয়ান ভাষা আছে।
    স্টার্ট করছি।
    সেই সময় বাচ্চার অসুখের জন্যে হাসপাতালে রয়েছি দীর্ঘদিন। থাকি ছাড়া পাই, আবার যেতে হয়, এমনি করেই চলছে।
    একেকবার একেক রকমের রুমমেট।
    তো সেবার হয়েছে কি, আমার রুমমেট একটি রাশিয়ান মহিলা - যেমনি দশাসই জাঁদরেল, তেমনি হম্বিতম্বি। শ্রমিক শ্রেণীর।
    কে না জানে যে জেলখানা, হাসপাতাল, অধুনা চ্যাটরুম, রোয়াকের আড্ডা, ইঃ তে জাঁদরেল হম্বিতম্বিওয়ালারাই আপারহ্যান্ড নেয়।
    আমি আন্ডারডগ (লক্ষ্য করুন স্ত্রীলিং করলাম না কিন্তু) হয়েই অস্তিত্বরক্ষা করছিলাম।
    ঘরে দুটি খাট - একটায় তিনি বিরাজ করেন, অন্যটায় আমি কুঁকড়ে সিঁটিয়ে থাকি।
    একটা ওয়াশবেসিন আছে দেয়ালের গায়ে, তার তলার পাইপে ক্ষয় দেখা দিয়েছে বা কিঞ্চিৎ ফেটেছে - তাতে সর্বদা রেগুলার ইন্টারভ্যালে টপ টপ করে জল পড়ে। কোনো পাতা নড়ে না এবং সেই জল যাতে না গড়ায় সেজন্য রয়েছে একটা বালতি। পাশে একটা ন্যাতা - ইন্‌কেস্‌ অসাবধানে জল মেঝেয় গড়িয়ে পড়ে।
    আট দশ ঘন্টা বাদে বাদে বালতিটা বেশ ভরে আসে, তখন জাঁদরেল সেটা নিয়ে হন্‌হন্‌ করে হেঁটে করিডোরের শেষ প্রান্তে গিয়ে টয়লেটে ফেলে আসে। ফিরতে আসতে আসতে মেঝেয় বেশ কিছুটা জল জমে যায়, সেটা আমাকে দিয়ে মোছায়।
    জাঁদরেল কেন জানিনা আমার ওপরে সবসময় চটে থাকে। রাতে ঘুমোতে যাবার আগে আমি বালতিতে জলের শব্দ শুনি, ও চিন্তা করি কখন জাঁদরেল আমার ঘুম ভাঙাবে ও মেঝে মুছতে বলবে। মাঝে মাঝে এমনিতেই আমায় উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ দেয় ও ফোঁশ ফোঁশ করে।
    আমি ইত্যবসরে খোঁজ নিয়েছি হাসপাতালে, অন্য কোনো ঘর আছে কিনা - তারা বলেছে নেই, সব ফুল। আর আমি তো অসুস্থ নই, অসুস্থ আমার বাচ্চা - সে থাকে দূরে নার্সারীতে, বাচ্চাদের চারঘন্টা অন্তর দুধ খাওয়াতে যাই আমরা - মায়েরা। অন্যসময়ে হয় ঘরে থাকি, নয় কাচা কাঁথার স্তুপ পালা করে করে ইস্তিরি করি। এইরকম ই নিয়ম।
    সেদিন দেখলাম জাঁদরেল আরো বেশি রেগে রয়েছে - আবার বালতির জলের শব্দ জানান দিচ্ছে যে তার ভরে উঠতে বেশি দেরি নেই।
    হঠাৎ জাঁদরেল দুম্‌দুম্‌ শব্দ করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল - আমি হুট্‌ করে উঠে ঐ বালতির জল ওয়াশবেসিনে ঢেলে দিলাম। এত তাড়াতাড়ি কাজটা করেছি যে এক দেড়ফোঁটা জলও মেঝেয় পড়বার সুযোগ পায় নি। বালতিটা যেই মেঝেয় পূর্বস্থানে রেখেছি অমনি জাঁদরেল এর প্রবেশ।
    সে প্রথমে আমার দিকে হাঁ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখল। জলভর্তি বালতিটা বয়ে বয়ে করিডোরের শেষ অবধি না নিয়ে গিয়ে কীকরে সেটাকে অফ্‌লোড করেছি তা বুঝতে একটু সময় নিলো। তারপরে রাগে ফেটে পড়ল।
    গতিক সুবিধের নয় দেখে আমি কাঁথা ইস্তিরি করতে চলে গেলাম।
  • ranjan roy | 24.96.50.48 | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১৭:৩১626935
  • দারুণ! চলুক।
    প্রসঙ্গতঃ, যতদূর জানি ডঃ পুণ্যব্রত গুণ আমাদের দেশেও ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেল্থ স্কিম গোছের ব্যব্স্থা ( এই সিস্টেমের মধ্যেও) প্রয়োগ করার পক্ষে।
    ব্রতীন,
    অবশ্যই ক্যানাডার ওয়েলফেয়ার অ্যাপ্রোচের প্রশংসা করব। সব দেশে ফ্রি-হেল্থ ও এডুকেশনের সমর্থন করব। সব দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ও মতপ্রকাশ দমনের বিরোধিতা করব। ডিক্টেটরশিপ অফ প্রোলেতারিয়েত ও ডেমোক্র্যাটিক সেন্ট্রালিজম নামক ঢপের চপের বিরোধিতা করব।
  • এমেম | 69.93.255.83 | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:৫০626936
  • অসাধারণ।
  • কল্লোল | 111.63.161.74 | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ২১:১৯626937
  • সে, মাইরী হাঁ করে থাকতে থাকতে চোয়াল লক হয়ে যাবার জোগাড়। তাপ্পর কি হইলো, বল না বাবা((লক্ষ্য করুন স্ত্রীলিং করলাম না কিন্তু)।
  • সে | 188.83.87.102 | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ২১:৪৬626938
  • কল্লোলদা,
    এরপরে আর কী থাকবে? যা বলবার তাতো বলেই দিলাম - ঐ মগজ ধিকাই মহিলাটি ভারি বালতি বয়ে বয়ে টয়লেট অবধি নিয়ে যেত - অথচ সামনেই ওয়াশবেসিন - সেখানেই যে ঢেলে দেয়া যায় ওর মাথায় খেলে নি।
  • কল্লোল | 125.241.87.57 | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ২২:০৯626939
  • আমি ভাবেছিলাম সে তোমায় খেটে খাওয়ার জ্ঞান বিতরণ করবে বা অমন কিছু।

    আরও গপ্পো চাইইইই.....................
  • সে | 188.83.87.102 | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ২২:৫১626941
  • খেটে খাওয়ার জ্ঞান তেমন মনে পড়ছে না এখন, কিন্তু ঐ সময়েই - বাচ্চা আবারো অসুস্থ, আবার হাসপাতালে ল্যান্ড করেছি - তো সেইসময় একঘরে গোটাদশেক মা। সর্বক্ষণ গল্প গুজব দলবাজি ঝগড়া মনকষাকষি দুশ্চিন্তা এইসব চলে, মাঝরাতে পর্যন্ত আমাদের ঘন্টাবাজিয়ে ডেকে নিয়ে যায় বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে - আমরা একেকজন একেক ব্যাকগ্রাউন্ডের। আমি খুব বেশি মিশতে পারি না, একে সর্বকনিষ্ঠ তায় ছাত্রী - এদের গৃহীজগতের কতরকমের গল্প সমস্যা - সেসব শুনি কিন্তু অনুভব করতে পারি না। তো একদিন এক "মা" এর স্বামী তাকে কিছু জিনিসপত্র দিয়ে গেল - বিস্কুটের প্যাকেট, চায়ের পাতা, একখন্ড কাপড় কাচার সাবান।
    মহিলা ঘরে এসে সেসব বের করছে ও মন্তব্য করে চলেছে - আমরা দেখছি শুনছি।
    কাপড় কাচার সাবানের টুকরোটা একশো দেড়শো গ্রাম মতো হবে (সেই যে দেশে নির্মল বার পাওয়া যেত , সেইরকম কোয়ালিটির)। ঐ সাবানের টুকরোটা হাতে করে নেড়ে চেড়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছে সেই মহিলা ও অসন্তোষে আক্ষেপ করেই চলেছে - একটা গোটা টুকরো? অ্যাঁ! কোনো মানে হয়? একটা আস্ত সাবান এনে দিয়ে গ্যালো? কটা দিন আমি বাড়ী নেই এর মধ্যেই এভাবে অপচয় শুরু হয়ে গেছে! একটা আস্ত টুকরো (ৎসেলি কুসোক)!

    সাবানটা কাছে গিয়ে দেখলাম - মারাত্মক উৎকৃষ্ট কিছু নয়। দোকানে এমন সাবান দেখিনি, কোথা থেকে কিনেছে কে জানে! বড়জোর তিন চার পয়সা দাম হবেও বা। এইটুকুর জন্যে এত আফশোস!

    বেশ কিছু বছর পরে জেনেছিলাম এগুলো ফ্যাক্টরীর সাবান। ফ্যাক্টরীতে যারা কাজ করে, শ্রমিক, ইঃ - তাদের স্নানের জন্যে, কাপড় ধোবার জন্যে সাবান দেয় বিনামূল্যে - তার থেকেই একখন্ড সেই ভদ্রলোক লুকিয়ে বউকে এনে দিয়েছিলো হাসপাতালে।
    ১৯৯০য় মহিলার আফশোসে হাসি পেয়েছিলো, ১৯৯৫য় মহিলার স্বামীকে অসৎ ভেবেছিলাম, আজ ২০১৪য় ঐ মহিলাকে আপন মনে হয়।
  • এমেম | 69.93.255.83 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৩৭626942
  • এই টইটাতে অনেক মারাত্মক মারাত্মক কথা আছে। দুপুরবেলা পড়তে বসে অবাক হয়েছি কী করে এরম লিখবার সাহস পেলেন। ভয়ও পেয়েছি। মনে হয়েছে অনেকে খুব চটে যাবে।
  • s | 182.0.249.87 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০২:২৭626943
  • এই টইটা একদম সব পোস্ত সমেত, আনকাট পাবলিশ করা যায় না?
    তথাকথিত সাহিত্যের বাজারে একটা নতুন আঙ্গিকের লেখা সৃষ্টি হবে। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধের মত এর নাম হয়ত হল 'মিনিময়'।
  • এমেম | 69.93.255.83 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৩২626944
  • সেটা ফেয়ার হবে না। বেশিরভাগই লিখেছেন 'সে'।
  • কল্লোল | 125.242.249.176 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০৫:৫৬626945
  • সে তো বটেই। চটির লেখক হিসাবে সে-এর নামই যাবে। সংযোজন - যারা যারা আরও গপ্পো দিয়েছেন তাদের নাম। আর মন্তব্যে অন্যান্য। বেশ মজার ফর্ম হয় কিন্তু।
    পাই - মামু শুনছিস?
  • এমেম | 69.93.200.13 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১২:৪৩626946
  • একেবারে প্রথম কয়েক পাতা বাদ দিলে এই টইতে কোনও আলোচনা হয় নি সেভাবে। পরে যা যা শুনলাম তাতে করে প্রথম কয়েকপাতা অবান্তর হয়ে গেছিল। উদাহরণ দিতে পারি। কিন্তু সেটা সিলেক্টিভ হয়ে যাবে।
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১২:৪৮626947
  • নাগরিকত্ব হারানোর মুশকিল নিয়ে লিখবো ভাবছি আজ সময় করে। সঙ্গে থাকুন।
  • | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:২৪626949
  • আচ্ছা বাচ্চাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন ছিল? কী ধরণের কেয়ার নিত? পরিস্কর পরিচ্ছন্নতা? খরচাপাতি?

    না না তাড়া নেই, নাগরিকত্ব হারানো নিয়ে লিখে নিন, পরে সময় করে লিখবেনখন।
  • এমেম | 69.93.200.13 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:২৪626948
  • জনগনের (সকলের) সুস্বাস্থ্য দেখার দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের। নরডিক মডেলেও তাই। (নর্ডিক মডেল হল হাই ট্যাক্স, হাই এক্সপেন্ডিচার, শিক্ষা স্বাস্থ্য সর্বসাধারণের জন্য ফ্রীতে।) কেভেদে অথবা ইকুইভ্যালেন্ট জায়গায় গিয়ে "টেস্ট" করানো, টেস্ট কীরকম হবে, কত ভয়ঙ্কর, ইত্যাদি ভয় দেখানো, এগুলো কি স্বাস্থ্য-ফ্রি মডেলের অন্তর্ভুক্ত?
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:২৮626950
  • অ্যাবসোলিউটলি ফ্রী। কেভেদে ও ফ্রী। তবে এখন শুধু নাগরিকদের জন্যে এই ব্যবস্থা। বিদেশীরা এসে এই সুবিধে ভোগ করতে পারবে না। আমি থাকাকালীন অনেক ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাপ মা কে দেশ থেকে এনে চোখের অপারেশন, ছানি কাটিয়ে চোখের মধ্যে লেন্স বসানো আদি যাবতীয়, পেটের অপারেশান, থরো হেল্‌থ্‌ চেক, বোন বা দিদির ইন্‌ফার্টালিটির চিকিৎসা অপারেশন, সমস্ত বিনামূল্যে করিয়ে নিয়ে গেছে। আঁখো দেখি।
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:২৯626952
  • বাচ্চাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাটা ভালো করেই জানি। আমার খুব পছন্দ। সমস্ত ফ্রী বলছি যে। খরচ জিরো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন