এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কমিউনিস্ট রাশিয়া তে একচুয়ালি কী হত ?

    একক
    অন্যান্য | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ২৫৫০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 203.108.233.65 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৬:২৬627842
  • সমস্ত সমস্যার কথা খুব সিরিয়াসভাবে শুনলেন দাভ্রান আকা। অনেক সময় নিয়ে নিয়ে, ঠিক গুছিয়ে বলতে পারছিলো না সেই ছেলেটা। সব শুনে, তার নাম ও অন্যান্য দরকারী তথ্য টুকে রাখলেন কাগজে। বললেন ছেলেটিকে পরে এসে খবর নিতে।
    কিন্তু সে ছেলে ছিলো বড্ড অধৈর্য্য। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে উশ্‌খুস্‌ করতে লাগলো, তার এক্ষুনি একটা ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তর সইছে না। সাতদিনের মাথায় অন্য কয়েক ভারতীয়ের পরামর্শে সে চলে গেলো রাশিয়া। খবরটা আমায় দেয় নি। ডিসেম্বরের দিকে জানলাম সে চলে গেছে তুলা-য়। সেখানে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে।
    দাভ্রান কি তবে পারবে না জনিয়ে দিয়েছিলো তাকে? কই আমাকে তো কিছুই জানিয়ে গেল না এব্যাপারে।
    ভাবলাম ভদ্রলোককে জানিয়ে দেওয়াটা আমার কর্তব্য যে সে ছেলে আর নেই, চলে গেছে।
    ফের গেলাম সেই অফিসে। ভদ্রলোক বললেন ব্যবস্থা তিনি করে ফেলেছিলেন - তা সেই ছেলে যা ভালো বুঝেছে তাই করেছে, এটা তার নিজের ব্যাপার।
    আরো জানালেন যে শীতের ছুটিতে ভারতে যাচ্ছেন।
    আমিও যাচ্ছি। অতএব একই ফ্লাইটে যাওয়া ঠিক হলো।
    নির্দিষ্ট সময়ে এয়ারপোর্টে পৌঁছে, একই সঙ্গে চেক্‌ ইন্‌ করবার জন্যে কাস্টম্‌স্‌ পার হতে গিয়ে বুঝলাম একে যতটা নিরীহ দেখায় এ তত নিরীহ নয়।
    সে আমলে বোর্ডিং পাস পাবার আগেই প্রতিটি ব্যাগেজ কাস্‌টম্‌সের কড়া চেকিং পেরোতো। প্রথমে এক্স্‌ রে স্ক্যান্‌, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। তারপরে সুটকেস ও হাতব্যাগ খুলে খুলে পরীক্ষা। সস্ত্রীক দাভ্রান এবং আমার লাগেজের দিকে কেউ ভ্রুক্ষেপও করল না। লাইনেও দাঁড়াতে হলো না। চেকিনের সময় এক্‌সেস্‌ ব্যাগেজের ব্যাপারে নীরব রইল আয়েরোফ্লোতের কাউন্টার। বিনা ঝামেলায় সেই প্রথম ফ্লাইটে চড়ে বসা।
    তার বৌ থার্ড ইয়ার মেডিকেলের ছাত্রী নিগরা-র সেই প্রথম বিদেশযাত্রা। দিল্লীতে নামলাম বেশ করে। বেরোতে বেরোতে রাত গভীর হলো। আমাদের কোনো হোটেলে বুকিং নেই। একটা ট্যাক্সি নিয়ে রাত দেড়টা দুটো নাগাদ পোঁছলাম কন্ট প্লেস। চেনা হোটেল ছিলো। খুবই সাদামাটা। দরজায় টোকা দিতে তারা দরজা খুলে দিলো। রিসেপশনের সোফায় বেঞ্চিতে চাকরবাকরেরা ঘুমোচ্ছে, ঘুম থেকে উঠে ম্যানেজার জানালেন - এক ভি কামরা খালি নেহি।
    একি বিপদ!
    তার মধ্যে নিগরার মুখ ভীষন গম্ভীর। সে তার স্বামীকে এবার ফিস্‌ফিসিয়ে জানালো মাতৃভাষায় - আমার খুব পাইখানা পেয়েছে।
  • সে | 203.108.233.65 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৬:২৮627843
  • দিল্লীতে নামলাম বেশ রাত* করে - টাইপো হয়েছে অনেক
  • ম্যামি | 69.93.210.142 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৬:৩৭627844
  • তারপর?
  • সে | 203.108.233.65 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৬:৪২627845
  • সে হোটেলের নাড়ি নক্ষত্র আমার চেনা। কয়েকটা কমন বাথরুম আছে দোতলার ভেতর বারান্দার দিকটায়। নিগরাকে সেদিকে নিয়ে যেতে যেতে ম্যানেজারকে বললাম, শর্মাজি আজকের রাতটার জন্যে যে করে হোক একটা ব্যবস্থা আপনাকে করতেই হবে।
    মনে মনে ভাবছি একা হলে ভাবনা কম ছিলো, সস্ত্রীক কেজিবিকে নিয়ে একি ভয়ঙ্কর ঝামেলায় পড়লাম!

    শর্মাজি খুব ভালো লোক। একটা স্টোর রুমে জিনিষপত্র সরিয়ে দুটো বেঞ্চির ওপরে নোংরা তোষক ও হাফময়লা চাদর বিছিয়ে দিলেন। আমি সাহায্য করলাম। দুটো কুটকুটে কম্বলে ওয়াড় পরানো হলো। সে যাত্রা মিঞাবিবির সেখানেই রাত্রিবাসের ব্যবস্থা হলো। রিসেপ্‌শনের মেঝেতে ব্যাগেজের স্তুপের ওপরে বসে ঢুলতে ঢুলতে কখন দেখি ভোর হয়ে গিয়েছে।
  • সে | 203.108.233.65 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৬:৪৮627846
  • পরে লিখব। এখন অন্যকাজ রয়েছে।
  • কল্লোল | 125.242.210.65 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৯:১৬627847
  • বাব্বা সে তো সাঘাংতিক(না না বানাম্ভুল নয়) হে। কেজিবির বৌ হাগিয়ে দিলে!!
  • | ০৩ মার্চ ২০১৪ ০৮:৫১627848
  • আজকে আরেকটু পাওয়া যাবে তো?
  • de | 190.149.51.67 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৩:০৬627849
  • সে, খুব ব্যস্ত বুঝি?
  • sch | 126.203.216.9 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৩:২৫627850
  • আচ্ছা কমিউনিজমের সমর্থক্রা এই টইতে নেই কেন? তাদের বক্তব্য জানতে খুব ইচ্ছে করে
  • ম্যামি | 69.93.209.187 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৩:৩৩627852
  • তারা মজা দেখছেন।
  • ম্যামি | 69.93.209.187 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৩:৩৬627853
  • অভিনন্দন sch. আপনার স্পষ্টবাদিতা প্রশংসনীয়।
  • de | 190.149.51.67 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৩:৪০627854
  • আমি তো জানতাম - স্চ নিজেই কমুনিস্ট --
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৩:৫৩627855
  • ঃ))
  • Sibu | 118.23.96.158 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৩:৫৬627856
  • কমিউনিজমের সমর্থকেরা মন দিয়ে শুনছেন। চিন্তা করবেন না, তারা দেখা দেবেন।
  • সে | 203.108.233.65 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৪:১১627857
  • ভোর হতেই গমগম করে ওঠে কনট প্লেস। তবে দশটার আগে দোকানপাট ভালো করে খুলবে না। শর্মাজির ডিউটি শেষ। এসেছেন পরের ডিউটির ম্যানেজার। জানা যায় দুপুর বারোটা নাগাদ ঘর খালি হবে একটা - সেখানে মিঞাবিবির ব্যবস্থা হয়ে যায়। কিন্তু আমায় দৌড়ে পাহাড়গঞ্জে গিয়ে বারোটার মধ্যেই বিকেলের হাওড়াগামী রাজধানীর টিকিট কিনে আনতে হবে এনারাই কোটায়। বারোটায় যে রিজার্ভেশন চার্ট বেরিয়ে যাবে। সস্ত্রীক দাভ্রান আকা আমার সঙ্গে ঘুরে আসেন নিউ দিল্লী রেলওয়ে স্টেশন, নিরুলায় ব্রেকফাস্ট করা হয়। টিকিট কাটা হয়ে গেলে পালিকা বাজারে গিয়ে পছন্দের জিনিস দেখানো ও দাম বুঝিয়ে দেবার পালা। দাভ্রান আকার পরনে ম্যাকিন্টশ্‌ (হায় তখনো জয়েসীয় সাহিত্যের স্বাদ নেওয়া হয় নি), হুবহু অরণ্যদেব যেটা পরে থাকে, কেবল রংটা সোনালী নয় - কালো। সেটার পকেট থেকে ক্যালকুলেটর বের করে তিনি অনবরত করে চলেছেন দামের হিসেব। দোকানদারদের বলে দেওয়া হয় হোটেলের নাম - তারা পরে গিয়ে জিনিস দিয়ে আসবে হোটেলে।
    হোটেলে ফিরে নতুন ম্যানেজারকে বুঝিয়ে দিই যে এঁদের কিছু বেড়ানোর প্ল্যান ও আছে, তাজমহল ও অন্যান্য দ্রষ্টব্য, এঁরা ইংরিজি প্রায় বোঝেনই না। ম্যানেজার পুরো দায়িত্ব নেন। আশ্বাস দেন আমায় - আপনি বেফিকর চলে যান, এঁদের দিল্লী আগ্রা রাউন্ড ট্রিপ করিয়ে দেবো, ঘরে বসেই শপিং হয়ে যাবে, বিস্‌লেরী ছাড়া অন্য কোনো জল দেবো না - আমরা বহু বছর ধরে ফরেন টুরিস্ট সামলাচ্ছি, ল্যাঙ্গুয়েজ নো প্রবলেম।।
  • সে | 203.108.233.65 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৪:৪১627858
  • হপ্তা দুয়েক পরে আমি ফিরি সেই সদ্য ভেঙ্গে যাওয়া সোভিয়েত দেশে। ফিরেই খোঁজ নিই গুলিয়ামভ দম্পতির। দাভ্রান আকা কৃতজ্ঞতায় একেবারে গদোগদো। প্রতিশ্রুতি দেন, কখনো কোনো প্রয়োজনে পড়লে যেন ওঁকে জানাই।

    এরপরে দীর্ঘদিন এঁর সঙ্গে দেখা হয় নি।

    গরমের ছুটির দিকটায় এয়ারপোর্টে কয়েকজন বন্ধুকে সী অফ্‌ করতে গেছি, দেখি এক ঢ্যাঙামতন স্থানীয় যুবক খুব উত্তেজিত হয়ে ঘোরাঘুরি করছে সেখানে। সম্ভবতঃ সে ও সেই ফ্লাইটে দিল্লী যাবে। সে আমাকে এসে শুধোয় আমিও যাচ্ছি কিনা। জানায় সে খুব চিন্তায় পড়েছে - শপিং করতে সস্ত্রীক দিল্লী যাচ্ছে কিন্তু ভাষা জানে না, কিছু চেনেনা তাই খুব টেনশন।
    আমি বললাম - চিন্তার কিছু নেই, এই ফ্লাইটে বেশ কয়েকজনকে জানি যারা তোমায় দিল্লীতে হেল্প করতে পারবে, ঐ দ্যাখো কাচের ভেতর দিয়ে ঐ যে ঐ ছেলেটা হাল্কা নীল জিন্স্‌, ঐযে কালো টিশার্ট লম্বা চুল ওকে গিয়ে বলো। আমায় তো এখন ওদিকে ঢুকতে দেবে না।
    সে বলল, তুমি একটা চিঠি লিখে দাও না ঐ ছেলেটাকে। আমার নাম শাখভ্‌।
    টুক করে একটা চিরকুটে লিখে দিলাম - এই লোকটার নাম শাখভ্‌, একে দিল্লীতে একটু হেল্প করিস তো।
    চিরকুট নিয়ে শাখভ্‌ দৌড়ে কাস্টম্‌স ক্লীয়ার করে চেকইন কাউন্টারে চলে গেল, সঙ্গে তার বৌও দৌড়চ্ছে।
    লম্বা চুলের ছেলেটা ততক্ষণে চোখের আড়ালে চলে গেছে।
    এমন সময় কোথা থেকে দাভ্রান আকা সেখানে উপস্থিত। দেখে তো অবাক হয়ে গেলাম। আবারো যাচ্ছে নাকি দিল্লী?
    এদিকে সেই শাখভ্‌ ইমিগ্রেশনের দিকে যাবার আগে আমাকে হাত নেড়ে গেল, উত্তরে আমিও হাত নাড়লাম।
    দাভ্রান জানালেন, কী একটা কাজে এসেছেন সেখানে, কিন্তু ঐ শাখভ্‌ কেন আমায় হাত নাড়ল?
    - আপনি চেন ওকে?
    - বিলক্ষণ চিনি। ও ছেলে ভালো নয়।
    - ভালো নয় মানে?
    - মানে বিপজ্জনক।
    এই বলে দাভ্রান সেখান থেকে চলে গেলেন।
  • sch | 126.203.216.9 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৪:৪২627859
  • দে- দি আপনার এরকম ভাবনার কারণ একটু জানতে পারি কি? মানে খুব কিউরিওসিটি হচ্ছে

    সে - এর লেখা অসাধারণ - এও লেখাগুলোর লোভেই ল্যা ল্যা করে গুরুতে আসি
  • সে | 203.108.233.65 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৫:৩১627860
  • বিপজ্জনক হোক কি কেজিবি, দিল্লীতে নেমে সকলেরই অবস্থা টাইট হয়ে যায়। ঐ যুবককে দেখে তো সাধারনই মনে হলো, তবে ছাত্র নয় - শ্রমিক শ্রেণীর মনে হয়।
    গরমের ছুটির পরে সেই লম্বাচুল ছেলেটা ফিরে এলে তাকে শাখভের ব্যাপারে জিগ্যেস করি। সেই ছেলে দিল্লীতে গোটা দুতিন দিন ছিলো, শাখভ ও তার বৌ ইনা-র সঙ্গে হেভি দোস্তি হয়ে গেছে। হুড়্‌হুড়্‌ করে তাদের বাড়ীর ঠিকানা দিয়ে দিল। শাখভ্‌ রা নাকি বারবার করে বলে দিয়েছে তাকে ফিরে এসেই দেখা করতে, আমাকেও অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যেতে, এনি টাইম। আমাদের জন্যে তাদের বাড়ীর দরজা সবসময় খোলা।
    লোকটা কীরকম দেখলি?
    খোলা মন
    ডেঞ্জারাস টাইপ?
    বুঝতে পারিনি তো! কেন?
    (বলতে তো পারিনা দাভ্রানের সতর্কবাণী)
    ছাত্রজীবনের হিসেবগুলো অন্যরকম থাকে, সঙ্গে বয়েসের পাগলামি - তাই টাইমের তোয়াক্কা না করে তক্ষুনি শাখভের বাড়ীতে বেড়াতে যাই দুজনে। ট্যাক্সি করে সে বহুৎ দূর। শহরের অন্য প্রান্তে। নতুন নতুন হাইরাইজ তৈরী হয়েছে। ট্যাক্সিওয়ালা জানায়, এগুলো সব ওনারশিপ অ্যাপার্টমেন্ট্‌স্‌। এই প্রথম ফ্ল্যাট কেনাবেচা হচ্ছে এদেশে।
    সাততলায় লিফ্‌ট্‌ থেকে বেরিয়ে রিস্ট্‌ওয়াচের দিকে তাকাই। রাত সাড়ে নটা। সাড়ে নটা আর এমন কি দেরী?
    দরজা খুলেই আমাদের দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে শাখভ্‌ দম্পতি।
    তৎক্ষণাৎ বোতল খোলা হয়। খাওয়া দাওয়া আড্ডা জমে ওঠে। ওদের বছর তিনেকের বাচ্চা ছেলেটা পাশের ঘরে ঘুমোয়।
    শাখভ্‌ কিন্তু লোকটার আসল নাম নয় - ওর নাম হচ্ছে শাহাবুদ্দিন খাইতভ্‌, সেটার শর্ট ফর্ম করেছে শাখভ্‌।
    বৌ ইনা - কোথায় যেন অ্যাকাউন্টেন্টের কাজ করে, শাখভ্‌ চাকরী করে না।
    চাকরী করে না? (হাসি মুখে জিগ্যেস করলেও, মনে মনে ভাবি - সেকি!)
    ইনা বলে - না। শাখভের একটা প্রবলেম হয়েছিলো। তখন অনেক টাকা ধার করতে হয়েছিলো আমাদের। সেই টাকা শোধ করবার জন্যেই ইন্ডিয়া ট্রিপ্‌। যে সব জিনিস এনেছিলাম, সেসব বেচে ধার শোধ হলো, এই অ্যাপার্ট্‌মেন্টের দামও যা বাকি ছিলো সব শোধ হয়ে যাবে। তার পরে শাখভ্‌ হয়ে যাবে ফ্রি ম্যান।
    নেশায় আমরা হো হো করে হাসি। ফ্রি ম্যান, শাখভ্‌ ফ্রি ম্যান্‌। হো হো। হোয়াট্‌ অ্যা জোক্‌! শাখভ্‌ তুমি কোনোদিনো ফ্রি ম্যান হতে পারবে না বাওয়া। তুমি হচ্ছো ম্যারেড ম্যান্‌। হো হো হো। হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ি।
    নাঃ অনেক রাত হয়েছে। এখন উঠতে হবে ফ্রি ম্যান। ট্যাক্সি পাওয়া যাবে এত রাতে?
    গভীর রাতে শহরের সেই প্রান্তে ফাঁকা ফাঁকা হাইরাইজের কবন্ধ। কোথায় ট্যাক্সি?
    একটা প্রাইভেট গাড়ি যায়, তাকে থামিয়ে বুঝিয়ে বাঝিয়ে বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে আমরা ফেরার পথ ধরি।
    গাড়ীর দরজা বন্ধ করবার সময় শাখভ্‌ বারবার করে রিকোয়েস্ট করে সামনের ইউকেন্ডে আবার আসতে। তখন ভালো করে আড্ডা দেওয়া যাবে।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.209.187 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৬:৫৯627861
  • তারপর?
  • ম্যামি | 69.93.209.187 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৭:০২627863
  • এটা হল গিয়ে জুলাই / অগাস্ট ১৯৯২। তাই তো?
  • সে | 203.108.233.65 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৭:৪৯627864
  • ৯২ হতে পারে ৯৩ ও হতে পারে। ভেবে দেখ্লাম, দাভ্রান আকার সঙ্গে দিল্লী যাবার পরে ঐ গ্যাপটা ছ মাস ও হতে পারে বা দেড় বছর। সঠিক মনে করতে পারছি না।
  • ম্যামি | 69.93.209.187 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৮:০৩627865
  • আচ্ছা।
  • সে | 203.108.233.65 | ০৩ মার্চ ২০১৪ ১৮:১৮627866
  • শাখভ্‌ দের সঙ্গে তখন আমার বেশ দোস্তি হয়ে গিয়েছে, আরো কয়েকজনের সঙ্গে এদের আলাপ করিয়ে দিয়েছি। ইনা রাশিয়ান মেয়ে - মনে হয় ঘটে বুদ্ধি রাখে।
    একদিন হঠাৎ সিগারেট ফুরিয়েছে, তাইতে শাখভ্‌ ছটফট করছে যে করে হোক যত রাত্তিরই হোক সিগারেট চাই। দুম্‌ করে বেরিয়ে গেল সিগারেটের খোঁজে।
    ইনা বলল - উঃ, কী বলব! সেই যখন শাখভের সেই প্রবলেম হয়েছিলো, আমি খবর পেয়ে গিয়েছি দেখা করতে, আমাকে দেখেই প্রথম কথা - সিগারেট এনেছিস?
    এই বলে ইনা হেসে গড়িয়ে পড়ল।
    কীরকম "প্রবলেম ", কোথায় "দেখা করতে" গিয়েছিলো - স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে। ইনাও গড়গড়িয়ে বলে গেল, শাখভ্‌ যেবার অ্যারেস্টেড হলো, আহা, বলিনি আগে, সেই যে অনেক টাকা দিয়ে তবে কেস উঠিয়ে নেওয়া হলো, সেই টাকা শোধের জন্যেই তো ইন্ডিয়া গেছলাম জিনিস কিনতে।
    "অ্যারেস্টেড হলো" টা কেমন নির্দ্বিধায় বলে গেল!
    কেন "অ্যারেস্টেড হলো" প্রশ্নটা স্বভাবতঃই মনে জাগে। বোঝাই যাচ্ছে যে মিলিৎসিয়া মোটা টাকা খেয়ে ওকে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু মোটা টাকা ওরা পেল কোত্থেকে? বলল ধার করেছিলো। কে ধার দেবে এত টাকা? মনটা খচ্‌খচ্‌ করে।
    এরপরে আর ওদিকে যাই না।
    কিন্তু শাখভ্‌ এসে উপস্থিত হয় আমাদের ডেরায়। নতুন গাড়ি কিনেছে। ধার শোধ হয়ে গেছে, ফ্ল্যাটের ঋণও নেই, এখন গাড়ি কিনলো। এত টাকা পাচ্ছে কোত্থেকে? অথচ বলে চাকরি করে না। এদিকে হাল ফ্যাশনের সব ব্র্যান্ডেড কাপড়চোপড়, জুতোয় কুমীর, নাকের ওপরে রে ব্যান।
    শাখভ্‌ জোর করে তার গাড়িতে ঘোরায়। সেই তখনই দেখি পেট্রল ফ্রিতে পাওয়া যায় এয়ারপোর্ট এরিয়ায়। দেরি হয়ে গেলেও বুঝি, দাভ্রান "বিপজ্জনক" বলতে ঠিক কী মীন করেছিলো।
    এরপরে শাখভ্‌ কে আমাদের এলাকায় দেখলেই আমি কেটে পড়ি। এমনি কখনো সখনো দেখা হলে হাই হ্যালো করে কাটিয়ে দিতে চাই - সে কিন্তু এগিয়ে এসে বারবার বলে, ইনা খুব তোমাদের কথা বলে, আজকাল তো আমি বিশেষ বাড়ি থাকি না, আমি না থাকলেও ইনার সঙ্গে গিয়ে দেখা কোরো।
    শাখভ্‌ বাড়ি থাকে না, সে নাকি এখন বিজনেস করে, কীসের বিজনেস জিগ্যেস ও করি না, সে নিজে থেকে আগ বাড়িয়ে কিছু বলেও না।

    তারপর একদিন সেই লম্বা চুলের ছেলেটা (তার অবশ্য তখন অন্যরকম হেয়ার কাট হয়ে গেছে) জানালো শাখভ্‌ বিয়ে করছে।
    শুনে চমকে যাই। শাখভ তো অলরেডি ম্যারেড ছিলো। একটা ছেলেও ছিলো - ছেলেটাকে খুব ভালোবাসে দেখেছি। আবার বিয়ে কিরকম?
    ছেলেটা জানালো, এখন ইনার চেয়েও অনেক বেশি সুন্দরী একটা মেয়ে পেয়েছে শাখভ্‌, মেয়েটা আয়েরোফ্লোতের বুকিং কাউন্টারে চাকরী করে, নাম ইউলিয়া। ইউলিয়াকে এই চাকরিটা নাকি শাখভ্‌ই "করে দিয়েছে"। যার নিজেরই চাকরী নেই সে আবার অন্যলোকের চাকরী করে দেয়। কী আমূল পরিবর্তন হচ্ছে দেশের!
    এত ইনফরমেশন হজম করতে গিয়ে মাথা বোঁ বোঁ ঘুরতে থাকে।
  • de | 69.185.236.52 | ০৪ মার্চ ২০১৪ ১১:০১627867
  • তারপর?
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ মার্চ ২০১৪ ১৪:০৭627868
  • তারপর একদিন ইনার সঙ্গে দেখা করতে যাই। শাখভ্‌ ও ইনা দুজনেই আমার বন্ধু, দুজন দুটো আলাদা মানুষ। একজনকে অপছন্দ বলে অন্যজনকে ত্যাগ করব কেন?
    গিয়ে দেখি শাখভ্‌ নেই (স্বাভাবিক, এখন তার নতুন বান্ধবী জুটেছে সে এখন বাড়ী থাকবে কেন?)। রান্নাঘরে বসেই কথা হোলো। ইনা ফুটন্ত স্যুপের মধ্যে একটা একটা করে ডাম্প্লিং ছাড়ছে, আমরা কথা বলে চলেছি। ইনা জানে না যে তার ঘর ভেঙে গিয়েছে। বলছে - শাখভের এখন খুব কাজের চাপ তিনদিন চারদিন অন্তর করে একবার বাড়ি ফেরে কি ফেরে না, কারা সব ডাকতে আসে অমনি আবার বেরিয়ে যায়।
    কী কাজ করে সে?
    ইনা নিজেও সঠিক জানে না, তবে কোনো অফিসের চাকরি নয়, কারখানার কাজও নয়।
    তেমন কাজ পাওয়া কি কঠিন?
    কঠিনই তো, সেই একটা প্রবলেম হয়েছিলো না - যেবারে সে রাতে ফিরল না, পরের দিন আমি খবর পেয়ে গেলাম তাকে ছাড়িয়ে আনতে।
    ওহ্যাঁ, কী প্রবলেম হয়েছিলো?
    শাখভ আমাকেও ঠিক খুলে বলে না, তবে খুনের অভিযোগ। ওরা চারজন ছিলো, বাকি তিনজন পালায়। ও ধরা পড়ে। তখন টাকা দিয়ে ছাড়াতে হয়।
    কে দিল একসঙ্গে অত টাকা?
    আমাকে আর প্রশ্ন করিস না।

    আর প্রশ্ন করে কীই বা হবে। আমি নিজেও তো চেপে রাখলাম, যা জানি।

    এরপরে সেই ইউলিয়াকে দেখলাম তো রিজার্ভেশন কাউন্টারের ওপারে, পাশে শাখভ্‌ বসে রয়েছে। দুজনে মিলেই যেন কাজ করছে। কী আশ্চর্য, কী আশ্চর্য! আশেপাশের কাউন্টারের কেউ কিছু বলে না।

    আগে উল্লেখ করেছিলাম খুব সিনিয়র দুই বাঙালীর। তাদের মধ্যে একজন তখনো থাকেন। তিনি পাশে ছিলেন, তাঁকে বললাম - দেখুব কান্ড বাইরের লোক ফ্লাইট রিজার্ভেশন কন্ট্রোল করছে।
    সিনিয়র দাদা একটুও আশ্চর্য হলেন না, তবে আক্ষেপ করলেন - এই সমস্ত এখন মাফিয়া কন্ট্রোল করে। এরা তারই চেলা।
    আমি উৎসাহ পেয়ে বলি, একাধিক বিয়েও করছে।
    দাদা বললেন - কোনো কালচার নেই। একেবারে থার্ড ক্লাস।
    এরপরে একদিন সেই সিনিয়র আমায় নিয়ে গেলেন একজনের বাড়ীতে। সেখানে দেখলাম কালচার।
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ মার্চ ২০১৪ ১৪:২৯627869
  • আমাদের ডেরার থেকে হাঁটা দূরত্বে সেই দেড়তলা বাড়ী। বাগান টাগান সহ। ভেতরে বড় উঠোন, তাতে কয়েকটা গাছও রয়েছে।
    বাড়ির সামনের দরজাটা পুরো খুলে দিলে একটা গাড়ী ঢুকে যাবে সেটা দিয়ে। সেখানেই গাড়ি রাখার ব্যবস্থা। আরেকটু এগিয়ে একটা কাঠের মাচার মতো ব্যবস্থা, তবে বেশি উঁচু নয়। স্থায়ী ও আকারে বড়ো। সেটায় চড়বার জন্যে পাশে কাঠের সিঁড়ি। সেই মাচায় বসে রয়েছেন বাড়ীর কর্তা ও গিন্নি, দুজনেরই প্রকান্ড বপু। সামনে রাখা রয়েছে একটা পিচ্‌বোর্ডের বাক্স যেটায় করে শখানেক আইসক্রিমের কাপ এনে রাখা হয়েছে। দুজনেই একটা করে কাপ হাতে তুলছেন দুতিন বার চামচ দিয়ে তুলে বের করে খেয়ে চলেছেন আইসক্রিম, কাপ ফাঁকা হয়ে গেলেই আরেকটা করে আইসক্রিম ভরা কাপ উঠে আসছে হাতে। ফাঁকা হয়ে আসছে বাক্স এবং ফাঁকা কাপের স্তুপ বেড়ে চলেছে।
    সেই দাদা আমাকে নীচু স্বরে জানালেন - খুব কালচার্ড লোক।
    খেতে খেতে হাঁফিয়ে যাচ্ছেন গিন্নি। কর্তাও তথৈবচ। যেন একটা দুরূহ কাজ দেওয়া হয়েছে, শেষ না করে এর থেকে নিষ্কৃতি নেই।
    খেতে খেতে মুখ বিকৃত হয়ে যাচ্ছে, ফাঁকা কাপ ফেলে দিয়ে আরেকটা ভরা কাপ তুলতে যেন ইচ্ছে নেই - তবু তুলতেই হবে।
    আমরা দুদুটো অতিথি সামনে দাঁড়িয়ে (তারমধ্যে আমি একেবারেই নতুন মুখ) এদের কোনো হেলদোল নেই।
    উঠোনের ওপারে সার দেওয়া ঘর, সেখানে লোকজন আছে হয়ত। দেখা যাচ্ছে না। কেবল গাড়িবারান্দার গা ঘেঁষে একজন লিকপিকে মাঝবয়সী লোক ইলেকট্রিক শেভারে দাড়ি কামাচ্ছে।
    আমরা দাঁড়িয়ে রইলাম সেই বাক্সভর্তি আইসক্রীম কখন ফুরোবে সেই অপেক্ষায়।
  • de | 190.149.51.69 | ০৪ মার্চ ২০১৪ ১৪:৩১627870
  • বাঃ! কি দারুণ ছবি!
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ মার্চ ২০১৪ ১৫:১০627871
  • গভীর একাগ্রতা দিয়ে সেই বাক্স খালি করে ফেলে তারপরে আমাদের দিকে মুখ তুলে চাইলেন সেই দম্পতি। দূরের সেই ঘরগুলোর মধ্যে থেকে যে এদিকে লক্ষ্য রাখছিলো সেটা প্রমাণ হলো যখন একটা সতেরো আঠেরো বছরের মেয়ে দৌড়ে এসে ফাঁকা বাক্স ও ছড়িয়ে থাকা একশটা ফাঁকা কাপ ও এঁটো চামচগুলো সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে গেল।
    নজর করে দেখলাম মাচায় মখমলের গালচে পাতা, গোটা কতক পাশবালিশ ও তাকিয়া। আইসক্রিমের বাক্সটা রাখা ছিলো একটা বড়ো জলচৌকির ওপরে।
    এরপরে সেই জলচৌকির ওপরে একে একে চায়ের সরঞ্জাম আসতে লাগলো। দুটি মেয়ে এসে গৃহকর্ত্রীকে ধরে ধরে মাচা থেকে নামিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে গেল উঠোনের অন্যপারে।
    গৃহকর্তা আমন্ত্রণে আমরা এবার মাচায় উঠে বসলাম। আমায় তিনি প্রায় লক্ষ্যই করলেন না। সেই দাদাটি ক্রমাগত গৃহকর্তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে তুলতে লাগলো। অ্যাতো মুখের ওপর প্রশংসা যে দেখতেও লজ্জা করে। গৃহকর্তার দেখলাম এধরণের খোশামোদে শুধু অভ্যস্তই নয়, বেশ এনজয়ও করেন। খোশামোদ করতে করতে কিছু ভুলে গেলে নিজেই তার খেই ধরিয়ে দেন।
    যা বুঝলাম - ইনি বিরাট এক মিউজিশিয়ান। যেমন গান করেন, তেমনি বাজান। নিজস্ব ব্যান্ড আছে। জগত্জোড়া খ্যাতি।
    এইরকম বিখ্যাত লোকের নামটি কী তা জিগ্যেস করতে সাহস হলো না। কোন ধরণের গান করেন তাও জানা যাচ্ছে না। খুব ভক্তিভরে পা মুড়ে বসে আছি, পায়ে ঝিঁঝি ধরেছে, কথা বলবারও উপায় নেই, অথচ খোশামোদ আর শেষই হয় না।
  • সে | 203.108.233.65 | ০৪ মার্চ ২০১৪ ১৫:৩০627872
  • টানা তিরিশ চল্লিশ মিনিট কি আরো বেশি এইরকম চলাবার পরে সেই দাদাটি বায়না করতে লাগলেন গৃহকর্তার কন্ঠে একটি গান শুনবার। বেশি কিছু নয়। শুধু একটিবার যেকোনো একটা গান গেয়ে শোনান - শুনে সন্ধ্যেটা সার্থক হোক। নতুন অতিথি এসেছে আপনার গান শুনবে বলে- কতোদিনের সাধ আপনার গান শুনবে (এই মেরেছে, আমায় আবার জড়ায় কেন!), আমি কিছুতেই সময় করে এখানে আনতে পারি না, আপনার কখন দেখা পাবো তাও জানি না - আজ যখন দেখা পেয়েছি কিছুতেই ছাড়ছি না- আমাদের এই আব্দার আপনি না রেখে পারেন কী করে দেখি।

    গৃহকর্তা মিট্‌মিট্‌ করে হাসে। তাঁর খুব পছন্দ হয় এই রকম পরিবেশ। তবু তিনি টালবাহানা করতে থাকেন - যন্ত্রীরা সব এখনো আসে নি, দুটো তারের বাদ্য এখনো ভালো করে টিউন করা হয় নি, হ্যানা নেই ত্যানা নেই।

    দাদা আকুল হয়ে বলে উঠলেন - তবে কি আমাদের এই আসাটা ব্যর্থ হবে? ও শিরকুজি আকা, আপনার গান শুনবার সৌভাগ্য কি আমাদের হবে না আজ?
    এই প্রথম লোকটার নাম শুনলাম। শিরকুজি।

    সেই লিকপিকে লোকটা (এরমধ্যে তার দাড়ি কামানো হয়ে গিয়েছে) ও তারই মতো দেখতে আরো একটা লোক এলো। আর এলো শিরকুজির ছেলে। বড়ো ছেলে না মেঝ ছেলে মনে নেই। সে ও যুবক। এরা তিনজন, শিরকুজি ও আমরা দুজন - মোট ছজনে মিলে গানের আসরের দিকে পা বাড়ালাম। উঠোনের একপাশ দিয়ে ঘুরে সিঁড়ি দিয়ে নেমে মাটির নীচে।
    সেখানে এলাহি ব্যবস্থা। প্রকান্ড প্রকান্ড সব ঘর। বাড়িতে ঢুকলে বাইরে থেকে দেখে কিচ্ছুটি বুঝবার উপায় নেই।
    প্রথমে একটা গুদাম ঘর টাইপ। তাতে হরেক রকমের বাদ্য যন্ত্র একটারও নাম জানি না। সেই ঘর পেরিয়ে ভেতরে একটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঘর। তাতে বিভিন্ন সাইজের সিন্তেসইজার, ড্রাম, দোতারা, চেনা যন্ত্র। বোঝা গেল এই ঘরেই রেওয়াজ করেন শিরকুজি।
  • কল্লোল | 111.63.182.101 | ০৪ মার্চ ২০১৪ ১৫:৫৪627875
  • ভাই সে। আপুনি কি শ্রী নীহাররঞ্জন রায়ের সাগরেদি কোত্তেন? এমন মোক্ষম জায়গায় ধাঁ মারেন, যা কিরীটি রায়ের বাপেও পাত্তো না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন