এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কমিউনিস্ট রাশিয়া তে একচুয়ালি কী হত ?

    একক
    অন্যান্য | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ২৫৪৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 125.241.112.47 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৬:২৮627742
  • ও হো। আচ্ছা আচ্ছা। ছেলের মাধ্যমিকটা চাপের।
    ঠিক হ্যায়। অপেক্ষায় থাকলাম।
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৫২627743
  • পার্টি স্কুলের ছোটো গপ্পো একটা আছে। যদি "গপ্পো" চলে তো লিখছি।
  • | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৩:৫৮627744
  • হ্যাঁ বলুন না।
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৫:২১627745
  • ভূমিকা
    পার্টি স্কুল ও অন্যান্য গল্প বলবার আগে ঘটনাগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড না বলে দিলে অনেক সময় খট্কা লাগবে। কিছু কিছু ফ্যাক্ট্ রাখা থাক।
    প্রথম যখন ওদেশে যাই তখন কিন্তু পুরোদমে কমিউনিস্ট রেজিম (প্রাক পেরেস্ত্রৈকা যুগ)। যেহেতু কর্মসূত্রে কেউ ওদেশে থাকত না (একমাত্র এক্সেপশান সোভিয়েত প্রকাশনার কাজে যেসব বিদেশি অনুবাদকের কাজ করতেন) প্রায় সমস্ত বিদেশীই স্টুডেন্ট। সংখ্যায় এরা খুবই কম, প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের/ভাষার কমিউনিটি খুঁজে নিয়ে ছোটো ছোটো গোষ্ঠি/সমাজের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়।
    আমি যেখানে থাকতাম সে শহরে ভারতীয় বাঙালী ছিলেন মোট চারজন। এদের মধ্যে দুজন খুব সিনিয়র লোক - নিজের নিজের সংসার আছে।
    তিন নম্বর আমার সঙ্গেই এসেছে তবে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও থাকবার জায়গা অনেক দূরে। চতুর্থজন আমি নিজে।
    এই অবস্থায় নিজের"ভাষা"য় কথা বলবার বিলাসিতাটুকু বাদ দিয়ে অন্যভাষী ভারতীয়দের সঙ্গে মিশতে শুরু করে দিই। নতুন জায়গায় টুকটাক অনেক কিছু জানবার থাকে - যেমন কোথায় কী কী আছে, সামার টাইম - উন্টার টাইম কী এবং কেন, দেশি খাবার দাবার, দেশে চিঠি পাঠালে কতদিন পরে সে চিঠি পৌঁছয়, ইঃ।
    আমি "বঙ্গাল" থেকে এসেছি, তাই তারা ধরেই নিলো যে আমি কমিউনিস্ট পার্টির চ্যানেলে এসেছি এবং আমার বাড়ীর আত্মীয় স্বজন সব পার্টির মেম্বার।

    ঘটনাগুলো

    কেউ একটিবারও আমায় সরাসরি প্রশ্ন করে নি যে আদৌ আমি পার্টির চ্যানেলে এসেছি কি না।
    ক্রমশঃ নিয়মিতভাবে বেশ কয়েকজন ভারতীয় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে লাগলো। এরা সকলেই সিনিয়র। ক্লাসের ছুটির পরেই এরা প্রায় রোজই আসত আমার সঙ্গে দেখা করতে দুজন - তিনজন করে। সাধারন বাক্যালাপ, দুধহীন লিকার চা - বেশি করে চিনি দিয়ে, সেই ৩৫ কোপেকের ক্রীস্টাল সদৃশ গ্লাসে, মাঝে মাঝেই কার কোন পার্টির আত্মীয় আছে দেশে সেটা খুব শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লেখ করা। এই পার্টি হচ্ছে সিপিআই। আমি নবাগত তায় জুনিয়র, তাই চুপচাপ থাকতাম।
    নানান রকমের কথা হতো। দিল্লীর অজয় ভবনে কার সঙ্গে কার দেখা হয়েছে, অজয় ভবনে এরা সব যায়, থাকে। তখনকার দিনে ইন্টারনেট ছিলো না, গুগুল ছিলো না, আউটনলেজ আমার এমনিতেই কম - অজয় ভবন যে একটা গেস্ট হাউস সেটা আন্দাজ করেছি, ভাবলাম বঙ্গভবন টাইপের কিছু হবে, মুখ খুললেই এরা আমার মূর্খতা ধরে ফেলবে - সেই ভয়ে "সবই বুঝতে পারছি" গোছের ভাব করে গম্ভীর হয়ে থাকি। এইরকম চলল মাসখানেক কি মাসদুয়েক, ভালো করে মনে নেই।
    এরই মধ্যে অনেক কিছু জেনে ফেলেছি, যেমন ডলারের রেট - ব্ল্যাক মার্কেটে একরকম, ব্যাঙ্করেট আরেকরকম। হোমসীক লাগে। ভাবি কবে বাড়ী যাবো - টিকিটের দাম জমাবো কেমন করে?
    স্কলারশিপ/স্টাইপেন্ডের প্রায় সমস্তটাই জমাই। শুধু নুন ভাত খাই। দু মাসে পাঁচ ছ কেজি ওজন কমে গেল - আন্ডারওয়েট হয়ে গেলাম।
    সেই সিনিয়রদের ও জিগ্যেস করি - বছর ঘুরলে দেশের টিকিট কিনতে পারবো তো?
    তারা মুরুব্বির মতো বলে - এখনোতো অনেক দেরি, এত চিন্তা কীসের?
    একদিন বিকেলে তিনটে নাগাদ (যদিও সূর্য ডুবে গেছে প্রায়) এক সিনিয়র এসে উপস্থিত। আমায় কোথায় নাকি নিয়ে যাবে। আমি জিগ্যেস করলাম - কোথায়?
    তো উত্তর এলো, আগে চলোই তো- তারপরে দেখবে।
    ট্রলিবাসে চেপে শহরের প্রায় সেন্টারে একজায়গায় নামলাম। একটা গলির মতো রাস্তায় চারপাঁচতলা উঁচু বাড়ী, বেশ সুন্দর ফুলের বাগার চারপাশে। জানলাম ঐটা নাকি পার্টি স্কুল।
    "পার্টি স্কুল" আবার কী বস্তু? খুব কৌতুহল হয় জানতে, কিন্তু আউটনলেজের এতই অভাব যে - প্রশ্ন করতে পারি না। অসম্ভব থমথমে সেই বাড়ী। তারই একাংশে আবার গেস্ট হাউস। সেটাও শান্ত চুপচাপ। সিনিয়রটি জানালেন যে ঐ গেস্ট হাউসেই পার্টি স্কুলের ছাত্ররা থাকেন। এ বছর গোটা সাত আট ভারতীয় এসেছেন। এরা সব বয়স্ক লোক, আমাদের মত টিনেজার বা তরুণ নয়, কাজেই খুব রেসপেক্ট দিয়ে কথা কইতে হবে।
    সিঁড়ি দিয়ে ওপরের তলায় উঠতে উঠতে তাজ্জব বনে যাই, একেবারে দামী হোটেলের মতো - ফাইভ স্টার নয়, কিন্তু ঝকঝকে তকতকে পালিশ করা সবকিছু।
    এরপরে তো সেই পার্টি স্কুলের ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ হলো - খুব অল্প করে হাসি ও হাত জড়ো করে নমস্কারের ভঙ্গীমায়।
    দেখলাম এরা সব আমাদের বাবা কাকাদের বয়সী মানুষ। একজনও রাশিয়ান জানে না। শুধু তাই ই নয়, ইংরেজিতেও কয়েকজন বেশ কাঁচা। এঁদের কোন ভাষা মাধ্যমে "পড়ানো" হয় সেই কৌতুহল রয়েই গেল।
    ভেবেছিলাম রাজনৈতিক ভাবনা চিন্তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হবে, সিঁড়ি দিয়ে উঠবার সময়ে কমিউনিস্ট পার্টি সম্বন্ধে কী কী জানি সেটা জলদি ভেবে নিচ্ছিলাম, প্রশ্নের সম্মুখীন হলে পাছে অপদস্থ না হই।
    কিন্তু প্রাথমিক কুশল বিনিময়ের পরেই এরা সরাসরি কাজের কথায় চলে এলো। তার আগে আমার দিকে তাকিয়ে আমার সামনে "কাজের কথা" বলাটা "সেফ" হবে কিনা জেনে নিয়ে, এরা একে একে তাদের পকেট ও মানিব্যাগ থেকে টাকা পয়সা বের করল। ব্ল্যাক মার্কেটে ডলার কেনা বেচা হলো। তবুও মার্কেট রেট থেকে কিছু কম।
    একেবারে "প্রথম" দেখলাম, তাই একটু অবাক লাগে। একেকজন দেড়শো দুশো করে ডলার ভাঙায়। অথচ তখন তো ২০ ডলারের বেশি আইনতঃ কেনা যেত না। কোন পদ্ধতিতে এরা এত ডলার নিয়ে দেশ থেকে বেরোলো?
    এরপরে আমার সেই সিনিয়রটি এদের আশ্বাস দেয় যে আরেকদিন এসে "শপিং" করতে নিয়ে যাবে। তারাও খুব জানতে চায় "জেনিত" ক্যামেরা কোথা থেকে কিনবে, কটা ক্যামেরা সঙ্গে "নেওয়া" যায়।
    ঘন্টাখানেকের মধ্যেই পার্টিস্কুলের কাজ শেষ করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমার সিনিয়রটি জানায় যে সে এইভাবেই এদের "হেল্প" করছে। বেচারারা ভাষা জানে না, কিছু চেনে না, কোথায় ডলার ভাঙ্গাবে, কোত্থেকে জেনিত কিনবে। এরা দশমাসের ট্রেনিং এ আসে, খুবই অল্প হাতখরচ পায়। অল্প স্বল্প "ট্রেডিং" না করলে বেনিফিট কোথায়?

    (ডিঃ - এই পোস্ট একদম পার্সোনাল অভিজ্ঞতা, কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিবিশেষের অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়।)
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮:০৫627746
  • পার্টির মিটিং
    "পার্টির মিটিং" হতো অত্যন্ত গোপনে। যদিও কমিউনিস্ট পার্টি ভারত তথা সোভিয়েত ইউনিয়ন কোত্থাও "আন্ডারগ্রাউন্ড" নয়, তা সত্ত্বেও অত্যন্ত গোপনীয়তা সহকারে ভারত থেকে পার্টির চ্যানেলে আগত ছাত্ররা "মিটিং" করত। নিয়মিত। মাসে একবার। টোটাল দু(?)বার সেই মিটিংয়ে আমি অংশগ্রহন করেছি।
    প্রথম বছরে ঐ মিটিংয়ে ঢুকবার যোগ্যতা অর্জন করা যায় না। প্রথম বছরটা টিঁকে থাকার বছর। কন্ফিডেন্স গেইন করবার টাইম। কে কোন দলে ভিড়বে, সেই ঝাড়াই বাছাইয়ের ওয়েটিং পিরিয়ড। তখন হুট্ করে "গোপন মিটিং"য়ে একজন আনাড়িকে আহ্বান করা টোটাল মূর্খামি।
    এই "আন্ডারগ্রাউন্ড" মিটিং এর লোকেশান কখনই খুব আগে থেকে জানানো হতো না। মানে বছরে গড়পড়তা ন-দশটা মিটিং হবে - (ছুটির মাসগুলো বাদ) সেটার একটা প্ল্যানার বছরের গোড়াতেই বানানো যেতে পারে তো? কিন্তু না। জিনিসটা অনেক থ্রীলিং। লাস্ট মিটিং -এর শেষে ঠিক হবে, পরের ভেন্যু কোথায়। পরের তারিখ কোনটা। (অবশ্যই রবিবার - সেটা ফিক্স্ড্)। আবার পরের তারিখ/ভেন্যু ফিক্স্ হয়ে যাবার পরেও কিন্তু হুট্ করে লাস্ট মোমেন্টে তারিখ/ভেন্যু পাল্টে যেতে পারে। সেটা তখন আরো থ্রীলিং হয়ে গেল। কারণ তখন গোপনে সকল যোগদানকারীকে সেই বার্তা পৌঁছে দেবার পালা। সকলে এক জায়গায় নেই। কেউ হোস্টেলে, তো কেউ বাজারে। কেউ গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘুরছে, তো কেউ মদ খেয়ে বেহুঁশ। কেউ রান্নাঘরে, তো কেউ "চোতা" তৈরীতে ব্যস্ত। লিস্টি মিলিয়ে প্রত্যেককে একান্তে সেই নতুন গোপন ভেন্যু/তারিখ সার্কুলেট করা ছিলো খুবই চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। কেউ "বাদ" পড়ে গেলে অনর্থ হতে কতক্ষণ?
    "নতুন" কাউকে (এই "কাউ" এক্ষেত্রে আমি) এই মিটিংয়ে ইন্ট্রোডিউস্ করানো হতো এক্জিস্টিং কোনো মেম্বারের সাহায্যে (ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কায়দায়)।
    সেই ডলারের ব্যবসা দেখার পর থেকে আমি কখনই সেই ব্যাপারে মুখ খুলিনি, তদুপরি প্রথম বছরের ঝট্কা কাটিয়ে টিঁকে থাকার দৌলতে এই মিটিং এ আহ্বান করা হয় আমাকে। আমন্ত্রন করবার সময় বলা হয়েছিলো "একাই" যেন যাই ও ব্যাপারটা "অন্য কাউ"কে না জানাই। কন্ফিডেন্শিয়াল কিছু।
    এক মেডিক্যালের ছাত্রের ঘরে মিটিং এর ভেন্যু ছিলো। যথাসময়ের একটু আগেই পৌঁছে গেলাম। সঙ্গে ছিলেন সেই ইন্ট্রোডিউসার। একটু পরে এলেন একজন নিরীহ চুপচাপ ছাত্র। একটা খোপ খোপ ছক করা খাতায় তিনি "মিনিট্স্" লিখছিলেন। কাছে গিয়ে আড়চোখে পড়বার চেষ্টা করে কিছুই পড়তে পারলাম না এবং কোন ভাষায় লেখা হচ্ছিলো তাও বুঝিনি। সেটা ইংরিজিও হতে পারে, তেলুগু হতে বা আবার রাশিয়ানও হতে পারে - হাতের লেখার পাঠোদ্ধার অসম্ভব।
    কিন্তু কী এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিনিময় হলো সেটা ক্লীয়ার হয় নি।
    যতটা মনে পড়ে, ফ্লাইট টিকিট কবে বুকিং করা হবে, ডলারের রেট কত যাচ্ছে, কোন একটা ছেলের খুব বাড় বেড়েছে - তাকে উচিৎ শিক্ষা হিসেবে ক্যালানো হবে কিনা, এটা অনেকক্ষন ধরে আলোচনা হলো। কে ক্যালাবে সেই নিয়ে অনেক মতবিরোধ হলো। নর্থের সঙ্গে সাউথের ঝগড়া লেগে যাচ্ছিলো। সেই উত্তেজনা একজনের সুপটু মধ্যস্থতায় কমে গেল।
    তদুপরি "গোপন" মিটিং - তাই দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। গোটা আট নয় ক্ষুব্ধ জনতা বেশি চেঁচালে তখন জিনিসটা "গোপন" থাকবে না।
    মিটিংয়ের শেষ কখন হলো সেই সীমারেখা সুস্পষ্ট নয় কারণ এর পরেই মদের বোতল খোলা হয়ে গেল ফলে সকলেই খুব ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তারই ফাঁকে নেক্স্ট্ ভেন্যু ও তারিখ নিয়ে আবারো মতবিরোধ লেগে যাচ্ছিলো।

    দ্বিতীয় দিন মিটিংএ গিয়ে দেখি বিশেষ কেউ নেই (যেটা একটু আগেই লিখেছি, কোনো কারণে ভেন্যু/তারিখ পাল্টে গেছে, অথচ খবর ঠিকমতো সার্কুলেট করা হয় নি)। এর প্রভাবে কন্ফিউশন তৈরী হয়ে গেল। যার ঘরে মিটিং হবার কথা সে নেই, দরজা বন্ধ। দুয়েকটা লাথি মারা হলো। বোঝা গেল ভেতরে কেউ নেই।
    তখনকার দিনে মোবাইল ফোন, হোয়াট্স্ অ্যাপ, কিসুই ছিলো না। বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করবার উদ্দেশ্যে কজনে মিলে একটা ট্যাক্সি করে সম্ভাব্য ভেন্যুর দিকে ধাওয়া করল।
    ট্যাক্সিতে যেতে যেতে ঐ কজনের আলোচনায় যা বোঝা যাচ্ছিলো, তা হচ্ছে "পার্টি"র মধ্যে ভাঙন ধরেছে।
    একদল "পার্টি স্কুলে" গিয়ে আগে ভাগেই ডলার কিনে নিচ্ছে, অন্যদের জানাচ্ছে না, সমান সুযোগ দিচ্ছে না - এটা খুবই অনৈতিক।
    আরো অনেক "ক্ষোভের" ব্যাপার সম্বন্ধে অবহিত হওয়া গেল।
    যাইহোক, এদের সন্দেহ ঠিকই ছিলো। যেখানে যাওয়া হয়েছিলো, সেখানেই আরো "গোপনে" মিটিং সেরে লোকজন ভেগে পড়বার মুহূর্তে আমাদের দলটা পৌঁছে যায়। ফলে খুব বেশি চেঁচামেচি ও সামান্য মারপিট হয়।
    কমিউনিস্ট পার্টির পরবর্তী মিটিং এর ভেন্যু ও তারিখ কেউ আমায় আর জানায় নি।
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮:২৭627747
  • ঃ))
  • ম্যামি | 69.93.254.119 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮:৪৪627748
  • হে হে দারুন।
  • | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮:৫৯627749
  • কি অবস্থা! :-)))
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৯:৪৮627750
  • কোডেড মেসেজ ও খোঁচড়

    এটা একদম প্রায় গোড়ার দিকে। পোল্যান্ডে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের ছেলে আমাদের সেই শহরে ডাক্তারী পড়ত। আমার চেয়ে বেশ কয়েক বছরের সিনিয়র। সে ব্রঙ্কিয়াল অ্যাস্থ্মায় বারবার ভুগত। ফলে পড়ায় এক বছর গ্যাপ দিতে হয়েছে অসুস্থতার কারণে। ডাক্তারীর পড়ালেখার পাশে পাশে সে ছিলো চুড়ান্ত ভাবুক প্রকৃতির। একে তো তার ডিপ্ল্যোম্যাটিক পাসপোর্ট (যেটাকে নিয়ে তার ভয়মিশ্রিত অহংকারের শেষ ছিলো না), তায় সে ছিলো খুবই অ্যাড্ভেঞ্চার লোভী।
    সত্য মিথ্যা এখন প্রমাণ করবার কোনো উপায়ই নেই, সেই ছেলেটা তার ক্লোজ বন্ধু সার্কেলে নিজেকে একজন গুপ্তচর হিসেবে পরিচয় দিতো।
    সেটা ছিলো একটা সময় যখন কেজিবিরা যখন তখন যার তার পেছনে আঠার মতো লেগে থাকত। সমস্ত গতিবিধির ওপরে নজর রাখত। এরা খুবই লো লেভেলের খোচড় টাইপ।
    এমনি এক খোচড় পঙ্কজ নামের একটা তুখোড় বুদ্ধিমান ছেলের পেছু নেয়। ঐ ছেলেটা ও পঙ্কজ একই ক্লাসে সহপাঠী, একই হোস্টেলে থাকত ও দুজনে দুজনকে দুচক্ষে দেখতে পারে না।
    সেদিন সন্ধ্যেয় ঐ ওদের হোস্টেলে গেছি। অন্য একটা ছাত্রের ঘরে বসে আড্ডা হচ্ছে, হঠাৎ দরজা ঠেলে পঙ্কজ সেখানে ঢুকেছে। কী ব্যাপার? না সেই খোঁচড় পেছু লেগেছে, ও পালাতে গিয়ে এই ঘরে আশ্রয় নিয়েছে।
    কী আর করা যাবে। আমরা চারজনে তাসের প্যাকেট খুলে বসলাম। পোকার খেলা ঠিক হবে না। তখন টোয়েন্টি নাইনের জন্যে কার্ড বাঁটা হলো। পরিষ্কার মনে আছে, জাস্ট ডাকা হয়ে গেছে, ডবল বা রিডবলের পরে যেই রং করার জন্যে তাস তুলেছি, দরজায় টোকা দিয়ে ভেতরে ঢুকল সেই খোঁচড়।
    ঢুকে সে চেয়ার টেনে সাইডে বসে আমাদের "খেলা" দেখতে লাগল। সোভিয়েতরা যত ভালোই দাবাড়ু হোক না কেন, টোয়েন্টি নাইনের মতো খেলার আগাপাশতলাও বুঝতে পারলনা লোকটা। একটার পর একটা রঙের সেট খেয়ে যাচ্ছে কিন্তু টাকা পয়সার কোনো লেনদেন হচ্ছে না - সেটা ও ব্যাটা ঠিক হজম করতে পারছে না।
    খেলা শেষে আমি খোঁচরকে টোয়েন্টি নাইন শেখাবার চেষ্টা করলাম, তারপরে তার বাড়ী কোথায়, ঘরে কে কে আছে, ছেলে মেয়েরা কতো বড়ো, কী কী তাদের নাম, কে কোন ক্লাসে পড়ে, এই সব জিগ্যেস করে করে তাকে চা খেতে অনুরোধ করলাম। সে তখন সেখান থেকে পালাতে পারলেই বাঁচে। কিন্তু তাকে যেতে দিচ্ছে কে?
    এর মধ্যে পঙ্কজ হাল্কা করে কেটে গেছে (তখন খোঁচড়কে শেখাচ্ছিলাম যে নয় কে কেন চোদ্দ বলা হয়। পুছো কিঁউ? কিঁউ? - জানি না)। খোঁচড় পঙ্কজের ট্র্যাক হারিয়ে ফেলেছে, কিন্তু আমরা তাকে এককাপ দার্জ্জিলিং চা না খাইয়ে কিছুতেই ছাড়ব না।
    এমনি সময়ে সেই "ছেলেটি" এলো।
    খোঁচড় চলে গেলে পরে আমরা তাকে পঙ্কজের খোঁচড় কর্তৃক তাড়া খেয়ে আসার পরের গল্পটা বললাম।
    ছেলেটি এটা শুনে কিছুক্ষণ অন্যমনস্ক হয়ে ছিলো।
    তার ও অনেকক্ষণ পরে সে আমাদের ক্রিপটোগ্র্যাফির প্রাথমিক কিছু পাঠ পড়িয়েছিলো। ভাবতে এখন অদ্ভুত লাগে। সে আজ কতো বছর আগের কথা।
    খশ্খশ্ করে কাগজে কীসব লিখছে, তারপরে ছকে ফেলে ফেলে সেগুলো ডিকোড করছে। সব ছক একরকমও নয়। আমরা তাজ্জব হয়ে গেছলাম।
    সেই সামারে সোভিয়েত দেশে বিদেশি সিনেমার বাজার বসে; তখন নব্যেন্দু চ্যাটার্জি তাঁর ছবি নিয়ে এসেছিলেন - সেই সময়ে আমি ইন্টারপ্রেটারের কাজে সাহায্য করেছিলাম। তখন একথায় সেকথায় ঐ ছেলেটির গল্প বললাম পরিচালক মশায়কে; শুধু তাই নয় তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে গেলাম ঐ "ছেলেটি"র সঙ্গে আলাপ করাতে। খুব উৎসাহী ছিলাম, যদি এমন কোনো বিষয় নিয়ে ছবি করা যায়। কিন্তু নব্যেন্দুদার সামনে ও মুখই খুলল না।
    সে যাই হোক, ও বলেছিলো যে ওকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় "মেসেজ" পৌঁছে দিতে হয়। এমন অদ্ভুত শিশুসুলভ মুখভঙ্গী করে বলত যে হাসি চেপে রাখা মুশকিল হয়ে যেত।
    ওমা, কদিন পরে শুনলাম অ্যাজমার অ্যাটাকে ছেলেটা মরে গেছে।
    তখন সবাই ছুটে গেলাম তাকে শেষ বিদায় জানাতে। খবর পেয়ে ওর বাপ মা দিল্লী চলে গেলেন এবং ওর দেহ পৌঁছে দেওয়া হলো দিল্লীতে।
    দেহ ফ্লাইটে তুলে দেবার পরে, সকলেই আমরা ক্লান্ত, শোকগ্রস্থ - ছোটো ছোটো দলে একত্র হয়ে সেই সন্ধ্যায় আলোচনা করছি ছেলেটির আকস্মিক মৃত্যুর ব্যাপারে - যেমন লোকে করে পরিচিত বন্ধু আত্মীয় মারা গেলে। টুকরো স্মৃতিচারণা, কবে কী বলেছিলো, ডীপফ্রিজে কাস্টার্ড ঢুকিয়ে রেখেছিলো, এইসমস্ত - তখন আমি তুললাম সেই ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যাপারটা। কেন জানি না সকলে চুপ করে মুখ চাওয়া চাওয়ি করল। এই টপিক নিয়ে কেউ কথা বাড়াতে চাইল না।
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২১:০৭627752
  • ফ্রেন্ড, ভিলেন ও সেতার

    প্রথমে ফ্রেন্ড
    এখন তো নারীমাংস ও ধর্ষন হট টপিক, তাই এগুলো মনে পড়ছে। ভারতীয়দের মধ্যে (অন্য দেশিদের তুলনা টানছি না) বেশ একটা টেন্ডেন্সি দেখা যায়, "বাইরে" গেলেই যৌন অ্যাড্‌ভেঞ্চারের।
    একদিন একটা পার্কে বন্ধুরা সব বেড়াচ্ছি, কাছেই মস্ত হোটেল সেখানে বিদেশি টুরিস্টরা এসেছে। হঠাৎ দুজন পাগড়িপরা ভারতীয় (আফগান নয়) এগিয়ে এসে আমাদের সঙ্গে আলাপ জুড়ল। তারপরেই প্রশ্ন, "ইঁহা ফ্রেন্ড মিলেগা"?
    আমরা তো তাজ্জ্জব। কার ফ্রেন্ড? এদের কোনো ফ্রেন্ড কি হারিয়ে গিয়েছে?
    একটি ছেলে বলছে - দেখুন ফ্রেন্ডশিপ কবে কার সঙ্গে হবে সেটা কি ঠিক করে দেওয়া যায়?
    তখন সেই ভারতীয় ট্যুরিস্ট হাতের কায়দায় যৌনভঙ্গী করে মুখে বলল, গোরী মিলেগী?
    - ভাগ্‌ সালা!
    তাড়া খেয়ে দুজনে চোঁচা দৌড়।

    ভিলেন
    সিনেমার শুটিংয়ে এসেছেন বলিউডের কৃতি অভিনেতা ও ভিলেন। দুজনেই বিশ্ববিখ্যাত, জীবিত। নাম করা যাবে না।
    শুটিংয়ের শেষে দিনান্তে ভিলেন ঘুরতে বেরিয়ে রাস্তা হারিয়েছেন। গরমকাল। রাত হয়েছে তবে আকাশে আলো ছিলো, তাই সময়টা ঠাওর করতে পারেন নি। হঠাৎ ঘড়ির দিকে চোখ পড়ায় ভিলেন ঘাবড়েছেন, হোটেলে ফিরবেন কেমন করে? ভাষা জানেন না। অকষ্মাৎ রাস্তায় আমাদের সঙ্গে দেখা।
    আমরা কজন বললাম - চলুন আপনাকে ট্যাক্সিতে তুলে দিই।
    ভিলেন তাও ঘাবড়ে। না না, প্লীজ পৌঁছে দিন, যদি ট্যাক্সি আমাকে অন্যদিকে নিয়ে যায়?
    ওদেশে ট্যাক্সিওয়ালারা বেশি ভাড়ার লোভে এসব ছোটো কাজ করে না, তবু ভিলেন কে বোঝায় কার সাধ্য?
    তাকে ট্যাক্সিতে বসিয়ে হোটেল নিয়ে যাচ্ছি। ড্রাইভার ভদ্রমহিলার সঙ্গে ভিলেন আলাপ জমাতে চান, একটু আধটু ইম্‌প্রেস করবার চেষ্টা, ৭০ টা ফিলিমে অ্যাক্‌টিং করেছেন, ইঃ - কিন্তু ড্রাইভার ইম্‌প্রেস্‌ড্‌ হলেন না। ভাড়া মেটাতেই শাঁ করে বেরিয়ে গেলেন।
    হোটেলে ওঁকে পৌঁছে দিতেই উনি আমাদের ওপরে, ওঁর ঘরে যেতে খুব অনুরোধ করতে লাগলেন।
    সেই ফ্লোরে গিয়ে দেখি, আমাদের সেই বিখ্যাত অভিনেতা পাশের ঘরেই রয়েছেন। ভদ্রভাবে কুশল বিনিময় হলো।
    ভিলেনের ঘরে দেখি একটি অল্পবয়সী মেয়ে, চুমকি দেওয়া কাপড়চোপড় পরে খাটের ওপরে বসে রয়েছে। মুখে একটু লজ্জা মেশানো হাসি হাসি ভাব। স্থানীয় নাগরিক।
    গতিক সুবিধের নয়।
    ভিলেন আমাদের অনুরোধ করলেন - ওকে একটু প্লীজ ওর ভাষায় বলুন, আমার দেরী হয়ে গেছে, এখনই আসছি, যেন চলে না যায়।

    সেতার
    এক রিপাবলিকের ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টদের খুব দুঃখ তাদের কোনো মিউজিক্যাল ইন্‌স্ট্রুমেন্ট নেই। নিদেন পক্ষে একটা হারমোনিয়াম, বা একটা ঢোল। ইন্ডিয়ান এম্‌ব্যাসী কে এই নিয়ে এন্তার ধ্যানাই পানাই করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
    এমন সময় কী একটা ফেস্টিভ্যালে সেখানে এলেন ভারতখ্যাত এক বাদক। কোনো এক ওস্তাদ। সংগীত, সুরা ও নারী - তিনেরই খুব ঝোঁক। স্থানীয় ছাত্ররা তিননম্বরের ব্যবস্থা করে দিলো। বাদক খুব স্যাটিস্‌ফায়েড্‌। বললেন, কীভাবে এই আতিথেয়তার ঋণ শোধ করব?
    না কিছু লাগবে না।
    তাও..
    ইয়ে স্যার আমাদের কোনো মিউজিক্যাল ইন্‌স্ট্রুমেন্ট নেই এখানে, যদি...
    মাসখানেকের মধ্যেই তিনি একজনের হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন, সেতার নয় - সুরবাহার।
    এই যন্ত্র ছাত্ররা বাজাতেই জানে না।
  • Sibu | 84.125.59.185 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২২:৫৫627753
  • আম্রিকাতে স্টুডেন্ট হয়ে আসার ঠিক পর-পরই বাবাকে কিছু টাকা পাঠানোর প্রয়োজন হয়েছিল। সে টাকাটা ব্যাঙ্কিং চ্যানেলে পাঠাই এবং এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু (বন্ধু ব্যতীত এমন উপকার কে করে) সে খবরটি ভারতীয় ছাত্র মহলে ফাঁস করে দেয়। সে নিয়ে পরদিন লাঞ্চের আসরে সিনিয়র ভারতীয়দের কাছে আমি প্রভূত প্যাঁক খাই - কিঁউ বেটা, তু তো সন্ত্‌ বন গ্যয়া। পাশের টেবিলে এক বয়স্ক বাঙালী অধ্যাপক খাচ্ছিলেন। তাঁর স্ত্রী সন্ধেবেলা ফোন আমার বৌকে ফোন করে - ও বলল তোমরা তো নতুন, এখনো বোধহয় দোশীজির খবর পাওনি। বলে একটী টোল-ফ্রী নম্বর দেন।

    আপাততঃ সোবিয়েত ভেঙে যাবার পর ঐ মেয়েছেলের ব্যাপারটা কিছু সুবিধা হয়েছে। আমার এক বন্ধু আছে, সাইপ্রিয়ট। পিএইচডি করার সময় একসাথে মাল খেতাম। আমি ওর গার্লফ্রেন্ডের কাছে, আর ও আমাকে গিন্নির কাছে প্রোটেক্ট করতে গিয়ে পোচ্চুর ঝাড় খেয়েছি/ছে। সে বছর বছর মেডিটারেনিয়ানে একটা কনফারেন্স আয়োজন করে। প্রতিবারেই লোভ দেখায়, সোভিয়েত ভেঙে গিয়ে না খেতে পাওয়া মেয়েগুলো সব ভীড় জমিয়েছে। এবারে একটা কীনোট অ্যাড্রেস দিতে এস। দেখবে কতগুলো নাতাশিয়া জুটিয়ে দেই। বৌ বলে রেখেছে ঐ অলপ্পেয়ে মিনসের কনফারেন্সে গেলে হয় তাকে নিয়ে যেতে হবে, নইলে সে গলায় দড়ি দেবে।
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:০১627754
  • ১। ঠিক না খেতে পাওয়া মেয়ে এরা নয়।
    ২। মেডিটেরিয়ানে কিন্তু ট্র্যাফিকিং এর কেস ই বেশি
  • Sibu | 84.125.59.185 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:০৩627755
  • সে, আমি যাস্ট বন্ধুটিকে কোট করলাম। এ ঠিক রাজনীতি করা ছেলে নয়। মনে হয় জেনারেলি বন্ধু-বান্ধবের কাছে যা শুনেছে তাই বলেছে।
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:১৩627756
  • হুঁ। আমিও আগে এরকমই জানতাম। পরে দেখলাম রিয়্যালিটি অন্যরকম। বিরাট বিরাট সেক্স ট্র্যাফিকিং র‌্যাকেট আছে। এরা সেই ফাঁদে আটকে গেছে।পালানোর পথ নেই প্লাস কোনোমতে পালালে জীবনের ঝুঁকি হয়ে যাবে (নিজের নয়, প্রিয়জনের - যারা "দেশে" রয়েছে)।

    (একটু প্রসঙ্গান্তরে গিয়ে লিখি - আফ্রিকা থেকেও এইরকম ট্র্যাফিক্‌ড্‌ মেয়েরা ইয়োরোপে আসে। নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে এবং "জুজু"র কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে, তাছাড়া প্রিয়জনের প্রাণ বন্ধক রেখে)

    রাসিয়ান বা পূর্ব্ব ইয়োরোপের মেয়েরা "জুজু" তে বিশ্বাস করে না, তাই তাদের বন্ধক রাখতে হয় প্রিয়জনের প্রাণ।
    স্বেচ্ছায় বেশ্যাবৃত্তিতে (ডিঃ - খুবই ভালো এবং সম্মানজনক পেশা, কোনো ডিস্‌ক্রিমিনেশনে যাচ্ছি না) সাধারণতঃ এরা আসতে চায় না। অধিকাংশকেই জোর করে বেশ্যাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।
  • Sibu | 84.125.59.185 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:২০627757
  • যে সব মাফিয়াচক্রের কথা আগে লিখছিলেন তাদের কীর্তি?
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:২৩627758
  • সোভিয়েত যুগে তো তারা বাইরের দেশে গিয়ে এসব করতে পারত না।
    দেশটা ভেঙ্গে যাবার পরেই তাদের / বা নতুনদের এই সব ব্যবসায়ে সুবিধে হয়েছে।

    সোভিয়েত যুগের মাফিয়ারা মোটামুটি দেশের মধ্যেই অপারেট করত।
  • Ranjan Roy | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:৩৩627759
  • আজকের "এই সময়" পত্রিকার দ্বিতীয় পাতায় আমার শ্রদ্ধেয় অরুণ সোমের একটি প্রবন্ধ বেরিয়েছে। উপলক্ষ্য-- সোচি শীত অলিম্পিক; মূল বক্তব্য--- ইতিহাস সাক্ষী, রুশিরা সব যুগে সংকট কাটিয়ে ফিনিক্স পাখির মত বেঁচে উঠেছে। এখনো তাই হবে। কিয়েভ হলেও। সোচি তার প্রমাণ।
    আমি এতে বিশ্লেষণের জায়গায় ভালোবাসা ও আবেগই বেশি দেখছি। (পাপ মন!)
    সে, কিছু বলুন।
  • Sibu | 84.125.59.185 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:৩৪627760
  • এটা একটু অবাক লাগছে। মাফিয়ার মধ্যেও কি কমি মাফিয়া, ক্যাপিটালিস্ট মাফিয়া ভাগাভাগি ছিল নাকি? নাকি রুবলের নন-কনভার্টিবিলিটি ইত্যাদি ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল অসুবিধার জন্য রাশান মাফিয়া গ্লোবালাইজড হতে পারে নি। অথবা অন্য কিছু?
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:৪৭627761
  • ডিফিকাল্ট প্রশ্ন। মাফিয়ার প্রশ্নটা "প্রত্যক্ষ গল্প" আকারে লিখতে পারি।

    রঞ্জনদা,
    এর নাম দেশপ্রেম। অরুণবাবু আসলেই ঐ দেশটাকে অসম্ভব ভালোবাসেন।
  • Sibu | 84.125.59.185 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:৫৮627764
  • মাফিয়ার গল্পটা আসলেই শুনতে চাই। বিভিন্ন সূত্রে শুনেছি যে মাফিয়া নাকি সরকারী প্রশ্রয় পায়। এবং সেটা শুধু ক্ষমতাশালীদের পয়সা করতে সাহায্য করার জন্য নয়। মাফিয়া বিভিন্ন আন্ডার কাভার/ইলেজিটিমেট অপারেশন চালাতে সাহায্য করে, যেগুলো অনেক সময়েই সরকার নিজের নামে করে না।
  • MR | 183.74.217.230 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০০:৩০627765
  • সোচী অলিম্পিক নিয়ে ওয়েস্টার্ন মিডিয়ার বাড়াবাড়ি রকমের প্রেজুডিশ দেখলাম। একটাও বোমাবাজী না হওয়াতে বোধহয় হতাশ হয়েছে। আর ওদের মেমোরেবল মোমেন্ট্স গুলো সবই নেগেটিভ ( সিনেন ছেপেছে)।
  • সে | 203.108.233.65 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০০:৪৬627766
  • টোটাল একমত।
  • π | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০১:১৯627767
  • রঞ্জনদাকে ক। অরুণ সোমের লেখাটা পড়ে আমিও বিশ্লেষণ পাইনি, পেয়েছি প্রচুর গদগদ আবেগ। এবং কিছুটা ঘাঁটাও লেগেছে।
  • ম্যামি | 69.93.254.119 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০১:২৭627768
  • পুটিনের আমলে রাশিয়ার উন্নতি হয়েছে নিঃসন্দেহে। কিন্ত ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের এর গোপন সম্পত্তির কথা সকলেই জানেন, পুটিনও জেনেছেন। আশা করব পুটিন এ বিষয়েও কিছু বলবেন, পশ্চিম দেশের সমালোচনা করার পাশাপাশি।
  • ম্যামি | 69.93.254.119 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:০২627769
  • A private restaurant in the form of a pirate ship, with the name “Galleon” on the stern. “Before, people thought, nothing really depends on me. But after this situation, they think differently. They believe in their struggle when they are all together.”

    মিস্টার পুটিনকে এই কথাগুলো ভাবতে হবে।
  • Sibu | 84.125.59.185 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:২৪627770
  • পুটিনকে ভাবতেই হবে কি করে গুন্ডাদের আটকানো যায়।
  • ম্যামি | 69.93.254.119 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:৩৫627771
  • গায়ের জোরে? দেখা যাক কার কত জোর।
  • Sibu | 84.125.59.185 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:৩৯627772
  • ধুস্‌, গায়ের জোরে কেন? হিসি করে দিয়ে। ;-)
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১১:২২627773
  • ইয়ানোকোভিচ কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ইউক্রেন পুলিশ খুঁজছে, গণহত্যার অভিযোগে।

    ইউ (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন) চায় ইউক্রেন, পুতিন দাদাও চায় ইউক্রেন।

    কেনো?

    ফোর্ব্স -
    Ukraine, by most standards, should be an economic juggernaut. It has ample natural resources, a highly educated, diligent workforce and is situated in an advantageous geographical position.

    বিজনেস ইনসাইডার,
    ... it's hard to imagine Russian President Vladimir Putin's grand plans for a Eurasian Union working if Ukraine joined the E.U.
    ...
    if Russia were to regain control over Ukraine with its 46 million people, major resources and access to the Black Sea, Russia would automatically regain the wherewithal to become a powerful imperial state. Additionally, a number of key gas pipelines from Russia to Western Europe run through Ukraine. In pure economic terms, a shift to Russia would likely change the dynamics of how Western Europe is powered.

    কার্নেগি --
    Of the EU’s Eastern neighbors, Ukraine is the country with the second-largest joint border with the EU at over 1,300 kilometers (or 800 miles).
    ...
    Ukraine offers a market of 45 million consumers, and 70 percent of its arable land is made up of some of the most fertile soil in Europe.

    ফাঁদে পইড়্যা ইউক্রেন কাঁন্দে রে।
  • Sibu | 118.23.96.158 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১১:২৯627775
  • ইয়া। ওবামা অলরেডী পরামর্শ দিয়েছে রাশিয়া যে ১৫ বিলিয়ন ডলার ধার দেবে বলেছিল সেটা পুষিয়ে নেবার জন্য ইউক্রেন যেন আইএমএফের দ্বারস্থ হয়। আমরা সবাই জানি ডেমোক্র্যাটাইজেশনের এই ফার্স কিভাবে শেষ হয়।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন